মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ছুড়লে যুক্তরাষ্ট্রের জবাব কী হবে

ছবি: সংগৃহীত
মৌসুমী সাহা
প্রকাশিত
মৌসুমী সাহা
প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:৫০

মৌসুমী সাহা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের হুমকির মতো একটি বক্তব্য দিয়েছেন। আর সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোয় শোরগোল পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পুতিন এমন কিছু করলে পরিণতি ভালো হবে না।

তবে প্রশ্ন হলো- পুতিন যদি পারমাণবিক বিধ্বংস শুরু করেন, বাইডেন শেষ পর্যন্ত কী করতে পারবেন? যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তা এবং সমরবিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এনবিসি নিউজ কথা বলেছে। তারা বলেছেন, রাশিয়া যদি কোনো ইউক্রেনীয় শহরে পরমাণু বোমা ফেলে এবং আশপাশে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর আকাশ-বাতাস বিষাক্ত করে- তখন যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, পশ্চিমাদের রাশিয়াবিরোধী আগ্রাসী নীতি সব সীমা লঙ্ঘন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে পারমাণবিক হুমকির মুখে রেখেছে। নিজের দেশকে রক্ষার জন্য যেকোনো উপায় বেছে নিতে তিনি পিছপা হবেন না।

পুতিনের ওই বক্তব্যকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি বিবেচনা করে পশ্চিমা দেশগুলোয় বিস্তর বাগ্‌বিতণ্ডা ও আলোচনা চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মনে করছে, পুতিনের হুমকি কোনো ধাপ্পাবাজি হতে পারে না। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট অবকাশ আছে।

এর আগে মস্কো টাইমস এক নিবন্ধে লিখেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কা খুব কম। কিন্তু তাই বলে বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে দেয়ারও সুযোগ নেই।

এনবিসি নিউজকে মার্কিন সামরিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, রাশিয়ার ক্ষুদ্র ক্ষেপণাস্ত্রগুলোও হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে নিক্ষিপ্ত পারমাণবিক বোমার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিধ্বংসী বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম।

রাশিয়াকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলারের অত্যাধুনিক অস্ত্র দিচ্ছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সেনা পাঠায়নি। তারা কেবল মিত্রদের সঙ্গে জোট বেঁধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়াকে একঘরে করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে আর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে আটকাতে চাইছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা এনবিসিকে বলেন, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের হামলার ধরন কেমন হবে তার ওপরই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা নির্ভর করবে। রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়ে শক্তি দেখাবে নাকি প্রত্যন্ত এলাকায় ইউক্রেনীয় সেনাদের ওপর পারমাণবিক বোমা মারবে, নাকি বড় কোনো ইউক্রেনীয় শহর কিংবা ন্যাটোভুক্ত দেশে পারমাণবিক হামলা করবে সেটাই দেখার বিষয়।

কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ হামলার শিকার না হলে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের জবাব দেয়া কিংবা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যাওয়ার মতো বাধ্যবাধকতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

কয়েকজন সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিশ্বাস, ইউক্রেনে রাশিয়ার কোনো পারমাণবিক অস্ত্র হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযান চালিয়ে প্রতিশোধ নেবে, এমন সম্ভাবনা খুব কম। আবার আরেক পক্ষ বলছে, এমন হলে বাইডেন ইউক্রেনে রুশ বাহিনী কিংবা পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপকারী রাশিয়ার সামরিক ইউনিটের ওপর হামলা চালাবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এমন সামরিক অভিযানে গেলে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া যে মধুর হবে না, তা বলাই বাহুল্য। এতে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হবে।

পেন্টাগনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা ইভলিন ফারকাস একসময় রাশিয়ায় কাজ করেছেন। বর্তমানে ম্যাককেইন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ফারকাস মনে করেন, রাশিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্রের হামলা করেই বসে তাহলে বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেবেন। তিনি পুতিনকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবেন। তবে দুই মার্কিন কর্মকর্তা ফারকাসের সঙ্গে একমত নন। তারা মনে করেন, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার কবলে না পড়লে যুক্তরাষ্ট্র এমন সামরিক অভিযান চালাবে বলে তারা মনে করেন না।

এমন কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে, বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে কখনো পূর্ণমাত্রায় পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে চাইবেন না। কারণ, এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরেও ধ্বংস নেমে আসবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাইডেনকে হয়তো পারমাণবিক যুদ্ধ করতে হবে না। কারণ, তাদের বিশ্বাস, রাশিয়া যদি এ ধরনের কোনো হামলা চালায় তাহলে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ, এমনকি যারা এ যুদ্ধ নিয়ে এখন পর্যন্ত চুপ আছে তারাসহ সবাই একত্রে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন করবে।


ইসরায়েল কি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আঘত হানবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ির সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের টোলফোনে কথোপকথন হয়েছে। এই আলাপে উঠে আসে সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরানের হামলার বিষয়টি। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই টেলিফোন আলাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলর হামলার বিষয়টি ওয়াংয়িকে অবগত করেন এবং এই হামলার জবাবে হিসেবে ইরান ইসরাইলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানায়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান ওয়াংয়িকে আরও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলে এই হামলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেয়নি এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের নিজের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে ইরান-ইসরায়েল আঞ্চলিক পরিস্থিতি ‘খুবই স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরান ‘সংযম করতে ইচ্ছুক’ এবং আর উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।

জবাবে ওয়াংয়ি বলেন, ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করেছে চীন এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। চীন ইসরায়েলে ইরানের হামলাকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে এবং আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে।

এদিকে, ইরানের এই হামলার জবাব ইসরায়েল অবশ্যই দেবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। ইসরায়েলে হামলার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বলেছেন, ইরান নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে তাদের পারমাণবিক স্থাপনা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি সপ্তাহের ইসরায়েলের ওপর কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার পর তেহরান এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। খবর এএফপির।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল; ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার শঙ্কা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কি না।

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বদা এমন হামলার শঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি আপনাদের যা বলতে পারি তা হলো ইরানে অবস্থানকারী আমাদের পরিদর্শকদের দেশটির সরকার জানিয়েছে, আমরা প্রতিদিন যেসব পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন করছি; নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে সেসব স্থাপনা বন্ধ থাকবে।’

বিষয়:

কাশ্মীরে নৌকাডুবে নিখোঁজ ১৫ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত-শাসিত কাশ্মীরের ঝিলম নদীতে মঙ্গলবার একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর উদ্ধারকারীরা নিখোঁজ প্রায় ১৫ জনকে খুঁজে বের করার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

নিখোঁজদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু, যারা স্কুলে যাওয়ার পথে শ্রীনগর শহরের ঝিলাম নদীতে নৌকা উল্টে যাওয়ায় নিখোঁজ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাশ্মীরের সিনিয়র এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর প্রায় ১৫ জন নিখোঁজ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও রয়েছে।’

কাশ্মীরের হিমালয় উপত্যকা জুড়ে কয়েকদিনের বৃষ্টির পর নদীটি ফেঁপে উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রবল স্রোতে নৌকাটি উল্টে যায়।

শ্রীনগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিলাল মহিউদ্দিন ভাট এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের উদ্ধারকারী দল সেখানে রয়েছে। আমরা ঘটনার বিস্তাারিত জানার চেষ্টা করছি।’

অনেক অফিস কর্মী এবং স্কুলছাত্রীরা রাস্তার যানজট এড়াতে সকালে নদীতে নৌকা নিয়ে পারাপার হয়।

পার্বত্য অঞ্চলের রাস্তায় দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনা কিন্তু যাত্রীবাহী নৌকা বিপর্যয় বিরল।


মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা

শনিবার রাতে ইসরায়েলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ফাইল ছবি: বিবিসি
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:১৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বেশকিছু নিরাপত্তা বিশ্লেষক বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসরায়েল শিগগিরই কিংবা কিছুদিন পরে ইরানের হামলার জবাব দেবে- এ ব্যাপারে তাদের কোনো সন্দেহ নেই। চলমান এ পরিস্থিতিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে।

শনিবার রাতে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা চালায়। এসব হামলায় তারা শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে অপারেশন ট্রু প্রোমিজ নামে অভিযান চালিয়েছে ইরান। তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। এবারই প্রথম ইসরায়েলের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালাল ইরান। তবে ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে ইরানের ওই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। রোববার রাতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও ‘আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ উভয়ই অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে কখন কীভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। জানা গেছে, ইরানে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সবাই একমত হতে পারেননি।

ইরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে। একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে তার দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ‘সতর্কতার সঙ্গে ভাবারও’ পরামর্শ দেন। বাইডেনের পরামর্শ মেনে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে আক্রমণ না চালালেও তারা বলছে, ইরানে নিজের বেছে নেওয়া উপায় ও সময়ে হামলার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রোববার ইরানি হামলার জবাব দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে অন্তত ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের অপর একটি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হাইয়ুমের প্রতিবেদনে ইসরায়েল সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই (ইরানকে) একটি প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’

ইরান এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইসরায়েল বা তার সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আরও বড় আক্রমণ চালাবে তারা। অন্যথায় সংঘাত এখানেই সমাপ্ত। অর্থাৎ আক্রমণের পর বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে ঠেলে দিয়েছে ইরান। পরবর্তীতে কী হবে তার পুরোটাই নির্ভর করছে ইসরায়েলের পদক্ষেপের ওপর।

ইরান-ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বড় পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আরও হামলা-পাল্টা হামলার মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেন।

গুতেরেস বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দারা সর্বাত্মক এবং ভয়াবহ সংঘাতের মধ্যে পড়ে গেছে। গোটা অঞ্চল এখন খাদের কিনারে চলে গেছে। বাসিন্দারা একটি পূর্ণমাত্রার ধ্বংসাত্মক সংঘাতের মুখোমুখি। তারা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছেন। এখনই সময় তাদের খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে আনার। আর এ দায়িত্ব যৌথভাবে গোটা বিশ্বের।’

বিশ্ব সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি সভার শুরুতে দেওয়া ভাষণে গুতেরেস এসব কথা বলেন। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ইসরায়েলের অনুরোধে ইরানের হামলা নিয়ে এ সভা ডাকা হয়। এতে স্ব স্ব দেশের অবস্থানের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েল ও ইরানের রাষ্ট্রদূতেরা।

সংঘাতে কোনো পক্ষ নেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না উল্লেখ করে গুতেরেস জানান, তিনি নিশ্চিতভাবে এই সংঘাতে কোনো পক্ষে যাননি।

মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় সামরিক পক্ষগুলো ফের ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে যেতে পারে, এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সংঘাতপূর্ণ পদক্ষেপ এড়িয়ে যাওয়া জরুরি। ইতোমধ্যে এখানকার বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের (গাজাবাসী) চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। তাই এখনই সময়, সবাইকে যুদ্ধের কিনার থেকে ফিরে আনার।’

জাতিসংঘের মহাসচিব আরও বলেন, ‘(ইরান-ইসরায়েল-গাজা) সংঘাত যাতে আবার উসকে না যায়, তা প্রতিরোধে সবার দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে সক্রিয়ভাবে এই দায়িত্ব পালনের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।’

সবার যৌথ অংশগ্রহণে এখনই গাজায় যুদ্ধ বিরতি প্রয়োজন উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, ‘সেখানে মানবিক অবস্থা বিপর্যস্ত। এ জন্য সব জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও বাধাহীনভাবে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে দেওয়া দরকার।’

গুতেরেস তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সংঘাত বন্ধ ও লোহিত সাগরে নৌযান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করা নিয়েও কথা বলেন।

ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলায় জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যদি কোনো পাল্টা হামলা পরিচালনা করে তাতে অংশগ্রহণ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার হোয়াইট হাউস এ কথা নিশ্চিত করেছে।

ইরানের হামলার পর এক বিবৃতিতে বাইডেন জানান, তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন- ইসরায়েল নিজেকে রক্ষার তাৎপর্যপূর্ণ সক্ষমতা দেখিয়েছে এবং নজিরবিহীন হামলাকে পরাজিত করেছে। বিবৃতিতে তিনি ও নেতানিয়াহু সম্ভাব্য ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন কি না তা সম্পর্কে কিছু বলেননি বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি এক মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলকে রোববার বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তবে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না ওয়াশিংটন। ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে কি না জানতে চাইলে কিরবি বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও দেশটিকে রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার লৌহদৃঢ়। প্রেসিডেন্ট যেমন অনেকবার বলেছেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধ চাই না। ইরানের সঙ্গে আমরা যুদ্ধ চাই না। আমি এটুকুই বলব।

কিরবি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার তীব্রতা বাড়ুক আমরা চাই না। আমরা বড় সংঘাত চাই না। রোববার ইসরায়েলের দুই সিনিয়র মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা খুব দ্রুত হবে না এবং একা হামলা চালাবে না।

বিলিয়ন ডলার ক্ষতি ইসরায়েলের

ইসরায়েলে ইরানের হামলায় ক্ষতিও হয়েছে অনেক। তবে তারা সেটি সঠিকভাবে প্রকাশ করছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল-জাজিরা। এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তবে ইসরায়েল যা বলছে তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। আল-জাজিরা বলছে, ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু তাদের বিবৃতিতে তা প্রকাশ পায়নি।

ইরানের হামলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তারা। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

এদিকে রাতভর ইরানের ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোচ ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান।

আমিনোয়াচ বলেন, আমরা যদি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলি; ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র- যা অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভূপাতিত করা দরকার, সেগুলো আমরা মূলত যুদ্ধবিমান দিয়ে ভূপাতিত করছি। অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ৩৫ লাখ ডলার, ডেভিডস ব্লিংয়ের জন্য ১০ লাখ ডলার, এ ছাড়া জেট বিমানের জন্যও এ ধরনের খরচ হয়েছে। অর্থাৎ সব খরচ মেলালে ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান কী করতে সক্ষম তার সামান্য চিত্র দেখাল মাত্র। এটা এমন একটি দৃশ্য যা কখনো কেউ দেখেনি। এমন হামলার পরেই পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে।


‘ইরানের হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েল কোনো এক সময় অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, এটি প্রায় নিশ্চিত যে ইসরায়েল প্রতিশোধ নেবে। তবে সে প্রতিশোধ কখন ও কীভাবে নেওয়া হবে তা অজানা। খবর এএফপি’র।

গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ অঞ্চলে ইতোমধ্যে অশান্তি বিরাজ করায় বিশ্ব নেতারা সংশ্লিষ্ট সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ইরানের হামলার সামরিক প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বেশ কিছু নিরাপত্তা বিশ্লেষক এএফপি’কে বলেছেন, ইসরায়েল শিগগিরই বা পরে ইরানের এমন হামলার জবাব দেবে এ ব্যাপারে তাদের কোন সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে তারা ইসরায়েল এবং জোটের জন্য বিশাল ঝুঁকির এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে এর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।

যে কারণে ইসরায়েল প্রতিশোধ নেবে

নিরাপত্তা পরামর্শদাতা স্টিফেন অড্র্যান্ড বলেছেন, যদিও ইসরায়েল এবং তাদের মিত্ররা এসব হামলার অধিকাংশ ঠেকিয়ে দিয়েছে। ইরানের এমন হামলায় দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন করে চরম অবনতি ঘটে। এদিকে ইরান বলেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে তেহরানের কনস্যুলেট ভবনে ১ এপ্রিল চালানো ভয়াবহ বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা এসব ড্রোন ও বিমান হামলা চালায়। ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছিল।

ওই হামলায় দুই সিনিয়র জেনারেলসহ ইরানের সাতজন রেভল্যুশনারি গার্ড নিহত হয় এবং সেখানে হামলার পরপরই ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। অড্র্যান্ড আরও বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ড অন্য রাষ্ট্র দ্বারা হামলার শিকার হলে, এক্ষেত্রে ঐতিহ্যগতভাবে ইসরায়েলের একটি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে।’

ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান তামির হায়মান যুক্তি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল তাদের সুবিধা মতো সময়ে পাল্টা আঘাত করবে এমনটা প্রায় নিশ্চিত। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া তার ভবিষ্যদ্বানীতে বলেন, ‘ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল তাদের জবাব দেবে।’

বিষয়:

আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণ, বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।

এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হতাহতের বেশিরভাগই বাড়ির ছাদ ধসে পড়ার কারণেই ঘটেছে।

দেশটির সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখপাত্র জনান সায়েক রোববার বলেন, গত শুক্রবার থেকে বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে প্রচুর মানবিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

সায়েক আরও জানান, প্রায় ৬০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ছাদ ধসে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ২০০টি গবাদি পশু মারা গেছে, প্রায় ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায় ৮০০ হেক্টর কৃষি জমির ফসল বন্যায় ভেসে গেছে। পশ্চিম ফারাহ, হেরাত, দক্ষিণ জাবুল এবং কান্দাহার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আফগানিস্তানের বেশিরভাগ প্রদেশে সামনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া বিভাগ।


ইসরায়েলে হামলা: যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দিলো ইরান

আপডেটেড ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:২৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরান রোববার ইসরায়েলের সাথে তেহরানের সংঘাত থেকে ‘দূরে থাকতে’ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে। ইরানের দামেস্কো কনস্যুলেট ভবনে ভয়াবহ হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরান ইসরায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ওয়াশিংটনকে এমন সতর্ক করলো। খবর এএফপি’র।

ইরানের জাতিসংঘ মিশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স’কে বলেছে, ‘ইরানের এমন সামরিক পদক্ষেপ দামেস্কো আমাদের কূটনৈতিক প্রাঙ্গণে ইহুদিবাদী শাসকদের আগ্রাসনের পাল্টা জবাব ছিল।’

এক্ষেত্রে তারা সতর্ক করে বলেছে, ‘ইসরায়েল সরকার আরেকটি ভুল করলে সেক্ষেত্রে ইরানের জবাব আরো কঠোর হবে।’

ওই বার্তায় আরো বলা হয়, ‘এটি ইরান এবং দুর্বৃত্ত ইসরায়েল সরকারের মধ্যে একটি সংঘাত। এমন সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে!’

বার্তায় বলা হয়েছে, ইরান আশা করে যে, তাদের কূটনৈতিক মিশনে হামলার শাস্তি দেওয়ার জন্য তাদের পদক্ষেপটি আর বাড়বে না এবং ‘বিষয়টি শেষ বলে মনে করা যেতে পারে।’

এদিকে পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, মার্কিন বাহিনী ইসরায়েল-গামী বিভিন্ন ড্রোন গুলো করে ধ্বংস করছে এবং ব্রিটেন বলেছে, তারাও প্রস্তুত রয়েছে।

গত ১ এপ্রিল দামেস্কোতে অবস্থিত ইরানী দূতাবাসের এনেক্স ভবনে হামলায় ভবনটি মাটির সাথে মিশে যায় এবং সাতজন বিপ্লবী গার্ড নিহত হন। এদের মধ্যে দ’ুজন জেনারেল ছিলেন। সেখানে এমন হামলা চালানোয় ব্যাপকভাবে ইসরায়েলকে দোষারোপ করা হয়।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডস ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেয় যে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিলে তার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

ইরান বলেছে, তেহরান তাদের কূটনৈতিক মিশনে হামলার পর ‘আত্মরক্ষামূলক’ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালিয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইরান তার সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখ-তা এবং জাতীয় স্বার্থের ওপর যে কোনো বেআইনি শক্তিপ্রয়োগ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে থাকে।’


ইরানের হামলার শঙ্কা: শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১২ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:১৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে দামেস্কে হামলায় ইরানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের হত্যার ঘটনায় তেহরানের বদলার শঙ্কায় উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দেশটিতে বিবিসির অংশীদার সিবিএস নিউজকে বলেন, ইসরায়েলের ওপর ‘চ্যালেঞ্জিং’ বড় ধরনের হামলা শিগগিরই হতে পারে। অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মকভাবে প্রস্তুত।

বিবিসি জানায়, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গালান্ট ও বিরোধী নেতা বেনি গানৎজের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

এমন বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা সিবিএসকে বলেন, হামলায় শতাধিক ড্রোন, বেশ কিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে ইরান। এগুলোর লক্ষ্য হতে পারে ইসরায়েলের সামরিক বিভিন্ন স্থাপনা।

এদিকে স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ইরানের হামলার হুমকি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ এবং ওয়াশিংটন বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

ইরানের হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিক ও কর্মকর্তাদের ইসরায়েলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কূটনৈতিক মিশনের কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের তেল আবিব, জেরুজালেম ও বির শেভার বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দিয়েছে।


৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:১৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের মাটিতে ইরান হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক কূটনীতিক এ তথ্য জানিয়েছেন বলে শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হন।

ইসরায়েল ওই হামলার দায় স্বীকার না করলেও তেল আবিবকেই দায়ী করেছে ইরান। ওই হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলেও তেহরানের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। আইআরজিসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহসেন রিজাইয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তাসনিম নিউজ।

এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা রাখা যুক্তরাষ্ট্রের এক কূটনীতিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘ইসরায়েলের লক্ষ্য অন্যত্র থাকাকালে কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের মাটিতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে ইরান। আমাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো অন্তত তাই ইঙ্গিত করছে।’

ওই কূটনীতিক জানান, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হামলা চালাতে পারে ইরান। এ হামলা মোকাবিলায় নিজেদের ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

তেহরানের প্রতিক্রিয়া

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, হামলার বিষয়ে তেহরান এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি বলে জানিয়েছেন ইরানের এক কর্মকর্তা।

আইআরজিসির এক উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সপ্তাহের শুরুতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ইসরায়েলে হামলা চালাতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন আইআরজিসির কর্মকর্তারা। এর মধ্যে অত্যাধুনিক মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথাও উল্লেখ করেন তারা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টগুলোতেও ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের দিমোনার পারমাণবিক স্থাপনা, হাইফার বিমানবন্দরের মতো স্থাপনা, তবে এসব পোস্টের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি টাইমস অফ ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে উল্লেখ করা হয়, হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি খুব ভালো করেই জানেন যে, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো কিছু করা হলে অবশ্যই তার পাল্টা জবাব দেবে তেল আবিব। এ ক্ষেত্রে দেশটি ইরানের কৌশলগত স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।

প্রস্তুত ইসরায়েল

ইসরায়েল ও ইরানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাগযুদ্ধ নতুন মাত্রা পায় বৃহস্পতিবার। ওই দিন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘(ইরান থেকে) আগত সব ধরনের হামলা মোকাবিলায় আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

এর পরপরই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে একাধিকবার তেহরানকে এমন কিছু না করতে সতর্ক করা হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যেকোনো হামলার জন্য পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করছে ইসরায়েল। আমরা প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

‘আমরা নিজেদের প্রতিরক্ষার পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমাদের যেসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, তা দিয়েই শত্রুর মোকাবিলা করা হবে। তা ছাড়া আমাদের কৌশলগত মিত্ররাও এমন পরিস্থিতিতে আমাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।’

ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রল কমান্ডের জেনালের মাইকেল কুরিল্লা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে পৌঁছান। সেখানে তিনি আইডিএফের চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেবির সঙ্গে নিরাপত্তাজনিত হুমকি ও তা মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ওই আলোচনার পরই আইডিএফের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মিত্রদের কথা তুলে ধরে আইডিএফ।

ওই দিন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গালান্ট। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের ওপর ইরান ও এর আঞ্চলিক মিত্রদের ক্রমবর্ধমান হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সুদৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাবে।

‘ইরানি হামলা মোকাবিলায় মিস্টার গালান্ট যুক্তরাষ্ট্রকে গণনায় নিতে পারে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে’, উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

পরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘আমরা (লয়েড) অস্টিনকে জানিয়েছি যে, ইরান সরাসরি ইসরায়েলে হামলা করলে আমরাও তাদের একইভাবে জবাব দেব।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচনাকালে অস্টিন গালান্টের কাছে অভিযোগ করেন, ১ এপ্রিলের ঘটনার বিষয়ে আগে থেকে পেন্টাগনকে কিছুই জানানো হয়নি।

এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ইরানকে বিরত রাখতে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

এদিকে ইসরায়েলে হামলায় নিরুৎসাহিত করার ব্যাপারে ইরানকে বোঝাতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ওই ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যে ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ পালন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই।

শুধু এ ফোনালাপ নয়, হামাসকে সহযোগিতা বন্ধের জন্য ইরানকে চাপ দিতে চীনকে প্রকাশ্যে বারবার অনুরোধ জানিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কূটনীতিকদের ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

ক্রমবর্ধমান হামলার হুমকি থাকায় এরই মধ্যে নিজ দেশের কূটনীতিকদের ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তেল আবিব, জেরুজালেম এবং বির শেভা এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’

নাগরিকদের সতর্ক করেছে ফ্রান্সও

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজ দেশের নাগরিকদের ইরান, লেবানন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চল ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ফ্রান্স।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্তেফান সেজোর্নের এক প্রতিনিধি শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ইরানভিত্তিক ফরাসি কূটনীতিকদের আত্মীয়রা ফ্রান্সে ফিরে আসবেন। একই সঙ্গে ফ্রান্সের বেসামরিক নাগরিকদের ইরান, লেবানন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চল ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।

উত্তেজনা কমাতে চাইলেও প্রতিশোধের বিষয়ে বদ্ধপরিকর ইরান

ওয়াশিংটনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে তেহরানের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করা হয়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান এমন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা (ইসরায়েলের হামলার) এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে যাতে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় কোনো অবস্থাতেই তাড়াহুড়া করা হবে না বলে ইরানের সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইরান ‘খুব স্পষ্ট’ করে বলেছে যে, দামেস্কে দূতাবাসে হামলার জবাব তারা অবশ্যই দেবে। সে ক্ষেত্রে তা যেন ‘নিয়ন্ত্রিত’ হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য আঞ্চলিক মিত্রদের ব্যবহার করা হতে পারে বলেও ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, এরই মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার মতো বিশ্ব মোড়লরাও ইরানকে সংযত হতে অনুরোধ জানিয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরান বলেছে, ইসরায়েলের হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ব্যবস্থা নিলে প্রতিশোধের ‘আবশ্যকতা’ হয়তো এড়ানো যেত।

এ বিষয়ে এক্সে দেয়া পোস্টে জাতিসংঘে ইরানের মিশন লিখেছে, ‘নিরাপত্তা পরিষদ যদি (দামেস্কের কূটনৈতিক চত্বরে) আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করত, তাহলে ইরানের আর এই দুর্বৃত্তকে শাস্তি দেয়ার কথা চিন্তা করা লাগত না।’


ইসরায়েলে মার্কিন কুটনীতিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র তাদের কুটনীতিকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েলে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছে। ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধমুলক পাল্টা হামলার উদ্বেগের মধ্যে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছে ইরান। যদিও ইসরায়েল এই হামলায় দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ যেন আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক তৎপরতা চলার মধ্যেই এই হামলা হয়।

মার্কিন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তেল আবিব, জেরুজালেম এবং বীরশীভা এলাকার বাইরে’ ভ্রমন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

গত রোববার ইরানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। কোনো একটি কনস্যুলেট ভবনকে হামলার টাাের্গট করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালাতে পারে ইরান।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভ্রমণ সতর্কতা সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, কী কারণে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো, তা সুনির্দিষ্ট করে তিনি প্রকাশ করবেন না। তবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ইসরায়েল যে হুমকিতে আছে, তার ওপর নজর রেখেছি।’


ইরানে সরাসরি হামলা চালানোর হুমকি দিল ইসরায়েল

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরান যদি তাদের ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে বিস্ফোরণে ইরানি জেনারেলদের হত্যার পর প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ফার্সি ও হিব্রু উভয় ভাষায় এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘ইরান যদি তার ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেবে এবং ইরানে হামলা চালাবে।’ চলতি মাসের শুরুতে দামেস্কে সৌদি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বুধবার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য এলো।

তেহরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে, যাতে ভবনটি ধসে ১২ জন নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এ ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। যদিও তারা এই হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, যা তাদের দীর্ঘকালীন স্নায়ু যুদ্ধের সম্প্রসারণ। মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শেষে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, বিমান হামলা ছিল 'অন্যায়' এবং ইরানি ভূখণ্ডে হামলার অনুরূপ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে খামেনি বলেন, ‘আমাদের কনস্যুলেট এলাকায় হামলা চালানোর মানে আমাদের ভূখণ্ডে হামলা চালানো। দুষ্ট শাসকদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে এবং তারা শাস্তি পাবে।'

কাৎজ বা আয়াতুল্লাহ কেউই কীভাবে প্রতিশোধ নেবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি। ১ এপ্রিলের ওই বিস্ফোরণে নিহত ১২ জনের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য, চারজন সিরীয় ও হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া বাহিনীর এক সদস্য রয়েছেন।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় পশ্চিমাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনেরও সমালোচনা করেন খামেনি।

তিনি বলেন, 'আশা করা হচ্ছিল তারা (ইসরায়েল) এই দুর্যোগে প্রতিরোধ করবে। তারা তা করেনি। পশ্চিমা সরকারগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি।’

ইরান ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইসরায়েলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে থাকে। তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না।


দক্ষিণ চীনের মুদি দোকানে আগুন: নিহত ৫

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৩৯
বাসস

চীনের দক্ষিণে স্বায়ত্বশাসিত ‘গুয়াংজি ঝুয়াং’ নামক একটি অঞ্চলের মুদি দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।

কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা ব্যুরো জানায়, উঝো শহরের ক্যাংউ কাউন্টিতে সোমবার ভোর ৩টার দিকে দোকানটিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং তা দ্রুত সেখানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

আগুন লাগার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।

বিষয়:

তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: ১৩ অভিবাসীর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ জন অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটেছে। তিউনিশিয়ার উপকূলীয় এলাকায় কয়েকটি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১ হাজার ৮৬৭ জনকে উদ্ধার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। রোববার তিউনিশিয়ার জাতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তিউনিসিয়া থেকে ইতালীয় উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিউনিশিয়ার কর্তৃপক্ষ মানবপাচারের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিউনিশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ছোট ছোট নৌকায় চেপে হাজার হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় কয়েকটি নৌকা ডুবে যায়। এসব নৌকায় নারী-শিশুসহ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছিলেন। পরে তিউনিশিয়া উপকূল থেকে ১৩ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকা থেকে ১৬টি লোহার নৌকা ও ৪৭টি সামুদ্রিক যান জব্দ করা হয়েছে।

দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ প্রায়ই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠছে তিউনিশিয়া। দেশটি নজিরবিহীন অভিবাসন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

দেশটির স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা তিউনিশীয় ফোরাম ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস বলেছে, গত বছর রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছিল। ওই সময় সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণ যায় ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি অভিবাসীর। উপকূল থেকে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর ইউরোপগামী যাত্রা বন্ধ করার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)

দেশগুলোর চাপে রয়েছে তিউনিসিয়া। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ বলেছেন, তার দেশ সীমান্তরক্ষী হিসাবে কাজ করবে না।


সৌদিতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি, দেশটিতে ঈদ বুধবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায়নি। দেশটি ৩০ রোজা পালন করা হবে। আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশটিতে ঈদুল ফিতর পালন করা হতো। তাই মঙ্গলবার নয়, বুধবার দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দুই মসজিদ কাবা এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য।

সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা ২০ মিনিটে এক পোস্টে ইনসাইড দ্য হারামাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আজ সৌদি আরবের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

আজ সোমবার সৌদিতে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী পরশুদিন বুধবার।

এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে পরেরদিন ঈদ উদযাপন করা হয়। এই হিসেবে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে ঈদ হবে তার পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।


banner close