বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

ভারতে ইসলামী সংগঠন পিএফআই নিষিদ্ধ

ছবি : সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৩২



দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের সরকার দেশটিতে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) নামের একটি ইসলামী সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম গতকাল বুধবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএফআই ও তার বেআইনি অঙ্গসংগঠনগুলো পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে।

রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে সংগঠনটির তরফ থেকে কোনো বক্তব্য মেলেনি। তবে পিএফআইয়ের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (সিএফআই) সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছে।

পিএফআইয়ের শতাধিক কর্মী-সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি মাসে গ্রেপ্তার করেছে। সিএফআইয়ের জাতীয় সম্পাদক ইমরান পি জে বলেন, ‘আমরা একটি হিন্দু জাতির ধারণার বিপক্ষে। আমরা এই বাধাকে জয় করবই। আমাদের আদর্শকে পাঁচ বছর পরে পুনরুজ্জীবিত করব। আর আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করব।’

সহিংসতা ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে পিএফআই গত মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দেয়। ওই দিন বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠনটির বিভিন্ন কার্যালয়ে তল্লাশি অভিযান চালোনো হয় এবং বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল পিএফআইকে নিষিদ্ধ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ ও তার তহবিল জোগান, উদ্দেশ্যমূলক নৃশংস হত্যাকাণ্ড, সাংবিধানিক কাঠামোকে অস্বীকার প্রভৃতি গুরুতর অপরাধমূলক কাজে পিএফআই ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতের জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মুসলমান। অনেকে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে মুসলিম সম্প্রদায়কে নানাভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। মোদির নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বর্তমানে ভারতের শাসনক্ষমতায় রয়েছে।

তবে বিজেপি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ভারতের সব নাগরিক সরকারি উদ্যোগে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণের সুফল ভোগ করছে।

ভারতে ২০১৯ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য রাখার অভিযোগে যে বিক্ষোভ হয়, তাতে পিএফআই সমর্থন দিয়েছিল। আবার চলতি বছর কর্ণাটক রাজ্যে মুসলিম ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরার দাবিতে আন্দোলনেও সংগঠনটি সমর্থন দেয়।

সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, পিএফআই ও তার অঙ্গসংগঠন সিএফআই, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রিহ্যাব ফাউন্ডেশন কেরালার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সরকার বলছে, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে পিএফআইয়ের আন্তর্জাতিক যোগসাজশের বেশকিছু উদাহরণ পাওয়া গেছে। পিএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছে এবং সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।

সিএফআই নেতা ইমরান বলেন, সরকার পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকা বা ইসলামিক স্টেটে যোগদানের মতো বিভিন্ন অভিযোগ আনলেও সেসবের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি।

ভারত গত দুই দশকে কয়েকটি বড় বড় জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে। এসবের বেশির ভাগেই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামপন্থিরা জড়িত ছিল।

পিএফআই ২০০৬ সালের শেষদিকে ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম শুরু করে এবং পরের বছর দক্ষিণ ভারতের তিনটি সংগঠনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ শুরু করে। তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পিএফআই মূলত সামগ্রিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে কাজ করে।


২ বছরে উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৯ শতাংশ:  এডিবির প্রেসিডেন্ট

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভায় যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জর্জিয়ার রাজধানীতে পৌঁছেছেন প্রতিনিধিরা। আগত অতিথিদের উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছে তিবিলিসি। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) শুরু হতে যাওয়া সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সবুজ বিশ্বায়নসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মূল উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। বুধবার (১ মে) রাতে তিবলিসিতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পৌঁছান বলে জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।

২০২৪ সালের বার্ষিক সভার পর্দা উত্তোলনের সময়, একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কী প্রয়োজন সে নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া, ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট ওডিলে রেনাড-বাসো এবং জর্জিয়ার অর্থমন্ত্রী লাশা খুটিশভিলি।

আন্তর্জাতিক সাংবাদিক নিশা পিল্লাইয়ের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বায়ন ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি সত্ত্বেও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও দেশগুলো কীভাবে আরও কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

আলোচনায় এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, তথাকথিত উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনীতি ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ বেড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা ২০২২ সালে ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধির গতি চলতি বছর এবং আগামী বছর প্রায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আসাকাওয়া। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এডিবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ সালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি আসে- প্রথমত, তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা। দ্বিতীয়ত, রপ্তানি কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধার। তৃতীয়ত, খুব শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ। চতুর্থত, পর্যটন পুনরুদ্ধার কারণ আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক ফিরে আসছেন এবং পঞ্চমত, চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার।’

চীনের অর্থনীতি প্রসঙ্গে এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩ দশমিক শূন্য হলেও কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি থেকে বেরিয়ে আসার পর ২০২৩ সালে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রচুর পরিমাণে অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সত্ত্বেও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি খুব স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে।

এ সময় এডিবি প্রেসিডেন্ট চারটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন- প্রথমটি হলো মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য স্থানে চলমান ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত। দ্বিতীয়ত, উন্নত অর্থনীতিগুলোতে- বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক নীতির অভিযোজনের কারণে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারগুলো খুব অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা। তৃতীয়ত, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। সাধারণত খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ হওয়ার পর থেকে চালের দাম বেড়েই চলেছে। চতুর্থত বিশ্ব যে নেতিবাচক ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন সংকট।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এটা অস্বস্তিকর সত্য যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের জন্য ৫০ শতাংশের বেশি দায়ী। তবে একই সঙ্গে এটিও সত্য যে এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।’

এডিবির ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক উচং উম বলেন, 'বৈঠকে জর্জিয়া ও এডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব তুলে ধরা হবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রতি জর্জিয়ার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমের সংযোগস্থলে অবস্থিত তিবিলিসিতে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সরাসরি, আর্থিক এবং অর্থনৈতিক সংযোগগুলো খোঁজার একটি চমৎকার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’

এবার প্রথমবারের মতো জর্জিয়ায় এডিবির বোর্ড অব গভর্নর্সের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

'ব্রিজ টু দ্য ফিউচার' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ থেকে ৫ মে পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। এতে এডিবির ৬৮ সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

জর্জিয়া ২০০৭ সালে এডিবিতে যোগ দেয়। জর্জিয়াকে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশটির অন্যতম বৃহৎ বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে এডিবি।

এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেগুলো

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৭:৫৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব অর্থনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ থেকে বোঝা যায়, সে দেশের প্রভাব কতখানি। এই তালিকার ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে।

১. ফেডারেল রিজার্ভ

তালিকার একেবারে ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলার। আর্থিক খাতের মানুষজন এই ব্যাংককে ডাকেন ‘ফেড’ নামে। ১৯১৩ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা নজরদারি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছে প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে কত বড়, ফেডারেল রিজার্ভের হাতে থাকা বিশাল সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে এটাও দেখায় যে মার্কিন অর্থনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

২. ব্যাংক অব জাপান

জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই ব্যাংকের হাতে থাকা সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব জাপানের প্রতিষ্ঠা ১৮৮২ সালে। বাজারে মুদ্রা ছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করা এই ব্যাংকের মূল কাজ।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক অব জাপানের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কারণে যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবস্থাপনার দিকটি বাস্তবায়ন করছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক অব জাপানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সে কারণে তাদের সম্পদ বেড়েছে।

৩. পিপলস ব্যাংক অব চায়না

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, বাজারে মুদ্রা ছাড়া এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানতম কাজ।

সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সম্পদ বিপুলভাবে বেড়েছে। এর কারণ হলো, একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থেকে চীন এখন বিশাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।

৪. ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক

ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক। ফোর্বসের তালিকায় জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মালিক জার্মানির এই ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৭ সালে। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালু করার পেছনে এই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

জার্মানির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা বুন্ডেসব্যাংকের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে বুন্ডেসব্যাংক।

৫. ব্যাংক অব ফ্রান্স

ইউরোপের আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮০০ সালে। বিশ্বে যত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাচীনতম ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক অব ফ্রান্স।

ফ্রান্সের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ব্যাংক অব ফ্রান্সের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।

৬. ব্যাংক অব ইতালি

ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ইতালির প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে। ইতালির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তেও অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।

৭. ব্যাংক অব স্পেন

স্পেনের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৭৮২ সালে। অনেক পুরোনো এই ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার। এটি স্পেনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়নসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।

৮. ব্যাংক অব ইংল্যান্ড

বিশ্বে যতগুলো পুরোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের অন্যতম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটির প্রতিষ্ঠা ১৬৯৪ সালে। নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংক হলেও এটি মূলত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।

যুক্তরাজ্যের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাজারে মুদ্রাও ছাড়ে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

৯. সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক

এটি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের হাতে যে সম্পদ আছে, তার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ব্যবস্থাপনা এই ব্যাংকের মূল দায়িত্ব।

সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা ফ্রাঙ্কের মূল্যমান যাতে না বেড়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যেই বাজারে হস্তক্ষেপ করে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সে কারণে তাদের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।

১০. রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। তাদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি ডলার। ১৯৩৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও নিজের দেশের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে এবং বাজারে মুদ্রা ছাড়ে। চীনের মতো ভারতের অর্থনীতিও এখন অনেক বড় হয়েছে। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:১৭
ইউএনবি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চারজন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, নর্থ ক্যারোলাইনার বৃহত্তম শহর শার্লটের একটি উপশহর এলাকায় তদন্ত চালানোর সময় মার্কিন মার্শাল ফিউগিটিভ টাস্ক ফোর্সের তিন সদস্য বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ বিভাগ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, একটি বাড়ির সামনের উঠানে বন্দুকধারীর গুলিতে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং বাড়ি থেকে আরও দুজনকে হেফাজতে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে গেলে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।


দিল্লি কংগ্রেস প্রধানের পদত্যাগ

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অরবিন্দর সিং লাভলি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে। ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। আর এর মধ্যে বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। নির্বাচনের মধ্যেই তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলেও মনে করা হচ্ছে। আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসেবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এ ছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনো কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকি দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। শহরের পূর্বাঞ্চলীয় হ্যাজেলউড এলাকার জেনার ও কিলহপার স্ট্রিটের হান্ড্রেড ব্লকে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং রেডিওর মাধ্যমে নাম ও পরিচয়হীন দুজন ব্যক্তির খুন হওয়ার কথা জানান দেয়। এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য জানাতে ৭১৬-৮৪৭-২২৫-এই নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর সোমবার নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।

এদিকে বাংলাদেশি অভিবাসীরা ওই দুজনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। বাবুল উদ্দিন ৮ মাস আগে ভার্জিনিয়া থেকে বাফেলোতে আসেন। ইউসুফ মিয়া আসেন চার মাস আগে সিলেট থেকে। দুপুরের পর থেকে খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশিরা তাদের বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোক এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ বলেছেন, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার পর পর জেনার স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে গুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের সোয়াত টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অনলাইন পোর্টাল বাফেলোনিউজের খবরে বলা হয়, বিকাল ৪টার দিকেও ১৪৮ জেনার স্ট্রিটের আঙিনায় গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনা জড়িত কে বা তারা তাদের বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ। এখনো কাউকে ধরতেও পারেনি।

সিটি অব বাফেলোর এশিয়ান অ্যাডভাইজার শাহী চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বাফেলো শহরে দুই বাংলাদেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সিলেটের ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবু। এ ঘটনার পর বাফেলো শহরে হাজারো বাংলাদেশির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছর বয়সি বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। ২৭ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের ওজন পার্কে নিজ বাসা থেকে পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চান উইন রোজারিও। নিহতের বাবার দাবি, ফোন পেয়ে পুলিশ তাদের বাসায় গিয়ে মায়ের সামনেই ছেলেকে ছয় রাউন্ড গুলি করে। পরে উইন রোজারিওর মানসিক সমস্যার কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এমন একজনকে কেন গুলি করে মারতে হলো এমন প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় কমিউনিটিতে। যদিও পুলিশের দাবি, উইন কাঁচি নিয়ে তাদের মারতে উদ্যত হয়েছিল।


হঠাৎ চীন সফরে ইলন মাস্ক

ইলন মাস্ক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক হঠাৎ করেই চীন সফরে গেছেন। আজ রোববার একটি ব্যক্তিগত বিমানে একপ্রকার আকস্মিকভাবেই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি। ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর ইলন মাস্কের চীন সফরের তথ্য এল।

১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে এক্স বার্তায় ইলন বলেন, টেসলায় পাহাড় সমান কাজ জমে যাওয়ায় দুর্ভাগ্যবশত ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারত সফরের জন্য মুখিয়ে আছি।

চীনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার চালকহীন প্রযুক্তির (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনের সংগৃহীত উপাত্ত স্থানান্তরের অনুমতি নিয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ইলন মাস্ক।

এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, শিগগিরই চীনা ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডি সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।

মার্কিন এই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চার বছর আগে অটোপাইলট সফ্টওয়্যারের সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ এফএসডি বাজারে আনে। চীনা গ্রাহকরা এটা চালু করার বিষয়ে অনুরোধ জানালেও টেসলা এখনো তা করতে পারেনি। আর সে বিষয়ে আলোচনা করার জন্যই এত তড়িঘড়ি করে বেইজিংয়ে উড়ে গেছেন ইলন মাস্ক।

এদিকে, ইলন মাস্কের ভারত সফর পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে ভারতে শুরু হয় রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, মাস্ক নিজেও দেয়ালের লিখন পড়ে ফেলেছেন। আসলে টেসলা কর্তা অত দূর থেকে আসবেন। এসে একজন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেটা খুব খারাপ দেখাতো। কংগ্রেসের আরেক নেতার কথায়, মোদির হার নিশ্চিত জেনেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়ালেন মার্কিন শিল্পপতি।


বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। দেশটির ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয় শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি ও আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে নিম্ন খরিপ ও রবি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদনকারীরাই পেঁয়াজ সরবরাহ করবেন এবং এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আসবে বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে।

উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত ১ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১২০ টাকা। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৫ টাকা। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে ৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার ও পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত সরকার। গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত।


যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে

৫৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিগত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি তথা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যসহ দেশটির বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ এখন তুঙ্গে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতার পক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিক্ষোভে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের দাবি, যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে বিনিয়োগ করছে এবং গাজা যুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের কার্যক্রম যেন বন্ধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিতে রাজি কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত সপ্তাহে প্রায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হার্ভার্ড, কলম্বিয়া, ইয়েল, ইউসি বার্কলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিক্ষোভগুলো প্রায়শই অনুমোদন ছাড়াই এবং তা প্রতিরোধ করতে পুলিশ ডাকা হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকদের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারীরা আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টেজার এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। কর্মীরা বলছেন, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা সজ্জা পরিহিত এবং ঘোড়ার পিঠে চড়ে থাকা অফিসাররা টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ভণ্ডুল করেছে।

বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ হয়েছে জর্জিয়ার আটলান্টায় অবস্থিত অ্যামোরি ইউনিভার্সিটিতে। সেদিন পুলিশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীর ওপর চড়াও হয়ে গ্রেপ্তার করে। এমনকি এক নারী অধ্যাপককেও গায়ের জোরে মাটিতে ঠেসে ধরে হাতকড়া পরায় তারা।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রচার করেছে। ভিডিওটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যামোরি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলাইন ফোলিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কথা বলতে গেলে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা তার ওপর চড়াও হয় এবং চোখের পলকেই তাকে মাটিতে শুইয়ে ফেলে।

ভিডিও থেকে আরও দেখা গেছে, একপর্যায়ে অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা এসে অধ্যাপক ফোলিনকে চেপে ধরে তার বুকের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাতটি বের করে এনে দুই হাতই পিছমোড়া করে এবং হাতকড়া পরিয়ে দেয়।

সিএনএনের শেয়ার করা ভিডিও থেকে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে অ্যামোরি ইউনিভার্সিটির আটলান্টা ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। এ সময় পুলিশ সেখানে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর সবাই মিলে চিৎকার দিয়ে ওঠে।

একপর্যায়ে ফোলিনকে যখন মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরাতে থাকে পুলিশ, তখন একদল প্রতিবাদকারী তাদের ঘিরে ফেলে এবং পুলিশকে গালি দিতে শুরু করে। এক বিক্ষোভকারী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, তোরা হিটলার! তোরা পাগলা কুকুর! তোরা ফ্যাসিস্ট! তোদের লজ্জা নেই।

তিনি পুলিশ সদস্যদের ওই শিক্ষার্থীকে ‘ছেড়ে দিতে’ বলতে থাকলে পাশ থেকে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে ল্যাং দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন, আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা এতে যোগ দিয়ে ফলিনকে মাটিতে ঠেসে ধরতে সহকর্মীকে সাহায্য করেন। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা অধ্যাপক ফলিনের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলেন। এ সময় ফলিন বারবার বলছিলেন, ‘আমি একজন অধ্যাপক।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থি এই প্রতিবাদ প্রথমে শুরু হয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, আর তা এখনো শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে আছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস, বোস্টন ও টেক্সাসের অস্টিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই শতাধিক প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে আবার প্রতিবাদ শুরু করে।


তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল দক্ষিণ এশিয়া

দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: বিবিসি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের তাপমাত্রা বিগত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে কি না সেই শঙ্কা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব বিশ্বের যে যে অংশে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছে এশিয়াও। চলতি বছরে ইতোমধ্যে এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একই রকম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও।

হাঁসফাঁস করা এই পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি।

ভারত

গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার বারিপদাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ করা গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের তাপ মাপন কেন্দ্রে ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক সপ্তাহে। পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। বাঁকুড়াও রয়েছে ওই তালিকায়। পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে আগামী তিন দিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে। হরিয়ানায়ও তাপমাত্রা দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব-উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তরের সূত্রে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশেই। চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসে যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গত এক সপ্তাহে এই অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ করা গেছে। ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে। চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ: রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.৭।

পাকিস্তান

এই বছর পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধু প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লাহোরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। উষ্ণতম শহরের তালিকায় বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অন্যদিকে করাচিতে চলতি মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে করাচির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপ

চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি। মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কা

চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোয় এ সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে, তা হলো ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ত্রিঙ্কোমালি শহরেও সর্বাধিক তাপমাত্রা চ্ছিল ৩৫ ডিগ্রি।

নেপাল

চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অন্যদিকে নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

বিষয়:

ভারতের মণিপুরে দুই সিআরপিএফ সদস্য নিহত

ভারতের মণিপুরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এনডিটিভি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় এক হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়, যেটি জঙ্গিরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবর বলে, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের একটি দল নারানসেইনা গ্রামের পাহাড়ি অংশ থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে সিআরপিএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে সিআরপিএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাহিনীর চার সদস্য।

এ চারজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রাণ হারানো দুই সিআরপিএফ সদস্য ১২৮ ব্যাটালিয়নের হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাদের কর্মস্থল ছিল নারানসেইনা এলাকায়। এ দুজন হলেন উপপরিদর্শক এন সরকার ও প্রধান কনস্টেবল অরূপ সাইনি।

আহত দুজন হলেন পরিদর্শক যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস।

হামলাকারীরা গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে হামলা শুরু করে বলে খবর পাওয়া যায়, যেটি চলে রাত সোয়া দুইটা পর্যন্ত।


গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।

লিঙ্কডইন পোস্টে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। এই সংস্থাটি আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন তিনি।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই ভাবে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ।


দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে কম সহিংসতার খবর মেলেনি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভারতের লোকসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে । দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৯টি আসনে ভোট হয়েছে গতকাল শুক্রবার। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন কেন্দ্রে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ জুন ভোটের গণনা ও ফলঘোষণা হবে। এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভোটারের উপস্থিতি অনেক কম ছিল। এই প্রতিবেদ লেখা পর্যন্ত সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি ।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনসহ (কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার) দেশের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

তবে ভোটের মাঠে প্রতিবন্ধকতা এখন তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশটির প্রায় বেশিরভাগ জায়গাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অত্যাধিক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই গরম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনও। অত্যাধিক গরমের কারণে তিন ভোটার এবং এক জন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে।

ভোটদানে অনীহা গ্রামবাসীর

উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী গ্রামে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হয়েছে। ওই গ্রামে ৭৫ জন ভোটার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষি কাজে ব্যস্ত।

ভোটারের খরা

ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের চেয়েও দ্বিতীয় ধাপে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। একটি পরিসংখ্যান বলছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ভোটারের বিপরীতে কাস্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ছিল কম। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটি অনেক কম।

এ বিষয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১ হাজার ২০০ এরও বেশি প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিকাল ৫টায় ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মণিপুর, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড করা হলেও উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২.৬, ৫৩ এবং ৫৩.৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- শুক্রবার কেরালার ২০টি আসন, কর্ণাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪ টি, রাজস্থানে ১৩ টি, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে ৮ টি, মধ্যপ্রদেশে ৭ টি, আসাম ও বিহারে ৫ টি, ছত্তিশগড় এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩টি এবং মণিপুর, ত্রিপুরা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি করে আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লড়াই করেছেন ভারতের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, বিজেপির তেজস্বী সূর্য, হেমা মালিনী এবং অরুণ গোভিল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও শশী থারুর, কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ এবং কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী অন্যতম।

ত্রিপুরাতে ভোটদানের হার ৫৪.৫ শতাংশ

১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হারে এগিয়ে ত্রিপুরা। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যেই। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ত্রিপুরাতে ভোটদানের হার ৫৪.৫ শতাংশ। সামান্য পিছিয়ে মণিপুর। আউটার মণিপুরের কয়েকটি জায়গায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেখানে ভোট পড়েছে ৫৪.৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রে (৩১.৮ শতাংশ)। সারা দেশে ভোট পড়েছে ৩৯.১ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, সাতটি ধাপের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। শেষ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন। ৪ জুন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে।


এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে ওমরাহ করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারাবিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য ওমরাহ পালনের পথ আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এখন থেকে যেকোনো দেশের যেকোনো ধরনের ভিসাধারী ব্যক্তি সহজে পবিত্র ওমরাহ পালন করার অনুমতি পাবেন। ওমরাহসংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করায় মুসলমানদের ওমরাহ করার সুযোগ আরও বাড়ল বলে মনে করে দেশটি।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ‘যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিরা সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।’

মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিয়ে বলেছে- ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম, ই-ভিসাসহ সব ধরনের ভিসাধারীই ওমরাহ পালনের জন্য নতুন এ সুবিধা পাবেন।

সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক না কেন, আপনি ওমরাহ পালন করতে পারবেন।’

ওমরাহর অনুমতি পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং ইসলামের পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে আচার অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

যেসব মুসলিম ওমরাহ পালন এবং ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মদিনা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থাসহ নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

গত কয়েক মাসে ওমরাহ পালনের জন্য বিদেশি মুসল্লিদের আসতে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সৌদি আরব।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের ওমরাহ পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

সম্প্রতি সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা; স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটি দিয়ে আসা মুসল্লিদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা।

এ ছাড়া গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রবাসীরা এবং শেনজেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভিসাধারীরা এখন সৌদি আরবে যাওয়ার আগেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ পালনের অনুমতি নিতে পারবেন।


banner close