মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
২৮ আশ্বিন ১৪৩২

পশ্চিম তীরে গুলিতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত

সংগৃহীত ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৩ ২০:৫৯

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পশ্চিম তীরের নাবলুসে নিহত ৩ ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে হামাস দাবি করেছে, এই তিন ব্যক্তি তাদের সদস্য ছিলেন।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের সেনাদের ওপর গাড়ি থেকে গুলি ছুড়লে তারা পাল্টা গুলি ছোড়ে। ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এম-১৬ রাইফেল, একটি বন্দুক, কার্তুজ ও অন্যান্য সামরিক উপকরণ উদ্ধার করেছে। সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের সংঘাতের মাত্রা বেড়ে গেছে। গত মাসে চার ইসরায়েলি নিহত হওয়ায় পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা একটি গ্রামে টানা কয়েক দিন তাণ্ডব চালায়। চলতি বছর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে অন্তত ২০১ ফিলিস্তিনি ও ২৭ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

বিষয়:

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ জন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি ২০২৫ সালের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন অর্থনীতিবিদ—জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। উদ্ভাবন নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন।
এই তিন অর্থনীতিবিদের মধ্যে অর্ধেক পুরস্কার পেয়েছেন জোয়েল মোকির। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো শনাক্ত করার জন্য তিনি পুরস্কার পেয়েছেন। ‘সৃজনশীল বিনাশ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব দেওয়ার জন্য বাকি অর্ধেক পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। রয়টার্সের তথ্যানুসারে, এই পুরস্কারের মূল্যমান ১২ লাখ ডলার।
বিবৃতিতে নোবেল কমিটি বলেছে, নোবেলজয়ীরা আমাদের শিখিয়েছেন—সব সময় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা কখনোই নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায় না। মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি নয়, বরং স্থবিরতাই ছিল স্বাভাবিক অবস্থা। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সম্ভাব্য হুমকিগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করতে হবে।
ঐতিহাসিক উপাত্ত ও দলিল ব্যবহার করে মোকির দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবন একসময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নিয়মিত বিষয়ে পরিণত করেছে। অন্যদিকে আগিয়োঁ ও হাউইট সেই প্রবৃদ্ধির অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। ১৯৯২ সালের এক প্রবন্ধে তারা গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন, যখন নতুন ও উন্নত কোনো পণ্য বাজারে আসে, তখন পুরোনো পণ্য বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে টিকে থাকতে পারে না। এই প্রক্রিয়াই অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল বিনাশ’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ পুরোনো ব্যবস্থার ভেতর থেকেই নতুন উদ্ভাবন হয়।
পুরস্কারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে, গত দুই শতকের ইতিহাসে তা প্রথম দেখা গেছে। এর ধারাবাহিকতায় কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে। সেই মানুষেরাই আজকের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তুলেছে।
চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট দেখিয়েছেন, উদ্ভাবনই ভবিষ্যৎ অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের গবেষণা মনে করিয়ে দেয়—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বয়ংক্রিয় বা নিশ্চিত প্রক্রিয়া নয়।
অর্থনীতির এই পুরস্কার মূল নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১৯৬৯ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কার চালু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্থনীতিতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরস্কার—এটাই এই পুরস্কারের কেতাবি নাম।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছেন লিওনিড হারউইচ। ২০০৭ সালে এই পুরস্কার পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯০ বছর। তিনি আরও দুজনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে (৪৬) এই পুরস্কার পেয়েছেন এস্থার দুফলো। ২০১৯ সালে স্বামী অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।

এবারের বিজয়ীদের পরিচয়
জোয়েল মকিয়র যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তিনি পুরস্কারের অর্ধেক ভাগ পেয়েছেন। অন্য অর্ধেক ভাগ ভাগাভাগি করেছেন ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট।
আজিওন বর্তমানে প্যারিসের কোলেজ দ্য ফ্রঁস ও ইনসিয়াড এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্সে অধ্যাপনা করছেন। হাওয়িট যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক।
নোবেল কমিটির সদস্য জন হ্যাসলার বলেন, ‘জোয়েল মকিয়র ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর নির্ভরশীল টেকসই প্রবৃদ্ধির উপাদানগুলো চিহ্নিত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট ‘ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন’-এর একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন — এটি এমন এক অন্তহীন প্রক্রিয়া যেখানে নতুন ও উন্নত পণ্য পুরনোকে প্রতিস্থাপন করে।’


ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

* ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের দিকে চিৎকার করে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান দেন। শুধু তাই নয়, তিনি ট্রাম্পকে ‘সন্ত্রাসী’ বলেও বর্ণনা করেন।
গতকাল সোমবার বিরল এই ঘটনার পর দুই এমপিকে পার্লামেন্ট থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়।
জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প তার ভাষণের সময় যখন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের প্রশংসা করছিলেন, তখন হাদাশ পার্টির প্রধান আয়মান ওদেহ এবং দলের একজন সদস্য ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখেন।
পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়ার জবাবে ওদেহ বলেছেন, তিনি সবচেয়ে মৌলিক দাবি উত্থাপন করেছেন। এটি এমন একটি দাবি, যার সঙ্গে সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একমত: একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া।
নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা এই হট্টগোলের জন্য ট্রাম্পের কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চেয়েছেন। ওহানা বলেন, ‘এর জন্য দুঃখিত, মি. প্রেসিডেন্ট।’
ইসরায়েলি এমপি এবং আরেক সদস্যকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যখন বের করে দিচ্ছিলেন, তখন ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, কর্মকর্তারা ‘খুবই দক্ষ’। এটি শুনে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হেসে ওঠেন।
এদিকে, পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া আগে নিজের বক্তৃতায় ওদেহ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, ‘নেসেটে ভণ্ডামির মাত্রা অসহনীয়।’
তিনি বলেন, নজিরবিহীন তোষামোদের মাধ্যমে নেতানিয়াহুকে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করলেই তাকে বা তার সরকারকে গাজায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। এমনকি লাখ লাখ ফিলিস্তিনি এবং হাজার হাজার ইসরায়েলি নিহতদের রক্তপাতের দায় থেকেও মুক্তি দেওয়া যাবে না।


জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জেন-জি নেতৃত্বাধীন রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। গতকাল সোমবার বিভিন্ন সূত্রের বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি র‍্যান্ড্রিয়ানাসোলোনিয়িকো রয়টার্সকে জানান, সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রোববার রাজোয়েলিনা মাদাগাস্কার ত্যাগ করেন।
সিতেনি বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্সির কর্মীদের ফোন করেছিলাম। তারা নিশ্চিত করেছে, তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন।’
এর আগে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছিল, রাজোয়েলিনা গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তবে তার বর্তমান অবস্থান অজানা।
একটি সামরিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা রোববার একটি ফরাসি সামরিক বিমানে দেশত্যাগ করেছেন।

ফরাসি রেডিও আরএফআই জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, মাদাগাস্কারের সেন্ট মেরি বিমানবন্দরে একটি ফরাসি সেনাবাহিনীর বিমান অবতরণ করেছিল। এর পাঁচ মিনিট পরে একটি হেলিকপ্টার এসে রাজোয়েলিনাকে সেটিতে স্থানান্তর করে।

সাবেক ফরাসি উপনিবেশ দেশটিতে ২৫ সেপ্টেম্বর পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু দ্রুতই তা দুর্নীতি, খারাপ শাসন এবং মৌলিক পরিষেবার অভাবসহ বিস্তৃত অভিযোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পরিণত হয়।


নেপালে জেল ভেঙে পালানো ৫৫০০ জনেরও বেশি বন্দী ‘নিখোঁজ’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপালে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি বন্দীকে এখনো খুঁজছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম খবরহাব এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫ হাজার ৫৪৭ জন পলাতক এখনো পলাতক। পুলিশ ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯ হাজার ৮ জন বন্দীকে আটক করেছে।
মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, বাকি পলাতকদের সন্ধান তীব্র গতিতে চলছে। মন্ত্রণালয় পলাতকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে।
এর আগে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, অস্থিরতার সময় প্রায় ১ হাজার নাবালকসহ ১৪ হাজারেরও বেশি বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।
কাঠমান্ডু পোস্ট উল্লেখ করেছে, পলাতকদের মধ্যে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ এবং মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করে আটক করার জন্য সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছিলেন, পলাতকরা জননিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি। তারা অপরাধমূলক গ্রুপ গঠন করতে পারে। বিশৃঙ্খলার সময় অফিস এবং ব্যারাক থেকে ১২০০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ১ লাখ রাউন্ড গুলি চুরি করা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে কাঠমান্ডু এবং নেপালের অন্যান্য শহরে দুর্নীতি ও সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর নেতৃত্বে মূলত জেনারেশন-জেড ছাত্র এবং কর্মীরা ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রসিকিউটরের অফিসসহ সরকারি ভবনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের বাড়িতে হামলা করে। দেশজুড়ে সহিংসতায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়।
১২ সেপ্টেম্বর নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। তিনি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে শীর্ষ এই পদে অধিষ্ঠিত হন।
কার্কি বলেছেন, বর্তমান সরকার ছয় মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকবে না। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিল হামাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বন্দি থাকা জীবিত বাকি ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার সকাল আটটার পর বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই রেডক্রসের গাড়িগুলো তাদের সংগ্রহ করে গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এদিন মুক্তি পাওয়া বন্দিদের দ্বিতীয় দল তারা।
বন্দিদের দ্বিতীয় এই দলটিকে হামাস রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, এদিন সকালে প্রথম ৭ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। মুক্তি পাওয়া ওই ইসরায়েলিদের গাজার সীমান্ত পার করে নিজ দেশে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলের এক সামরিক ঘাঁটিতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার করা হয়।
এরপর গাজায় হামাসের বন্দিশালায় ৭৩৮ দিন কাটানোর পর ইসরায়েলে ফেরা এসব বন্দিরা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। নতুন মুক্তি পাওয়া ১৩ বন্দিকেও একই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আরও ৪৮ বন্দির মৃতদেহ আছে হামাসের কাছে। সেগুলোও আজকের মধ্যেই রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

জিম্মি মুক্তির খবরে তেলআবিবে উচ্ছ্বাস-অশ্রু
এদিকে জিম্মি মুক্তির খবরে তেলআবিবে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যে অশ্রুসজল উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আনন্দের পাশাপাশি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সাত জিম্মি কিছুক্ষণ আগে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। তারা এখন প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ওই কেন্দ্রেই তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হবেন। ওদিকে ‘দ্য হোস্টেজ ও মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ওয়েলকাম হোম’ পোস্ট করে মুক্তি পাওয়াদের স্বাগত জানিয়েছে। এ সংগঠনটি জিম্মি মুক্তির দাবিতে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে আসছিল।
আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। শেষ জিম্মির অবস্থান শনাক্ত ও যথাযথ দাফনের জন্য ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম শেষ হবে না। এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, বলেছে সংগঠনটি।


জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরাঘচি বলেন, ‘আমরা আইএইএ-এর সঙ্গে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছি। জাতিসংঘ যদি এমন কোনো প্রস্তাব দেয়, যা ইরানের অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হয়— আমরা আবার চুক্তিতে ফিরে যাব।’
ইরান ১৯৬৮ সালে আইএইএ’র সঙ্গে নন-প্রোলিফারেশন অ্যাক্ট (এনপিটি) চুক্তি করে। তখন ইরানের রাজা রেজা পাহলভী দেশটির রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরান প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না এবং আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের পর আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। ৬ জুন আইএইএ এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের কাছে বর্তমানে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত আছে, যার বিশুদ্ধতা ৬০ শতাংশ। বিশুদ্ধতার মান ৯০ শতাংশে উন্নীত করা গেলে তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি সম্ভব।
আইএইএ’র ওই বিবৃতির এক সপ্তাহ পর ১২ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানে বিমান অভিযান ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ শুরু করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে।

১২ দিনব্যাপী সংঘাতে ইরানের সেনাপ্রধান, সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্তত ১২ জন জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোরও। তবে এখনো সেই ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের কোনো হদিস মেলেনি বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

সংঘাত শেষে আইএইএ তেহরান সফরের আগ্রহ জানালেও ইরান জানায়, সংলাপের জন্য তারা প্রস্তুত, তবে পরমাণু স্থাপনা দেখানোর বাধ্যবাধকতা তাদের নেই।

এরপর সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আব্বাস আরাঘচি। কিন্তু জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। পরে জাতিসংঘ ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

রোববারের সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে কি না— জানতে চাইলে আরাঘচি বলেন, ‘আমরা তার প্রয়োজন দেখছি না। ইউরোপের সঙ্গে বৈঠকের আর কোনো ভিত্তি নেই।’


নোবেলের জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ থামাচ্ছি: ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি যুদ্ধ থামিয়ে ‘লাখ লাখ জীবন’ বাঁচিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি ‘নোবেলের জন্য নয়’ বরং ‘জীবন বাঁচানোর জন্য’ করেছেন।
রোববার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের এক ফুটেজে প্রেসিডেন্টকে এ কথা বলতে শোনা যায়।
ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাতের সমাধান করতে পারবেন বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি শুনেছি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে এখন একটি যুদ্ধ চলছে। আপনি জানেন, আমি আরেকটি যুদ্ধ বন্ধ করছি... কারণ আমি যুদ্ধ সমাধানে পারদর্শী।’
এর আগে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সেনারা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে জড়ায়। আফগানিস্তানের টোলো নিউজ জানিয়েছে, লড়াইয়ে কমপক্ষে ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, সংঘর্ষে কয়েক ডজন আফগান সেনা প্রাণ হারিয়েছে।


দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ড. অ্যালি

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ড. অ্যান অ্যালি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ড. অ্যান অ্যালি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর করার এবং বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে এই সপ্তাহে সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসছেন।

আজ অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ড. অ্যালি অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্ব পরিকল্পনা ২০২৫-২০৩০ চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নকে সমর্থন করার জন্য ক্যানবেরার দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।

নতুন অংশীদারিত্ব কাঠামো টেকসই প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন এবং জলবায়ু সহনশীলতার মতো ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, "অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে উত্তরণকে স্বাগত জানায় এবং এই প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

ড. অ্যালি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন, যেখানে বাংলাদেশ ১.১ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।

পরিস্থিতিকে "এই অঞ্চলের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জটিল মানবিক সংকট" হিসাবে বর্ণনা করে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত মানবিক সহায়তার উপর জোর দেন।

অস্ট্রেলিয়া আগামী তিন বছরে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক সহায়তায় অতিরিক্ত ৩৭০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ২৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তাদের মোট প্রতিশ্রুতি ১.২৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ছাড়িয়েছে।

এই সফর অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি উন্নীত করার জন্য ভারত মহাসাগরের অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

ড. অ্যালির ঢাকা সফর বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মানবিক সহযোগিতা এবং জনগণের সাথে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির উপর জোর দেয়। কারণ বাংলাদেশ টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে। সূত্র: বাসস


গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবে না ইরান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি কেউই মিশরে গাজা সম্মেলনে যোগ দেবেন না। মিশর এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ইরানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে সোমবার ভোরে আরাগচি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছে, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বা আমি কেউই ইরানি জনগণের ওপর আক্রমণকারী এবং আমাদের হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা প্রতিপক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারি না।

সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, মিশর রোববার সন্ধ্যায় ইরানকে লোহিত সাগরের অবকাশস্থল শারম আল-শেখে সোমবারের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

জুনে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে করা হামলায় ওয়াশিংটন ইসরায়েলের সঙ্গে সংক্ষেপে যোগ দেয়।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, তেহরান ‘গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করার’ এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রক্ষার যে কোনও উদ্যোগকে সমর্থন করে।

ইরান ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকে তাদের পররাষ্ট্র নীতির একটি অংশ করে তুলেছে।

বিপ্লবটি মার্কিন-সমর্থিত ইরানের শাহকে উৎখাত করেছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি সুসংহত করা এবং যুদ্ধোত্তর রাজনৈতিক কাঠামোর রূপরেখা তৈরি করা।

২০টিরও বেশি দেশের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও ইসরায়েল বা হামাস কেউই এতে অংশ নেবে না। সূত্র: বাসস


গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া ৭ জিম্মির পরিচয় জানা গেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা থেকে প্রথম পর্যায়ে সাতজন ইসরাইলি জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে সাতজন জিম্মিকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো মুক্তি পাওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন— যমজ সন্তান গালি এবং জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাংরেস্ট, অ্যালোন ওহেল, ওমরি মিরান, এইতান মোর ও গাই গিলবোয়া-দালাল।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, হামাসের মুক্তি দেওয়া সাতজন বন্দি এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে এবং তারা ‘ইসরাইলি ভূখণ্ডের পথে’ রয়েছে।

জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নূর ওদেহ জানিয়েছেন, বন্দিদের ‘অবস্থা মোটামুটি ভালো’ এবং তারা ‘কোনো চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই হেঁটে চলাফেরা করতে পারছেন’।

এর আগে বন্দি বিনিময়ের জন্য মোট ২০ জন ইসরাইলি জিম্মির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। বর্তমানে হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে এখনো এই ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।


মিসরে ট্রাম্পের ‘শান্তি সম্মেলনে’ থাকছেন যারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনায় বসছেন বিশ্বনেতারা। স্থানীয় সময় আজ সোমবার মিসরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলন। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি ইতিমধ্যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

ট্রাম্পসহ ২০টির বেশি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনে যোগ দিতে ইতিমধ্যে মিসরে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের।

তবে ইসরায়েল সরকারের কেউ থাকছেন না সম্মেলনে। গতকাল রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান।

এদিকে ফিলিস্তিনি একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত নিয়ে আলোচনা হলেও হামাসের কোনো নেতা সম্মেলনে থাকবেন না। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেওয়া হামাসের প্রতিনিধিদলের প্রধান খলিল আল-হায়াসহ বেশির ভাগ সদস্য গত শনিবার শারম আল শেখ ছেড়েছেন।


মাদাগাস্কারে ‘জেন–জি’দের বিক্ষোভে যোগ দিল সেনাদের একাংশ

মাদাগাস্কারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মাদাগাস্কারের সেনাবাহিনীর একটি অংশ কর্তৃপক্ষের আদেশ উপেক্ষা করে রাজধানী আন্তানানারিভোতে জমায়েত হওয়া হাজার হাজার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে। মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনার শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমাগত জোরাল হয়ে ওঠার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল।

বিদ্যুৎ ও পানির সংকটকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাদাগাস্কারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত শনিবার তরুণদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা প্রথমবারের মতো মাদাগাস্কারের রাজধানী শহরের মে থার্টিন চত্বরে প্রবেশ করেন। চলমান এ বিক্ষোভে এ পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় জমায়েতগুলোর একটি এটি। সম্প্রতি কেনিয়া ও নেপালে হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভের অনুপ্রেরণায় ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এমন বিক্ষোভ হচ্ছে। কেনিয়া ও নেপালের ওই বিক্ষোভ জেন–জি বিক্ষোভ হিসেবে পরিচিত।

মাদাগাস্কারের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর কিছুসংখ্যক সেনাসদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিক্ষোভকারীরা তখন সেনাসদস্যদের স্বাগত জানান এবং উল্লাস প্রকাশ করেন।

এর আগে আন্তানানারিভো শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি সেনা ব্যারাকে সেনাসদস্যদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ওই সময় মাদাগাস্কারের সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট সিএপিএসএটির সেনাসদস্যরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভকারীদের করা দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশের আবেদন জানান, যা বিরল ঘটনা। কারণ, ২০০৯ সালে রাজোয়েলিনার উত্থানের ক্ষেত্রে এই সিএপিএসএটি ইউনিটের মুখ্য ভূমিকা ছিল।

সোয়ানিয়েরানা অঞ্চলের একটি ঘাঁটির সেনাসদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। সেখানে তারা বলেন, ‘সেনা, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ—চলুন, এক হয়ে কাজ করি। বেতনের বিনিময়ে আমাদের বন্ধু, ভাইবোনদের গুলি করার আদেশ আমরা মেনে নেব না।’

বিমানবন্দরে নিযুক্ত সেনাদের উদ্দেশে তারা বলেছেন, কোনো উড়োজাহাজকে উড়তে না দিতে। অন্য সেনাঘাঁটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছেন, ‘আপনাদের বন্ধুদের ওপর গুলি করার আদেশ মানবেন না।’

ভিডিওতে আরও বলা হয়, ‘ফটকগুলো বন্ধ করে দিন এবং আমাদের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করুন। আপনাদের ঊর্ধ্বতনদের আদেশ মানবেন না। যারা আপনাদের সহযোদ্ধাদের ওপর গুলি করার আদেশ দিচ্ছে তাদের দিকে আপনারা অস্ত্র তাক করুন। কারণ, যদি আমরা মারা যাই, তারা আমাদের পরিবারের দেখভাল করবে না।’

ঠিক কতজন সেনাসদস্য বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নতুন নিয়োগ পাওয়া সশস্ত্র বাহিনীবিষয়ক মন্ত্রী দেরামাসিনজাকা মানানৎসোয়া রাকোতোআরিভেলো সেনাসদস্যদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে রাকোতোআরিভেলো বলেন, ‘যেসব ভাই আমাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন, আমরা তাদের আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

রাকোতোআরিভেলো আরও বলেন, মালাগাসির সেনাবাহিনী মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা বজায় রেখেছে এবং জাতির শেষ প্রতিরক্ষা রেখা হিসেবে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাঁজোয়া যান ব্যবহার করলে কয়েকজন আহত হন।


গণহত্যার পরও ইসরায়েলকে সমর্থন জানালেন মাচাদো

মারিয়া কোরিনা মাচাদো
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দুই বছর ধরে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালানোর পরেও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সদ্য ঘোষিত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী এ সমর্থন জানান।

ওই সাক্ষাৎকারে মাচাদো বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, একদিন ভেনিজুয়েলা ও ইসরায়েলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এটি হবে আমাদের পক্ষ থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থনের অংশ। আমি বিশ্বাস করি এবং ঘোষণা করতে পারি যে আমাদের সরকার ইসরায়েলে ভেনিজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে।

দেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে জানায়, যখন স্বৈরশাসকরা ক্ষমতা দখল করে, তখন স্বাধীনতার সাহসী রক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে তৎকালীন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের আমলে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ভেনিজুয়েলা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দেশ থেকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাচাদো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে আলোচনায় আসেন। ৫৮ বছর বয়সি এই শিল্পপ্রকৌশলী বর্তমানে গোপনে বসবাস করছেন। ২০২৪ সালে আদালতের রায়ে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।


banner close