শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ব্রাজিলে চার্টার্ড প্লেন বিধ্বস্ত, নিহত ১৪

স্থানীয় সময় শনিবার অ্যামাজোনাসের রাজধানী মানাউস থেকে প্রত্যন্ত বনাঞ্চলীয় শহর বার্সেলোসে যাওয়ার প্লেন দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:২৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:২৫

ব্রাজিলের অ্যামাজোনাস রাজ্যে একটি চার্টার্ড প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাজ্যটির রাজধানী মানাউস থেকে প্রত্যন্ত বনাঞ্চলীয় শহর বার্সেলোসে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় প্লেনটিতে থাকা ১২ জন যাত্রী এবং দুজন ক্রু নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অ্যামাজনাস রাজ্যের নিরাপত্তা সচিব ভিনিসিয়াস আলমেদা জানান, প্লেনটি বার্সেলোসে অবতরণ করার সময় এ ‍দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রবল বৃষ্টি থাকায় সামনের অংশ ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছিল না।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টি ও কম দৃশ্যমানতার কারণে প্লেনটি বার্সেলোসে নামার সময় রানওয়ে থেকে বাইরে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়।’

বার্সেলোসের মেয়র এডসন ডি পাওলা রদ্রিগেস মেন্ডেস সিএনএনকে বলেন, ‘এটি স্থানীয় এক ব্যাবসায়ীর চার্টার্ড প্লেন ছিল। বিধ্বস্তের সময় এতে থাকা যাত্রীরা ওই ব্যবসায়ীর বন্ধু হন।’

বেশ কয়েকটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় বার্সেলোস একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। সেপ্টেম্বর মাসকে আমাজনে মাছ ধরার শীর্ষ মৌসুমের শুরু বলে ধরে নেয়া হয়। প্লেনটিতে থাকা যাত্রীরা গেম ফিশিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।


অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকা: জরুরি অবস্থা জারি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শক্তিশালী ঝড়ের প্রভাবে অতিবৃষ্টি এবং পরে আকস্মিক বন্যার কারণে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শহরের কয়েকটি সাবওয়ে সিস্টেম, রাস্তা ও হাইওয়েতে পানি উঠে গেছে। অতিরিক্ত পানির কারণে শুক্রবার লা গার্ডিয়ান বিমানবন্দরের অন্তত একটি টার্মিনাল বন্ধ করে দেয়া হয়। খবর বিবিসির।

দেশটির আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার শহরের কিছু কিছু অংশে ৮ ইঞ্চি/২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরসহ কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-িএ (টুইটার) নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেছেন, ‘এই ঝড় ভয়াবহ, জীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় নিউইয়র্ক, লং আইল্যান্ড ও হাডসন ভ্যালিতে জরুরি অবস্থা জারি করছি।’

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মৃত্যু অথবা বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। হাডসন নদীর তীরে অবস্থিত নিউ জার্সির হোবোকেন শহরেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

জরুরি অবস্থা জারি করার নিউইয়র্ক শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস শহরের মানুষকে সতর্ক থাকারা পরামর্শ দিয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের কিছু সাবওয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের ভেতর যাতায়াত করা হঠাৎ করে খুবই কঠিন হয়ে গেছে।’

নাগরিকরা যেন ‘অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন’ করে চলে সেদিকে জোর দিয়েছেন তিনি।

নিউইয়র্ক শহররে যাতায়াত সেবা প্রদানকারী সংস্থা মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন এজেন্সি জানিয়েছে পানি উঠে যাওয়ায় কয়েকটি সাবওয়ে লাইনে চলাচল পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া হয়। অনেক স্টেশনও বন্ধ করে দেয়া হয়।

শহরের উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঐ অঞ্চলে উদ্ধার কর্মীরা বাতাস দিয়ে ফোলানো নৌকা ব্যবহার করে অনেক মানুষকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ঘটনাস্থলের ছবি আর ভিডিওতে দেখা যায়, তুমুল বর্ষণের মধ্যে হাঁটু পানিতে হাঁটছে মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা অনেক ভিডিওতে দেখা যায় যে সাবওয়ে স্টেশনের দেয়াল ও ছাদ থেকে পানি চুঁয়ে পড়ছে।

এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্কের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা রোহিত আগারওয়াল জানান, শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঘণ্টায় ১ দশমিক ৭৫ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টি সামাল দিতে পারে না।

ব্রুকলিন নেভি ইয়ার্ড থেকে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার এক ঘণ্টায়ই ২ দশমিক ৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছিল।

তিনি মন্তব্য করেন, ‘ব্রুকলিনের কিছু অংশ যে এই বৃষ্টিতে ভুগবে, তা স্বাভাবিক।’

ব্রুকলিনের সাউথ উইলিয়ামসবার্গ অঞ্চলেও হাঁটু পানিতে ড্রেন পরিষ্কার করার ভিডিও দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

১৮৮২ সালের পর থেকে এই প্রথমবার সেপ্টেম্বর মাসে এত বেশি বৃষ্টি হলো বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অধিদপ্তর— ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস।


মালদ্বীপের ব্যালটে ভারত চীনের আধিপত্যের লড়াই

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রান-অফ লড়াই হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ্ আর বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জুর মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন ভোটাররা। তবে মালদ্বীপের ভোটের ব্যালটের লড়াই কেবল দুই প্রার্থীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। পক্ষান্তরে, মালদ্বীপের এই নির্বাচনে এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশ ভারত ও চীনের ভূরাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের লড়াই হবে।

বিবিসি জানায়, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্য দিয়ে যে জাহাজ চলাচলের রুট বা শিপিং লাইনগুলো আছে, তার মাঝামাঝি খুব স্ট্র্যাটেজিক অবস্থানে থাকা মালদ্বীপে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ভারত ও চীন প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে। এবারের মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর একজন চীনের, অন্যজন ভারতের শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর মালডিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা সোলিহ্ ভারতের সঙ্গে সদ্ভাব গড়ে তোলেন। ভারতের সঙ্গে তার দেশের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কও খুব শক্তিশালী। অন্যদিকে প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স কোয়ালিশনের নেতা মুইজ্জু চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার পক্ষপাতী। মালদ্বীপ আসলে দীর্ঘকাল ধরেই ভারতের প্রভাববলয়ে ছিল। মালদ্বীপে আধিপত্য থাকায় দিল্লি ভারত মহাসাগরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশে তাদের নজরদারি বা মনিটরিং জারি রাখতে পেরেছে।

চলতি মাসের শুরুতে যে প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে সোলিহ মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোট পান। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একটা বড় সমালোচনা হলো, চীনকে উপেক্ষা করে ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ পলিসি নিয়েছে সোলিহ। তার প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার দিকেই ঝুঁকেছে। এমন সমালোচনায় সোলিহর পারফরম্যান্সেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও তিনি এমন যুক্তি মানতে রাজি নন । বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘একটা দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়লেই অন্য একটা দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে– আমরা বিষয়টা এরকম ‘জিরো-সাম গেইম’ বলে মনে করি না।’

সোলিহর ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ পলিসি নিয়ে মালদ্বীপে অনেকেই ক্ষুব্ধ। এর একটা বড় কারণ হল, দিল্লির দেয়া কিছু ‘উপহার’ ঘিরে মালদ্বীপে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০১০ ও ২০১৩ সালে ভারত মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার উপহার দেয়। এরপর ২০২০ সালে তাদের একটি ছোট এয়ারক্র্যাফটও দেয়া হয়। বলা হয়েছিল, মালদ্বীপে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযান চালাতে এবং আপৎকালীন মেডিকেল ইভ্যাকুয়েশনে এগুলো ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ২০২১ সালে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায় যে, ভারতের দেয়া বিমান চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ৭৫ ভারতীয় সেনাসদস্য সে দেশে অবস্থান করছেন। ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি মালদ্বীপে এবার বড় নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। যদিও সোলিহর দাবি, এটি নিয়ে আশঙ্কা একেবারেই অমূলক। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘সামরিকভাবে সক্রিয় কোনো বিদেশি সেনাসদস্য মালদ্বীপে মোতায়েন নেই। ভারতের যে সেনাসদস্যরা এ মুহূর্তে মালদ্বীপে রয়েছেন, তারা মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের অপারেশনাল কমান্ডের অধীন।’

অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু চীনের প্রতি আনুগত্যশীল বলে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। মুইজ্জুর প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স কোয়ালিশন ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের নেতৃত্বে ক্ষমতায় ছিল। ইয়ামিনের আমলে মালদ্বীপ ক্রমশ চীনের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সে সময় মালদ্বীপ চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং-এর ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’ যোগ দেয়, যে পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল চীনের সঙ্গে সারাবিশ্বের রেল, সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ গড়ে তোলা। ইয়ামিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় ভারত ও পশ্চিমা দেশগুলো তখন মালদ্বীপকে ঋণ সহায়তা দিতে অস্বীকার করেছিল। তিনি তখন চীনের শরণাপন্ন হন এবং বেইজিং কোনো শর্ত ছাড়াই মালদ্বীপে অর্থ ঢালতে থাকে। একপর্যায়ে ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে দেশকে চীনা ‍ ঋণের ফাঁদে ফেলার অভিযোগ ওঠে। এর পরিণামে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বড় ধরনের পরাজয়ের মুখে পড়েন।


ভূমধ্যসাগরে ২,৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ : জাতিসংঘ

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি বছরে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে ২,৫০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এ কথা বলেছেন।

নিরাপত্তা পরিষদকে ইউএনএইচসিআর নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা বলেছেন, ‘২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২,৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত বা নিখোঁজ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।’

এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের একই সময়ের মধ্যে ১,৬৮০ মৃত বা নিখোঁজ অভিবাসীর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘জনগণের মনোযোগ থেকে দূরে, স্থলেও অনেকে প্রাণ হারিয়েছে।’

মেনিকদিওয়েলা বলেন, ‘সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে স্থলপথে যাত্রার পর অভিবাসীরা তিউনিসিয়া এবং লিবিয়ান উপকূল থেকে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার এই রুট ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।’ তিনি বলেন, অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুরা ‘প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ ইউরোপে সমুদ্রপথে মোট প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি, গ্রিস, স্পেন, সাইপ্রাস এবং মাল্টায় গেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ইতালিতে গেছেন। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে অনুমান করা হয়, ১০২,০০০-এরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে এবং ৪৫,০০০ লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছিল।

মেনিকদিওয়েলা বলেন, তিউনিসিয়ায় আনুমানিক ৩১,০০০ জনকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বা আটকানো বা নামানো হয়েছে এবং লিবিয়ায় ১০,৬০০ জনকে আটকানো বা নামানো হয়েছে।

বিষয়:

নাগোরনো-কারাবাখে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে জ্বালানি ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখের প্রধান শহর স্টেপানাকার্টের একটি জ্বালানি ডিপোয় গত সোমবার বিস্ফোরণটি হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৩০০ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বিবিসি জানায়, বিস্ফোরণ স্থলে পোড়া দেহাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএন বিশ্লেষণ করে পরিচয় শনাক্তে আর্মেনিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে এ সব দেহাবশেষ পাঠানো হবে।

দক্ষিণ ককেসাসের পাহাড়ি এলাকা নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। গত তিন দশক ধরে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা ছিটমহলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। সম্প্রতি আজারবাইজান এলাকাটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আজারবাইজানের সরকারের অধীনে থাকতে রাজি না হওয়ায় ছিটমহলটি ছাড়তে শুরু করেছে জাতিগত আর্মেনীয়রা। তারা আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডে আশ্রয় নিচ্ছে। আর্মেনিয়ায় যাওয়ার জন্য নাগোরনো-কারাবাখের জ্বালানি ডিপোগুলোয় গাড়ি নিয়ে ভিড় করছেন তারা।


রাশিয়ার পাওয়ার সাবস্টেশনে ড্রোন হামলা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার গ্রামে একটি পাওয়ার সাবস্টেশনে গতকাল শুক্রবার ড্রোন হামলা হয়েছে। এতে একটি হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যয়। আঞ্চলিক গভর্নর এ কথা বলেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সীমান্ত থেকে ২৫ কিলোমিটার কম দূরে বেলায়াতে ইউক্রেনীয় ড্রোন একটি সাবস্টেশনে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস ফেলেছে। কুরস্কের আঞ্চলিক গভর্নর রোমান স্টারোভয়েট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লেগেছে। পাঁচটি বসতি এবং একটি হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে।’ রাশিয়া এর আগে বলেছিল, তারা বেলগোরোড অঞ্চলে দুটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রথম ড্রোনটি বৃহস্পতিবার ভূপাতিত করা হয়। প্রায় চার ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ড্রোন নামানো হয়। মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে বলেছে, ‘ডিউটিতে থাকা বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বেলগোরোড অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।’ বেলগোরোড এবং কুরস্ক পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তের কাছে অবস্থিত।


ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর বৈঠকে শিখ নেতা হত্যা প্রসঙ্গ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের সঙ্গে এক বৈঠকে কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গ তুলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই বৈঠকে ব্লিঙ্কেন শিখ নেতা নিজ্জর হত্যার তদন্তে কানাডাকে সহযোগিতা করতে ভারতকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এক মার্কিন কর্মকর্তা এ কথা জানান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শঙ্কর। গত জুন মাসে কানাডায় খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারী সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্সের (কেটিএফ) প্রধান নিজ্জর খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার তদন্তকারী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও বিশদ তদন্ত করছে বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি ট্রুডো দাবি করেন, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এ প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। এদিকে ট্রুডোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন জানান, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ’

এদিকে ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর বৈঠকের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘একটি বিষয় ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছি, নিজ্জরের হত্যায় কানাডার তদন্তে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে উৎসাহিত করেছে।’ এর আগে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে গত মঙ্গলবার জয়শঙ্কর বলেন, ‘কেউ যদি কোনো প্রাসঙ্গিক নথি বা তথ্য দেয়, তা হলে তারা সেটি বিবেচনায় নেবেন।’ সেই সঙ্গে তিনি নিজ্জর হত্যা নিয়ে ট্রুডোর অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’ বলেন।


পাকিস্তানে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসে বিস্ফোরণ, নিহত ৫২

বেলুচিস্তান প্রদেশের মদিনা মসজিদের কাছে আল ফালাহ সড়কে বিস্ফোরণ ঘটে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুসের সমাগমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।

শুক্রবার প্রদেশটির মাস্তুং জেলার মদিনা মসজিদের কাছে আল ফালাহ সড়কে এ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর ডন অনলাইনের।

মাস্তুং জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল রাজ্জাক শাহি অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।জেলা শহরের স্টেশন হাউস অফিসার জাভেদ লেহরি জানান, প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

মাস্তুং পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আতা-উল-মুনিম জানান, মদিনা মসজিদের কাছে আল ফালাহ রোডে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনে লোকজন যখন জড়ো হচ্ছিল, তখনই আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটে।

পাকিস্তানে অতীতে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পেছনে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানসহ বিভিন্ন সংগঠন জড়িত ছিল। তবে শুক্রবারের এই হামলায় তারা জড়িত নয় বলে দাবি করেছে তালেবান।


মহাকাশে তৃতীয় স্যাটেলাইট পাঠাল ইরান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মহাকাশে তৃতীয় স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) পাঠিয়েছে ইরান। বুধবার দেশটির কর্মকর্তারা জানান, পৃথিবীর কক্ষপথে সফলভাবে নূর-৩ ইমেজিং স্যাটেলাইট স্থাপন করেছেন তারা।

আল-জাজিরা জানায়, ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ডিভিশন গতকাল বুধবার কাসেদ রকেটের সাহায্যে এই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ এ ইরানের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী ঈসা জারেপুর বলেছেন, ‘আইআরজিস’র অ্যারেস্পেসের বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় নূর-৩ স্যাটেলাইট সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। আমি ইরানের জনগণকে বিশেষ করে দেশের মহাকাশ গবেষণা শিল্পে জড়িত সবাইকে এবং আইআরজিসির বিশেষজ্ঞদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ এদিকে ইরানের এমন সাফল্য নিয়ে পশ্চিমা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।


আবার কামড়েছে বাইডেনের কুকুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কুকুর আবারও কামড়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। এবার যে কুকুরটি এক কর্মীকে কামড়েছে, সেই কুকুরটি এ নিয়ে ১১তম বার এমন ঘটনা ঘটাল।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টের কর্মীকে বাইডেনের দুই বছর বয়সী জার্মান শেফার্ড কমান্ডার কামড়ে দিয়েছে। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সির প্রধান অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি গত মঙ্গলবার বলেছেন, একজন সিক্রেট সার্ভিস ইউনিফর্মড ডিভিশনের পুলিশ অফিসারকে কামড় দিয়েছে কমান্ডার। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তা জানান, আহত ওই কর্মীর অবস্থা এখন ভালো।

বাইডেনের কুকুর কমান্ডার হোয়াইট হাউসে এবং ডেলাওয়্যারে কমপক্ষে ১১টি কামড়ের ঘটনায় জড়িত। ২০২২ সালের নভেম্বরের এক ঘটনায় এই কুকুরের কামড়ে আহত একজন কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

গত জুলাইয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বাইডেন পরিবারের পোষা প্রাণীদের জন্য নতুন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে বাইডেন পরিবারের আরেক জার্মান শেফার্ড মেজরও হোয়াইট হাউসে বেশ কয়েকজনকে কামড়ে দিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ডেলাওয়্যারে তার পৈতৃক বাড়িতে ছিল এই মেজর। সময়ের পরিক্রমায় বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিন বছর বয়সী কুকুরটিকে নিয়ে আসেন হোয়াইট হাউসে। ১৮ একরের এই কমপ্লেক্সে এসে বিচরণের বিশাল জায়গা পায় মেজর ও কমান্ডার। কিন্তু নতুন পরিবেশকে আপন করে নিতে পারেনি এই দুই প্রাণী। এর প্রমাণ মিলছে হোয়াইট হাউসের কর্মীদের কামড়ে দেয়ার ঘটনায়।


নয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিনছে জার্মানি

অ্যারো থ্রি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ওয়াশিংটনের ছাড়পত্র পাওয়ার পর ইসরায়েলের কাছ থেকে ‘অ্যারো থ্রি’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা কেনার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে জার্মানি। এটিকে ন্যাটোর আকাশসীমার সুরক্ষায় বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, বৃহস্পতিবার বার্লিনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গালান্ট ও জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিউস ‘অ্যারো থ্রি’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা কেনার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি ইউরোর এই চুক্তি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির নজির গড়তে চলেছে। সবকিছু পরিকল্পনামতো চললে জার্মানিসহ প্রতিবেশী দেশগুলো দুই বছরের মধ্যে ‘অ্যারো থ্রি’র ছত্রছায়ায় চলে আসবে। সে ক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষার মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। এই প্রণালির নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরেই শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করে ধ্বংস করে দেবে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে এই প্রণালি প্রস্তুত করায় জার্মানিতে বিক্রির প্রশ্নে ছাড়পত্রের প্রয়োজন ছিল। ইসরায়েল এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আমেরিকার বোয়িং কোম্পানি এই প্রকল্প কার্যকর করেছে।

ডয়চে ভেলে জানায়, প্রায় ২০ মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ ইউরোপের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির মূলে আঘাত করেছে। শীতল যুদ্ধ পরবর্তী শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক পরিবেশের বদলে রাশিয়ার মতো পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা আবার বাস্তব হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ইউরোপের সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আর আগের মতো নির্ভর করাও কঠিন হয়ে উঠছে। তাই বাধ্য হয়ে সামরিক প্রস্তুতি আর শক্তি বাড়ানোর পথে এগোচ্ছে জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস গত বছরই ইউরোপের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলা প্রতিরোধ করতে নিরাপত্তা বলয় প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ রায় দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের ‘অ্যারো থ্রি’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা এমন রক্ষাকবচ হিসেবে উপযুক্ত। গত জুন মাসে জার্মান পার্লামেন্টের এক কমিটি এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা কেনার পক্ষে রায় দেয়।


ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১১৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশটির নিনেভেহ প্রদেশের হামদানিয়া জেলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ভোরেও ঘটনাস্থলে পুড়ে যাওয়া ভবনে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে জরুরি কর্মীরা।

নিনেভেহ প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর হাসান আল-আলাকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, অগ্নিকাণ্ডে ১১৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০ এবং আহতের সংখ্যা ১৫০ জন বলে জানিয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১০০ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বর ও কনে রয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আতশবাজি ফাটানোর পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ফলে ইভেন্ট হলের কিছু অংশ ধসে পড়ে, স্বল্পমূল্যের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ধসে পড়ে।’


আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা, এখনো অ্যাটক কারাগারে ইমরান

ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখনো পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারেই বন্দি রয়েছেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখার নির্দেশনা দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করেনি অ্যাটক কারা কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, গত আগস্টে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান। সম্প্রতি ইমরানকে রাওয়ালপিন্ডির কারাগারে হস্তান্তর করার এক আবেদনের শুনানিকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক দেখতে পান, পাকিস্তানের রাজধানীর আদালতগুলোয় বিচারাধীন সব মামলার আসামিদের আদিয়ালায় রাখা হয়। কিন্তু ইমরানকে অ্যাটকে রাখা হয়েছে। তিনি ইমরানকে দ্রুত আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের আদেশ দেন।

ইমরানের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, তোষাখানা মামলায় ইমরানের দণ্ড স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট । এখন ইমরান ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের অধীনে সাইফার মামলায় বিচারাধীন, ফেডারেল অঞ্চলের বিচারাধীন হিসেবে ইমরানকে অবশ্যই আদিয়ালা কারাগারে রাখা উচিত।

এদিকে অ্যাটক কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়নি, তিনি এখনো তাদের হেফাজতেই আছেন। ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়নি মূলত দুটি কারণে- নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং লিখিত আদেশ না পৌঁছানো। বিচারপতি ফারুখ ফেডারেল জুডিশিয়াল একাডেমিতে অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে লিখিত আদেশ দেননি। ওই লিখিত আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত অ্যাটক কারাগার কর্তৃপক্ষ ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠাতে পারবে না।

বিষয়:

কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখদের বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে গত সোমবার কানাডায় ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের বাইরে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি পদদলিত করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নিজ্জর। তিনি ছিলেন খালিস্তানপন্থি সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’ বা কেটিএফের প্রধান। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের যোগসূত্র থাকতে পারে এমন অভিযোগ তুলেছে কানাডা সরকার। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জানান, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

রয়টার্স জানায়, কানাডার টরন্টোতে গত সোমবার প্রায় ১০০ শিখ বিক্ষোভকারী একটি ভারতীয় পতাকা পোড়ান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি কার্ডবোর্ডের প্রতিকৃতিতে আঘাত করেন। এ ছাড়া ২০০ বিক্ষোভকারী ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হন। অন্যদিকে রাজধানীর অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনারের (দূতাবাস) সামনে ১০০ জনেরও কম লোক জড়ো হন। তারা ওই সময় ‘খালিস্তান’ চিহ্নিত হলুদ পতাকা উড়ান, যা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলকে শিখদের জন্য একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত করার জন্য তাদের সমর্থনকে নির্দেশ করে।

অটোয়ায় বিক্ষোভকারী রেশমা সিং বলিনাস বলেন, ‘আমরা জাস্টিন ট্রুডোর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে কানাডার উচিত ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’

কানাডায় প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ বসবাস করেন। তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবের বাইরে অন্য কোনো অঞ্চলে বসবাস করা এটিই শিখদের সর্বোচ্চ জনসংখ্যা। এদিকে শিখ নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে কানাডায় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ স্থগিত করেছে।

এদিকে ভারতে বসবাসকারী কানাডার নাগরিকদের সতর্ক করেছে ট্রুডো সরকার। প্রবাসী কানাডীয়দের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে একটি বিবৃতি জারি করে কানাডা সরকার। সেখানে নিজ দেশের নাগরিকদের ভারতে সাবধানে এবং সব সময় সতর্ক থাকতে বলেছে কানাডা সরকার।


banner close