বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘ শীর্ষ আদালতের মুখোমুখি ইউক্রেন-রাশিয়া

সংগৃহীত ছবি
আপডেটেড
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০৫

গত বছরের আগ্রাসনের কারণ হিসেবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ‘গণহত্যা’ সংক্রান্ত মস্কোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন গতকাল সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতের রাশিয়ার চলমান সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার আদেশ দেয়ার এখতিয়ার আছে কি না তা নিয়ে হেগের শান্তি প্রাসাদে দুই যুদ্ধরত দেশের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি হবেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ আগ্রাসনের নির্দেশ দেয়ায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থিরা কিয়েভ শাসকের আক্রোশ ও গণহত্যার শিকারের যুক্তি দেখায়। আগ্রাসনের দুদিন পর রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে। ইউক্রেন জোরালোভাবে অস্বীকার করে যুক্তি দেখায় যে, রাশিয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা গণহত্যার বিষয়টি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের পুরোপুরি লঙ্ঘন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে আইসিজে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে তার সামরিক পদক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। তবে রায়টি ছিল তথাকথিত একটি ‘প্রাথমিক রায়’। আদালত প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু নিয়ে রায় দিতে সক্ষম কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত মুলতবি থেকে যায়।

রাশিয়ার মতে, আইসিজের এ বিষয়ে রায় দেয়ার এখতিয়ার নেই। কারণ, ইউক্রেনের মামলাটি জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশনের আওতার বাইরে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত গঠিত হয়। রাশিয়ার চলমান সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার আদেশ দেয়ায় আদালতের এখতিয়ার আছে কি না তা নিয়ে তা সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

রাশিয়া আগ্রাসনের পূর্বে কয়েক বছর ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সমর্থন করার অভিযোগ নিয়ে গঠিত ইউক্রেনের দায়ের করা একটি পৃথক মামলাও মোকাবিলা করছে আইসিজে।


ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়তে পারে আরও ৫ দিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

গত মঙ্গলবার ছিল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিন। একদিনে তারা পরস্পরের মধ্যে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় করেছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার কাতারের দোহায় বৈঠকটি হয় বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলেছে, সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস এবং মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির বৈঠক হয়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বর্ধিত যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। মিসরের কর্মকর্তারাও সেখানে অংশ নিয়েছিলেন।

সূত্র বলছে, নারী ও শিশু জিম্মিদের পাশাপাশি হামাস যেন পুরুষ এবং সামরিক সদস্যদেরও মুক্তি দেয়, তা নিশ্চিত করাসহ নতুন ধাপে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। হাতেগোনা কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতি না হয়ে টেকসই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠকের ফলাফল কী, তা নিশ্চিত করতে পারেনি সূত্রটি।

সম্প্রতি কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। প্রাথমিকভাবে ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয় চার দিনের যুদ্ধবিরতি, যা গত সোমবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগে সোমবার মধ্যস্থতাকারী কাতার ঘোষণা করে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন (মঙ্গল ও বুধবার) বাড়ানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী গতকাল বুধবার বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাত-সংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশ নিতে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস দোহায় গেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

চলমান যুদ্ধবিরতি আরও পাঁচ দিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ইয়েলন লেভি। যুদ্ধবিরতি ও সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বন্দিবিনিময় অব্যাহত রেখে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া আরও পাঁচ দিন বাড়ানো যেতে পারে।’

ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র বলেন, ‘হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে আমরা আরও ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেব। হামাস যখন জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করবে, তখন আমরা তাদের ওপর সামরিক চাপ সৃষ্টি করব।’

যুদ্ধবিরতিতেও থেমে নেই গ্রেপ্তার

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের গাজায় গত শুক্রবার চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম ৪ দিনে ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ১১৭ জন শিশু ও ৩৩ জন নারী।
একই সময়ে হামাস ৬৯ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। তাদের মধ্যে ৫১ জন ইসরায়েলি ও ১৮ জন অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধিত্ব করে বেসরকারি সংগঠন প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটি। সংগঠনটির তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতির প্রথম চার দিনে পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর থেকে অন্তত ১৩৩ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল।

সোসাইটির মুখপাত্র আমানি সারাহনেহ বলেন, যত দিন ইসরায়েলি দখলদারি থাকবে, তত দিন ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার বন্ধ হবে না। মানুষকে এ বিষয় অবশ্যই বুঝতে হবে। কারণ, এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদারদের একটি কেন্দ্রীয় নীতি। এটি ফিলিস্তিনিদের যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ আটকানোর একটি কৌশল।

আমানি সারাহনেহ আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার ইসরায়েল শুধু গত ৭ অক্টোবরের পর থেকেই করছে না, ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ইসরায়েলের একটি দৈনন্দিন কাজ। যুদ্ধবিরতির প্রথম চার দিনে আরও বেশিসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তারা ধারণা করেছিলেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে হামাস।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে আসছিল।

গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোকজন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার শিশু রয়েছে


অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় আগামী বছর থেকে ই-সিগারেটের আমদানি নিষিদ্ধ করছে দেশটির সরকার। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর: আল-জাজিরার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, শুধু ই-সিগারেট আমদানি নয়, বরং এ-সংক্রান্ত কোনো উপকরণ উৎপাদন এমনকি প্রচারও নিষিদ্ধ করবে অস্ট্রেলীয় সরকার। ই-সিগারেট সেবন বন্ধে ২০২৪ সালে আইনও পাস করবে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

অস্ট্রেলীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দীর্ঘমেয়াদি ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেট সহায়ক হিসেবে প্রথম দিকে গণ্য করা হতো। ধূমপান ছাড়ার জন্য এটি হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এমনকি এটি ‘বিনোদনমূলক পণ্য’ হিসাবে বিকশিত হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার বলেন, ‘এটি বিনোদনমূলক পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হয়নি। তবে এখন এটিই হয়ে উঠেছে বিনোদন পণ্য। বেশিরভাগ ই-সিগারেটে নিকোটিন থাকে এবং শিশুরা দিন দিন আসক্ত হয়ে উঠছে।’

অস্ট্রেলীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৪-১৭ বছর বয়সী প্রতি সাত শিশুর একজন ই-সিগারেটে আসক্ত।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।


মালয়েশিয়ায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে তিন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পেনাংয়ের ওই ভবনের নিচে আরও অন্তত নয়জন শ্রমিক চাপা পড়েন বলে দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে আরও জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে নয়টার দিকে ভবন ধসের এ ঘটনা ঘটে। পেনাংয়ের উপ-পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ উসুফ জান মোহাম্মদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন। ধসের সময় ঘটনাস্থলে ১৮ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন।

মোহাম্মদ উসুফ জানিয়েছেন, প্রথমে প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম পড়ে যায়। এরপর আরো ১৪টি বিম ভেঙে পড়ে।

মোহাম্মদ উসুফ বলেন, এখন পর্যন্ত তারা নিহত তিনজনকে শনাক্ত করেছেন। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে ও একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। গুরুতর আহত আরো দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের ধারণা ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরো চারজন এখনো আটকা আছে। এসব শ্রমিকরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।

পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের উপ-পরিচালক জুলফাহমি সুতাজি বলেন, ভবনের কাঠামোর ওজনের কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারী স্থাপনা অপসারণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বড় যন্ত্র প্রয়োজন। অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে।


আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর মুক্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপেল আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু। পক্ষান্তরে ১২ জন বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে হামাস।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ১২ জনের মধ্যে ১০ জন ইসরায়েলি রয়েছে যাদের মধ্যে একটি শিশু এবং ৯ জন নারী। এই দফায় মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে বাকি ২ জন থাই নাগরিক।

এদিকে ইস্রায়েলের প্রিজন সার্ভিস জানিয়েছে তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা এবং জেরুজালেমের দুটি কারাগার থেকে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে দুই পক্ষই আরও বেশি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু। তাছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।


ফেসবুকের মুখপাত্রকে ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করল রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মের কর্মকর্তা ও মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোনকে ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করেছে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যটি ছাড়া বিস্তারিত আর কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতি রাশিয়া কঠোর হওয়া শুরু করেছে মূলত ইউক্রেনের সঙ্গে দেশটির যুদ্ধ বাধার পর থেকে। ফেসবুক ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষে অবস্থান নেয়াই এ কঠোরতার মূল কারণ। ২০২২ সালের ফেসবুককে ‘সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি সংস্থা’ হিসেবে আখ্যা দেয় রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও প্রদান করে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ায় বন্ধ রয়েছে ফেসবুক, এটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইনস্টাগ্রাম এবং অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। প্রতিটির বিরুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য বিশ্বের প্রতি একক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে মস্কো। যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এ তিনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতেন রাশিয়ার নাগরিকরা। বিশেষ করে, তরুণ রুশদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল ইনস্টাগ্রাম।


গাজা বিষয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় বন্দি জিম্মি মুক্তি ও মানবিক সহায়তা সক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। খবর সিনহুয়ার।

ফোনালাপকালে বাইডেন গত তিন দিনে হামাসের হাতে বন্দি থাকা জিম্মিদের মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দুই নেতা হামাসের হাতে বন্দি সকল জিম্মির মুক্তির ক্ষেত্রে সমর্থন অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ব্যাপারে দুই নেতা সম্মত হয়েছেন যে- কাজটি এখনো শেষ হয়নি এবং তারা এক্ষেত্রে সকল জিম্মির মুক্তির জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন। উভয় নেতা আগামী দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন।’

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা গাজায় যুদ্ধ বিরতি এবং মানবিক সহায়তা আরো বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন।


নিলামে প্রিন্সেস ডায়ানার ব্লাউজ

প্রিন্সেস ডায়ানা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ১৯৮১ সালে প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানার বাগদানের ঘোষণা দিয়ে তার একটি ছবি প্রকাশ করেছিল। সে ছবিতে ডায়ানাকে যে ব্লাউজটি পরা দেখা গিয়েছিল, সেটি এবার নিলামে উঠতে যাচ্ছে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত পোশাক ও অন্য জিনিস নিয়ে আয়োজিত হতে যাওয়া একটি নিলামে ব্লাউজটি বিক্রির জন্য তোলা হবে।

ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চার্লস ও ডায়ানার বাগদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পাশাপাশি ডায়ানার একটি একক ছবি ভোগ সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ফটোগ্রাফার লর্ড স্নোডন ছবিটি তুলেছিলেন। ওই ছবিতে ডায়ানার পরনে ছিল কুঁচি দেয়া কলারযুক্ত গোলাপি রঙের ক্রেপ কাপড়ের একটি ব্লাউজ।

ব্লাউজটির ডিজাইন করেছিলেন ডেভিড ও এলিজাবেথ এমানুয়েল। ১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের (বর্তমান ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস) সঙ্গে ডায়ানার বিয়ে হয়। ডায়ানার সে বিয়ের পোশাকটিরও ডিজাইন করেছিলেন ডেভিড ও এলিজাবেথ এমানুয়েল। ২০১৯ সালে লন্ডনে কেনসিংটন প্রাসাদে ‘ডায়ানা: হার ফ্যাশন স্টোরি’ শীর্ষক এক প্রদর্শনীতেও ব্লাউজটি রাখা হয়েছিল। জুলিয়েনস অকশনস অ্যান্ড টার্নার ক্ল্যাসিক মুভিজ (টিসিএম) চার দিনের এ নিলামের আয়োজন করেছে। সেখানে ডায়ানার পরা আরও একটি পোশাকও বিক্রির জন্য তোলা হবে।

রাজপরিবারের ফ্যাশন ডিজাইনার মরক্কোর বংশোদ্ভূত জ্যাকস আজাগুরি পোশাকটির ডিজাইন তৈরি করেছিলেন। ১৯৮৫ সালের এপ্রিলে ইতালির ফ্লোরেন্সে পোশাকটি পরেছিলেন ডায়ানা। নিলামে এটি এক লাখ ডলার থেকে শুরু করে দুই লাখ ডলার পর্যন্ত দামে বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন হলিউড তারকাদের পরা পোশাক-পরিচ্ছদও ওই নিলামে তোলা হবে। আগামী ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বেভারলি হিলসে এবং অনলাইনে ‘জুলিয়েনস অকশনস অ্যান্ড টিসিএম প্রেজেন্ট: হলিউড লেজেন্ডস’ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।


ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দি

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আইসিআরসির বাসে বাড়ি ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দি। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার দ্বিতীয় দফায় এ ৩৯ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর আগে দ্বিতীয় ব্যাচে ১৩ ইসরায়েলিসহ আরও ১৭ বন্দির মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তির দ্বিতীয় ব্যাচের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ রোববার ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছয় নারী এবং ৩৩ জন নাবালকসহ ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তি দিয়েছে। এর আগে শনিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) সমন্বয়ে গাজা থেকে ১৩ ইসরায়েলি এবং চার বিদেশিকে মুক্তি দেয়া হয়।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা অনুসারে, মুক্তি পাওয়ার পর ৩৪ ফিলিস্তিনি বন্দিকে আইসিআরসির একটি বাস ইসরায়েলি ওফার কারাগার থেকে পশ্চিম তীরের মধ্যাঞ্চলীয় আল-বিরহে নিয়ে যায়।

ওয়াফা জানিয়েছে, এ সময় বন্দিদের মুক্তি উদ্‌যাপন করতে আল-বিরহ পৌরসভা চত্বরে শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন। এ ছাড়া অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা বাকি পাঁচ বন্দিকে আল-মাসকুবিয়াহ কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। সেখানে পরিবার তাদের গ্রহণ করে।
এর আগে হামাস শুক্রবার চার দিনের মানবিক বিরতির প্রথম দিনে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করে এবং বিনিময়ে ২৪ ইসরায়েলি ও বিদেশি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এরপর শনিবার ইসরায়েলের ১৩ বন্দিসহ আরও ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি। মুক্তি পাওয়া অন্য চার বন্দি থাইল্যান্ডের নাগরিক।

যদিও দ্বিতীয় দফায় এ মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে বেশ কয়েক ঘণ্টার বিলম্বের পর ওই ১৭ জনকে মুক্তি দেয় হামাস। ইসরায়েল চলমান যুদ্ধবিরতির একটি শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর বন্দি মুক্তিতে ওই বিলম্ব হয়।

তবে এই বৈরিতা শনিবার কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতায় সমাধান করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, হামাস বন্দি মুক্তি দেয়ায় দ্বিতীয় ব্যাচে ইসরায়েল থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি পাওয়া বাকি ছিল। রোববার তাদেরই মূলত মুক্তি দেয়া হলো।


সাগরতলে জায়গা বদলাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমবাহ

স্যাটেলাইট থেকে তোলা অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহের ছবি। ১৫ নভেম্বর তোলা ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমবাহের নাম এ২৩এ। অ্যান্টার্কটিকার এই হিমবাহ আয়তনে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের দ্বিগুণেরও বড়। কয়েক দশক ধরে বিশাল এই হিমবাহ সাগরতলে আটকে ছিল। এখন গবেষকরা বলছেন, হিমবাহটি নড়তে শুরু করেছে। ক্রমে জায়গা বদলাচ্ছে এটি।

হিমবাহটি প্রায় ৪০০ মিটার বা ১ হাজার ৩১২ ফুট পুরু। এর আয়তন ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বা প্রায় ১ হাজার ৫৪৪ বর্গমাইল। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের আয়তন ১ হাজার ৫৭১ বর্গকিলোমিটার বা প্রায় ৬০৭ বর্গমাইল। সে হিসাবে এ২৩এ হিমবাহের আয়তন লন্ডনের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।

অ্যান্টার্কটিকায় বৃহদাকারের হিমবাহ ফিলচনার-রোনের অংশ ছিল এ২৩এ হিমবাহ। ১৯৮৬ সালে এটি ভেঙে পড়ে ওয়েডেল সাগরের তলদেশে তলিয়ে যায়। সেই থেকে হিমবাহটি সাগরতলে একই জায়গায় আটকে ছিল।

যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জরিপ চালানোর পর বিজ্ঞানী এলা গিলবার্ট ও অলিভার মার্শ বলেন, তিন দশকের বেশি সময় পরে এসে হিমবাহটি নড়ছে এবং জায়গা বদলাচ্ছে। তারা জানান, সমুদ্রের স্রোতে ভেসে হিমবাহটি ক্রমে পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। এখন এটির চলার গতি দৈনিক প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বা তিন মাইল।

এ দুই বিজ্ঞানীর মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহে পরিবর্তন দেখা গেছে। প্রতিবছর অ্যান্টার্কটিকায় প্রচুর পরিমাণে বরফ গলে যাচ্ছে। মূলত এ কারণে বৃহদাকারের এ২৩এ হিমবাহ সমুদ্রতলে জায়গা বদলাতে শুরু করেছে।


ইরানের দৃষ্টিতে যে কারণে যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েল

ক্যাপশন: মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি
আপডেটেড ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:০৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় হঠাৎ করে ইসরায়েল কেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, তার কারণ জানিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। তিনি জানিয়েছেন, হেরে যাওয়ার ভয়ে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এ যুদ্ধে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- এমনটি অনুভব করলে তেল আবিব কখনো যুদ্ধ থামাত না।

ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের এক সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সালামি বলেন, ইসরায়েলের অক্ষমতা ও ব্যর্থতা আজ স্পষ্ট, তাই দেশটি যদি তার ভুলগুলো থেকে শিক্ষা না নেয় এবং আবারও ভুল করে, তাহলে তারা আরও বড় ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল তার দুর্গ থেকে গাজায় স্থল অভিযান চালানোর ফলে তাকে এর মূল্য দিতে হয়েছে। ৩০০ এর বেশি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে হামাস। শত্রুরা ভেবেছিল শিশু, নারী ও নবজাতক শিশুদের হত্যা করে তারা বিজয়ের পতাকা উড়াবে এবং তাদের কাছে বিজয়ের সংজ্ঞা কেবল এটাই যে, প্রতিরক্ষাহীন অসহায় বেসামরিক লোকদের ধ্বংসস্তূপের নিচে সমাধিস্থ করা।

জেনারেল সালামি আরও বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে ব্যস্ত রেখেছে এবং ইসরায়েল পশ্চিম তীরেও সংকটের শিকার হয়েছে। ফলে ইসরায়েল দিনরাত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’

গাজার যুদ্ধকে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে জেনারেল সালামি বলেছেন, ‘এ যুদ্ধে ইসরায়েলের সহযোগী হয়েছে মার্কিন, ফরাসি, ব্রিটিশ ও জার্মান সরকারসহ একদল মোনাফিক শক্তি। কিন্তু তারা সবাই পরাজিত ও হতাশ হয়েছে।’

বিষয়:

প্রায় ২শ ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে গাজায়

ক্যাপশন: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শুক্রবার ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ১৯৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ফিলিস্তিন শাখা (পিআরসিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় শুক্রবার পিআরসিএস জানিয়েছে, ‘শুক্রবার গাজায় মোট ১৯৬টি ত্রাণ ও সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাক রিসিভ করেছে পিআরসিএস। এসব ট্রাকের ৮টিতে ওষুধ ও মেডিকেল পণ্য, চারটি ট্রাকে হাসপাতাল শয্যা এবং বাকিগুলোতে খাদ্য, পানি ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।’

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় গত দেড় মাসে এই প্রথম এক দিনে এত বেশিসংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করল। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিক রয়েছেন।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান ও স্থল বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। টানা প্রায় দেড় মাস যুদ্ধ চলার পর নভেম্বরের মাঝামাঝি কাতারের মাধ্যমে ইসরায়েলের সরকারকে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় হামাস। সে প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষারত ত্রাণ, জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে প্রবেশ করতে দেয় এবং ইসরায়েলি কারাগারগুলো থেকে অন্তত ১৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে ছেড়ে দেবে হামাস।

প্রথমদিকে এই শর্ত আমলে না নিলেও পরে ইসরায়েলের নাগরিক, জিম্মিদের পরিবারের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ২১ নভেম্বর সেই প্রস্তাবে সায় দেয় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

বিষয়:

চীনে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে ৬ দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দেশ চীন তার ঐতিহ্যবাহী ভূখণ্ড ঘুরে দেখার জন্য এবার ৬টি দেশকে এক বছরের জন্য ভিসামুক্ত সুবিধা দিতে যাচ্ছে। এ সুযোগ পাওয়া দেশগুলোর ৫টিই ইউরোপের, অপরটি এশিয়ার।

দেশগুলো হচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও মালয়েশিয়া।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এসব দেশের সাধারণ পাসপোর্টধারীরা সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত দেশটিতে ভিসা ছাড়াই ব্যবসা বা ভ্রমণ করতে পারবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং শুক্রবার বলেন, চীনের উন্নয়নকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বর্তমানে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেরই চীনে প্রবেশ করতে ভিসার প্রয়োজন হয়। তবে সিঙ্গাপুর ও ব্রুনাইয়ের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিল করে দিয়েছে চীন সরকার। এসব দেশের নাগরিকরা ১৫ দিনের বেশি সময় ভিসা ছাড়া চীনে ব্যবসা ও ভ্রমণ করতে পারেন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চে কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল চীন। তিন বছর পর এ বছর মার্চে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়।

মহামারির আগে প্রতি বছর লাখ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী চীনে ভ্রমণ করত।


গাজায় ক্ষণিকের স্বস্তি, চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর সড়কে হাঁটছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০১
মাজেদুল হক তানভীর

অবশেষে গাজায় স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ হলো বোমা হামলা, যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের ওড়াউড়ি। কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতেই প্রথমবারের মতো স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন ফিলিস্তিনিরা। যদিও তারা জানেন, এই বিরতির পর আবারও আসছে ভয়াবহ হামলা।

গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে শুরু হয়েছে বহু আকাঙ্ক্ষিত এই যুদ্ধবিরতি। এ দিন ইসরায়েলের ১৩ জিম্মিকে ছেড়ে দেয়ার কথা রয়েছে হামাসের। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তারা কারা, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। এদিকে ১৩ ইসরায়েলিকে ছাড়ার আগে ১২ থাই নাগরিককে ছেড়ে দিয়েছে তারা।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের তুলে নেয়ার পথে রয়েছেন। তবে জিম্মিরা কোথায় আছে, তা নির্দিষ্ট করেননি।’

মিসরীয় স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিসরের নিবিড় প্রচেষ্টার ফলে ১২ জন থাই নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, থাই নাগরিকদের মুক্তি দেয়া তার অংশ নয়।

চার দিনের যুদ্ধবিরতির এই সময় মোট ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের শর্তে চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল কমপক্ষে ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এ ছাড়া তারা গাজায় আরও মানবিক সহায়তার অনুমতি দেবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।

জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে আসছিল ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছিল।

গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাফা ক্রসিংয়ের কর্মকর্তারা। তারা জানান, মিসর থেকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে বেশ কিছু ট্রাক প্রবেশ করছে।

রাফা ক্রসিং প্রশাসনের মুখপাত্রের বিবৃতিতেও গাজা উপত্যকায় সাহায্য ও জ্বালানি ট্রাকের প্রবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মুখপাত্র জানান, ২৩০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

যুদ্ধবিরতি শেষে ফের হামলা

এদিকে যুদ্ধবিরতি শেষে আবারও হামলা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। গত বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের বিরতি শেষ হলে আরও অন্তত দুই মাস হামাসের বিরুদ্ধে তীব্রতর লড়াই চালিয়ে যাবে ইসরায়েলের বাহিনী।

ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘সামনের দিনগুলোয় আপনারা যেটা দেখবেন জিম্মিদের মুক্তি। তবে এটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হবে।’

সেনাদের উদ্দেশে ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, বিরতির সময় সংঘটিত হতে হবে। এ সময় প্রস্তুতি নিতে, তদন্ত করতে, আরও অস্ত্র সরবরাহ করতে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘যুদ্ধ চলমান প্রক্রিয়া। কারণ, আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে চাই। জিম্মিদের পরবর্তী দলগুলোর জন্য উদ্দীপনা তৈরি করতে চাই। কেননা, শুধু চাপ প্রয়োগের জেরেই জিম্মিরা আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। আশা করা হচ্ছে, আরও অন্তত দুই মাস এ লড়াই চলতে পারে।’

৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধে ইসরায়েল

যুদ্ধ পরিচালনায় এরই মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে ফেলেছে ইসরায়েল। আগামী দিনে এ খরচ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বেসরকারি আর্থিক পরামর্শক সংস্থা। অনুমানিক হিসাবে চলতি বছর ও আগামী বছরে ইসরায়েলের আনুমানিক যুদ্ধব্যয় হচ্ছে চার হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

হিসাব করে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের এ যুদ্ধ হতে পারে অর্ধ শতকের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল। যার কারণে ঋণে জড়াতেও পারে তেল আবিব।
ইসরায়েলের সংস্থা লিডার ক্যাপিটাল মার্কেটের তথ্যানুসারে, এই ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশ বহন করবে তেল আবিব। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা তহবিল থেকে আসবে বাকি অংশ।

এর আগে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক পরিষদের এক ঘোষণায় জানানো হয়, এবারের যুদ্ধে খরচ হবে পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তবে সাম্প্রতিক এ হিসাব সে তুলনায় অনেকটাই কম।

গত অক্টোবরে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, গাজায় প্রতিদিনের হামলায় ইসরায়েলের ব্যয় হচ্ছে ২৭ কোটি ডলার। আরও বলেছিল, যুদ্ধের সমাপ্তি মানেই ক্ষতির সমাপ্তি নয়।

লিডার ক্যাপিটাল মার্কেটের এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্লুমবার্গ বলছে, সম্ভবত ইসরায়েল অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধে জড়িয়েছে। সংস্থাটি যে পরিসংখ্যান উত্থাপন করেছে, তাতে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বৈদেশিক ঋণের দ্বারস্থ হতে হবে।

ইসরায়েলের অতর্কিত হামলায় গাজা উপত্যকায় গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৪ জনে। গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।


banner close