মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৫ ভাদ্র ১৪৩২

জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় নেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৫২

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বুধবার জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেয়নি।

রয়টার্স জানায়, ডিসেম্বরে জাতিসংঘের উদ্যোগে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের আগে গতকাল জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ব্যবসায়িক নেতাদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করেন। গুতেরেসের উদ্যোগে এই আলোচনায় ৩৪ বক্তার তালিকার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বক্তার নাম উল্লেখ নেই।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্মেলনটিকে তিনি অর্থহীন করবেন না। কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার দৃঢ় পরিকল্পনা যাদের রয়েছে, কেবল তাদেরই এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সম্মেলনে অংশ নিতে যেসব দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, কানাডা ও ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বক্তা হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।


লেবাননে গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলা

আপডেটেড ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৪
বাসস

ইসরাইল মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরাইলের অভিযানে লেবাননের পূর্বাঞ্চলে পাঁচ জন নিহত হওয়ার একদিন পর তারা আবারো সর্বশেষ এ হামলা চালালো।

রাজধানী থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি এলাকার কথা উল্লেখ করে দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে শত্রুর একটি ড্রোন জিয়েহ ও বারজা শহরের মধ্যস্থলের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।’

এএফপি’র একজন আলোকচিত্রী একটি মসজিদের কাছে একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি দেখেছেন। সেখানে সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।

ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধবিরতিসহ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা শত্রুতার অবসান ঘটাতে নভেম্বর মাসে লেবাননে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইল দেশটিতে নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার পূর্ব বেকা উপত্যকায় ‘হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ ক’টি লক্ষ্যবস্তুতে’ তারা হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে এই গোষ্ঠীর অভিজাত রাদওয়ান বাহিনীর ব্যবহৃত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোও অন্তর্ভুক্ত।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলায় পাঁচ জন নিহত হয়।

আগস্ট মাসে, প্রবল মার্কিন চাপ ও ইসরাইলি হামলার আশঙ্কার মধ্যে লেবাননের সরকার সেনাবাহিনীকে বছরের শেষ নাগাদ এক সময়ের প্রভাবশালী হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেয়।

ইসরাইলেরও লেবানন থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করার কথা ছিল, কিন্তু কৌশলগত বলে মনে করা পাঁচটি স্থানে তারা তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।


ফিলিস্তিনি বন্দিদের পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি বন্দিদের ন্যূনতম খাদ্য সরবরাহ থেকেও বঞ্চিত রাখছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট। গত রোববার এক ঐতিহাসিক রায়ে এ কথা জানান দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, বন্দিদের জন্য উন্নত মানের খাবারসহ নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রায় ২৩ মাসে এই প্রথম ইসরায়েলের আদালত দেশটির সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এভাবে রায় দিলেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ফিলিস্তিনিদের গণহারে আটক করেছে তারা। গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে আটক হওয়া অনেককে মাসের পর মাস শিবির ও কারাগারে রাখার পর অভিযোগ ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়, অল্প খাবার, চিকিৎসার অভাবসহ রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে।

তিন সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মত রায়ে বলেন, সরকারকে আইন অনুযায়ী প্রতিদিন তিনবেলা খাবার সরবরাহ করতেই হবে, যাতে বন্দিদের ‘মৌলিক বেঁচে থাকার শর্ত’ নিশ্চিত হয়।

দুই-এক ভোটে আদালত আরও স্বীকার করেছেন, সরকারের ইচ্ছাকৃত খাদ্যসংকোচন নীতি বন্দিদের মধ্যে অপুষ্টি ও অনাহার সৃষ্টি করেছে।

রায়ে বলা হয়, এখানে আরামদায়ক জীবন বা বিলাসিতার কথা নয়, বরং আইনে নির্ধারিত ন্যূনতম বেঁচে থাকার শর্ত পূরণের কথা বলা হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে খারাপ শত্রুর পথ অনুসরণ করা উচিত নয়।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ৬১ বন্দি ইসরায়েলের হেফাজতে মারা গেছেন। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চে এক কিশোর (১৭) অনাহারে মারা গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

কারাগার তদারকির দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বরাবরের মতো কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বন্দিদের শুধু ‘আইনে নির্ধারিত সর্বনিম্ন শর্তেই’ রাখা হবে। আদালতের রায়কে তিনি ‘ইসরায়েলের জন্য লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

রায়টি আদালতে আবেদন করা মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর সিভিল রাইটস ইন ইসরায়েল (এসিআরআই) ও গিশার বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এএসিআরআই সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে, ইসরায়েলের কারাগারগুলোকে সরকার ‘নির্যাতন শিবিরে’ পরিণত করেছে।

সংগঠনটির ভাষায়, কোনও রাষ্ট্রের উচিত নয় মানুষকে অনাহারে রাখা। মানুষ মানুষকে না খাইয়ে রাখবে না—সে যা-ই করে থাকুক না কেন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, এপি


ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ‘অমূল্য’ স্বাস্থ্য সংস্থাকে বিপর্যস্ত করেছেন: ‘হু’ প্রধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থাকে ‘অমূল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কারণে তা আজ বিপর্যস্ত।

রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানই নিখুঁত নয় এবং সর্বশেষ বিজ্ঞান এবং বাস্তব সময়ে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে অব্যাহত উন্নতি প্রয়োজন। তবে মার্কিন সিডিসির কাজ অমূল্য এবং এটিকে সুরক্ষিত রাখতে হবে!’

কিন্তু, ট্রাম্পের সরকার তার পরিচালক সু মোনারেজকে তার চাকরির মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই বরখাস্ত করার পর মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) চরম অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে। মোনারেজ মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিজ্ঞানীদের বরখাস্ত করেছিলেন এবং দেশের টিকা নীতিগুলো পুনর্গঠন করেছিলেন।

টেড্রোস বলেছেন, সিডিসি ‘দীর্ঘদিন ধরেই উৎকর্ষের কেন্দ্র’ ছিল। অনেক দেশ এটি অনুকরণ করেছে। তিনি বলেছেন, সিডিসির সাথে ‘হু’-এর ‘ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব’ রয়েছে। ‘হু’র সবচেয়ে বড় দাতা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জানুয়ারিতে ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের অধীনে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি তহবিল দিয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে এক বছর সময় লেগেছে। মোনারেজ কেনেডির টিকা নীতি পরিবর্তনকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

তার পদচ্যুতির ফলে কমপক্ষে চারজন শীর্ষ সিডিসি কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। ফলে মার্কিন সংস্থায় বিশৃঙ্খলা আরো গভীর করে তোলে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কেনেডি কোভিড-১৯ টিকা কারা গ্রহণ করতে পারবেন তা সীমিত করেছেন।

লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচানোর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্ত ‘এমআরএনএ’ প্রযুক্তির জন্য ফেডারেল গবেষণা অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন এবং অটিজম সম্পর্কে মিথ্যা দাবির ওপর নতুন গবেষণা ঘোষণা করেছেন।


৬০ বছর পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভারতের ‘পারসিয়ানা’ সাময়িকী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের মুম্বাইয়ের ফোর্ট এলাকায় নতুন গথিক স্থাপত্যশৈলীর একটি ভবন। পুরোনো ভবনটির একটি ছোট্ট অফিস থেকে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে বের হচ্ছে পারসি সম্প্রদায়ের সাময়িকী ‘পারসিয়ানা’। ঐতিহ্যবাহী সাময়িকীটি আগামী অক্টোবর মাস থেকে আর বের হবে না। গত আগস্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক পেস্টনজি ওয়ার্ডেন ১৯৬৪ সালে ইংরেজি ভাষার সাময়িকীটি প্রকাশ করা শুরু করেছিলেন। মুম্বাইয়ের পারসি সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনযাত্রা ও ঘটনাবলি নথিবদ্ধ করাই ছিল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। সপ্তম-অষ্টম শতকে ইরান বা পারস্য থেকে ভারতে আসা জরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বীদের মানুষজন পারসি সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত।

১৯৭৩ সালে মাত্র এক রুপিতে সাময়িকীটি কিনে নেন সাংবাদিক জেহাঙ্গীর প্যাটেল। এর পর থেকে তিনিই এর সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর একটির বদলে মাসে দুটি করে সংখ্যা বের করা শুরু করেন তিনি। সাহসী প্রতিবেদন, ব্যঙ্গাত্মক কলাম ও চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে সাময়িকীটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৮৭ সালে আন্ত:ধর্মীয় বিয়ের বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে সাময়িকীটি আলোড়ন তৈরি করেছিল।

ছয় দশকে পারসিয়ানা কেবল একটি সাময়িকী নয়; বরং সারা বিশ্বের জরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সেতুবন্ধের মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানভিত্তিক এক পাঠক বলেন, ‘এটি শুধু প্রকাশনা ছিল না। ছিল আমাদের সঙ্গী ও সেতুবন্ধ।’ যুক্তরাষ্ট্রের এক পাঠক লিখেছেন, ‘এই সাময়িকী বিতর্কিত বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসত।’

আগস্টে পারসিয়ানার এক সম্পাদকীয়তে সাময়িকীটি বন্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়, গ্রাহকসংখ্যা কমেছে, তহবিলের সংকট বেড়েছে ও প্রকাশনার কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো উত্তরসূরি পাওয়া যায়নি।

৮০ বছর বয়সি জেহাঙ্গীর ১৫ সদস্যের একটি দল নিয়ে পারসিয়ানা বের করতেন। তার সহকর্মীদের প্রায় সবার বয়স ৬০ ও ৭০–এর মধ্যে। পারসিয়ানা বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ‘কষ্টের’ উল্লেখ করে জেহাঙ্গীর বলেন, ‘শেষ দিনে কোনো কেক বা উৎসব থাকবে না। এটা দুঃখের সময়।’


গাজায় ইসরায়েলের ‘বিস্ফোরক রোবট’, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা উপত্যকার গাজা শহরে ইসরায়েলের দূরনিয়ন্ত্রিত ও বিস্ফোরকভর্তি 'রোবট' দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে, যা সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

হামজা শাবান নামের ৩৫ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম, রোবটটি কোথায় আছে। আমার কাছে, নাকি কাছাকাছি?’ পরে দেখা গেল রোবটটি প্রায় ১০০ মিটার দূরে ছিল। এরপর আরেকটি বিস্ফোরণে তিনি জানালা থেকে দুই মিটার দূরে ছিটকে পড়েন। হামজা শাবান বলেন, ‘আমি হামাগুড়ি দিয়ে শোবার ঘরের দিকে পালাতে শুরু করলাম। আমি শুনতে পাচ্ছিলাম, উড়ন্ত ধ্বংসাবশেষ ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ একটার সঙ্গে আরেকটায় আঘাত করছে। ভয়ানক শব্দ।’

হামজা শাবানের এই অভিজ্ঞতা এখন গাজা নগরীর বাসিন্দাদের জন্য একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। গত মাসে ইসরায়েল প্রায় ১০ লাখ মানুষের গাজা নগরীতে হামলা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতি রাতেই বড় বড় বিস্ফোরণে শহরটি কেঁপে উঠছে।

ইসরায়েল ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় স্থলসেনা মোতায়েনের পরিবর্তে দূরনিয়ন্ত্রিত ও বিস্ফোরকভর্তি এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) পাঠাচ্ছে। এই নতুন যুদ্ধকৌশলের কেন্দ্রে আছে এই দূরনিয়ন্ত্রিত যানগুলো, যা দূর থেকে নির্দিষ্ট স্থানে পাঠানো হয় এবং তারপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়।

কিছু ক্ষেত্রে এই যানগুলো রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরকভর্তি ব্যারেল ফেলে এবং পরে একসঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যাতে পুরো এলাকার সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়। হামজা শাবান জানান, সাধারণত রাত ১০টা বা ১১টার দিকে যখন মানুষ ঘুমাতে যায়, তখনই বিস্ফোরণ শুরু হয় এবং প্রতি রাতেই এমন ৮ থেকে ১০টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘এসব বিস্ফোরণ ভীষণ শক্তিশালী, যা পুরো ভবনকে গুঁড়িয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে।’

হামজা শাবান ইসরায়েলের অনেক যুদ্ধ দেখেছেন এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হামলার ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গেও পরিচিত। তবে এবারের ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এসব রোবটের সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না। এগুলো বিমান হামলার চেয়েও অনেক বেশি বিধ্বংসী।’

হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করলেও ইসরায়েল সেটি বাতিল করে দেয়। এরপর ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা পুরো গাজা উপত্যকা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করে, যার শুরু গাজা নগরী থেকে। এর পর থেকে ইসরায়েল আকাশ ও স্থল হামলা আরও জোরদার করেছে। গাজাভিত্তিক সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ আগস্ট থেকে উপত্যকার জনবহুল এলাকায় অন্তত ১০০টি বিস্ফোরক রোবট ব্যবহার করা হয়েছে।

অলাভজনক সংস্থা ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, এসব বিস্ফোরণে প্রতিদিন প্রায় ৩০০টি আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হচ্ছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি রোবটে প্রায় সাত টন পর্যন্ত প্রচণ্ড শক্তিশালী বিস্ফোরক ভরা থাকে। এই রোবটগুলোর ব্যবহার গাজা নগরীর উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণের এলাকাগুলোতে বেশি হচ্ছে।

ইউরো-মেড মনিটর বলছে, এই রোবটগুলো এমন এক ‘অভূতপূর্ব গতিতে’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গাজা নগরীকে ‘মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার’ কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। সংস্থাটি আরও বলেছে যে, বর্তমান গতিধারা চলতে থাকলে দুই মাসের মধ্যে নগরীর বাকি অংশও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিপুল সামরিক শক্তি এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধ ঠেকাতে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ না থাকায় এই সময়সীমা আরও কমে আসতে পারে।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়ালা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী বিস্ফোরক রোবটের ব্যবহার তিন গুণ বাড়িয়েছে এবং গাজায় আরও শত শত রোবট পাঠানো হচ্ছে। এই যানগুলো এমনভাবে তৈরি যে তা অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ক্ষতি করে এবং হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সরাসরি সংঘর্ষ কমিয়ে স্থল অভিযানে ইসরায়েলি সেনাদের ঝুঁকি হ্রাস করে।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই


তোশিমিৎসু মোতেগি জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার এক দিন পর সোমবার জাপানের পরবর্তী নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রথম প্রার্থী হিসেবে যোগ দিলেন ‘ট্রাম্প হুইস্পেরার’ নামে পরিচিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি।

টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মোতেগি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জয়লাভ করলে তাকে জাপানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও এর গুরুত্বপূর্ণ অটো সেক্টরে মার্কিন শুল্কের ফলে সৃষ্ট নতুন অস্থিরতা সামাল দেওয়ার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন।

দুটি নির্বাচনে দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির) ভরাডুবি হলে ইশিবা গত রোববার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এরপর অক্টোবরের শুরুতে তার দল নতুন প্রধানকে নির্বাচন করবে বলে জানা গেছে।

দলের হেভিওয়েট প্রার্থী মোতেগি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনস্থির করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে কঠিন সমস্যা সমাধান করে আমাদের দেশ জাপানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

১১ মাসের অস্থিরতার মধ্যে, ইশিবাকে আগে নির্ভরযোগ্য হিসেবে দেখা হতো। তবে তিনি সংসদের উভয় কক্ষেই তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেন।

১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে শাসন করে আসা এলডিপির জন্য এটি একটি বড় ধরনের ধাক্কা। ৬৯ বছর বয়সি এলডিপির সাবেক মহাসচিব মোতেগি আগামী দিনে আবির্ভূত হতে পারেন, এমন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন।

হার্ভার্ড-শিক্ষিত এই রাজনীতিবিদকে শক্তিশালী ইংরেজিতে কথা বলার জন্য ‘ট্রাম্প হুইস্পেরার’ বলা হতো। কারণ তিনি মার্কিন-জাপান বাণিজ্য আলোচনায় দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছিলেন।

আরেকজন প্রার্থী হলেন ৬৪ বছর বয়সি কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং এক সময়ের হেভি মেটাল ড্রামার সানা তাকাইচি। তিনি ২০২৪ সালে ইশিবার কাছে হেরে গিয়েছিলেন। শিনজিরো কোইজুমিও (৪৪) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

শিনজিরো সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। তিনি সম্প্রতি ইশিবার কৃষিমন্ত্রী হিসেবে চালের দাম কমানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ইশিবার শীর্ষ সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি ও সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তামন্ত্রী তাকায়ুকি কোবায়াশি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন।

দলের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, এলডিপি এই সপ্তাহে কখন এবং কীভাবে তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন- তা নিয়ে আলোচনা করবে। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নতুন নেতার এখনো সংসদের উভয় কক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।


মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ-অঞ্চল নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’স্বপ্ন দেখছেন নেতানিয়াহু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মাস খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি নিজেকে ‘ব্যাপকভাবে’ ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার সঙ্গে যুক্ত মনে করেন। তার এই বক্তব্যের পর, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগে ওঠে যে, নেতানিয়াহু আসলে বৃহত্তর ইসরায়েল বলতে কোন কোন দেশ বা অঞ্চলকে বোঝাচ্ছেন।

নেতানিয়াহুর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’সংক্রান্ত মন্তব্যের পরে অনেক আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে। দেশগুলো নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে তাদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণাটিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে এই ধারণা মূলত দীর্ঘ সময় ধরে চরম জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলি তথা জায়নবাদীদের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এই ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ প্রায়শই এমন এক ভিশন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে ভূখণ্ড সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি সিরিয়া, ইরাক, মিশর এবং সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অংশও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

তবে সংকীর্ণ অর্থে ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় যেসব ভূখণ্ড দখল করেছিল, সেগুলো বোঝাতেও এই শব্দবন্ধ ব্যবহৃত হয়। সে সময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করেছিল।

যদিও নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য সাম্প্রতিক এবং ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটি নতুন নয় এবং স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িতও নয়, তারপরও কিছু মানুষের কাছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আলোকে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।

‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটির জনক রাজনৈতিক জায়নবাদের জনক থিওডর হার্জল। তিনি তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন যে ইহুদি রাষ্ট্র ‘মিসরের প্রবাহ (নীলনদ) থেকে (ইরাকের ইউফ্রেটিস (ফোরাত নদী) পর্যন্ত’ বিস্তৃত হওয়া উচিত। এই বাক্যাংশটি হিব্রু বাইবেল বা তানাখের আদিপুস্তকের জেনেসিস অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। যেখানে আল্লাহ ইব্রাহিম এবং তার বংশধরদের ‘মিসরের প্রবাহ থেকে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত’ বিশাল ভূমি প্রদান করেছেন।

কিছু ইসরায়েলি আবার ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ বলতে তুলনামূলক কম বিস্তৃত একটি এলাকাকে বোঝেন। এই বিষয়ে ইহুদি ধর্মগ্রন্থ বুক অব ডিউটেরোনমি বা যা দ্বিতীয় আইন বইতে উল্লেখ রয়েছে। যেখানে আল্লাহ মূসাকে (আ.) নির্দেশ দেন ফিলিস্তিন, লেবানন, এবং মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার অংশ দখল করতে। আবার অনেকে শামুয়েলের কিতাব থেকে উদাহরণ টানেন। যেখানে রাজা শৌল ও দাউদের অধীনে দখলকৃত ভূখণ্ডের বর্ণনা আছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডান ও সিরিয়ার কিছু অংশ রয়েছে।

ইহুদিদের অনেকেই এই ধারণাকে কেবল রাজনৈতিক ধারণা মনে করেন না। বরং তাদের কাছে এটি এক ঐশ্বরিক আদেশ পূরণ এবং তারা যা নিজেদের জন্য অধিকারভুক্ত মনে করে সেই ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশটির সীমান্ত অস্থির ছিল। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে। এটি ইসরায়েলের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের প্রথম বড় সামরিক প্রচেষ্টা ছিল। পরে সিনাই মিসরের কাছে ফেরত দেওয়া হয় শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে, আর গোলান হাইটস আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করা হয়।

এই যুদ্ধের পর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণা নতুনভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষ করে ধর্মীয় জায়োনিস্টদের মধ্যে। ২০ শতকের শেষ দিকে, এই শব্দ বন্ধটিকে কিছু ইসরায়েলি ইতিহাস ও ধর্মীয় লক্ষ্য পূরণের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে ‘মুভমেন্ট ফর গ্রেটার ইসরায়েল’ নামক রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়, যা ১৯৭০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এটি দখলকৃত ভূখণ্ড রক্ষা এবং ইহুদি নাগরিকদের বসতি স্থাপনের পক্ষে কাজ করত।

বর্তমান ইসরায়েলি সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ উল্লেখ আরও সাধারণ হয়ে গেছে। গত বছর অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ইসরায়েলের সীমান্ত সম্প্রসারণের পক্ষে বক্তব্য দেন, যেখানে তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।

তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল ক্রমশ সব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড এবং জর্ডান, লেবানন, মিশর, সিরিয়া, ইরাক ও সৌদি আরবের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করবে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার উল্লেখ করে ধর্মীয় সূত্র টেনে তিনি বলেন, ‘লিখিত আছে যে, জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ হলো দামেস্ক পর্যন্ত প্রসারিত হওয়া।’

স্মতরিচ ২০২৩ সালে প্যারিসে ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির কর্মীর স্মরণসভায়ও একই ধরনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন। জর্ডানসহ ইসরায়েলের মানচিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ নামে কোনো কিছু নেই।’ অন্যান্য মন্ত্রী এবং এমপিরাও গাজায় ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করার পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন।


ট্রায়ালে সফল রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মরণব্যধি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল হয়েছে। যা এখন সব রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। রাশিয়ার ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সির (এফএমবিএ) প্রধান ভেরোনিকা স্কভোর্টসোভা ইস্টার্ন অর্থনৈতিক ফোরামে এ ঘোষণা দেন।

নতুন ভ্যাকসিনটির নাম এন্টারোমিক্স। এটি তৈরি হয়েছে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করার পর এটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে।

নতুন এই ভ্যাকসিন দুর্বল ভাইরাস ব্যবহারের পরিবর্তে মানব শরীরের কোষগুলোকে প্রোটিন তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর শরীর এমন প্রোটিন তৈরি করে যা ক্যানসার কোষগুলোকে আক্রমণ করে।

পরীক্ষায় কী দেখা গেছে?

ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি তিন বছরের প্রাক-ক্লিনিকাল পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বারবার ডোজ দেওয়ার পরেও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। সবচেয়ে ভালো ফলাফল হলো, কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ধরনের ওপর নির্ভর করে টিউমারের আকার ৬০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছোট হয়েছে বা সেগুলোর বৃদ্ধি অনেক কমে গেছে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে, এই ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

কোন ক্যান্সারে এটি কাজ করবে?

প্রাথমিকভাবে, এই ভ্যাকসিনটি কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। তবে বিজ্ঞানীরা গ্লিওব্লাস্টোমা (এক ধরনের দ্রুত বর্ধনশীল মস্তিষ্কের ক্যান্সার) এবং বিভিন্ন ধরনের মেলানোমা (গুরুতর ত্বকের ক্যানসার, যার মধ্যে চোখের মেলানোমাও অন্তর্ভুক্ত) এর জন্যও ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।


গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে। জোরপূর্বক উচ্ছেদের নতুন হুমকির পর শনিবার ভোর থেকে এই আক্রমণ শুরু হয় এবং দিনভর গাজার উত্তরাঞ্চলে বাড়িঘরে প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত থাকে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার এই অভিযানে অন্তত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাহায্যপ্রার্থী সাধারণ মানুষও ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এখনো হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করেছে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ হাজার ৭৬৮ জন নিহত এবং ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কারণে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।

গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদ গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেটিভোট শহরের দিকে দুটি রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা নেটিভোট শহর লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) রোববার জানায়, গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেটের মধ্যে একটি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। অন্যটি জনবসতিহীন খোলা জায়গায় পড়েছে। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় তীব্র অবরোধ ও আগ্রাসন সত্ত্বেও সেখানকার প্রতিরোধ যোদ্ধারা মাঝে মাঝে এমন হামলার মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায়। অন্যদিকে, ইসরায়েল সাধারণত এই ধরনের ঘটনার পর প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজা থেকে ইসরায়েলে বিচ্ছিন্নভাবে রকেট হামলার ঘটনা ঘটছে, যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলোকে আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বা জনবসতিহীন এলাকায় পড়েছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় কমপক্ষে ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন আহত হয়েছে। এছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজায় অনাহারে মৃত্যু বেড়ে ৩৮৭

গাজায় অনাহারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় তিন শিশুসহ আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছে।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৩৮ জনই শিশু। গ্লোবাল হাঙ্গার মনিটর আইপিসি গত ২২ আগস্ট উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে যে, সমগ্র উপত্যকাজুড়ে অনাহার ছড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, গাজা থেকে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে এবং অন্যটি একটি খোলা স্থানে পড়েছে।

ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ইসরায়েলে দুটি রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে গাজা সিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বহুতল ভবনটি গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চলমান যুদ্ধে কাছাকাছি সময়ের মধ্যে প্রথম বড় কোনো টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করল আইডিএফ।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তার এক্স একাউন্টে ভবনটি ধসে পড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘আমরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, হামলায় ধংস হয়ে যাওয়া সুসি টাওয়ারটি হামাস ব্যবহার করছিল। যদিও এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস। তবে হামলায় হতাহতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হামাসের আত্মসমর্পণ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে ইসরায়েলি সেনাদের তুমুল হামলার মধ্যেই তেল আবিব ফের হামাসকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে।

রোববার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার জেরুজালেমে সাংবাদিকদের বলেছেন, যদি হামাস বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেয় এবং অস্ত্র নামিয়ে রাখে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।

‘রাজনৈতিভাবে লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা বেশি খুশি হবো,’ সার এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েলি মন্ত্রীর এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম তাদের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না তবে সব জিম্মিদের ছেড়ে দিতে পারে, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয় এবং গাজা থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।

গত মাসে ইসরায়েল গাজার সবচেয়ে বড় শহরাঞ্চল দখলের অভিযান শুরু করে, এখন তারা গাজা সিটির কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।


মোদির আমলেই ফুলেফেঁপে উঠেছে ভারতের গরুর মাংস রপ্তানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস সরকারের সময়ে গরুর মাংস রপ্তানির বিরুদ্ধে ব্যাপক সরব হয়েছিলেন। তিনি ব্যঙ্গ করে এই রপ্তানির নাম দিয়েছিলেন ‘পিঙ্ক রেভল্যুশন’ ও দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস সরকার দেশের ১৪ শতাংশ মুসলমানকে খুশি করতে এই খাতকে উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের গরু ও মহিষের মাংস রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

বর্তমানে প্রতিবছর ভারত এ খাত থেকে আয় করছে প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতিবছর দেশটি প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার টন মাংস রপ্তানি করে। এর ফলে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাংস রপ্তানিকারক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল, আর ভারতের পরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

ভারতে গরু জবাইয়ের জন্য রাজ্য পর্যায়ে বিধি-নিষেধ থাকলেও, অভিন্ন কোনো জাতীয় আইন নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক শিথিল আইন থাকা রাজ্যে গরু পাচার করে মাংস রপ্তানি করে থাকেন। সমালোচকদের মতে, এই খাতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির চেয়ে আর্থিক বাস্তবতাই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

এদিকে, ভারতের মাংস রপ্তানির সিংহভাগই মহিষের মাংস বলে দাবি করা হলেও অনেকেই বলছেন, গরুর মাংসের পরিমাণও কম নয়। ভারতে বর্তমানে প্রায় ১১ কোটি ৫০ লাখ মহিষ রয়েছে, যা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে, ভারতের গরুর সংখ্যা ৭ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি।

ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুধ উৎপাদনকারী দেশ। দুধ দেওয়া শেষ হলে অনেক গরুই চামড়া ও মাংস শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ফলে গরুর মাংসও ভারতের বৈদেশিক রপ্তানি আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।

বর্তমানে ভারত ৬৫টি দেশে মাংস রপ্তানি করছে। উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে ভারতীয় মাংসের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। কারণ এসব মাংস আসে মুক্ত চারণভূমিতে লালিত গরু-মহিষ থেকে, যা তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত বলে বিবেচিত হয়। ভারতীয় মাংসের দামও অনেক সময় ব্রাজিল বা অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় কম, ফলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারত ক্রেতাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

আবার অর্থনৈতিক লাভের কারণে হিন্দু ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক হারে এই খাতে প্রবেশ করেছেন। ভারতের শীর্ষ ছয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটির মালিক হিন্দু উদ্যোক্তা। এর মধ্যে রয়েছে শতীশ ও অতুল সাবরওয়ালের আল-কাবির এক্সপোর্টস, সুনীল কাপুরের অ্যারাবিয়ান এক্সপোর্টস, মাদান অ্যাবটের এম.কে.আর ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টস ও এ.এস. বিন্দ্রার পি.এম.এল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ তথ্য প্রমাণ করে, ধর্মীয় বিভাজন থাকলেও অর্থনৈতিক লাভের কারণে হিন্দুরাও সক্রিয়ভাবে এ শিল্পে যুক্ত হচ্ছেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ভারতের রপ্তানিকৃত সব মাংসে হালাল সনদ দেওয়া হলেও, নাটকীয়ভাবে বিজেপি সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে হালাল সার্টিফিকেশন নিষিদ্ধ করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে লক্ষ্য রেখে হালাল মান বজায় রাখা হলেও দেশের ভেতরে ভিন্ননীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, মোদি ক্ষমতায় আসার আগে যেই শিল্পকে কটাক্ষ করেছিলেন, সেই মাংস রপ্তানি খাত তার আমলেই রেকর্ড আয়ে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকে এই খাত ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে ও বৈশ্বিক মাংস বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।


দ. কোরিয়া সফরের প্রস্তুতি ট্রাম্পের, সাক্ষাৎ হতে পারে কিমের সঙ্গে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের পরিকল্পনা করছেন। হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তা সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরের উদ্দেশ্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশগ্রহণ, যা দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অক্টোবরের শেষ দিক থেকে নভেম্বরের শুরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

এই সফরকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে তার একান্ত বৈঠকের সম্ভাব্য মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনো বৈঠক চূড়ান্ত হয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। গত মাসে এক ফোনালাপে শি চিন পিং ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। যার পাল্টা আমন্ত্রণও ট্রাম্প দিয়েছেন, তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া সফরের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতাই মূল ফোকাস হবে। এছাড়া বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার মতো ইস্যুগুলোও আলোচনায় স্থান পাবে বলে জানা গেছে।

সফরে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনয়নের সুযোগ হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন, যেমনটি তিনি তার পূর্ববর্তী সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরেও করেছেন।

এই সফর ট্রাম্পকে আবারও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের সুযোগ দিতে পারে-যদিও কিম সম্মেলনে অংশ নেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে রাজি। তিনি বলেন, আমি সেটি করবো এবং আমরা কথা বলব। কিম আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।


পদত্যাগ করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

উচ্চকক্ষের নির্বাচনে বিপর্যয়কর ফলাফলের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি রোববার জানিয়েছে, এই বিপর্যয়ের তার ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা নতুন নেতৃত্বের নির্বাচনের আয়োজনের চেষ্টা করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
৬৮ বছর বয়সী ইশিবা প্রায় এক বছর আগে দীর্ঘদিন প্রভাবশালী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
তারপর থেকে তিনি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান।
জাপানের সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বিভাজন এড়াতে ইশিবা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে আসাহী শিমবুন দৈনিক সংবাদপত্র বলেছে, পদত্যাগের আহ্বান বৃদ্ধির কারণে তিনি টিকে থাকতে পারেননি।
কৃষি মন্ত্রী ও সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে ইশিবার সঙ্গে দেখা করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এনএইচকে জানিয়েছে, ইশিবা দিনের শেষের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে, দলের দুই নম্বর নেতা হিরোশি মোরিয়ামাসহ চার জন সিনিয়র এলডিপি কর্মকর্তা পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জুলাই মাসে উচ্চকক্ষের ভোটের পর ইশিবার বিরোধীরা তাকে নির্বাচনের ফলাফলের দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, এই পদক্ষেপকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ৮৪ বছর বয়সী প্রভাবশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোও ছিলেন।
তবে আরও কিছু প্রবীণ সদস্য সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এলডিপির পুরনো ধাঁচের রাজনীতি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করছে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন চান এমন জাপান জুড়ে এলডিপি আইন প্রণেতা এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা সোমবার একটি অনুরোধ জমা দেবেন।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় নেতা হিসেবে ইশিবার মেয়াদ ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী সানা তাকাইচি মঙ্গলবার বলেছিলেন যে, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সানাকে একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী হিসেবে দেখা হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক চুক্তি ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান চাল নীতি পরিবর্তনের সরকারের সিদ্ধান্তের পর ইশিবার মন্ত্রিসভার প্রতি সমর্থন ফিরে আসছে।
ভোটাররা ২০২৪ সালের শেষ নেতৃত্ব নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী তাকাইচির প্রতি খুব একটা আগ্রহী নন।
পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ ইশিবা গত বছর তার পঞ্চমবারের প্রচেষ্টায় ‘নতুন জাপান’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলডিপির নেতা নির্বাচিত হন।


গাজামুখী তিউনিসিয়ার ত্রাণ নৌবহরের যাত্রা স্থগিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তিউনিসিয়া থেকে গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহরের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।

ইসরাইলের নৌ অবরোধ ভেঙে রোববার দেশটির ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীদের এই যাত্রা শুরু করার কথা ছিল।

শনিবার আয়োজকদের বরাত দিয়ে তিউনিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

আয়োজকরা বলেন, কিছু ‘কারিগরি ও লজিস্টিকসজনিত সমস্যা’র কারণে নৌবহরের যাত্রা পিছিয়ে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এ নৌবহরটি ইতোমধ্যে স্পেন ও ইতালি থেকে ছেড়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এর আগেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই বহরের যাত্রা বিলম্বিত হয়।


banner close