বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ইমরানকে বিষ প্রয়োগের শঙ্কা

ইমরান খান। ফাইল ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:৪৫

পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারে বন্ধী থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নিরাপত্তা বাড়াতে আদালতের দারস্থ হয়েছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। তিনি আশঙ্কা করছেন, তার স্বামী ইমরানকে কারাগারে বিষ প্রয়োগ করা হতে পারে।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবী লতিফ খোসার মাধ্যমে পিটিশন জমা দিয়েছেন। পিটিশনে কারাগারে ইমরানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান বুশরা বিবি। আগামী ৫ অক্টোবর এই পিটিশনের ব্যাপারে আদালতে শুনানি হবে। তোশাখানা মামলায় গত আগস্ট থেকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে ইমরান বন্দী ছিলেন। সম্প্রতি তাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:

বাহিনী গঠন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে হামাস-ফিলিস্তিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে হামাস ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবটি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে বলে এটিকে হামাস প্রত্যাখ্যান করলেও গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর পক্ষে ফিলিস্তিন সরকার। এদিকে গাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে ওয়াশিংটন কাজ করছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের উদ্যোগের মাঝেই লেবাননে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৩ জনকে হত্যা করেছে তেল আবিব।

২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনের ক্ষতচিহ্ন এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গাজাবাসী। কখনও ইসরাইলি আচমকা হামলা কিংবা কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত, সবকিছু মিলিয়ে দুঃখ আর দুর্দশাকে সাক্ষী রেখেই দিন কাটাচ্ছে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটির লাখ লাখ মানুষ।

আন্তর্জাতিক চাপ ও একের পর এক দেশের ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির মাঝে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। তবে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে ট্রাম্পের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি নিয়ে জানিয়ে আসছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।

এরইমধ্যে গত সোমবার ট্রাম্পের প্রস্তাব করা ২০দফা শান্তিচুক্তির বিষয়ে ভোটাভুটিতে অংশ নেয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। এতে পাস হয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবটি। তবে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে হামাস।

গত মঙ্গলবার হামাস জানায়, বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী গাজায় বহুজাতিক বাহিনী গঠন করা হলে ক্ষুণ্ণ হবে ফিলিস্তিনিদের অধিকার। ইসরাইলি মদতপুষ্ট দেশগুলোর সমন্বয়ে গাজায় শান্তি বাহিনী গঠন হলে তা রুখে দিতেও প্রস্তুত গোষ্ঠীটি।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেন, ‘প্রস্তাবে ইসরাইলি দাবিগুলো প্রাধান্য পেলেও ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে। নেতানিয়াহু চায় না যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকুক। বরং তিনি গাজায় নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত।’

তবে ভিন্ন কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তাবটিকে ইতিবাচক বলেছেন তারা।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারসেন আঘাবেকিয়ান শাহীন বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাব দীর্ঘমেয়াদী শান্তি অর্জনের একটি প্রথম ধাপ। লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিকে হোয়াইট হাউজে সৌদি যুবরাজের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত ডিনার অনুষ্ঠানে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘শান্তি পরিষদের আকার বড় হবে। কেননা এখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা থাকবেন। এমন অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা আগে কখনও হয়নি। এর সভাপতি হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

এদিকে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে সৌদি আরবকে ট্রাম্প বার বার চাপ দিলেও যুবরাজ সালমান বলছেন- দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ছাড়া তা সম্ভব নয়।

তবে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির কথা বললেও যুদ্ধবিরতি ভেঙে লেবাননের একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তেল-আবিবের দাবি, সন্ত্রাসীদের দমনে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে তারা। তবে অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন বলছে লেবানন সরকার।


পশ্চিম তীরে নির্যাতনকারী ইসরায়েলিদের বিচারের আওতায় আনা হবে: ঘোষণা নেতানিয়াহুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলে নির্যাতন-নিপীড়নকারী ইসরায়েলিদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে পশ্চিম তীরে (ইসরায়েলিদের) একটি ছোটো, চরমপন্থি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ছড়ানো এবং আইন নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পশ্চিম তীরের দাঙ্গাকারীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে পরিপূর্ণভাবে আইনের প্রয়োগ করতে আমি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি।

পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, পশ্চিম তীরে সহিংসতা বন্ধে আলাদাভাবে রসদ বরাদ্দ এবং অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিতে পারে ইসরায়েরের সরকার।

যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথলেহেম বর্তমান ফিলিস্তিনে অবস্থিত। সেই বেথলেহেমের নিকটবর্তী গ্রাম জাবায় গত সোমবার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর এবং যানবাহনে আগুন দিয়েছে ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা। এর আগে পশ্চিম তীরের সা’র গ্রামেও একই কাজ করেছে তারা।

গত সোমবার জাবায় দাঙ্গার পর জরুরি বৈঠকে বসে ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠক শেষে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের হামলা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে বিবৃতি দেয় ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভা। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা অহরহ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করছে এবং তাদেরকে পূর্ণমাত্রায় সমর্থন ও সুরক্ষা দিচ্ছে ইসরায়েলের সরকার।

ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভার এই বিবৃতি প্রদানের কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলি দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি দেন নেতানিয়াহু।

৫ হাজার ৬৫৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট পশ্চিমতীরে বসবাস করেন প্রায় ২৭ লাখ ফিলিস্তিনি। প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় পশ্চিম তীরকে। গাজায় যুদ্ধবিরতির পর থেকে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

খবর রয়টার্স’র।


আবার পরমাণু আলোচনায় প্রস্তুত তবে অবস্থান বদলাব না

সিএনএনকে কামাল খারাজি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা ফের শুরু করতে ইচ্ছুক ইরান যদি তা সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে করা হয়।

তেহরান থেকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে কামাল খারাজি বলেন, প্রথম পদক্ষেপ তাদেরই নিতে হবে এবং দেখাতে হবে যে, আমরা যে শর্ত দিয়েছি তাতে তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত এবং এটা হতে হবে সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে।

কামাল খারাজি আরও বলেন, বিষয়বস্তুর স্পষ্টতা এবং আলোচনার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এজেন্ডা আগে থেকেই প্রস্তুত করা হবে। দুর্ভাগ্যবশত, প্রেসিডেন্ট (ডনাল্ড) ট্রাম্প কূটনৈতিক আলোচনায় বিশ্বাস করেন না বরং লক্ষ্য অর্জনের জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে পছন্দ করেন।

সাক্ষাৎকারে খারাজি জানান, জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর পর থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে ইরানের শর্তগুলোর কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত আছে এবং থাকবে। কারণ বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং চিকিৎসার জন্য জ্বালানির প্রয়োজন।

খারাজি আরও বলেন, তেহরানের ক্রমবর্ধমান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আলোচনার বাইরে থাকবে। তার কথায়, ‘আমরা কেবল পারমাণবিক বিষয় নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করব।’

পরমাণুবিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু আলোচনার মাঝখানে জুন মাসে ইসরায়েল ইরানে আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে এবং ওয়াশিংটনকেও এতে টেনে আনে।

সাক্ষাৎকারে খারাজি বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে নয়, সমৃদ্ধকরণের মাত্রা হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার মূল্য আলোচ্য। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের সঙ্গে আরেকটি সংঘাতের বিষয়ে উদ্বিগ্ন কি না জানতে চাইলে খারাজি বলেন, সবকিছুই সম্ভব। তবে আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।


মাদুরো কেন ট্রাম্পের চক্ষুশূল?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার হলেও এই দুই দেশকে প্রতিবেশী বলা যায়। কেননা, দুই দেশেরই অবস্থান আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম পাড়ে। দুটি দেশই বৃহত্তর আমেরিকা মহাদেশের অংশ। কিন্তু, বন্ধু হওয়ার পরিবর্তে শত্রুতায় জড়ালো কেন দেশ দুটির সরকার? আর কেনই বা ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো হয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাশক্তিধর রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চক্ষুশূল?

তবে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ জটিল। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর সংঘাত মূলত তেল, রাজনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার মাদক চোরাকারবারিদের ওপর নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। ট্রাম্পও চাচ্ছেন ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালিয়ে দেশটির শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে।

গত ২ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার একটি নৌযানে মার্কিন সেনারা হামলা চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদের প্রসঙ্গটি বেশি করে সামনে চলে আসে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খনিজ তেল আছে। ২০২৩ সালের হিসাবে ৩০৩ বিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত আছে সেখানে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরবের আছে ২৬৭ বিলিয়ন ব্যারেল এবং ২০৮ বিলিয়ন ব্যারেল তেলের মজুত নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইরান।

সেই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ আছে ৫৫ বিলিয়ন ব্যারেল। বৈশ্বিক হিসাবে দেশটির অবস্থান নবম। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভেনেজুয়েলায় তেলের মজুদ পাঁচ গুণের বেশি।

ভেনেজুয়েলার মূল আয় তেল বিক্রি থেকে আসলেও বর্তমানে তা কমে গেছে। এ প্রসঙ্গে ইরাকের কথা মনে করা যেতে পারে। গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে- এমন অভিযোগ নিয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন মিত্র বাহিনী ২০০৩ সালে ইরাকের ওপর আগ্রাসন চালায়। পরে জানা যায়, ইরাকে সে ধরনের অস্ত্র নেই এবং সেখানে মার্কিন হামলার মূল লক্ষ্য ছিল তেল-গ্যাসের খনিগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া।

সেসময় আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল। তা হলো- ইরাকের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশের ‘চক্ষুশূল’। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ছিল রিপাবলিকান পার্টি। এবারও তারাই ক্ষমতায়। তাহলে মাদুরোকে কি দক্ষিণ আমেরিকার ‘সাদ্দাম’ হিসেবে বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন?

একটি ‘অভিযোগ’ সামনে এনে পুরোমাত্রার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন সেনারা? ইতোমধ্যে তারা ভেনেজুয়েলার প্রতিবেশী ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় সামরিক মহড়াও সেরে নিয়েছে। তবে এসবের পাশাপাশি মাদুরোর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোনদিকে যায় এখন যেন তাই দেখার বিষয়।


ভারত কেন ফেরত দিতে চাইবে না হাসিনাকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। রায়ের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ভারত কি তাকে ফেরত দেবে? এ নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে আল–জাজিরা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের মিত্রতা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তিনি নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যান। নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা চলার মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তদেজনা দেখা দেয়।

গত মঙ্গলবার ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করেছে। মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তির কথা উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নয়াদিল্লির জন্য ‘আবশ্যিক দায়িত্ব’। তারা আরও বলেছে, ভারত যদি হাসিনাকে ক্রমাগত আশ্রয় দিয়ে যায়, তাহলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অসম্মান।

তবে ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা আল–জাজিরাকে বলেছেন, প্রত্যর্পণ চুক্তিতে একটি ব্যতিক্রমের কথা বলা আছে। ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের’ক্ষেত্রে এ ব্যতিক্রমী ধারা ব্যবহার করা যাবে।

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা ঢাকা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ সত্ত্বেও তাকে ফেরত দেওয়া হয়নি। বিষয়টি ১৫ মাস ধরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। এখন হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় এই উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যদিও ভারত হাসিনা–পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। কয়েকজন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন,তারা এমন কোনো দৃশ্য কল্পনাও করতে পারছেন না যে নয়াদিল্লি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।

ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, নয়াদিল্লি কীভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে?

ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ভারতে হাসিনার উপস্থিতিটা ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে কাঁটা হয়ে থাকবে। তবে এর মধ্য দিয়ে ভারত তার মিত্রদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে সক্ষম হয়েছে।

নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক সঞ্জয় ভরধোয়াজ বলেন, ‘ভারত এই ঘটনাকে (হাসিনার মামলা) বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে।’

ভরধোয়াজ আল–জাজিরাকে বলেন, নয়াদিল্লি মনে করে, বর্তমানে বাংলাদেশে ‘ভারতবিরোধী শক্তি’ ক্ষমতায় আছে। ইউনূস প্রায়ই ভারতের সমালোচনা করেন। হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা বিক্ষোভ আন্দোলনের নেতা ও অংশগ্রহণকারীরাও প্রায়ই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লিকে দায়ী করেন।

ভরধোয়াজ মনে করেন, এসব দিক বিবেচনায় নিলে হাসিনাকে হস্তান্তর করার মানে হবে ‘ভারতবিরোধী শক্তিকে’ বৈধতা দেওয়া।

হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হাসিনার রায়ের বিষয়ে ভারত অবগত হয়েছে এবং তারা সব সময় সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে।

ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী আল–জাজিরাকে বলেন, এই সরকারের (বাংলাদেশ) অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে যাবে। কারণ, তারা বারবার বলতে থাকবে, ভারত আমাদের কাছে হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না।

পিনাক চক্রবর্তী মনে করেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সূচনা হতে পারে। যদিও নির্বাচনে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বড় বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্য বড় রাজনৈতিক শক্তি ভারতের সমালোচক। তবু নির্বাচিত প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করাটা ভারতের জন্য স্বস্তির হবে।

ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেন, হাসিনার বিষয়ে ভারত জটিলতার মধ্যে পড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে তার প্রতি জনগণের ক্ষোভকে তারা উপেক্ষা করতে পারে না।

শ্রীরাধা আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লি চাইবে, ভবিষ্যতে কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরুক। তিনি (হাসিনা) ভারতের জন্য সব সময়ই সর্বোত্তম পছন্দ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারতকে মানতে হবে, বাংলাদেশে হাসিনাকে আর কখনো সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর পরিবর্তে ভারতের উচিত, ঢাকার অন্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা।

শ্রীরাধা দত্ত বলেন, বর্তমানে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু আমাদের অবশ্যই এই নির্দিষ্ট এজেন্ডা (হাসিনার প্রত্যর্পণ) ছেড়ে এগিয়ে যেতে হবে।

শ্রীরাধা দত্ত মনে করেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যদি আর মিত্রতা না–ও থাকে, তবু তাদের একে অপরের প্রতি শিষ্টাচার বজায় রাখা প্রয়োজন।

ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ভারতে হাসিনার উপস্থিতিটা ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে কাঁটা হয়ে থাকবে। তবে এর মধ্য দিয়ে ভারত তার মিত্রদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে সক্ষম হয়েছে।

তবে কুগেলম্যান মনে করেন, এমন পদক্ষেপ নয়াদিল্লির জন্য দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সুবিধাও নিয়ে আসতে পারে।

কুগেলম্যানের মতে, হাসিনার রাজনৈতিক প্রভাব এবং তার দল আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা যায় না। হাসিনা একটি পুরোনো পরিবারকেন্দ্রিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখা যায়, এমন দলগুলো সাময়িকভাবে কঠিন সময়ের মধ্যে পড়ে, কিন্তু তারা পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায় না।


রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শনিবার আরাকান আর্মির (এএ) হামলায় অন্তত ৩০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। এখনও চলছে সংঘাত, জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে মানুষ। খাদ্য ও চিকিৎসার অভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী থাইন চাউং টাং ঘাঁটি দখল করার পর ওই এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এখানে চীনের বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প রয়েছে। এএর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানায়, আরাকান আর্মি আগে থেকেই মিনপিন গ্রামটির চারপাশে মাইন পেতে সেখানে থেকে সরে যায়। জান্তা সেনারা এলাকাটি নিরাপদ মনে করে ভেতরে প্রবেশ করেলেই আরাকান আর্মি গুলি চালায়। তারা ভেবেছিল এলাকা পরিষ্কার, কিন্তু আমরা জোর আঘাত হেনেছি।

তিনি বলেন, ‘সেনারা মনে করেছিল গ্রাম ফাঁকা, তাই তারা আরাম করে ভেতরে ঢোকে এবং এমনকি দল বেঁধে ছবি তুলছিল। সেই সময়ই এএ ভারী ও হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। অনেকেই মাইনে পা দেওয়ায় বিস্ফোরণে মারা যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা আরও বেশি। তবে ইরাবতী স্বাধীনভাবে জান্তা হতাহতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি। মিনপিনের আশপাশে লড়াই তীব্রতর হচ্ছে, জান্তা বাহিনী বিমান হামলা এবং ড্রোন মোতায়েন করছে। মূলত মিয়ানমারে নির্বাচন সামনে রেখে চলছে জান্তা ও বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই। রাখাইনের কিয়াকফিউ শহরে সম্প্রতি আরাকান আর্মি জান্তা সেনাদের ওপর আচমকা হামলা চালায়। সংঘর্ষের কারণে বহু গ্রাম থেকে মানুষ পালাচ্ছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, খাদ্য ও চিকিৎসার তীব্র অভাব, অসহায় পরিবারগুলো রয়েছে জরুরি সাহায্যের অপেক্ষায়। গ্রামগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে তেলের সরবরাহ ও ওষুধ আটকাচ্ছে জান্তা বাহিনী।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টি এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সামরিক জান্তা শুধু সিত্তে, কিয়াকফিউ ও মানাউং টাউনশিপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। তবে এবার কিয়াকফিউতেও বড় ধরনের হামলার মুখে পড়েছে জান্তা বাহিনী।


সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি আরবকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র হিসেবে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৌদি যুবরাজের সঙ্গে এক নৈশভোজে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান ন্যাটো-বহির্ভূত মিত্র হিসেবে মনোনীত করে আমাদের সামরিক সহযোগিতাকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছি, যা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

দুই দেশের মধ্যে একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ ঘোষণা দেয়া হলো। সৌদি গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিতে দুই দেশের যৌথ অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।

হোয়াইট হাউজের বিবৃতি অনুযায়ী, সৌদি যুবরাজের ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে আরো কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

মার্কিন প্রশাসন জানায়, দুই পক্ষ বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি নিয়ে একটি ‘যৌথ ঘোষণা’ অনুমোদন করেছে এবং এটিই আগামী কয়েক দশক ধরে বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতার আইনি ভিত্তি তৈরি করবে।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে এই সহযোগিতা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধের নিয়ম অনুসারে করা হবে। এছাড়া মার্কিন ট্রাম্প এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ একটি অস্ত্র বিক্রি চুক্তিও অনুমোদন করেছেন।


ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে জাতিসংঘ সমর্থন দিলে বেছে বেছে হত্যা করা হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘ যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে অগ্রসর হয়, তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) কর্মকর্তাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া উচিত হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী উগ্রপন্থি ইহুদি নেতা ইতামার বেন-গভির।

গত সোমবার ওৎজমা ইয়েহুদিত দলের এক সভায় বক্তৃতাকালে বেন-গভির শীর্ষ পিএ কর্মকর্তাদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করেন। একাধিক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

বেন-গভিরের হুমকির বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়, ‘যদি তারা ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং জাতিসংঘ একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বেছে বেছে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়াই উচিত হবে। কারণ, সবদিক থেকেই তারা সন্ত্রাসী।’

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা তদারক করে। তবে ইসরায়েলি নেতারা পিএর নেতৃত্বে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়ে রেখেছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে আলাদাভাবে বিবৃতি দিয়ে বেন-গভিরের এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের এ ধরনের মন্তব্য পদ্ধতিগত উসকানি।

মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের মন্তব্যের জন্য বেন-গভিরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধও জানানো হয়েছে।

গাজা যুদ্ধ শেষ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের করা একটি খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে সোমবার ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

এ প্রস্তাবে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা বাহিনী গঠনের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার কর্মসূচি শেষ করলে এবং গাজা পুনর্গঠন কাজ এগিয়ে গেলে ‘ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্রগঠনে একটি বিশ্বাসযোগ্য পথ তৈরিতে’ সমর্থন দেবে জাতিসংঘ।

ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রগঠনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ থাকায় এ প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েল ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

বেন-গভির বলেছেন, জাতিসংঘের ভোটে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা সামনে এগোলে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা উচিত।


মেক্সিকোতে হামলা চালাতে চান ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সপ্তাহ দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি জানিয়েছিল, মেক্সিকোতে যেকোনো সময় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। গণমাধ্যমটি হোয়াইট হাউসের ভূ-অভিযানের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছিলেন। গত সোমবার সেই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং টিভি নেটওয়ার্ক এনবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্ভাব্য হামলার খসড়াও প্রস্তুত করে ফেলেছেন। ট্রাম্পের চাওয়া লাতিন অঞ্চলে মাদকের বিরুদ্ধে চলা ‘যুদ্ধে’ মেক্সিকোকেও রাখতে। তার এমন ঘোষণার পর ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে দুদেশে।

সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘মাদক বন্ধ করতে আমি কি মেক্সিকোতে হামলা চালাতে পারি?’ পরে নিজেই দেন উত্তর, ‘আমার মনে হয় চালাতেই পারি। মেক্সিকোর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানে আমি কী চাই।’

ট্রাম্প এসময় বলেন, ‘আমরা মাদকে হাজারো মানুষের জীবন হারাচ্ছি। পানিপথ বন্ধ করেছি। কিন্তু আমরা প্রতিটি রুট জানি।’ সপ্তাহখানেক আগেও ট্রাম্প এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ‘সবগুলো মাদকের রুট জানি। প্রতিটি ড্রাগ লর্ডের ঠিকানা জানি। তাদের বাড়ির সামনের দরজা পর্যন্ত জানি। সবার সম্পর্কে সবকিছুই জানি।’

ট্রাম্প বা যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালাবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু কবে, কখন এবং কিভাবে হামলা চালাবেন, তা জানা নেই। ট্রাম্পও খোলাসা করেননি কিছু। তবে এনবিসি জানিয়েছে, অভিযানে মেক্সিকোর মাদক ল্যাব ও কার্টেল সদস্যদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার ওপর জোর দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম সম্ভাব্য হামলার ইস্যুতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার দেশের ভূখণ্ডে এমন কোনও হামলার তিনি ‘কঠোর বিরোধিতা’ করবেন।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক জেফ গারম্যানি বলেছেন, মেক্সিকো সিটির এই আপত্তি হয়তো গুরুত্ব না-ও পেতে পারে। তবে আইনি কিছু বাধা সামনে আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে।

গারম্যানি আল জাজিরাকে বলেন, মেক্সিকোতে মার্কিন হামলা বাস্তবে খুব বেশি ফল নাও দিতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, মেক্সিকোর মাদক কার্টেলগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। মেক্সিকো সরকারও গত ২০ বছর ধরে ঘোষিত ‘মাদক-বিরোধী যুদ্ধে’–দীর্ঘ, রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িত।


এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

সুন্দর পিচাই
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, মানুষ যেন এআই টুলের কথাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে।

বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানের এআই মডেলগুলো ভুল করার প্রবণতা রাখে এবং তাই এটিকে অন্যান্য টুলের পাশাপাশি ব্যবহার করা উচিত।

সুন্দর পিচাই বলেন, ফলে কেবল এআই-এর ওপর নির্ভরশীলতা নয়, প্রয়োজন একটি সমৃদ্ধ ইনফরমেশন ইকোসিস্টেম।

তিনি বলেন, এ কারণেই মানুষ গুগল সার্চ ব্যবহার করে। আমাদের আরও কিছু পণ্য আছে যা নির্ভুল তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি নির্ভরযোগ্য।

পিচাই আরও বলেন, সৃজনশীল লেখালেখির মতো কাজে এআই টুল খুবই সহায়ক হলেও, মানুষকে শিখতে হবে কোন কাজে এগুলো ভালো এবং কোন ক্ষেত্রে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করাই ভালো।

তিনি বিবিসিকে বলেন, যতটা সম্ভব নির্ভুল তথ্য দিতে আমরা অসংখ্য কাজ করি—কিন্তু বর্তমান অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তিও এখনো ভুল করে।

এদিকে প্রযুক্তি দুনিয়ায় গুগলের নতুন ভোক্তাবিষয়ক এআই মডেল জেমিনি ৩.০ বেশ আলোচনায় রয়েছে, যা ধীরে ধীরে চ্যাটজিপিটির কাছ থেকে বাজারের অংশ পুনরুদ্ধার করছে।

গত মে মাস থেকে গুগল তাদের সার্চে ‘এআই মোড’ চালু করেছে, যেখানে জেমিনি চ্যাটবটকে যুক্ত করা হয়েছে—এটি ব্যবহারকারীদের যেন কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা দেয়।


যুক্তরাষ্ট্র সফর দিয়ে ফের আলোচনায় সৌদি যুবরাজ

যুবরাজ সালমান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র সফর দিয়ে ফের আলোচনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের পর অনেকটা ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ঘটনার সাত বছর পর প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে গিয়ে বৈশ্বিক মঞ্চে ফিরছেন এমবিএস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার মঙ্গলবারের বৈঠক প্রমাণ করে, বিতর্ক ও সমালোচনা পেছনে ফেলে দুই দেশের স্বার্থভিত্তিক সম্পর্ক এখনো অটুট।

২০১৮ সালে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি যুবরাজকে ‘একঘরে’ বলা হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নিজেকে একজন শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরছেন। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা এবং সিরিয়াকে আরব লিগে ফেরানোর মধ্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। একসময় ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য যাকে ‘উদাসীন ও বেপরোয়া’ নেতা বলা হয়েছিল, সেই এমবিএস এখন আন্তর্জাতিক কূটনীতির অন্যতম আলোচিত চরিত্র।

মাত্র এক দশকের মধ্যে সৌদি সমাজে ঘটে গেছে নজিরবিহীন পরিবর্তন। ধর্মীয় পুলিশের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া, ধর্মীয় নেতাদের প্রভাব কমানো, নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ও পুরুষদের সঙ্গে অবাধ সামাজিক মেলামেশার সুযোগ—এমন পরিবর্তন সৌদি ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি।

একসময় বাধ্যতামূলক কালো আবায়া ও হিজাবে ঢাকা সৌদি নারীরা আজ অংশ নিচ্ছেন ফ্যাশন শোতে; রিয়াদে আয়োজিত কনসার্টে জেনিফার লোপেজ, কামিলা ক্যাবেলোসহ বিশ্ব তারকারা অংশ নিচ্ছেন। হলিউড অভিনেত্রী হ্যালি বেরি ও মনিকা বেলুচ্চির মতো তারকাদের উপস্থিতি সৌদি আরবকে এক কঠোর রক্ষণশীলতা থেকে রূপান্তরিত করেছে আধুনিকতা ও বিনোদনের নতুন গন্তব্যে।

তবে এই মুক্তির পথ নির্মাতা যুবরাজ সালমান তার বিরোধীদের জন্য আরও কঠোর। বহু সমালোচক, কর্মী, এমনকি ক্ষমতাকেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কারাবন্দি বা নির্বাসিত করা হয়েছে। অর্থাৎ বার্তা পরিষ্কার—সংস্কার হবে, কিন্তু তা কেবল যুবরাজের শর্তে, আর আনুগত্য হবে তার মূল্য।

খাশোগি হত্যা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এমবিএসের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও তিনি তা অস্বীকার করেন। তবে দায়িত্ব স্বীকার করেন সৌদি শাসক হিসেবে।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছিলেন, সৌদি আরবকে ‘পরিত্যক্ত’ রাষ্ট্র বানাতে হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ফিরে যায় জ্বালানি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তিগত স্বার্থের বাস্তবতায়।

২০২৫ সালে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরা সেই সম্পর্ককে আরও উষ্ণ করেছে। সৌদি থেকে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি, প্রতিরক্ষা চুক্তি আর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় তা স্পষ্ট।

ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্লেষক স্টিভ ক্লেমন্সের মতে, যুবরাজের এই সফর হলো ‘প্রি-করোনেশন মোমেন্ট’, অর্থাৎ ভবিষ্যৎ রাজা হিসেবে তার অভিষেকের পূর্ব মুহূর্ত।


গাজায় আশ্রয়ের জন্য হাহাকার

শীতকালীন বৃষ্টিতে রোগব্যাধির শঙ্কা
ধ্বংসস্তূপের মাঝে গাজাবাসী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় শীতকালীন বৃষ্টির কারণে রোগব্যাধি বাড়ছে এবং আরও লোকজনের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতি আরও তাঁবু এবং জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো। তারা বলছে, আড়াই লাখেরও বেশি পরিবারের আশ্রয়স্থলের পাশাপাশি জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। খবর বিবিসির।

নরওয়েজ রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) মহাসচিব জ্যান এগেল্যান্ড বলেন, এই শীতে আমরা প্রাণ হারাতে যাচ্ছি। আমাদের শিশুরা এবং পরিবারের সদস্যরা মারা যাবে। তিনি বলেন, এটা আসলে খুবই হতাশাজনক যে, ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণের পর থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো হারিয়ে ফেলেছি। ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল যে, মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং ফিলিস্তিনিরা অসহনীয় কষ্ট সহ্য করবে না।

প্রায় দুই বছর ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিই এখন বাস্তুচ্যুত। গাজার বেশিরভাগ মানুষ এখন তাঁবুতে বসবাস করে, যাদের অনেকেই অস্থায়ী।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন ঝড়ের কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নর্দমার পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিবিসির এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিককে গাজা সিটিতে নিজের অস্থায়ী বাড়ির ভেতরের গোড়ালি পর্যন্ত গভীর জলাশয় দেখাতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফাতিমা হামদোনা নামের এক ফিলিস্তিনি নারী বলেন, আমার বাচ্চারা এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং আমাদের তাঁবুর কী হয়েছে তা দেখুন।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে খাবার নেই, সব আটা ভিজে গেছে। আমরা ধ্বংস হয়ে যাওয়া মানুষ। আমরা কোথায় যাব? এখন আমাদের যাওয়ার জন্য কোনো আশ্রয়ও নেই।

দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরেও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে নিহাদ শাবাত নামের এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমাদের কাপড়, গদি এবং কম্বল ডুবে গেছে। সোমবার তিনি তার জিনিসপত্র শুকানোর চেষ্টা করছিলেন।

তার পরিবার চাদর এবং কম্বল দিয়ে তৈরি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুমাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আবারও বন্যার আশঙ্কা করছি। আমাদের তাঁবু কেনার সামর্থ্য নেই। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে ৮০ শতাংশের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গাজা সিটির ৯২ শতাংশ ভবনই ধ্বংস হয়ে গেছে।

’ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ‌শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ‘শান্তি ও সমৃদ্ধি’ বয়ে আনবে বলে প্রশংসা করেছে ইসরায়েল। এক ‍বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর ‘শান্তি ও সমৃদ্ধি’ বয়ে আনবে।

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা সোমবার অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এই প্রস্তাবটি ১৩ ভোটে পাস হয়েছে। কোনো দেশ প্রস্তাবের বিরোধিতা না করলেও ভোটদানে বিরত ছিল চীন ও রাশিয়া।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি যে (মার্কিন) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে কারণ এটি গাজার পূর্ণাঙ্গ নিরস্ত্রীকরণ এবং উগ্রবাদমুক্তকরণের ওপর জোর দেয়।

তবে এই প্রস্তাব পাসের পর হামাস এক বিবৃতিতে এই আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, ‘গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে—এটি আমাদের জনগণ এবং প্রতিরোধের সব পক্ষই প্রত্যাখ্যান করে।’

হামাসের দাবি, গাজার ভেতরে দায়িত্ব পালন করলে যে কোনও আন্তর্জাতিক বাহিনী ‘নিরপেক্ষতা হারাবে’ এবং ‘ইসরায়েলের দখলদারির পক্ষে সংঘাতের অংশে’ পরিণত হবে।

সংগঠনটি বলেছে, আন্তর্জাতিক বাহিনী থাকলেও তা শুধু সীমান্তে, যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের কাজে এবং সম্পূর্ণ জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।

অপরদিকে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটকে ‘অবিশ্বাস্য সমর্থন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে একটি ‘বোর্ড অব পিস’ গঠন করা হবে, যার সভাপতি থাকবেন তিনিই।

এই বোর্ডে বিশ্বের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ও সম্মানিত নেতারা’ যুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। কাতার, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক এবং জর্ডানসহ যেসব দেশ উদ্যোগটিকে সমর্থন করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প।

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া ছিল, তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা সুরক্ষিত রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অবশ্য গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবি পূরণ করে না। টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী মানতে রাজি নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া—যেমন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা—এই বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেবে। খসড়া অনুযায়ী, আইএসএফ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা। পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুটগুলো নিরাপদ রাখা।


ক্ষমতার চূড়া থেকে মৃত্যুদণ্ডের মঞ্চে যেসব সরকারপ্রধান

প্রথম চার্লস, জুলফিকার আলী ভুট্টো, সাদ্দাম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন সময় আদালতের রায় বা বিপ্লবীদের হাতে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহ, সংবিধান লঙ্ঘন থেকে শুরু করে বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র—বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। ফায়ারিং স্কোয়াড, ফাঁসি, গিলোটিনের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল এসব নেতার।
ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সেই ঘটনাগুলোর সারসংক্ষেপ নিচে তুলে ধরা হলো-
ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লস
১৬৪৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসকে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং পার্লামেন্টের সঙ্গে বিরোধের জেরে রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তার এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাজা প্রথম চার্লসের মৃত্যুদণ্ড ইংরেজ গৃহযুদ্ধের পরিণতি এবং সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের জন্ম দেয়, যা আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে।
ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই
১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি, ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুইকে প্যারিসের রিভোল্যুশনারি ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ফরাসি বিপ্লবের সময় রাজতান্ত্রিক শাসন এবং জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে গিলোটিনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই ঘটনা বিপ্লবীদের জয়ের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা ইউরোপীয় রাজতন্ত্রের পতনের সূচনা করে।
হাঙ্গেরির ইমরে ন্যাগি
১৯৫৮ সালের ১৬ জুন বুদাপেস্টে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় হাঙ্গেরির সমাজতান্ত্রিক নেতা ইমরে ন্যাগির। ১৯৫৬ সালের ব্যর্থ বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তবে এটি একটি ‘শো ট্রায়াল’ হিসেবে পরিচিত, যা পরবর্তীকালে হাঙ্গেরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি নিজেরাই অবৈধ বলে স্বীকার করে।
পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টো
১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল রাওয়ালপিন্ডি জেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর। ১৯৭৪ সালে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নওয়াব মোহাম্মদ আহমদ খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে লাহোর হাইকোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে পাকিস্তানে এই ঘটনা ‘জুডিশিয়াল মার্ডার’ হিসেবে বিবেচিত, যা পরবর্তীকালে দেশটির সুপ্রিম কোর্টও ‘বিচারিক ব্যর্থতা’ বলে ঘোষণা করে।
ইরানের আমির-আব্বাস হোবেইদা
১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল ইসলামী বিপ্লবের পর ইরানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আমির-আব্বাস হোবেইদাকে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন এবং দুর্নীতির অভিযোগে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির অধীন হোবেইদার সরকারকে বিপ্লবীদের ‘দমনকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে তার বিচার ছিল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। অনেকের মতে, এটি বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ডের খুব কাছাকাছি ছিল।
রোমানিয়ার নিকোলাই চাউশেস্কু
১৯৮৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট নিকোলাই চাউশেস্কু এবং তার স্ত্রী এলেনাকে একটি দ্রুত বিচারে গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই ঘটনা ইউরোপের কমিউনিস্ট শাসনের পতনের সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত হিসেবে পরিচিত।
ইরাকের সাদ্দাম হোসেন
২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ইরাকি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা (১৯৮২ সালের দুজাইল গণহত্যা) এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। দেশটিতে মার্কিন অভিযানের পর এই বিচার আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে, যদিও এর নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
ইতিহাস পর্যবেক্ষকদের মতে, এই মৃত্যুদণ্ডগুলো শুধু আইনি সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাজনৈতিক বাস্তবতার ফলাফল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতার পরিবর্তন, অভ্যুত্থান বা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসব বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহ—এই দুই অভিযোগেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড হয়েছে সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানদের।


banner close