বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে এক হওয়ার আহ্বান হামাস প্রধানের

ফাইল ছবি
আপডেটেড
৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৬

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একজোট হতে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া।

গত রোববার পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (জেইউআইএফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। কাতারে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে হামাসের সাবেক প্রধান খালেদ মিশালও উপস্থিত ছিলেন। খবর জিও নিউজের।

জেইউআইএফ মুখপাত্র আসলাম ঘৌরি বলেছেন, উভয় পক্ষ ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আলোচনায় পাকিস্তানের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক হামাস নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন।

এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া পোস্টে মাওলানা ফজলুর রহমান গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

মাওলানা ফজলুর রহমান কাতারে বসে আরব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর পথ বের করার আশা করেন।

বৈঠকে ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনের মুখে মুসলিম উম্মাহকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।

এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাসী প্রায় এক মাস ধরে ইসরায়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিয়মিত প্রাণহানি দেখছে। নিহতের সংখ্যা মানুষকে হতবাক করছে।

আল জাজিরা গতকাল সোমবার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার ৯২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি।

বিষয়:

চীনের এই বিমান উড়বে ২৯ ঘণ্টা, পাড়ি দেবে ২০ হাজার কিমি  

আপডেটেড ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চীনের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট ২৯ ঘণ্টা আকাশে উড়ে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। দেশটির সাংহাই থেকে যাত্রা শুরু করে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে ইজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে ফ্লাইটটি। এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম বাণিজ্যিক ফ্লাইট, যা পার করবে প্রায় অর্ধেক পৃথিবী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডন্ট জানিয়েছে, ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ২টায় সাংহাই থেকে উড্ডয়ন করে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বুয়েনস এইরেসে অবতরণ করে।

যাত্রাপথে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে জ্বালানি ভরার ও ক্রু পরিবর্তনের জন্য স্বল্প বিরতি নেয়। এই বিরতির কারণে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম ননস্টপ ফ্লাইট না হলেও, মোট সময় এবং দূরত্বের ভিত্তিতে এটি বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম বাণিজ্যিক এয়ারলাইন রুট।

সাংহাই থেকে আর্জেন্টিনা পর্যন্ত যাত্রায় ফ্লাইটটির সময় লাগে ২৫ ঘণ্টারও বেশি। ফিরতি পথে আরও চার ঘণ্টা যোগ হয়। রুটটি উদযাপন করে সাংহাই, অকল্যান্ড এবং বুয়েনস এইরেস—তিন শহরেই বিশেষ অনুষ্ঠান হয়।

৩১৬ আসনবিশিষ্ট বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এখন থেকে সারা বছর সপ্তাহে দুবার এই রুটে চালানো হবে। চায়না ইস্টার্ন জানায়, এ রুটটি দক্ষিণ আমেরিকার প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সাংহাইয়ের সরাসরি সংযোগের ঘাটতি পূরণ করবে এবং আর্জেন্টিনার দ্রুত বাড়তে থাকা পূর্ব এশীয় প্রবাসী সম্প্রদায়কে সুবিধা দেবে।

এতে করে ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের নিউইয়র্ক–সিঙ্গাপুরের প্রায় ১৯ ঘণ্টার ননস্টপ ফ্লাইটকে পিছনে ফেলে বিশ্বের দীর্ঘতম বাণিজ্যিক রুটের মর্যাদা পেয়েছে।

তবে এটি বেশিদিন হয়ত রেকর্ড হিসেবে থাকবে না। অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স ‘প্রজেক্ট সানরাইজ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিডনি থেকে লন্ডন ও নিউইয়র্ক পর্যন্ত ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই ফ্লাইটটি ২২ ঘণ্টার ননস্টপ ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। ২০,০০০ লিটার অতিরিক্ত জ্বালানি ধারণক্ষমতা যুক্ত বিশেষ এয়ারবাস উড়োজাহাজ দিয়ে ২০২৭ সালে এই রুট চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে কোয়ান্টাস।


মদ বিক্রির নিয়ম আরও শিথিল হলো সৌদি আরবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উচ্চ আয়ের অমুসলিম বিদেশি বাসিন্দাদের অ্যালকোহল কেনার অনুমতি দিয়ে মদ বিক্রির বিধিনিষেধ আরও শিথিল করেছে সৌদি আরব। শুধু আয়ের প্রমাণপত্র দেখিয়ে রিয়াদের একমাত্র মদের দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন বিদেশিরা।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাসিক আয় ৫০ হাজার রিয়াল (১৩ হাজার ৩০০ ডলার) বা তারও বেশি এমন অমুসলিম বিদেশি বাসিন্দারা সৌদি আরবে অ্যালকোহল কিনতে পারবেন।

গত বছর এই দোকানটি প্রথমে বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য খোলা হয়েছিল। সম্প্রতি ‘প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি’ থাকা অমুসলিমদের জন্যও এর প্রবেশাধিকার বাড়ানো হয়েছে।

এই পরিবর্তন নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানায় ব্লুমবার্গ।

সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা ব্লুমবার্গকে জানান, দোকানটিতে ক্রেতারা মাসিক পয়েন্ট-ভিত্তিক ভাতা ব্যবহার করে অ্যালকোহল কিনতে পারেন।


যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জলদস্যুতার অভিযোগ ভেনিজুয়েলার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের ট্যাংকার জব্দ করার ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ ও ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সরকার। ভেনিজুয়েলা বলছে, তাদের তেল ও খনিজসম্পদ লুটপাটের উদ্দেশেই যুক্তরাষ্ট্র এই পরিকল্পিত আগ্রাসন চালাচ্ছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে নিকোলাস মাদুরোর সরকার এ অভিযোগ করে। এর আগে আজই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন কর্মকর্তারা ভেনিজুয়েলার ট্যাংকার জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ট্যাংকার দখলের ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করে ভেনিজুয়েলা সরকার বলেছে, ট্রাম্প এই ‘হামলার’ দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ভেনিজুয়েলার তেল সম্পদ দখল করা। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসন মূলত জ্বালানি সম্পদ লুণ্ঠনের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী আগ্রাসনের আসল কারণ অবশেষে সবার সামনে এসেছে। 'এটি অভিবাসন, মাদক পাচার, গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের কোনো বিষয় নয়। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, আমাদের তেল ভেনিজুয়েলার জনগণের একচ্ছত্র মালিকানাধীন সম্পদের বিষয়, উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই কাজকে ‘সাম্রাজ্যবাদী আচরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ভেনিজুয়েলা বলেছে, তারা এই ‘গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের’ বিরুদ্ধে বিদ্যমান সব আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে অভিযোগ জানাবে। একই সঙ্গে সার্বভৌমত্ব, প্রাকৃতিক সম্পদ ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় দৃঢ় সংকল্প নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে কারাকাস।

এর আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেন মার্কিন সামরিক বাহিনী ভেনিজুয়েলার কাছে একটি বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, জব্দ করা জাহাজটি একটি ‘অবৈধ তেল পরিবহন নেটওয়ার্কের’ সঙ্গে যুক্ত ছিল, যা বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সহায়তা করত।

বিবিসির মার্কিন সহযোগী সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘দ্য স্কিপার’ নামের ওই ট্যাংকার জব্দ করার অভিযানে দুটি হেলিকপ্টার, কোস্ট গার্ডের ১০ সদস্য, ১০ জন মেরিন সেনা এবং স্পেশাল ফোর্স অংশ নেয়।


ভারতের নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ড মালিক দুই সহোদর থাইল্যান্ডে আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব বার্চ বাই রোমিও লেনে অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিংয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নাগেশ সিং জানান, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর এক দিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করেন এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাদের হাত বাঁধা রয়েছে।

এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তারা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

গত রোববার ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’-র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।

আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে, তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশির ভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন। তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।


মিয়ানমারে হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলা, নিহত ৩৩

হামলাকে যুদ্ধাপরাধ উল্লেখ করে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি আরাকান আর্মির
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-ইউ শহরে একটি হাসপাতালে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭৬ জন। আরাকান আর্মি ও স্থানীয়দের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সাহায্যকর্মী ওয়াই হুন অং বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, জান্তা সরকার ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন করতে চায়। অথচ এমন সময়ে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ম্রাউক-ইউ জেনারেল হাসপাতাল লক্ষ্য করে সামরিক বিমান থেকে ৫০০ পাউন্ডের দুটি বোমা ফেলা হয়। একটি বোমা রোগীদের ওয়ার্ডে ও অপরটি হাসপাতালের ফার্মেসিতে আঘাত করে।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখা জানান, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী। এক মাস বয়সি এক শিশুও রয়েছে। মরদেহের অবস্থা খারাপ হওয়ায় কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া আহতদের মধ্যে ২৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান আরাকান আর্মির মুখপাত্র।

খাইং থুখা বলেন, ‘নিহতদের বেশিরভাগই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ছিলেন। রাখাইনে প্রায় সব যুদ্ধে হেরে যাওয়ার কারণে জান্তা বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে।’

এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ উল্লেখ করে জান্তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

হামলায় স্ত্রী, পুত্রবধূ ও বাবাকে হারিয়েছেন ৬১ বছর বয়সি মং বু। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘কেউ একজন আমাকে জানায় হাসপাতালে বোমা হামলা হয়েছে। ওই সময় ওইখানে আমার পরিবার ছিল। আমি বুঝতে পারি কেউ আর বেঁচে নেই।’

আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে মিয়ানমারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জান্তা সরকার। তবে এ নির্বাচন কেবলমাত্র তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাখাইনে ১৭টি শহরের মধ্যে ৩টি বাদে বাকি সবগুলো আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত চলছে।

সম্প্রতি, জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমানবাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী—২০২৪ সালে মিয়ানমারে বিমান হামলার ঘটনা ছিল ১ হাজার ৭১৬টি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বিমান হামলা হয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি।

২০২৩ সালে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টি থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত করে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি বর্তমানে বেলজিয়ামের চেয়েও বড় একটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।


পাকিস্তানে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ফাইজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেটেড ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক ফাইজ হামিদকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে অন্যদের ক্ষতি করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল। দীর্ঘ ও বিস্তারিত আইনি প্রক্রিয়ার পর পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টের একাধিক ধারা ভঙ্গের দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নথি অনুযায়ী, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি বেসরকারি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছিলেন বলেও প্রমাণিত হয়েছে।

ইমরান খান সরকারের সময় অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ফাইজ হামিদকে একসময় সেনাপ্রধান পদের অন্যতম শক্তিশালী দাবিদার মনে করা হতো। তবে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির কিছুদিন পরই তিনি আগাম অবসরে যান। আদালতের এই রায়ের ফলে তাকে সব ধরনের সামরিক পদবি ও মর্যাদা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোতে আইএসআই প্রধানের পদটিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর হিসেবে বিবেচনা করা হয়, আর সেই পদে থাকা ব্যক্তির এমন শাস্তি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।


গোয়ায় অগ্নিকাণ্ড: দেশ ছেড়ে পালিয়েও রক্ষা হলো না, থাইল্যান্ডে গ্রেফতার ক্লাবের দুই মালিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার একটি নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জন নিহতের ঘটনায় পলাতক দুই মালিককে অবশেষে থাইল্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং বিবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের খুব শীঘ্রই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে।

অভিযুক্ত দুই ভাই, গৌরব লুতরা ও সৌরভ লুতরা, গোয়ার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নামক নাইটক্লাবটির মালিক। গত রবিবার ভোরে ক্লাবটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি বা ফায়ারওয়ার্কস ব্যবহারের কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। এ মর্মান্তিক ঘটনায় ২৫ জন প্রাণ হারান, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন ক্লাবের কর্মী এবং পাঁচজন পর্যটক। দুর্ঘটনার পরপরই দুই ভাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাইল্যান্ডের ফুকেট দ্বীপে আশ্রয় নেন।

তদন্তকারীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পরেই পুলিশ অভিযুক্তদের দিল্লির বাড়িতে অভিযান চালায়, কিন্তু ততক্ষণে তারা দেশত্যাগ করেন। এরপর তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হয়। এদিকে গ্রেফতারের ঠিক একদিন আগেই দিল্লির একটি আদালত তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা থেকে আইনি সুরক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পাশাপাশি গোয়া সরকার তাদের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছিল। যদিও অভিযুক্ত দুই ভাই জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে আদালতে তাদের আইনজীবী দাবি করেছেন যে, তাদের মক্কেলদের অন্যায়ভাবে এই ঘটনার বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।


সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বুলগেরিয়া: অনাস্থা ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দুর্নীতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানী সোফিয়াসহ কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আন্দোলনকারীরা অভিনব কায়দায় পার্লামেন্ট ভবনের দেয়ালে লেজার প্রজেকশনের মাধ্যমে ‘পদত্যাগ’, ‘মাফিয়া আউট’ এবং ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’-এর মতো স্লোগান ফুটিয়ে তোলেন।

এমন এক সময়ে দেশটিতে এই বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে, যখন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বুলগেরিয়া ইউরোকে তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে গ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী রোজেন ঝেলিয়াজকভের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান সরকার। বিগত চার বছরে দেশটিতে সাতবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার সর্বশেষটি ছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে। দীর্ঘদিনের এই রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজন দেশটিকে গভীর সংকটে ফেলেছে।

বিক্ষোভকারীরা মূলত বিচার বিভাগের সংস্কার ও মাফিয়া দমনের দাবি জানাচ্ছেন। সোফিয়ার বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়সী আন্দোলনকারী ডোবরি লাকভ বলেন, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার হলে দেশের বাকি সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের শক্তি সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। অন্যদিকে, আইটি বিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলিন বাহচেভানোভ বলেন, বুলগেরিয়ায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার এবং অভিজাততন্ত্র ও মাফিয়ার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার সময় এখনই।

এর আগে গত সপ্তাহে তীব্র জনরোষের মুখে সরকার ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। উচ্চতর রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের অর্থায়নের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ও লভ্যাংশের ওপর কর বৃদ্ধির সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। সরকার বাজেটের বিষয়ে পিছু হটলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাজপথের আন্দোলন থামছে না।


মিয়ানমারের হাসপাতালে জান্তার ভয়াবহ বিমান হামলা: ৩১ জন নিহত, আহত ৬৮

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একটি হাসপাতালে জান্তা সরকারের ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬৮ জন। বুধবার সন্ধ্যায় রাখাইনের ম্রাউক-ইউ শহরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ত্রাণকর্মী ওয়াই হুন আউং সংবাদমাধ্যমকে জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে সামরিক সরকারের একটি যুদ্ধবিমান হঠাৎ করেই ম্রাউক-ইউ শহরের ওই হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে। হামলার পরপরই হাসপাতালের বাইরে অন্তত ২০টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আরাকান আর্মির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বিমান হামলায় হাসপাতালের ১০ জন রোগী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক যাত্রা ব্যাহত হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকার বিরোধীদের দমনে আকাশপথে হামলা জোরদার করেছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী, যাকে তারা সংকট উত্তরণের পথ হিসেবে দাবি করছে। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এই নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টিই জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হারানো এলাকা পুনরুদ্ধার এবং বিদ্রোহীদের দমনেই জান্তা বাহিনী এমন হামলা চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হাসপাতালে এমন বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে জান্তা সরকারের কোনো মুখপাত্রের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আরাকান আর্মি এখন জান্তা সরকারের জন্য এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ চালু: ১০ লাখ ডলারে মিলবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এখন থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনী বিদেশিদের জন্য ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ নামে একটি বিশেষ দ্রুতগামী ভিসা স্কিম চালু করেছেন। বুধবার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি এই ঘোষণা দেন। এই কার্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ ডলার বা তার বেশি অর্থ খরচ করে দ্রুততম সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ মিলবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই পরিকল্পনায় গোল্ড কার্ডের প্রাথমিক মূল্য ধরা হয়েছে ১০ লাখ ডলার। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক চার্জসহ এই অংক দাঁড়াবে ২০ লাখ ডলারে। পাশাপাশি বিশেষ কর সুবিধাসম্বলিত ‘প্ল্যাটিনাম কার্ড’ নামে আরও একটি উচ্চমূল্যের স্কিম চালু হতে যাচ্ছে, যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ ডলার। তবে আবেদনের শুরুতেই ১৫ হাজার ডলারের অফেরতযোগ্য প্রক্রিয়াকরণ ফি জমা দিতে হবে এবং আবেদনকারীর পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত সরকারি ফিও প্রযোজ্য হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অসাধারণ মেধাবীদের সহজে ধরে রাখতে পারে, সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই কার্ড কেবল যোগ্য এবং যাচাইকৃত ব্যক্তিদেরই নাগরিকত্বের সুযোগ দেবে। গোল্ড কার্ড মূলত উচ্চস্তরের পেশাজীবীদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। আর যারা ৫০ লাখ ডলারের প্ল্যাটিনাম কার্ড কিনবেন, তারা দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করবেন বলে ট্রাম্প মনে করেন। এই ভিসাগুলোকে তিনি গ্রিন কার্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা সাধারণত পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের পথ সুগম করে।

এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন ওয়াশিংটন সাধারণ অভিবাসীদের ওপর কঠোর নীতি প্রয়োগ করছে। একদিকে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং ১৯টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, অন্যদিকে ধনীদের জন্য এমন সুযোগ তৈরি করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করছেন, এই নীতি সাধারণ অভিবাসীদের বঞ্চিত করে কেবল বিত্তশালীদের অন্যায্য সুবিধা দেবে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প দক্ষ বিদেশি কর্মীদের এইচ-১বি ভিসার আবেদন ফি এক লাখ ডলার করার আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন, যা প্রযুক্তি খাতে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এছাড়া বাইডেন প্রশাসনের সময় অনুমোদিত হাজার হাজার আবেদন পুনর্বিবেচনার ঘোষণাও দিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। সব মিলিয়ে একদিকে সাধারণ অভিবাসনে কড়াকড়ি এবং অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে নাগরিকত্বের সুযোগ—এই দ্বিমুখী নীতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে।


গাজায় এক দশকের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে। আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’

ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।

হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।

তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’


মায়ামির মেয়র নির্বাচনে জয়ী হলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আইলিন

আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে প্রায় তিন দশক পর একজন ডেমোক্র্যাট মেয়র হতে চলেছেন। তারর নাম আইলিন হিগিনস। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মায়ামির মেয়র নির্বাচনে (রানঅফে) তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পের শক্ত ঘাঁটি ফ্লোরিডার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মায়ামি হিস্পানিক অধ্যুষিত একটি শহর।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে সিএনএন এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) আইলিন হিগিনসের বিজয়ী হওয়ার কথা জানায়। মায়ামি-ডেড কাউন্টির সাবেক এই কমিশনার সে সময় তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী এমিলিও গঞ্জালেসের থেকে ১৮ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।

মায়ামির মেয়র নির্বাচন সাধারণত দেশব্যাপী খুব একটা মনোযোগ পায় না। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি দলনিরপেক্ষ স্থানীয় নির্বাচন। কিন্তু এ বছর মায়ামির মেয়র নির্বাচন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ, এটি ট্রাম্পের রাজনৈতিক ঘাঁটির মধ্যে ভোটারদের মনোভাব পরীক্ষা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

শুধু তাই নয়, তিনি মায়ামির প্রথম নারী মেয়র হতে চলেছেন। ১৯৯০–এর দশকের পর হিগিনসই প্রথম কোনো মেয়র প্রার্থী, যিনি হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর বাইরের এবং নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। হিগিনসের বড় ব্যবধানে জয় গত মাসের একাধিক নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়ের ধারাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে। ডেমোক্র্যাটদের জয়ের এই ধারা কংগ্রেসে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দিচ্ছে।

রিপাবলিকানদের জন্য ভোটের এই ফলাফল উদ্বেগেরও বটে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের থেকে হিস্পানিক সমর্থন কেড়ে নিয়েছিলেন। এখন সে সমর্থন দুর্বল হয়ে গেছে কি না, এ প্রশ্ন দলটির উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

৬১ বছর বয়সি হিগিনস ১৯৯৭ সালের পর প্রথম ডেমোক্র্যাট, যিনি মায়ামির মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। সেবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন হাভিয়ের সুয়ারেজ, যিনি বর্তমান রিপাবলিকান মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজের বাবা।

শুধু তাই নয়, তিনি মায়ামির প্রথম নারী মেয়র হতে চলেছেন। ১৯৯০–এর দশকের পর হিগিনসই প্রথম কোনো মেয়র প্রার্থী, যিনি হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর বাইরের এবং নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।

প্রায় ৪ লাখ ৮৭ হাজার বাসিন্দার শহর মায়ামির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী হিস্পানিক। এটি মায়ামি-ডেড কাউন্টির অংশ।

মায়ামি মেয়র নির্বাচনে প্রথম দফা ভোট হয় গত ৪ নভেম্বর। হিগিনস ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম হন, ১৮ শতাংশ ভোট নিয়ে তার পরেই ছিলেন গঞ্জালেস। কিন্তু কোনো প্রার্থী সরাসরি জয় নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। এ কারণে ভোট রানঅফে গড়ায়।

হিগিনস বা ৬৮ বছর বয়সি সাবেক সিটি ম্যানেজার ও অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন সেনা কর্নেল গঞ্জালেস কেউ–ই শুরুতেই স্পষ্টভাবে দলগত প্রচারণা চালাননি। কিন্তু বছরের শেষ ভাগে নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচন, নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনসহ আরও কয়েকটি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পরপর বিজয়ের পর মায়ামির মেয়র নির্বাচন দেশজুড়ে মনোযোগ পায়। এরপর গত ১৭ নভেম্বর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে গঞ্জালেসকে সমর্থন জানান এবং মায়ামির ভোটারদের প্রতি ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘বাইরে বের হন এবং এমিলিওর জন্য ভোট দিন। তিনি কখনো আপনাদের হতাশ করবেন না।’

ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি হিগিনসকে সমর্থন জানিয়ে পাল্টা পদক্ষেপ নেন, কয়েকজন প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাটও এতে অংশ নেন।


ইমরান খানের বোনদের অবস্থান ধর্মঘটে পুলিশের বাধা

আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে আদিয়ালা কারাগারের বাইরে অবস্থান নেন তার বোনেরা। ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান ধর্মঘটের পর সেখান থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে দেয় পুলিশ। এসময় জলকামান ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনী। খবর জিও নিউজের।

ইমরান খানের বোন আলিমা খানের নেতৃত্বে চলা এই অবস্থানে যোগ দেন পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা, পিটিআই কেপি প্রাদেশিক সভাপতি জুনায়েদ আকবর খানসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। পিটিআই বলেছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সাক্ষাতের অনুমতি থাকার কথা হলেও প্রতিবারই কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বোন নরিন খান, আলিমা খান এবং উজমা খানকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরাইন খানের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর বিক্ষোভকারীরা কারখানার চেকপয়েন্টে জড়ো হয়।

পুলিশ ইমরান খানের বোনদের কারাগারের পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করলে, পিটিআই কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে। এসময় বেশ কয়েকজন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের দাবি, আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, একারণে ব্যারিস্টার গোহর আলি খান এবং ইমরানের বোনদের কারাগারে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়।

কারাগারের চেকপয়েন্টে ইমরান খানের পরিবারের সদস্যদের থামিয়ে দেয় পুলিশ। সেখানে আলেমা খান বারবার পিটিআই কর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। বলেন, ‘পুলিশ আমাদের শত্রু নয়, তারা নিজেরা চাপের মধ্যে আছে।’


banner close