মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিপাইনে ৬.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

আপডেটেড
১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:২১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:০২

ফিলিপাইনের মিন্দানাও অঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভুত হয়। ভূমিকম্পটির গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে জানায় জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) বলছে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। আর এর উৎপত্তিস্থল ছিল মধ্যাঞ্চলীয় বুরিয়াস শহরের ২৬ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ৭৮ কিলোমিটার গভীরে। তবে ভুমিকম্প পরবর্তী কোনো সুনামি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফিলিপাইনের সিসমোলজি এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। আর এটির আফটারশক ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সিসমোলজি এজেন্সির পরিচালক তেরেসিটো বাকলকল জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা ধ্বংসাত্মক ছিল। তাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত। ফলে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

সূত্র: রয়টার্স, দ্য ইনডিপেনডেন্ট।


পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা বিকেলে

নোবেল পদক। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।

সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করবে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য নোবেলপ্রাইজ নামের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখা যাবে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার হিসেবে এবার ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

যৌথভাবে ২০২৪ সালের চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকান।

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নোবেল কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি ‘মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য’ ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রাভকানকে সোমবার চিকিৎসা বা ওষুধশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

১৯০১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান জার্মানির নাগরিক ভিলহেল্ম কনরাড রন্টগেন। এক্সরে বা রঞ্জন রশ্মি আবিষ্কার এবং এবং এ ধরনের রশ্মির যথোপযুক্ত ব্যবহারিক প্রয়োগে সফলতা অর্জনের জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।


হোয়াইট হাউসের সামনে সাংবাদিকের আত্মাহুতির চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের সামনে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা করেছেন এক ফিলিস্তিনপন্থি সাংবাদিক। ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ চলাকালীন আত্মাহুতির চেষ্টা করেন তিনি। আত্মাহুতির চেষ্টাকারী ফটোসাংবাদিকের নাম স্যামুয়েল মেনা জুনিয়র। স্থানীয় সময় শনিবার এ ঘটনা ঘটে। খবর: আনাদোলু এজেন্সি ও নিউইয়র্ক পোস্ট।

নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের এক বছরকে সামনে রেখে শনিবার ওয়াশিংটন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এ সময় গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকী সামনে রেখে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবি তোলেন তারা।

জানা গেছে, বিক্ষোভ চলার সময়ে হোয়াইট হাউসের সামনে ফটোসাংবাদিক স্যামুয়েল আত্মাহুতির চেষ্টা করেন। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরোধীর দাবিতে হওয়া আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তিনি নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিলিস্তিন ও লেবাননের পতাকা নিয়ে যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছিলেন ও স্লোগান দিচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। ঘণ্টাখানেক পর এক ব্যক্তি হঠাৎই আত্মাহুতির চেষ্টা করেন। তিনি তার বাঁ-হাতে আগুন ধরানোর পরপরই আশপাশের লোকজন পানি ঢেলে সেই আগুন নিভিয়ে দেন। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে চিৎকার করে বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক, আমরাই ভুল তথ্য ছড়াই।’

তিনি মূলত সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য সাংবাদিকদের দোষারোপ করেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে ও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করে। জানা গেছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার আঘাত প্রাণঘাতী নয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্যামুয়েল মেনা জুনিয়র সিবিএসের সঙ্গে যুক্ত একজন সাংবাদিক ও তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য ওই সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে চারজন ব্যক্তি গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আত্মাহুতির চেষ্টা করেছেন।


চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জিতলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন

ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চিকিৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা রাখার জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বা বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হয়। শুরুতেই দেওয়া হয় চিকিৎসায় অবদান রাখার জন্য নোবেল।

জুরি বলেছে, ‘তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন নীতি প্রকাশ করেছে যা মানুষসহ বহুকোষী জীবের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’ প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা।

সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ১৯০১ সালে জার্মান জীববিজ্ঞানী এমিল ফন বেরিং ডিপথেরিয়া রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর সিরাম থেরাপি বিষয়ে গবেষণার জন্য প্রথম লোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

সবশেষ গত বছর ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রথম দিন করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য দুই বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। নোবেল বিজয়ী ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান।


হিজবুল্লাহর ১৫০টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:১৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হিজবুল্লাহর ১৫০টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গত শনিবার দুপুর থেকে গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত হামলা চালিয়ে তারা একেরপর এক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আইডিএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে যারা থাকেন, তাদের প্রায় সবার বাড়িতে অস্ত্র বা বিস্ফোরক রেখেছে হিজবুল্লাহ।

ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল ওর ভোলোজিনিস্কি টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমরা হিজবুল্লাহর মাটির ওপরের এবং ভূ-গর্ভস্থ স্থাপনাগুলো ধ্বংসের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’

‘যতদিন এসব স্থাপনার সবগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ কাজ চলবে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ।

পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও।

গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক।

বিষয়:

গাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাতিসংঘের মহাসচিব

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি ও গোটা অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধের টেকসই সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে উভয় পক্ষ এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ একে অপরকে সম্মান করতে পারে এবং শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে একসাথে বসবাস করতে পারে।

মহাসচিব বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল নৃশংস, এতে শিশু ও নারীসহ এক হাজার ২৫০ জনেরও বেশি ইসরাইলি ও বিদেশি নিহত হয়। এই সময় তারা যৌন নিপীড়নসহ অবর্ণনীয় সহিংসতার শিকার হয়, যারা নিছক তাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত ছিল। সেদিন অনেক নারী ও শিশুসহ আড়াই শতাধিক লোককে জিম্মি করা হয়েছিল।

তিনি বলেন যে, ৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য হামাসের এই জঘন্য কর্মকাণ্ড ও মানুষকে জিম্মি করার ঘটনার সোচ্চার ও স্পষ্টভাবে নিন্দা জানানোর দিন। মহাসচিব তার বার্তায় বলেন, গত এক বছরে তিনি জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে তাদের প্রিয়জনের জীবন, আশা ও স্বপ্ন সম্পর্কে আরও জানতে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তাদের দুঃখ-কষ্টে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, জিম্মিদের পরিবারগুলোকে প্রতিদিন যে যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তা অকল্পনীয়। অবিলম্বে ও নিঃশর্ত সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসের উচিত আন্তর্জাতিক কমিটি অব রেড ক্রসকে (রেড ক্রিসেন্ট) এই জিম্মিদের পরিদর্শন করতে দেওয়া।

তিনি বলেন, ৭ অক্টোবর স্বাভাবিকভাবেই এই ভয়াবহ ঘটনায় নিহত ও তাদের প্রিয়জনদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার দিন। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ৭ অক্টোবরের পর ভয়াবহ সহিংসতা ও রক্তপাতের ঢেউ শুরু হয় এবং এক বছর আগে সেই ভয়ঙ্কর হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধ জীবন ধ্বংস করে চলেছে। এটি গাজার ফিলিস্তিনিদের এবং এখন লেবাননের জনগণের জন্য মারাত্মক মানবিক দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এটি জিম্মিদের মুক্তির সময়, বন্দুক স্তব্ধ করার সময়, এই অঞ্চলকে গ্রাস করেছে এমন দুর্ভোগ বন্ধ করার সময়। মহাসচিব শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন পুনরুদ্ধার এবং সমস্ত ভুক্তভোগী ও বেঁচে যাওয়াদের জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসারে সমস্ত জিম্মির মুক্তি, অঞ্চল জুড়ে দুর্ভোগের অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিশেষে তিনি বলেন, এত রক্তপাত ও বিভাজনের মধ্যেও আমাদের অবশ্যই আশা ধরে রাখতে হবে।


মালয়েশিয়ায় ১ দিনে ২১৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:৩৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

২১৪ বাংলাদেশিসহ ৬০২ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। কসমো অনলাইন ও সিনার হারিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় সেলাঙ্গর রাজ্যে একটি সমন্বিত অভিযানে এই অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযানে ১ হাজার ৯১ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এদের মধ্যে থেকে বৈধ কাগজপত্রহীন ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সি অন্তত ৬০২ (নারী-পুরুষ) অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্য স্টার অনলাইনকে সেলাঙ্গর মন্ত্রী দাতু সেরী আমিরুদ্দিন সারি বলেছেন, গ্রেপ্তার ৬০২ জনের মধ্যে ২১৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী বাংলাদেশি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন এবং আলজেরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩ এবং ব্যক্তি পাচারবিরোধী এবং অভিবাসী চোরাচালান আইন ২০০৭ এর অধীনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এই এলাকায় বিদেশিদের উপস্থিতির প্রবণতা দেখে গত মার্চ থেকে অপারেশনাল প্ল্যানিং করা হচ্ছিল। প্রাথমিক ফলাফল বিস্ময়কর ছিল। ১ হাজার ৯১ জন বিদেশির মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি ছিলেন অবৈধ অভিবাসী। তারা পাসপোর্ট বা ব্যক্তিগত কাগজপত্র রেখে পালানোর জন্য বিভিন্ন কারণ দেখায়, কেউ কেউ বলে যে তারা প্রতারিত হয়েছে। যেখানে বিদেশিরা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন সেসব জায়গায় অভিযান চলবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।


লেবাননে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল

ইসরায়েলি হামলার মুখে জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছেন লেবাননের বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

লেবাননের ভূখণ্ডে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ২৬১ জন নারী ও ১২৭টি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আল-জাজিরা ও বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা ১৫১। এ নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ২৬১ জন নারী ও ১২৭টি শিশু রয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতেও রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলোয় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল।

এদিকে, ইসরায়েলি হামলার মুখে লেবাননে ১২ লাখের বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। অব্যাহত বিমান হামলার মুখে রাজধানী বৈরুতের হাজারো বেসামরিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িঘর ছেড়েছেন।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত বছর থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গোষ্ঠীটির ওপর পাল্টা আক্রমণ চালাত ইসরায়েলও। তবে সম্প্রতি হিজবুল্লাহর ওপর হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর লেবাননজুড়ে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরায়েল।

বিবিসি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ব্যবহৃত কয়েক হাজার পেজারে একযোগে বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়। ওই বিস্ফোরণে নিহত কয়েকজনের জানাজার সময়ও সেখানে কিছু বিস্ফোরণ ঘটে। এ ছাড়া ওয়াকিটকিসহ যোগাযোগের নানা ধরনের তারহীন যন্ত্র বিস্ফোরণে নিহত হয় ২০ জন এবং আহত ৪৫০ জনের বেশি। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসারাল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করল হিজবুল্লাহ

লেবাননের সীমান্ত গ্রাম আদাইসেহতে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ বাহিনী। মধ্যরাতে আদাইসেহ নামের ওই গ্রামে হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। লেবাননে প্রবেশ করতে গত তিন-চারদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। তারা রাতারাতি আদাইসেহ নামের ওই সীমান্তবর্তী গ্রাম দিয়ে আবারও প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে আদাইসেহ গ্রামে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই হয়। ওই সময় ইসরায়েলি সেনারা পিছু হটে। আদাইসেহ গ্রামের লড়াই নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিবিসি। তবে এ ব্যাপারে তারা কোনো তথ্য জানাতে রাজি হয়নি।

এদিকে গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন কমান্ডারসহ প্রায় ২৫০ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি জানিয়েছেন দেশটি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি।

লেবাননে এবার মসজিদে ইসরায়েলি হামলা

লেবাননের দক্ষিণে এবার একটি হাসপাতালের পাশে মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গোয়েন্দাদের নির্দেশনায় বিমান বাহিনী রাতভর সালাহ গন্দুর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। ওই মসজিদে হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসীরা কমান্ড সেন্টার চালাচ্ছিল।

ইসরায়েল ও আইডিএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসীরা ওই কমান্ড সেন্টার ব্যবহার করছিল বলে বিবৃতিতে বলা হয়। সালাহ গন্দুর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অতর্কিত ইসরায়েলি হামলায় তাদের নয়জন মেডিকেল ও নার্সিং স্টাফ আহত হয়েছে।


ভারতে সচিবালয়ের তিন তলা থেকে লাফ দিলেন স্পিকার ও তিন এমপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের মহারাষ্ট্রের সচিবালয় ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন রাজ্যটির ডেপুটি স্পিকারসহ তিনজন সংসদ সদস্য। আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে ভবনটির তিন তলা থেকে তারা লাফ দেন। তবে ভবনের নিচে জাল থাকায় তারা রক্ষা পেয়েছেন।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের ধাঙড় গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির (এসটি) অন্তর্ভুক্ত করার দাবির প্রতিবাদে ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল এবং অন্য তিনজন আদিবাসী সংসদ সদস্য সচিবালয়ের তিন তলা থেকে ঝাঁপ দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ভবনির নিচে থাকা তারা তিনজনই আটকা পড়েন। কারও তেমন কোনো আঘাত লাগেনি। তাদেরকে নিরাপদে জাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সচিবালয়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধের চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে এই জাল স্থাপান করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনজন এমপি জাল থেকে নেমে আবার সচিবালয় ভবনে উঠছেন। চলতি বছরের শেষে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমন ঘটনা মহারাষ্ট্রে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পশ্চিম মহারাষ্ট্র এবং মরাঠাওয়াড়া অঞ্চলে ধাঙড় জনগোষ্ঠীর বসবাস। কয়েক বছর ধরেই তারা ভারত সরকারের কাছে জনজাতির স্বীকৃতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছে। গত মাসেই ধাঙড় গোষ্ঠীর এক নেতা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দাবি পূরণ না হলে তাদেরও শিন্ডেকে প্রয়োজন নেই।

গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশসহ মন্ত্রিসভার অন্য কর্মকর্তারা তফসিলি জনজাতি (এসটি) বিষয়ে বৈঠক করেন। এ সময় কয়েকজন আদিবাসী এমপি সচিবালয় কমপ্লেক্সে বিক্ষোভ করেন। ধাঙড় জনগোষ্ঠী বর্তমানে অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) বিভাগে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা এসটি বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে।


কমলা হ্যারিসের নতুন কৌশল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। রিপাবলিকান ও মধ্যপন্থি ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন তিনি। এ উদ্দেশ্যে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক সদস্য লিজ চেনির সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইসকনসিনকে গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ অঙ্গরাজ্যের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

গত মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান নেতা ডিক চেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দেন। ডিক চেনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন।

নিজ দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের জন্য হুমকি উল্লেখ করে এ ঘোষণা দেন তিনি। ডিক চেনির মেয়ে এবং সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা লিজ চেনিও কমলাকে সমর্থন দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান পার্টি থেকে সমর্থন পাওয়া নেতাদের মধ্যে এ দুজনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়। এ দুজনই ট্রাম্পকে সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মেনে নিতে চাননি। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল।

এবারের নির্বাচনে কমলা ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিসকে রিপাবলিকান ও এখনো সিদ্ধান্ত নেননি এমন ভোটারদের আস্থা অর্জন করা জরুরি। তবে আস্থা অর্জন করতে গিয়ে নিজের সমর্থকদের চটানো যাবে না। বিশেষ করে উইসকনসিনের মতো অঙ্গরাজ্যে দোদুল্যমান ভোটারদের আস্থা অর্জন করা কমলার জন্য বেশি জরুরি।

কমলা হ্যারিস ইতোমধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা থেকে ডানপন্থাঘেঁষা নীতি গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন, অভিবাসীদের প্রতি কঠোর নীতি, জ্বালানি খরচ কম করতে বিশেষ নীতি গ্রহণের মতো বিষয়। তবে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সামরিক বাহিনীতে কাজ করা সাবেক ও বর্তমান হাজারও রিপাবলিকান সেনা কর্মকর্তা, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থানীয় সরকারের অনেক কর্মীর সমর্থন সত্ত্বেও রিপাবলিকানদের আস্থা অর্জন করতে পারছেন না কমলা।

রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, গত ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে কমলা। তবে মাত্র ৫ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন, তারা কমলাকে সমর্থন করেন। ১০ শতাংশ বলেছেন, বিকল্প কাউকে চিন্তা করবেন।

লিজ চেনির সঙ্গে বৈঠকে তিনি রক্ষণশীল নীতিগুলো নিয়ে কাজ করায় তার প্রশংসা করতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবার প্রেসিডেন্ট হবেন এ বার্তা পুনর্ব্যক্ত করতে পারেন।


লেবাননে আবারও ইসরায়েলের বিমান হামলা, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৪৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, লেবাননে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধে অন্তত আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য বৈরুতকে লক্ষ্য করে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৬ জন নিহত ও ৮৫ জন আহত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ২৪০টির মতো রকেট নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধ তীব্রতর হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সর্বশেষ রকেটগুলো তিন ধাপে ছোড়া হয়। এতে দুই ঘণ্টার কম সময় নেওয়া হয়েছে। এই রকেটগুলোর বেশির ভাগই ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চলের পশ্চিমাংশে উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে। এছাড়া অঞ্চলটির উত্তরাংশে উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে দুটি রকেট। অন্যদিকে, ইসরায়েল গাজায় তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। এতে একটি এতিমখানাসহ আশ্রয়কেন্দ্র এবং কয়েকটি স্কুলে পৃথক হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহর হামলায় একদিনে ৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত

সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল হামলা চালাতে গিয়ে লেবাননে একদিনে ৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ সৈন্য থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন। লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে বুধবার প্রথমবারের মতো সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় ইসরায়েলি সেনারা। এদিন তারা বিভিন্ন দিক দিয়ে লেবাননের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মানার জানিয়েছে, ইসরায়েল স্থল হামলা শুরুর ঘোষণার প্রথমদিনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের সেনাদের কাবু করে দিয়েছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। তারা কৌশল অবলম্বন করে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ট্যাংক, কামান ও ভারী বোমা এগুলো খুব বেশি কাজে লাগছে না। ফলে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে লেবাননে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তারা এতে সফলতা পায়নি।

সেনাদের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ৮ জনের মধ্যে ৪ জন ইগোজ ইউনিটের সেনা ছিলেন। এছাড়া লেবাননে স্থল হামলা চালাতে গিয়ে আরও ৭ সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন।

ইসরায়েল সেনাদের মৃত্যুর তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর আগেই হিজবুল্লাহ জানায়, তারা দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়েছে। হিজবুল্লাহ আরও জানায়, দক্ষিণ লেবাননে অন্তত তিনটি গ্রামে ইসরায়েলিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে তারা। অপরদিকে লেবাননের সেনাবাহিনী আলাদা এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি সেনারা তাদের ভূখণ্ডের মাত্র ৪০০ মিটার ভেতরে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু প্রতিরোধের মুখে স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

ইসরায়েলের তিন ট্যাংক গুঁড়িয়ে দিল হিজবুল্লাহ

লেবাননের দিকে এগিয়ে আসার সময় দখলদার ইসরায়েলের ট্যাংক লক্ষ্য করে শক্তিশালী হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারা জানিয়েছে, শুধুমাত্র বুধবারই ইসরায়েলিদের তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে তারা। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের তিনটি মেরকাভা ট্যাংক ধ্বংস করার দাবি করেছে। এই ট্যাংকগুলো মারুন আল-রাস গ্রামের দিকে আসছিল। তখন এগুলোকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়। এর আগে এই এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়েছিল।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা বিভিন্ন দিক দিয়ে লেবাননে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সফলভাবে আটকে দিয়েছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। আর প্রথমদিনের এই সফলতাকে একটি কৌশলগত বিজয় হিসেবে বিবেচনা করছে দলটি। এছাড়া এটি যোদ্ধাদের মনোবলও বৃদ্ধি করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। অবশ্য সীমান্ত এলাকায় ব্যর্থ হলেও লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছেন।

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১ মার্কিনি নিহত

লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক মার্কিনি নিহত হয়েছেন। তিনি মিশিগানের ডিয়ারবর্নের বাসিন্দা। নিহত ওই ব্যক্তির মেয়ে, বন্ধু এবং তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্বকারী মার্কিন কংগ্রেসওম্যান এই তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বুধবার ডেমোক্রেটিক মার্কিন রিপ্রেজেন্টেটিভ রাশিদা তালাইবের কার্যালয় বলেছে, তারা কামেল আহমাদ জাওয়াদ নামের নিহত ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কার্যালয়টি জানায়, কামেল আহমাদ প্যালেস্টাইন আমেরিকান কংগ্রেসওম্যানের সদস্য এবং একজন মার্কিন নাগরিক।

এক বিবৃতিতে তার মেয়ে নাদিন জাওয়াদ বলেছেন, তার বাবা মঙ্গলবার লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ‘নিরীহদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করার সময়’ নিহত হন। তার বাবা জীবনের শেষ দিনগুলো বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করার মাধ্যমে কাটিয়ে দিতে একটি হাসপাতালের কাছে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। পৃথকভাবে হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘কামেল আহমদ জাওয়াদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং তার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। তার মৃত্যু লেবাননের অনেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর মতোই একটি ট্র্যাজেডি।’

বিষয়:

বাইডেন ও হ্যারিস দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্টের বরাতে জানা যায় তিনি বলেছেন, ‘জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।’

প্রতিবেদনের তথ্যমতে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশ্ব আগুনে জ্বলছে এবং বর্তমান মার্কিন নেতৃত্ব তা প্রতিরোধে কিছুই করছে না, এমন অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। তাদের (ডেমোক্রেটিক পার্টি) কোনো নেতৃত্ব নেই, দেশ পরিচালনার কেউ নেই। জো বাইডেন তাদের একজন অস্তিত্বহীন প্রেসিডেন্ট। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও এখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

এদিকে ক্ষমতায় থাকাকালীন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্রনীতিতে ইরানের সঙ্গে অনেকটা সাপে-নেউলে সম্পর্ক ছিলো ট্রাম্পের। তার নির্দেশেই হত্যা করা হয় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের জনপ্রিয় জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে। ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকেও বের করে এনেছিলেন ট্রাম্প। আবার সম্প্রতি ট্রাম্পের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর শোনা যাচ্ছে, তাকে হত্যার ছক কষছে ইরান।

উল্লেখ্য, রাতারাতি ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আবারও সবার নজর নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে রাখা ইসরায়েল, নিজেই এবার হামলার শিকার হয়ে হতভম্ব। গত মঙ্গলবার ইরান থেকে যখন একের পর এক মিসাইল ছোড়া হয় ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে। এতে আশ্রয়ের জন্য দেশটির বাসিন্দাদের এদিক-সেদিক ছুটতে দেখা যায়।


এবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরবৈরী দেশ ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল বারনিয়ার এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিনা বেয়ারবক এরই মধ্যেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল বার্নিয়ার এক টুইটবার্তায় বলেন, নিকট ভবিষ্যতে যেকোনো সময়ে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা এবং পরিস্থিতি ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। পৃথক এক পোস্টে অ্যানেলিনা বেয়ারবক বলেন, মঙ্গলবার রাতে যে হামলা ঘটল, তা মধ্যপ্রাচ্যকে অতল গহ্বরের দিকে নিয়ে যাবে।

গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে লেবাননে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র ইসলাম রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। প্রথম পর্যায়ে কয়েক দিন ইসরায়েলের বিমান বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন ঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, এতে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন। খবর এএফপির।

এই পর্বের শেষ পর্যায়ে লেবাননে হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে আঘাত হানে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সে হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসারুল্লাহ। হাসান নাসারুল্লাহ নিহত হওয়ার পরের দিন মঙ্গলবার থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের স্থলবাহিনী।

স্থলবাহিনী অভিযান শুরুর পর ওই রাতেই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক বার্তায় জানান, ‘ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে। আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে, ঠিক সময়ে সেটির বাস্তবায়ন করা হবে।’

এদিকে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর গতকাল বুধবার সকালে হামলা চালিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সংগঠনটি বলছে, তারা গতকাল সকালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পর পর কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল ইসরায়েলি সামরিক ব্যারাকে রকেট হামলা।

হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতিতে এসব জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ আরও বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিটের মধ্যে শুৎলা ও মাসকাফ আম সেটেলমেন্টে এবং শোমেরা ব্যারাকে ইসরায়েলি সেনাদের একটি জমায়েতে তিনটি মিসাইল হামলা চালানো হয়। তারা যত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এর বেশ কয়েকটি সরাসরি ও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।

এই হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগেই লেবাননের আদাইসেহ শহর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পিছু হটিয়ে দেওয়ার কথা জানায় হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব দাবির বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

এদিকে, আইআরজিসির এক কর্মকর্তা ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিবাদে এই অপারেশন চালানো হয়েছে। জায়নবাদী গোষ্ঠী যদি ইরানের অপারেশনের প্রতিক্রিয়া জানানোর চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের পরবর্তী হামলা আরও বিধ্বংসী হবে।’

এদিকে মিসাইল হামলার জবাবে ইরানে যেকোনো সময় হামলা চালাবে দখলদার ইসরায়েল। আর এই হামলার পরিধি বড় হবে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা। হামলায় ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এসব তথ্য জানিয়ে ইসরায়েলের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলা হবে কয়েক দিনের মধ্যে।’

অপরদিকে ইরানের মিসাইল হামলার পর কথা বলেছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে। তারা এর মূল্য দেবে।

গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড। ইরানের হামলার পর নিজস্ব নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু। বৈঠক শুরুর আগে ইরানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করেন তিনি। এ ছাড়া নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইরানের হামলা ব্যর্থ হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কল্যাণে ইরানের হামলা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত। ইরান সরকার আমাদের প্রতিরক্ষার দৃঢ় সংকল্প, আমাদের জবাব দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প বোঝে না। (হামাস নেতা) ইয়াহিয়া সিনওয়ার বোঝেনি, মোহাম্মদ দেইফ বোঝেনি, (হিজবুল্লাহ প্রধান) হাসান নাসরুল্লাহ বোঝেনি, প্রধান সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ সুখর বোঝেনি। খুব সম্ভবত তেহরানে যারা আছে তারাও বোঝে না। তারা বুঝবে। যে আমাদের ওপর হামলা চালায়- আমরা তার ওপর হামলা চালাব।’

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ইরানের প্রক্সি বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে। তারা জয়ী হচ্ছেন। আর তারাই জয়ী হয়ে যাবেন এবং যুদ্ধের যতো লক্ষ্য আছে তার সবই অর্জন করবেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরশত্রু দেশ ইরান এবং ইসরায়েল। দশকের পর দশক ধরে বৈরিতা চললেও চলতি ২০২৪ সালের আগ পর্যন্ত কোনো দেশই পরস্পরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়নি। ২০২৪ সালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সেবার প্রায় ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছুড়েছিল আইআরজিসি।

বিষয়:

জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ইসরায়েলের

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বুধবার এই ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, গুতেরেসকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে কারণ তিনি ইরানের মিসাইল হামলার নিন্দা জানাননি।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে সেটির পর্যাপ্ত নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এ কারণে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারবেন না।’

দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ আরও বলেন, গুতেরেস একজন ‘ইসরায়েল বিদ্বেষী’, তিনি ‘সন্ত্রাসী, ধর্ষক এবং হত্যাকারীদের’ সমর্থন করেন। গুতেরসকে আগামী কয়েক প্রজন্ম জাতিসংঘের কলঙ্ক হিসেবে মনে রাখবে।

যদিও মঙ্গলবার রাতে ইরান ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে এর নিন্দা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব। এ ছাড়া আবারও যুদ্ধবিরতির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে আজ রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এই হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয় ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামোকে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিশ্চিত করেছে, ইরান ইসরায়েলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এই ঘাঁটিতে অন্তত কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র পড়তে দেখা গেছে।

অপর মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, ইরানের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। দখলদারদের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, তারা ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাবেন।


banner close