মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৪ ভাদ্র ১৪৩২

এবার ওপেনএআইয়ের ৫শ কর্মীর পদত্যাগের হুমকি

আপডেটেড
২২ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৩১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৩১

চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতার অব্যাহতি ও পদত্যাগের পর এবার প্রতিষ্ঠানটির ৫০৫ কর্মী পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। পরিচালনা পর্ষদের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে তারা পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। খবর জানিয়েছে সিএনএন।

গত সোমবার লেখা খোলা চিঠিতে ওপেনএআইয়ের কর্মীরা মোটাদাগে দুটি দাবি তুলেছেন। প্রথমত: প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত: অব্যাহতি দেয়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম আল্টম্যান ও পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যানকে ওপেনএআইয়ে ফেরাতে হবে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা জানিয়েছেন, এই দাবিগুলো মানা না হলে ওপেনএআইয়ের ৭০০ কর্মীর প্রায় সবাই পদত্যাগ করতে পিছপা হবেন না। প্রয়োজনে তারা স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যানের সঙ্গে মাইক্রোসফটে যোগ দেবেন।

মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ গত শুক্রবার স্যাম আল্টম্যানকে চাকরিচ্যুত করার কথা জানায়। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্যামের সক্ষমতা নিয়ে পর্ষদের আস্থার ঘাটতির কথা জানানো হয়।

৩৮ বছর বয়সী স্যাম ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পরিচালনা পর্ষদ তাকে বরখাস্ত করায় ওপেনএআইয়ের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন গ্রেগ ব্রোকম্যান। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

এদিকে স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যান আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা। তিনি বলেছেন, স্যাম আল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যান মাইক্রোসফটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত একটি আধুনিক গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেবেন।

অন্যদিকে নতুন সিইও হিসেবে এমেট শেয়েরকে নিয়োগ দিয়েছে ওপেনএআই। এমেট মার্কিন টিভি সম্প্রচারমাধ্যম টুইসের সাবেক প্রধান।

খোলা চিঠিতে সই করা ওপেনএআইয়ের কর্মীরা বলেন, ‘আমরা চাই, অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নেয়া হোক। দাবি মেনে পরিচালনা পর্ষদের বাকি সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে। স্যাম আল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যানকে ফেরাতে হবে। তা না হলে সবাই পদত্যাগ করবেন। স্যাম-গ্রেগের সঙ্গে মাইক্রোসফটে চলে যাবেন।’

প্রযুক্তিবিষয়ক সাময়িকী ‘ওয়ারড’-এর সাংবাদিক কারা শুইসার প্রথম এই খোলা চিঠির কথা প্রকাশ্যে আনেন। এরপর মূলধারার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের শীর্ষ পদে রদবদলের নাটকীয়তা ঘিরে প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগকারীরা উদ্বেগে ভুগছেন। তাদের মতে, এর জেরে কোটি কোটি ডলার লোকসানের মুখোমুখি হতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কেউ কেউ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছেন। আলোচনা করছেন আইনি পরামর্শকদের সঙ্গেও।

বিষয়:

মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ-অঞ্চল নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’স্বপ্ন দেখছেন নেতানিয়াহু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মাস খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি নিজেকে ‘ব্যাপকভাবে’ ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার সঙ্গে যুক্ত মনে করেন। তার এই বক্তব্যের পর, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগে ওঠে যে, নেতানিয়াহু আসলে বৃহত্তর ইসরায়েল বলতে কোন কোন দেশ বা অঞ্চলকে বোঝাচ্ছেন।

নেতানিয়াহুর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’সংক্রান্ত মন্তব্যের পরে অনেক আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে। দেশগুলো নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে তাদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণাটিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে এই ধারণা মূলত দীর্ঘ সময় ধরে চরম জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলি তথা জায়নবাদীদের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এই ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ প্রায়শই এমন এক ভিশন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে ভূখণ্ড সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি সিরিয়া, ইরাক, মিশর এবং সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অংশও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

তবে সংকীর্ণ অর্থে ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় যেসব ভূখণ্ড দখল করেছিল, সেগুলো বোঝাতেও এই শব্দবন্ধ ব্যবহৃত হয়। সে সময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করেছিল।

যদিও নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য সাম্প্রতিক এবং ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটি নতুন নয় এবং স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িতও নয়, তারপরও কিছু মানুষের কাছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আলোকে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।

‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটির জনক রাজনৈতিক জায়নবাদের জনক থিওডর হার্জল। তিনি তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন যে ইহুদি রাষ্ট্র ‘মিসরের প্রবাহ (নীলনদ) থেকে (ইরাকের ইউফ্রেটিস (ফোরাত নদী) পর্যন্ত’ বিস্তৃত হওয়া উচিত। এই বাক্যাংশটি হিব্রু বাইবেল বা তানাখের আদিপুস্তকের জেনেসিস অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। যেখানে আল্লাহ ইব্রাহিম এবং তার বংশধরদের ‘মিসরের প্রবাহ থেকে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত’ বিশাল ভূমি প্রদান করেছেন।

কিছু ইসরায়েলি আবার ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ বলতে তুলনামূলক কম বিস্তৃত একটি এলাকাকে বোঝেন। এই বিষয়ে ইহুদি ধর্মগ্রন্থ বুক অব ডিউটেরোনমি বা যা দ্বিতীয় আইন বইতে উল্লেখ রয়েছে। যেখানে আল্লাহ মূসাকে (আ.) নির্দেশ দেন ফিলিস্তিন, লেবানন, এবং মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার অংশ দখল করতে। আবার অনেকে শামুয়েলের কিতাব থেকে উদাহরণ টানেন। যেখানে রাজা শৌল ও দাউদের অধীনে দখলকৃত ভূখণ্ডের বর্ণনা আছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডান ও সিরিয়ার কিছু অংশ রয়েছে।

ইহুদিদের অনেকেই এই ধারণাকে কেবল রাজনৈতিক ধারণা মনে করেন না। বরং তাদের কাছে এটি এক ঐশ্বরিক আদেশ পূরণ এবং তারা যা নিজেদের জন্য অধিকারভুক্ত মনে করে সেই ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশটির সীমান্ত অস্থির ছিল। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে। এটি ইসরায়েলের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের প্রথম বড় সামরিক প্রচেষ্টা ছিল। পরে সিনাই মিসরের কাছে ফেরত দেওয়া হয় শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে, আর গোলান হাইটস আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করা হয়।

এই যুদ্ধের পর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণা নতুনভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষ করে ধর্মীয় জায়োনিস্টদের মধ্যে। ২০ শতকের শেষ দিকে, এই শব্দ বন্ধটিকে কিছু ইসরায়েলি ইতিহাস ও ধর্মীয় লক্ষ্য পূরণের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে ‘মুভমেন্ট ফর গ্রেটার ইসরায়েল’ নামক রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়, যা ১৯৭০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এটি দখলকৃত ভূখণ্ড রক্ষা এবং ইহুদি নাগরিকদের বসতি স্থাপনের পক্ষে কাজ করত।

বর্তমান ইসরায়েলি সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ উল্লেখ আরও সাধারণ হয়ে গেছে। গত বছর অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ইসরায়েলের সীমান্ত সম্প্রসারণের পক্ষে বক্তব্য দেন, যেখানে তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।

তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল ক্রমশ সব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড এবং জর্ডান, লেবানন, মিশর, সিরিয়া, ইরাক ও সৌদি আরবের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করবে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার উল্লেখ করে ধর্মীয় সূত্র টেনে তিনি বলেন, ‘লিখিত আছে যে, জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ হলো দামেস্ক পর্যন্ত প্রসারিত হওয়া।’

স্মতরিচ ২০২৩ সালে প্যারিসে ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির কর্মীর স্মরণসভায়ও একই ধরনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন। জর্ডানসহ ইসরায়েলের মানচিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ নামে কোনো কিছু নেই।’ অন্যান্য মন্ত্রী এবং এমপিরাও গাজায় ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করার পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন।


ট্রায়ালে সফল রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মরণব্যধি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল হয়েছে। যা এখন সব রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। রাশিয়ার ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সির (এফএমবিএ) প্রধান ভেরোনিকা স্কভোর্টসোভা ইস্টার্ন অর্থনৈতিক ফোরামে এ ঘোষণা দেন।

নতুন ভ্যাকসিনটির নাম এন্টারোমিক্স। এটি তৈরি হয়েছে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করার পর এটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে।

নতুন এই ভ্যাকসিন দুর্বল ভাইরাস ব্যবহারের পরিবর্তে মানব শরীরের কোষগুলোকে প্রোটিন তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর শরীর এমন প্রোটিন তৈরি করে যা ক্যানসার কোষগুলোকে আক্রমণ করে।

পরীক্ষায় কী দেখা গেছে?

ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি তিন বছরের প্রাক-ক্লিনিকাল পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বারবার ডোজ দেওয়ার পরেও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। সবচেয়ে ভালো ফলাফল হলো, কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ধরনের ওপর নির্ভর করে টিউমারের আকার ৬০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছোট হয়েছে বা সেগুলোর বৃদ্ধি অনেক কমে গেছে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে, এই ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

কোন ক্যান্সারে এটি কাজ করবে?

প্রাথমিকভাবে, এই ভ্যাকসিনটি কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। তবে বিজ্ঞানীরা গ্লিওব্লাস্টোমা (এক ধরনের দ্রুত বর্ধনশীল মস্তিষ্কের ক্যান্সার) এবং বিভিন্ন ধরনের মেলানোমা (গুরুতর ত্বকের ক্যানসার, যার মধ্যে চোখের মেলানোমাও অন্তর্ভুক্ত) এর জন্যও ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।


গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে। জোরপূর্বক উচ্ছেদের নতুন হুমকির পর শনিবার ভোর থেকে এই আক্রমণ শুরু হয় এবং দিনভর গাজার উত্তরাঞ্চলে বাড়িঘরে প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত থাকে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার এই অভিযানে অন্তত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাহায্যপ্রার্থী সাধারণ মানুষও ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এখনো হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করেছে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ হাজার ৭৬৮ জন নিহত এবং ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কারণে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।

গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদ গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেটিভোট শহরের দিকে দুটি রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা নেটিভোট শহর লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) রোববার জানায়, গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেটের মধ্যে একটি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। অন্যটি জনবসতিহীন খোলা জায়গায় পড়েছে। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় তীব্র অবরোধ ও আগ্রাসন সত্ত্বেও সেখানকার প্রতিরোধ যোদ্ধারা মাঝে মাঝে এমন হামলার মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায়। অন্যদিকে, ইসরায়েল সাধারণত এই ধরনের ঘটনার পর প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজা থেকে ইসরায়েলে বিচ্ছিন্নভাবে রকেট হামলার ঘটনা ঘটছে, যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলোকে আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বা জনবসতিহীন এলাকায় পড়েছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় কমপক্ষে ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন আহত হয়েছে। এছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজায় অনাহারে মৃত্যু বেড়ে ৩৮৭

গাজায় অনাহারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় তিন শিশুসহ আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছে।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৩৮ জনই শিশু। গ্লোবাল হাঙ্গার মনিটর আইপিসি গত ২২ আগস্ট উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের কথা নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে যে, সমগ্র উপত্যকাজুড়ে অনাহার ছড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, গাজা থেকে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে এবং অন্যটি একটি খোলা স্থানে পড়েছে।

ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ইসরায়েলে দুটি রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে গাজা সিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বহুতল ভবনটি গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চলমান যুদ্ধে কাছাকাছি সময়ের মধ্যে প্রথম বড় কোনো টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করল আইডিএফ।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তার এক্স একাউন্টে ভবনটি ধসে পড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘আমরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, হামলায় ধংস হয়ে যাওয়া সুসি টাওয়ারটি হামাস ব্যবহার করছিল। যদিও এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস। তবে হামলায় হতাহতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হামাসের আত্মসমর্পণ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে ইসরায়েলি সেনাদের তুমুল হামলার মধ্যেই তেল আবিব ফের হামাসকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে।

রোববার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার জেরুজালেমে সাংবাদিকদের বলেছেন, যদি হামাস বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেয় এবং অস্ত্র নামিয়ে রাখে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।

‘রাজনৈতিভাবে লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা বেশি খুশি হবো,’ সার এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েলি মন্ত্রীর এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম তাদের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না তবে সব জিম্মিদের ছেড়ে দিতে পারে, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয় এবং গাজা থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।

গত মাসে ইসরায়েল গাজার সবচেয়ে বড় শহরাঞ্চল দখলের অভিযান শুরু করে, এখন তারা গাজা সিটির কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।


মোদির আমলেই ফুলেফেঁপে উঠেছে ভারতের গরুর মাংস রপ্তানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস সরকারের সময়ে গরুর মাংস রপ্তানির বিরুদ্ধে ব্যাপক সরব হয়েছিলেন। তিনি ব্যঙ্গ করে এই রপ্তানির নাম দিয়েছিলেন ‘পিঙ্ক রেভল্যুশন’ ও দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস সরকার দেশের ১৪ শতাংশ মুসলমানকে খুশি করতে এই খাতকে উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের গরু ও মহিষের মাংস রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

বর্তমানে প্রতিবছর ভারত এ খাত থেকে আয় করছে প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতিবছর দেশটি প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার টন মাংস রপ্তানি করে। এর ফলে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাংস রপ্তানিকারক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল, আর ভারতের পরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

ভারতে গরু জবাইয়ের জন্য রাজ্য পর্যায়ে বিধি-নিষেধ থাকলেও, অভিন্ন কোনো জাতীয় আইন নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক শিথিল আইন থাকা রাজ্যে গরু পাচার করে মাংস রপ্তানি করে থাকেন। সমালোচকদের মতে, এই খাতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির চেয়ে আর্থিক বাস্তবতাই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

এদিকে, ভারতের মাংস রপ্তানির সিংহভাগই মহিষের মাংস বলে দাবি করা হলেও অনেকেই বলছেন, গরুর মাংসের পরিমাণও কম নয়। ভারতে বর্তমানে প্রায় ১১ কোটি ৫০ লাখ মহিষ রয়েছে, যা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে, ভারতের গরুর সংখ্যা ৭ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি।

ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুধ উৎপাদনকারী দেশ। দুধ দেওয়া শেষ হলে অনেক গরুই চামড়া ও মাংস শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ফলে গরুর মাংসও ভারতের বৈদেশিক রপ্তানি আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।

বর্তমানে ভারত ৬৫টি দেশে মাংস রপ্তানি করছে। উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে ভারতীয় মাংসের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। কারণ এসব মাংস আসে মুক্ত চারণভূমিতে লালিত গরু-মহিষ থেকে, যা তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত বলে বিবেচিত হয়। ভারতীয় মাংসের দামও অনেক সময় ব্রাজিল বা অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় কম, ফলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারত ক্রেতাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

আবার অর্থনৈতিক লাভের কারণে হিন্দু ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক হারে এই খাতে প্রবেশ করেছেন। ভারতের শীর্ষ ছয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটির মালিক হিন্দু উদ্যোক্তা। এর মধ্যে রয়েছে শতীশ ও অতুল সাবরওয়ালের আল-কাবির এক্সপোর্টস, সুনীল কাপুরের অ্যারাবিয়ান এক্সপোর্টস, মাদান অ্যাবটের এম.কে.আর ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টস ও এ.এস. বিন্দ্রার পি.এম.এল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ তথ্য প্রমাণ করে, ধর্মীয় বিভাজন থাকলেও অর্থনৈতিক লাভের কারণে হিন্দুরাও সক্রিয়ভাবে এ শিল্পে যুক্ত হচ্ছেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ভারতের রপ্তানিকৃত সব মাংসে হালাল সনদ দেওয়া হলেও, নাটকীয়ভাবে বিজেপি সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে হালাল সার্টিফিকেশন নিষিদ্ধ করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে লক্ষ্য রেখে হালাল মান বজায় রাখা হলেও দেশের ভেতরে ভিন্ননীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, মোদি ক্ষমতায় আসার আগে যেই শিল্পকে কটাক্ষ করেছিলেন, সেই মাংস রপ্তানি খাত তার আমলেই রেকর্ড আয়ে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকে এই খাত ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে ও বৈশ্বিক মাংস বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।


দ. কোরিয়া সফরের প্রস্তুতি ট্রাম্পের, সাক্ষাৎ হতে পারে কিমের সঙ্গে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের পরিকল্পনা করছেন। হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তা সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরের উদ্দেশ্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশগ্রহণ, যা দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অক্টোবরের শেষ দিক থেকে নভেম্বরের শুরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

এই সফরকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে তার একান্ত বৈঠকের সম্ভাব্য মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনো বৈঠক চূড়ান্ত হয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। গত মাসে এক ফোনালাপে শি চিন পিং ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। যার পাল্টা আমন্ত্রণও ট্রাম্প দিয়েছেন, তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া সফরের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতাই মূল ফোকাস হবে। এছাড়া বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার মতো ইস্যুগুলোও আলোচনায় স্থান পাবে বলে জানা গেছে।

সফরে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনয়নের সুযোগ হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন, যেমনটি তিনি তার পূর্ববর্তী সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরেও করেছেন।

এই সফর ট্রাম্পকে আবারও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের সুযোগ দিতে পারে-যদিও কিম সম্মেলনে অংশ নেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে রাজি। তিনি বলেন, আমি সেটি করবো এবং আমরা কথা বলব। কিম আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।


পদত্যাগ করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

উচ্চকক্ষের নির্বাচনে বিপর্যয়কর ফলাফলের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি রোববার জানিয়েছে, এই বিপর্যয়ের তার ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা নতুন নেতৃত্বের নির্বাচনের আয়োজনের চেষ্টা করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
৬৮ বছর বয়সী ইশিবা প্রায় এক বছর আগে দীর্ঘদিন প্রভাবশালী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
তারপর থেকে তিনি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান।
জাপানের সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বিভাজন এড়াতে ইশিবা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে আসাহী শিমবুন দৈনিক সংবাদপত্র বলেছে, পদত্যাগের আহ্বান বৃদ্ধির কারণে তিনি টিকে থাকতে পারেননি।
কৃষি মন্ত্রী ও সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে ইশিবার সঙ্গে দেখা করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এনএইচকে জানিয়েছে, ইশিবা দিনের শেষের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে, দলের দুই নম্বর নেতা হিরোশি মোরিয়ামাসহ চার জন সিনিয়র এলডিপি কর্মকর্তা পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জুলাই মাসে উচ্চকক্ষের ভোটের পর ইশিবার বিরোধীরা তাকে নির্বাচনের ফলাফলের দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, এই পদক্ষেপকে সমর্থনকারীদের মধ্যে ৮৪ বছর বয়সী প্রভাবশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোও ছিলেন।
তবে আরও কিছু প্রবীণ সদস্য সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এলডিপির পুরনো ধাঁচের রাজনীতি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করছে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন চান এমন জাপান জুড়ে এলডিপি আইন প্রণেতা এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা সোমবার একটি অনুরোধ জমা দেবেন।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় নেতা হিসেবে ইশিবার মেয়াদ ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী সানা তাকাইচি মঙ্গলবার বলেছিলেন যে, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সানাকে একজন কট্টর জাতীয়তাবাদী হিসেবে দেখা হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক চুক্তি ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান চাল নীতি পরিবর্তনের সরকারের সিদ্ধান্তের পর ইশিবার মন্ত্রিসভার প্রতি সমর্থন ফিরে আসছে।
ভোটাররা ২০২৪ সালের শেষ নেতৃত্ব নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী তাকাইচির প্রতি খুব একটা আগ্রহী নন।
পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ ইশিবা গত বছর তার পঞ্চমবারের প্রচেষ্টায় ‘নতুন জাপান’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলডিপির নেতা নির্বাচিত হন।


গাজামুখী তিউনিসিয়ার ত্রাণ নৌবহরের যাত্রা স্থগিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তিউনিসিয়া থেকে গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহরের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।

ইসরাইলের নৌ অবরোধ ভেঙে রোববার দেশটির ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীদের এই যাত্রা শুরু করার কথা ছিল।

শনিবার আয়োজকদের বরাত দিয়ে তিউনিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

আয়োজকরা বলেন, কিছু ‘কারিগরি ও লজিস্টিকসজনিত সমস্যা’র কারণে নৌবহরের যাত্রা পিছিয়ে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এ নৌবহরটি ইতোমধ্যে স্পেন ও ইতালি থেকে ছেড়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এর আগেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই বহরের যাত্রা বিলম্বিত হয়।


সুদানে স্বর্ণের খনি ধসে নিহত ৬

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সুদানের উত্তরাঞ্চলে একটি স্বর্ণেও খনি ধসে অন্তত ছয়জন নিহত এবং প্রায় ২০ জন আটকা পড়েছে। শনিবার দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

খার্তুম থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

রিভার নিল প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় উম অড এলাকার সোনার খনিতে গতকাল শুক্রবার এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কর্মকর্তা হাসান ইব্রাহিম কারার জানান, খনিতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে খনি ধসের কারণ তিনি উল্লেখ করেননি।

সুদানে ২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে উভয় পক্ষই তাদের লড়াইয়ের ব্যয় বহন করছে স্বর্ণ শিল্পের মাধ্যমে।

দেশটির সরকারি ও এনজিও সূত্রগুলো বলছে, সুদানের স্বর্ণ বাণিজ্যের প্রায় পুরোটাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আরএসএফ-কে আমিরাত অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে, সেই অভিযোগ আমিরাত বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।


ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় হামাসের বহুতল ভবনগুলোতে হামলা চালাচ্ছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরাইলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বৃহত্তম শহর দখলের পরিকল্পনার আগে স্বাধীনতাকামী হামাসের ব্যবহৃত উঁচু ভবনগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালানোর ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শুক্রবার গাজা শহরের একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে।

গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা অভিযান বন্ধ করার জন্য দেশে-বিদেশে ক্রমবর্ধমান চাপ সত্ত্বেও ইসরাইল রিজার্ভ বাহিনীকে ডেকে বোমাবর্ষণ তীব্র করছে এবং গাজা শহরের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

গাজা সিটি থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘গাজা শহরের বিভিন্ন অবকাঠামোগত স্থানে বিশেষ করে উঁচু ভবনগুলোতে হামাসের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চিহ্নিত করেছে’। তারা ‘আগামী দিনে’ সেই স্থানগুলোকে টার্গেট করে অভিযান চালানোর হুমকি দিচ্ছে।

তারা বলেছে, এক ঘণ্টারও কম সময় পরে তারা এমন একটি বহুতল ভবনে আঘাত হেনেছে এবং হামাসকে ‘এলাকায় সৈন্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর জন্য’ এই ভবন ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছে।

এএফপি ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের আল-রিমাল পাড়ায় অবস্থিত মুশতাহা টাওয়ারটি হামাসের ঘাঁটিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর ধসে পড়েছে। এর ফলে ধোঁয়া এবং ধুলোর ঘন মেঘ আকাশে উড়ছে।

এএফপি’র পরবর্তী ছবিতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ এবং ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার আগে, ‘বেসামরিক লোকদের ক্ষতি না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল’। এর মধ্যে পূর্ব সতর্কতাও জারি করা ছিল।

গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি তাঁবুতে বসবাসকারী ৫০ বছর বয়সী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আরেজ আহমেদ এএফপি’কে বলেছেন, তার স্বামী ‘মুশতাহা টাওয়ারের বাসিন্দাদের ওপরের তলা থেকে তাদের জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলতে দেখেছেন যাতে তারা হামলার আগে সেগুলো নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে’।

তিনি টেলিফোনে বলেছেন, ‘সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আধ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে টাওয়ারটিতে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল’।

‘কোনা নিরাপদ জায়গা নেই’

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল ইসরাইলকে ‘বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নীতি’ অনুসরণ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অথচ সেখানে তারা উঁচু ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজা শহরের ভেতরে এবং আশপাশে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার পুরো অঞ্চল জুড়ে কমপক্ষে ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এএফপি’র সাথে যোগাযোগ করা হলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এই প্রতিবেদনের ওপর মন্তব্য করবে না।

গাজায় মিডিয়ার বিধিনিষেধ এবং অনেক এলাকায় প্রবেশের অসুবিধার ফলে এএফপি স্বাধীনভাবে নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বা ইসরাইলি সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রদত্ত টোল এবং বিবরণ যাচাই করতে পারছেনা।

আহমেদ আবু ওতফা (৪৫) বলেছেন, ‘ইসরাইল টাওয়ার এবং অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতে বোমা হামলা শুরু করার খবরটি ভয়াবহ’। তিনি পশ্চিম গাজা শহরের তার আত্মীয়দের আংশিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত পঞ্চম তলার অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমার সন্তানরা আতঙ্কিত এবং আমিও। কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। আমরা কেবল আশা করি মৃত্যু দ্রুত আসবে।’

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর একজন সদস্য ইজ্জত আল-রিশক বলেছেন, ইসরাইল দাবি করছে হামাস গোষ্ঠীটি বহুতল ভবনগুলোতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ ‘একটি তুচ্ছ অজুহাত এবং স্পষ্ট মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

জাতিসংঘের অনুমান গাজা শহর এবং এর আশপাশে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ বাস করে। যে অঞ্চলে গত মাসে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস গাজায় অনাহারে মৃত্যুর ‘বিপর্যয়’ বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৩৭০ জনেরও বেশি মানুষ অপুষ্টিতে মারা গেছে।

এদিকে বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভোট এএফপি’কে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘এই বিশাল মানবিক সংকটে তার দায়িত্ব পালন করছে না’।

‘নরকের দরজা’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, ‘গাজার নরকের দরজা থেকে এখন বোল্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে’। তিনি যুদ্ধ শেষ করার জন্য হামাসকে ইসরাইলের শর্ত মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অভিযান তীব্রতর করার অঙ্গীকার করেছেন।

ইসরাইল আশা করছে, তাদের নতুন আক্রমণ দক্ষিণে প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে।

যুদ্ধের সূত্রপাতকারী ইসরাইলের ওপর আক্রমণের সাতশ’ দিন পর হামাসের সশস্ত্র শাখা ফুটেজ প্রকাশ করেছে যেখানে গত মাসের শেষের দিকে গাজা শহরে হামলায় আটক দুই জিম্মিকে জীবিত দেখানো হয়েছে।

ভিডিওটিতে জিম্মি গাই গিলবোয়া-দালালকে একটি গাড়িতে করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা শহরে পরিকল্পিত আক্রমণ না চালানোর জন্য আহ্বান জানাতে দেখা যাচ্ছে।

পরে এটিতে তাকে আরেক বন্দী অ্যালন ওহেলের সাথে দেখা করতে দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলার সময় অপহরণের পর তাকে প্রথমবারের মতো কোনো ভিডিওতে দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, নেতানিয়াহু উভয় জিম্মির পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।

নেতানিয়াহু তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত মন্তব্যে বলেছেন, ‘কোনো খারাপ প্রচারণামূলক ভিডিও আমাদের দুর্বল করতে পারবে না অথবা হামাসকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আমাদের দৃঢ় সংকল্প থেকে সরাতে পারবে না।’

জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি চুক্তির দাবিতে শুক্রবার জেরুজালেম এবং তেল আবিবে জিম্মিদের আত্মীয়স্বজন এবং সমর্থকরা সমাবেশ করেছেন।

হামাসের হামলায় আটক ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ৪৭ জন এখনও গাজায় রয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি এরমধ্যে ২৫ নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি’র হিসাব অনুযায়ী, এই হামলার ফলে ১,২১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।


ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কর ফাঁকির অভিযোগ স্বীকার করার পর শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার। তিনি লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার পদও ছেড়ে দিয়েছেন।

এটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের জন্য একটি নতুন ধাক্কা। ৪৫ বছর বয়সী রেনার হলেন মন্ত্রীপরিষদের অষ্টম সদস্য, যিনি স্টারমারের সরকার থেকে বিদায় নিলেন।

স্টারমারকে লেখা চিঠিতে রেনার কর ফাঁকির কথা স্বীকার করে বলেছেন, 'আমার ভুলের জন্য আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি।'

সাম্প্রতিক জরিপে লেবার পার্টি ব্রিটেনের জনপ্রিয় রিফর্ম ইউকে'র চেয়ে পিছিয়ে থাকায় স্টারমার তার কর্তৃত্ব এবং দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই সময় ডেপুটি হারানো তার জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর, বিশেষ করে রেনার।

উপ-প্রধানমন্ত্রী একজন শ্রমিক শ্রেণীর কিশোরী মা থেকে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদে উন্নীত হয়েছেন। তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য লেবারের বাম এবং মধ্যপন্থী শাখার মধ্যে মধ্যস্থতা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বলতে গেলে দলে স্টারমারের চেয়েও তার আবেদন ব্যাপক বিস্তৃত ছিল।

স্টারমারের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত রেনার এর আগে গত বুধবার কর পরিশোধের ক্ষেত্রে ভুল স্বীকার করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, স্টারমারের সরকার যে ৮ জন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যকে হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ জনই অন্যায় কাজের জন্য পদত্যাগ করেছেন। ১৯৭৯ সালের পর থেকে ব্রিটেনে স্টারমারের সরকারেই সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।


আমরা ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে পোস্টে তিনি ব্যঙ্গাত্মকভাবে তিনটি দেশেরই ‘সমৃদ্ধ’ ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন।

বেইজিং যখন একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন ওয়াশিংটনের নেতা নয়াদিল্লি ও মস্কোকে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন।

সপ্তাহের শুরুতে তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে আতিথ্য দেন।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা ভারত এবং রাশিয়াকে সবচেয়ে গভীর অন্ধকারতম চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি। তাদের একসঙ্গে দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ হোক।’

ট্রাম্পের এই মন্তব্যগুলো নয়াদিল্লি, মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে গভীরতর সম্পর্কের বিষয়ে ট্রাম্পের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রকাশ্য স্বীকৃতি।

তিন পারমাণবিক শক্তিধর দেশের নেতা বেইজিংয়ে প্রকাশ্যে জ্বালানি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ববাণিজ্য নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ চলছে।

কয়েক দশক ধরে ওয়াশিংটন ভারতকে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে আসছে। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক উভয় প্রশাসনই নয়াদিল্লিকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ করেছে।

ট্রাম্প নিজেই তার প্রথম মেয়াদে ভারতের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রেখেছিলেন। তবুও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে ফাটলের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্ক ব্যবস্থা এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি বাণিজ্যের সমালোচনা ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ককে দুর্বল করে দিয়েছে।


গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, এক দিনেই নিহত ৭৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক দিনে কমপক্ষে আরও ৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্বিচার বোমা বর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে গাজা সিটির পাড়ামহল্লা। আতঙ্কে পালাতে চাইছেন মানুষ, কিন্তু গোটা উপত্যকাতেই নিরাপদ আশ্রয় নেই। টানা ২৩ মাস ধরে চলছে এ নির্মম হামলা।

জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ ইতোমধ্যেই গাজা সিটিকে আখ্যা দিয়েছে ‘আতঙ্কের নগরী’ বলে। গত বৃহস্পতিবার তাল আল-হাওয়া এলাকায় একটি তাঁবুতে হামলায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজনই শিশু।

হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁবুগুলোর সামনে ফিলিস্তিনিরা ভাঙাচোরা মালপত্র গুছিয়ে নিচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রক্তে ভেজা একটি গোলাপি রঙের স্যান্ডেলও মেলে। ইসরা আল-বাসুস এএফপিকে বলেন, ‘আমি ও আমার সন্তানরা তাঁবুতে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বোমা পড়ল, শরীরে টুকরো এসে লাগল, আমার চার সন্তান আতঙ্কে চিৎকার শুরু করল।’

গাজা সিটির জেইতুন, সাবরা, তুফাহ, নাসর ও শুজাইয়া এলাকায় ভয়াবহ বোমা বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। তুফাহ পাড়ায় অন্তত আটজন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন বলে জানান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল।

শুজাইয়ায় একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। আর জেইতুনে ধ্বংসস্তূপ থেকে আল-ঘাফ পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালাচ্ছেন নিরাপত্তার খোঁজে, কিন্তু যেখানে যাচ্ছেন সেখানেও ইসরায়েলি বিমান ও গোলাবর্ষণ তাদের পিছু ছাড়ছে না।

ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার যোগাযোগ কর্মকর্তা টেস ইনগ্রাম সতর্ক করে বলেছেন, প্রায় ১০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছেন এই ‘ভয়, পালানো ও জানাজায় ভরা নগরীতে’। শুধু গত বৃহস্পতিবারই গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন ৪৪ জন।

ইসরায়েলি সেনাদের তথ্যানুসারে,তারা এখন গাজা সিটির ৪০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে অভিযান আরও জোরদার করবে।

আল জাজিরার সানাদ ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সি স্যাটেলাইট ছবিতে অন্তত ৫২টি ইসরায়েলি সামরিক যান জেইতুন এলাকায় মোতায়েন থাকতে দেখেছে।

গাজা কতটা দখলে, জানাল ইসরায়েলি বাহিনী

বর্তমানে গাজা সিটির প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। একই সঙ্গে হামাসকে পরাজিত করার জন্য অভিযান আরও জোরদার করছে।

গত বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফরিন বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আগামী দিনে তা আরও সম্প্রসারিত হবে।

এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গাজা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেন এবং প্রায় ৮০ হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের অনুমতি দেন। চলমান অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গিডিওনস চারিয়টস বি’। সেনাদের দাবি, আগের ধাপে গাজার প্রায় ৭৫ শতাংশ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামাসকে বন্দি বিনিময়ের চাপে রাখা হয়েছিল।

হামাস নতুন এই অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের আলোচনাকে উপেক্ষা করছে। সংগঠনটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকেও যেকোনো সমঝোতার ‘প্রধান অন্তরায়’ বলে অভিযুক্ত করেছে।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। হামাস ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, ধাপে ধাপে বন্দি মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর একটি প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনো সব বন্দিকে একসঙ্গে মুক্তির দাবি করছে।

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার আল-সাবরা এলাকায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। একটি বাড়ি ও বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে হামলায় আরও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ২৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে ক্ষুধায় বা সহায়তা চাইতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে সুমুদ ফ্লোটিলা

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তাদের লক্ষ্য হলো- ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের অবরোধ ভেঙে সেখানে সাহায্য পৌঁছানো, যেখানে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত রোববার স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জাহাজগুলো যাত্রা শুরু করে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তারা প্রথমে ফিরে যায়, পরে সোমবার আবার যাত্রা শুরু করে।

ঝড়ের পর মেনোরকায় জাহাজগুলো কিছু মেরামতকাজ সম্পন্ন করে এবং গত বৃহস্পতিবার তিউনিসিয়ার উদ্দেশে আবার যাত্রা শুরু করে।

আগামী কয়েকদিনে তারা তিউনিসিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য অংশগ্রহণকারী নৌযানের সঙ্গে মিলিত হবে।

সুমুদ ফ্লোটিলা একটি আন্তর্জাতিক নাগরিক উদ্যোগ, যার লক্ষ্য গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং ইসরায়েলি নৌঅবরোধের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ জানানো।


বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে পারেন ইলন মাস্ক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা যদি নতুন একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেন, তবে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে পারেন। প্রস্তাবিত প্যাকেজ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য অর্জিত হলে মাস্ককে দেওয়া হবে অতিরিক্ত ৪২৩.৭ মিলিয়ন টেসলা শেয়ার। বর্তমান বাজারদরে এর মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১৪৩.৫ বিলিয়ন ডলার।

তবে এই শেয়ার হাতে পাওয়ার শর্ত হচ্ছে- আগামী বছরগুলোতে টেসলার বাজার মূল্য নাটকীয়ভাবে বেড়ে ৮.৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছাতে হবে। ফলে বর্তমানের তুলনায় শেয়ারগুলোর দামও কয়েকগুণ বেড়ে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হবেন মাস্ক। বর্তমানে টেসলার বাজারমূল্য ১.১ ট্রিলিয়ন ডলার, যা এনভিডিয়ার তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে ৪.১৭ ট্রিলিয়ন বাজার মূল্যের এনভিডিয়া বিশ্ববাজারে সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি।

টেসলার পক্ষ থেকে শেয়ার হোল্ডারদের দেওয়া নথিতে মাস্কের এই পেমেন্ট পরিকল্পনার পাশাপাশি আরেকটি প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, টেসলা যেন মাস্কের মালিকানাধীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআই-এ বিনিয়োগ করে। এক্সএআই সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার) কিনে নিয়েছে। ২০২২ সালে মাস্ক ব্যক্তিগতভাবে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে এই মাধ্যমটি অধিগ্রহণ করেছিলেন।

শুক্রবার সিএনএন জানিয়েছে, বর্তমানে মাস্ক টেসলার ৪১০ মিলিয়ন শেয়ারের মালিক, যার বাজার মূল্য ১৩৯ বিলিয়ন ডলার। স্পেসএক্স, এক্সএআই এবং অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারের কারণে তিনি ইতোমধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। ব্লুমবার্গের তথ্যমতে তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৭৮ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে ২০১৮ সালে মাস্ককে দেওয়া আরেকটি শেয়ার অপশন প্যাকেজ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করেছিলেন। তবু শেয়ার হোল্ডাররা বারবার তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সর্বশেষ প্রচেষ্টায় মাস্ক বর্তমানে টেসলার মোট শেয়ারের প্রায় ১৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে টেসলার শেয়ার প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় উঠলেও রাজনৈতিক সম্পর্ক, বিক্ষোভ ও বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে পরে শেয়ারের দর পড়ে যায়। বর্তমানে কিছুটা পুনরুদ্ধার হলেও গত ডিসেম্বরের শীর্ষ অবস্থান থেকে এখনো ২৬ শতাংশ নিচে রয়েছে।

তারপরও মাস্ক দাবি করছেন, স্বচালিত গাড়ি ও রোবোট্যাক্সি সেবা ভবিষ্যতে বিপুল মুনাফা বয়ে আনবে। পাশাপাশি তিনি এমন মানবাকৃতির রোবট বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা গাড়ির ব্যবসাকেও ছাড়িয়ে যাবে। তবে এসব এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। নতুন প্রস্তাবের পর প্রি-মার্কেট ট্রেডিংয়ে টেসলার শেয়ারের দাম অবশ্য সামান্য বেড়েছে।


banner close