বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়তে পারে আরও ৫ দিন

প্রকাশিত
প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:০৪

গত মঙ্গলবার ছিল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিন। একদিনে তারা পরস্পরের মধ্যে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় করেছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার কাতারের দোহায় বৈঠকটি হয় বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলেছে, সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস এবং মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির বৈঠক হয়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বর্ধিত যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। মিসরের কর্মকর্তারাও সেখানে অংশ নিয়েছিলেন।

সূত্র বলছে, নারী ও শিশু জিম্মিদের পাশাপাশি হামাস যেন পুরুষ এবং সামরিক সদস্যদেরও মুক্তি দেয়, তা নিশ্চিত করাসহ নতুন ধাপে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। হাতেগোনা কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতি না হয়ে টেকসই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠকের ফলাফল কী, তা নিশ্চিত করতে পারেনি সূত্রটি।

সম্প্রতি কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। প্রাথমিকভাবে ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয় চার দিনের যুদ্ধবিরতি, যা গত সোমবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগে সোমবার মধ্যস্থতাকারী কাতার ঘোষণা করে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন (মঙ্গল ও বুধবার) বাড়ানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী গতকাল বুধবার বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাত-সংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশ নিতে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস দোহায় গেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

চলমান যুদ্ধবিরতি আরও পাঁচ দিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ইয়েলন লেভি। যুদ্ধবিরতি ও সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বন্দিবিনিময় অব্যাহত রেখে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া আরও পাঁচ দিন বাড়ানো যেতে পারে।’

ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র বলেন, ‘হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে আমরা আরও ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেব। হামাস যখন জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করবে, তখন আমরা তাদের ওপর সামরিক চাপ সৃষ্টি করব।’

যুদ্ধবিরতিতেও থেমে নেই গ্রেপ্তার

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের গাজায় গত শুক্রবার চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম ৪ দিনে ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ১১৭ জন শিশু ও ৩৩ জন নারী।
একই সময়ে হামাস ৬৯ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। তাদের মধ্যে ৫১ জন ইসরায়েলি ও ১৮ জন অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধিত্ব করে বেসরকারি সংগঠন প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটি। সংগঠনটির তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতির প্রথম চার দিনে পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর থেকে অন্তত ১৩৩ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল।

সোসাইটির মুখপাত্র আমানি সারাহনেহ বলেন, যত দিন ইসরায়েলি দখলদারি থাকবে, তত দিন ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার বন্ধ হবে না। মানুষকে এ বিষয় অবশ্যই বুঝতে হবে। কারণ, এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদারদের একটি কেন্দ্রীয় নীতি। এটি ফিলিস্তিনিদের যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ আটকানোর একটি কৌশল।

আমানি সারাহনেহ আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার ইসরায়েল শুধু গত ৭ অক্টোবরের পর থেকেই করছে না, ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ইসরায়েলের একটি দৈনন্দিন কাজ। যুদ্ধবিরতির প্রথম চার দিনে আরও বেশিসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তারা ধারণা করেছিলেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে হামাস।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে আসছিল।

গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোকজন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার শিশু রয়েছে


মাঙ্কিপক্সের টিকা উৎপাদন করবে চীন

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:১৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মাঙ্কিপক্সের (এমপক্স) টিকা উৎপাদন করবে চীন। এ জন্য দেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে চীনের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে চীনের প্রথম এই টিকা উৎপাদন করে সিনোফার্ম।

টিকা সাধারণত বাজারে আসার অনুমোদন পাওয়ার আগে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তিনটি ধাপের মধ্য দিয়ে যায়। প্রক্রিয়াটি কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশকও সময় নিতে পারে। তবে চীনের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জরুরি প্রয়োজনে কিছু টিকার পরীক্ষার গতি বাড়ানোর ব্যবস্থাও রেখেছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন টিকাটি মডিফায়েড ভ্যাকসিনিয়া আঙ্কার (এমভিএ) নামের একটি স্ট্রেইনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি ২০১৯ সালে তৈরি করা যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসনের অনুমোদিত বিশ্বের প্রথম এমপক্স ভ্যাকসিন জাইনিয়সের মতোই কাজ করবে।

করোনা মহামারির সময় সিনোফার্ম চীনে প্রথম কোভিড-১৯ টিকার উৎপাদন করেছিল। সেই সংস্থাটিই এখন মাঙ্কিপক্সের টিকা তৈরি করতে যাচ্ছে।

মাঙ্কিপক্সের টিকার ব্যাপারে সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রাক-ক্লিনিকাল গবেষণায় টিকাটি নির্ভরযোগ্য ও স্থিতিশীল বলেই মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মানুষ ছাড়া কিছু প্রাইমেটের মধ্যে টিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।

সোমবার চীনা যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে সিনোফার্ম বলেছে, চীনে বর্তমানে কোনো অনুমোদিত মাঙ্কিপক্স টিকা নেই। সিনোফার্মের নতুন টিকা দেশে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: গ্লোবাল টাইমস

বিষয়:

ইরাক সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আজ বুধবার ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ ইরাক সফরে গেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মাসুদ পেজেশকিয়ান এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন। ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায়। এই হামলায় ইরাকের সাদ্দাম হোসাইন সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে ইরাকে অব্যাহতভাবে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়ে চলছে তেহরান। বর্তমানে ইরাকে ইরান-সমর্থিত বেশ কয়েকটি দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পেজেশকিয়ান তার এই সফর সামনে রেখে বলেন, তেহরান ও বাগদাদের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি সইয়ের পরিকল্পনা আছে। তিনিসহ তার সফরসঙ্গীরা ইরাকের রাজধানী বাগদাদে দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।


টাইফুন ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনামে ১৫২ প্রাণহানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে সুপার টাইফুন ইয়াগির আছড়ে পরার কয়েক দিন পর রাজধানী হ্যানয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। লাল নদীর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইয়াগির আঘাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

চলতি বছরের এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী টাইফুনও। টাইফুনটি শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পরার পর পশ্চিম দিকে সরে যাওয়ার সময় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে হং নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী রাজ্যগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একটি সেতুও ভেঙ্গে গেছে।

হ্যানয়ের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সি ট্রান লে কুয়েন রয়টার্সকে বলেন, ‘৩০ বছরের মধ্যে আমার দেখা সবচেয়ে খারাপ বন্যা এটি। গতকাল সকালেও সব শুকনো ছিল। এখন পুরো রাস্তা ডুবে আছে। গত রাতে আমরা ঘুমাতে পারিনি।’

সরকারের অনুমান, টাইফুন এবং পরবর্তী ভূমিধস ও বন্যায় ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১৪০ জন।

সরকার ও রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, হ্যানয়ের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরো সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিচু এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে।

লাল নদীর তীরবর্তী একটি এলাকায় বসবাস করেন ৫৬ বছর বয়সী নগুয়েন ভ্যান হাং। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি এখন নদীর অংশ হয়ে গেছে।’

কর্তৃপক্ষ বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করার পর মঙ্গলবার শহরের কেন্দ্রের কাছাকাছি দাতব্য সংস্থা ব্লু ড্রাগন চিলড্রেনস ফাউন্ডেশনকে তাদের অফিস খালি করতে হয়েছিল। নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী কয়েক ডজন শিশু ও পরিবার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখপাত্র কার্লোটা টরেস লিরো। তিনি বলেন, ‘লোকজন উন্মত্তভাবে চলাফেরা করছিল। তারা মোটরবাইক সরিয়ে নিচ্ছিল। জিনিসপত্র স্থানান্তর করছিল।’


কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:১৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ওই অঞ্চলের কাঠুয়া জেলার উধমপুর এলাকায় এক অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, বুধবার সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় একটি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় তিন সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে হত্যা করে যৌথ আভিযানিক দল।

একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি প্যারা ইউনিট, ২২ গাড়ওয়াল রাইফেলস ও জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) অংশ নিয়েছিল।

নিহতের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। বুধবার অভিযানের কথা বলা হলেও ঠিক কখন এটি হয়, সেটিও এনডিটিভির খবরে উল্লেখ করা হয়নি।

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দফায় ভোট হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। তাই অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনীর বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণে একজন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) জওয়ান আহত হন। এরপর থেকেই যৌথ বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল ও অভিযান চালাচ্ছে।

বিএসএফ জানিয়েছে, সেনারা উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সীমান্তটি প্রায় ৩ হাজার ৩২৩ কিলোমিটার প্রসারিত। পুরো অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরের উত্তেজনা ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বিষয়:

ড. ইউনূসকে সমর্থন দিতে বাইডেনকে অনুরোধ সিনেটর ডারবিনের

ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল, অর্থনৈতিক সংলাপের পরিকল্পনা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:৫০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন সিনেটর ডিক ডারবিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। গত সোমবার সিনেটে এক বক্তৃতায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

এক বিবৃতিতে ডিক ডারবিনের দপ্তর জানায়, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। সিনেটে বক্তৃতায় তিনি ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন, যা উন্নয়নশীল দেশে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেয়।

বক্তৃতায় ডারবিন বলেন, ‘আমি তাকে (ড. ইউনূস) পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। আমি তাকে বিশ্বাস করি, ২০ বছর আগেও করেছি এবং আজও করি। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতিও তাকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি। আমি জানি ড. ইউনূসের হৃদয়ে বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের বিষয় রয়েছে এবং এ চ্যালেঞ্জিং সময়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন।’

ডারবিন তার বক্তব্য শুরু করেন বাংলাদেশে সফরের কথা (২০ বছর আগে) স্মরণ করে। তখন তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রথম দেখা করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূস এমন একটি তত্ত্ব নিয়ে আসেন, যার মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের সাহযোগিতা করার কথা ভেবেছিলেন। এটি ক্ষুদ্রঋণ নামে পরিচিত এবং তিনি ‘গ্রামীণ ব্যাংক, জনগণের ব্যাংক’ নামে কিছু তৈরি করেন।

ডারবিন আরও বলেন, ড. ইউনূসের ধারণা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে এবং তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে সাহায্য করেছে। দুঃখজনকভাবে তার ধারণাগুলোর কারণে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আক্রোশেরও শিকার হন। তাকে বছরের পর বছর ধরে সন্দেহজনক আইনি অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে জেলহাজতের হুমকি দেওয়া হয়।

ডারবিন বলেন, ‘গত মাসে আমার বিস্ময়ের কথা কল্পনা করুন... জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে হাসিনা অবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং যে ছাত্ররা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দাবি করেন যে তাদের দেশের নেতা হবেন কেবল ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘আমি তার সৌভাগ্যের কথা শুনে তাকে (ড. ইউনূস) ফোন করি। তিনি উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশের মানুষ এখন এই ঐতিহাসিক সুযোগে কাজে লাগাতে প্রস্তুত।’

ডারবিন জুলাই মাসে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানির নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশে তিন সহকর্মীর নেতৃত্ব দেন। এতে তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ডক্টর ইউনূসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে এবং তার বিরুদ্ধে আনা সন্দেহজনক অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল, অর্থনৈতিক সংলাপের পরিকল্পনা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপ শুরুর পরিকল্পনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কাজে সহায়তার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে এই সংলাপের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণসংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। পাশাপাশি মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

মার্কিন রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, আইএমএফ এবং অন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততার জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ বাংলাদেশ আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে আর্থিক টেকসইমূলক উন্নতি এবং দুর্নীতি হ্রাস করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত
বাসস জানায়, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে দেশটির সম্পৃক্ততার জল্পনা-কল্পনা দৃঢ়তার সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছে।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এ সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ও আগ্রহী।’

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে তিনি দেশটিতে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে বিদেশি প্রভাব সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
ছাত্র বিক্ষোভে চীনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্যাটেল জবাব দেন, ‘আমি শুধু শুধু অনুমান করতে যাচ্ছি না।’

এ সময় একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক মৈত্রী তুলে ধরে কিছু ভারতীয় মিডিয়া আউটলেট সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছে বলে উল্লেখ করেন।

জবাবে প্যাটেল দৃঢ়ভাবে এ দাবিগুলো নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি সেই প্রতিবেদনগুলো দেখিনি; কিন্তু আমি যা দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলতে পারি তা হলো, সেগুলো (প্রতিবেদনগুলো) সত্য নয় আর সম্ভবত সে কারণেই আমি সেগুলো দেখিনি।


মণিপুরের তিন জেলায় সর্বাত্মক কারফিউ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের মণিপুর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে কারফিউ জারি করেছে সরকার। রাজ্যের তিন জেলা পূর্ব ইম্ফল, পশ্চিম ইম্ফল ও থাউবাল জেলায় আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে সর্বাত্মক কারফিউ চলবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে এটি বলবৎ হয়েছে। রাজ্যের শান্তি পুনরুদ্ধারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের এক দিন পরই মণিপুরের এ তিন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।

কারফিউর আওতামুক্ত থাকবে স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, গণমাধ্যম। পৌরসভার কর্মী ও আদালতের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিসহ অত্যন্ত জরুরি পরিষেবাগুলোও কারফিউর আওতামুক্ত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) থৌবাল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহন্থেম সুভাষ সিং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) আওতায় (সেকশন ১৬৩) একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদেশটিতে কোনো ব্যক্তি কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বা অস্ত্র বহন করতে পারবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশে জমায়েত নিষিদ্ধ করে। আদেশ লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা প্রয়োগের বিধান আছে এ আইনে।

সোমবার ‘অল থাউবাল অপুনবা স্টুডেন্ট’ আয়োজিত একটি সমাবেশের পর এ সিদ্ধান্ত নেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহন্থেম সুভাষ সিং।

একটি সরকারি সূত্র টিওআইকে জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বিজেপি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) সমন্বিত ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়কদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। এরপর তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল এল আচার্যের সঙ্গে দেখা করে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে জানান।

গত শুক্রবার মণিপুরে সহিংসাত ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন জঙ্গিরা দূরপাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার পর সহিংসতা শুরু হয়। ইম্ফল উপত্যকার বিষ্ণুপুর জেলার মইরাংয়ে সন্ত্রাসীরা এক পুরোহিতকে হত্যা করে। রকেট হামলার ঘটনায় আহত হন ৫ জন। ঘটনাটি ঘটে জিরিবাম থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্বে।

পরদিন শনিবারও সহিংসতা চালায় সন্ত্রাসীরা। তারা জিরিবামের নুংচাপ্পি গ্রামে হামলা চালিয়ে ইউরেম্বাম কুলেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। এরপর রসিদপুর গ্রামের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় তাদের প্রতিরোধ করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। এ সময় সংঘর্ষে বাসপতিময়ুম লক্ষী কুমার শর্মা নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।

খবর পেয়ে জিরিবাম পুলিশের এসপি ও তার দল ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ব্যাপক গোলাগুলির মধ্যে পড়েন তারা। ঘটনার পর পুলিশ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে।

মণিপুরের আইজি (গোয়েন্দা) কে কাবিব বলেছেন, নিহত ব্যক্তিদের তারা ‘সন্দেহজনক দুর্বৃত্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এ ছাড়া রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোর কারণে, মণিপুর পুলিশ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলা সদরে রয়েছেন এবং পরিস্থিতি মনিটর করছেন।

বিষয়:

বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত সীমান্তে মৌমাছি মোতায়েন

সীমান্তে মৌ-বাক্স স্থাপন করেছে বিএসএফ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌমাছি মোতায়েন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক স্থাপন করেছে তারা।

আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এর প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলছে, গত সপ্তাহে বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাদিপুর জড়ো হন। সেখানে তাদের মৌমাছি চাষ শিখতে দেখা যায়। সে সময় তাদের মাথা ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরা ছিল।

সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকটি মৌ-বাক্স ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে।

তাদের আশা, যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের ওপর আক্রমণ করবে।

এ বিষয়ে বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তারা। সেখানে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।

৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, এক বছরেরও কম সময় আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমরা মৌমাছি পালন করা শুরু করি। এটি ছিল গ্রাম উন্নয়নে সরকারের একটি প্রকল্প। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এ ছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।’

একটি ইউনিট এ উদ্যোগে সফলতা পাওয়ার পর অন্যান্য ইউনিটও একই রকম ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক কর্মকর্তা। আর যেসব জওয়ানকে মধুচাষ শেখানো হবে তারা অবসরের পরও জীবিকার জন্য এটি করতে পারবেন।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সীমান্তে অপরাধের ঘটনাও কমেছে। কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতি মণ্ডল বলেন, অনেক অপরাধী সীমান্ত বেড়ার আশপাশে অবস্থান করত ও বিভিন্ন অপরাধ করে নিজেদের এলাকায় পালিয়ে যেত। এখন মৌমাছি থাকার কারণে সীমান্তে ছোটখাটো অপরাধের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।

বিষয়:

ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগির তাণ্ডব, নিহত ৫৯

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির তাণ্ডবে ৫৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। আজ সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইয়াগি চলতি বছর এশিয়ার কোনো দেশে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। এর প্রভাবে আরও বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কবার্তা দিয়েছে ভিয়েতনামের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভিয়েতনামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, নিহত-নিখোঁজের ঘটনাগুলোর বেশির ভাগ ঘটেছে ইয়াগির প্রভাবে ভূমিধস ও বন্যার কারণে।

গত শনিবার ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্ব উপকূলে টাইফুনটি আঘাত হানে। এলাকাটিতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির কারখানা রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল রোববার টাইফুন ইয়াগি শক্তি হারিয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে রূপ নেয়।

ভিয়েতনামের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ২০৮ থেকে ৪৩৩ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। ইয়াগির প্রভাবে আরও বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে।

ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনামের লাখো ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। ব্যাহত হয় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। একটি মাঝারি আকারের সেতু ধসে পড়েছে। বহু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। থমকে গেছে বিভিন্ন শিল্প এলাকার কার্যক্রম।

ভিয়েতনামে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী সংগঠনের চেয়ারম্যান হং সান বলেন, দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানাগুলো ক্ষতির মুখে পড়েছে।

বিষয়:

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার সমর্থক গতকাল রোববার রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে সমাবেশ করেছেন। দেড় শতাধিক মামলায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন তিনি।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী খান এসব মামলা সত্ত্বেও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন। সমালোচক ও তার দলের লোকজন এসব মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে। ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এ বছরের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও পুলিশের সঙ্গে কিছু নেতাকর্মীর সংঘর্ষ হয়।

ইমরান খানের মুখপাত্র জুলফি বুখারি এক বিবৃতিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাবেশে সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

এর আগে তার সমর্থকরা যাতে সমাবেশে যোগ দিতে না পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষ শিপিং কন্টেইনার লাগিয়ে প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দেয়।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শীর্ষ নির্বাচিত কর্মকর্তা আলী আমিন সমাবেশে বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা শিগগিরই ইমরান খানের মুক্তি নিশ্চিত করব। তিনি তার নেতার মুক্তির জন্য সরকারকে দুই সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

২০২৩ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান।

বিষয়:

ভারতে এমপক্স শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে এক ব্যক্তির শরীরে এমপক্সের সন্দেহজনক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভুগছে- এমন একটি দেশ থেকে ফিরেছেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোগীকে একটি হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে রোগী কোনো ধরনের এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। সংক্রমণ নিশ্চিত করতে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, নির্ধারিত প্রোটোকল অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা চলছে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে ও দেশে এর প্রভাব মূল্যায়নের জন্য প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

গত মাসে দেশটির দৈনিক পত্রিকা হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানায়, আফ্রিকায় এমপক্সের একটি নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ভারত সতর্ক রয়েছে। ভারত ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে পুরোনো স্ট্রেনের ৩০টি সংক্রামণ শনাক্ত করেছে, যা ক্লেড-২ নামে পরিচিত।

প্রসঙ্গত, ঘনিষ্ঠভাবে এমপক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে গেলে এ রোগ ছড়াতে পারে। সাধারণত মৃদু হলেও বিরল ক্ষেত্রে এ রোগ মারাত্মক হতে পারে। এর উপসর্গ ফ্লুর মতো এবং শরীরে পুঁজযুক্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়।

বিষয়:

রাখাইনে জান্তার নৌঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিল আরাকান আর্মি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। গতকাল শনিবার রাখাইনের জাতিগত এ সশস্ত্র গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে।

আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে বলেছে, এক মাস তুমুল লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থানদের নাগপালি সৈকতের অদূরে নেভি সিল ট্রেনিং সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।

আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ওই ঘাঁটির নাম সেন্ট্রাল নেভাল ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ডিপো (সিএনডিএসডি)। প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নৌ সদরদপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিলেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। জান্তা বাহিনীর এ নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত ৭ আগস্ট বড় পরিসরে এক অভিযান শুরু করে আরাকান আর্মি। প্রথমে নৌঘাঁটির আশপাশের গ্রামে মোতায়েন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায় তারা। আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল। পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত নৌসেনারাও লড়াইয়ে অংশ নেন। যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এত কিছুর পরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি বলে আরাকান আর্মির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

আরাকান আর্মি দাবি করেছে, নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত এক মাসের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর চার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে তারা। জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি জোট গঠন করেছে। গত বছরের ২৭ অক্টোর এই জোট বড় পরিসরে হামলা শুরুর পর বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

বিষয়:

ভারতের মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় নিহত ৬

ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অল ইন্ডিয়া রেডিওর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ২২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে জিরিবাম জেলার নুংচাপ্পি গ্রামে শনিবার ঘুমন্ত অবস্থায় এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়। পরে নুংচেপি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়।

এর আগে গত শুক্রবার বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং শহরে বোমা বিস্ফোরণে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হন।

শুক্রবার রাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ একত্রিত হয়ে মণিপুর রাইফেলসের পৃথক দুটি ব্যাটালিয়ন ঘেরাও করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের চেষ্টা করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় সরকারি বাহিনী।

সুবিধাবঞ্চিত আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর শিক্ষা ও সরকারি চাকরির জন্য যে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া হয়, সে তালিকায় অ-উপজাতি মেইতেই সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে গত বছরের ৩ মে থেকে মণিপুরে বড় আকারের সহিংসতা শুরু হয়।

এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ১,১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

এছাড়াও সহিংসতার মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের থেকে পাঁচ হাজারের বেশি অস্ত্র লুট হয়েছে।

বিষয়:

প্রথমবারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন হ্যারিস ও ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ এক টেলিভিশন বিতর্কে উভয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে। এবিসির আয়োজনে আগামী মঙ্গলবার এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে। এটি উভয়ের মধ্যে প্রথম এবং সম্ভবত শেষ টেলিভিশন বিতর্ক হতে যাচ্ছে।

এর আগে জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়ের পর তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। ডেমোক্রেট দলের কনভেনশনে প্রার্থী হিসেবে তিনি কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এদিকে লাখ লাখ আমেরিকান সামনের কাতারে থেকেই নির্বাচনী লড়াইয়ে মরিয়া উভয়প্রার্থীর ঝুঁকিপূর্ণ এই বিতর্ক প্রত্যক্ষ করবেন। এই বিতর্ককে উভয় প্রার্থীর জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল পরীক্ষা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

এদিকে আমেরিকার নারী, কৃষাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে(৫৯) নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। বিতর্কের আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা এগিয়ে থাকলেও

ট্রাম্প তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ কমলা হ্যারিস নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে প্রবেশের কারণে ট্রাম্প(৭৮) হয়ে পড়েছেন মার্কিন নির্বাচনী ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী।

রুটজার্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশনের এরিন ক্রিস্টি বলেছেন,“ এই ধরনের একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনও মুখোমুখি হননি।”

তিনি বলেন, তাই এই বিতর্ক হবে খুবই আকর্ষণীয় ও সচেতনতামূলক এবং নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারণকারী।
হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে মঙ্গলবারের এ বিতর্কই হতে পারে শেষ বিতর্ক। কারণ এখনও পর্যন্ত উভয়ের কেউই নতুন বিতর্কের বিষয়ে সম্মতি দেয়নি।

এদিকে বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কি মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ আমেরিকান।


banner close