শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১

দেড় কোটি ভোটার আমার সঙ্গে আছে: ট্রাম্প

আপডেটেড
৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:০৪

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামনের বছর হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেড় কোটি ভোট পাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে আবারও মনোনয়নপ্রত্যাশী ট্রাম্প স্থানীয় সময় বুধবার ফক্স চ্যানেল আয়োজিত এক ইভেন্টে দর্শক-সমর্থকদের সামনে এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।

তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট থাকতে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে যা করেছি, তা আর কাউকে করতে দেখিনি। আমি মনে করি ৭৫ লাখ নয়, দেড় কোটি ভোটার আমার সঙ্গে আছে।’

ট্রাম্প দর্শকদের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘নিরাপদ সীমান্ত, শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, কম ট্যাক্স ও কম খরচ সবারই চাওয়া, যা আমি করেছি এবং করব। আপনি নিশ্চয়ই খুব সহজে কম মূল্যে নিজের বাড়িটি কিনতে চাইবেন।’

২০২৪-এর নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র একজন স্বৈরাচারী শাসক পাবে বলে বেশ কয়েকদিন যাবৎ ভোটারদের সতর্ক করে আসছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাট ও তার দলের কিছু রিপাবলিকান রাজনৈতিক কর্মী ও বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে তিনি ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি কখনোই স্বৈরশাসক হব না।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান।

দেশটির আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকতে পারেন। তাই ট্রাম্পের আরও একবার এ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ আছে।


ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির দাবি
ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে জনতার বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২১ মার্চ, ২০২৫ ২০:৪৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির দাবিতে তারা এ বিক্ষোভ করে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থি সরকারের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেন তারা। গতকাল শুক্রবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দাবি, নেতানিয়াহুর সরকার দেশের গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে। দেশটিতে এ বিক্ষোভের কারণে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। আয়োজকরা বলছেন, বিক্ষোভ যেভাবে গতি পাচ্ছে তাতে আগামীতে আরও বেশি বিক্ষোভ হতে পারে।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্তের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে ইসরায়েল দুই মাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর এ বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে।

বিক্ষোভকারীরা সরকারকে রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার এবং বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাসের হাতে আটক ৫৯ জিম্মির দুর্দশা উপেক্ষা করার অভিযোগ করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২৪ জিম্মি জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রাদার্স ইন আর্মস প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রধান নির্বাহী এইতান হার্জেল বলেন, এই সরকার এখন নিজেকে রক্ষা করার জন্য আবারও যুদ্ধ শুরু করেছে, ইসরায়েলের জনসাধারণকে বিরক্ত করে এমন বিষয়গুলো থেকে নজর সরাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার সম্ভাব্য সব স্তরে বৈধতা হারিয়েছে, তারা ব্যর্থ হচ্ছে।

সাবেক সিনিয়র নৌ কর্মকর্তা এবং বিক্ষোভের সংগঠক ওরা নাকাশ পেলেদ বলেন, আমি মনে করি আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি, আমাদের সংগঠিত হতে হবে, আমাদের অবিচল থাকতে হবে, আমাদের মনোযোগী হতে হবে। (বিক্ষোভ) সহিংস হতে পারে না (কিন্তু) এটি ভদ্র হতে হবে না।

ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের আইন বিশেষজ্ঞ ড. আমির ফুচস বলেন, সরকারের বারকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা আছে, কিন্তু তবুও প্রশাসনিক আইন মেনে চলতে হবে।

গাজা ও পশ্চিম তীরে ৯৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা

গাজা এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি তাণ্ডব ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মুখোমুখি হওয়া ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় ৯৯ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিল ঘোষণা করেছে কানাডা। গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেলানি জোলি গাজা এবং পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রদানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, রেড ক্রস এবং এনজিও অংশীদারদের সহায়তা করার জন্য ৯৯ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিল ঘোষণা করেছেন।

এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে অপরিহার্য পরিষেবা পুনরুদ্ধারের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে এবং দুর্বল মানুষকে সাহায্য করা। আরও ২৪.৫৫ মিলিয়ন ডলার জীবন রক্ষাকারী সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, সুরক্ষা এবং আশ্রয়।

এছাড়া ২৪.৭৫ মিলিয়ন ডলার শান্তি ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টার জন্য ব্যয় করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে মাইন অপসারণ। অপরদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং শাসনব্যবস্থার জন্য ৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান মানবিক পরিস্থিতি টেকসই নয়। কানাডা ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছে। বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক কর্মীদের সুরক্ষাসহ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

কানাডা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, তারা এমন প্রচেষ্টার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা শান্তি, নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সাথে পাশাপাশি বসবাস করতে পারে।

গাজায় ৩ দিনে প্রাণ গেল ৬০০ ফিলিস্তিনির

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এ নিয়ে পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের এই বর্বর হামলায় গত তিনদিনে প্রাণ হারাল প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি। এমনকি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮৫ জন নিহত ও আরও ১৩৩ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৬১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছেন। ভুক্তভোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করছে মন্ত্রণালয়।

আল জাজিরা বলছে, মঙ্গলবার গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৫৯০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসা কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল হামলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহত ও আহতের সংখ্যাও বাড়ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাতে তাদের স্থল আক্রমণ চলছে এবং সৈন্যরা বেইত লাহিয়া শহর ও উত্তর দিকে কেন্দ্রীয় এলাকায় অগ্রসর হচ্ছে। ইসরায়েল বলেছে, গাজা উপত্যকায় পুনরায় শুরু করা স্থল অভিযান আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে বুধবার (১৯ মার্চ) ওই অঞ্চলের উত্তর-দক্ষিণের প্রধান পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে গাজায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। স্থল ও আকাশপথে ইসরায়েলের নতুন হামলায় বেসামরিক প্রাণহানি বৃদ্ধির প্রতিশোধে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।


গাজায় আবারও স্থল অভিযান শুরু করল ইসরায়েল

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মার্চ, ২০২৫ ২০:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তারা আবার স্থল অভিযান শুরু করেছে। এদিকে, তেল আবিব বলেছে, ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি ‘শেষ সতর্কবার্তা’, যাতে তারা জিম্মিদের ফেরত দেয় এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। আল-জাজিরা এবং বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজায় ভারী বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে খান ইউনিসের কাছে আরও অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষা করেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর ফলে ফিলিস্তিনিরা আবারও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রিয়জনের মরদেহ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।

ইসরায়েল যেসব এলাকাকে ‘যুদ্ধ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর গাজা থেকে পালানো অনেক পরিবারকে শিশুসহ রাস্তায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

‘শেষ সতর্কবার্তা’ : গাজার বাসিন্দাদের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, এটি শেষ সতর্কবার্তা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরামর্শ গ্রহণ করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে দেন এবং হামাসকে সরিয়ে দেন। তাহলে আপনাদের জন্য অন্যান্য বিকল্প উন্মুক্ত হবে-যার মধ্যে অন্য দেশে চলে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজার জনগণের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, তবে তা কেবল তখনই সম্ভব, যদি তারা জিম্মিদের মুক্তি দেয়। যদি না দেয়, তবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে!

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। কয়েক দফায় মুক্তি দেওয়ার পর আর মাত্র ৫৮ জন জিম্মি রয়েছেন গাজায়, যাদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত সোমবার পর্যন্ত, অর্থাৎ তীব্র হামলা শুরুর আগ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৮ হাজার ৫৭০ জন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত : গাজা উপত্যকায় সবশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৭০ জনেরও বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসালের টেলিগ্রামে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গাজাজুড়ে বাড়িঘর, তাঁবু এবং অন্যান্য স্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের একজন কর্মচারীও রয়েছেন।

বাসাল বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে। কিন্তু উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজার ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া এবং জ্বালানি সরবরাহের ওপর অবরোধ প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানকারীদের কাজকে বিপন্ন করছে। সীমান্তে ইসরায়েলি বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকলে পরিষেবাগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজায় যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি ইসরায়েল।

‘গাজায় এমন হামলা হবে, যা কেউ কখনো দেখেনি’ : হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি না দিলে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। গাজায় এমন তীব্র হামলা চালানো হবে ‘যা আগে কেউ কখনো দেখেনি’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

গাজার নেতজারিম করিডরের একটি অংশ ফের দখলে নেওয়ার পর এ হুমকি দেন কাটজ। বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিভক্তকারী কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটিতে সেনা মোতায়েনের তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রশাসন।

এদিকে, হামাস জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ও গাজার শাসনক্ষমতা না ছাড়া পর্যন্ত গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।

নেতজারিম করিডোর দখলে নেওয়ার পর বুধবার এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার পর এই অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এখন আবার সেখানে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার সেহরির সময় নতুন করে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নারী-শিশুসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছে হামাসশাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে ভেঙে পড়েছে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি।

দীর্ঘ ১৫ মাসের সংঘাত শেষে একটু আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন গাজার বাসিন্দারা। মানবিক সাহায্য আসতে শুরু করেছিল, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কয়েকশত ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও ছিলেন।

তবে মঙ্গলবারের হামলায় আশার সব আলো নিভে গেছে। এরই মধ্যে নেতজারিম করিডরের দখল দুইপক্ষকে ফের সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও মঙ্গলবারের ইসরায়েলি বিমান হামলার পর এখন পর্যন্ত হামাসের কোনো পাল্টা হামলার খবর পাওয়া যায়নি।

বিষয়:

অগ্নিকাণ্ডে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ

সহস্রাধিক ফ্লাইটে বিঘ্ন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নিকটবর্তী একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের।

ক্ষুদেব্লগ ব্লুস্কাইয়ে দেওয়া এক পোস্টে ফ্লাইটরাডার২৪ নামের একটি ফ্লাইট ট্র্যাকার জানিয়েছে, ‘আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় এক হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট চলাচল ব্যহত হয়েছে।’

খবর বলছে, ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে আসা বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। কিছু ফ্লাইট লন্ডনের বাইরে গ্যাটউইক বিমানবন্দরে, প্যারিসের শার্ল দ্য গোল বিমানবন্দর ও আয়ারল্যান্ডের শ্যানন বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করেছে।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবর এমন তথ্য দিয়েছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই। আসছে দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।’

খুলে না দেওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের এই বিমানবন্দর দিয়ে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দরের একটি হিথ্রো। কেবল চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এই বিমানবন্দর দিয়ে ৬৩ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করেছেন। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা পাঁচ শতাংশ বেশি।

এরআগে ২০২৩ সালে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দেওয়ায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের বিলম্ব হয়েছিল। তখন বেশ কয়েকদিন ধরে দেশটিজুড়ে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ হয়েছিল ধীর গতিতে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের সাতটি ফ্লাইটকে ফিরে যেতে হয়েছে কিংবা অন্য বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করতে হয়েছে। আর শুক্রবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে এই এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শেষ রাতে পূর্ব লন্ডনের একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনের ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডে আগুনের শিখা আকাশে উঠতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পরেও সেই আগুন ধিকিধিকি জ্বলেছে। বিমানবন্দর থেকে দুই মাইল দূরে এই সাব-স্টেশনটির অবস্থান।

এই আগুন নেভাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে ১০টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও ৭০ জনের মতো দমকলকর্মী কাজ করেছেন।

এতে কয়েক হাজার বসতবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছে। স্কটল্যান্ড ও সাউদার্ন ইলেট্রিসিটি নেটওয়ার্কস জানিয়েছে, ষোলো হাজার ৩০০ বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থাপনাটি থেকে ব্যাপক আগুন ও কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে।

যুক্তরাজ্যের জ্বালানিমন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড বলেন, ‘সাতঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ আমাদের জানা নেই। অবশ্যই এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।’


এসবিবিএস কমিউনিটির সদস্যদের জন্য নানা উদ্যোগ

চালু হচ্ছে 'লিগ্যাল শো' ও মেম্বার্স সাপোর্ট কার্যক্রম
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
লন্ডন থেকে আজিজুল আম্বিয়া

দ্য সোসাইটি অব বৃটিশ বাংলাদেশী সলিসিটরস (এসবিবিএস) কমিউনিটির জন্যে ফ্রি আইনী পরামর্শসেবা এবং সদস্যদের জন্যে চালু করছে নানা রকম কার্যক্রম।

রোববার পূর্বলন্ডনের একটি রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত মিট দ্যা প্রেস, এমওইউ স্বাক্ষর ও ইফতার অনুষ্ঠানে একথা জানান সংগঠনটির নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ।

এসবিবিএস সদস্যদের প্রফেশনাল ইনডেমনিটি ও অন্যান্য ইন্সুরেন্স সেবা নিশ্চিতে হেরা ইনডেমনিটি কোম্পানির সাথে এবং লিগ্যাল সার্চেস সেবার জন্যে এক্সপ্রেস লিগ্যাল সার্ভিস কোম্পানি সাথে দুইটি এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানীদ্বয় এসবিবিএস সদস্যদের ও সলিসিটর্স ফার্মকে হ্রাসকৃত ফিতে ইন্সুরেন্স ও রেগুলেটেড লিগ্যাল সার্চেস সেবা দিবে।

নব নির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল গাফ্ফার কমিটির গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিকল্পনা সম্পর্কে সভায় অবহিত করেন যারমধ্যে রয়েছে ফ্রি আইনী পরামর্শ সেবার এসবিবিএস লিগ্যাল শো, লিগ্যাল আপডেট ও সদস্যদের বছরব্যাপী সিপিডি ট্রেনিং, ইন্টারেক্টিভ ওয়েবসাইট, এসআরএ এবং অন্য রেগুলেটরদের সাথে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে এডভোকেসি করা ইত্যাদি।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের বাংলাদেশে এডভোকেটশীপ সহজীকরণে কমিটি কাজ করছে। কমপ্লেইন্স এবং কমপ্লিয়ান্ট হ্যান্ডলিং সাপোর্টের জন্যে তার নেতৃত্বে কমিটি রয়েছে, যে কোনো সদস্য গোপনীয়তার সাথে তাদের সহযোগিতা নিতে পারবেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্যাট্রন জাজ বেলায়েত হোসাইন, সলিসিটার তাজ শাহ, ব্যারিস্টার নাজির আহেমদ, টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ, ও লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের মিনিস্টার ও হেড অব চ্যান্সেরি শাহরিয়ার মোশাররফ, প্রাক্তন সভাপতি দেওয়ান মেহেদী, ফরিদা হাকিম, এহসান হক, বিভিন্ন ফার্মের প্রিন্সিপাল সলিসিটর্স, সম্পাদক, সাংবাদিক সহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী । সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুনসাত হাবিব চৌধুরীর সঞ্চালনে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে পরিচয়পর্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং সকল সদস্যের সাথে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সার্বিক কল্যাণ কামনায় দোআ মোনাজাত পরিচালনা করেন সলিসিটার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ।


গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ ট্রাম্পের

ভয়েস অব আমেরিকাসহ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেটে অর্থায়ন স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ), রেডিও ফ্রি এশিয়া, রেডিও ফ্রি ইউরোপ এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের আউটলেটের শত শত কর্মীকে ছাটাই করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ইমেল করা হয়েছে এসব কর্মীদের। একই সঙ্গে তাদের প্রেস পাস এবং সরঞ্জাম জমা দিতে বলা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৪ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়াকে (ইউএসএজিএম) 'অপ্রয়োজনীয়' ফেডারেল আমলাতন্ত্রের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকার মূল সংস্থা ইউএসএজিএম। সংস্থাটিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মী রয়েছে। কংগ্রেসে পেশ করা সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটির জন্য ২০২৪ সালে ৮৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেডিও ফ্রি ইউরোপ ও রেডিও ফ্রি এশিয়াসহ বেসরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রচারকদের সব চুক্তি বাতিল করেছে সংস্থাটি।
ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিৎজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তার ১৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক ও সহকারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, এই কাটছাঁট নিশ্চিত করবে যে ‘করদাতারা আর উগ্রবাদী প্রচারণার শিকার হবেন না।’
প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই সিদ্ধান্তটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ কংগ্রেস, প্রেসিডেন্টর হাতে নয়, কংগ্রেসের হাতে সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঝড়ে ৩২ জনের মৃত্যু

শনিবার ওয়েইন কাউন্টিতে ভয়াবহ ঝড়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে স্কুলগুলো এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যে সেমিট্রাক্টর-ট্রেইলার উল্টে গেছে।

দেশটির কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় শনিবার গভীর রাতে আরও তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা করছে বলে বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেস(এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) শেরম্যান কাউন্টিতে ধূলোঝড়ের কারণে ৫০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ ৮ জনের মৃত্যুর পর হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে কানসাস হাইওয়ে পেট্রোল।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস জানিয়েছেন, তিনটি কাউন্টিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ রাত্রিকালীন একটি পোস্টে তিনি আরও জানান, গোটা রাজ্যে ২৯ জন আহত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিসৌরি অন্য যেকোনো রাজ্যের চেয়ে বেশি প্রাণহানির নথিভুক্ত করেছে। কারণ, এটি রাতভর থেমে থেমে বয়ে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়। এতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে এক ব্যক্তিও রয়েছেন যার বাড়ি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
ডাকোটা হেন্ডারসন জানান, শুক্রবার রাতে তিনি ও অন্যরা বাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মিসৌরির ওয়েইন কাউন্টিতে তার খালার বাড়ির বাইরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাঁচটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
গত রাতটি খুবই কঠিন ছিল উল্লেখ করে শনিবার তিনি বলেন, ‘গত রাতে লোকজনের সঙ্গে যা ঘটেছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক।’ তিনি বলেন, গাছপালা উপড়ে ঘরবাড়ির উপর পড়েছিল।
হেন্ডারসন বলেন, তারা তার খালাকে একটি শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করেছিল। ঝড়ের পর তার বাড়িতে একমাত্র অবশিষ্ট ঘর ছিল এটি। তাকে জানালা দিয়ে বাইরে নেওয়া হয়। তারা আরও একজন লোককে উদ্ধার করেছেন—যার হাত-পা ভেঙে গেছে।
আরকানসাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাউন্টিতে ৩ জন নিহত ও আটটি কাউন্টিতে ২৯ জন আহত হয়েছেন।
আরকানসাসের গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স এক্সে বলেন, 'গত রাতের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আমাদের দল কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকর্মীরা মাঠে রয়েছে।’
তিনি এবং জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প নিজ নিজ রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। কেম্প বলেন, শনিবারের শেষের দিকে খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কারণে তিনি এই ঘোষণা দিচ্ছেন।
এদিকে গত শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেক্সাস প্যানহ্যান্ডেলের আমারিলোতে ধুলোঝড়ের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।


৪৩ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ৪৩টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা ভাবছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের আগের মেয়াদের চেয়ে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি বড় হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস এমন খবর দিয়েছে।

কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এরইমধ্যে ‘লাল’, ‘কমলা’ ও ‘হলুদ’—এই তিন ক্যাটাগরিতে খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। এতে তিনটি ধাপে ৪৩টি দেশের নাম রয়েছে।

তালিকায় প্রথম ধাপের ১১টি দেশ হলো—আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন। এসব দেশের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ ভিসা বাতিল হতে পারে।

দ্বিতীয় ধাপের দেশগুলোর—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান ও তুর্কমেনিস্তান—ওপর আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এসব দেশের পর্যটন ভিসা, শিক্ষার্থী ভিসা, অভিবাসন ভিসায় প্রভাব পড়তে পারে।

অর্থাৎ বিধিনিষেধ আরোপ হলেও এসব দেশের ভিসা পুরোপুরি বাতিল করা হবে না। এই ১০ দেশের ধনী ব্যবসায়ীরা ভ্রমণ করতে পারলেও ভ্রমণ কিংবা অভিবাসন ভিসায় সাধারণ নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না।

শেষ গ্রুপে থাকা দেশগেুলোর সরকার নিরাপত্তা তথ্য সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে এসব দেশের নাগরিকদের ভিসায় আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।

দেশগুলো হলো, অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগা ও বার্বুডা, বেলারুশ, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, কেপ ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চাদ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র অব দ্য কঙ্গো, ডোমেনিকা, বিষুবীয় গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো, সেন্ট কিট্‌স ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি, সিয়েরা লিওন, পূর্ব তিমুর, তুর্কমেনিস্তান, লাইবেরিয়া, মালি, জিম্বাবুয়ে ও ভানুয়াতু।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই তালিকা তৈরি করেছেন। হোয়াইট হাউসে পৌঁছার আগে তালিকায় কিছুটা রদবদল হতে পারে এবং এখনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন মেলেনি।’

এখন খসড়া তালিকা পর্যালোচনা করছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক ব্যুরো, বিভিন্ন বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তার ওই পদক্ষেপ অনেক আইনি লড়াই পেরিয়ে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়।

দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুক সব বিদেশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই জোরদারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই নির্দেশে ‘নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে না’ এমন দেশগুলো শনাক্তে করে সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর ওপর পূর্ণাঙ্গ, কোনগুলোর ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় তার তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে জমা দিতে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে বলাও হয়েছিল।

এ দফায় ক্ষমতায় আসার পর রিপাবলিকান ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি গাজা ভূখণ্ড, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কারও’ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন।


ট্রাম্প টাওয়ারের লবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ, গ্রেপ্তার ১০০

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রতি সংহতি
নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তারদের সঙ্গে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের প্রতি সংহতি জানিয়ে ট্রাম্প টাওয়ারের লবিতে বিক্ষোভ করেছে শতাধিক মানুষ। এই বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় ফিলিস্তিনিপন্থি শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রধান আলোচকদের একজন ছিলেন মাহমুদ খলিল। গত শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় স্টুডেন্ট ওয়ার্কার্স অব কলাম্বিয়া ইউনিয়ন।

এদিকে, এনওয়াইপিডি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই প্রতিবাদ শুরু হয়। সাধারণ পোশাকে প্রায় ১৫০ জন ট্রাম্প টাওয়ারে প্রবেশ করেন। ভবনের ভিতরে গিয়ে তারা তাদের শার্ট খুলে ফেলেন ও ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনমূলক বার্তা লেখা লাল টি-শার্ট পরে ফ্লোরে বসে আন্দোলন শুরু করেন। সে সময় তারা ‘মাহমুদকে মুক্ত করো’স্লোগানও দেন।

এনওয়াইপিডির প্রধান জন চেল বলেন, ১০ মিনিটের মধ্যে আমরা পুলিশ বিভাগ থেকে সাড়া দিই। ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে আমরা গ্রেপ্তার শুরু করি। মোট ৯৮ জনকে অবৈধ প্রবেশ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, প্রতিবাদের আয়োজক সংগঠন ইহুদি ভয়েস ফর পিস (জেভিপি) জানায়, অভিনেত্রী ডেবরা উইঙ্গারও এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। জেভিপির তাল ফ্রিডেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাকস্বাধীনতায় আক্রমণ করছেন আর এটি করার জন্য তিনি ইহুদি বিদ্বেষের মিথ্যা অভিযোগ ব্যবহার করছেন।

অভিনেতা মরগান স্পেক্টর বলেন, আপনি যদি আমেরিকান হন ও সংবিধানে বিশ্বাস করেন, তাহলে আজ এখানে দাঁড়ানো আপনার উচিত। প্রতিবাদী জোশ ডাবনাউ বলেন, আমাদের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে এবং ভয়ের কারণে আমি আমার প্রথম সংশোধনীর অধিকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকব না।

মাহমুদ খলিল কে?

মাহমুদ খলিল একজন ফিলিস্তিন সমর্থক ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শিক্ষার্থী। গত শনিবার নিউইয়র্ক সিটি থেকে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) এজেন্টরা তাকে গ্রেপ্তার করেন ও লুইজিয়ানায় স্থানান্তর করে।

গ্রেপ্তারের পরে খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল বিচারপতি সেই সিদ্ধান্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তার আইনজীবীরা তাকে নিউইয়র্কে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন, যেন তিনি তার স্ত্রীর কাছাকাছি থাকতে পারেন। তার স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।


২০২৫-২০২৬ সালে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৬৭ লাখ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুদ্ধ ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার ফলে আগামী দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ৬৭ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মানবিক সংস্থা ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল (ডিআরসি) শুক্রবার এ কথা জানায়।

ডিআরসির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কোপেনহেগেন থেকে এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রত্যাহারের ‘বিধ্বংসী’ পদক্ষেপের ফলে লাখ লাখ দুর্বল মানুষ প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।

ডিআরসি মহাসচিব শার্লট স্লেন্তে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও দায়মুক্তির যুগে বাস করছি। বেসামরিক নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি মূল্য দিচ্ছে।’

ডিআরসি জানায়, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ১২২.৬ মিলিয়ন। সংস্থাটি তাদের বৈশ্বিক স্থানচ্যুতির পূর্বাভাসে ২০২৫ সালে ৪২ লাখ মানুষের বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা জানায়, যা ২০২১ সালের পর থেকে ডিআরসির সর্বোচ্চ পূর্বাভাস।

২০২৬ সালে আরো ২৫ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়।

সমস্ত আশঙ্কাজনক এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী সুদান ও মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ।

সুদানে ‘বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি মানবিক সংকট’ চলমান রয়েছে। দেশটি নতুন বাস্তুচ্যুতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী, এটি উল্লেখ করেছে ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে ইতোমধ্যেই সুদান ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ‘অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেশকে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ থেকে অন্য দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়েছে।’

ডিআরসি জানায়, মিয়ানমারে বহুমুখী গৃহযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং প্রায় ২ কোটি মানুষের অর্থাৎ জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের এখন মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।

এটি পূর্বাভাসে দেখিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ দেশটিতে আরও ১৪ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আফগানিস্তান, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ভেনিজুয়েলায়ও সশস্ত্র সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিআরসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ৬৭ লাখ লোকের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হবে।


ফের উত্তাল সিরিয়া, হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই

এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আবারও সংঘাতে উত্তাল হয়ে পড়েছে সিরিয়া। দেশটির নতুন ইসলামপন্থি শাসকদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত আলাউইত সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান রোববার জানায়, নিরাপত্তাবাহিনী এবং মিত্র গোষ্ঠীগুলো গত দুই দিনে ৭৪৫ জন আলাউইত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।

মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দুপক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে ১২৫ জন নিরাপত্তাকর্মী এবং বাশার আল-আসাদের অনুগত ১৪৮ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমন এলাকাগুলোতে আসাদের প্রতি অনুগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি সতর্কবার্তায় বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার কেউ কেউ খুনি এবং অপরাধীদের রক্ষা করতে তাদের পালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিচ্ছে। তবে পথ মাত্র দুটি; হয় অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।’

বর্তমানে সিরিয়ার এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে আলাউইত সম্প্রদায়ের কর্মীরা বলছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে, হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলো এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে।

অন্যদিকে, দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বিদ্রোহীদের অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রচারিত এক বক্তব্যে শারা বলেন, ‘আপনারা সিরীয় নাগরিকদের ওপর আক্রমণ এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। আপনাদের অস্ত্রগুলো জমা দিন এবং দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আত্মসমর্পণ করুন।’

উপকূলীয় লাতাকিয়া ও তারতুসে শনিবার পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া হোমস শহরেও কারফিউ জারি করা হয়েছে। আসাদের অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব অভিযানের সময় বেসামরিক নাগরিকদের নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এই এলাকাগুলোকে আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এসওএইচআর-এর প্রধান রামি আব্দুল রাহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ার আলাউইতিদের মূল এলাকা জাবলেহ, বানিয়াসসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। এসওএইচআর বলছে, গত দুইদিনে এক হাজারের বেশি জন নিহত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদের পতনের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা সেখানে চালানো হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বর্তমান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং আসাদের যোদ্ধারাও রয়েছে। এসওএইচআর জানিয়েছে, সংঘর্ষে বর্তমান সরকারের ১২৫ জন নিরাপত্তা রক্ষী এবং আসাদপন্থী ১৪৮ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা সানাকে বলেছে, হামলাকবলিত এলাকাগুলো সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বিবিসি বলছে, সংঘর্ষ ও দমন অভিযানের কারণে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত ব্যক্তি এলাকা ছেড়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লাতাকিয়ায় মেইমিমে একটি রাশিয়ান ঘাঁটিতে বড় ধরনের ভিড় দেখা গেছে। ঘাঁটির কাছে অনেকেই রাশিয়ার সুরক্ষার জন্য স্লোগান দিচ্ছিলেন।

বিবিসি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ এই দমন অভিযান শুরু করে। তাদের দাবি, বাশার আল-আসাদের সমর্থক জঙ্গিরা তাদের বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে আর এটি একটি উদীয়মান বিদ্রোহ। অভিযান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও স্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা।


আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

নারী: কন্যা জায়া জননী
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মার্চ, ২০২৫ ১৩:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী মমতাময়ী, নারী মায়াময়ী, নারী করুণাময়ী। নারী : কন্যা জায়া জননী, নারী ভগিনী। নারীর স্নেহ, মায়া, মমতা ও করুণা মানব সভ্যতার অমূল্য সম্পদ। নারী সকল প্রেরণার উৎস।

‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এভাবেই তার ‘নারী’ কবিতায় সকল সৃষ্টি ও বিশ্ব সভ্যতার বিকাশে নারীর কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করেছেন।

কিন্তু এই নারীই আবার সমাজে-পরিবারে এখনো নানাভাবে উপেক্ষিত, অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও বঞ্চিত। সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, দেশের নানা স্থানে চলার পথে, রাস্তাঘাটে, পরিবহনে এমনকি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। নারী শিক্ষার্থী ও নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি এবং হেনস্তা করা হচ্ছে। যা নারীর ক্ষমতায়নের পথে প্রধান অন্তরায়। এটি খুবই লজ্জার এবং উদ্বেগের বিষয়।

পুরুষের পাশাপাশি নারীর চলার পথ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ রাখা এবং একজন নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিবারের পাশাপাশি রাষ্ট্র ও সমাজেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। নারীর অক্লান্ত শ্রম ও সমাজ-সভ্যতার প্রতি তার অসামান্য অবদানের কথা সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে।

সমাজ-সংসার-পরিবারে একজন নারীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এক সময়ের ‘অবলা নারী’ একবিংশ শতাব্দীতে এসে শুধু সংসার নয়, কর্মক্ষেত্রেও সাফল্যের সঙ্গে তাদের বুদ্ধিমত্তা, শক্তি-সামর্থ্য ও কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করে চলেছে। তারা রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে শুরু করে বিমান চালনা, মহাকাশের নভোচারী থেকে শুরু করে যুদ্ধক্ষেত্রের সৈনিক হিসেবে সব জায়গাতেই দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলদেশে শিক্ষা-দীক্ষা, রাজনীতি, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই নারীরা ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রধান রপ্তানি খাত পোশাকশিল্পে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের কাজও করে যাচ্ছে অনায়াসে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে নারীদের সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদান, নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারীর সাফল্য উদযাপন ও নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। নারীর প্রতি সকল প্রকার

অন্যায়-অবিচার ও সহিংসতা বন্ধ হবে এটাই হোক নারী দিবসের মূল অঙ্গীকার।

এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৯০৮ সালে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা, বেতন বৃদ্ধি এবং ভোটাধিকারের দাবিতে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউইয়র্ক শহরের রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিল। মূলত এই আন্দোলনের মাধ্যমেই নারী দিবসের বীজ বোপিত হয়।

জাতীয় পর্যায় থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পরিণত করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন নারী অধিকার কর্মী ক্লারা জেটকিন। ১৯১০ সালে তিনি কোপেনহেগেনে কর্মজীবী নারীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ ধারণার প্রস্তাব দেন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয় : ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।

১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে পৃথিবীজুড়েই যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।


সিরিয়ায় তুমুল সংঘর্ষে ৭০ জনের বেশি নিহত

নিহত সবাই সাবেক সরকারপন্থি যোদ্ধা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুসারীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। ব্রিটেনভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসি বলছে, এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সিরীয় উপকূলে প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও অতর্কিত হামলার ঘটনায় ৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন কয়েকজন আহত ও বন্দি হয়েছেন।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানঘাঁটির কাছে এলাকাটির অবস্থান। গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ইসলামপন্থি সরকারের সঙ্গে যুক্ত বাহিনীর ওপর এটি সবচেয়ে সহিংস হামলা। এ ঘটনার পর আজ (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত সেখানে কারফিউ ঘোষণা করা হয়।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র এবং আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, বিপুলসংখ্যক সেনা জাবলেহ শহরের দিকে যাচ্ছে। হোমস ও আলোপ্পো শহরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হোমসের আবাসিক এলাকার রাস্তায় প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। যদিও বিবিসি ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আবদুল গনি লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

হাসান আবদুল গনি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার কেউ কেউ পালিয়ে গিয়ে খুনি ও অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার পথ বেছে নিচ্ছে। স্পষ্ট করে বলছি, অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।’

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য এ অঞ্চল একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি দক্ষিণেও প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছেন। সেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দ্রুজ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।

আলাউইত সম্প্রদায়ের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকা কর্মীরা বলেছেন, আসাদের পতনের পর থেকে সম্প্রদায়টির মানুষজন বিশেষ করে গ্রামীণ হোমস ও লাতাকিয়া এলাকায় সহিংসতা ও হামলার শিকার হয়েছেন।

সিরিয়াভিত্তিক বার্তা সংস্থা স্টেপ জানিয়েছে, ‘নিহত প্রায় ৭০ জনের সবাই’ সাবেক সরকারপন্থি যোদ্ধা। তবে এর আগে এএফপির প্রতিবেদনে ৪৮ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়ে বলা হয়, এর মধ্যে সরকারি বাহিনীর ১৬ জন, আসাদপন্থি ২৮ জন আর ৪ জন বেসামরিক নাগরিক।


চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রোজা শুরু শনিবার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবে হিজরি ১৪৪৬ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শনিবার থেকে দেশটিতে শুরু হচ্ছে পবিত্র ও মহিমান্বিত রমজান মাস। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এ মাসের চাঁদের দেখা মিলেছে।

আজ শুক্রবার সৌদি আরবে চাঁদ দেখার তথ্য ইনসাইড দ্য হারামাইনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, সৌদি আরবের আকাশে আজ শুক্রবার রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২৯ দিনে শেষ হচ্ছে শাবান মাস। আর রমজানের প্রথম দিন হবে আগামীকাল শনিবার।

এদিকে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় আজ শুক্রবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হবে আগামী রোববার (২ মার্চ) থেকে। আগামীকাল শনিবার মালয়েশিয়ায় হবে শাবান মাসের ৩০তম দিন।

এছাড়া ব্রুনাই ও সিঙ্গাপুরে আজ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে দেশ দু’টিতেও রোববার থেকে শুরু হবে রোজা। ব্রুনাই ও সিঙ্গাপুর উভয় দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছে।

আর অস্ট্রেলিয়ায় আগামীকাল শনিবার থেকেই রমজান শুরু হতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন শুরু হবে শনিবার (১ মার্চ) থেকে। অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল জ্যোতির্বিদ্যার গণনার ভিত্তিতে এই তারিখ ঘোষণা করেছে। আজ শুক্রবার খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, বাংলাদেশে আগামীকাল শনিবার পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

শনিবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে, তা নিচের টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।


banner close