সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
তাইওয়ানে ১২ চীনা যুদ্ধবিমান

নির্বাচনকে সামনে রেখে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা বাড়ছে

ক্যাপশন: চীনের উপকূলে রণতরীতে এফ-১৫ বিমান ও গোয়েন্দা বেলুন। ছবি: রয়টার্স
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:২০

চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা আরও বাড়ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বশাসিত দ্বীপটিতে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে চীন। দ্বীপটি জানিয়েছে, নির্বাচনের এক মাস আগেই গতকাল শুক্রবার ১২ চীনা যুদ্ধবিমান ও একটি সন্দেহভাজন গোয়েন্দা বেলুন তাইওয়ান প্রণালির সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা রয়েছে। এর আগেই চীনা যুদ্ধবিমান ও গোয়েন্দা বেলুন প্রণালির সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করায় দ্বীপটিতে উত্তেজনা বাড়ছে। চীন স্বশাসিত এ দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। দেশটি এ দ্বীপের চারপাশে গত চার বছর ধরে নিয়মিত সামরিক মহড়া ও টহল পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ করছে তাইওয়ান।

তাইওয়ানে আগামী বছরের শুরুতে অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী সরকার চীনের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করবে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

বিতর্কিত জলসীমায় চীনের ১৩৫ জাহাজ

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের ১২টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের সংবেদনশীল সীমানা অতিক্রম করেছে। এ রেখাটি চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে অঘোষিতভাবে সীমানা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এটির ওপর দিয়ে চীনের যুদ্ধবিমান নিয়মিত উড্ডয়ন করছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশে একটি চাইনিজ বেলুন চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি তাইওয়ানের উত্তরের শহর কিলাং থেকে ১০১ নটিক্যাল মাইল (১৮৭ কিমি) দক্ষিণ-পশ্চিমে দেখা গিয়েছে। এ বেলুনটি প্রায় এক ঘণ্টা উড্ডয়নের পর প্রণালির দিক দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চি কু চেন পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা বেলুন হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল বিষয়টি জনগণের জন্য খোলাসা করা। কেননা অন্য কোনো বিভাগ বা দেশ বিষয়টি শনাক্ত করলে বিষয়টি জনগণের জন্য আতঙ্কের কারণ হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
চীনের এ গোয়েন্দা বেলুন বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে আসছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের একটি গোয়েন্দা বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। যদিও চীনের দাবি, এটি ছিল একটি বেসামরিক ক্রাফট, যেটি ভুলপথে চলে গিয়েছে।

বিষয়:

নববর্ষে আতশবাজিতে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চায় আবুধাবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৯:৪৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতশবাজির প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। রাজধানী আবুধাবিতে এই রেকর্ড আতশবাজির মধ্য দিয়ে বছরটি শেষ করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। শেখ জায়েদ ফেস্টিভ্যালে এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ছয়টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভাঙার পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রদর্শনীটি মোট ৫৩ মিনিটের হবে। এর আগে গত নববর্ষের প্রাক্কালে উৎসবে আতশবাজির প্রদর্শনী ৪০ মিনিট স্থায়ী হয়। সেটি পরিমাণ, সময় এবং গঠনের দিক থেকে তিনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভাঙে। তবে এ বছর ছয়টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করছেন তারা, যার মধ্যে রয়েছে-

১. বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড় ভেন্যুতে’ ৫৩ মিনিটেরও বেশি একটানা আতশবাজি। ২. ছয় হাজার ড্রোন ২০ মিনিট ধরে আকাশ আলোকিত করবে। ৩. তিন হাজারের বেশি ড্রোন প্রথমবারের মতো ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় বায়বীয় চিত্র’ তৈরি করবে। ৪. ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ লেখা সবচেয়ে বড় এরিয়াল ডিসপ্লেতে প্রথমবারের মতো তিন হাজার ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ৫. সিনক্রোনাইজড মিউজিক শো’য়ের মাধ্যমে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়বে ৩ হাজার ড্রোন। ৬. বিশ্বে প্রথমবারের মতো পরিমাণ, নকশা এবং সময়কালের দিক থেকে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বেশি আতশবাজি প্রদর্শিত হবে। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎসবটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের জন্য খোলা থাকবে। সেখানে আসন নিতে উৎসবের ওয়েবসাইটে টিকিট নিতে হবে।


লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা, প্রাণহানি বেড়ে ১৬

৪টি এলাকায় এখনো আগুন জ্বলছে
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্লেন থেকে ছোড়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক    

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ১৬ জনের দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। এদিকে সামনের সপ্তাহের শুরুতে আবারও তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে ও তাতে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, পরের সপ্তাহের শুরুতে তীব্র বাতাস হতে পারে ও এতে তাদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের ৪টি এলাকায় এখনো আগুন জ্বলছে। নতুন করে আরও ১ হাজার একর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এক লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির আশপাশে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লস অ্যাঞ্জেলেসকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে এ ধরনের ভয়াবহ দাবানল আগে আর ঘটেনি। আগ্রাসী আগুনে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও বিষয়-সম্পত্তি। আগুনে সব নিঃশেষ হয়ে যেতে দেখাই শুধু নয়, লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে যানজট, প্রকট ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসাসহ নানা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।

এবারের দাবানল পুরো লস অ্যাঞ্জেলেসকে যেন তছনছ করে ফেলেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনার বা করোনারের কার্যালয় দাবানলের কারণে নিহতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে তালিকায় নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় বা বিবরণ দেওয়া হয়নি। নথিতে বলা হয়েছে, দাবানলের কারণে নিহতের মধ্যে প্যালিসেডস ফায়ার জোনে ৫ জন এবং ইটন ফায়ার জোনে ১১ জন পাওয়া গেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে। আগুন লাগা পাহাড়গুলোতে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছোড়া হচ্ছে এবং অগ্নিপ্রতিরোধক দিয়ে পালিসেইডসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হচ্ছে।

তবে দ্রুত গতির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার হাইড্রেন্টগুলোতে পানি না থাকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। এনিয়ে কর্মকর্তারা চাপের মুখে পড়েছেন। বিবিসি বলছে, প্যালিসেডসের অন্তত ২৩ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। মান্ডেভিলে ক্যানিয়ন পর্যন্ত ছড়িয়েছে এই আগুন। ফলে ব্রেন্টউডের বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় প্রখ্যাত অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ের্জনিগার, ডিজনির প্রধান নির্বাহী বব ইগার ও এনবিএ তারকা লেবরন জেমসের বাড়ি রয়েছে। এছাড়া যেসব এলাকা থেকে লোকজনকে সরতে বলা হয়েছে সেখানে গেটি সেন্টারও আছে। এটি একটি হিলটপ মিউজিয়াম। সেখানে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিল্পকর্ম আছে। এর মধ্যে ভ্যান গঁগ, রুবেনস, মনেট ও ডেগাসের শিল্পকর্মও আছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি। প্যালিসেডসের পর সবচেয়ে বেশি আগুন লেগেছে ইটন এলাকায়। সেখানে ১৪ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। অন্যদিকে কেনেথ ও হার্স্ট এর ছোট দুটি আগুন দমকল কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ওদিকে আবহাওয়া বিভাগ শনিবার ও রোববার বাতাস বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার কাছাকাছি সাতটি রাজ্য, ফেডারেল সরকার, কানাডা ও মেক্সিকো প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আগুনের কোনও কারণ এখনো জানা যায়নি। যে দুটি এলাকায় বড় ধরনের আগুন লেগেছে তা এক করলে ম্যানহাটনের দ্বিগুণ হবে। প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার অধিবাসীকে ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ১ লাখ ৬৬ হাজারকেও সতর্ক করে বলা হয়েছে যে তারা নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে পারে।

দাবানলের পূর্বদিকে বিস্তার রোধের চেষ্টা

লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যালিসেইডস পাহাড়ি এলাকায় দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমান থেকে পানি ও আগুন নির্বাপক রাসায়নিক ছিটানো হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৭০ মাইল পর্যন্ত পৌঁছানোর আশঙ্কার মধ্যেই শনিবার (১১ জানুয়ারি) ভূমি ও আকাশ থেকে যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া প্যালিসেইডসের দাবানলে আরও বাড়তি হাজার খানেক একর এলাকা আক্রান্ত হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া দমকলবাহিনীর কর্মকর্তা টড হপকিন্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন পর্যন্ত ১১ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এটি ইতোমধ্যে ২২ হাজার একর এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও জানান, ম্যান্ডেভিল ক্যানিয়ন এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এটি ব্রেন্টউডের অভিজাত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। সেখানে অনেক সেলিব্রিটি বসবাস করেন। এটি সান ফার্নান্দো ভ্যালি ও উত্তর-দক্ষিণমুখী ৪০৫ ফ্রিওয়ের কাছেও পৌঁছেছে।

নিমিষেই পুড়ে ছাই ২০৪ কোটি ডলারজয়ী ব্যক্তির প্রাসাদ

ক্যালিফোর্নিয়ার এডউইন কাস্ত্রো। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে লটারিতে ২০৪ কোটি ডলার (২.০৪ বিলিয়ন ডলার) জিতেছিলেন। এই বিশাল অর্থ পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি একটি বিলাসবহুল প্রাসাদ কিনেছিলেন। প্রাসাদটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হলিউড পাহাড়ের কাছে। কাস্ত্রো তার স্বপ্নময় প্রাসাদটিতে ২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার খরচ করেছিলেন। এর ভিতরে ছিল পাঁচটি বেডরুম, ছয়টি বাথরুম ও অসংখ্য বিলাসবহুল সুবিধা। কিন্তু এ বছর ভয়াবহ দাবানল প্রাসাদটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। এখন, সেই প্রাসাদ পরিণত হয়েছে কেবল ছাইয়ের স্তূপে। প্রাসাদটির পাশের সমুদ্রসৈকতে একটি ইয়ট পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর পাশে কিছু কাঠের তক্তা ও ভিত্তি পড়ে রয়েছে। সেখানে দামি গাড়ি রাখা ছিল, সেটিও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।


‘শর্তহীন মুক্তি’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিচারক যে সাজা দিয়েছেন তা বিচারিক ইতিহাসে বিরল
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার তথ্য গোপনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যতিক্রমী দণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকে কারাদণ্ড বা জরিমানা নয়, বরং ‘শর্তহীন মুক্তি’ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের বিচারক হুয়ান মারচান এ দণ্ড ঘোষণা করেন।

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্ন তারকাকে ঘুষের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আইনে সর্বোচ্চ চার বছর কারাদণ্ডের সাজা হতে পারত তার। শর্তহীন মুক্তি হলো এমন একটি পদক্ষেপ, যেখানে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারকের রায় বহাল থাকবে, তবে তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা ওই মামলায় বলা হয়েছিল, সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল ট্রাম্পের। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওই সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। ঘুষের তথ্য আবার নিজের ব্যবসায়িক নথিপত্রে উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। এ মামলায় গত বছরের মে মাসে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। ট্রাম্পকে বিচারক হুয়ান মারচান যে সাজা দিয়েছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ইতিহাসে বিরল বলা চলে। সাজা ঘোষণার সময় মারচান বলেন, আগে কখনো এই আদালতকে এতটা অনন্য ও উল্লেখযোগ্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির ওপর হস্তক্ষেপ না করে আইনগতভাবে একমাত্র যে সাজা দেওয়া যায়, তা হলো, শর্তহীন মুক্তি।

সাজা ঘোষণার সময় নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। শর্তহীন মুক্তি পাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। আমি মনে করি, এটা নিউইয়র্ক ও নিউইয়র্ক আদালত ব্যবস্থার জন্য বিরাট একটি ধাক্কা। আমি যেন নির্বাচনে পরাজিত হই, সে জন্য আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এটি (মামলা) করা হয়েছিল।’

ঘুষের মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছিল তার দল রিপাবলিকান পার্টি। তার আইনজীবীও সাজা ঘোষণা স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে গত মঙ্গলবার তা খারিজ করে দেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সহযোগী বিচারপতি এলেন জেসমার। ট্রাম্প বারবার দাবি করে এসেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

এদিকে সাজা ঘোষণার সময় ম্যানহাটান আদালতের বাইরে ট্রাম্পের নাম লেখা বিশাল এক ব্যানার নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন তার সমর্থকেরা। সেখানে ছোটখাটো জমায়েত করেছিলেন ট্রাম্পবিরোধী ব্যক্তিরাও। তাদের হাতে ‘ট্রাম্প দোষী’লেখা ব্যানার ছিল। এর আগে ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঠিক চার বছর আগে একই দিনে একটি কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালের নির্বাচনের পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে পরাজয় মেনে নেননি তিনি। সে বছরের ৬ জানুয়ারি বাইডেনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন তার আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিলেন তার সমর্থকেরা। ওই ঘটনায় করা মামলা থেকে ট্রাম্পকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।


ইলন মাস্কের এক্স বয়কট করল জার্মানির ৬০ বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সামাজিক মাধ্যম এক্স বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির ৬০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে আসছিল তারা যেটি কয়েক বছর আগে কিনে নেন টেক জায়ান্ট ইলন মাস্ক। মূলত ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো।

শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে ডানপন্থিদের উত্থান, উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং গণতন্ত্রবিরোধী কনটেন্ট প্রচারে এক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি এর আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল।

জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার আরবিবি, ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি কমিউনিকেশনের এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘মুক্ত আদান-প্রদানের শর্ত আর এক্সে (টুইটারে) আর নেই। কথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ঘৃণা, বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য প্রভাবশালীদের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে’।

পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সিলকে এঙ্গেল জানান, প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে।

সিলকে এঙ্গেল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এক্স পর্যবেক্ষণ করছি এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে কয়েক মাস ধরে আমরা আগের মতো সক্রিয় ছিলাম না। এক্স (টুইটার) এখন তথ্যভিত্তিক আদান-প্রদান, উন্মুক্ত আলোচনা এবং স্বচ্ছতার জন্য জায়গা নয়।’

এ ছাড়া জার্মানির দুটি প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন- উনিফাইড সার্ভিস সেক্টর ইউনিয়ন (ভার্ডি) এবং এডুকেশন অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিয়ন (জিইডব্লিউ)—প্রায় ১৫ বছর পর এক্স বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দুই সংগঠনই প্ল্যাটফর্মটিকে ‘ডানপন্থি চরমপন্থি মতামত, ঘৃণা ও উসকানি, গণতন্ত্র বিরোধিতা এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য একটি ফোরাম’ হিসেবে সমালোচনা করেছে।

জার্মানির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো জোর দিয়ে বলেছে, এক্স গণতন্ত্রবিরোধী আচরণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক বলেছেন, ‘ফার-রাইট অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) পার্টিই জার্মানিকে বাঁচাতে পারে।’ এর ফলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জার্মান নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া গত নভেম্বর মাসে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকার ভেঙে পড়ার পর মাস্ক জার্মান ভাষায় টুইট করেছিলেন, ওলাফ বোকা।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে মাস্ক, নির্বাচনের আগে জার্মানির কট্টর ডানপন্থি দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এক্সে এএফডি নেতা এলিস ওয়েইডেলের সঙ্গে এক অনলাইন আলোচনায় মাস্ক বলেন, ‘যদি আপনি বর্তমান পরিস্থিতিতে অসন্তুষ্ট হন, তবে পরিবর্তনের জন্য ভোট দেওয়া জরুরি। এজন্যই আমি জোরালোভাবে সুপারিশ করছি এএফডিকে মানুষ ভোট দিক। এটাই আমার দৃঢ় পরামর্শ। আমি মনে করি এটি একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ।’

প্ল্যাটফর্মটিকে ‘মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর হাতিয়ার’ হিসেবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ‘এক্স’ বয়কটের ঘোষণা দেয়।


ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে তারেক রহমানকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব এ আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়েছেন।

শায়রুল কবির জানান, আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির এই তিন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মার্কিন এ বার্ষিক অনুষ্ঠানটি প্রথমে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ নামে পরিচিত ছিল। পরে ১৯৭০ সালে এর নামকরণ হয় ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট।


মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন টিউলিপ

বিকল্প ভাবছে লেবার পার্টি
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ২১:৩৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির এমপি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন। সম্প্রতি ফ্ল্যাটকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে টিউলিপের জায়গায় নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা করছে তার দল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের বিকল্প বিবেচনা করছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের জ্যেষ্ঠ মিত্ররা। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুর্নীতির সম্পৃক্ততা থাকার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছেন তারা। সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর নীতিশাস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার কাছে নিজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তদন্তের দাবি জানানোর আগেই টিউলিপের বিকল্প প্রার্থীদের চিহ্নিত করেন কর্মকর্তারা। অবশ্য স্টারমার বলছেন, টিউলিপের ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এছাড়া ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র টিউলিপের বিকল্প সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলে দাবি করেছেন। তবে টাইমস এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে যে, স্টারমারের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিউলিপের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের জন্য টিউলিপের বিকল্প হিসেবে যাদের বিবেচনা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী র‌্যাচেল রিভসের দুই সহকারী। তারা হচ্ছেন অ্যালিস্টার স্ট্রাথার্ন ও ইমোজেন ওয়াকার।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক-অপরাধ বিভাগের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে টিউলিপ ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টিও তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অর্থ কেলেঙ্কারিতে টিউলিপের ভূমিকা কী ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

টিউলিপের চাচি ও চাচাতো বোনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

টিউলিপ সিদ্দিকের পর এবার তার চাচি ও চাচাতো বোনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবামাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করে ইউরোপের দেশ মাল্টার পাসপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন টিউলিপ সিদ্দিকের চাচি শাহীন সিদ্দিক ও তার চাচাতো বোন বুশরা সিদ্দিক; কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় দেশটি তাদের পাসপোর্ট দেয়নি।

এই শাহীন সিদ্দিকের স্বামী হলেন তারিক জামিল সিদ্দিক, যিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। এদিকে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি শাহীন ও বুশরা সিদ্দিক। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ২০১৩ সালে নিজের একার জন্য মাল্টার পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন শাহীন সিদ্দিক।

ওই সময় মাল্টার পাসপোর্ট দেওয়ার কাজটি করতো যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। অভিবাসন সংশ্লিষ্ট এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে শাহীন সিদ্দিক ‘প্রচ্ছায়া’ নামের একটি কোম্পানির নামে ঢাকার মূল্যবান সরকারি জমি কুক্ষিগত করা তথ্য পায়। আর শাহীন তার পাসপোর্টের উল্লেখ করে বলেছিলেন, তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান। আর এই কারণে তাকে পাসপোর্ট দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

প্রথমবার প্রচ্ছায়ার কথা উল্লেখ করে পাসপোর্ট না পাওয়ায় ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের আবেদনে শাহীন সিদ্দিক দাবি করেন, চট্টগ্রামের ‘দ্য আর্ট প্রেস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানির পরিচালক তিনি। যেটি ১৯২৬ সালে তার বাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এই কোম্পানি নিয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাকে ও তার মেয়েকে ওই সময় আর পাসপোর্ট দেওয়া হয়নি।

২০১৫ সালে মাল্টার পাসপোর্ট পেতে যথাক্রমে ৬ লাখ ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার পাউন্ড খরচ করতে হতো শাহীন ও তার মেয়ে বুশরাকে। এরসঙ্গে ফি হিসেবে আরও ৭০ হাজার পাউন্ড নিত হেনলি। আবেদনের অংশ হিসেবে শাহীন কুয়ালামপুরের একটি ব্যাংকে ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৪০৯ ডলার দেখিয়েছিলেন। ১১ বারে এই অর্থ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল। তবে এসব অর্থের উৎস কী ছিল, তা স্পষ্ট নয়। শেখ হাসিনার পতনের পর গত অক্টোবরে তারিক জামিল সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাছাড়া, তারিক সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল।

এদিকে তারিক সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকীর মেয়ে ওই সময় স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডনে পড়াশোনা করছিলেন। তিনি তার ঠিকানা দিয়েছিলেন গ্র্যান্ড গোথিক ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট, যেটি টিউলিপের লন্ডনের কিংস ক্রস ফ্ল্যাটের খুব কাছে অবস্থিত। এই ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি কেন টিউলিপকে এত দামি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। বুশরা লন্ডনে পড়াশোনা শেষে জেপি মর্গান ব্যাংকে কয়েকদিন চাকরি করেন। এরপর চাকরি ছেড়ে দেন। ২০১৮ সালে উত্তর লন্ডনের গোল্ডার্স গ্রিনে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ইউরোতে পাঁচ বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। এই অর্থও তাকে তার বাবা-মা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ৫ জনের প্রাণহানি

লাখো মানুষ ঘরছাড়া
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানি পাঁচজনে পৌঁছেছে। দেশটির দ্বিতীয় বড় এই শহরের আশপাশে দাবানলে এরই মধ্যে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর পুড়ে গেছে। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে লাখের বেশি মানুষ। বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় দ্রুত দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি মেরন বলেছেন, ‘দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির সব বিভাগ মিলেও দাবানল সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট অগ্নিনির্বাপণ-কর্মী নেই।’

লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেডস। হলিউডের অনেক তারকা সেখানে বসবাস করেন। তীব্রগতির বাতাসের কারণে প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় আগুন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে।

দাবানলে গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল পর্যন্ত প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকার প্রায় ১৬ হাজার একর ভূমি পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পুড়ে গেছে প্রায় এক হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

অন্যদিকে নগরের উত্তরের আলতাদেনা এলাকার চারপাশে অন্য একটি দাবানলে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ একর জমি পুড়ে গেছে। সেখানে শহরতলীর সড়কগুলোয়ও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা জানান, ৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, পরিস্থিতি এখনো দ্রুত বদলাচ্ছে। এই দাবানলের ওপর এখন পর্যন্ত আমাদের বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি সত্যি প্রার্থনা করছি যে, আমাদের যেন আর শুনতে না হয়। তবে আমার মনে হয় না এ ক্ষেত্রে এমন কিছু হতে চলেছে।’ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে একাধিক স্থান থেকে শুরু হয় ভয়াবহ এই দাবানল।

সূত্র: রয়টার্স


যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’র প্রথম শাখা

আপডেটেড ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ২১:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে দেশের খ্যাতনামা ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রথম শাখা খুলেছে l এটি বাংলাদেশের বাইরে তাদের প্রথম আউটলেট I

বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জ্যামাইকাতে আউটলেটটি গত ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ‘সিগনেচার কালেকশন’- এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারজানা ইসলাম রুমকি কেক কেটে এর শুভ উদ্বোধন সূচনা করেন।

উদ্বোধনী দিনে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক সুসজ্জিত শাখাটিতে ভিড় জমান এবং আকর্ষণীয় ছাড়ের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের দেশি-বিদেশি পোশাক, মূলত: সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ি ক্রয় করেন। এই ছাড় আরও ছয় দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ‘সিগনেচার কালেকশন’- এর সিইও রুমকি।

২০১৭ সালে বাংলাদেশে ‘সিগনেচার কালেকশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের যাত্রা শুরুর পর দেশে এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি আউটলেট খুলেছে l এর চারটি ঢাকায় এবং একটি চট্টগ্রামে অবস্থিত।

‘সিগনেচার কালেকশনে’র সিইও রুমকি বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে প্রথম আউটলেট খুলতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত।’ তিনি জানান, বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, বিশেষ করে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে তারা এই শাখাটি খুলেছেন।

রুমকি আরও জানান, এর আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তাদের পণ্য নিয়ে মেলার আয়োজন করেন এবং এসব মেলা থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। তিনি তাদের এই উদ্যোগকে সফল করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিকট আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।

রুমকি বলেন, ‘বাংলাদেশি অধ্যুষিত মার্কিন শহরগুলির পাশাপাশি অন্যান্য দেশে তাদের আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে l তিনি আরও বলেন, দেশে এবং বিদেশে তাদের সাড়ে ৮ লাখ অনলাইন ফলোয়ার রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


তিব্বতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৭:২২
বাসস

তিব্বতের একটি প্রত্যন্ত হিমালয় অঞ্চলে মঙ্গলবার সকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জন এবং ৬২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ৯টা ৫ মিানটে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে এবং এরপর একাধিক আফটারশক হয়।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, ‘তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের ভূমিকম্প ব্যুরো থেকে একজন প্রতিবেদক জানান, চাংসুও টাউনশিপ, কুলুও টাউনশিপ এবং ডিংরি কাউন্টির কুওগুও টাউনশিপ সহ তিনটি টাউনশিপ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউএসজিএস কম্পন মানচিত্র নির্দেশ করেছে- ভূমিকম্পের কম্পন প্রতিবেশী নেপাল এবং উত্তর ভারতের কিছু অংশে অনুভূত হয়েছে।

ইউএসজিএস ও চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার উভয়ই নেপালের সাথে হিমালয় সীমান্তের নিকটবর্তী প্রত্যন্ত তিব্বত মালভূমিতে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বলে জানিয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ভূমিকম্পে গ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়েছে।

উৎপত্তিস্থলের প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরবর্তী নিকটতম প্রধান পবিত্র নগরী শিগাৎসে। নগরীটি দালাই লামার পর তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা পঞ্চেন লামার ঐতিহ্যবাহী আসন রয়েছে।


এইচএমপিভি ভাইরাসে ভারতে আক্রান্ত ২ শিশু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতে এইচএমপিভি ভাইরাসে ২ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার জানিয়েছে, তিন ও আট মাস বয়সী দুই শিশুর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও সোমবারই জরুরি বৈঠকে বসেছেন। তিনি জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, তিন মাস বয়সী শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে এবং আট মাস বয়সী শিশুটি কর্ণাটকের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। সে-ও ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য, চীনে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। পরে মালয়েশিয়াতেও বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার এবং বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

কুয়ালালামপুর থেকে এএফপি আজ এই খবর জানিয়েছে।

২০২০ সালের করোনা মহামারির পর এবার চীনে নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।

চীনের পর মালয়েশিয়াতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনোমিক টাইমস।’

ভাইরাসটিকে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে সাধারণত ঠাণ্ডা জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শীতের মৌসুমে ভাইরাসটি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এর দ্রুত বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ কিছুদিন আগে ফ্লু-জাতীয় রোগের হার বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেয়ায় অনেকেই তথ্য গোপনের আশঙ্কা করছেন।

সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা আরও বড় সংকট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

সিডিসির তথ্যানুসারে, এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নিচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে চীনে দ্য হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। যা নিয়ে স্বাস্থ্য সংকটের উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। তবে চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন, এইচএমপিভি ভাইরাস বড় কোনো হুমকি নয়। যদিও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের শারীরিক সমস্যা অনেকটা ফ্লুর মতো। এর উপসর্গও ফ্লুর মতো। চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এটা নিশ্চিত করেছেন, এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের সমস্যা হচ্ছে শ্বাস যন্ত্রে।

চীনা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এইচএমপিভি নতুন কোনো হুমকি নয়। চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের গবেষক ঝেং লিশু বলেন, এইচএমপিভি একটি সাধারণ ভাইরাস যা ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বৃদ্ধির হার কম এবং অস্পষ্ট লক্ষণের কারণে বিজ্ঞানীরা প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত করতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে কমে যায়।

চীনের চ্যচিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের চিলড্রেনস হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র রোগ বিভাগের প্রধান থাং লানফাং বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইচএমপিভি সংক্রমণ মৃদু হয়। তবে কিছু শিশুর সংক্রমণের পর নিউমোনিয়া হতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, দুর্বলতা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হবে।

এই ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই বলে উল্লেখ করেছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী

চীনের বিশেষজ্ঞরাও যত্নের ওপর জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্রাম, হালকা খাবার এবং উপযুক্ত পোশাক পরা।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা এবং জনাকীর্ণ স্থান এড়ানোর পরামর্শও দেয়া হয়েছে।


যে কোনো দিন পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে তার নিজের দল লিবারেল পার্টিতে ক্ষোভের দানা বেঁধে উঠেছে। যার ফলে তিনি যে কোনো দিন দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলে জানা গেছে। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল’রোববার এ তথ্য জানিয়েছে৷

কানাডার রাজধানী ওটোয়া থেকে এএফপি আজ এ খবর জানায়।

লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষগুলো সম্পর্কে অবগত আছেন এমন তিনটি অসমর্থিত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার‘দ্য গ্লোব’ জানায়, আজই পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন ট্রুডো।

দ্য গ্লোবের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার লিবারেল পার্টির জাতীয় সম্মেলনের আগেই এই ঘোষণা আসবে।

দ্য গ্লোব আরও জানিয়েছে, পদত্যাগের পরও ট্রুডো অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন কি-না, তা নিশ্চিত নয়। তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কাউকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিকল্পটিও রয়েছে লিবারেল পার্টির সামনে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা অনেক কমে এসেছে। তার সরকার কয়েক দফা অনাস্থা ভোট কোনো মতে এড়াতে সক্ষম হলেও সমালোচকরা তাকে একাধিকবার পদ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২৫ সালের অক্টোবরের নির্বাচন পর্যন্ত দলের নেতৃত্বে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রুডো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত চাপের মুখে পড়েছেন তিনি, যা তাকে আরও বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।

ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ক্ষমতা গ্রহণ করেই কানাডার পণ্য আমদানির ওপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।

ট্রাম্পের এই হুমকির বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, সে বিষয়ে মতভেদের জেরে ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এটাই ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় প্রথম ‘প্রকাশ্য’ বিদ্রোহের ঘটনা।

এই ঘটনার পর ট্রুডো মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তন আনেন। তিন ভাগের এক ভাগ মন্ত্রী পরিবর্তন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

এর আগে নভেম্বরে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাড়ি মার-এ লাগোয় বৈঠক ও নৈশভোজে যোগ দেন ট্রুডো । কিন্তু এতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। এরপরও গণমাধ্যমে ট্রুডোকে নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে গেছেন ট্রাম্প। তাকে কানাডার ‘গভর্নর বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। পাশাপাশি, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে ‘চমৎকার পদক্ষেপ’ বলেও অভিহিত করেন ট্রাম্প।

২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন ট্রুডো ।

এক সময়ের অসম্ভব জনপ্রিয় এই নেতা এখন কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পোইলিভ্রের চেয়ে ২০ জনমত পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার প্রথম দুই মেয়াদে তিনি সিনেটের সংস্কার আনেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং কানাডার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে কার্বন ট্যাক্স চালু করেন।


২০২৪ সালে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ২.১ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খাদ্যশস্য ও চিনির দাম কমার কারণে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম আগের বছরের গড়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

গতকাল শুক্রবার সংস্থাটির প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের পুরো বছরের জন্য এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স দাঁড়িয়েছে ১২২ পয়েন্ট, যা ২০২৩ সালের গড় মূল্যের চেয়ে ২ দশমিক ৬ পয়েন্ট কম।

যদিও ২০২৪ সালের সূচকটিতে দুগ্ধ, মাংস এবং উদ্ভিজ্জ তেলের দামের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি স্থির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল তবুও এই বৃদ্ধি ধারাবাহিকতা এবং চিনির দামের পতনকে পুরোপুরি ভারসাম্যের জন্য অপর্যাপ্ত ছিল। ২০২৪ সালের জন্য এফএও ধারাবাহিক মূল্য সূচক ২০২৩ সালের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। এতে, এফএও চিনির মূল্য সূচক বছরে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।

এফএওর মতে, ২০২৪ সালে খাদ্যশস্যের দাম কমেছিল মূলত গম এবং মোটা শস্যের দাম কম হওয়ার কারণে হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের জন্য এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স গড়ে ১২৭ পয়েন্ট ছিল। যা মাসভিত্তিক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তবে বছরভিত্তিক তা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


পর্ন তারকাকে ঘুষের মামলায় সাজা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হতে যাচ্ছে। তবে তাকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে শুক্রবার একজন বিচারক জানিয়েছেন।

যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়া সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।

বিচারক জুয়ান মার্চানের ওই বক্তব্যের অর্থ হলো, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ দৃশ্য বিরল। কেননা, এর আগে দেশটির সাবেক বা ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টই কখনও কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি।

তবে নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান মার্চান ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা জরিমানা না দিয়ে 'শর্তহীন মুক্তি' দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি তার আদেশে লিখেছেন যে, ট্রাম্প সশরীরে কিংবা ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন।

বিচারক তার আদেশে বলেন, 'ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা তার নেই। তাকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ (একধরনের স্থগিত দণ্ডাদেশ) দেওয়া হবে; যার অর্থ তাকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না। এটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।’

এমন রায়ে ট্রাম্প আপিল করার সুযোগ পাবেন। বিচারক জানান, আপিলের বিষয়ে ট্রাম্প তার অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছেন।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে এ মামলায় নির্দোষ দাবি করেছেন। তার দাবি, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ক্ষতি করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে দেয়া একটি পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারকের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, 'অবৈধ রাজনৈতিক হামলা' এবং ওই মামলাটিকে তিনি একটি 'সাজানো পরিহাস' বলে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চিয়াং বলেন, ‘এ মামলায় ট্রাম্পের কোনো কারাদণ্ড হওয়া উচিত নয়। বেআইনি এ মামলা বিবেচনায় নেওয়ারই উপযুক্ত নয়। মামলাটি অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়া—এটির সাংবিধানিক দাবি।’

স্টিভেন চিয়াং বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং উইচহান্টিংর মাধ্যমে তাকে বাধাগ্রস্ত করা উচিত হবে না।'

তিনি বলেন, 'কোনো দণ্ড হওয়া উচিত নয় এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার লড়াই অব্যাহত রাখবেন।'

এ মামলার বিরুদ্ধে তার শেষ আবেদনে ট্রাম্প বলেছিলেন যে, এটি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময় তার মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে এবং দায়িত্ব পালনে তার সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

ট্রাম্পের বিবাদীপক্ষের কৌঁসুলিরা যুক্তি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মেয়াদে মামলাটি জিইয়ে রাখা হলে তা তার শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করবে।

তবে বিচারক এ যুক্তি নাকচ করে বলেন, জুরির রায় পাশ কাটালে তা আইনের শাসন অপরিমেয়ভাবে ক্ষুণ্ন করবে।

প্রসঙ্গত, মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা যাতে তিনি কাউকে না বলেন, এ জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প।

সে সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ঘুষ দেওয়ার সেই তথ্য তিনি তার ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন।

অবশ্য ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এ সবকিছু রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন এসব কিছু করেছে।

ট্রাম্পই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার শুরু হয়। মামলায় গত বছরের মে মাসে ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারকেরা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ঘোষণা করার কথা ছিল গত বছরের ১১ জুলাই। কিন্তু কয়েক দফা তা পেছানো হয়। গত বৃহস্পতিবার বিচারক মার্চান বলেন, ট্রাম্প গত আগস্টে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ নির্বাচনের পর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

বিচারক মার্চান বলেছেন ট্রাম্পের উদ্বেগের বিষয়গুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ তিনি পেয়েছেন।

এ ক্ষেত্রে তার হাতে যেসব বিকল্প আছে তার একটি হলো দণ্ডাদেশ বাস্তবায়ন ২০২৯ সালে তার হোয়াইট ছাড়া পর্যন্ত বিলম্বিত করা কিংবা দণ্ড দিলেও তার সাথে জেলে থাকার বিষয়টি থাকবে না।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের জন্য তিনি দায়মুক্ত থাকবেন বলে যে আদেশ দিয়েছিল, সেটিকে আদালতের সামনে যুক্তি হিসেবে নিয়ে আসার চেষ্টা করে সফল হননি। গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট ওই আদেশ দিয়েছিল।

গত মাসে ট্রাম্পের ঘুষের মামলা খারিজ চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারক মার্চান।

যুক্তরাষ্ট্রে নথি জালিয়াতির মামলায় চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে। কিন্তু ন্যূনতম দণ্ড বা কারাবাস অবশ্য পালনীয় নয়। তাই, ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলে যাবেন না বলেই মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

এর কারণ হিসাবে তারা ব্যাখ্যা করেছেন ট্রাম্প একজন প্রবীণ ব্যক্তি এবং 'ফার্স্ট টাইম অফেন্ডার' অর্থাৎ প্রথমবার কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাই তাকে কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও তিনটি রাজ্যে অভিযোগ ও ফেডারেল ক্রিমিনাল মামলা আছে। এর একটি গোপনীয় নথি বিষয়ক এবং দুটি হলো ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল সংক্রান্ত।

এর আগে গত ২৬শে নভেম্বর তার বিরুদ্ধে দণ্ড দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতায় বিচারক তা পিছিয়ে দেন।


banner close