মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৫ আশ্বিন ১৪৩২

ইতালির সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তির মৃত্যু

আপডেটেড
২ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৫:৫৭
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৫:৫৭

ইতালির সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছেন। ১১১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ত্রিপোলি জিয়ান্নি। ইতালির তাসকানি প্রদেশের লিভোর্নো কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘লা স্ট্যাম্পা’ সংবাদপত্র এই খবর জানিয়েছে। খবর তাস’র।

৩১ ডিসেম্বর সেসিনা কমিউনিটিতে নিজ বাড়িতে মারা যান জিয়ান্নি। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদপত্রের এক খবরে বলা হয়, তিনি ১৯১২ সালে সেসিনায় জন্মগ্রহণ করেন। ইতালীয় সেনাবাহিনীর বারসাগ্লিয়েরি পদাতিক দলের সদস্য ছিলেন তিনি। জিয়ান্নি দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং ১ ডজন পোপের নির্বাচনসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। তিনি ইতালির রাজতন্ত্র এবং প্রজাতন্ত্রও প্রত্যক্ষ করেন।

বিষয়:

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আজ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৩
বাসস

জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, সম্মেলনে অন্তত ৭৫টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানও রয়েছেন।

নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) শুরু হবে এই সম্মেলন।

জাতিসংঘ আয়োজিত এ সম্মেলনের লক্ষ্য রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন জোরদার করা, আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখা, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মানবাধিকারসহ সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় উদ্যোগ গ্রহণ।

সম্মেলনে মিয়ানমারের বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি সার্বিক, সুনির্দিষ্ট ও সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। অগ্রাধিকার পাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সম্মেলনে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রতিনিধিত্ব করবে তুরস্ক এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) প্রতিনিধিত্ব করবে কুয়েত।

সম্মেলনের আগে সোমবার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, মিয়ানমার বিষয়ক মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপ এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল। বৈঠকগুলোতে রোহিঙ্গা সংকটের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পরে হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, আলোচনায় রাখাইন রাজ্যের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথনকশা, শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।


ট্রাম্পের মামলা নিষ্পত্তিতে ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে ইউটিউব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করাকে কেন্দ্র করে মামলার নিষ্পত্তিতে ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়েছে ইউটিউব। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালতে এ-সংক্রান্ত নথি দাখিল করা হয়েছে।

২০২১ সালে ইউটিউব ও আলফাবেটের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ট্রাম্প। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ইউটিউব ‘অভূতপূর্ব ক্ষমতা, বাজার দখল এবং জাতীয় জনমত নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা’ অর্জন করেছে। ইউটিউব জানিয়েছিল, তাদের প্ল্যাটফর্মে সহিংসতা উসকে দেওয়ার নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে ট্রাম্পের চ্যানেল স্থগিত করা হয়েছিল।

মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় এটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে খারিজ হয়েছে। তবে গুগলের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।

এদিকে মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ইউটিউব ঘোষণা দেয়, যারা কোভিড-১৯ এবং ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তথ্য বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, তাদের চ্যানেল পুনরায় চালু করার সুযোগ দেওয়া হবে। সে সময় ইউটিউব জানিয়েছিল, তারা রক্ষণশীল কণ্ঠকে স্বাগত জানায় এবং অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের চাপের ফল।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফেসবুক-মালিক মেটা একই ধরনের আরেকটি মামলায় ট্রাম্পকে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়। আর ফেব্রুয়ারিতে এক্স (সাবেক টুইটার) ১ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে। মেটার দেওয়া অর্থের বেশির ভাগই ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি তহবিলে যাবে। আর ইউটিউবের দেওয়া ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার যাবে ন্যাশনাল মল সংরক্ষণ এবং হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ কোটি মিলিয়ন ডলারের বলরুম নির্মাণ প্রকল্পে।

এই তিনটি মামলাই প্রথম দায়ের করেন ট্রাম্পের আইনজীবী ও রাজনৈতিক মিত্র জন কোয়েল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে জানা যায়, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন এসব নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কোয়েল বলেন, ‘যদি তিনি (ট্রাম্প) পুনর্নির্বাচিত না হতেন, আমরা হাজার বছর ধরে আদালতেই পড়ে থাকতাম।’

বর্তমানে ইউক্রেন ও বেলারুশে ট্রাম্পের ডেপুটি স্পেশাল এনভয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কোয়েল।

গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক ইমেইলে কোয়েল ট্রাম্পকে ‘আদর্শ মক্কেল’ বলে আখ্যা দেন। তিনি আরও লেখেন, ‘২০২১ সালের জুলাইয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আমি যে মামলাগুলো করেছিলাম, সেগুলো সব মিলিয়ে ৬০ মিলিয়ন ডলারে নিষ্পত্তি হয়েছে। আমরা কেবল অর্থ পাইনি, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আচরণও বদলাতে বাধ্য করেছি।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মামলাটি বন্ধ হয়ে গেলেও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ের পর তাঁর আইনজীবীরা মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগপর্যন্ত সব মামলাই ছিল কঠিন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে। ২০২২ সালে এক ফেডারেল বিচারক টুইটারের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দেন। মেটা ও ইউটিউবের মামলাগুলো তখন স্থগিত ছিল। পরে ট্রাম্পের আইনজীবীরা আপিল করে মামলাগুলো পুনরায় চালুর চেষ্টা করেন।

২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি ইউটিউব প্রথম ট্রাম্পের চ্যানেল সাত দিনের জন্য স্থগিত করে। সে সময় তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে ৬ জানুয়ারির ভাষণকে তিনি ‘সম্পূর্ণ উপযুক্ত’ বলে দাবি করেছিলেন। ইউটিউব জানায়, ‘সহিংসতা ছড়ানোর সম্ভাবনা’ থাকার কারণে চ্যানেলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।

অবশেষে ২০২৩ সালের মার্চে ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউটিউব তার চ্যানেল পুনরায় চালু করে। ইউটিউব এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বাস্তব জগতের সহিংসতার ঝুঁকি ও জনগণের নির্বাচনের আগে প্রধান প্রার্থীদের কথা শোনার অধিকারের ভারসাম্য রক্ষা করে’ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।

চ্যানেল ফিরে পেয়েই ট্রাম্প একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে লেখেন ‘আই অ্যাম ব্যাক’ (আমি ফিরে এসেছি)। এর সঙ্গে ছিল ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


গাজা যুদ্ধ বন্ধে সম্মত ইসরায়েল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তি সংক্রান্ত ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সম্মতি জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এখন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করা হবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস এতে সম্মতি জানালে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সব জিম্মি মুক্তি পাবেন।

অপরদিকে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে। সেখানে আমেরিকান, ইউরোপ ও আরব দেশগুলো নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে, যেটির মূল দায়িত্বে থাকবেন ট্রাম্প।

এ ছাড়া গাজার মানুষ গাজাতেই থাকবেন। তাদের অন্য কোনো দেশে জোরপূর্বক পাঠানোর চেষ্টা করা হবে না।

হামাসের ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা ও হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রকরণ করা হবে। আর এ কাজে সহায়তা করবে আরব দেশগুলো। তারা হামাসকে নিরস্ত্রকরণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। এ ছাড়া সুড়ঙ্গসহ হামাসের সব অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে।

গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ৮ মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই সময় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, আরব দেশগুলো যদি হামাস ও গাজাকে নিরস্ত্র করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ইসরায়েল যে কাজ করবে, যেটিতে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সমর্থন দেবে।

হামাসকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, তারা যদি আজকের প্রস্তাব গ্রহণ না করে এবং গ্রহণ করেও যদি আবার এ থেকে সরে যায় অর্থাৎ নিজেদের পুনর্গঠনের চেষ্টা করে তাহলে ইসরায়েল তাদের নির্মূলের কাজ শেষ করবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করবে। এটি সহজ উপায়ে করা যাবে। আবার কঠিন উপায়ে করা যাবে। তবে এটি করতে হবে। আমরা সহজ উপায়কে প্রাধান্য দেব।’


তামিল চলচ্চিত্র থেকে যেভাবে রাজনীতিতে এলেন থালাপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

২০২৬ সালে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে। গত শনিবার কারুর রোড মহাসড়কের ভেলুসামাইপুরামে তেমনই একটি জনসভার আয়োজন করেছিল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগম (টিভিকে) নামের নতুন দলটি। ওই সমাবেশ চলাকালে পদদলিত হয়ে ৪০ জন নিহত হন। তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া থালাপতি বিজয় ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।
থালাপতি বিজয় তামিল চলচ্চিত্রের অন্যতম বড় তারকা। তার পারিবারিক নাম জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর। ভক্তদের কাছে তিনি থালাপতি নামে বেশি পরিচিত। তামিল ভাষায় থালাপতি শব্দটির অর্থ ‘কমান্ডার’। অর্থাৎ ভক্তদের কাছে তার নেতৃত্বের গুরুত্ব কতটুকু, তা এ থালাপতি নামের মধ্য দিয়েই বোঝা যায়।

বিজয়ের জন্ম ১৯৭৪ সালের ২২ জুন, চেন্নাইয়ে। তার বাবা এস এ চন্দ্রশেখর একজন পরিচালক। আর মা শোভা চন্দ্রশেখর একজন প্লেব্যাক শিল্পী। বিজয়ের স্ত্রীর নাম সংগীতা স্বর্ণালিঙ্গম। বিজয় চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনে স্নাতক করেছেন।

থালাপতি বিজয় ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের একজন। তিন দশক ধরে ৬৮টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এ তারকা। দাতব্য কার্যক্রম ও সামাজিক কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলোর জন্যও সুপরিচিত তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ছোট বেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল বিজয়ের। ১৯৮৪ সালে পি এস ভীরাপ্পা প্রযোজিত তামিল চলচ্চিত্র ভেত্রিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।

বিজয় শিশুশিল্পী হিসেবে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নান সিগাপ্পু মানবন’ ছবিতে রজনীকান্তের সঙ্গে শিশুশিল্পী হিসেবে পর্দা ভাগাভাগি করেন।

বিজয় তার ১৮ বছর বয়সে ‘নালাইয়া থির্পু’ ছবিতে প্রথমবারের মতো মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এরপর তিনি অভিনয় করেন ‘সেন্থুরাপান্ডি’, ‘রাসিগান’, ‘দেবা’ ও ‘কোয়েম্বাটুর মাপ্পিল্লাই’ ছবিতে। এগুলোর সবই ব্যবসা সফল।

২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে বিজয় দৃঢ়ভাবে নিজেকে তামিল চলচ্চিত্রের প্রধান নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০০৩ সালে তার অভিনীত ‘তিরুমালাই’ ছবিটি বিরাট সাফল্য পেয়েছিল। এটি ছিল প্রথম তামিল ছবি, যা ঘরোয়া বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপির বেশি আয় করে। একই সঙ্গে এটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই সর্বাধিক দর্শক পাওয়ার রেকর্ড গড়ে।
ক্রমেই বিজয় আকাশছোঁয়া তারকাখ্যাতি পান। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের টিকিট কিনতে ভক্তরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিতে থাকেন। থালাপতি বিজয়ই ভারতের প্রথম কোনো অভিনেতা, যিনি একটি চলচ্চিত্রের জন্য ২০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন।

একবার এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক অর্চনা কালপাঠি জানান, ‘দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ ছবিতে থালাপতি বিজয়ের পারিশ্রমিক ছিল ২০০ কোটি রুপি। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে শাহরুখ খান, সালমান খান, প্রভাস, আল্লু অর্জুন, রজনীকান্ত ও আমির খানকেও পেছনে ফেলে দেন তিনি।

তবে এরই মধ্যে আস্তে আস্তে বিজয়ের রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। তিনি চলচ্চিত্রজগৎকে বিদায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। থালাপতি বিজয়ের শেষ ছবি হলো ‘জনা নায়াগন’। ছবিটি ২০২৬ সালে পোঙ্গল উৎসবের সময় বড় পর্দায় মুক্তি পাবে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্র থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এরপর তামিলাগা ভেত্রি কাজাগম নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলের সদর দপ্তরের অবস্থান চেন্নাইতে। দলটি ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছে আর দলটির নেতা বিজয় হবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী।

ধর্মনিরপেক্ষ সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাটাই টিভিকে দলের ভাবাদর্শের ভিত্তি, যা আম্বেদকারবাদ, পেরিয়ারবাদ ও মার্কসবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত।

রাজনীতিতে পা রাখার পর ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিজয় প্রথম সমাবেশটি করেন। সেখানে আট লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিজয় বিজেপি দলটিকে তার টিভিকে দলের মতাদর্শগত শত্রু এবং ডিএমকে–কে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ঘোষণা করেন। তিনি পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, টিভিকে গঠনের পর থেকেই থালাপতি বিজয় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তরুণ ও নানা পেশাজীবীকে তিনি নেতৃত্বের ভূমিকায় নিয়ে আসেন। ২০২৬ সালের নির্বাচন সামনে রেখে দলটি ইতোমধ্যেই ৭০ হাজার বুথ এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে, যা শক্তিশালী সাংগঠনিক প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।

তামিলনাড়ু যখন ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন বিজয়ের দল টিভিকে–কে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ভক্তদের অগাধ ভালোবাসাকে তিনি রাজনৈতিক শক্তিতে রূপ দিতে পারবেন কি না, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। যদি সফল হন, তবে বিজয় হয়তো কিংবদন্তি এম জি রামাচন্দ্রন (এমজিআর) ও জয়ললিতার পথ অনুসরণ করে তামিলনাড়ুর রাজনীতির ভবিষ্যৎ নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারেন।


রোহিঙ্গাদের গ্রাম গুঁড়িয়ে ঘাঁটি বানিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

জাতিসংঘ-সমর্থিত প্রতিবেদন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিতাড়নের পর দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও মসজিদ ধ্বংস করেছে। রোহিঙ্গাদের জায়গা দখল করে সেখানে নিরাপত্তাচৌকি তৈরি করেছে তারা। জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিচালিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
রাখাইনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চৌকিতে হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করলে ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক সহিংসতা হয়। উপকূলীয় রাজ্যটি থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
এর পর থেকে বাংলাদেশের জনাকীর্ণ শরণার্থীশিবিরগুলোতে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওই দমন অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনের আদর্শ উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০১৮ সালে গঠিত ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমারের (আইআইএমএম) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রাম, মসজিদ, কবরস্থান ও কৃষি জমি ধ্বংস করেছে। তারা সরকারি নথির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জমির অধিকার ও মালিকানা সম্পর্কে অবগত ছিল।’
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মিয়ানমারে ২০১১ সাল থেকে সংঘটিত গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানোর জন্য ২০১৮ সালে আইআইএমএম গঠন করে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।
প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, স্যাটেলাইট ছবি, ভিডিও ফুটেজ ও সরকারি নথির ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইআইএমএম। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের কাছে প্রতিবেদনটি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চেয়েছিল রয়টার্স। তবে তিনি তাতে সাড়া দেননি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এর আগে বলেছিল, ২০১৭ সালের অভিযানে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালায়নি। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগের দিন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে ক্রমবর্ধমান সংকট এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়ার অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে।
আইআইএমএমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যন্ত্রপাতি ও শ্রমিক সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে ইন দিন গ্রামের কথা বলা হয়েছে। সেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নতুন স্থাপনা তৈরি করতে বসতি ধ্বংস করেছে। ২০১৮ সালে গ্রামটিতে ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যার খবর প্রকাশ করেছিল রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইন দিনের মতো গ্রামগুলোতে ধ্বংসাবশেষের ওপর ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়। সেখানে জমি খালি করে সেসব জায়গায় নতুন সড়ক, স্থায়ী ভবন, সুরক্ষিত কম্পাউন্ড ও দুটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়।’
মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
বর্তমানে রাখাইন রাজ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ায় রোহিঙ্গারা আবারও সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন।

সূত্র: রয়টার্স


অস্ত্র উৎপাদন দ্বিগুণ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভবিষ্যতে চীনের সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা কম অস্ত্রের মজুত নিয়ে শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। এ কারণে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের ওপর জোর দিয়ে উৎপাদন হার দ্বিগুণ বা এমনকি চারগুণ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিদের বরাতে ওয়াল স্টিট জার্নাল এমনটাই জানিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ চাহিদাসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের উৎপাদন দ্রুত ত্বরান্বিত করার জন্য পেন্টাগনের নেতারা এবং বেশ কয়েকটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের মধ্যে উচ্চ-স্তরের বৈঠকের মাধ্যমে উদ্যোগটি কার্যকর হয়েছে।

ওয়াল স্টিট জার্নাল জানায়, এই প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য জুন মাসে পেন্টাগনে এক গোলটেবিল বৈঠকে শীর্ষ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহকারীদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যুদ্ধমন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এতে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র নির্মাতা, আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজের মতো বাজারে নতুন প্রবেশকারী এবং রকেট প্রোপেলান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের সরবরাহকারীদের নির্বাহীরাও উপস্থিত ছিলেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেলকে এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং যুদ্ধমন্ত্রী হেগসেথ আমাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদন ত্বরান্বিত করার জন্য অসাধারণ উপায়গুলো অন্বেষণ করছেন। এই প্রচেষ্টা প্রতিরক্ষা শিল্পের নেতা এবং পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।’

সরকারের ভেতরে এবং বাইরে এই প্রচেষ্টার সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তি উদ্বিগ্ন যে, সরকারের লক্ষ্যগুলো বাস্তবসম্মত নয়। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সম্পূর্ণরূপে একত্র হতে দুই বছর সময় লাগতে পারে। নতুন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অস্ত্রগুলো মার্কিন পরিষেবায় ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে।

উৎপাদন ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নিয়েও প্রশ্ন আছে। গত জুলাই মাসে সই করা ট্রাম্প প্রশাসনের বিগ বিউটিফুল বিলটিতে পাঁচ বছরের জন্য অতিরিক্ত ২৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তহবিল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, পেন্টাগনের আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ করতে হবে।

ওয়াল স্টিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়ার তীব্র বোমাবর্ষণ থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য প্যাট্রিয়টসহ ব্যয়বহুল ইন্টারসেপ্টরের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সাথে তাল মিলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। অর্থাৎ শেষ হওয়ার পরও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আশেপাশের ঘাঁটি এবং মিত্রদের সুরক্ষার জন্য এই ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আরও বেশি ব্যবহার চান। জুনের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন আরও আক্রমণাত্মক উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। এরপর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘর্ষের সময় আমেরিকা শত শত উচ্চমানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, ফলে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার আরও কমে যায়।

মার্কিন সংবাদপত্রিটি আরও জানায়, চীনের সাথে সম্ভাব্য সংঘর্ষের জন্য পেন্টাগন যে ১২টি অস্ত্রের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে, তার মধ্যে রয়েছে: প্যাট্রিয়ট ইন্টারসেপ্টর, লং রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৬, প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল এবং জয়েন্ট এয়ার-সারফেস স্ট্যান্ডঅব মিসাইল। এর মধ্যে প্যাট্রিয়ট একটি বিশেষ অগ্রাধিকার।


ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে ওবামা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একইসঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওবামার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজায় যে মানবিক সংকট চলছে, তা উপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য। উভয়পক্ষকে এমন একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে একটি নিরাপদ ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং স্বায়ত্তশাসন বিদ্যমান থাকবে।’
গাজা যুদ্ধ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরল মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা যারা সহিংসতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নই তাদের এটা বলা, এই মুহূর্তে শিশুদের অনাহারে থাকতে দেওয়া যেতে পারে না। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকাকে আরও গুঁড়িয়ে দেওয়ার কোনো সামরিক যুক্তি নেই।’
শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে এক অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, ইসরায়েলের সব নীতিতে একমত না হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারিনি।
জাতিসংঘের অধিবেশনে শুক্রবার নেতানিয়াহুর ভাষণের শুরুতে অনেক দেশের প্রতিনিধি প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন কক্ষ বর্জন করেন। বক্তব্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জটিল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ওবামা বলেন, আমরা সব সময় সব বিষয়ে একমত ছিলাম না। দুঃখজনকভাবে, অনেক সময় নেতৃত্ব এবং রাজনীতিবিদরা এমন একটি স্বার্থপর সম্পর্ক বজায় রাখেন এটা শুধু ‘আমরা বনাম তারা’। কারণ, এতে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা সহজ হয়। এটা একটি প্রলোভনমূলক খেলা। আমি আমার প্রেসিডেন্সির সময় লক্ষ্য করেছি, আমি ওই অঞ্চলে জনপ্রিয় ছিলাম না। কারণ, আমি তাদের এ ব্যাপারে সমালোচনা করতাম। ফলে আমি এবং ইসরায়েলের তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম না।
এর আগেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ‘প্রতিরোধযোগ্য’ দুর্ভিক্ষ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান ওবামা।
তিনি বলেন, যদিও গাজা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সব জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধ করা আবশ্যক। এই নিবন্ধগুলো নিরীহ মানুষের মৃত্যু রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আন্ডারস্কোর করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর ‘অনুমতি দিতে হবে’।
সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘বেসামরিক মানুষদের থেকে খাবার এবং পানি দূরে রাখার কোনো যুক্তি নেই।’


যুক্তরাষ্ট্রে চার্চে বন্দুকধারীর গুলি ও আগুনে নিহত চার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে একটি চার্চে বন্দুকধারীর গুলি ও ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই বন্দুকধারী গাড়ি চালিয়েই গির্জাটির ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। কর্মকর্তারা বলছেন, চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার-ডে সেইন্টস গির্জাটির অবস্থান ডেট্রয়েট থেকে একশ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমের একটি শহরে। হামলাটি হয়েছে রবিবারের প্রার্থনার সময় যেখানে কয়েকশ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।

সন্দেহভাজন হামলাকারী মিশিগানের বার্টনের থমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড। তিনি গির্জারই কার পার্ক এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তারা বলছেন, হামলার উদ্দেশ্য এখনো তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। নিহতদের মধ্যে দুজন গুলিতে আহত হয়ে মারা গেছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে সেখানকার পুলিশ প্রধান উইলিয়াম রেনেই জানিয়েছেন। তিনি জানান, গির্জাতে আগুন ধরে গেলে তাতে গির্জার ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং কিছু লোক এখনো নিখোঁজ আছে।

এর আগে তিনি বলেছিলেন বন্দুকধারী যখন গাড়ি চালিয়ে ভবনে ভেতরে ঢুকে পড়ে তখন গির্জার প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন কয়েক শত মানুষ। এরপর এক অ্যাসল্ট স্টাইলের রাইফেল দিয়ে তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন। ‘গির্জার ভেতরেই কয়েকজনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়,’ বলছিলেন পুলিশ প্রধান।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জানিয়ে তিনি বলেন গুলিবিনিময়ের পর হামলাকারীকে নিরস্ত্র করা হয়। গোলাগুলির আট মিনিট পর ওই ব্যক্তি মারা যায়। ‘আমরা এখনো চেষ্টা করছি কখন হামলা শুরু হলো এবং গুলি কখন বন্ধ হলো তা নির্ধারণের জন্য। আমাদের বিশ্বাস সন্দেহভাজন ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবেই এটি করেছে,’ বলেছেন তিনি।

হামলার মোটিভ বোঝার জন্য তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি ও তার ফোন রেকর্ডস পরীক্ষা করছেন। এফবিআই এই তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা ইতোমধ্যেই ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, বোমা বিশেষজ্ঞসহ অন্যদের মোতায়েন করেছে বলে এফবিআইয়ের ডেট্রয়েট ফিল্ড অফিস জানিয়েছে।

মিশিগান রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র কিম ভেট্টের সাংবাদিকদের বলেছেন, আরও কয়েকটি জায়গায় বোমার হুমকির বিষয়টি নিয়েও কর্মকর্তারা কাজ করেছেন। ‘সেসব জায়গা আমরা ক্লিয়ার করেছি,’ বলেছেন তিনি। ওদিকে গির্জার পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে প্রার্থনা চলাকালে বন্দুকধারীর গুলি চালানোর খবর নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, ‘বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা শান্তি ও সবার সুস্থতা কামনা করি।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, তদন্তে সহায়তার জন্য একশ এফবিআই এজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন গির্জায় গুলির বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে এবং তিনি এফবিআইয়ের নেতৃত্বে তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথে তিনি একে ‘আমেরিকায় আবারো খ্রিস্টানদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিত হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডি গির্জায় প্রার্থনার সময় হামলাকে হৃদয়বিদারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমের ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, ‘যেকোনো জায়গায় সহিংসতা, বিশেষ করে প্রার্থনাস্থলে- অগ্রহণযোগ্য’।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর মিট রমনি দেশটির অন্যতম সুপরিচিত মরমন রাজনীতিক। তিনি এই ঘটনাকে ট্রাজেডি হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘আমার ভাই ও বোনেরা এবং তাদের গির্জা সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।’


নিজেদের গুলিতেই প্রাণ গেল ইসরাইলি সেনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অধিকৃত পশ্চিমতীরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জিত জংশনে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফিলিস্তিনি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। ঘটনার পর ওই অঞ্চল ঘিরে নিরপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) বিবৃতিতে জানায়, নিহত সেনার নাম স্টাফ সার্জেন্ট ইনবার আব্রাহাম কাভ (২০)। তিনি প্যারাট্রুপার ব্রিগেডের ৮৯০তম ব্যাটালিয়নের সদস্য এবং উত্তর ইসরাইলের লোটেম শহরের বাসিন্দা ছিলেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এক ফিলিস্তিনি ট্রাকচালক হঠাৎ গতিবেগ বাড়িয়ে জিত জংশনে অবস্থানরত ইসরাইলি সেনাদের দিকে ধেয়ে আসে এবং কাভকে ধাক্কা মারে। এরপর ট্রাকটি আরেকটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই সময় সেনারা চালকের দিকে গুলি চালায়, যাতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

তবে গুলিবর্ষণের সময় নিজের সহযোদ্ধাদের গুলিতেই কাভ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মাগেন ডেভিড আদমের সহযোগিতায় পেতাহ টিকভার বেইলিনসন হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তিনি নাবলুস শহরের বাসিন্দা। ঘটনার পর সেনারা নাবলুস শহর ও আশপাশের গ্রামগুলোর প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানায়, ক্যালকিলিয়া শহরের প্রবেশপথ এবং নাবলুসের সঙ্গে রুট ৫৫ ধরে সংযুক্ত সব গ্রামেও অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল


প্রকাশ্যে এলেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, বললেন ‘দেশ ছেড়ে পালাবো না’

কে পি শর্মা অলি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (সিপিএন-ইউএমএল) চেয়ারম্যান কে পি শর্মা অলি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি দেশ ছেড়ে পালাবেন না ও বর্তমান সরকারের হাতে নেপাল তুলে দেবেন না।

শুক্রবার (ভক্তপুরের গুণ্ডুতে দলের যুব সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আপনারা কি মনে করেন, আমরা এই ভিত্তিহীন সরকারের হাতে দেশ তুলে দিয়ে পালিয়ে যাব?

বিশ্বস্ত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি দাবি করেন, তারাই নেপালকে পুনরায় গড়ে তুলবেন। অলি বলেন, আমরা এই দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়ে আনব, শান্তি ও সুশাসন ফিরিয়ে দেব।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি বাসভবন ছাড়ার ১৮ দিন পর এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য। গত ৯ সেপ্টেম্বর বালকোটে তার ব্যক্তিগত বাড়ি প্রতিবাদকারীরা জ্বালিয়ে দেওয়ার পর তিনি প্রথমে নয় দিন সেনা সুরক্ষায় ছিলেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর গুণ্ডুতে ভাড়া বাড়িতে ওঠেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সুশীলা কার্কি সরকার জনগণের ম্যান্ডেট থেকে আসেনি, বরং ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।

নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নাকচ করে অলি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীকে যেসব নির্দেশ দিয়েছিলেন সেগুলোর রেকর্ড প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বলেন, সাহস থাকলে প্রকাশ করুন। আমি কী নির্দেশ দিয়েছি, সরকারি কর্মীদের কী বলেছি- সব প্রকাশ করুন।

অলি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার তার নিরাপত্তা দিচ্ছে না, যদিও তার নতুন বাসভবনে হামলার হুমকি ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে, অলির নতুন বাড়ি খুঁজে বের করো, হামলা চালাও। সরকার কী করছে? শুধু দেখছে।

তিনি সরকারের সেই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন যেখানে বলা হয়েছে, অলির পাশাপাশি নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা, আরজু রানা দেউবা, রমেশ লেখক ও দীপক খড়কা প্রমুখের পাসপোর্ট আটকে রাখা হবে। আরজু রানা দেউবা, লেখক ও খড়কা যথাক্রমে অলি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন।

অলি বলেন, এখন সরকার বলছে আমার বিশেষ সুবিধা কেড়ে নেবে, পাসপোর্ট আটকে দেবে, আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। তারা দেশকে অনিরাপত্তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

চলতি মাসেই জেন-জি আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে ওলি সরকারের। আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে বহু প্রাণহানি ঘটানোর জন্য কেপি শর্মা ওলি ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখক ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনাগুলোতে সরকারের ব্যর্থতাতেই ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। কমিশন বলেছে, প্রথম দিনের অর্ধেক সময় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ঘটার পর ৯ সেপ্টেম্বর আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে।


বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর উদ্বোধন করল চীন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চীনে নির্মাণ কাজ শুরুর তিন বছরের বেশি সময় পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। রোববার এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন এই সর্বোচ্চ সেতুটি একই প্রদেশের আরেকটি সেতুর দখলে থাকা রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।

দেশটির দুর্গম দক্ষিণাঞ্চলীয় গুইঝো প্রদেশে নতুন সেতুটির অবস্থান। নদী ও বিশাল গিরি খাতের ওপর নির্মিত ৬২৫ মিটার (২ হাজার ৫১ ফুট) উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছে হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু। এর আগে ৫৬৫ মিটার উচ্চতার বেইপানজিয়াং সেতু ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু। আগের সর্বোচ্চ সেতুটিও একই প্রদেশে অবস্থিত।

রোববার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, সেতুটির নীল রঙের বিশাল সহায়ক টাওয়ার আংশিকভাবে মেঘে ঢেকে গেছে। এমন অবস্থায় সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী ও স্থানীয় কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন। তারা সেতুটি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে গর্ব ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুইঝো প্রদেশের পরিবহন বিভাগের প্রধান ঝাং ইয়িন বলেন, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু চালু হওয়ায় দুই পাশের মানুষের যাতায়াতের সময় দুই ঘণ্টা থেকে কমে দুই মিনিটে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, সেতুটি আঞ্চলিক পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।

গত কয়েক দশকে অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে চীন। দেশটি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নগরায়ণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দুর্গম গুইঝো প্রদেশে হাজার হাজার সেতু রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ দুটি সেতুও রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০০ সেতুর প্রায় অর্ধেকই গুইঝো প্রদেশে অবস্থিত। সিনহুয়া বলছে, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু নির্মাণে তিন বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। ১ হাজার ৪২০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির প্রধান স্প্যান এটিকে ‌পাহাড়ি এলাকায় নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্প্যানের সেতু বানিয়েছে।

তবে নিজস্ব কাঠামোর উচ্চতা অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু এখনো ফ্রান্সের মিলাও সেতুর রেকর্ডে আছে। এই সেতুর উচ্চতা ৩৪৩ মিটার।


এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল সান মারিনো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ সান মারিনো। গত শনিবার সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘গত ১৫ মে সর্বসম্মত সমর্থনে আমাদের পার্লামেন্ট চলতি বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আজ (রোববার) এই পরিষদের সামনে, আমরা সেই আদেশ পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি: সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।’

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতিদানকারী ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশের সাথে সান মারিনো যোগ দেওয়ার সাথে সাথে জাতিসংঘের হলরুম করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।

লুকা বেকারি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র থাকা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার। এটি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয়।’

তিনি গাজা এবং পশ্চিম তীরে ঘটে যাওয়া মানবিক বিপর্যয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এটিকে ‘অসহনীয়’ এবং ‘আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডিগুলোর মধ্যে একটি’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি গাজায় তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধের জন্য তার দেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

বেকারি বলেন, নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, অনাহার এবং বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মিলিত শাস্তিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। যদি না আমরা ঐক্য ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করি, তাহলে মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে পাশাপাশি বসবাসকারী দুটি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি হারিয়ে যাবে। এই অন্ধকার সময়ে, আমাদের দায়িত্ব আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।


ইসরায়েলের গণহত্যা শতাব্দী ধরে মনে রাখা হবে: মাহাথির

মাহাথির মোহাম্মদ
আপডেটেড ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:৩৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ বছর ১০০ বছরে পা দিয়েছেন। জন্মদিনেও তিনি নিজের দীর্ঘদিনের অভ্যাস অনুযায়ী কঠোর নিয়ম মেনে চলেছেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহাথির বলেন, আমি সবসময় কাজ করি, নিজেকে বিশ্রাম দিই না। মন ও শরীর সক্রিয় রাখলে মানুষ দীর্ঘজীবী হয়।

কুয়ালালামপুরের দক্ষিণে পুত্রজায়ার নিজ অফিসে বসে জন্মদিনটিও তিনি কাটিয়েছেন দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু—বিশেষ করে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে লিখে।

আল জাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাহাথির বলেন, ইসরায়েল গাজার সাধারণ জনগণের ওপর যে নির্মমতা চালিয়েছে, তা ইতিহাসে চিরদিনের মতো লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গর্ভবতী নারী, সদ্যোজাত শিশু, কিশোর-কিশোরী, অসুস্থ ও দরিদ্র—সবাইকে তারা হত্যা করেছে। এটা কি কখনও ভোলা সম্ভব?

মাহাথির আরও বলেন, এটা হয়তো শতাব্দীর পর শতাব্দী মনে রাখা হবে।

গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এটি ১৯৯০-এর দশকে বসনিয়ায় মুসলিমদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ড এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের হত্যার সঙ্গে তুলনীয়।

মাহাথির বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, যে জাতি নিজেরাই একসময় গণহত্যার শিকার হয়েছিল, তারা কীভাবে আবার অন্য জাতির ওপর একই ধরনের নির্মমতা চালাতে পারে?


banner close