সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ভিসা ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন ২৯ দেশের নাগরিক

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২১:১৮

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন। ওমরাহ পালন করার জন্য তাদের আগে থেকে কোনো ভিসা নিতে হবে না।

আজ সোমবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। এ ছাড়া এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা অন-অ্যারাইভাল প্রক্রিয়া আরও সহজ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সৌদি সরকার। এমনকি, তারা ভ্রমণের উদ্দেশে এসেছেন নাকি ওমরাহ পালনের জন্য এসেছেন, সে বিষয়টিও ধরা হবে না। এটি ভিসাধারীদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওমরাহ প্রক্রিয়া সহজ, উন্নতমানের সেবাসহ সৌদির সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য সৌদির ভিশন-২০৩০-এর অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিরা সহজেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা সাজাতে পারবেন। চাইলে এসব দেশের নাগরিকরা সৌদিতে পৌঁছেই ওমরাহ করতে পারবেন।

এ ছাড়া ট্রানজিট ভিসার মাধ্যমেও ওমরাহ পালন করা যাবে। তবে তাদের সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে আসতে হবে। পুরো বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ওমরাহ পালন সহজ করার অংশ হিসেবে এমন সুযোগ রেখেছে সৌদি আরব।

হজ ও ওমরাহর মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। হজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমি নারী-পুরুষের জন্য হজ পালন বাধ্যতামূলক। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজে হজ পালন করা হয়। অন্যদিকে, ওমরাহ হলো একটি ঐচ্ছিক বিষয়। বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করতে গিয়েও পবিত্র কাবা শরিফসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক অবকাঠামো দেখার সুযোগ পান মুসল্লিরা।

এদিকে, বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য ওমরাহ বিমার সামগ্রিক খরচ ৬৩ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় গত ১০ জানুয়ারি থেকে খরচ কমিয়ে ২৩৫ থেকে ৮৭ সৌদি রিয়াল করেছে। ওমরাহর জন্য বিমা হলো- বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর হজ যাত্রীদের জন্য একটি সমন্বিত নীতি।

এই ভিসাপদ্ধতিতে চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি, গর্ভাবস্থা, জরুরি প্রসব, জরুরি ডেন্টাল সেবা, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা, ডায়ালাইসিসসহ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চিকিৎসাসেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার কারণে স্থায়ী অক্ষমতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যু, মরদেহ দেশে ফেরত দেওয়া ও আদালতের রায়ে জারি করা ব্লাড মানি, ফ্লাইট বিলম্বের ক্ষতিপূরণ এবং ফ্লাইট বাতিলের ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়গুলোও এর অন্তর্ভুক্ত।

সৌদি আরবে প্রবেশের দিন থেকে শুরু করে ৯০ দিন পর্যন্ত এ বিমা কাজ করবে এবং তা শুধু সৌদি আরবেই কার্যকর হবে। এই বিমার বিষয়ে সব তথ্যসামগ্রিক বিমা প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।


অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ডেরন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন ও জেমস এ রবিনসন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস সোমবার ডেরন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন ও জেমস এ রবিনসনকে আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে ২০২৪ সালের অর্থনীতি বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী ঘোষণা করেছে।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস বলেছে, 'প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠিত হয় এবং সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে গবেষণার জন্য' এই তিন অর্থনীতিবিদকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে পুরস্কারের কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'বিভিন্ন দেশের মধ্যে আয়ের বিশাল ব্যবধান হ্রাস করা আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম। মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার বিজয়ীরা এটি অর্জনের জন্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।'

আজ ১৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ছয় নম্বর ও সর্বশেষ অর্থনীতি ক্যাটাগরির নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছর নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শেষ হলো।

এখন পর্যন্ত টিকে থাকা বিশ্বের প্রাচীনতম ব্যাংক 'সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক'-এর ৩০০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৬৮ সালে আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতি স্মরণে এ পুরস্কার চালু করা হয়।

সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পুরস্কারের তহবিল জোগান দেয় এবং নোবেল ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকে।

১৯৬৯ সালে ডাচ অর্থনীতিবিদ জ্যান টিনবার্গেন ও নরওয়েজিয়ান অর্থনীতিবিদ রাগনার ফ্রিশকে 'অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ ও প্রয়োগের গতিশীল মডেল তৈরির জন্য' প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ গত বছর ২০২৩ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন।

গোল্ডিনকে 'নারী শ্রম বাজারের ফলাফল সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য' নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি তৃতীয় নারী হিসেবে অর্থনীতিতে পুরস্কার জিতেন।

১৯৬৯ সাল থেকে সম্মানিত ৯৩ জন বিজয়ীর মধ্যে, মাত্র তিনজন মহিলা - ২০২৪ সালে গোল্ডিন, ২০০৯ সালে তার স্বদেশী এলিনর অস্ট্রম ও ২০১৯ সালে ফরাসি-আমেরিকান এসথার ডুফ্লো।

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে ৭ অক্টোবর চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সোমবার যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে চিকিৎসা বা ওষুধশাস্ত্রে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি জানায়, ‘অণু-আরএনএ এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা আবিষ্কারের জন্য’ তাদের এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টনকে যৌথভাবে ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

একাডেমি জানায়, ‘কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলোর বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য’ তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকারকে কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য’ এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডেমিস হাসা বিস ও জন এম. জাম্পারকে ‘প্রোটিন গঠন পূর্বাভাসের জন্য’ যৌথভাবে ২০২৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কারজয়ী ঘোষণা করে।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যান বুকার বিজয়ী কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, ছোট গল্পকার ও ঔপন্যাসিক হান কাংকে ২০২৪ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতিবছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর থেকে তাঁর নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালে এতে যুক্ত হয় অর্থনীতি।

প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রতি ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক, শংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পান।


অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ব্রাজিলে ৬ জনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিনাস গেরাইসে অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার এ কথা জানায়।

রিও ডি জেনেইরো থেকে সিনহুয়া জানায়, অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট হেনরিক বার্সেলোস জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির শনিবার সকালে ওরো প্রেটো শহরের কাছে সন্ধান পাওয়া গেছে।

চারজন দমকলকর্মী, একজন নার্স এবং একজন চিকিৎসক হেলিকপ্টারটিতে আরোহী ছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওরো প্রটোর কাছে বিধ্বস্ত হওয়া একটি ছোট বিমান অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য শুক্রবার এই ক্রুদের পাঠানো হয়েছিল।

বিষয়:

১০ দাবিতে ৮ দিন ধরে অনশনে পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দুই মাস আগে আরজি কর হাসপাতালে এক জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর সেই ঘটনার বিচারের দাবিতে যে অভূতপূর্ব আন্দোলন শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায়, তা এখনো সমান তেজে এগিয়ে চলছে। চলমান দুর্গাপূজা আন্দোলনের স্পিরিটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

আর জি কর হাসপাতালে গত আগস্ট মাসে নিহত ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার, কর্মক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোর সংস্কার, কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগসহ দাবিতে গত ৪ অক্টোবর শনিবার কলকাতার ধর্মতলা এলাকার আন্দোলনমঞ্চে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ৭ জন চিকিৎসক যোগ দেন এই কর্মসূচিতে। তারা হলেন স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, অনিকেত মাহাতো, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের দায়িত্বে রয়েছেন তারা।

অনশনকারীদের মধ্যে অনিকেত মাহাতো গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে আর জি কর হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাকিরা এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। যে ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসরকরা অনশন করছেন, সেগুলো হলো- (১) দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে আর জি কর হাসপাতালে চিকৎসক র্ধষণ ও হত্যার বিচার, (২) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ নিগমের অপসারণ, (৩) হাসপাতালগুলোতে কেন্দ্রীয়ভাবে রেফারেলের ব্যবস্থা, (৪) হাসপাতালে ফাঁকা বেডের হিসাব রাখতে ডিজিটাল মনিটরিং, (৫) কলেজভিত্তিক টাস্কফোর্স গঠন, প্যানিক বাটন ও হেল্পলাইন চালু, (৬) হাসপাতলগুলোর নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিায়ারের পরিবর্তে পুলিশ ও নারী পুলিশ নিয়োগ, (৭) হাসপাতালগুলিতে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ, (৮) আন্দোলনরত চিকিৎসদের হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ, (৯) প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা এবং (১০) পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং পশ্চিমবঙ্গ হেল্‌থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগগুলোর তদন্ত।

এই ১০ দফা দাবিকে লিফলেট আকারে জনসাধারণের মধ্যে বিলি করার কাজ শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বুধবার দুর্গাপূজার সপ্তমীর দিন এই লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন ৯ জন জুনিয়র চিকিৎসক। পরে অবশ্য তাদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে এই আন্দোলন। শুক্রবার দুপুর থেকে আরজি কর আন্দোলন ধর্মতলা চত্বরে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। শুধু তা-ই নয় বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

যা করছে রাজ্য সরকার

অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবির তালিকায় থাকা বিভিন্ন কাজের অগ্রগতির খতিয়ান দেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ প্রসঙ্গে এখনো কিছু জানায়নি রাজ্য।


ভারী বৃষ্টিতে সৌদি আরবের মক্কায় আকস্মিক বন্যা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। বন্যায় মক্কা ও আশপাশের নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানি ও স্রোতে ভেসে যায়। এর আগে এলাকায় ধূলিঝড়ও হয়েছিল যাপরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহতের কারণ হয়।

বৃষ্টির ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে তীব্র বৃষ্টিপাত ও পানির স্রোতের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। বৃষ্টিপাতের পূর্বে সেখানে প্রবল ধূলিঝড় হয়েছিল যা চারপাশে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র আগেই মক্কা, জিজান, আসির, আল বাহা এবং মদিনার জন্য ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিল। এসব অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি ছিল উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল ও উপত্যকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা ছিল প্রবল, যা শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়।

সম্প্রতি পুরো বিশ্বের মতো মধ্যপ্রাচ্যও অস্বাভাবিক আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। মরু অঞ্চলে সাধারণত কম বৃষ্টি হলেও এবারে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে গত ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বন্যা হয়েছে, যা ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মরু অঞ্চলে বন্যা একটি বিরল ঘটনা, এবং এই অস্বাভাবিক আবহাওয়ার প্রভাব মক্কাতেও পড়েছে। সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে এমন আবহাওয়া আরও অব্যাহত থাকতে পারে। তাই নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে, বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল ও বন্যাপ্রবণ এলাকায়।

বিষয়:

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ

১২ বগি লাইনচ্যুত
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের তামিলনাড়ুতে দুটি ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চেন্নাই রেল বিভাগের পোন্নেরি-কাভারপেট্টাই স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের অন্তত ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং ট্রেনের পার্সেলের বগিতে আগুন ধরে যায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে ৭৫ কিলোমিটার বেগে চলতে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মাইসোর থেকে বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলকারী মাইসোর-দ্বারভাঙ্গা বাগমতি এক্সপ্রেস তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভাল্লুর জেলার কাবারাপেতাই রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ১২টি কোচ লাইনচ্যুত হয় এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটির পাওয়ার কারেও আগুন ধরে যায়।

তিরুভাল্লুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ড. টি প্রভুশঙ্কর জানান, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে দুর্ঘটনার সময় ১৩৬০ যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ১৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় রেলওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আর এন সিং বলেন, ট্রেনটি গুডুরের দিকে যাচ্ছিল। আরও এগিয়ে এটি অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনা ঘটা স্টেশনে গুডুরের দিকে যাওয়া একটি মালবাহী ট্রেন লুপ লাইনে দাঁড়ানো ছিল এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, এই ট্রেনের মেইন লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মেইন লাইনের সিগন্যাল থাকার পরও ট্রেনটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। এটি পেছন থেকে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় এবং ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়।

এই লাইন হয়ে চলাচলকারী নির্ধারিত ট্রেনগুলোর মধ্যে ১৮টির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এ এম চৌধুরী দুর্ঘটনার সঠিক কারণ শনাক্ত করতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিষয়:

ইরানের তেল খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় (ইউএস ট্রেজারি) ও পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) যৌথভাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত শুক্রবার মার্কিন সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি এবং বাহন ইরানের তেল ব্যবসায় ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত সেগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় ১৬টি সংস্থা ও ১৭টি জাহাজ রয়েছে যেগুলো ইরানের জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ইরানের জ্বালানি তেল বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে অবৈধভাবে পৌঁছে দেওয়া ‘ভৌতিক জাহাজবহরের’ (ঘোস্ট ফ্লিট) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দ্বার উন্মোচিত হলো। ফলে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকেও তারা আর সমর্থন দিতে পারবে না।


হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ক্ষতি প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার: জো বাইডেন

জো বাইডেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হারিকেন মিলটনের আঘাতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউসে হারিকেন সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছেন, এই হারিকেন প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি করেছে।’

ওয়াশিংটন থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মিল্টনের প্রভাবে বন্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় এবং কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়।

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে বুধবার রাতে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় মিলটন। এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পুরো ফ্লোরিডা। টর্নেডো, বন্যা এবং ঝড়ের কবলে পড়ে অঙ্গরাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জনের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে।

হারিকেন মিলটনের উপকূলে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে বুধবার ফ্লোরিডাজুড়ে কমপক্ষে ৩৬টি টর্নেডোর খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় রেকর্ড ১৩৩টি টর্নেডোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যা একদিনে যেকোনো রাজ্যের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টর্নেডো সতর্কতা।

প্রসঙ্গত, মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই ফ্লোরিডায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে হারিকেন ‘হেলেন’। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন ‘ক্যাটরিনা’র পর থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড়। ‘হেলেন’র প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।


ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় মিলটনের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ১৬ জনের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে বুধবার রাতে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় মিলটন। এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পুরো ফ্লোরিডা। টর্নেডো, বন্যা এবং ঝড়ের কবলে পড়ে অঙ্গরাজ্যটিতে অন্তত ১৬ জনের প্রাণ গেছে বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার মেক্সিকো উপকূল থেকে অগ্রসর হয়ে বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ফ্লোরিডায় আঘাত হানে মিলটন। এতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অঙ্গরাজ্যের নদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই চিত্র দেখা গেছে ফ্লোরিডার আরও কয়েকটি শহরে।

সেন্ট পিটার্সবার্গে শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়ায় ক্রেন ভেঙে পড়েছে একটি বাণিজ্যিক ভবনে। এতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনটিতে থাকা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। তবে কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

এর আগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ইতিহাস গড়ে শহরটি। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ফ্লোরিডার টাম্পা উপসাগরীয় অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ফ্লোরিডার ডিভিশন অফ ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের প্রধান কেভিন গুথরি জানান, রাজ্যজুড়ে কমপক্ষে ১২৫টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

মিলটনকে ক্যাটাগরি-৫ হ্যারিকেন হিসেবে ঘোষণা করা হলেও উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়টি ক্যাটাগরি-৩ এ পরিণত হয়। সাফির স্যাম্পসন স্কেলে ক্যাটাগরি-৫ হলো সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রার হারিকেন।

এদিকে অরল্যান্ডো এবং অরেঞ্জ কাউন্টিতে বন্যার হাঁটু পানির মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে যেতে সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া কেউ কোথাও আটকে আছে কি না তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে ভূমিধসও দেখা দিয়েছে।

হারিকেন মিলটনের আঘাতের পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফ্লোরিডার ৩০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষকে। মার্কিন আবহাওয়া অফিস বলছে, হারিকেন মিলটন ফ্লোরিডায় তাণ্ডব চালানোর পর শক্তি হারিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

হারিকেন মিলটনের উপকূলে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে বুধবার ফ্লোরিডাজুড়ে কমপক্ষে ৩৬টি টর্নেডোর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় রেকর্ড ১৩৩টি টর্নেডোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যা একদিনে যেকোনো রাজ্যের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টর্নেডো সতর্কতা।

প্রসঙ্গত, মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই ফ্লোরিডায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে হারিকেন ‘হেলেন’। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন ‘ক্যাটরিনা’র পর থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড়। ‘হেলেন’র প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।


প্রবাসী কর্মীদের নতুন যে নির্দেশনা দিল সৌদি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসী কর্মীদের জন্য বেশ কিছু নীতিমালা সংস্কার ও প্রণয়ন করেছে দেশটির সরকার। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল কাজে অনুপস্থিত হওয়ার দিন থেকে অপর নিয়োগকর্তা বদল বা অন্য কাজে যোগদানের জন্য দুই মাস (৬০ দিন) সময় পাবেন প্রবাসী শ্রমিকরা। এই সময়ের মধ্যে তা করতে ব্যর্থ হলে চূড়ান্ত এক্সিট ভিসায় তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গাল্ফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্দিষ্ট এই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে শ্রমিকরা ‘কাজে অনুপস্থিত’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে এই অনুপস্থিতির প্রতিবেদন প্রত্যাহার করা যাবে না। প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বিশাল অংশের আবাসস্থল সৌদি আরব।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ নিয়োগকর্তাদের ওপর শ্রমিকদের সৌদি আরব ছাড়তে চূড়ান্ত এক্সিট ভিসা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করেছে। সৌদি আরবের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব পাসপোর্ট বলেছে, একটি চূড়ান্ত এক্সিট ভিসা ইস্যু হওয়ার পর প্রবাসী কর্মীর দেশে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত সব বিষয় তদারকি করতে হবে নিয়োগকর্তাদের।

শুধু চূড়ান্ত এক্সিট ভিসা পাওয়ার মধ্যেই নিয়োগকর্তার দায়িত্ব সীমাবদ্ধ নয়। কোনো শ্রমিকের জন্য একটি ‘ফাইনাল এক্সিট’ ভিসা ইস্যু করার পর যদি সৌদি আরবে ওই কর্মীর অবস্থান শনাক্ত করতে নিয়োগকর্তা ব্যর্থ হলে, অবশ্যই ভিসা বাতিলের জন্য তাদের আবেদন করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকের অনুপস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

শ্রম সংস্কার

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব দেশটির চাকরির বাজারকে আরও আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতামূলক করতে শ্রম সংস্কার চালু করেছে। সম্প্রতি, নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের চুক্তিভিত্তিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য দেশটির শ্রমবিষয়ক আইনে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে সৌদি সরকার।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, বর্তমানে অনির্দিষ্ট মেয়াদের একটি চুক্তির অবসান করতে চাইলে শ্রমিককে ৩০ দিনের এবং নিয়োগকর্তাকে ৬০ দিনের একটি নোটিশ দিতে হবে। এই আইনের বাইরে বিনা নোটিশে কোনো শ্রমিক কাজ ছাড়তে পারবেন না বা কোনো নিয়োগকর্তা শ্রমিককে কাজ থেকে ছাঁটাই করতে পারবেন না।

শ্রমনীতিতে এমন পরিবর্তন আনার কারণে নিয়োগকর্তারা এখন এমন কাজগুলো এড়াতে বাধ্য হচ্ছে যা কর্মীদের কাজ করার সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন করে। দেশটিতে মাতৃত্বকালীন ছুটি ১০ ​​সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহে উন্নীত হয়েছে। আরেকটি সংশোধনীতে ‘ট্রায়াল’ নিয়োগের সর্বোচ্চ মেয়াদ ১৮০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, চুক্তি শেষে শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর সময় নিয়োগকর্তাদের জন্য ‘রিটার্ন টিকিট’-এর খরচ বহন বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব।

বিষয়:

বন্দুকধারীদের হামলায় পাকিস্তানে ২০ খনি শ্রমিক নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:৪৫
ইউএনবি

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় ২০ জন খনিশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও সাতজন।

দেশটির পুলিশ সংস্থা আজ শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশে এটিই সবশেষ হামলা। দেশটিতে একটি বড় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ভয়াবহ হামলার ঘটনাটি ঘটল।

পাকিস্তান পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন খান নাসির বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বন্দুকধারীরা দুকি জেলার কয়লা খনির আবাসনে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের ঘিরে ফেলে এবং গুলি চালায়।’

‘নিহতদের অধিকাংশই বেলুচিস্তানের পশতুন ভাষী এলাকার। এ ছাড়া নিহতদের তিনজন এবং আহতদের চারজন আফগান নাগরিক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।’

তিনি দাবি করেন, প্রদেশটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর শক্ত ঘাঁটি যারা স্বাধীনতা চায়। তাদের অভিযোগ হলো, ইসলামাবাদের ফেডারেল সরকার স্থানীয়দের ক্ষতিগ্রস্ত করে তেল ও খনিজ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তানকে অন্যায়ভাবে শোষণ করছে।

গত সোমবার বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামে একটি গোষ্ঠী জানায়, তারা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের বাইরে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। দেশটিতে হাজার হাজার চীনা নাগরিক কাজ করছে। যাদের বেশিরভাগই বেইজিংয়ের মাল্টি বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে জড়িত।

বিএলএ বলেছে, ‘এই বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ঘটিয়েছে। যার ফলে উচ্চ পদস্থদের নিয়ে অনুষ্ঠান বা দেশি-বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।’

বিষয়:

শান্তিতে নোবেল জিতলো জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শান্তিতে নোবেল জিতেছে জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও।

চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল বিজেতা হিসেবে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি আজ শুক্রবার সকাল ১১টা (স্থানীয় সময়) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে সংস্থাটির নাম ঘোষণা করে।

নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এ বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করে। যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি এবং ৮৯টি সংস্থা ছিল

১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১১১ ব্যক্তি ও ৩১ সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪২।

রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি ১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তর ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। এ ছাড়া ২৭ স্বতন্ত্র সংস্থা নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতিবছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডায়নামাইট উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে ১৯৬৯ সালে এতে যুক্ত হয় অর্থনীতি।

প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণ পদক, শংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পান।

আগামী ১৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ছয় নম্বর ও সর্বশেষ অর্থনীতি ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছর নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শেষ হবে।


যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন মিলটনের তাণ্ডব, ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিলটন। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ মাইল। এই হারিকেন আছড়ে পড়ার সময় সমুদ্রে ১৩ ফিট ঢেউ ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়।

আরও বৃষ্টি হতে পারে এবং ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তিন ঘণ্টা পরেও ভয়ংকর ঝড় হচ্ছে এবং প্রবল বেগে বৃষ্টি হচ্ছে। মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ফ্লোরিডার পশ্চিম তিরে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্টা কি-তে মিলটন আছড়ে পড়ে।

আপাতত পুরো শক্তি নিয়ে স্থলভাগে এগিয়ে যাবে মিলটন। পরে তার শক্তি কমবে। মিলটনের তাণ্ডবে ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

ফ্লোরিডার অবস্থা

হারিকেন মিলটনের প্রভাবে ফ্লোরিডার পূর্ব তটভূমি থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্থানীয় শেরিফ কিথ পিটারসন জানিয়েছেন, প্রবীণদের কাউন্টি ক্লাব ভেঙে পড়ায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল বুলডোজার নিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছে। ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে।

শেরিফের অফিসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেরিফ বলেছেন, যখন এ ধরনের তাণ্ডব হয়, তখন মনে হয় যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় বোমা পড়ছে। এখন কেউ যেন ঘর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা না করেন। বাড়িতে থাকুন। দরকার হলেই প্রশাসন সেখানে যাবে।

ফ্লোরিডায় মিলটন আছড়ে পড়ার পর অনেক এলাকা জলের তলায় চলে যায়। সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রায় ১৬ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু মানুষ মারা গেছেন। তবে তার সংখ্যা কত তা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি।

বলা হয়েছে, এরকম বৃষ্টি হাজার বছরের মধ্যে একবার হয়। এর ফলে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এতটাই জোরে ঝড় হচ্ছে, উদ্ধারকারী দলকেও আপাতত রাস্তায় নামতে মানা করে দেওয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ঝড়ে বাইরে বেরোলে তারাও বিপদের মুখে পড়বেন।

২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন

হারিকেন মিলটনের তাণ্ডবের ফলে ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ১১ লাখ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ ২ হাজার।

স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গেল

সেন্ট পিটার্সবার্গের ট্রপিকানা ফিল্ড স্টেডিয়ামের ছাদের একাংশ উড়ে গেছে। সিএনএনের করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাদের অংশ প্রবল ঝড়ে টুকরো টুকরো হয়ে উড়ে যাচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। স্থানীয়দের বলা হয়েছে, তারা যেন বাইরে না বের হন।


ট্রাম্পকে টেক্কা দিচ্ছেন কমলা

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনমত জরিপে একের পর এক টেক্কা দিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী এবং আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও পরিসংখ্যান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইপসস-এর যৌথ জরিপেও রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছেন।

আসছে ৫ নভেম্বর মার্কিন নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাকে বেছে নেবেন, এমন প্রশ্নে ৪৬ শতাংশ ভোটার বেছে নিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে।

অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে বেছে নিয়েছেন আমেরিকার ৪৩ শতাংশ ভোটার। সম্প্রতি শেষ হওয়া চারদিনের জরিপে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আগের জরিপে ট্রাম্প যেখানে কমলার চেয়ে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন, সেখানে নতুন জরিপে কমলা সামান্য পয়েন্টে এগিয়ে গেছেন। ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসন নীতির কারণে তার জনপ্রিয়তা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৩১ দিন। জরিপের পারদ যেমন প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে, তেমনই দোদুল্যমান প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ভোটাররাও। এক জরিপে কমলা হ্যারিস এগিয়ে থাকে, তো পরের জরিপে একটু বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ট্রাম্প। তবে ভোটাররা বলছেন, এবার ‘হাড্ডাহাড্ডি’ লড়াই হবে।

রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন ভোটাররা অর্থনীতিকে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসাবে দেখছেন। প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোটার মনে করেন জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতি বেশি কাজ করবে। আর ৩৮ শতাংশ ভোটার মনে করছেন কমলা হ্যারিস বেশ ভালোভাবেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করবেন।

বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে মুসলিম ও অভিবাসী ভোটাররা বরাবরই ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আর মুসলিম ভোটার টানতে বুধবার কমলার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডান আমেরিকান মুসলিম ও আরব নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। মুসলিমদের দাবিগুলো তিনি কমলা হ্যারিসকে জানাবেন।

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে মার্কিন ভোটারদের মধ্যে পরিষ্কার দুই ভাগ রয়েছে। উগ্র ডানপন্থিরা মনে করে ট্রাম্পই অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ নিতে পারবেন। আবার অন্যপক্ষ মনে করছেন যদি ট্রাম্প বিজয়ী হয়ে আসেন, তাহলে অভিবাসী নাগরিকদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।


banner close