শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ইইউ’র ২৬টি দেশ অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছে: বোরেল

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৩৬

হাঙ্গেরি ব্যতীত সমস্ত ইইউ দেশ সোমবার গাজা যুদ্ধে ‘অবিম্বে মানবিক বিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে। ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এ কথা বলেছেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

তবে বোরেল বলেছেন, ২৬টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ‘একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’র আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দিতে সম্মত হয়েছেন।

ইইউ দেশগুলোও ইসরায়েলকে গাজার শহর রাফাহ আক্রমণ না করার জন্য তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে। যা ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের প্রধান আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।

হাঙ্গেরি ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক এবং প্রায়শই দেশটির সমালোচনামূলক ইইউ বিবৃতিগুলোর বিরোধিতা করে।

অন্যান্য ইইউ দেশ যেমন জার্মানি এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের কার্যক্রম ‘অবিলম্বে’ থামানোর আহ্বান জানাতে অনিচ্ছুক। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সীমিত করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ সমর্থন করতে দেখা যায়নি।

হামাস পরিচালিত ভূখন্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ২৯,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হামাস সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দিলে তারা রাফাহ সহ মুসলিম পবিত্র রমজান মাসে তাদের আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

বিষয়:

ভারতে হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে জয়শঙ্কর জানালেন—সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

২৪ এর জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

এবিষয়ে তিনি বলেন, যে পরিস্থিতিতে তিনি ভারতে এসেছিলেন, সেই বাস্তবতার দ্বারাই এটি প্রভাবিত।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও এডিটর-ইন-চিফ রাহুল কানওয়ালের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শেখ হাসিনা কি ‌‌‘যতদিন খুশি’ ভারতে অবস্থান করতে পারবেন? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটা তো ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন এবং আমার মনে হয় সেই পরিস্থিতি স্পষ্টভাবেই এখন তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী দেশে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’ দেখতে চায়। বাংলাদেশে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তারা অতীতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। যদি সমস্যা নির্বাচন হয়, তবে প্রথম কাজ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।

ভারত-বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে জয়শঙ্কর বলেন, ভারত তার প্রতিবেশীর জন্য গণতান্ত্রিক পথই কামনা করে। আমাদের দৃষ্টিতে, আমরা বাংলাদেশের মঙ্গলই চাই। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, বাংলাদেশে জনগণের ইচ্ছা যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এ সময়ে দেশে বিক্ষোভে শত শত মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজারো মানুষ আহত হন। হাসিনাকে গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অনুপস্থিত অবস্থায় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।


মোদি-পুতিন শীর্ষ বৈঠকে বাণিজ্য বৃদ্ধির অঙ্গীকার

হায়দরাবাদ হাউজে ফ্রেমবন্দি পুতিন ও মোদি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠক হয়েছে। নয়াদিল্লিতে শুক্রবার আয়োজিত এই বৈঠকে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারকরণে মনোযোগ দেওয়া হয়।

চার বছর পর পুতিনের প্রথম ভারত সফরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছে মোদি সরকার।

সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন নয়াদিল্লি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় রয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ তেল কেনার কারণে ভারতীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা প্রত্যাহারের জন্য ভারত আলোচনা করছে।

গত বছর দশেক ধরে ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হচ্ছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, তারা ভারতীয় পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে, যা এখন পর্যন্ত ভারতের জ্বালানি আমদানির কারণে রাশিয়ার পক্ষেই ঝুঁকে আছে।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপে রুশ জ্বালানির বাজার ছোট হয়ে গেলে ভারত কম দামে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনা বাড়ায়। তবে মার্কিন শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার চাপে চলতি বছরে সেই আমদানি কমাতে হয়েছে।

বৈঠকের শুরুতে মোদি বলেন, ভারত নিরপেক্ষ নয়। আমাদের অবস্থান শান্তির পক্ষে। আমরা শান্তির জন্য গৃহীত প্রতিটি উদ্যোগকে সমর্থন করি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াই।

এর প্রতিক্রিয়ায় সংঘাত নিরসনে মোদির প্রচেষ্টার প্রশংসা করে পুতিন বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে যা ঘটছে এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য সহযোগীর সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার সুযোগ আপনি আমাকে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ ও অর্থনীতি যত বড় হচ্ছে, সহযোগিতার ক্ষেত্রও তত বিস্তৃত হচ্ছে। নয়া প্রযুক্তি, উড়োজাহাজ, মহাকাশ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় আমাদের মধ্যে অত্যন্ত আস্থাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা এসব ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে চাই।

বৈঠকে দুই নেতা শ্রম, বেসামরিক পারমাণবিক শক্তিসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

পুতিনের সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন বড় ব্যবসায়িক ও সরকারি প্রতিনিধি দল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলউসোভ। তিনি বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা অর্জনে রুশ প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বেলউসোভ।

বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন চাপের সমালোচনা করে পুতিন বলেন, যে চাপের কারণে ভারতকে তাদের জ্বালানি না কিনতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই রাশিয়ার পারমাণবিক জ্বালানি কিনছে।

তিনি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন একই সুবিধা পাবে না? এই প্রশ্নের গভীরভাবে আলোচনার প্রয়োজন আছে, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও তা আলোচনায় প্রস্তুত।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ভারত–রাশিয়া বাণিজ্যে সামান্য পতন হলেও জ্বালানি বাণিজ্য ‘স্বাভাবিকভাবে চলছে’।

ভারত বলেছে, ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য, এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়ার সঙ্গে চলমান বাণিজ্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো রাশিয়া থেকে এলএনজি থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কয়েক বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি ও পণ্য আমদানি করছে।

ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা করছে রাশিয়া: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তামিলনাড়ুতে ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘কুদানকুলাম’ নির্মাণে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা করছে মস্কো। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয়টি চুল্লির মধ্যে দুটি ইতোমধ্যেই চালু রয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়া এটি পূর্ণ-ক্ষমতায় নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

গতকাল শুক্রবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এ কথা জানান।

রুশ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র- কুদানকুলাম নির্মাণের জন্য একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প পরিচালনা করছি। ছয়টি চুল্লি ইউনিটের মধ্যে দুটি ইতোমধ্যেই এনার্জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং চারটি এখনো নির্মাণাধীন। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে পূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিণত করা ভারতের জ্বালানি চাহিদা পূরণে একটি চিত্তাকর্ষক অবদান রাখবে।’

তার এই মন্তব্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু কর্পোরেশন- রোসাটমের একটি বিবৃতির পরে এসেছে। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, কুদানকুলাম প্ল্যান্টে তৃতীয় চুল্লির জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালান সরবরাহ করা হয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, পুতিন দুই দিনের ভারত সফরে আছেন। সেখানে দুই দেশের নেতা জ্বালানি খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পুতিন বলেন, ‘আমরা ধরে নিচ্ছি যে, আমরা ছোট মডুলার চুল্লি এবং ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা বলতে পারি এবং পারমাণবিক প্রযুক্তির অ-শক্তি প্রয়োগের কথাও বলতে পারি। উদাহরণস্বরূপ: চিকিৎসা বা কৃষিতে।’

তিনি আরও বলেন, ভারতে তেল, গ্যাস, কয়লা এবং জ্বালানি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী রাশিয়া। এটি দ্রুত বর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন চালানের নিশ্চয়তা প্রদান করে।

ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্বসময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ’: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, যা আমাদের জনগণের জন্য অত্যন্ত কল্যাণ বয়ে এনেছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুই দিনের ভারত সফরে আসা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বরণ করে নেওয়ার পর এক্সে দেওয়া পোস্টে এমন মন্তব্য করেন মোদি।

মোদি তার পোস্টে আরও লেখেন, আমার বন্ধু, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। আজ সন্ধ্যার ও আগামীকালের আলোচনার জন্য আগ্রহে অপেক্ষা করছি।


খাবার না পেয়ে মারা গেল ৬০ হাজার পেঙ্গুইন

সাগরে পেঙ্গুইন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলবর্তী এলাকায় ৬০ হাজারের বেশি পেঙ্গুইন খাদ্যের অভাবে মারা গেছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আফ্রিকান পেঙ্গুইনদের অন্যতম প্রধান খাদ্য সার্ডিন মাছ কমে যাওয়ায় এ বিপর্যয় ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আফ্রিকান পেঙ্গুইনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজননস্থল ডাসেন দ্বীপ ও রবিন আইল্যান্ডে ৯৫ শতাংশেরও বেশি পেঙ্গুইন বিলুপ্ত হয়ে যায়। মোল্টিং বা পালক পরিবর্তনের সময় প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে তারা মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জলবায়ু সংকট ও অতিমাত্রায় মাছ শিকারকে এই হ্রাসের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ওস্ট্রিচ: জার্নাল অব আফ্রিকান ওরনিথোলজি-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, এ বিপর্যয় বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড কনজারভেশনের শিক্ষক ড. রিচার্ড শার্লি জানান, ‘অন্যান্য স্থানেও একইভাবে পেঙ্গুইন কমে যাচ্ছে।’

গত ৩০ বছরে আফ্রিকান পেঙ্গুইন প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে। আফ্রিকান পেঙ্গুইনরা প্রতি বছর পুরনো পালক ফেলে নতুন পালক গজায়, যাতে তাদের শরীরের তাপরোধ ও জলরোধী ক্ষমতা বজায় থাকে। তবে প্রায় ২১ দিনের এই মোল্টিং পর্বে তাদের স্থলে অবস্থান করতে হয় এবং এ প্রক্রিয়ার জন্য আগে থেকেই শরীরে পর্যাপ্ত চর্বির মজুত থাকা জরুরি।

ড. শার্লি বলেন, ‘মোল্টিংয়ের আগে বা পরে যদি পর্যাপ্ত খাদ্য না পায়, তাহলে তারা উপবাসের সময়টায় টিকতে পারে না। আমরা হয়ত অনেক পেঙ্গুইনের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখি না, কারণ তারা সমুদ্রেই মারা যায়।’

গবেষণায় আরও বলা হয়, ২০০৪ সালের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে সার্ডিন মাছের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমে যাচ্ছে। এই সার্ডিনই আফ্রিকান পেঙ্গুইনের প্রধান খাদ্য। উপকূলীয় পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার পরিবর্তনে মাছের ডিম ছাড়া কমে গেছে, কিন্তু মাছ শিকার বেড়েছে।

২০২৪ সালে আফ্রিকান পেঙ্গুইনকে ‘অতিসংকটাপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়, এবং বর্তমানে প্রজননক্ষম জোড়ার সংখ্যা ১০ হাজারেরও কম।

মাত্র তিন বছর বাদে প্রতি বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে সার্ডিন প্রজাতির প্রাচুর্য সর্বোচ্চ মাত্রার মাত্র ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

সমুদ্রের তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার পরিবর্তনে সার্ডিনের ডিম ছাড়ার সাফল্য কমেছে,অতিরিক্ত মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে। ফলে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। সার্ডিন পেঙ্গুইনের প্রধান খাদ্য হওয়ায় তাদের অনাহার বেড়েছে।

পেঙ্গুইন বছরে ২১ দিনের মতো সময় ভূমিতে অবস্থান করে পুরনো পালক ঝরিয়ে নতুন পালক নিয়ে পানিতে নামে। এ সময়ে তারা খেতে পারে না। তাই আগে থেকে শরীরে যথেষ্ট চর্বি জমাতে না পারলে উপবাস অবস্থায় বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না।


লি‌বিয়া থে‌কে ফির‌লেন আরও ৩১০ বাংলাদেশি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশে লিবিয়ায় যাওয়া ৩১০ জন দেশে ফিরেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে তারা ফেরেন।

লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।

ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করে বলে জানা যায়। তাদের অনেকে লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যবসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য সবার সঙ্গে বিনিময় করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পথখরচা, কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এর আগে, সোমবার ১৭৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।


আশ্রয়প্রার্থীদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ কমালো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিদেশি শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ওয়ার্ক পারমিট বা এমপ্লয়মেন্ট অথরাইজেশন ডকুমেন্টস (ইএডি)-এর মেয়াদ হ্রাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগে ইএডির মেয়াদ ছিল ৫ বছর, এখন তা নামিয়ে আনা হয়েছে দেড় বছর বা ১৮ মাসে।

ইএডি একপ্রকার সরকারি নথি, যা সাধারণভাবে ‘ওয়ার্ক পারমিট’ নামে পরিচিত। আগে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকরা ইএডি লাভ করলে তা ৫ বছর পরপর নবায়ন করতে হতো। এখন প্রতি ১৮ মাস অন্তর নবায়ন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) অধীন সংস্থা কাস্টমস অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস (ইউএসসিআইএস) বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শরণার্থী, আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারী, নিজ দেশে ফেরত পাঠানো থেকে বেঁচে যাওয়া অভিবাসীসহ ১৯ ক্যাটাগরির বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের সময়েই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় গেলে অবৈধ অভিবাসী ও অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

সেই অনুযায়ী শপথ গ্রহণের পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তার সেই স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ কমাতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি হলো এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধি করা। এই ভিসার মাধ্যমে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলো কর্মী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে এই ভিসার বাৎসরিক ফি ১ হাজার ৫০০ ডলার থেকে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করে ট্রাম্প প্রশাসন।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান শরণার্থীর গুলিতে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের আধাসামরিক বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য। এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এই ১৯টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনিজুয়েলা এবং ইয়েমেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি)।


ফের বিশ্ববাজারে বাড়ল সোনার দাম

আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে সোনার দাম শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ২২৫ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। তবে সাপ্তাহিক হিসাবে এটি এখনো শূন্য দশমিক ১ শতাংশ নিম্নমুখী। (১ আউন্স= প্রায় ২ দশমিক ৪৩ ভরি)

এদিকে, ফেব্রুয়ারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ২৫৫ দশমিক ৯০ ডলারে পৌঁছেছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা ও যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর জোরালো সম্ভাবনায় সোনার দামে এই বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সভার আগে বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি-সংক্রান্ত তথ্যের জন্য। ডলার সূচক বড় মুদ্রাগুলোর বিপরীতে পাঁচ সপ্তাহের নিম্নমুখী অবস্থানে থাকায় অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য সোনা কেনা তুলনামূলক সাশ্রয়ী হয়েছে।

এফএক্সটিএমের সিনিয়র গবেষণা বিশ্লেষক লুকমান ওতুনুগা বলেন, ফেড আগামী সপ্তাহে সুদের হার কমাতে পারে- এমন বাজার প্রত্যাশা ও ডলারের দুর্বলতা সোনার বাজার উত্থানে সমর্থন দিচ্ছে।

এদিকে দেশের বাজারে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সোনা ভরিতে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা বিক্রি হবে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


বিশ্বের ৩০ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে নোয়েম বলেন, “আমি কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করব না, তবে (ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার) তালিকায় থাকা দেশগুলোর সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রেসিডেন্ট নিজে নিয়মিত এই দেশগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করছেন।”

নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সংখ্যা ট্রাম্প প্রশাসন ৩২-এ উন্নীত করবে কি না। তার জবাবে এই উত্তর দিয়েছেন নোয়েম।

সাক্ষাৎকারে নোয়েম অবশ্য কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, “যদি কোনো দেশ একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে না পারে, যদি কোনো দেশ আমাদের কিংবা অন্য কারো সহায়তা ব্যতীত টিকে থাকতে না পারে— সেক্ষেত্রে সেসব দেশের নাগরিকদের কী কারণে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেবো? আমাদের নাগরিকরাই বা কেন সেসব দেশে যাবে?”

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান শরণার্থীর গুলিতে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের আধাসামরিক বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য। এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এই ১৯টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।


গাজা পুনর্গঠনে ১০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে চীন

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা পুনর্গঠন ও মানবিক সংকট লাঘবের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ১০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে চীন।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিন অথরিটি (পিএ)।

মানবিক সহায়তার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে চিঠি পাঠিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা বলছে, চিঠিতে ফিলিস্তিনের ন্যায্য অধিকার সমর্থন এবং পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরাইলি দখলদারিত্ব কমাতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। বেইজিংয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অনুদানের ঘোষণা দেন শি।

সিনহুয়া জানায়, ফিলিস্তিনি ইস্যুর একটি সর্বসম্মত, ন্যায়সংগত ও টেকসই সমাধান নিশ্চিত ফ্রান্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি। বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের মধ্যেও দুই দেশের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, পারস্পরিক সহায়তা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি অটুট রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে সহ-সভাপতিত্ব করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করার লক্ষ্য সে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


সপ্তাহে তিন দিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা থেকে পাকিস্তানের করাচিতে সপ্তাহে তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খান।
পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, গত বুধবার দেশটির ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বক্তব্যের ফাঁকে দ্য নিউজকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশি দূত।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করছি। আমাদের জাতীয় এয়ারলাইন্স করাচিতে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।’
ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্লাইট পরিচালিত হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, ‘যেমনটা ভারতীয় প্লেন বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে। বিমানের ফ্লাইটও তেমনিভাবে ভারতের ওপর দিয়ে উড়বে।’
জিও টিভি জানিয়েছে, একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, পাকিস্তানের ওপর যেহেতু ভারত তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে, তাই এ মুহূর্তে পাকিস্তানের কোনো বিমান সংস্থার ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার খুব বেশি একটা সম্ভাবনা নেই।

পাকিস্তানের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বক্তব্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, সংযোগ এবং সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সীমিত প্রবেশাধিকার, সীমান্ত-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ এবং আঞ্চলিক রাজনীতি এখনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে, কিন্তু প্রবেশাধিকারর অভাব এ ক্ষেত্রে এখনো সবচেয়ে বড় বাধা হয়েছে।’
আগে রেলপথের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সহজে বাণিজ্য হতো উল্লেখ করে বাংলাদেশি দূত বলেন, ‘এখন পাকিস্তানের খেজুর দুবাই হয়ে আঞ্চলিক বাজারে পৌঁছায়।’


বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে আরব অঞ্চলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে, আরব অঞ্চল ২০২৪ সালে রেকর্ডতম উষ্ণতম বছরের মুখোমুখি হয়েছিল। অঞ্চলটিতে বৈশ্বিক গড়ের দ্বিগুণ হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। চরম আবহাওয়ার কারণে ব্যাঘাত ঘটছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডব্লিউএমওর মহাসচিব সেলেস্তে সাউলো বলেন, ‘২০২৪ সাল আরব অঞ্চলের জন্য রেকর্ডের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ বছর ছিল - দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতার ধারাবাহিকতা। তাপমাত্রা বিশ্বব্যাপী গড়ের দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মানব স্বাস্থ্য, বাস্তুতন্ত্র এবং অর্থনীতি ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না- এটি সামলানো খুব বেশি কষ্ট।’
আরব অঞ্চলের জলবায়ু পরিস্থিতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে উষ্ণায়নের হার ত্বরান্বিত হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ ও তীব্র তাপপ্রবাহ, তীব্র খরা ও ধ্বংসাত্মক বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে।
২০২৪ সালে আরব অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা ১৯৯১-২০২০ সালের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১.০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। একই বছর বেশ কয়েকটি দেশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ছয়টি ব্যর্থ বর্ষা মৌসুমের পর পশ্চিম উত্তর আফ্রিকাজুড়ে খরা আরও গভীর হয়েছে। সৌদি আরব, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ শুষ্ক অঞ্চলগুলোতে চরম বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে আরব অঞ্চলে প্রায় ৩৮ লাখ মানুষ চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। মূলত তাপপ্রবাহ এবং বন্যার কারণে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।


ত্রিমুখী সংকটে জর্জরিত ব্রিটেন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় দেউলিয়া হওয়ার সতর্কবার্তা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা তহবিলে যোগদানের জন্য আলোচনা ব্যর্থ হওয়া এবং একটি নতুন বামপন্থি দলের জন্ম- মূলত এই তিন কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ দিন পার করছে ব্রিটেন।

গত সপ্তাহে ব্রিটেনের ঘটনাবলি এমন একটি চিত্র তুলে ধরে যা দেশটিকে অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। অভূতপূর্ব আর্থিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ইউরোপের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্কে বাধার সম্মুখীন বিদেশি সম্পর্ক এবং বিপ্লবী স্লোগানসহ দেশীয় রাজনৈতিক দৃশ্য একটি নতুন শক্তির উত্থানের সাক্ষ্য বহন করে।

আপাতদৃষ্টিতে এই তিনটি পৃথক ঘটনা প্রমাণ করে জটিল পথ বেছে নিয়েছে লন্ডন।

সম্প্রতি ইউকে অফিস ফর স্টুডেন্টসের (ওএফএস) সরকারি সতর্কতা দেশটির উচ্চশিক্ষা খাতের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যার মধ্যে ২৪টি সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাবদ্ধ।

ওএফএসের প্রধান নির্বাহী যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্স শিক্ষা কমিটিকে পরিস্থিতি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপের ৭টি-সহ প্রায় ২০টি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় গুরুতর আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন।

আর এ আর্থিক সংকটের মূল কারণ হিসেবে বছরের পর বছর ধরে ‘ফি জমে যাওয়া’ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা তীব্র হারে কমে যাওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে তাদের খরচ মেটাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উচ্চ ফির ওপর নির্ভর করেছে এবং এখন বাজেট ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এ নিয়ে অফিস ফর স্টুডেন্টস সতর্ক করে বলেছে, শতকরা ৪৫ ভাগ প্রতিষ্ঠান এ বছর বাজেট ঘাটতির সম্মুখীন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করে, কম পারফর্মিং কোর্স (এমনকি নটিংহ্যামের মতো শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও) কেটে ফেলে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে একীভূত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

জবাবে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ টিউশন ফির ওপর সীমা নির্ধারণসহ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নিরাপত্তা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। ব্রিটেনকে ইইউর এসএএফই নামে পরিচিত ১৫০ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা তহবিলে যোগদানের অনুমতি দেওয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। হুমকির বিরুদ্ধে ইউরোপকে সশস্ত্র করার পরিকল্পনার অংশ এই তহবিল।

আলোচনার ব্যর্থতা মূলত প্রবেশ ফি নিয়ে বিরোধের কারণে। ইউরোপীয় কর্মকর্তারা ৬ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যেখানে লন্ডন অনেক কম অর্থ দিতে ইচ্ছুক ছিল।

ইইউ সেক্রেটারি অব স্টেট নিক থমাস-সাইমন্ডস এই ফলাফলকে ‘হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা শিল্প এখনো ‘তৃতীয় দেশ’ শর্তে প্রকল্পগুলোতে অবদান রাখতে পারে। এই পরাজয় ব্রাসেলসের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘নতুন যুগের’ সূচনা করার লেবার সরকারের দাবির ওপর একটি আঘাত এবং ব্রেক্সিট কৌশলগত সহযোগিতার ওপর ভারি ছায়া ফেলার প্রমাণ।

এমন দৃশ্যপটে ব্রিটেনে প্রাক্তন লেবার নেতা জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে ‘ইওর পার্টি’ নামে একটি নতুন দলের জন্ম হয়েছে। দলটি ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির বামপন্থি বিকল্প হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করে এবং শুরু থেকেই এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিভাজনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

করবিন ঐতিহ্যবাহী বামপন্থিদের ওপর ভিত্তি করে আরও একটি প্রচলিত দল চান। তবে সহপ্রতিষ্ঠাতা জাহরা সুলতানা একটি উগ্র ইহুদিবিরোধী লাইন, ন্যাটো থেকে প্রত্যাহার এবং এমনকি রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির ওপর জোর দেন।

দলটির ৫৫ হাজার সদস্য রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায় ১৯৪০ সাল থেকে এই দলটি ব্রিটেনের বৃহৎ সমাজতান্ত্রিক দলে পরিণত হয়েছে। ডানপন্থি মিডিয়া এটিকে ‘অপ্রাসঙ্গিকতার পথে একটি আন্দোলন’ হিসেবে উপহাস করেছে। দলের জন্ম বামপন্থিদের মধ্যে বিভক্তি এবং স্টারমারের নীতির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে, রাজনৈতিক সমীকরণের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে।

এই তিনটি ঘটনা আজ ব্রিটেনকে এক জটিল মোড়ে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংকট দেশে শিক্ষা এবং গবেষণার মানের ভবিষ্যত নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। ইউরোপীয় আলোচনার ব্যর্থতা ব্রেক্সিট-পরবর্তী সহযোগিতার ব্যবহারিক সীমা উন্মোচিত করে এবং একটি নতুন বামপন্থি দলের উত্থান সমাজের রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দেয়।

এই তিন চ্যালেঞ্জের প্রতি স্টারমার সরকারের প্রতিক্রিয়া দেশের ভবিষ্যত রূপরেখা তৈরি করবে।


মামদানির গ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও নিউইয়র্ক যাওয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

নেতানিয়াহু এবং মামদানি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নির্বাচিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানা মেনে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র জোহরান মামদানি। তবে এই সতর্কতা সত্ত্বেও নিউইয়র্কে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে একটি ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।’

মামদানির সঙ্গে কথা বলবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এ দখলদার বলেন, ‘যদি মামদানি তার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেন এবং বলেন যে ইসরায়েলেরও অস্তিত্বের অধিকার আছে, তাহলে এটি আলোচনা করার জন্য একটি ভালো শুরু হবে।’

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জোহরান মামদানি ঘোষণা দেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই নগরে এলে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে (এনওয়াইপিডি) তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেবেন।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধী এবং তিনি গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে বিমানবন্দরেই আটক করার নির্দেশ দেব।’

আর গত মাসে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ৩৪ বছর বয়সি এই মুসলিম যুবক রীতি মতো ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশিয়ার বংশোদ্ভূত কোন ব্যক্তি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানের নির্দেশ এবং উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের নামে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ-শিশুর হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নেতানিয়াহুকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), যা এখনও কার্যকর আছে।

তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয় এবং নিউইয়র্ক পুলিশের পক্ষে এমন গ্রেফতার কার্যত অসম্ভব। এতে ফেডারেল আইনেরও লঙ্ঘন হতে পারে। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সরাসরি নেতানিয়াহুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে চাইলেও মামদানি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন কি না এ নিয়ে শঙ্কা আছে।

হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছর জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হত্যাকাণ্ডের কারণে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


পুতিন-মোদির বৈঠকে প্রাধান্য পাবে যেসব বিষয়

ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঐতিহাসিক সফরে ভারত আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দু’দিনের সফরে তিনি নয়া দিল্লিতে পা রাখবেন। ২০২১ সালে শেষ ভারতে এসেছিলেন পুতিন। আর এই বছরই রয়েছে ভারত-রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারত্বের ২৫তম বার্ষিকী। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দেশের ২৩তম দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, সফরের শুরুতেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে হবে দুই নেতার ব্যক্তিগত নৈশভোজ। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং পুতিন আঞ্চলিক ও বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফরের সময় পুতিনও তাকে ব্যক্তিগত ডিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তারই প্রতিদান হিসেবে এই কর্মসূচি রাখা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে পুতিনকে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে ত্রিপক্ষীয় গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে। এরপর তিনি রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাবেন। আর তারপরই হায়দরাবাদ হাউসে শুরু হবে ২৩তম ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্টের এই বৈঠকে কোনো বড় ধরনের ঘোষণা বা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, ও জ্বালানিসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় উঠে আসবে বলেই খবর।

সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকে ভারতীয় কর্মীদের রাশিয়ায় কাজের সুযোগ বাড়াতে বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। এছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অংশ হিসেবে লজিস্টিক সাপোর্ট চুক্তিও হতে পারে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা বিশেষ করে ওষুধ, কৃষি, খাদ্যপণ্য ও ভোক্তা সামগ্রী রপ্তানি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে।

তবে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে প্রতিরক্ষা। আরও উন্নত পর্যায়ের ব্রহ্মোস নিয়ে কথা বলতে পারেন তারা। সেই সঙ্গে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০-এর বাকি দুটি ইউনিট সরবরাহের বিষয়ে স্পষ্টতা চাইবে ভারত।

আজ শুক্রবার মধ্যাহ্নভোজের পর পুতিন অংশ নেবেন ইন্ডিয়া–রাশিয়া বিজনেস ফোরামের অনুষ্ঠানে। এখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে আলোচনা হবে। এই পর্যায়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের রাশিয়া থেকে বার্ষিক আমদানি প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার, আর রাশিয়ার ভারতীয় আমদানি মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার, ফলে বড় বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সার খাতে সহযোগিতা বাড়ানোও আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে, কারণ রাশিয়া প্রতি বছর ভারতকে ৩-৪ মিলিয়ন টন সার সরবরাহ করে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুর্মু পুতিনের সম্মানে বিশেষ নৈশভোজ আয়োজন করবেন। একই দিনে তিনি ভারতে রুশ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক নতুন ভারত চ্যানেল উদ্বোধন করবেন। রুশ প্রেসিডেন্টের সফর প্রায় ২৮ ঘণ্টা চলবে। এদিন রাত ৯টায় তার ভারতে সফরের সমাপ্তি ঘটবে।


banner close