সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহর ওপর সতর্ক নজর রাখছে

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৪ ২১:৪৪

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ওপর ভারতীয় নৌবাহিনী সতর্ক নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে আজ রোববার এক প্রতিবেদনে ওই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করার জন্য ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ নেবে বলে বাহিনীটির প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানিয়েছেন। এ সময় গত ১০০ দিনে দেশটির নৌবাহিনীর গৃহীত জলদস্যুতাবিরোধী এবং অন্যান্য সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

অ্যাডমিরাল কুমার বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ নামের একটি জাহাজ হাইজ্যাক করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এখন এটির ওপর সতর্ক নজর রাখছি। মূলত এটিকে এখন জলদস্যুদের জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে (অন্য জাহাজ ছিনতাইয়ের জন্য) নাকি জলদস্যুদের মাদার জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সোমালি জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজগুলোর ওপর আরও ঘনিষ্ঠ নজরদারি করতে চলেছি আমরা।’

এনডিটিভি বলছে, সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে ভারতের নৌবাহিনী জলদস্যুতাবিরোধী, ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী এবং ড্রোনবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে দেশটির নৌবাহিনীর কর্মকর্তার পিপিটি প্রেজেন্টেশনে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘অপারেশন সংকল্প’-এর এসব অভিযানে ১১০ জনের প্রাণ রক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয় এবং ৬৫ জন বিদেশি নাগরিক।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৭টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ ৯০টিরও বেশি সামুদ্রিক ঘটনা ঘটেছে; এ ছাড়া জলদস্যুতা, ছিনতাই বা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডসহ ৩৯টি ঘটনা ঘটেছে।

এর আগের দিন সোমালিয়ার উপকূলে সাম্প্রতিক অভিযানে ধরা পড়া ৩৫ জন জলদস্যুকে নিয়ে আইএনএস কলকাতা মুম্বাই পৌঁছায় বলে নৌবাহিনী জানিয়েছে। এই জলদস্যুদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইন বিশেষ করে মেরিটাইম অ্যান্টি-পাইরেসি অ্যাক্ট, ২০২২-এর অধীনে আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালি জলদস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগ। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার। জাহাজটি ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

৩৫ সোমালি জলদস্যুকে নেওয়া হলো মুম্বাইয়ে

ভারতীয় নৌবাহিনী ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক এই জলদস্যুদের দেশটিতে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে লোহিত সাগরে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা তেমন দেখা না গেলেও সম্প্রতি তা বেড়েছে। এডেন উপসাগর ও উত্তর আরব সাগর অঞ্চলের শক্তিশালী দেশ ভারত। সোমালি উপকূলে ছিনতাইয়ের তিন মাস পর গত সপ্তাহে মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো-জাহাজ রুয়েনকে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই জাহাজের ৩৫ সোমালি জলদস্যু ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সোকোত্রা থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে উত্তর আরব সাগরে মাল্টার ওই জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। ২০১৭ সালের পর সোমালি জলদস্যুদের হাতে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল এটি।

রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় সোমালি জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।

জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চে পৌঁছানোর সেই সময় ভারতের নৌবাহিনী বড় ধরনের হামলায় জড়িত জলদস্যুদের বিচার ও কারাগারে বন্দি করত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী আটককৃত জলদস্যুদের সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

দেশটির নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ে জড়িত জলদস্যুদের বিচারের মাধ্যমে কয়েক বছর পর প্রথমবারের মতো আবারও জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত। দেশটির ‘অ্যান্টি-পাইরেসি ল-২০২২’ অনুযায়ী বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে এই জলদস্যুদের।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এডেন উপসাগর ও উত্তর আরব সাগরে কমপক্ষে এক ডজন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। লোহিত সাগরের পূর্বে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে সহায়তা করছে ভারতের মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজ। ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ওই শিপিং রুটের নিরাপত্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের নৌবাহিনী কাজ করছে।

ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে ভারতের নৌবাহিনী তাদের বিমান ও অন্যান্য জাহাজ থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে অঞ্চলটিকে ‘নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি কার্যক্রমের’ আওতায় রেখেছে।

ভারতের নৌবাহিনীর চিফ অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার লোহিত সাগরে অভিযানের শততম দিনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সোমালি জলদস্যুরা এমভি রুয়েনকে ‘মাদারশিপ’ হিসেবে ব্যবহার করে অন্যান্য জাহাজে আক্রমণ করত। নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা গত ১৫ মার্চ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার ও জলদস্যুদের আটক করেছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যুতাবিরোধী অভিযানে ২১টি জাহাজ মোতায়েন রেখেছে। এই অভিযানে নৌবাহিনীর ৫ হাজার সদস্য অংশ নিয়েছেন। তারা সাগরে চলাচলরত ১ হাজারের বেশি জাহাজে তল্লাশি চালিয়েছেন। এক বিবৃতিতে দেশটির নৌবাহিনী বলেছে, তারা জলদস্যুদের হামলার অন্তত ১৮টি ঘটনায় সাড়া দিয়েছে। গত কয়েক দিনে নজিরবিহীনভাবে ভারতীয় নৌবাহিনী এক ডজনের বেশি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে।

আর হরিকুমার বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল করার জন্য আমরাই প্রথম সাড়াদানকারী এবং আমরা পছন্দের নিরাপত্তা অংশীদার হওয়ার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সক্ষম।’

ভারতের নৌবাহিনী বলেছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৭টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ ৯০টির বেশি সামুদ্রিক ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া জলদস্যুতা, ছিনতাই বা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডসহ ৩৯টি ঘটনা ঘটেছে।


যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। শহরের পূর্বাঞ্চলীয় হ্যাজেলউড এলাকার জেনার ও কিলহপার স্ট্রিটের হান্ড্রেড ব্লকে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং রেডিওর মাধ্যমে নাম ও পরিচয়হীন দুজন ব্যক্তির খুন হওয়ার কথা জানান দেয়। এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য জানাতে ৭১৬-৮৪৭-২২৫-এই নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর সোমবার নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।

এদিকে বাংলাদেশি অভিবাসীরা ওই দুজনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। বাবুল উদ্দিন ৮ মাস আগে ভার্জিনিয়া থেকে বাফেলোতে আসেন। ইউসুফ মিয়া আসেন চার মাস আগে সিলেট থেকে। দুপুরের পর থেকে খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশিরা তাদের বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোক এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ বলেছেন, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার পর পর জেনার স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে গুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের সোয়াত টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অনলাইন পোর্টাল বাফেলোনিউজের খবরে বলা হয়, বিকাল ৪টার দিকেও ১৪৮ জেনার স্ট্রিটের আঙিনায় গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনা জড়িত কে বা তারা তাদের বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ। এখনো কাউকে ধরতেও পারেনি।

সিটি অব বাফেলোর এশিয়ান অ্যাডভাইজার শাহী চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বাফেলো শহরে দুই বাংলাদেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সিলেটের ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবু। এ ঘটনার পর বাফেলো শহরে হাজারো বাংলাদেশির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছর বয়সি বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। ২৭ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের ওজন পার্কে নিজ বাসা থেকে পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চান উইন রোজারিও। নিহতের বাবার দাবি, ফোন পেয়ে পুলিশ তাদের বাসায় গিয়ে মায়ের সামনেই ছেলেকে ছয় রাউন্ড গুলি করে। পরে উইন রোজারিওর মানসিক সমস্যার কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এমন একজনকে কেন গুলি করে মারতে হলো এমন প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় কমিউনিটিতে। যদিও পুলিশের দাবি, উইন কাঁচি নিয়ে তাদের মারতে উদ্যত হয়েছিল।


হঠাৎ চীন সফরে ইলন মাস্ক

ইলন মাস্ক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক হঠাৎ করেই চীন সফরে গেছেন। আজ রোববার একটি ব্যক্তিগত বিমানে একপ্রকার আকস্মিকভাবেই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি। ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর ইলন মাস্কের চীন সফরের তথ্য এল।

১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে এক্স বার্তায় ইলন বলেন, টেসলায় পাহাড় সমান কাজ জমে যাওয়ায় দুর্ভাগ্যবশত ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারত সফরের জন্য মুখিয়ে আছি।

চীনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার চালকহীন প্রযুক্তির (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনের সংগৃহীত উপাত্ত স্থানান্তরের অনুমতি নিয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ইলন মাস্ক।

এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, শিগগিরই চীনা ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডি সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।

মার্কিন এই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চার বছর আগে অটোপাইলট সফ্টওয়্যারের সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ এফএসডি বাজারে আনে। চীনা গ্রাহকরা এটা চালু করার বিষয়ে অনুরোধ জানালেও টেসলা এখনো তা করতে পারেনি। আর সে বিষয়ে আলোচনা করার জন্যই এত তড়িঘড়ি করে বেইজিংয়ে উড়ে গেছেন ইলন মাস্ক।

এদিকে, ইলন মাস্কের ভারত সফর পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে ভারতে শুরু হয় রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, মাস্ক নিজেও দেয়ালের লিখন পড়ে ফেলেছেন। আসলে টেসলা কর্তা অত দূর থেকে আসবেন। এসে একজন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেটা খুব খারাপ দেখাতো। কংগ্রেসের আরেক নেতার কথায়, মোদির হার নিশ্চিত জেনেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়ালেন মার্কিন শিল্পপতি।


বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। দেশটির ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয় শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি ও আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে নিম্ন খরিপ ও রবি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদনকারীরাই পেঁয়াজ সরবরাহ করবেন এবং এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আসবে বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে।

উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত ১ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১২০ টাকা। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৫ টাকা। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে ৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার ও পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত সরকার। গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত।


যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে

৫৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিগত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি তথা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যসহ দেশটির বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ এখন তুঙ্গে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতার পক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিক্ষোভে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের দাবি, যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে বিনিয়োগ করছে এবং গাজা যুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের কার্যক্রম যেন বন্ধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিতে রাজি কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত সপ্তাহে প্রায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হার্ভার্ড, কলম্বিয়া, ইয়েল, ইউসি বার্কলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিক্ষোভগুলো প্রায়শই অনুমোদন ছাড়াই এবং তা প্রতিরোধ করতে পুলিশ ডাকা হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকদের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারীরা আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টেজার এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। কর্মীরা বলছেন, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা সজ্জা পরিহিত এবং ঘোড়ার পিঠে চড়ে থাকা অফিসাররা টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ভণ্ডুল করেছে।

বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ হয়েছে জর্জিয়ার আটলান্টায় অবস্থিত অ্যামোরি ইউনিভার্সিটিতে। সেদিন পুলিশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীর ওপর চড়াও হয়ে গ্রেপ্তার করে। এমনকি এক নারী অধ্যাপককেও গায়ের জোরে মাটিতে ঠেসে ধরে হাতকড়া পরায় তারা।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রচার করেছে। ভিডিওটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যামোরি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলাইন ফোলিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কথা বলতে গেলে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা তার ওপর চড়াও হয় এবং চোখের পলকেই তাকে মাটিতে শুইয়ে ফেলে।

ভিডিও থেকে আরও দেখা গেছে, একপর্যায়ে অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা এসে অধ্যাপক ফোলিনকে চেপে ধরে তার বুকের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাতটি বের করে এনে দুই হাতই পিছমোড়া করে এবং হাতকড়া পরিয়ে দেয়।

সিএনএনের শেয়ার করা ভিডিও থেকে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে অ্যামোরি ইউনিভার্সিটির আটলান্টা ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। এ সময় পুলিশ সেখানে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর সবাই মিলে চিৎকার দিয়ে ওঠে।

একপর্যায়ে ফোলিনকে যখন মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরাতে থাকে পুলিশ, তখন একদল প্রতিবাদকারী তাদের ঘিরে ফেলে এবং পুলিশকে গালি দিতে শুরু করে। এক বিক্ষোভকারী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, তোরা হিটলার! তোরা পাগলা কুকুর! তোরা ফ্যাসিস্ট! তোদের লজ্জা নেই।

তিনি পুলিশ সদস্যদের ওই শিক্ষার্থীকে ‘ছেড়ে দিতে’ বলতে থাকলে পাশ থেকে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে ল্যাং দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন, আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা এতে যোগ দিয়ে ফলিনকে মাটিতে ঠেসে ধরতে সহকর্মীকে সাহায্য করেন। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা অধ্যাপক ফলিনের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলেন। এ সময় ফলিন বারবার বলছিলেন, ‘আমি একজন অধ্যাপক।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থি এই প্রতিবাদ প্রথমে শুরু হয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, আর তা এখনো শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে আছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস, বোস্টন ও টেক্সাসের অস্টিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই শতাধিক প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে আবার প্রতিবাদ শুরু করে।


তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল দক্ষিণ এশিয়া

দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: বিবিসি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের তাপমাত্রা বিগত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে কি না সেই শঙ্কা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব বিশ্বের যে যে অংশে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছে এশিয়াও। চলতি বছরে ইতোমধ্যে এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একই রকম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও।

হাঁসফাঁস করা এই পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি।

ভারত

গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার বারিপদাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ করা গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের তাপ মাপন কেন্দ্রে ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক সপ্তাহে। পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। বাঁকুড়াও রয়েছে ওই তালিকায়। পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে আগামী তিন দিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে। হরিয়ানায়ও তাপমাত্রা দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব-উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তরের সূত্রে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশেই। চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসে যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গত এক সপ্তাহে এই অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ করা গেছে। ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে। চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ: রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২.৭।

পাকিস্তান

এই বছর পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধু প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লাহোরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। উষ্ণতম শহরের তালিকায় বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অন্যদিকে করাচিতে চলতি মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে করাচির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপ

চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি। মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কা

চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোয় এ সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে, তা হলো ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ত্রিঙ্কোমালি শহরেও সর্বাধিক তাপমাত্রা চ্ছিল ৩৫ ডিগ্রি।

নেপাল

চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অন্যদিকে নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

বিষয়:

ভারতের মণিপুরে দুই সিআরপিএফ সদস্য নিহত

ভারতের মণিপুরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এনডিটিভি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় এক হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়, যেটি জঙ্গিরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবর বলে, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের একটি দল নারানসেইনা গ্রামের পাহাড়ি অংশ থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে সিআরপিএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে সিআরপিএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাহিনীর চার সদস্য।

এ চারজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রাণ হারানো দুই সিআরপিএফ সদস্য ১২৮ ব্যাটালিয়নের হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাদের কর্মস্থল ছিল নারানসেইনা এলাকায়। এ দুজন হলেন উপপরিদর্শক এন সরকার ও প্রধান কনস্টেবল অরূপ সাইনি।

আহত দুজন হলেন পরিদর্শক যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস।

হামলাকারীরা গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে হামলা শুরু করে বলে খবর পাওয়া যায়, যেটি চলে রাত সোয়া দুইটা পর্যন্ত।


গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।

লিঙ্কডইন পোস্টে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। এই সংস্থাটি আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন তিনি।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই ভাবে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ।


দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে কম সহিংসতার খবর মেলেনি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভারতের লোকসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে । দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৯টি আসনে ভোট হয়েছে গতকাল শুক্রবার। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন কেন্দ্রে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ জুন ভোটের গণনা ও ফলঘোষণা হবে। এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভোটারের উপস্থিতি অনেক কম ছিল। এই প্রতিবেদ লেখা পর্যন্ত সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি ।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনসহ (কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার) দেশের মোট ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

তবে ভোটের মাঠে প্রতিবন্ধকতা এখন তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশটির প্রায় বেশিরভাগ জায়গাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অত্যাধিক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই গরম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনও। অত্যাধিক গরমের কারণে তিন ভোটার এবং এক জন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে।

ভোটদানে অনীহা গ্রামবাসীর

উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী গ্রামে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হয়েছে। ওই গ্রামে ৭৫ জন ভোটার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষি কাজে ব্যস্ত।

ভোটারের খরা

ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের চেয়েও দ্বিতীয় ধাপে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। একটি পরিসংখ্যান বলছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ভোটারের বিপরীতে কাস্ট হওয়া ভোটের সংখ্যা ছিল কম। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটি অনেক কম।

এ বিষয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১ হাজার ২০০ এরও বেশি প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিকাল ৫টায় ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মণিপুর, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড করা হলেও উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২.৬, ৫৩ এবং ৫৩.৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- শুক্রবার কেরালার ২০টি আসন, কর্ণাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪ টি, রাজস্থানে ১৩ টি, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে ৮ টি, মধ্যপ্রদেশে ৭ টি, আসাম ও বিহারে ৫ টি, ছত্তিশগড় এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩টি এবং মণিপুর, ত্রিপুরা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি করে আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লড়াই করেছেন ভারতের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, বিজেপির তেজস্বী সূর্য, হেমা মালিনী এবং অরুণ গোভিল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও শশী থারুর, কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ এবং কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী অন্যতম।

ত্রিপুরাতে ভোটদানের হার ৫৪.৫ শতাংশ

১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হারে এগিয়ে ত্রিপুরা। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যেই। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ত্রিপুরাতে ভোটদানের হার ৫৪.৫ শতাংশ। সামান্য পিছিয়ে মণিপুর। আউটার মণিপুরের কয়েকটি জায়গায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেখানে ভোট পড়েছে ৫৪.৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রে (৩১.৮ শতাংশ)। সারা দেশে ভোট পড়েছে ৩৯.১ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, সাতটি ধাপের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। শেষ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন। ৪ জুন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে।


এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে ওমরাহ করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারাবিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য ওমরাহ পালনের পথ আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এখন থেকে যেকোনো দেশের যেকোনো ধরনের ভিসাধারী ব্যক্তি সহজে পবিত্র ওমরাহ পালন করার অনুমতি পাবেন। ওমরাহসংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করায় মুসলমানদের ওমরাহ করার সুযোগ আরও বাড়ল বলে মনে করে দেশটি।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ‘যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিরা সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।’

মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিয়ে বলেছে- ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম, ই-ভিসাসহ সব ধরনের ভিসাধারীই ওমরাহ পালনের জন্য নতুন এ সুবিধা পাবেন।

সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক না কেন, আপনি ওমরাহ পালন করতে পারবেন।’

ওমরাহর অনুমতি পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং ইসলামের পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে আচার অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

যেসব মুসলিম ওমরাহ পালন এবং ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মদিনা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থাসহ নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

গত কয়েক মাসে ওমরাহ পালনের জন্য বিদেশি মুসল্লিদের আসতে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সৌদি আরব।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের ওমরাহ পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

সম্প্রতি সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা; স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটি দিয়ে আসা মুসল্লিদের সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা।

এ ছাড়া গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রবাসীরা এবং শেনজেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভিসাধারীরা এখন সৌদি আরবে যাওয়ার আগেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ পালনের অনুমতি নিতে পারবেন।


ট্রাম্প ইস্যুতে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না এবং এমন সুযোগ থাকলে তার অর্থ আসলে কী দাঁড়ায়, এ বিষয়ে পর্যালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। এর জবাবই নির্ধারণ করবে ২০২০ সালের নির্বাচকে নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না। তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক, প্রত্যেক বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটিই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী দিনের গণতন্ত্রের নতুন রূপ দেবে।

এ বিষয়ে আদালতের নির্ধারিত যুক্তিতর্কের এক দিন পর বিশেষ সেশনে মামলাটির শুনানি হয়েছে। এর ভিত্তি ছিল মূলত ট্রাম্পের এই দাবি যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তব্যরত থাকার সময় তিনি যেকোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। ট্রাম্পের মতে এই দায়মুক্তিই হবে স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ।

এই দায়মুক্তি বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত তার বিচার স্থগিত থাকবে। জুনে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিচারকরা যে প্রশ্ন তুলেছেন তা তাদের মধ্যে বিভক্তির একটি ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্তই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বিভক্তির জেরে আরও জটিল সিদ্ধান্তও আসতে পারে, যা পুনরায় বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে। একটি পূর্ণ দায়মুক্তির অর্থ কি এই দাঁড়াবে যে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও মেরে ফেলতে পারেন?

কিংবা এই দায়মুক্তি না থাকলে প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হবেন বা জেলে যাবেন? রক্ষণশীলরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের কিছুটা দায়মুক্তি থাকা উচিত। তবুও বিচারকরা এ মামলায় ট্রাম্পের আইনজীবী ডিন জন সাউয়ের যুক্তিতর্ক নিয়ে সতর্ক, যেখানে তিনি বলেছেন, একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচার প্রক্রিয়া থেকে ‘প্রায় সুরক্ষিত’। সাউয়েরকে এই সুরক্ষার বিষয়টি ধরে ৯ জন বিচারক জেরা করেছেন।

প্রেসিডেন্ট যদি সামরিক বাহিনীকে অভ্যুত্থান ঘটাতে বলে তাহলে কী হবে, তিন উদারপন্থি বিচারকের একজন এলেনা কাগান এই প্রশ্নটি করেছেন। সাউয়েরকে বেশ দ্বিধান্বিত দেখা গেছে এর উত্তর দিতে গিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে’। বিচারপতি কাগান প্রত্যুত্তরে বলেছেন, ‘এটি খুব একটা ভালো শোনাচ্ছে না, তাই নয় কি?

পরে আরেকজন উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসনও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্টরা পুরো ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে তারা তো আইন নাও মানতে পারেন। রক্ষণশীল বিচারকরাও সাউয়েরকে চাপ দেন যে- প্রেসিডেন্টের কাজ এবং ব্যক্তিগত কাজের অংশ হিসেবে করা ‘অফিশিয়াল অ্যাক্ট বা সরকারি কাজ’ বলতে কী বোঝায়। আমার প্রশ্ন হলো দায়মুক্তির যে বিশাল আওতার কথা আপনি বলছেন সেটা প্রয়োজনীয় কি না, আদালতের অন্যতম রক্ষণশীল বিচারক স্যামুয়েল আলিতো জানতে চান। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধি মাইকেল দ্রিবেনও একই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। কারণ বিচারকরা এটিও চিন্তা করেছেন যে কিছুটা সুরক্ষা না থাকলে মেয়াদ শেষ করা প্রেসিডেন্টের কী অবস্থা হবে।

বিদেশের মাটিতে সহিংস হামলার নির্দেশ যদি কোনো প্রেসিডেন্ট দেন, তাহলে কী হবে, পরে কী তার বিচার করা যাবে- বিচারপতি ক্লেয়ারেন্স থমাস জানতে চান। দ্রিবেন জানান, নিজের কাজের জন্য ফৌজদারি দায় থেকে সুরক্ষা পাওয়ার কয়েকটি স্তর কার্যকর আছে, যার আওতায় বিদেশের মাটিতে সংঘটিত কার্যক্রমও রয়েছে। বিচারক আলিতো আরেকটি সম্ভাব্য পরিণাম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, প্রেসিডেন্ট দলীয় হামলারও শিকার হতে পারেন, তার উত্তরসূরি দ্বারা কিংবা মেয়াদ শেষে অফিস ছাড়ার পর।

বিচারপতি আলিতো বলেন, এটা প্রেসিডেন্সিকেও ধ্বংস করতে পারে, যিনি শুনানির দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান ভূমিকা রাখেন। বিচারপতি এমি কোনে ব্যারেটকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাকে কিছুটা সন্দেহগ্রস্ত মনে হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট পূর্ণ দায়মুক্তি পাওয়ার অধিকারী কি না তা নিয়ে।

দ্রিবেন বলেন, প্রেসিডেন্টের দোষ-ত্রুটি মোকাবেলায় ‘এখানে সম্পূর্ণ প্রশ্নমুক্ত কোনো পদ্ধতি নেই’। জাস্টিস ব্যারেট বলেছেন এ বিষয়ে তিনিও একমত।


বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।

তিনি বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে। কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ। সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।’

এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়েও কথা বলেন। এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস


ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ আগামীকাল

মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ
ভারতের লোকসভা ভোটের একটি কেন্দ্র। ছবি: আল-জাজিরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার। এরই মধ্যে বুধবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচারাভিযান শেষ হয়েছে। এই ধাপে পশ্চিমবঙ্গসহ ১২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৯টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মণিপুরের ২০টি, কেরালার ২০টি, কর্ণাটকের ১৪টি, রাজস্থানের ১৩টি, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ৮টি করে, মধ্যপ্রদেশের ৭টি, আসাম ও বিহারের ৫টি করে, পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ে ৩টি করে এবং ত্রিপুরা ও জম্মু-কাশ্মীরের ১টি করে আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে।

দ্বিতীয় ধাপে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে আজ। সেগুলো হলো—দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ। এই ধাপে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ হাজার ২৯৮টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোতায়েন করা হবে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে থাকবে ১২ হাজার ৯৮৩ জন রাজ্য পুলিশ।

দার্জিলিংয়ে ৭৩৯টি স্পর্শকাতর বুথ আছে। সেখানে ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। রায়গঞ্জে আছে ২১০টি স্পর্শকাতর বুথ। সেখানে ১১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। বালুরঘাটে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৯২টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ৭৩ কোম্পানি।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরের লোকসভা কেন্দ্র আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই ধাপে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৯ এপ্রিল প্রথম ধাপে ওই লোকসভা কেন্দ্রের একাংশে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। বাকি অংশে ভোট হবে আজ। দ্বিতীয় ধাপে মধ্যপ্রদেশের আটটি লোকসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানকার বেতুল কেন্দ্রে তৃতীয় ধাপে, অর্থাৎ ৭ মে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আগামীকালের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১২০৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

এই দ্বিতীয় ধাপের ভোটে সারা দেশের হেভিওয়েট প্রার্থীদের কয়েকজন—কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, লোকসভার স্পিকার তথা বিজেপি প্রার্থী ওম বিড়লা লড়ছেন।

মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি আরচণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন-ইসি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসি জানিয়েছে, এ বিষয়ে নোটিশ দিয়ে দুই নেতার প্রতিক্রিয়া বা জবাব চাওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুই নেতার দল থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশও জানানো হয়। এরপরই তাদেরকে সতর্ক করে নোটিশ পাঠায় কমিশন। এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে চিঠি পাঠিয়ে জবাব চেয়েছে ইসি। আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে সেই জবাব দিতে হবে।

সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই গত রবিবার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় জনসমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস তার ইশতেহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।

পরদিন সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয় কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি। ইসির কাছে অভিযোগ করে তারা। আর রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।


জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জলবায়ু এবং আবহাওয়ার ঝুঁকির কারণে ২০২৩ সালে এশিয়া ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-কবলিত অঞ্চল। এতে হতাহত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল বন্যা এবং ঝড়। মঙ্গলবার জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বলেছে, এশিয়া বিশেষ করে দ্রুত গতিতে উষ্ণ হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এশিয়ায় তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও গুরুতর হয়ে উঠছে এবং হিমবাহগুলো গলে যাওয়ায় এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ পানি সুরক্ষা হুমকির মুখোমুখি।

ডব্লিউএমও বলেছে, এশিয়া বিশ্বব্যাপী গড়ের চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। গত বছর তাপমাত্রা ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালের গড় থেকে প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাওলো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রিপোর্টের উপসংহারগুলো খুবই মর্মান্তিক।’

‘খরা এবং তাপপ্রবাহ থেকে বন্যা ও ঝড় এবং চরম বৈরী পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের অনেক দেশ ২০২৩ সালে তাদের রেকর্ডে উষ্ণতম বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।’

‘জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরনের ইভেন্টের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে, যা সমাজ, অর্থনীতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানব জীবন এবং আমরা যে পরিবেশে বাস করি তা গভীরভাবে প্রভাবিত করছে।’

‘দ্য স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া-২০২৩’ রিপোর্টে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, হিমবাহের গলন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো মূল জলবায়ু পরিবর্তনের সূচকগুলোর ত্বরান্বিত হারকে হাইলাইট করে বলেছে- এগুলো এই অঞ্চলের সমাজ, অর্থনীতি এবং বাস্তুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

ডব্লিউএমও বলেছে, ‘এশিয়া ২০২৩ সালে আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি-সম্পর্কিত বিপদ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।’

২০২৩ সালে এশিয়ায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বাতাসের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা রেকর্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল, যা ১৯৯১-২০২০ গড় থেকে ০.৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াাস এবং ১৯৬১-১৯৯০ গড় থেকে ১.৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

বিশেষ করে পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত উচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাপানের গ্রীষ্মের রেকর্ডে এটি উষ্ণতম।

বৃষ্টিপাতের জন্য হিমালয় এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় এটি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম চীন খরায় ভুগছে। বছরের প্রায় প্রতি মাসেই স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়।

তিব্বত মালভূমিকে কেন্দ্র করে হাই-মাউন্টেন এশিয়া অঞ্চলে মেরু অঞ্চলের বাইরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বরফ রয়েছে।

গত কয়েক দশক ধরে এই হিমবাহগুলোর অধিকাংশই ত্বরান্বিত হারে গলে যাচ্ছে- এ কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএমও বলেছে। এই অঞ্চলের ২২টি নিরীক্ষণ করা হিমবাহের মধ্যে ২০টি গত বছর ক্রমাগত ব্যাপক হারে বরফ গলন দেখা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা রেকর্ডে সর্বোচ্চ ছিল।

গত বছর, এশিয়ায় পানি-সম্পর্কিত আবহাওয়ার ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত ৭৯টি দুর্যোগের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি বন্যা এবং ঝড়, ২,০০০-এরও বেশি মানুষের প্রাণহানি এবং ৯ মিলিয়ন মানুষ এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডব্লিউএমও বলেছে, ‘২০২৩ সালে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে রিপোর্টকৃত ঘটনাগুলোর মধ্যে বন্যা ছিল মৃত্যুর প্রধান কারণ’। প্রাকৃতিক বিপজ্জনক ঘটনাগুলোর জন্য এশিয়ার উচ্চ স্তরের ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে।

হংকংয়ে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এক ঘণ্টায় ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, যা ১৮৮৪ সালে টাইফুনের ফলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি।

ডব্লিউএমও বলেছে, দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জন্য উপযোগী তথ্য উন্নত করার জন্য এ অঞ্চলজুড়ে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার জরুরি প্রয়োজন।


banner close