মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহর ওপর সতর্ক নজর রাখছে

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৪ ২১:৪৪

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ওপর ভারতীয় নৌবাহিনী সতর্ক নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে আজ রোববার এক প্রতিবেদনে ওই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করার জন্য ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ নেবে বলে বাহিনীটির প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানিয়েছেন। এ সময় গত ১০০ দিনে দেশটির নৌবাহিনীর গৃহীত জলদস্যুতাবিরোধী এবং অন্যান্য সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

অ্যাডমিরাল কুমার বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ নামের একটি জাহাজ হাইজ্যাক করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এখন এটির ওপর সতর্ক নজর রাখছি। মূলত এটিকে এখন জলদস্যুদের জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে (অন্য জাহাজ ছিনতাইয়ের জন্য) নাকি জলদস্যুদের মাদার জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সোমালি জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজগুলোর ওপর আরও ঘনিষ্ঠ নজরদারি করতে চলেছি আমরা।’

এনডিটিভি বলছে, সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে ভারতের নৌবাহিনী জলদস্যুতাবিরোধী, ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী এবং ড্রোনবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে দেশটির নৌবাহিনীর কর্মকর্তার পিপিটি প্রেজেন্টেশনে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘অপারেশন সংকল্প’-এর এসব অভিযানে ১১০ জনের প্রাণ রক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয় এবং ৬৫ জন বিদেশি নাগরিক।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৭টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ ৯০টিরও বেশি সামুদ্রিক ঘটনা ঘটেছে; এ ছাড়া জলদস্যুতা, ছিনতাই বা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডসহ ৩৯টি ঘটনা ঘটেছে।

এর আগের দিন সোমালিয়ার উপকূলে সাম্প্রতিক অভিযানে ধরা পড়া ৩৫ জন জলদস্যুকে নিয়ে আইএনএস কলকাতা মুম্বাই পৌঁছায় বলে নৌবাহিনী জানিয়েছে। এই জলদস্যুদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইন বিশেষ করে মেরিটাইম অ্যান্টি-পাইরেসি অ্যাক্ট, ২০২২-এর অধীনে আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালি জলদস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগ। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার। জাহাজটি ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

৩৫ সোমালি জলদস্যুকে নেওয়া হলো মুম্বাইয়ে

ভারতীয় নৌবাহিনী ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক এই জলদস্যুদের দেশটিতে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে লোহিত সাগরে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা তেমন দেখা না গেলেও সম্প্রতি তা বেড়েছে। এডেন উপসাগর ও উত্তর আরব সাগর অঞ্চলের শক্তিশালী দেশ ভারত। সোমালি উপকূলে ছিনতাইয়ের তিন মাস পর গত সপ্তাহে মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো-জাহাজ রুয়েনকে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই জাহাজের ৩৫ সোমালি জলদস্যু ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সোকোত্রা থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে উত্তর আরব সাগরে মাল্টার ওই জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। ২০১৭ সালের পর সোমালি জলদস্যুদের হাতে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল এটি।

রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় সোমালি জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।

জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চে পৌঁছানোর সেই সময় ভারতের নৌবাহিনী বড় ধরনের হামলায় জড়িত জলদস্যুদের বিচার ও কারাগারে বন্দি করত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী আটককৃত জলদস্যুদের সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

দেশটির নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ে জড়িত জলদস্যুদের বিচারের মাধ্যমে কয়েক বছর পর প্রথমবারের মতো আবারও জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত। দেশটির ‘অ্যান্টি-পাইরেসি ল-২০২২’ অনুযায়ী বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে এই জলদস্যুদের।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এডেন উপসাগর ও উত্তর আরব সাগরে কমপক্ষে এক ডজন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। লোহিত সাগরের পূর্বে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে সহায়তা করছে ভারতের মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজ। ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ওই শিপিং রুটের নিরাপত্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের নৌবাহিনী কাজ করছে।

ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে ভারতের নৌবাহিনী তাদের বিমান ও অন্যান্য জাহাজ থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে অঞ্চলটিকে ‘নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি কার্যক্রমের’ আওতায় রেখেছে।

ভারতের নৌবাহিনীর চিফ অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার লোহিত সাগরে অভিযানের শততম দিনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সোমালি জলদস্যুরা এমভি রুয়েনকে ‘মাদারশিপ’ হিসেবে ব্যবহার করে অন্যান্য জাহাজে আক্রমণ করত। নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা গত ১৫ মার্চ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার ও জলদস্যুদের আটক করেছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যুতাবিরোধী অভিযানে ২১টি জাহাজ মোতায়েন রেখেছে। এই অভিযানে নৌবাহিনীর ৫ হাজার সদস্য অংশ নিয়েছেন। তারা সাগরে চলাচলরত ১ হাজারের বেশি জাহাজে তল্লাশি চালিয়েছেন। এক বিবৃতিতে দেশটির নৌবাহিনী বলেছে, তারা জলদস্যুদের হামলার অন্তত ১৮টি ঘটনায় সাড়া দিয়েছে। গত কয়েক দিনে নজিরবিহীনভাবে ভারতীয় নৌবাহিনী এক ডজনের বেশি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে।

আর হরিকুমার বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল করার জন্য আমরাই প্রথম সাড়াদানকারী এবং আমরা পছন্দের নিরাপত্তা অংশীদার হওয়ার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সক্ষম।’

ভারতের নৌবাহিনী বলেছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৭টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ ৯০টির বেশি সামুদ্রিক ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া জলদস্যুতা, ছিনতাই বা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডসহ ৩৯টি ঘটনা ঘটেছে।


ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২০:৫০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দশ বছরের জন্য তেহরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনা করতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতকে নিষেধাজ্ঞার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনার আগে যেকোনো দেশেরই সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ এমন ঘটনা ওইসব দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পথকে প্রশস্ত করে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র নীতি ও ইরানের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তবে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। ফলে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করলে এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ ওয়াশিংটনের এ হুঁশিয়ারির পর ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়নকাজের জন্য ২০১৬ সালে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে সম্মত হয় ভারত। বন্দরটির উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য সোমবার ইরানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিটি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে দিল্লি।

ভারতের নৌপরিবহনমন্ত্রী এই চুক্তিকে ভারত-ইরান সম্পর্কের একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ভারতের এই পদক্ষেপ ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। গত তিন বছরে ইরান সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার ওপর ৬০০টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রথম চাবাহার বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ভারত। পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশে পণ্য পরিবহন ও সরবরাহে বন্দরটি ভারতের জন্য একটি ট্রানজিট রুট হিসেবে কাজ করে।

গতকাল সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্দরটির উন্নয়নের জন্য ভারতের ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন দীর্ঘমেয়াদী একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ইরানের নগর ও সড়ক উন্নয়নমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজরপাশ বলেছেন, চুক্তি মোতাবেক আইপিজিএল এই প্রকল্পে ১২০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করবে। এই চুক্তিটি ইরানের সঙ্গে আরও বড় বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

গত মাসে পাকিস্তানকেও একই রকমের নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিষয়:

ভারত থেকে অস্ত্র কিনল রাশিয়া

আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ২১:২৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত থেকে গত ৬-৮ মাসে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনেছে রাশিয়া। আর এই সমরাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে রাশিয়া ভারতকে দেশটির নিজস্ব মুদ্রা রুপিতে মূল্য পরিশোধ করেছে। একটি রুশ কোম্পানি তাদের ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হলো একটি দেশের ব্যাংকের অন্য কোনো একটি দেশের অন্য কোনো একটি ব্যাংকে থাকা অ্যাকাউন্ট। রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি মূলত এই ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব সমরাস্ত্র ও সরঞ্জামের মূল্য রুপিতে পরিশোধ করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার জন্য স্থানীয় ঋণদাতাদের পাশাপাশি যে ২২ দেশকে ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রাশিয়া একটি।

মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সংস্থাগুলো ভারতে বিনিয়োগের সুযোগ না পাওয়ায় তাদের ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রুপি জমা হয়। যেখান থেকে গত আট মাসে তারা এর অর্ধেক ব্যবহার করে ভারতীয় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনে। এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে স্থানীয় মুদ্রায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) বিশ্বের ২২টি দেশের ২০টি ব্যাংকে ৯২টি এসআরভিএ অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়। এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ জানান, গত বছর ১৫ জুলাই ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ফলে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তাদের নিজ নিজ দেশের মুদ্রায় পণ্য ও অর্থ আদান–প্রদান করতে পারবে। যার ফলে, দেশগুলোর মধ্যে বাজার বিকাশের পথ আরও প্রশস্ত হবে।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক মন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, ভারতের রপ্তানি গত পাঁচ বছরে ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ সালে ভারতের বৈদেশিক রপ্তানির পরিমাণ যেখানে ছিল ৩৩০ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার ২০২২-২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪৫০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

বিষয়:

আল আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালাল ইসরায়েলিরা

আল আকসা মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আল আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। এই মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ মঙ্গলবার মসজিদে কয়েক ডজন ইসরায়েলি ঢুকে পড়ে। এ সময় সেখানে এক ব্যক্তি ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক ডজন ইসরায়েলি নাগরিক আল আকসা প্রাঙ্গণে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় সেখানে এক উগ্রবাদী ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, আল আকসা প্রাঙ্গণে এক ইহুদি ব্যক্তি ইসরায়েলের পতাকা বের করে মেলে ধরলে সেখানে ইসরায়েলি পুলিশের কয়েকজন সদস্য তার সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পতাকা প্রদর্শন করে তা গুটিয়ে নেয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণের একদিকে চলে যায়।

ইসরায়েলের এ পতাকাটি পবিত্র স্থানটির সঙ্গে ইহুদিদের সংযোগ বাড়াতে বেয়াদেনু র‌্যালির পর প্রদর্শন করা হয়েছে। বেয়াদেনু ইহুদির একটি গোষ্ঠী যারা আল আকসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলনের জন্য তারা ১৪ মে এ র‌্যালির আয়োজন করে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা এ দিবসকে নাকাবা বা মহাবিপর্যয়ের দিন হিসেবে স্মরণ করে থাকেন। এ দিনের ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আল আকসা কম্পাউন্ডে ইসরায়েলিদের তাণ্ডব নিয়মিত ঘটনা। যদিও ইহুদি ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী পবিত্রতার ধারণার কারণে আল আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জুমার নামাজেও বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের বাধার কারণে অনেকে পুরাতন এ নগরীর সড়কে নামাজ আদায় করে থাকেন।

ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইসরায়েলিরা মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

দেড় হাজার ইসরায়েলি সেনা নিহত

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় অন্তত দেড় হাজার দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত দখলদার সেনাদের সংখ্যা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কি না তা পরিষ্কার করেননি হিজবুল্লাহ মহাসচিব।

সোমবার হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার মোস্তফা বদরুদ্দিনের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য প্রকাশ করেন হাসান নাসরুল্লাহ। ২০১৬ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলায় শহিদ হন মোস্তফা বদরুদ্দীন। গাজার প্রতিরোধকামী যোদ্ধা এবং হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলায় হতাহত ইসরায়েলি সেনাদের কথা গোপন রাখে নেতানিয়াহু সরকার। হিজবুল্লাহ মহাসচিব তার বক্তৃতায় আরও বলেন, গাজা উপত্যকায় ৩৫ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক হত্যা করলেও ইহুদিবাদী ইসরায়েল তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘ কর্মী নিহত

দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর এক কর্মী। সোমবার জাতিসংঘের একটি গাড়িতে করে রাফা শহরের কাছে ইউরোপীয় হাসপাতালে যাওয়ার সময় গাড়িটিতে হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, কর্মীর মৃত্যুর খবরে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর সব হামলার নিন্দা জানিয়ে পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।

ফারহান হক বলেছেন, নিহত ও আহত কর্মীরা জাতিসংঘের সদস্য। তারা আন্তর্জাতিক কর্মী, ফিলিস্তিনি নয়। সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম গাজায় জাতিসংঘের একজন আন্তর্জাতিক কর্মীর মৃত্যু হলো।

এই হামলার জন্য কে দায়ী তা উল্লেখ করেনি জাতিসংঘ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, গাড়িটি একটি সক্রিয় যুদ্ধ অঞ্চলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছে। গাড়িটির রুট সম্পর্কে তারা সচেতন ছিল না বলেও জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে ইউরোপীয় হাসপাতালের বাইরে জাতিসংঘের লোগোসংবলিত একটি গাড়িতে অসংখ্য বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, তারা জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের (ইউএনডিএসএস) কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের দুই কর্মী সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় আহত হয়েছে। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আলাদা আরেকটি বিবৃতিতে গুতেরেস বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় জাতিসংঘের ১৯০ জনের বেশি কর্মী নিহত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়ায় শীতল লাভার স্রোতে ৪১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে হড়কা বান, আগ্নেয়গিরির শীতল লাভার স্রোতে অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টির পর সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মারাপির নিচের দিকে ছাই ও বড় বড় পাথর ভেসে আসার ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওহাব আলজাজিরা ও এএফপিকে বলেন, আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুই জেলাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ লোকের বাস। নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশ, সেনা, স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের অন্তত ৪০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আটটি এক্সকাভেটর ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। গেল ডিসেম্বরে মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

শীতল লাভা, লাহার নামেও পরিচিত। এটি বৃষ্টিতে আগ্নেয়গিরির ঢাল থেকে নেমে আসা এমন এক ধরনের উপাদান, যাতে ছাই, বালি ও নুড়ি পাথর মিশ্রিত থাকে। বৃষ্টিতে পথঘাট কাদার নদীতে পরিণত হয়েছে, যানবাহন ভেসে গেছে, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়া ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। ২০২২ সালে বন্যার কারণে সুমাত্রা থেকে ২৪ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন দুই শিশুর প্রাণহানিও ঘটে। পরিবেশবাদীরা এসব দুর্যোগের কারণ হিসেবে গাছ কেটে বন উজাড়কে দায়ী করে থাকেন।


মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের বাংলাদেশি হোতা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় জাল পাসপোর্ট বানিয়ে বিক্রি করার একটি চক্র ধরা পড়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, চক্রটির মূল হোতা অফু ভাই নামে ৩৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি। চক্রটি জাল পাসপোর্ট বানিয়ে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করত। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জউশ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কাজাংয়ে অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূল হোতা অফু ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, ‘একজন ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন বাংলাদেশি- যিনি অফু ভাই নামে পরিচিত। তাকে মূল হোতা বলে মনে করছি আমরা।’

আজ সোমবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুসলিন জউশ বলেন, ‘এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত এক ফিলিপিনো নারীকে তার সহকারী বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, অভিযান চালানোর সময় লক্ষ করা যায়, বেশ কয়েকজন বিদেশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, তারা চক্রটির কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট কিনেছিলেন।

তদন্তে দেখা গেছে, চক্রটি মূলত পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ আসল পাসপোর্টে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য জালিয়াতি করে নতুন পাতা যুক্ত করত। রুসলিন জউশ বলেন, ‘পাসপোর্টগুলো আসলই, তবে এতে জাল তথ্য যোগ করা হতো। চক্রটি এসব পাসপোর্টে নতুন করে একটি প্রথম পাতা যুক্ত করত, যেখানে ব্যক্তির সব বিবরণ, যেমন- বাড়ির ঠিকানা, পুরো নাম এবং পাসপোর্টের নম্বর থাকে।’

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, চক্রটি পাসপোর্টের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহার করে। এসব পাসপোর্ট পলিকার্বোনেট কাগজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয় না, যার ফলে এগুলোতে পাতা পরিবর্তন করা সহজ। তিনি জানান, একেকটি পাসপোর্ট জালিয়াতি করতে এক থেকে দেড় হাজার রিঙ্গিত খরচ হতো।

অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমান, চক্রটি প্রায় দুই বছর ধরে সক্রিয় ছিল। দুই আসামিকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং এই চক্রে অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। রুসলিন জউশ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, আরও কয়েকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।’


নতুন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেলোসভ

আন্দ্রেই বেলোসভ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সের্গেই শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। একযুগ পর শোইগুকে সরিয়ে দেওয়া হলো। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আন্দ্রেই বেলোসভ নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। খবর- বিবিসির।

সের্গেই শোইগু ২০১২ সাল থেকে একটানা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তাকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিযুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুর স্থলাভিসিক্ত হওয়া বেলোসভ একজন অর্থনীতিবিদ, যার সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কাজেই এমন একজন ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী করার কথা শুনে হয়তো অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রুশ প্রসিডেন্টের পুতিনের এই পদক্ষেপটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়ার অর্থনীতিকে তিনি তার যুদ্ধ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘উদ্ভাবনের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জিডিপির একটি বড় অঙ্ক সামরিক খাতে ব্যয়ে শুরু করার পর রাশিয়া অনেকটা ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হয়ে উঠেছিল। কাজেই সামরিক ব্যয়কে রাশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও ভালভাবে সংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করার দরকার বলে মনে করেন তিনি।

‘আর যে ব্যক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশি খোলামনের, তিনিই যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন,’ বলেন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বিবিসি রাশিয়ার সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ বলেন, শোইগুর জায়গায় নতুন কেউ আসার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য হওয়ার মতো কোনো কিছু নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শোইগুর অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিলো যে, তাকে পদচ্যুত করানো হতে পারে।

বস্তুত রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সামরিক বিপর্যয় এবং শক্তি ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য শোইগুকে অনেকটাই দায়ী করে থাকেন। এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদ থাকাটা ক্রেমলিনের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নীতিরই প্রতিফলিত বলে মনে করছেন রোজেনবার্গ। কেননা রাশিয়ার অর্থনীতি এখন যুদ্ধকালে পার করছে। তাই যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট অর্থ থাকা অত্যাবশ্যক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুশ সরকারের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্বাধীন রুশ ওয়েবসাইট দ্য বেল বলেছে, বেলোসভকে ‘রাষ্ট্রের একজন কঠোর রক্ষক হিসেবে দেখা হয়, যিনি বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া শত্রু দিয়ে ঘেরা’।

বিষয়:

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ওয়াক আউট

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ চলছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই ছাত্রবিক্ষোভ দেশটির শতাধিক ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। দিন যত যাচ্ছে দেশিটিতে ততই বাড়ছে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে ওয়াকআউট করেছে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থী। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় সময় শনিবার বিক্ষোভ করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা। এরপর অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান তারা। খবর- বিবিসি।

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ডে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় শনিবার চলছিল স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যখন ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বক্তব্য দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যান। বক্তব্যে গভর্নর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রবিক্ষোভ নিয়েই কথা বলছিলেন।

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে বিক্ষোভের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, মঞ্চে রিপাবলিকান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন বক্তব্য শুরু করার পরপরই গাউন-ক্যাপ পরা কিছু শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় ভিডিওতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ‘প্রকাশ কর, বর্জন কর-আমরা থামব না, আমরা বিশ্রাম নেব না’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ বছরের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে গভর্নর গ্লেনকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

প্রসঙ্গত, গত মাস থেকেই ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৫০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে ঘনিয়ে আসে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের সময়। আর তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অনাকাক্সিক্ষত কিছু করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় কয়েক ডজন ক্যাম্পাসে এই আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রবিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

ক্যাম্পাসগুলোয় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছেন, যেন বড় বড় অনুদানে চলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থী।


আফগানিস্তানে বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১৫  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। আফগান শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, ভয়াবহ বন্যায় বাগলানে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বন্যার কারণে ১ হাজার ৬৩০ জন আহত হয়েছেন।

আফগান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন শেখ জালাল গ্রাম এবং সাল শহরের বাসিন্দারা। আকস্মিক এ বন্যায় ২ হাজার ৬৬৫টি বাড়ি পুরোপুরি অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে ১ হাজার গৃহপালিত পশুপাখির সলিল সমাধি হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে বেসামরিক নাগরিক আটকে পড়ার খবর আসার পর উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার পাঠায় তালেবান সরকার।

দেশটির প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কর্মকর্তা হেদায়াতুল্লাহ হামদার্দ জানিয়েছেন, মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি হতে পারে এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন আগে থেকে প্রস্তুত ছিল না।

বাগলান প্রদেশে গত শুক্রবার রাতে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এরপর সেখানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের এ বৃষ্টিতে বাদাকশান প্রদেশ, মধ্যাঞ্চলের ঘোর প্রদেশ এবং পশ্চিমাঞ্চলের হেরাতেও বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। আফগানিস্তানে গত শীত মৌসুমটি শুষ্ক ছিল। ফলে সেখানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এই বৃষ্টি মাটি শুষে নিতে পারছে না। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফলাফল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।

আফগানিস্তান পৃথিবীর অন্যতম একটি গরিব দেশ। বিজ্ঞানীদের মতে, এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়েছে পড়েছেন। ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থাও। তাছাড়া পানি সরবরাহ ব্যবস্থায়ও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফগানিস্তান অফিস জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।

বিষয়:

এভারেস্টে আরোহীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপাল সরকারকে এভারেস্ট পর্বত ও অন্যান্য পর্বতশৃঙ্গ আরোহণে অনুমতির সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এপ্রিলের শেষদিকে এই রায় জারি করা হলেও এটির সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে এই সপ্তাহে। খবর এএফপি ও ফ্রান্স২৪-এর।

দীপক বিক্রম মিশ্র নামে দেশটির এক আইনজীবী আদালতে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন মামলা দায়ের করলে আদালত সম্প্রতি এ আদেশ দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পাহাড়ের ধারণক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ও প্রতি বছর সর্বোচ্চ কতজনকে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।

বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে ৮টিই রয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপালে। নেপাল সরকার প্রতি বছরের বসন্তে বিশ্বের শত শত অভিযাত্রীকে এসব শৃঙ্গ আরোহণের জন্য স্বাগত জানায়। বছরের এই সময়টাতে হিমালয়ের তাপমাত্রা তুলনামূলক উষ্ণ ও বাতাস শান্ত থাকে।

জানা গেছে, পর্বতারোহীর সংখ্যা কমানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র। তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘হিমালয়কে আমরা খুব বেশি চাপ দিচ্ছি, এটিকে কিছুটা অবকাশ দেওয়া দরকার’।

আদালত নেপালের পাহাড় ও পরিবেশ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পর্বতারোহীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পর্বতাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

দীপক মিশ্র আরও বলেন, আদালত জরুরি উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেলিকপ্টারগুলো পর্বতারোহীর দলগুলোকে বেস ক্যাম্পে ও বিপজ্জনক জায়গায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

নেপাল বর্তমানে যেসব আরোহী ১১ হাজার মার্কিন ডলার দিতে পারেন তাদের সবাইকেই এভারেস্টে আরোহণ করার অনুমতি দেয়। গত বছর দেশটি এভারেস্টের জন্য ৪৭৮টি অনুমতি দিয়েছিল, যা রেকর্ড পরিমাণ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৪৫ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল, যার মধ্যে ৪০৩ জন অভিযানে রয়েছেন।

নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিমা নুরু শেরপা বলেছেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ও পরামর্শের পর আদালতের রায় কার্যকরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আরোহীদের সংখ্যা কমে গেলে এই খাতে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা জানি না, কিসের ভিত্তিতে সীমা নির্ধারণ করা হবে ও কীভাবে সেই সীমা আরোহীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।


দিল্লির হাসপাতালে বোমা হামলার হুমকি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির দুটি হাসপাতালে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে দিল্লির ১৩০টি স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ই-মেইলের মাধ্যমে দিল্লির বুরারি হাসপাতাল ও সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে। উভয় হাসপাতালেই তল্লাশি চলছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বুরারি হাসপাতালই প্রথম স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বোমার হুমকির কথা জানায়। এরপর বিকাল (স্থানীয় সময়) ৪টা ২৬ মিনিটের দিকে সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয় ফোন আসে। দুটি হাসপাতালেই তল্লাশি অভিযান চলছে। গত ৩০ এপ্রিল বুধবার সকালে একইভাবে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রায় ১৩০টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এতে দিল্লিজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুমকি পাওয়ার পরপরই সব স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়। যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে হুমকি পাঠানো হয়েছে, সেটি রাশিয়ার বলে জানিয়েছিলেন দিল্লির এক কর্মকর্তা। ভিপিএন ব্যবহার করে রাশিয়া থেকে মেইল পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমে খবর পাওয়া যায়, বুধবার সকালে ৮ থেকে ১২টি স্কুলে বোমা রাখা আছে বলে হুমকি আসে মেইলে। এরপর আরও একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ একই হুমকির কথা প্রশাসন ও দিল্লি পুলিশকে জানায়। হুমকি প্রাপ্ত স্কুলগুলোর মধ্যে ছিল, দ্বারকার স্কুল, চাণক্যপুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুল। তবে তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনায় কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।

বিষয়:

পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা, নিহত ৭

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পৃথক দুই জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্য নিহত ও আরও দুজন আহত হয়েছেন। জেলাটির দত্ত খেল তহশিলের হাসান খেল এলাকা এবং মির আলি শহরের সীমান এলাকায় হামলার ঘটনা দুটি ঘটে। খবর দ্যা ডনের।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটেছে হাসান খেলে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে লক্ষ্য করে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের পর জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এর ফলে ঘটনাস্থলেই নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত ও আরও দুজন গুরুতর আহত হন।

অন্য ঘটনায় জঙ্গিরা সীমান এলাকার একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায়। তাদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হন। নিহত নিরাপত্তা সদস্যদের মৃতদেহ ও আহতদের হেলিকপ্টার যোগে বান্নুর সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হামলার পর দুটি স্থানই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে ফেলে এলাকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এর আগে ৮ মে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শিউয়া তেহশিলে জঙ্গিরা একটি বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা প্রথমে স্কুলটির নৈশপ্রহরীকে নির্যাতন করে, পরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্কুলের ক্ষতিসাধন করে।

বিষয়:

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ৩৪ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৬ জন।

আজ রোববার পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের দুটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। ইলহাম ওয়াহাব বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ৩৪ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আগামের বাসিন্দা ১৬ জন এবং তানাহ দাতারের ১৮ জন।’

বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ ১৬ জনের সন্ধানে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি-বন্যায় তানাহ দাতার অঞ্চলে ব্যাপক কাদা এসেছে। এতে পাঁচটি মহকুমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিএনপিবি বলেছে, বন্যায় ৮৪টি আবাসন ইউনিট ও ১৬টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় দ্রুত পৌঁছানোর জন্য রাস্তা পরিষ্কারে ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, আকস্মিক বন্যায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। আফগান শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভয়াবহ বন্যায় বাঘলান প্রদেশে ৩১৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬৩০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির মন্ত্রণালয় বলেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন শেখ জালাল গ্রাম এবং সাল শহরের বাসিন্দারা। আকস্মিক এ বন্যায় ২ হাজার ৬৬৫টি বাড়ি পুরোপুরি অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার কারণে ১ হাজার গৃহপালিত পশুপাখির সলিল সমাধি ঘটেছে।


অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা ইতালির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশকে কেন্দ্র করে আবারও ইতালীয় গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির মন্ত্রিপরিষদের তৈরি করা ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকায় ১৭ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ইতালির অভিবাসন আইন ২০০৮-এর ২৮ নম্বর ধারার ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গেজেটে থাকা এসব ‘নিরাপদ দেশের’ নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করবে তাদের থাকার অনুমতি না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় অভিবাসন নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব দেশে গৃহযুদ্ধ বা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, সেসব দেশের নাগরিকরা ইউরোপের যেকোনো দেশে থাকার অনুমতি পান। এ ক্ষেত্রে ইতালির তালিকাভুক্ত বাংলাদেশসহ এই ১৭টি দেশে এ মুহূর্তে কোনো যুদ্ধ নেই কিংবা কোনো নাগরিকের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই এসব দেশকে ইতালি ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এ গেজেটের বরাত দিয়ে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যম ‘ইল জোর্নাল’-এ বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবৈধভাবে ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবেশের বিভিন্ন রুট নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে তারা বাংলাদেশকে একটা ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্তির প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এশিয়ার মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করছে। দেশটিতে থাকা কিছু এজেন্টদের মাধ্যমে প্রথমে তারা আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের দেশ লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় থাকা মানব পাচারকারীদের সহায়তায় ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোতে অবস্থান নেয়। তারপর সময় বুঝে মানব পাচারকারীদের আরেক গ্রুপের সহায়তায় ভূমধ্যসাগরে অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজের কাছে পৌঁছায়। এভাবে তারা ভাগ্যবদলের আশায় ইতালির ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি এক বাংলাদেশি নাগরিকের টিকটকে প্রকাশিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশি কয়েকজন নাগরিক লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ছোট নৌকায় করে ইতালিতে আসার সময় উল্লাস করছে আর হাতে থাকা বাংলাদেশের একটা পাসপোর্ট ছিঁড়ে সমুদ্রের পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এ সময় ওই বাংলাদেশি লিবিয়ান ভাষায় বাংলাদেশ ও লিবিয়াকে কটূক্তি করে ইতালিতে পৌঁছানোর উল্লাস প্রকাশ করে।’

গত সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে ইতালির রাজনৈতিক দল ‘ফ্রাতেলি-দি ইতালিয়ার’ নেতা ফ্রাঞ্চেস্কো ললোব্রিজিদা বাংলাদেশের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসী নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে অভিবাসীদের যাত্রা কীভাবে বন্ধ করা যায় এবং ইতালিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বৈধপথে ইতালিতে দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

চলতি মাসে ইতালিতে প্রকাশিত গেজেটের মধ্যে বাংলাদেশসহ আরও ১৭টি দেশের তালিকা করে এদের ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব দেশ থেকে যারা অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করবে, তাদের ইতালি থেকে আলবেনিয়ায় পাঠানোর কথা বলা হয়। শিগগির আলবেনিয়ায় তিনটি মাইগ্রেশন সেন্টার চালু করা হবে বলে ঘোষণা দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি।


banner close