বাংলাদেশ বা মিসরের জনগণের পাতে খাবার থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত কেন ক্রেমলিনের গুটিকয়েক লোক নেবে? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ প্রশ্ন তুলেছেন। খবর বিবিসির।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশ ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করে থাকে। রাশিয়ার শীর্ষ সরকারি দপ্তর ক্রেমলিনের সিদ্ধান্তে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ হলে এসব দেশ স্বভাবতই সংকটে পড়বে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বক্তব্যে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানিতে রাশিয়ার বাধা দেয়ার সমালোচনা করে জেলেনস্কি গত রোববার ওই বক্তব্য দেন। কৃষ্ণ সাগরপথে ইউক্রেন অবাধে শস্য রপ্তানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল, সেটি স্থগিত বলে রাশিয়া সম্প্রতি ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত জুলাইয়ে কিয়েভ ও মস্কো ওই চুক্তি সম্পাদন করে। এরপর ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
তবে রাশিয়া গত শনিবার ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে তাদের নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করে চুক্তিটি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। ইউক্রেন ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া এমন পদক্ষেপ নেবে বলে আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল।
শনিবারের ওই হামলায় ব্রিটিশ সেনারাও জড়িত ছিল বলে মস্কো অভিযোগ করেছে। তবে তারা এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মস্কোর এমন দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, রাশিয়া তাদের ভুয়া দাবিগুলোকে মহাকাব্যিক স্তরে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসার সিদ্ধান্ত আজকের নয়, বরং গত সেপ্টেম্বরে যখন তারা ইউক্রেনীয় খাদ্যপণ্যের জাহাজগুলোর চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল, তখনকার।
ইউক্রেনের খাদ্যশস্য আমদানির ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নির্ভরশীল। যুদ্ধের প্রভাবে দেশটি থেকে শস্য ও খাদ্যপণ্যের চালান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট এবং খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শস্য চুক্তি বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত বিশ্ববাসী এ ব্যাপারে অনেক দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এখন চুক্তি থেকে সরে আসার একপেশে রুশ সিদ্ধান্ত ফের খাদ্যসংকটের ঝুঁকি তৈরি করবে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কড়া জবাব দেয়া উচিত। জাতিসংঘ এবং বিশ্বের বড় অর্থনীতির ২০টি দেশ এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারে।
চুক্তি স্থগিত করার বিষয়ে রাশিয়ার ওই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস বলেছে, মস্কো খাবারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেছেন, শস্য চুক্তির বিষয়ে তারা মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কৃষ্ণ সাগরপথে শস্য রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে- এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে সবাইকে বিরত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্বের লাখো মানুষের কাছে এই পথ দিয়ে খাবার ও মানবিক সহায়তা পৌঁছায়।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি ব্যাহত হলেও চুক্তিটি সম্পাদনের পর তারা আবার স্বাভাবিক সময়ের মতো রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছিল। জাতিসংঘের মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে ওই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন। এ প্রক্রিয়ায় তুরস্কেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিরসনে তাদের ওই প্রচেষ্টার সাফল্যকে একটি বড় কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তবে রাশিয়া অভিযোগ করেছে, তাদের নিজস্ব রপ্তানি কার্যক্রম এখনো ব্যাহত হচ্ছে। তাই তারা চুক্তিটির নবায়ন নাও করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল।
চলতি মাসের শেষ দিকে মস্কো-কিয়েভ শস্য চুক্তি নবায়নের কথা ছিল। গত কয়েক দিনে কিয়েভ অভিযোগ করেছে, মস্কো ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষ্ণ সাগরপথে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল বিলম্বিত করছে। ফলে সেখানে কখনো কখনো অন্তত ১৭০টি জাহাজের সারি জমে যাচ্ছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় ২ দিন পার হলেও একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে লাশ। সিএনএনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৩২৬ জন। আহতের সংখ্যা অন্তত ৩০ হাজার ৪৭৪।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থার মতে, ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪৪। এছাড়া অন্তত ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন বিপর্যস্ত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে দেশটির বিপর্যস্ত ১০টি প্রদেশে ৬০ হাজার ২১৭ জন উদ্ধারকর্মী নিয়োজিত আছেন বলেও জানায় সংস্থাটি।
অন্যদিকে সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭৮২। এর মধ্যে ৯৭০ জন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, বাশার আল আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মৃতের সংখ্যা ৮১২।
ভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী অন্তত ১০০ পরাঘাতের প্রভাবে দেশদুটির হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সর্বত্র উদ্ধার অভিযান চালালেও সবচেয়ে বেশি চিন্তা সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে। এখানকার অন্তত ৪০ লক্ষ মানুষ যুদ্ধের কারণে আগে থেকেই মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল।
এদিকে বিপদের ওপর বিপদ হিসেবে হাজির হয়েছে অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়া। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মী ও ত্রাণ সহায়তাকারীদের। ধ্বংসাবশেষে আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোয় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরান ও ইরাক, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হনে।
ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা জারির এই ঘোষণা আসে। খবর এএফপির।
শীতকালীন ঝড়ের কারণে সিরিয়া সীমান্তের কাছের তুরস্কের দুর্গম এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোতে খাদ্য এবং অন্যান্য সাহায্য পৌঁছানো দুরূহ হয়ে পড়ছে।
এরদোয়ান বলেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে মানবিক উদ্ধারকর্মী এবং অর্থ সাহায্য পৌঁছানোসহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ জরুরি অবস্থার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
১৯৩৯ সালের পর বিগত ৮৪ বছরের মধ্যে এটাই তুরস্কের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। কিন্তু এরদোয়ান উদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বেশ ধীরগতিতে করছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করে যাচ্ছেন তার বিরোধীরা।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, তুরস্কের গাজিয়াতেপে উৎপন্ন হওয়া ৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৩ হাজার ৫ শ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আর সিরিয়ায় সরকারি ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মোট মৃত্যু ১৬০২।
এরদোয়ান বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ৫০ হাজারেরও বেশি সাহায্যকারী পাঠানো হবে। এছাড়া ৫৩০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসাহায্যও পাঠানো হবে।
সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। গত সোমবার ভোর ও দুপুরে একের পর এক আঘাত হানা ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত দুই দেশে পাঁচ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তুরস্কে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
শুধু তুরস্কেই অন্তত ছয় হাজার ভবন ধসে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ভূমিকম্পে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া আরও ভয়াবহ সংকটে পড়েছে।
কখন কোথায় ভূমিকম্প আঘাত হানল
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। গাজিয়ানতেপের কয়েক লাখ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন। একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
হতাহতের সংখ্যা
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন হাজার ৪১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ৫৩৪ জনকে।
এদিকে সিরিয়ায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০২ জনকে মৃত এবং তিন হাজার ছয় শ’র বেশি মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এএফপি জানায়, দেশ দুটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২১ জনে। দুর্যোগময় এই অবস্থার মধ্যে আরও বিপাকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র শীত ঝড়। ফলে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতি
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে। পুরো শহর যেন ধ্বংসস্তূপে ঢাকা পড়ে গেছে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায়ের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে দেশটিতে অন্তত ছয় হাজার ভবন ধসে গেছে।
এএফপি বলছে, তুরস্কের সাতটি প্রদেশের অন্তত তিন হাজার ভবন ধসে গেছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু হাসপাতালও রয়েছে।
ভূমিকম্পে ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি বিখ্যাত তুর্কী মসজিদ আংশিক ধসে গেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে দেখা গেছে, তুরস্কের পাহাড়চূড়ায় দুই হাজার দুই শ বছর আগে রোমান সেনাদের নির্মিত একটি দুর্গ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে আছে।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা এবং টারতুস প্রদেশ জুড়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইউনেস্কো জানিয়েছে, আলেপ্পো শহর নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে ২০১৩ সাল থেকে বিপদগ্রস্ত হিসেবে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২৩০ লাখের বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সহায়তা প্রয়োজন হবে।
আন্তর্জাতিক সহায়তা
ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোয় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরান ও ইরাক, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস এবং সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশও। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে একটি জরুরি মেডিকেল দলও যাচ্ছে দেশটিতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তুরস্কের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেয়া হবে।
চীন জানিয়েছে মঙ্গলবার তাদের প্রথম উদ্ধারকারী দল তুরস্কে কাজ শুরু করে দিয়েছে এবং ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা সেবা পাঠানো হচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ঘানার জাতীয় দলের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসু। তুরস্কে ঘানার রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর এএফপির।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় কয়েক হাজার ভবন ধ্বসে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
টার্কিশ সুপার লিগের ফুটবল দল হাতায়াস্পোরে গত সেপ্টেম্বরে যোগ দেন ৩১ বছর বয়সী আতসু। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের নিকটবর্তী প্রদেশ তুরস্কের হাতায়ে থাকেন তিনি।
তুরস্কে ঘানার হাইকমিশনার ফ্রানসিসকা আশিয়েতে অদুন্তন স্থানীয় এক রেডিওকে বলেন, ‘আমার কাছে সুখবর আছে। ঘানা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে খবর পেলাম ক্রিশ্চিয়ান আতসুকে হাতায়ে পাওয়া গেছে।’
বিস্তারিত জানাননি ফ্রানসিসকা।
ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে আছেন আতসু, বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে গতকাল সোমবার স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছিলেন হাতায়স্পোরের কর্মকর্তা মুস্তাফা ওজাত।
ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসেলে পাঁচ মৌসুম কাটিয়ে ২০২১ সালে সৌদি আরবে খেলা শুরু করেন আতসু। এরপর যোগ দেন হাতায়স্পোরে। ঘানা জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে শেষ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন টুইটারে জানায়, ‘আমরা ঘানার ক্রিশ্চিয়ান আতসু এবং তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প কবলিতদের জন্য প্রার্থনা করছি।’
সোমবার সকালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া কয়েকটি শহর। বেশির ভাগ মানুষ তখন ঘুমে। বহু দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও তীব্র শীতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
আতসুর বহুতল ভবনসহ তুরস্কে ৫ হাজার ৬০০’র বেশি ভবন ধ্বসে গেছে। সিরিয়াতেও একই পরিস্থিতি।
ভূমিকম্প কবলিত সিরিয়ার আলেপ্পো অঞ্চলের জেন্দেরেস শহরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই এক মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। দুর্যোগময় পরিস্থিতির মধ্যেও চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচাতে পেরেছেন। তবে শিশুটির মাকে রক্ষা করতে পারেননি তারা।
ডেইলি মেইল জানায়, টুইটারে নবজাতক উদ্ধার অভিযানের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে এক নবজাতককে হাতে নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকর্মী। শিশুটিকে ঢাকার জন্য আরেক উদ্ধারকারী একটি চাদর ছুড়ে দেন।
এই শিশুটিই তার পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। ভূমিকম্পে সব ভাই-বোনকেই হারিয়েছে সে। এএফপি জানিয়েছে, শিশুটিকে উদ্ধারের পর আফরিন শহরের একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে ডা. হানি মারুফ নামের এক চিকিৎসক তার দেখভাল করছেন।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানিয়েছেন, দেশটিতে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৪১৯ জনের মরদেহে এবং ২০ হাজার ৫৩৪ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কে ছয় হাজারের মতো ভবন ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন ফুয়াত ওকতায়।
এদিকে গত সোমবারের এই ঘটনায় সিরিয়ায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০২ জন মারা যাওয়ার খবর মিলেছে।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হনে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানিয়েছেন, দেশটিতে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৪১৯ জনের মরদেহে এবং ২০ হাজার ৫৩৪ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কে ছয় হাজারের মতো ভবন ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন ফুয়াত ওকতায়।
এদিকে গত সোমবারের এই ঘটনায় সিরিয়ায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০২ জন মারা যাওয়ার খবর মিলেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, দেশটিতে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ২৪ হাজার ৪০০ কর্মী।
বিবিসি জানায়, ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোয় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরান ও ইরাক, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হনে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়ে তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর ২০২২ সালে দ্বিগুণেরও বেশি মুনাফা অর্জন করেছে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম কোম্পানি (বিপি)। গত বছর বহুজাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি লাভ করেছে ২ হাজার ৭৭০ কোটি (২৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। ২০২১ সালে বিপির বার্ষিক মুনাফা হয়েছিল ১ হাজার ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার। গেল বছর কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্রিটিশ জ্বালানি কোম্পানি শেলও গত সপ্তাহে এমন তথ্য জানিয়েছে। তারা ২০২২ সালে প্রায় ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন করছে, যা ছিল কোম্পানিটির বিগত ১১৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
গত বছরের মার্চ থেকেই বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করে। ফলে বিপি এবং শেলের মতো কোম্পানিগুলো বিপুল পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে শুরু করে।
কোভিড লকডাউন শেষ হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছিল তবে গত বছরের মার্চে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার সময় সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে তা আরও দ্রুত বেড়ে যায়।
বেশি অনুরক্ত হওয়াই কাল হলো জেরির জন্য। অতিরিক্ত ভালোবাসত সে তার মালিককে। সারাক্ষণ তার সঙ্গে সঙ্গে থাকতে চাইত, সুযোগ পেলেই গায়ে গা ঘষত। এমনকি মালিকের ফেরার আশায় দরজায় দাঁড়িয়ে থাকত চার বছর বয়সী মিষ্টি বিড়াল জেরি। আর এই ‘অতিরিক্ত’ বিষয়টিই ভালো লাগেনি তার মালিকের। তাই তো তাকে ছেড়ে দিয়ে গেছেন এক মানবিক সংস্থার কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এই সংস্থাটি সম্প্রতি জেরির একটি ভিডিও পোস্ট করে ইন্টারনেটে। সেখানে জেরির হয়ে একটি চিঠি লিখে দেয় কর্তৃপক্ষ, যার শিরোনাম ছিল ‘অতিরিক্ত অনুরক্ত’।
আরও লেখা ছিল, ‘জ্বি, আমি নাকি বেশি অনুরক্ত ছিলাম। আর সে জন্যই আমার মালিকের ভালো লাগেনি আমাকে। আমি তাকে ভীষণ ভালোবাসতাম আর তার কাছে কাছে থাকতে চাইতাম। এটিই আমার অপরাধ। তাই তিনি আমাকে ভালোবাসেননি।’
‘আমি এখনো আশায় আছি, আমি যেমন, ঠিক তেমনভাবেই আমাকে কেউ গ্রহণ করে ভালোবাসবে। দীর্ঘ সময় ধরে আমি একটি ঘরের জন্য অপেক্ষা করছি।’ পোস্টের নিচে ‘জেরি’ নামের একটি স্বাক্ষরও ছিল।
৮ মিলিয়ন বার দেখা হয় ভিডিওটি। জেরির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায় অনেকের লেখায়। অনেকেই পোষা প্রাণীর প্রতি ব্যক্তির এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ছুড়ে দেন।
একজন লিখেছেন, ‘ভীষণ রাগ লাগছে। কোনো কোনো মানুষের ভালোবাসা বোঝার ক্ষমতাই নেই। অদ্ভুত এক ক্ষয়ে যাওয়া সমাজ এটি।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, এই ব্যক্তি কখনো কোনো প্রাণীকে পোষেননি। এটি খুবই দুঃখজনক। একটি প্রাণী এভাবে পরিত্যক্ত হতে পারে না। কেবল বেশি অনুরক্ত বলে তাকে পরিত্যাগ করার অধিকার কারও নেই। এই ব্যক্তি কোনো প্রাণীর ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য নন।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘বোধহয় জেরির সাবেক মালিক এতদিনে উপলব্ধি করেছেন যে তার সঠিক পোষ্য হবে মাছ।’
এভাবেই জেরির প্রতি ভালোবাসা আর সহানুভূতির বন্যা বয়ে যায়। সেই সঙ্গে জেরিও পেয়ে যায় তার নতুন ঠিকানা। ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জেরিকে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন এক ব্যক্তি। জেরি ইতিমধ্যে তার নতুন মালিকের বাড়ি পৌঁছে গেছে। হয়তো এখানে সে তার ভালোবাসার মূল্য পাবে। যে অবহেলা পেয়েছিল সে ভালোবেসে, তার বেদনা হয়তো মুছে যাবে নতুন একজনের মমতার পরশে।
সূত্র: এনডিটিভি
ভূমিকম্পে তুরস্কে ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৪ হাজার ৩৬৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পে নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। হতাহতদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তুরস্কের ত্রাণ সংস্থা এএফডি মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশটিতে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯২১ জন নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
দুই দেশে অন্তত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৪ হাজার ৪৮৩ জন আহত হয়েছেন। দেশটিতে ভূমিকম্পের সময় ও পরে দেশটিতে ৪ হাজার ৭৪৮টি ভবন ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনায় তুরস্কে দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে, মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়।
তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সর্বশেষ তথ্য়ানুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৯ জন।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তা চেয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা ।
তুরস্কের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। তাই ভয়াবহ হতাহতের শিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিও। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৯৬৮ জন হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে, মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর মালাতিয়ার ঐতিহাসিক ‘ইয়েনি চামি’ মসজিদের সিংহভাগ গুড়িয়ে গেছে। একদফা সংস্কার করে গত বছর প্রার্থনার জন্য মসজিদটি খুলে দেয়া হয়।
সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং পরবর্তী পরাঘাতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ২ হাজার ৩০০ মানুষের প্রাণহানি এবং কয়েক হাজার ভবন ধ্বসে গেছে। ইয়েনি চামি মসজিদও এর শিকার।
ঐতিহাসিক মসজিদটির আগের একটি সংস্করণ ১৮৯৪ সালের ৩ মার্চ ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়েছিল। সে স্থানে পরবর্তীতে নতুন মসজিদ তৈরি করা হয়। সর্বশেষ সংস্করণটির কপালেও জুটল একই ভাগ্য।
তুরস্কের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। তাই ভয়াবহ হতাহতের শিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াও।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
নিচের ছবিতে দেখুন ধ্বসে পড়ার আগে মসজিদটি দেখতে কেমন ছিল
আর ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মসজিদের বর্তমান দশা দেখে নিন এখানে
স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় উদ্ধার কাজের সাহায্যের জন্য রাশিয়ার উদ্ধারকারীরা যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ে সিরিয়ার উদ্দেশে রাশিয়ান উদ্ধাকারীরা রওনা হবে। আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট মস্কোর সহযোগিতার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
এএফপি জানিয়েছে, সিরিয়ার ধ্বংস্তুপ সরাতে রাশিয়ার ৩০০ সেনাসদস্য দেশটিতে কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৩০০ জনের মৃত্যুর খবর দিছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে শোকে মূহ্যমান তুরস্ক-সিরিয়া। ৭.৮ মাত্রার মূল ভূমিকম্প ও এর পরে বেশ কিছু সংখ্যক পরাঘাতে নিহতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছেন আরও অনেকে। উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশগুলোর উদ্ধারকর্মীরা। তবে বিপদে পাশে পাওয়ার আশ্বাসও বিভিন্ন দেশ থেকে পাচ্ছে দেশ দুটি। রাশিয়া, ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো আছেই, প্রয়োজনে সাহায্যে প্রস্তুত আপাতদৃষ্টিতে তুরস্ক-সিরিয়ার শত্রু হিসেবে পরিচিত ইসরায়েলও।
রাশিয়া
রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তুরস্কের প্রয়োজন হলে ১ হাজার উদ্ধারকর্মীসহ দুইটি আধুনিক এল-৭৬ এয়ারক্রাফট পাঠাবে তারা। সমবেদনা জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে বার্তা পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
একইভাবে সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকেও বার্তা পাঠিয়েছেন পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্র
তুরস্কের ন্যাটো জোটের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এই কঠিন সময়ে আঙ্কারার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান টুইটারে এক বার্তায় বলেন, ‘তুরস্ক ও সিরিয়ায় আজকের বিপর্যয়ের খবরে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যেকোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে তুরস্ককে জানাতে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা তুরস্কের সঙ্গে সমন্বয় করে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা তাদের চব্বিশ ঘণ্টা সার্ভিসের ইমার্জেন্সি রেসপন্স কোঅরডিনেশন সেন্টার তুরস্ক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে। তাছাড়া জরুরি কোপারনিকাস ম্যাপিং সেবাও চালু করেছে ইউনিয়ন।
ইউক্রেন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে আমাদের বন্ধুবৎসল তুর্কি জনগণকে অনুভব করছি। যেকোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা।
গ্রিস
পাশাপাশি দেশ হওয়ায় তুরস্কের সাথে গ্রিসের সম্পর্ক তিক্ততাপূর্ণ। তবে ভূমিকম্পে আক্রান্তদের সাহায্যে প্রস্তুত দেশটি। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিকস মিতসোতাকিস জানিয়েছেন, তার দেশের উদ্ধারকর্মীদের প্রস্তুত করা হয়েছে এবং শিগগিরই সাহায্যার্থে পাঠানো হবে।
ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জরুরি চিকিৎসা এবং উদ্ধার তৎপরতায় সাহায্য করার জন্য তার দেশের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
জার্মানি
জার্মানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের আসলে কী দরকার তারা সেটি তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ভারত, স্পেন, তাইওয়ানও জানিয়েছে যেকোনো সাহায্যের জন্য প্রস্তুত তারা।