মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

ভিয়েতনামে ভূমিধসে ৭ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৪ ১১:১৭

ভিয়েতনামে ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের নিচে একটি ভ্যান চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। খবর এএফপির।

উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে এক শিশুসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন বলে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় আরও ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চলছে।

ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ফুটেজ এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, কর্দমাক্ত পাহাড়ি রাস্তায় কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। সেখানে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সও দেখা গেছে। বিদেশি পর্যটকদের কাছে মোটরসাইকেলে করে ভ্রমণের জন্য হা জিয়াং প্রদেশ একটি জনপ্রিয় স্থান।

উত্তর ভিয়েতনামে এখন বর্ষাকাল। সে কারণে ভারী বৃষ্টি এবং বন্যায় পাহাড়ি রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে হা গিয়াং প্রদেশের বাক মে জেলার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ভূমিধসের সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে একটি ভ্যান।

জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে বর্ষাকাল থাকে। এ সময়টাই উত্তর ভিয়েতনামে প্রায়ই ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটে থাকে। এর আগে গত জুন মাসে হা গিয়াং প্রদেশে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভিয়েতনামে প্রায় ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে।


বিশ্বের প্রথম লেজার সুরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন বিম’ চালু ইসরায়েলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অবশেষে যেন সায়েন্স ফিকশন বই বা স্টার ওয়ার্সের কল্পকাহিনী বাস্তবে রূপ নিল। প্রথম ইসরায়েল আকাশ পথে আসা যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিহত করতে লেজারভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। আয়রন ডোমের আদলে নতুন এই লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আয়রন বিম’। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এই লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মূলে আছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন দপ্তর এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা খাতের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান রাফায়েল (রাফাল যুদ্ধবিমানখ্যাত ফরাসি দসল্ট রাফাল নয়)।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই দপ্তর ও রাফায়েলের প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীর হাতে লেজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণভার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ বলেন, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতার লেজারভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি সাফল্যের সঙ্গে বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করতে পেরেছে।’ এই পর্বতসম অর্জন আমাদের কাছের ও দুরের শত্রুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন না। ছুঁড়লে পরিণাম ভয়ংকর হবে’, বলেন ক্যাটজ।

প্রায় এক দশক ধরে এই প্রকল্পের কাজ চলছিল। এই অর্জনকে বিশ্লেষকরা বড় ধরনের মাইলফলকের আখ্যা দিয়েছেন।

রাফায়েলের চেয়ারম্যান ইউভাল স্টেনিৎজ বলেন, ‘বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের হাতে এখন আকাশ পথে আসা যেকোনো ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার একটি কার্যকর লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। এটা রকেট ও মিসাইলও ঠেকাতে সক্ষম।’

এটি ইসরায়েলের সুপরিচিত আয়রন ডোম ও ডেভিডেস স্লিং ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশটিকে সুরক্ষা দেবে। লেজার ব্যবস্থা প্রথাগত ক্ষেপণাস্ত্রভিত্তিক সুরক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে সাশ্রয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আয়রন ডোমের মাধ্যমে ছোট পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়া যায়। ডেভিলেস স্লিং ও কয়েক প্রজন্মের অ্যারো মিসাইল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্য যেকোনো ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা।

ডিসেম্বরের শুরুতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, লেজার ব্যবস্থার কাজ শেষ হয়েছে এবং মাসের শেষ নাগাদ এটি মোতায়েন করা হবে।

ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা দৃশ্যমান হয়। তেহরান থেকে ছুটে আসা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থাকে কাঁচকলা দেখিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানে।

ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে, ওই যুদ্ধে ৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করেছে এবং এতে ২৮ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন।


তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া, ফের উত্তেজনা 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তাইওয়ান ঘিরে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। দ্বীপটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল ও অবরোধের অনুশীলনসহ এই মহড়াকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছে বেইজিং। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

এতে বলা হয়, এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’। এতে দেশটির সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সঙ্গে রকেট ফোর্সও অংশ নিয়েছে। মহড়ার অংশ হিসেবে সরাসরি গোলাবর্ষণসহ বিভিন্ন রণনীতি অনুশীলন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের বৃহৎ অস্ত্র প্যাকেজ বিক্রির ঘোষণার পর এই মহড়া শুরু করল চীন। ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং এবং পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কয়েকটি মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।

চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে। এদিকে তাইওয়ানের চলতি বছরে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারের উদ্যোগও বেইজিংয়ের ক্ষোভ বাড়িয়েছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় চীনের এই সামরিক মহড়ার সমালোচনা করে একে আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে তারা দ্বীপটির আশপাশে চীনা যুদ্ধবিমান ও জাহাজ শনাক্ত করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিজেদের বাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাহিনী।

চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এই মহড়াকে ‘ন্যায়ের ঢাল’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক পোস্টে বলা হয়, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তারা এই ঢালের মুখে ধ্বংস হয়ে যাবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মহড়াকে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির জন্য কঠোর শাস্তি বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বহিরাগত শক্তিকে তাইওয়ান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেছেন, তাইওয়ান শান্তি বজায় রাখতে চায় এবং বর্তমান অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, শান্তি টিকিয়ে রাখতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অপরিহার্য।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর থেকে তাইওয়ান প্রণালীতে নিয়মিত সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে চীন। চলমান এই মহড়াটি ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের নতুন প্রধান ইয়াং ঝিবিন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বড় মহড়া। একই সঙ্গে তাইওয়ানও নিজস্ব সামরিক মহড়ার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার করে চলেছে, যা এ অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে।


ইন্দোনেশিয়ায় বৃদ্ধাশ্রমে ভয়াবহ আগুন, নিহত ১৬

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি বৃদ্ধাশ্রমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদো শহরের ‘দামাই’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, মানাদো শহরের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সংস্থার প্রধান জিমি রোটিনসুলু গণমাধ্যমকে জানান, নিহতদের অধিকাংশকেই তাদের নিজ নিজ কক্ষে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগার সময় তারা রাতের বিশ্রামে ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং স্বজনদের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, কয়েকজনের মৃতদেহ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বৃদ্ধাশ্রমের পাশেই বসবাসকারী স্টিভেন মোকোদোমপিত জানান, তিনি উদ্ধারকাজে অংশ নেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ডেটিককমকে তিনি বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে পৌছানোর সময় বৃদ্ধাশ্রমের রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল। এ সময় একটি বিস্ফোরণের শব্দ ও সাহায্যের আর্তচিৎকার শোনা যায়। তিনি আরও বলেন, মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আগুন পুরো ভবন গ্রাস করে। পরে তিনি ও অন্যরা টেবিল ও মই ব্যবহার করে পেছন দিক দিয়ে বাসিন্দাদের উদ্ধার করেন।

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলনামূলকভাবে ঘন ঘন ঘটে। চলতি মাসের শুরুতে রাজধানী জাকার্তার একটি ৭ তলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ২২ জন নিহত হয়েছিলেন।


ইরানে চলতি বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ১,৫০০ ছাড়িয়েছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানে ২০২৫ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) বিবিসিকে জানিয়েছে, চলতি ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত তারা অন্তত ১ হাজার ৫০০ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার তথ্য যাচাই করতে পেরেছে। সংগঠনটি বলছে, এরপর আরও অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকতে পারে। খবর বিবিসির।

আইএইচআর–এর তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনটি ইরানে ২০২৪ সালে ৯৭৫ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত হতে পেরেছিল। তবে এটাই প্রকৃত সংখ্যা নয়। কেননা, ইরানের কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কখনোই কোনো আনুষ্ঠানিক সংখ্যা প্রকাশ করে না।

বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ইরানে এ বছরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অন্য পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনের দেওয়া তথ্যের সঙ্গেও এ হিসাব মিলে যাচ্ছে।

এর আগে ইরান সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, কেবল ‘সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের’ ক্ষেত্রেই এই শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে।

পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র ২০২২ সালে ইরানজুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ হয়। তার আগে থেকেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

২২ বছর বয়সি মাশা ইরানের রাজধানী তেহরানে নীতি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। নিয়ম মেনে হিজাব না পরার কারণে তাকে আটক করা হয়েছিল।

এ ঘটনার পর দেশজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ বহু বছর ধরে ইরানের ধর্মীয় শাসনের বৈধতার প্রতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের কর্তৃপক্ষ ব্যাপক দমন–পীড়ন চালায়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। আইএইচআর–এর যাচাই করা তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইরানে প্রায় ৫২০ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। পরের বছর সংখ্যাটি আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৮৩২–এ।

ইরানে বিক্ষোভকারী কিংবা ‘গুপ্তচরদের’ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের ৯৯ শতাংশই হত্যা বা মাদক–সংক্রান্ত অপরাধে দণ্ডিত ছিলেন। এ অনুপাত প্রায় অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।


ইউক্রেন আলোচনায় অগ্রগতি, জটিল সমস্যা অমীমাংসিত

ফ্লোরিডায় জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধে আশাবাদী ট্রাম্প
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ইস্যুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, বৈঠকে আগের চেয়ে অগ্রগতি হয়েছে, তবে দুই-একটি জটিল বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। যার মধ্যে ভূমি ইস্যু অন্যতম। খবর বিবিসির।

যদিও বৈঠকে দুর্দান্ত অগ্রগতির কথা জানিয়ে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। আর অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

এদিকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ ফোনালাপের কথাও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের সোয়া ঘণ্টার দুর্দান্ত ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিনও।

মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জেলেনস্কি জানান, ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ‘৯০ শতাংশ’ বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি প্রায় ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত হয়েছে।

জেলেনস্কি পরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের দলগুলো আগামী সপ্তাহে আরও আলোচনার জন্য বৈঠক করবে, যার লক্ষ্য হলো প্রায় চার বছরের যুদ্ধ শেষ করা।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, আমরা সব বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করেছি এবং গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন ও আমেরিকার প্রতিনিধিদলগুলো যে অগ্রগতি করেছে, তা আমরা গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করেছি।

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ চালায়। বর্তমানে মস্কো ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা দনবাস অঞ্চলকে একটি নিরস্ত্রীকৃত এলাকা করার প্রস্তাব এখনো ‘সমাধান হয়নি’ বলে জানান ট্রাম্প।

মস্কো বর্তমানে দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং পাশের লুহানস্কের প্রায় ৯৯ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অঞ্চলগুলো একসঙ্গে দনবাস নামে পরিচিত।

রাশিয়া চায় ইউক্রেন দনবাসের সেই ছোট অংশ থেকে সরে আসুক যা এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে। কিয়েভ বলেছে, ওই এলাকা ইউক্রেনের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারবার ইউক্রেনের হারানো ভূখণ্ড নিয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। সেপ্টেম্বরে তিনি সবাইকে চমক দিয়ে বলেছিলেন, ইউক্রেন হয়তো ওই এলাকা ফিরিয়ে নিতে পারবে। পরে তিনি তার বক্তব্য পরিবর্তন করেন। তিনি বলেন, এটি একটি অত্যন্ত কঠিন বিষয়। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত সমাধান হবে।

ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কাজ ‘৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত’ হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো লজিস্টিক সমর্থন বা সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দেননি তিনি।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার সম্ভাবনার কথা উত্থাপন করেছেন এবং বলেছেন, এটি ‘সঠিক সময়ে’ হতে পারে।

এর আগে ট্রাম্পের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়। যদিও ট্রাম্প ফোনালাপের অনেক বিস্তারিত জানাননি, তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন রাশিয়ার নেতা ‘ইউক্রেনের সফলতা চায়।’

একইসঙ্গে ট্রাম্প স্বীকার করেন, মস্কোর খুব বেশি আগ্রহ নেই এমন এক স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য যা ইউক্রেনকে গণভোট আয়োজনের সুযোগ দেবে।

রাশিয়ার বৈদেশিক নীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, এই ফোনালাপ ট্রাম্পের উদ্যোগে হয়েছে এবং তিনি ও পুতিন যুদ্ধ শেষ করার জন্য সাম্প্রতিক ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করতে পারেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন আরও আলোচনা চূড়ান্ত করবে।

বৈঠকের পরে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ফোনালাপে, ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইন ফ্লোরিডার আলোচনাকে ‘ভালো অগ্রগতি’ হিসেবে দেখছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনকে ‘দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দেওয়া প্রয়োজন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও বলেছেন, কিয়েভের মিত্ররা আগামী মাসে প্যারিসে মিলিত হয়ে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করবে।


পুতিন যে কৌশলে রুশ ধনকুবেরদের কণ্ঠরোধ করেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।

বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি।

শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।

ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তার ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।

নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’

এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।

উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।

তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তার প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।

পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।

রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তারা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।

রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।

তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তার (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’

বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।


পাশ্চাত্যের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে লিপ্ত ইরান: পেজেশকিয়ান

আপডেটেড ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:০৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে লিপ্ত আছি। তারা চায় না, আমাদের দেশ স্থিতিশীল থাকুক। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠক সামনে রেখে গত শনিবার এ মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওয়েবসাইটে পেজেশকিয়ানের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান যুদ্ধটি ১৯৮০-এর দশকে ইরাকের সঙ্গে ইরানের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের মতে, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের সঙ্গে ইরানের যে যুদ্ধ হয়েছিল, তার চেয়ে বর্তমান যুদ্ধটি ‘আরও জটিল ও কঠিন’। উল্লেখ্য, ইরাক-ইরান যুদ্ধে দুই পক্ষের প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের মতে, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের সঙ্গে ইরানের যে যুদ্ধ হয়েছিল, তার চেয়ে বর্তমান যুদ্ধটি ‘আরও জটিল ও কঠিন’। উল্লেখ্য, ইরাক-ইরান যুদ্ধে দুই পক্ষের প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে তার নির্ধারিত বৈঠকের দুই দিন আগে এ মন্তব্য করলেন পেজেশকিয়ান। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর আলোচনায় ইরান প্রসঙ্গটি অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে।

গত জুনে ১২ দিনের এক যুদ্ধে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার, পরমাণুবিজ্ঞানীসহ প্রায় ১ হাজার ১০০ জন নিহত হন। জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ইসরায়েলে ২৮ জন প্রাণ হারান।


নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফর: এবার লক্ষ্য ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প

আপডেটেড ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আজ সোমবার ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। এক কর্মকর্তা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত শনিবার তিনি বলেন, নেতানিয়াহু রোববার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রোববার রওনা হবেন এবং একদিন পর ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে তাদের সাক্ষাতের নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে জানাননি তিনি।

নেতানিয়াহুর সফর এমন এক সময় হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন এবং আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীরা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে ওই বৈঠকে নেতানিয়াহু তেহরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ওয়াশিংটনকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবার নেতানিয়াহুর লক্ষ্য ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প।

শুধু ইসরায়েলি কর্মকর্তারাই নন, তাদের মার্কিন মিত্ররাও আবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছেন। এবার তাদের দাবি, তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রকে তৎক্ষণাৎ মোকাবিলা করতে হবে; যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের সঙ্গে আরেকটি সংঘাত ট্রাম্পঘোষিত মার্কিন নীতির অগ্রাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির সিনিয়র ফেলো সিনা তুসি বলেন, ট্রাম্প যেখানে ইসরায়েল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাপ দিচ্ছেন, সেখানে নেতানিয়াহু এ অঞ্চলজুড়ে সামরিক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন।

সিনা তুসি বলেন, ইরানকে প্রকৃত অর্থে ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী সংশ্লিষ্টতা ও অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ইসরায়েলের লক্ষ্যকেই প্রতিফলিত করে। তার (ইসরায়েল) লক্ষ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী আধিপত্য, প্রশ্নাতীত প্রভাব ও সম্প্রসারণবাদ প্রতিষ্ঠা।

ইরানকে প্রকৃত অর্থে ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী সংশ্লিষ্টতা ও অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ইসরায়েলের লক্ষ্যকেই প্রতিফলিত করে। তার (ইসরায়েল) লক্ষ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী আধিপত্য, প্রশ্নাতীত প্রভাব ও সম্প্রসারণবাদ প্রতিষ্ঠা।

এ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এটাই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্যগুলোর একটি এবং এ পথে ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিতে চান। তিনি বলেন, ‘কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ভিন্ন দিকে যাচ্ছে এবং তারা সরাসরি কোনো মার্কিন সামরিক সম্পৃক্ততা ছাড়াই এ অঞ্চলকে আরও বেশি স্থিতিশীল করতে চাইছে। এ প্রেক্ষাপটে (ইসরায়েলের) অবস্থান শেষ পর্যন্ত মুখোমুখি সংঘাতে গিয়ে ঠেকবে।’

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে উপস্থাপন করছেন। যদিও ইসরায়েল প্রতিনিয়ত গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনিই নাকি ৩ হাজার বছরে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এনেছেন।

আর ট্রাম্প প্রশাসনের সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় নিরাপত্তাকৌশল বলছে, এ অঞ্চল ‘সহযোগিতা, বন্ধুত্ব ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে উদীয়মান হচ্ছে’। এটি এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব নিরাপত্তাকৌশলে অগ্রাধিকার পাওয়া অঞ্চল নয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নিজের সামরিক ও কৌশলগত উপস্থিতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এ সময়ে ইসরায়েল এমন এক যুদ্ধের জন্য দেন–দরবার করছে, যা ওয়াশিংটনকে আবার সংঘাতে টেনে আনতে পারে।

শুধু ইসরায়েলি কর্মকর্তারাই নন, তাদের মার্কিন মিত্ররাও আবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছেন। এবার তাদের দাবি, তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রকে তৎক্ষণাৎ মোকাবিলা করতে হবে; যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের সঙ্গে আরেকটি সংঘাত ট্রাম্পঘোষিত মার্কিন নীতির অগ্রাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তাই ট্রাম্প নেতানিয়াহুর এ ফাঁদে পা দেবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। নেতানিয়াহু যতই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিজের নিরাপত্তা ও বিশ্বের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করুন; ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, গত জুনে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিকে সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দিয়েছে।


জাপানে দুর্ঘটনার কবলে ৫০টিরও বেশি গাড়ি: নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জাপানের গানমা প্রদেশে একটি এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ৫০টির বেশি যানবাহন। এতে অন্তত দুইজন নিহত এবং আরও অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। টোকিও থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মিনাকামি শহরের কান-এতসু এক্সপ্রেসওয়েতে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষ থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর দ্রুতগতির আরও অনেক গাড়ি এসে ওই দুই গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে।

সংঘর্ষের পরই একের পর এক যানবাহনে আগুন ধরে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এতে টোকিওর ৭৭ বছর বয়সি এক নারী এবং একজন ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তুষারপাতের সতর্কতার মধ্যে নিউ ইয়ারের ছুটি শুরু হওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি ছিল। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকগুলো রাস্তা আটকে দিলে পেছন থেকে আসা গাড়িগুলো পিচ্ছিল সড়কে ব্রেক করতে না পেরে একের পর এক ধাক্কা খায়।

দুর্ঘটনার এক প্রান্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, এতে ডজনখানেক যানবাহন পুড়ে যায়। প্রায় সাত ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। পুলিশ বলেছে, আগুনে কেউ আহত হননি এবং প্রায় ৭ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

এর আগে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ গত শুক্রবার গভীর রাতে ভারী তুষারপাতের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে। সাধারণত প্রত্যেক বছর বহু জাপানি নববর্ষের ছুটি শুরু করেন। এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


কাশ্মিরে জৈইশ ও হিজবুল কমান্ডারদের খোঁজে ২০০০ সেনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের কাশ্মিরে জৈশ ই মুহাম্মদ ও হিজবুল কমান্ডারদের খোঁজে বড় মাপের অভিযান শুরু হয়েছে। প্রায় ২০০০ সেনা জওয়ানকে এই অভিযানে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডারের খোঁজও করছে সেনাবাহিনী। ছাত্রু গ্রাম এবং আশেপাশের এলাকায় সেনার এই অভিযান বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, কাশ্মিরে জৈইশের স্থানীয় কমান্ডার সাইফুল্লাহ ও তার সহযোগী আদিল- এই দুজনেই এখন কিশতওয়ারের ডোডা অঞ্চলের পাহাড়ে লুকিয়ে আছে। এই জঙ্গিদের একেক জনের মাথার দাম ৫ লাখ রুপি করে। এই আবহে কিশতওয়ারের ছাত্রু নামক গ্রাম থেকে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ডোবা অঞ্চলের সেওজধারে চিরুনি তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি কিশতওয়ারের এলাকাতেও অভিযান শুরু হয়েছে গত শনিবার থেকে। অন্যদিকে আরেক অভিযানে কিশতওয়ারের পাদ্দের সাবডিভিশনে হিজবুল জঙ্গি কমান্ডার জাহিঙ্গির সারুরির খোঁজ শুরু করেছে সেনা। এ ছাড়া তার দুই সহযোগী মুদ্দাসির এবং রিয়াজেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে।


ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ২২ গুণ বেড়েছে রাশিয়ার অস্ত্র: পুতিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া তার অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। যুদ্ধের এই সময়ে দেশটির সামরিক শিল্পখাতে উৎপাদন বেড়েছে সর্বোচ্চ ২২ গুণ।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ক্রেমলিনে প্রতিরক্ষা শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে এ তথ্য জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন জানান, ট্যাংক উৎপাদন বেড়েছে ২ দশমিক ২ গুণ, সামরিক বিমান উৎপাদন ৪ দশমিক ৬ গুণ, আর আঘাত হানার সক্ষম অস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে ২২ গুণ।

রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক পুতিন বলেন, বিশেষ সামরিক অভিযানে (এসএমও) অংশগ্রহণকারী সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করছে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধের ধরন ও কৌশল ক্রমাগত পরিবর্তিত হওয়ায় সেই অনুযায়ী সামরিক উৎপাদনেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভোস্তি-কে উদ্ধৃত করে পুতিন বলেন, ২০২২ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ব্যবস্থার ফলে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা জোরদার করতে পেরেছে, যার ফলে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন অস্ত্র উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি জানান, সাঁজোয়া যুদ্ধযান ও সাঁজোয়া জনবাহী যান (বিএমপি ও এপিসি) উৎপাদন বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ গুণ, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ১২ দশমিক ৫ গুণ এবং রকেট আর্টিলারি অস্ত্র উৎপাদন বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ গুণ।

পুতিন আরও বলেন, এটি প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। একই সঙ্গে পুরো অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্থিতিশীল আর্থিক অবস্থান না থাকলে এমন অগ্রগতি সম্ভব হতো না।

তিনি জানান, বিশেষ সামরিক অভিযানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের একটি নতুন কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। যুদ্ধ চলাকালে লড়াইয়ের প্রকৃতি, ধরন ও পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় উৎপাদন ব্যয় কমানোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেন পুতিন। পাশাপাশি অস্ত্র পরীক্ষাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সক্রিয় ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পুতিন বলেন, অস্ত্র খাতে মোট ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকই ব্যয় করা হচ্ছে উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যবস্থার পেছনে, যা ভবিষ্যতের সশস্ত্র বাহিনীর রূপ নির্ধারণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনী, মহাকাশ সম্পদ, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, রিয়া নোভোস্তি জানায়, আগামী ২০২৭-২০৩৬ মেয়াদের জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র উৎপাদন কর্মসূচিতে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সংখ্যক অস্ত্র বা সরঞ্জামের চেয়ে। এই কর্মসূচি গত ১৭ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলাউসভ উপস্থাপন করেন।


গৃহযুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেই মিয়ানমারে ভোট

মিয়ানমারে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে জনগণ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ আর চরম মানবিক সংকটের মধ্যেই রোববার মিয়ানমারে হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটি এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে ঠেকিয়েছে।

নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সামরিক জান্তা ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর লড়াইয়ে বিপর্যস্ত মিয়ানমার।

এই সংঘাতের মধ্যেই চলতি বছরের মার্চে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবিক সংকট তীব্রতর হয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের ৫ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে অন্তত ২ কোটি মানুষের এখন জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি আর মুদ্রার মানের নজিরবিহীন পতনের ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।

অভ্যুত্থান পরবর্তী এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬ হাজার ৮০০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন ৩৬ লাখের বেশি মানুষ।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, আগামী বছর মিয়ানমারে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার মুখে পড়বে, যার মধ্যে ১০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির খাদ্য সংকট ও ক্ষুধার তথ্য গোপন করতে গবেষক ও ত্রাণকর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে জান্তা সরকার।

এরই মধ্যে জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমারে প্রয়োজনীয় ত্রাণের মাত্র ১২ শতাংশ তহবিল সংগৃহীত হয়েছে, যা দেশটিকে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ‘আন্ডার-ফান্ডেড’ বা চরম অর্থসংকটের অঞ্চলে পরিণত করেছে।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে শিশুরা। ডব্লিউএফপির তথ্য বলেছে, এ বছর মিয়ানমারে ৫ লাখ ৪০ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে পারে, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।

এছাড়া পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজনের শারীরিক বিকাশ পুষ্টির অভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

এক সময় এ অঞ্চলের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত মিয়ানমার এখন ধুঁকছে। চলতি মাসে বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশে ফিরতে পারে।

মূলত ভূমিকম্প পরবর্তী পুনর্গঠন কার্যক্রম এই প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। তবে মূল্যস্ফীতি এখনো ২০ শতাংশের উপরে।

অন্যদিকে, বিদ্যুতের তীব্র সংকটে ভুগতে থাকা মিয়ানমারে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে রাশিয়ার সঙ্গে একটি বড় বিনিয়োগ চুক্তি করেছে জান্তা সরকার, যা দেশটির জ্বালানি খাতে রুশ কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা

ডোনাল্ড ট্রাম্প
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ওয়াশিংটন ডিসিতে কেনেডি সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। নাম পরিবর্তনের খবর প্রকাশ হলে এই নামটি ফেডারেল আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং এটি এভাবে বদলানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছিলেন কেনেডি পরিবারের সদস্য জো কেনেডি।

জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসে ট্রাম্পের নাম যুক্ত করা নিয়ে মামলা করেছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির আইনপ্রণেতা জয়েস বিটি। মার্কিন আইনের অধীনে কেনেডি সেন্টারের বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত কয়েক জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার একজন বিটি। তিনি মামলায় দাবি করেছেন, নাম পরিবর্তনের উদ্যোগটি অবৈধ। কারণ কেন্দ্রের নাম পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। মামলায় বলা হয়েছে, নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত বোর্ড সভায় বিটি ফোনে যুক্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি আপত্তি জানাতে গেলে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে কেনেডি সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদ ভোটের মাধ্যমে এই পারফর্মিং আর্টস কেন্দ্রটির নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটিতে ট্রাম্পের বহু মিত্র বসে আছেন। কেনেডি সেন্টারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে বোর্ড অব ট্রাস্টিজে ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪ জন সদস্য এবং আইনের মাধ্যমে মনোনীত আরো ২৩ জন সদস্য রয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেনেডি সেন্টারের একাধিক বোর্ড সদস্যকে বরখাস্ত করে নিজের মিত্রদের নিয়োগ দেন। এরপর বোর্ড তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে এবং তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রেনেল বোর্ডের সভাপতি হন।


banner close