শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

হিজবুল্লাহর ১৫০টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:১৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:১০

হিজবুল্লাহর ১৫০টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গত শনিবার দুপুর থেকে গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত হামলা চালিয়ে তারা একেরপর এক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আইডিএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে যারা থাকেন, তাদের প্রায় সবার বাড়িতে অস্ত্র বা বিস্ফোরক রেখেছে হিজবুল্লাহ।

ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল ওর ভোলোজিনিস্কি টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমরা হিজবুল্লাহর মাটির ওপরের এবং ভূ-গর্ভস্থ স্থাপনাগুলো ধ্বংসের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’

‘যতদিন এসব স্থাপনার সবগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ কাজ চলবে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ।

পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও।

গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক।

বিষয়:

‘তৃতীয় বিশ্ব’ থেকে অভিবাসন চিরতরে বন্ধ করছেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে অভিবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, তার প্রশাসন এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করার জন্য কাজ করবে।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ জানান, তিনি ‘অ-নাগরিকদের’ জন্য সব ধরনের ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করবেন।

তিনি আরও জানান, ‘যারা দেশের শান্তি নষ্ট করে, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করবেন’ এবং ‘যে কোনো বিদেশিকে’ বহিষ্কার করবেন- যদি তারা ‘রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়, নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে, বা পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়’।

প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিতে এক ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, হামলায় একজন আফগান নাগরিক জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর ঠিক পরপরই ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে আমি তৃতীয় বিশ্বের সকল দেশ থেকে অভিবাসন প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে স্থগিত করব।’

একইসঙ্গে তিনি তার পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমলে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অনুমতি পাওয়া 'লাখো' মানুষের অনুমোদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকিও দেন।

তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ নন এমন সবাইকে বের করে দেওয়া হবে।’

ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন, আমেরিকান নন এমন সব নাগরিককে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধা দেওয়া বন্ধ করবেন।

পাশাপাশি, যেসব বিদেশি নাগরিক ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ হিসেবে বিবেচিত অথবা ‘পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না’, তাদের তিনি তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাবেন।

‘অবৈধ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এমন জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্য অর্জনে এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’, যোগ করেন ট্রাম্প।

তিনি বিষয়টিকে ‘রিভার্স মাইগ্রেশন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, পরিস্থিতির নিরসনে এই উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই।

পোস্টের শেষে মার্কিনিদের থ্যাংকসগিভিংয়ের শুভেচ্ছা জানান ট্রাম্প। তবে এটাও উল্লেখ করতে ভুলেননি, যে ‘যারা ঘৃণা, চুরি, হত্যা ও আমেরিকান মূল্যবোধের সঙ্গে যায় এমন সব কিছু ধ্বংসে লিপ্ত আছেন’, তাদের জন্য এই শুভেচ্ছা প্রযোজ্য নয় এবং ‘তারা খুব বেশিদিন এই দেশে থাকতে পারবেন না’, বলেও হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।


পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস

কয়েকজন হামাস যোদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী ও প্রতিরোধ সংগঠন হামাস গাজায় শক্তিশালীভাবে ফিরে এসেছে। এমনকি তারা এখন শক্তভাবেই পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে। দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ কথা স্বীকার করেছে।

প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নিরাপত্তা রিপোর্টগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, হামাস নিজেদের প্রতিষ্ঠান ও পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠনের মাধ্যমে গাজার প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। দখলদার সেনাবাহিনীর মতে, বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল-১৩ জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো মন্ত্রিসভার কাছে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে- হামাস গাজা উপত্যকায় তাদের প্রশাসনিক ও পুলিশি কাঠামো পুনর্গঠন করছে।

এসব পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও তথ্য অনুযায়ী, গাজার ২৫টি পৌরসভার মধ্যে ১৩টিই ইতোমধ্যে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করেছে; হামাসের অধীনস্থ পুলিশবাহিনীও পুনরায় মোতায়েন হচ্ছে ও অভ্যন্তরীণ চেকপোস্ট স্থাপন করছে।

এদিকে ‘আরব ৪৮’ নামক এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, হামাস গাজায় বিস্তৃত এলাকায় ‘প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে ফিরে এসেছে এবং তাদের সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে বিষয়টিকে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন দৈনিকটির মতে, গাজার নিরাপত্তাই মূলত এই পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ। গত মাসে অস্ত্রবিরতি স্থিতিশীল হওয়া ও ইসরায়েলি বাহিনী পিছিয়ে আসার পর আবারও হামাস সদস্যদের সেখানকার রাস্তায় দেখা যায়। তারা পুলিশ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে টহল দিচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের তৎপরতায় অপরাধ ও লুটপাটের হার কমে যাওয়াকে গাজার জনগণ স্বাগত জানাচ্ছে। এ বিষয়ে গাজা শহরের ব্যবসায়ী হাজিম সারুর বলেছেন, ‘আমরা নিরাপত্তার ভাঙন দেখেছি, যার সঙ্গে ছিল চুরি, দাঙ্গাবাজি ও আইনহীনতা। হামাস ছাড়া কেউ তা থামাতে পারে না, এ কারণেই মানুষ তাদের সমর্থন করে।’

এদিকে মিসর, কাতার ও তুরস্কের প্রতিনিধিদল গত ২৫ নভেম্বর কায়রোতে একত্রিত হয়, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য। এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি গাজায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ।

মিসরের গোয়েন্দা বিভাগের ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৈঠকটি মিসর ও তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার করার পথগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে আত্মসমর্পণকারী এবং নিরস্ত্র অবস্থায় থাকা দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি টিভির সংবাদে নৃশংস এই ঘটনার ফুটেজ দেখানো হয়।

ফুটেজে দেখা যায়, পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শহর জেনিনে সশস্ত্র ইসরায়েলি বাহিনী একটি ভবন অবরুদ্ধ করে আছে। সেখান থেকে দুই যুবককে বেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। তারা নিরস্ত্র ছিল - তাদের শার্ট তুলে বারবার সেটি দেখানোর চেষ্টা করছেন এবং মাটিতে শুয়ে পড়ে আত্মসমর্পণ করছেন।

এ সময় দখলদার বাহিনীর কয়েকজন সশস্ত্র লোক তাদের ঘিরে ধরে এবং খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুলিতে যে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন তারা হলেন, ২৬ বছর বয়সি মনতাসির আবদুল্লাহ এবং ৩৭ বছর বয়সি ইউসুফ আসাসা।

দখলদার বাহিনী বরাবরের মতোই দাবি করেছে, গুলি চালানোর পর ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তারা আত্মসমর্পণের পরও কেন গুলি চালানো হলো, সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। জেনিনের গভর্নর কামাল আবু আল-রুব এটিকে ‘ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ড’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তারা নিরস্ত্র ছিল এবং আত্মসমর্পণ করেছিল।

ফিলিস্তিনের যে জায়গা দখল করতে চায় ইসরায়েল

দখলকৃত পশ্চিমতীরে রোমান যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা দখলের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের একটি নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে। দখল করা হলে এটি হবে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমি দখল। পুরোনো পাথরে জমে থাকা ইতিহাসের মাঝে এই নতুন উত্তেজনার গন্ধ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

পশ্চিমতীরে রোমান যুগের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা দখলের কথা এমন এক সময় সামনে এলো যখন এই অঞ্চলে লাগামহীন সহিংসতা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক মহল ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের হামলা প্রায়শই হচ্ছে কোনো বাধা ছাড়াই, এবং অনেক ক্ষেত্রে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায়। ইসরায়েলের সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, তারা পশ্চিমতীরের সেবাস্তিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিতে চায়। স্থানটি প্রায় ৪৫০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত একটি রোমান যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।

‘পিস নাও’ নামের একটি বসতি-বিরোধী সংগঠন মনে করছে, গত ১২ নভেম্বর প্রকাশিত সরকারি আদেশেই দখল করতে চাওয়া জমির তালিকা দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ জানায়, এই দখলের উদ্দেশ্য একটাই—পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখল করে সেবাস্তিয়ার প্রত্নস্থলকে নিজেদের মতো সাজানো।

ধারণা করা হয়, সেবাস্তিয়ার ধ্বংসাবশেষের নিচেই ছিল প্রাচীন সামারিয়া রাজ্যের রাজধানী। খ্রিস্টান ও মুসলমান উভয়ই বিশ্বাস করেন যে জন দ্য ব্যাপটিস্টের সমাধিও এখানে আছে। এই বিষয়ে আপত্তি জানানোর জন্য ফিলিস্তিনিদের মাত্র ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।


হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হংকংয়ে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে পৌঁছেছে। গত বুধবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

দমকল কর্মীরা আজ শুক্রবার আবাসিক ওই বহুতল ভবনের শেষ ফ্ল্যাটগুলোতে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটটি আবাসিক ভবনের ওই কমপ্লেক্সে আগুন লাগার ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পর চারটি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ওই কমপ্লেক্সে প্রায় ২ হাজার ইউনিট রয়েছে।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। যার মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর ও ২৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে। যদিও এই নিখোঁজ লোকদের সঠিক সংখ্যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

সুয়েন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ভয়াবহ এই আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। আমি দেখলাম, পানি দিয়ে কয়েকটি ভবনকে আগুনের কবল থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে এই কাজটি ‘খুবই ধীর গতিতে’ চলছে।

শুক্রবার ঘটনাস্থলে থাকা এএফপি’র একজন প্রতিবেদক বলেন, ওয়াং ফুক কোর্টে আগুনের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। তবে ভবনের ভেতর থেকে এখনও মাঝে মাঝে স্ফুলিঙ্গ ও ঘন ধোঁয়া বের হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ আগুনের সূত্রপাতের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। বড় সংস্কারের অংশ হিসেবে ভবনগুলোর চারপাশে থাকা বাঁশের মাচা ও প্লাস্টিকের জালের বিষয়টিও তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হংকংয়ের দুর্নীতি দমন সংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজের তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে যে তারা অগ্নিকাণ্ডের স্থানে অবহেলার সঙ্গে ফোম প্যাকেজিং ফেলে দেওয়ার সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। সূত্র: বাসস


বই-ব্যাগ ছাড়াই স্কুলে ফিরছে গাজার শিশুরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কাঁধে ব্যাগ নেই; নেই বই বা ইউনিফর্ম। পরনে ছেঁড়া জামা আর জোড়াতালি দেওয়া প্যান্ট। তবু প্রতিদিন গাজা সিটির ভাঙা রাস্তায় হেঁটে হেঁটে অস্থায়ী স্কুলে যায় ১১ বছরের লাইয়ান হাজি।

যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে তার এই পথচলা যেন বেঁচে থাকার লড়াইয়ের মাঝেও আশার আলো খোঁজার যাত্রা।

লাইয়ান বলে, ‘অন্তত আধা ঘণ্টা কষ্টকরে হাঁটতে হয়। চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তূপ। খুব মন খারাপ হয়। তবু আবার পড়াশোনা করতে পেরে আমি খুশি। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।’

গাজা সিটি থেকে এএফপি জানায়, দু’বছর ধরে চলা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের পর গাজার শিশুদের জন্য ফের কিছু স্কুল খুলেছে। আল-লুলুয়া আল-কাতামি স্কুলে লায়ানের মত প্রায় ৯শ’ শিক্ষার্থী পড়াশোনা শুরু করেছে।

তবে এই স্কুল এখন আর আগের সেই স্কুল নেই। দেয়াল ও করিডোরে কোন রঙ নেই, নেই রং-বেরংয়ের আঁকিবুকিও। ভাঙা স্কুলভবনের ভেতরে টাঙানো তাঁবুই এখন তাদের শ্রেণিকক্ষ।

লাইয়ান জানায়, ‘বই নেই, খাতাও নেই। বোমা হামলায় লাইব্রেরি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

এক মাস আগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এবং গাজার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলি সোদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা এলাকাগুলোর শিশুরা ধীরে ধীরে স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে।

১৬ বছরের সাঈদ শেলদানও স্কুলে ফিরতে পেরে আনন্দিত। কিন্তু লায়ানের মত তার কাছেও কোন শিক্ষা উপকরণ নেই। নেই চেয়ার-টেবিল, বিদ্যুৎ কিংবা পানিও।

সে জানায়, ‘প্রতিদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে পানি সংগ্রহ করতে হয় এবং রুটির জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়।’

যুদ্ধের মধ্যে শেলদানের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ বার বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। বর্তমানে তাদের আর কোন বাড়ি নেই।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ৫০ বছর বয়সী ইমান আল-হিনাওয়ি আশা করছেন খুব শিগগিরই বিনামূল্যে বই ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবেন।

তবে আক্ষেপ করে জানান, যুদ্ধে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী নিহত হওয়ার কারণে গাজার অনেক শিশু ‘কঠোর শ্রম’ করতে বাধ্য হচ্ছে।

জাতিসংঘ যেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছিল, সেই অঞ্চলের শিশুরা এখনও ‘কাঠ কুড়ায়, পানি সংগ্রহ করে, এমনকি খাবারের জন্য লাইনেও দাঁড়ায়।’

এএফপি সংবাদদাতারা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন, প্লাস্টিকের বালতি, পুরনো হাঁড়ি কিংবা শুধু প্লেট হাতে অসংখ্য শিশু ভীড়ের মধ্যে কান্না আর চিৎকার করতে করতে তাদের পরিবারের জন্য খাবার সংগ্রহ করছে।

যদিও শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে স্কুলে নতুন শিক্ষণ পদ্ধতি চালু হয়েছে। পড়ানো হচ্ছে খেলাধুলার মাধ্যমে। মেয়েরা নাচের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে গণিত সমাধান করছে। কেউবা অভিনয় করে কবিতা আবৃত্তি করছে।

স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়সাল আল-কাসাস বলেন, শিশুরা সবসময়ই রুটি ও পানির সংগ্রহের লাইনের চিন্তায় মগ্ন থাকে।

গাজার ৯৭ শতাংশ স্কুল কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সেগুলোর বেশিরভাগেরই পুনর্নির্মাণ বা বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।

এসব স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বহু ফিলিস্তিনি ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের দাবি, হামাস যোদ্ধারা এসব স্থাপনায় লুকিয়ে ছিল।

স্কুলগুলো মূলত আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন ইউএনআরডব্লিউএ সেখানে অস্থায়ী শিক্ষাকেন্দ্র খুলেছে।

গত মাসে সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানান, ইতোমধ্যে ২৫ হাজার শিশু পড়াশোনা শুরু করেছে। আরও তিন লাখ শিশু অনলাইনে ক্লাস করবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গাজায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত লাখ ৫৮ হাজারেরও বেশি।

দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় আন্তর্জাতিক সহায়তা ও স্থানীয় উদ্যোগে শিশুদের স্কুলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

‘এডুকেশন অ্যাবাব অল ফাউন্ডেশন’ নামে কাতার ‘রিবিল্ডিং হোপ ফর গাজা’ কর্মসূচি চালু করেছে। এতে ১ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্কুল নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ, ইন্টারনেট ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা এবং মানসিক সহায়তা দেওয়া। তবে আল-মাওয়াসির একটি স্কুলে আপাতত আরবি, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এই চার বিষয় পড়ানো হচ্ছে।

ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হাযেম আবু হাবিব বলেন, ‘প্রাথমিক কোর্স দিয়ে শুরু হলেও আমরা যত বেশি সম্ভব শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনতে চাই।’

যুদ্ধের আগে গাজা নিরক্ষরমুক্ত ছিল। আর এখন শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে পড়েছে।


বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি জাতিসংঘের কৃতজ্ঞতা

শান্তি রক্ষার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার পাঠানো ধন্যবাদ বার্তায় জাতিসংঘ জানায়, ‘বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তা বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের সাতটি শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তির জন্য কাজ করছেন, যারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের সুরক্ষার জন্য তাদের নিজ পরিবারকে পেছনে ফেলে যাচ্ছেন। আমরা এই সাহসী নারী ও পুরুষদের তাদের সেবা ও ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

জাতিসংঘ বলছে, ‘১৯৪৮ সাল থেকে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বিশ্বজুড়ে হটস্পটগুলোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসাবে কাজ করেছে, যার মধ্যে আজ ৬৫ হাজারেরও বেশি দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।’

‘তারা যুদ্ধ-ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নত ভবিষ্যতের আশা প্রদান করে এবং তারা প্রায়শই অত্যন্ত ব্যক্তিগত ঝুঁকিতে এবং খুব কঠোর পরিস্থিতিতে এটি করে, তাদের পরিবারকে তাদের মাতৃভূমি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে রেখে যায়। জাতিসংঘের পতাকার নিচে কাজ করে ৪ হাজার ৪০০ জনেও বেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন।’

জাতিসংঘ আরও জানায়, ‘জাতিসংঘের নিজস্ব কোনও পুলিশ বা সামরিক বাহিনী নেই। এটি তার শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদানের রাখার জন্য জাতিসংঘের পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা ১০০টিরও বেশি সৈন্য এবং পুলিশ প্রেরণকারী দেশ থেকে এসেছে। তবে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতা প্রদানে সহায়তা করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ। সম্মিলিতভাবে তারা প্রতিদিন সাহস এবং সহানুভূতির কাজ করেন।’

আন্তর্জাতিক এই সংস্থা আরও বলছে, ‘তাদের নিয়মিত বাধ্যতামূলক কার্যক্রমের বাইরেও যেমন- বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা— শান্তিরক্ষীরা প্রায়শই বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পশুদের চিকিৎসা ও যত্ন করছে। পানি সরবরাহের মতো মানবিক প্রচেষ্টা পরিচালনা করে, স্কুল এবং এতিমখানাগুলোকে সহায়তা করা, রাস্তা এবং সেতু এবং অন্যান্য মূল অবকাঠামো তৈরি করা— যা সম্প্রদায়কে উপকৃত করে এবং মানুষকে একত্রিত করে।’

‘জাতিসংঘ সব শান্তিরক্ষীদের সেবা ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানায় এবং সামরিক ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে আমাদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সরবরাহকারী সমস্ত দেশের অবদানের প্রশংসা করে। তাদের সেবা ও ত্যাগের পাশাপাশি সাহস ও করুণার কাহিনি শোনার মতো।’


নির্বাচনের আগেই সাড়ে ৮ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে জান্তা সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা আগামী মাসের নির্বাচনের আগে সেনাশাসনের বিরোধিতার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৮ হাজার ৬৬৫ জনকে ক্ষমা বা মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে মুক্তি দিচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণায় বলা হয়, মুক্তি পাচ্ছেন এমন বন্দীরা আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ভোটকে আগেই ‘প্রহসন’ বলে সমালোচনা করেছে।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানে জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই জান্তা ডিসেম্বর থেকে ভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশে ‘স্বাভাবিক অবস্থা’ ফিরছে। আদেশে বলা হয়েছে, ‘ভয় সৃষ্টি বা ভুয়া তথ্য ছড়ানোর’ অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ৩ হাজার ৮৫ জনের শাস্তি কমানো হচ্ছে। পলাতক আরও ৫ হাজার ৫৮০ জনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি কিংবা কবে তাদের মুক্তি কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়।

ক্ষমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগে বুধবার জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ভোটের দিন ২৮ ডিসেম্বর যাতে সব যোগ্য ভোটার ‘স্বাধীনভাবে ও ন্যায়সংগতভাবে’ ভোট দিতে পারেন, সে জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, বন্দি মুক্তির কাজ অবিলম্বে শুরু হবে। তবে কাদের মুক্তি দেওয়া হবে, সেই তালিকা তিনি দেননি। অতীতে এমন ক্ষমা ঘোষণায় মুক্তির প্রক্রিয়া কয়েক দিন ধরে চলেছে।

সকালে ইনসেইন কারাগারের সামনে কয়েক ডজন মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তারা বন্ধু-পরিজনদের নিতে এসেছেন—যারা এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি পাচ্ছেন। বহু দশক ধরে এই কারাগার রাজনৈতিক বন্দীদের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

তবে ৮০ বছর বয়সি গণতন্ত্রনেত্রী অং সান সু চি মুক্তি পাচ্ছেন কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। সামরিক অভ্যুত্থানের পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কার্যত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। সমালোচকেরা বলছেন, দেশে স্বাধীন গণমাধ্যম না থাকা ও অং সান সু চির বিলুপ্ত ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দলের অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করার কারণে এই নির্বাচন নিঃসন্দেহে ‘মুক্ত ও সুষ্ঠু’ হবে না।

মানবাধিকার সংগঠন বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের পরিচালক মার্ক ফার্মানার এক্সে লিখেছেন, ‘বন্দিদের জন্য অবশ্যই এটা দারুণ খবর।’ তবে তার ভাষায়, ‘প্রত্যাশিতভাবেই জান্তা রাজনৈতিক বন্দীদের জনসংযোগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে—নির্বাচনের আগে ভুয়া সংস্কারের গল্প বানানোর জন্য।’

স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স বলছে, পর্যন্ত দেশটিতে রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৭০৮ জন। তাদের মধ্যেই রয়েছেন অং সান সু চি।


বন্যা-ভূমিধসে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা, নিহত ৩১

শ্রীলঙ্কায় বন্যা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

টানা ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং আরও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের বরাতে স্থানীয় ইংরেজি সংবাদপত্র ডেইলি মিরর জানিয়েছে, ১৭ নভেম্বর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যার পানি বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে। এতে ১৭টি জেলার ৪ হাজারের বেশি পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বাত্তিকালোয়া জেলায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা বছরের এক সময়ের জন্য সর্বোচ্চ।

লঙ্কান সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) পূর্বে দেশের কেন্দ্রীয় প্রদেশের চা উৎপাদনকারী পাহাড়ি অঞ্চল বাদুল্লা এবং নুওয়ারা এলিয়া জেলায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই এলাকায় ভূমিধসের কারণে আরও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক জলাধার এবং নদী উপচে পড়ছে, যার ফলে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রদেশগুলোকে সংযুক্তকারী কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বাদুল্লা এবং নুওয়ারা এলিয়াসহ ৮টি পাহাড়ি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে। এসব জেলার বাসিন্দাদের উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, একটি নিম্নচাপের প্রভাবে দেশটির বেশিরভাগ এলাকায় প্রবল বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানায়, রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে দেশের মধ্য প্রদেশের চা উৎপাদনকারী পার্বত্য অঞ্চলেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার একই অঞ্চলে ভূমিধসে আরও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

গত সপ্তাহ থেকে দেশটি তীব্র আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ঘর-বাড়ি, ক্ষেত এবং রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে গেছে। অনেক জলাধার এবং নদী উপচে পড়েছে, যার ফলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রদেশগুলোকে সংযুক্ত করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় রেল লাইন বন্যায় প্লাবিত করেছে।

স্থানীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, কলম্বো থেকে প্রায় ৪১২ কিলোমিটার পূর্বে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আমপাড়ার কাছে নৌবাহিনীর উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এই তীব্র আবহাওয়া প্রায় ৪ হাজার পরিবারকে প্রভাবিত করেছে।


ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১০ লাখ ডলার জরিমানার নির্দেশ আদালতের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক’ মামলা দায়ের করায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সাবেক আইনজীবী আলিনা হাবাকে ১০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। একটি ফেডারেল আপিল আদালত এই জরিমানা বহাল রেখেছে, জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আদালত মন্তব্য করেছে, প্রেসিডেন্ট ও তার আইনজীবী হিলারি ক্লিনটনসহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ ফ্রিভোলাস বা ভিত্তিহীন।

এর আগে ২০২৩ সালে একটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টও একই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল এবং জানিয়েছিল, মামলা করা হয়নি ন্যায্য উদ্দেশে। আপিল বেঞ্চের রায় অনুযায়ী, ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট জরিমানা আরোপে কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি এবং প্রেসিডেন্টের আইনগত যুক্তি দুর্বল ছিল। রায়টি লিখেছেন প্রধান বিচারপতি উইলিয়াম প্রাইয়ার জুনিয়র, সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দুই সহনির্ধারক বিচারপতি অ্যান্ড্রু ব্রাশার ও এম্ব্রি কিড।

প্রেসিডেন্টের আইনজীবী দলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা ‘ন্যায্য ও সঠিক ফল পর্যন্ত’ অনুসরণ করবেন।

আলিনা হাবা, যিনি ট্রাম্পের ইলেকশন-পূর্বকালীন আইনজীবী ছিলেন, পরে নিউ জার্সির ভারপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যাটর্নি হিসেবে নিয়োগ পান। তবে এই বছরের আগস্টে এক ফেডারেল বিচারক বলেছেন, হাবা বৈধ ক্ষমতা ছাড়াই দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ট্রাম্প একদল ডেমোক্র্যাট ও সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কমিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে তার সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশের মিথ্যা কাহিনী তৈরি করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ওই মামলা ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট খারিজ করে দেন এবং ট্রাম্প ও হাবা ও তাদের আইন প্রতিষ্ঠানকে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৯ ডলার জরিমানা করা হয়। বিচারকের মন্তব্য ছিল, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা একটি ভিত্তিহীন মামলা।


’ইসরায়েলি আগ্রাসন কখনোই ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলতে পারবে না’

আবদেলমাজিদ তেববুনে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় মানুষের জীবনকে অসম্ভব করে তোলার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেববুনে। তবে তিনি এও বলেছেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন কোনোভাবেই ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলতে পারবে না।

আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের বার্তা পড়ে শোনান দেশটির মুজাহিদিন ও অধিকারভোগীদের মন্ত্রী আবদেলমালেক তাশেরিফত।

বার্তায় তেববুনে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার আইনের মৌলিক নীতিমালা স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করছে।’

তিনি আরও জানান, গাজায় জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার পাশাপাশি ইসরাইল পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করছে।

তেববুনে বলেন, ‘ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন ফিলিস্তিনকে মুছে দিতে পারবে না।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েল এটি করতে চায় গাজার অবকাঠামো ধ্বংস করে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা টার্গেট করে, অবরোধ ও খাদ্যসংকট চাপিয়ে দিয়ে, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে এবং হামলা চালিয়ে।’

ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মানাতে বাধ্য করতে, গাজার অবরোধ সম্পূর্ণভাবে তুলে নিতে এবং সব সীমান্ত পথ খুলে দিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তেববুনে আবারও আলজেরিয়ার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনের ভাইদের প্রতি আলজেরিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে। তারা পূর্ণ সার্বভৌমত্ব ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এবং জেরুজালেম রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আলজেরিয়া সব রকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’


সুস্থ আছেন ইমরান খান: কর্তৃপক্ষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারাগার থেকে সরিয়ে নেওয়া ও তার মারা যাওয়ার খবরকে গুজব ও ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দিয়েছে দেশটির আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ।

গুজবে বলা হচ্ছিল, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতাকে কারাগার থেকে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

তবে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের বরাত দিয়ে আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তিনি এখনও আদিয়ালা কারাগারেই আছেন এবং সুস্থ আছেন।

রাওয়ালপিন্ডি কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আদিয়ালা জেল থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি পুরোপুরি সুস্থ এবং পূর্ণ চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন।’

কর্মকর্তারা আরও বলেন, তার স্বাস্থ্য নিয়ে যে জল্পনা চলছে, তা ‘ভিত্তিহীন।’ পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সুস্থতা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও তারা জানায়।

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে থাকা ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর পর দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার মুখোমুখি। ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা কারাগারে আগের তুলনায় অনেক আরাম পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘তার জন্য যেসব খাবার আসে, সেগুলো পাঁচতারা হোটেলেও মেলে না।’

আসিফ আরও বলেন, তার কাছে টেলিভিশন আছে এবং তিনি ইচ্ছেমতো যেকোনো চ্যানেল দেখতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘তার জন্য ব্যায়াম করার মেশিনও আছে।’

এ পরিস্থিতির তুলনা করতে গিয়ে তিনি নিজের কারাবাসের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমাতাম, কারাগারের খাবার খেতাম, জানুয়ারিতে গরম পানি ছাড়াই মাত্র দুটি কম্বল ছিল।’ তখনকার সুপারিনটেনডেন্ট আসাদ ওয়ারাইচ তাঁর সেল থেকে গিজার খুলে নিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও দাবি করেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে ডাবল বেড এবং ‘মখমলের গদি’ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তার উচিত জেলের লাউডস্পিকারে তার ওয়াশিংটন অ্যারেনা বক্তৃতা শোনা।’তিনি আরও বলেন, ‘খোদাকে ভয় করো—সময় কারও হাতে থাকে না।’

এদিকে ক্ষমতাসীন জোটের মূল পক্ষ পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গতকাল বুধবার দাবি করেন, ‘যারা ইমরানকে ক্ষমতায় এনেছিল, তারাই বড় অপরাধী।’

উপনির্বাচনে জয়ী আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ইমরান খান একমাত্র অপরাধী ছিলেন না। যারা তাকে ক্ষমতায় এনেছিল, তারা আরও বড় অপরাধী, এবং তাদের সম্পূর্ণ জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’

২০২৪ সালের নির্বাচনের পর পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের মাধ্যমে পিএমএল-এন ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ সাধারণত নিম্ন প্রোফাইলে ছিলেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পিটিআই দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠে। মোট ২৭০টি জাতীয় পরিষদ আসনের মধ্যে ১১৫টি পায় তারা।


ভারত–চীন সম্পর্কে আবারও ফাটল

অরুণাচল প্রদেশের ভারত–চীন সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নারীকে চীনের সাংহাই বিমানবন্দরে আটক ও হয়রানির অভিযোগ ঘিরে আবারও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভারত–চীন সম্পর্কে। চীন বরাবরই অরুণাচলকে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ বা ‘জাংনান’ বলে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে, আর ভারত বলে— এটি তাদেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দীর্ঘদিনের এই বিরোধের মধ্যেও সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু নতুন ঘটনাটি আবার আলোচনায় এনেছে পুরোনো দ্বন্দ্ব।

কী ঘটেছে?

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা প্রেমা ওয়াংজম থংডক যুক্তরাজ্য থেকে জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে ট্রানজিটে ছিলেন। সেখানে তার পাসপোর্টে জন্মস্থান হিসেবে অরুণাচল প্রদেশ লেখা থাকায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নাকি তাকে ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখে এবং হয়রানি করে।

তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন পেরোনোর পর এক কর্মকর্তা তাকে আলাদা করে নিয়ে জানান— অরুণাচল প্রদেশ নাকি চীনের অংশ, তাই তার ভারতীয় পাসপোর্ট ‘অবৈধ’। পাল্টা যুক্তিতে থংডক বলেন, অরুণাচল ভারতেরই অংশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাকে চীনা ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের নতুন টিকিট কিনতে চাপ দেওয়া হয়েছিল, নইলে পাসপোর্ট ফেরত না দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এতে তার আর্থিক ক্ষতিও হয়।

পরে যুক্তরাজ্যে থাকা এক বন্ধুর চেষ্টা ও সাংহাইয়ে ভারতীয় কনসুলেটের সহায়তায় তিনি সেদিন রাতেই শহর ছাড়তে সক্ষম হন। গত অক্টোবর মাসে একই বিমানবন্দর দিয়ে তিনি নির্বিঘ্নে যাতায়াত করেছিলেন— এবার আচরণ বদলে গেল কেন, তা পরিষ্কার নয়।

আগে কি এমন ঘটনা ঘটেছে?

হ্যাঁ। ২০০৫ সাল থেকে চীন অরুণাচল প্রদেশের মানুষকে ‘স্ট্যাপলড ভিসা’ দিতে শুরু করে— অর্থাৎ পাসপোর্টে সিল মারার পরিবর্তে আলাদা কাগজে ভিসা দিত। কারণ হিসেবে তারা বলে, ওই অঞ্চলের মানুষকে তারা চীনা নাগরিক মনে করে। ভারত কখনোই এ ধরনের ভিসা মানেনি। এর জেরে বিভিন্ন সময়ে খেলোয়াড়রা চীনে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি।

বিরোধের মূল উৎস কোথায়?

বিরোধের সূত্র উপনিবেশিক আমলে। ১৯১৪ সালের সিমলা কনভেনশনে ব্রিটিশ ভারত, তিব্বত ও চীনের মধ্যে ম্যাকমোহন লাইন নির্ধারণ করা হয়। চীনা প্রতিনিধি চুক্তিতে সই না করায় চীন এই সীমা স্বীকার করেনি। আর ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই এটিকে বৈধ সীমান্ত বলে ধরে আসছে। এখন বেইজিং পুরো অরুণাচলকেই দাবি করছে।

ইতিহাসে কী ধরনের সংঘাত ঘটেছে?

অরুণাচল বহুদিন ধরেই দুই দেশের উত্তেজনার কেন্দ্র। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের একটি ফ্রন্ট এখানেই ছিল। ১৯৭৫ সালে তুলুং লায় সংঘর্ষে চার ভারতীয় সেনা নিহত হন। আর ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে দুই দেশেরই সেনা হতাহত হয়। দালাই লামার সফর, সীমান্তে হাতাহাতি, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প— এসব নিয়েও উত্তেজনা দেখা গেছে।

কেন এই অঞ্চল এত গুরুত্বপূর্ণ?

ভারতের জন্য অরুণাচল প্রদেশ ভূরাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত কৌশলগত। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগে এটি বড় ভূমিকা রাখে এবং মিয়ানমার ও ভুটান সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি সংবেদনশীল। চীনের কাছে তাওয়াং ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ— এখানে ষষ্ঠ দালাই লামার জন্ম হয়েছিল— তাই বেইজিং দাবি ছাড়তে নারাজ।

দুই দেশের প্রতিক্রিয়া

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাংনান যেহেতু তাদের ভূখণ্ড, তাই তারা আইন অনুযায়ীই ওই নারীর সঙ্গে আচরণ করেছে এবং আটক বা হয়রানির অভিযোগ সত্য নয়। ভারত পাল্টা জানিয়েছে, অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং চীনের বক্তব্য বাস্তব পরিবর্তন করতে পারে না। এছাড়া তারা অভিযোগ করেছে, চীন ট্রানজিট সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করেছে।

সম্পর্ক এখন কোন অবস্থায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না। গালওয়ান সংঘর্ষের পর জমাট বাধা সম্পর্ক গত এক বছরে কিছুটা উন্নতির দিকে ছিল— উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও সেনা প্রত্যাহার তার প্রমাণ। তবে পারস্পরিক সন্দেহ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখনো রয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে দ্বন্দ্ব কেন

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকেই অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত–দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সিমলা কনভেনশনের সময় ১৯১৪ সালের মার্চ মাসে ম্যাকমোহন লাইন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ওই কনভেনশন নিয়ে আলোচনায় যুক্ত ছিল তিব্বত, চীন ও ব্রিটিশ শাসকেরা।

নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বেশ দ্বন্দ্বপূর্ণ ছিল। গত বছর তা নরম হয়েছে।

আলোচনায় ব্রিটেনের পক্ষ থেকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন হেনরি ম্যাকমোহন। তার নামেই ম্যাকমোহন লাইন নামকরণ করা হয়েছে। সিমলা কনভেনশনের আলোচনায় চীনের প্রতিনিধিরা অংশ নিলেও মূল চুক্তিতে সই করেননি তারা। বেইজিংও ম্যাকমোহন লাইনের স্বীকৃতি দেয়নি।

যাই হোক, চীনের আপত্তির পরও এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাকমোহন। তিব্বতের সঙ্গে ভারতবর্ষের একটি সীমানা তৈরি করেন। তবে চীন অভিযোগ করেছে, ভারতের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই তিব্বতের। ১৯৫১ সালে তিব্বত দখলের পর বেইজিংয়ের এই অভিযোগ আরও জোরালো হয়।

এ ছাড়া পুরোনো কিছু মানচিত্রও তুলে ধরে চীন। এর মধ্যে ব্রিটিশদের তৈরি মানচিত্রও ছিল। সেখানে ম্যাকমোহন লাইনের দক্ষিণের ভূখণ্ডগুলো চীনের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরই মধ্যে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। তখন থেকেই ম্যাকমোহন লাইনকে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বলে বিবেচনা করে আসছে নয়াদিল্লি।

দশকের পর দশক ধরে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং নামে পরিচিত একটি অংশকে নিজেদের বলে দাবি করত চীন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুরো রাজ্যটিকেই নিজেদের বলে দাবি করছে দেশটি। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সিগুর সেন্টার ফর এশিয়ান স্টাডিজের গবেষক রাজ ভার্মা বলেন, ২০১২ সালে সি চিন পিং চীনের প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মূলত উত্তেজনাটা বেড়েছে।


হংকংয়ে ৬৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হংকংয়ে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে শুরু হওয়া আগুন কয়েকটি উঁচু ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে। হংকংয়ের তাই পো এলাকার এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখনো নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভেতরে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

বুধবার দুপুরে আগুন লাগার ১৬ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভোরে কর্মকর্তারা জানান, আগুনে আক্রান্ত সাতটি ভবনের মধ্যে চারটিতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে বাকি তিনটিতে এখনো কাজ চলছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে (জিএমটি ০৬:৫১) হংকংয়ের তাই পো এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। আগুনের সূত্রপাত হয় ভবনের বাইরের বাঁশের মাচায়। ভবন সংস্কারের সময় যে বাঁশ ব্যবহার করা হয়, সেই মাচা খুব সহজেই দাহ্য। মাচায় আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে উপরের দিকে, তারপর ভবনের ভেতরে এবং কাছের অন্যান্য টাওয়ারে।

ভবনগুলো চারদিকে সবুজ রঙের নির্মাণ-নেট দিয়ে ঢাকা ছিল। এটি ছাদ পর্যন্ত টানানো থাকায় এই নেট আগুনে পুড়ে দ্রুত তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এটি হংকংয়ের অন্তত আগস্ট ১৯৬২ সালের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড। ওই বছর শাম শুই পো এলাকায় ভয়াবহ আগুনে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

পরে ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে কোলউনের নাথান রোডের গারলি বিল্ডিংয়ে আগুনে ৪১ জনের মৃত্যু এবং ৮১ জন আহত হয়।

১৯৮৩ সালে নির্মিত এই কমপ্লেক্সে মোট আটটি উঁচু ভবন রয়েছে, যেখানে ১,৯৮৪টি ফ্ল্যাট আছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর মধ্যে সাতটি ভবনে আগুন ছড়ায়। চারটি ভবনে আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।

জানা গেছে, সোমবার থেকেই হংকংয়ে অগ্নিসতর্কতা জারি ছিল।

অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি ছিল অত্যন্ত বেশি।


ঢাকার অনুরোধ খতিয়ে দেখছে দিল্লি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে লেখা চিঠির জবাব এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দিল্লি এত তাড়াতাড়ি উত্তর দেবে– এটা তিনি আশা করেন না বলেও উল্লেখ করেছেন। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে গতকাল দিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বিচারিক এবং অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।

কোন প্রক্রিয়ায় ভারতে চিঠি পাঠানো হয়েছে– এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘নোট ভারবাল (কূটনৈতিক পত্র) আমাদের মিশনের মাধ্যমে ওদের (ভারতের) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনো উত্তর আসেনি। এত তাড়াতাড়ি উত্তর আশাও করি না আমরা।’ উত্তর তাড়াতাড়ি আশা করেন না কেন– এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি উত্তর… আমি তো আগের চিঠিরই উত্তর পাইনি এখনও। কাজেই এটা একেবারে কালকে বা এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দিয়ে দেবে, আমি প্রত্যাশা করি না। তবে আমরা আশা করি, এটার উত্তর আমরা পাব। এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর এসে যাবে– এটা আমি প্রত্যাশা করি না।’ চিঠিতে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বলেছি, যেহেতু তাঁকে বিচারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, কাজেই তাঁকে যেন ফেরত দেওয়া হয়।

গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে। দণ্ডিত হওয়ার পর দুজনকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২৪ সালের ২০ এবং ২৭ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

নির্বাচনে ভারতীয় পর্যবেক্ষক ইসির বিষয় নির্বাচনে ভারতীয় পর্যবেক্ষক আসতে চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা– জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটাতে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি যারা আসবে, তাদের কোনো সহায়তা আমরা করব না, যদি না নির্বাচন কমিশন আমাদের বলে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের বিষয়ে পশ্চিমা চাপ নেই

জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, আগামী নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য পশ্চিমাদের কোনো চাপ অনুভব করছে না সরকার।

এয়ারবাস কেনার বিষয়ে কোনো চাপ নেই
এয়ারবাসের উড়োজাহাজ না কেনায় ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি মনে করি না এই বাণিজ্যিক একটি সমঝোতার ওপরে আমাদের সার্বিক সম্পর্ক নির্ভরশীল হবে। অবশ্যই জার্মানির রাষ্ট্রদূত চেষ্টা করবেন, যেন তাঁর দেশের যে ব্র্যান্ড আছে, সেটা বিক্রি হয়। এটা স্বাভাবিক, এটা তাঁর দায়িত্ব। আমি মনে করি, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু আমি একেবারে মনে করি না যে, একটা বাণিজ্যিক সমঝোতা, যেটা বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তাতে করে আমাদের জন্য কোনটা সুবিধা হবে– সেটা আমাদের বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না যে, বিশেষজ্ঞদের মতামতের বাইরে গিয়ে একজন রাষ্ট্রদূত বা অন্যরা কী বলবেন, সেটার ভিত্তিতে এটা কেনা হবে। এয়ারবাস কেনার ক্ষেত্রে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা– জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমি অন্তত অনুভব করছি না। বাকিটুকু যিনি কিনবেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন।

বাংলাদেশের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত
দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, চলমান বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর অনুরোধটি (ঢাকার চিঠি) পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আমরা শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি, স্থিতিশীলতাসহ বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা অব্যাহতভাবে সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।


banner close