সম্প্রতি ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলায় কয়েকজন নিহত হন। এ ঘটনার পর পাকিস্তানকে হুমকি দেয় ভারত। ভারতের হুমকির প্রতিবাদে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে)-সহ পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। খবর জিও নিউজের।
ওই হামলার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এ ছাড়া ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও।
এদিকে পাকিস্তানে স্থানীয় একটি দলের ডাকা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আজমল বালুচ নামের একজন ব্যবসায়ী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ভারত যদি যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে প্রকাশ্যে এগিয়ে আসুক।’ আজমল এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলসহ ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ নানা হুমকির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২৫ বছর বয়সি মুহাম্মদ ওয়াইস বলেন, ‘পানি আমাদের অধিকার এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এটি পুনরুদ্ধার করব। এমনকি যদি এর জন্য যুদ্ধের মাধ্যমেও কিছু করতে হয়, আমরা পিছু হটব না।’ ভারতবিরোধী স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মুজাফ্ফরাবাদের মূল শহরেও মিছিল হয়।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনিয়র নেতা জাভেদ মীর বলেছেন, ‘ভারত যদি আক্রমণ করার মতো ভুল করে, তাহলে পাকিস্তানি কাশ্মীরিরা সামনের সারিতে লড়াই করবে। আমরা পাকিস্তানের জন্য মরতে প্রস্তুত।’ এ ছাড়া বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায়ও বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভারত-শাসিত কাশ্মীরের একটি পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় এক নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন নিহত হন। ভারত সরকার এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ এ দাবি তীব্রভাবে অস্বীকার করে এবং ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ হিসেবেও অভিহিত করেছে। হামলার পরদিন বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় ভারত।
ভারতের পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বুধবার বেশ কয়েকটি পালটা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পালটাপালটি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যা হয়তো সামরিক সংঘাতে গড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতকে হুঁশিয়ারি আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রীর
আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত যদি পাকিস্তানে কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেবে। গত বৃহস্পতিবার আজাদ কাশ্মীরের আইন সভায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সীমান্ত অতিক্রম করে যদি ভারত কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেবে।
আনোয়ারুল হক বলেন, ‘ভারতের সাহস নেই পাকিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘনের। কিন্তু যদি করে, তাহলে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়বে।’ তিনি ভারতের কূটনৈতিক আচরণকে চাণক্য নীতি- অর্থাৎ ‘কূটনীতির আবরণে ছুরি মারা’ বলেও আখ্যা দেন। তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে ভারত যে গল্প বলছে, তা ভুয়া। ইতোমধ্যে ধরা পড়ে গেছে।
আনোয়ারুল হক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারত কোনো তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করে আজাদ কাশ্মীরকে অস্থির করতে চাইতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ভারত যদি এমন কোনো দুঃসাহস দেখায়, তাহলে উপযুক্ত জবাব পাবে।’
আজাদ কাশ্মীরের এই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভারত এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ‘পানি আগ্রাসন’ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পুঁছ ও নীলম নদীর প্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কাজ শুরু করেছে ভারত। এগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। ’
মোদি সরকারের সন্ত্রাসের চেহারা বিশ্ব চিনে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন আনোয়ারুল হক। তিনি বলেন, ‘কানাডা থেকে শুরু করে কাশ্মীর পর্যন্ত মোদির ভারত রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে সন্ত্রাসকে বেছে নিয়েছেন। বিশ্ব আজ তা বুঝে ফেলেছে।’
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে হক বলেন, আজাদ কাশ্মীরের পতাকার পেছনে শক্তি হচ্ছে পাকিস্তান। আমরা যে স্বাধীনতা উপভোগ করি, তা ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে নেই। আমি আমাদের লাইন অব কন্ট্রোলের ওপারের ভাই-বোনদের পাশে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ভারত লাইন অব কন্ট্রোল লঙ্ঘন করে, তাহলে জাতিসংঘ সনদের আওতায় পাকিস্তান পালটা জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে।’ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘পাকিস্তান একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। ভারতসহ কোনো দেশই আমাদের সীমান্ত লঙ্ঘনের সাহস করবে না। আমরা সব সময় প্রস্তুত।’
নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলি
ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার তৃতীয় দিনের মাথায় পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির খবর দিয়েছে এনডিটিভি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় চৌকি লক্ষ্য করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অনুমাননির্ভর গুলির পাল্টায় ভারতীয় সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে।
সামরিক সূত্র বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘কার্যকর জবাব’ দিয়েছে এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এক সূত্র এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘গত রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের তরফে ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই গুলির কার্যকর জবাব দেওয়া হয়েছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার কয়েক দিন পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে।
তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আজ রোববার (১৫ জুন) তেহরান দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দূতাবাস ইমার্জেন্সি হটলাইন স্থাপন করেছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নিম্নোক্ত মোবাইলফোন নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপসহ সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
+ ৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ এবং +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫।
ইরানের ভেতরে একটি গোপন ড্রোন তৈরির কারখানা স্থাপন করেছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। একাধিক গোয়েন্দা সূত্র থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। সেখান থেকে পরিচালিত বিস্ফোরক ড্রোন হামলাতেই ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি তাদের।
ইরানে তখন গভীর রাত। মুহূর্তের মধ্যেই রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে আগুনের ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে চারপাশ। এরপরই শুরু হয় ধারাবাহিক হামলা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় হামলার মুখোমুখি হয়েছে ইরান। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসের জন্য এ অভিযান চালানো হয়।
গোয়েন্দা সূত্র মতে, শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যখন তাদের অপারেশন রাইজিং লায়ন বা জেগে ওঠা সিংহ শুরু করে, তখনই ড্রোনগুলো সক্রিয় করে মোসাদ।
এরপর তারা ইসরায়েলের দিকে তাক করে রাখা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থলগুলোতে হামলা চালিয়ে অকোজো করে দেয়। এতে, ইসরায়েল বিনা প্রতিরোধেই হামলা চালাতে থাকে।
হামলায় ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতানজ, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা, শীর্ষ তিন সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইরানের প্রতিরক্ষা কাঠামোতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রাখার কৌশলের অংশ।
ব্রিটিশ-ইসরায়েল কমিউনিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (বিআইকম) জানিয়েছে, মোসাদের ইউনিটগুলো ইরানের ভেতরে থেকেই ভূমি থেকে আকাশে ও ভূমি থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা লক্ষ্য করে নির্ভুলভাবে হামলা পরিচালনা করেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ মোসাদের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজের বরাতে জানায়, ফুটেজে কিছু মুখোশ পরা ব্যক্তিকে রকেট লঞ্চার বসাতে দেখা যায়, যা পরে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই অপারেটররা তেহরানের আশেপাশে লক্ষ্যস্থলগুলোতে ভূমি থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ট্রাকও ছিল। সাদাকালো ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সশস্ত্র ব্যক্তিরা, একটি এলাকায় খোলা মাঠে বসে আইডিএফের হামলা শুরুর অপেক্ষা করছেন।
ইসরাইলের কৌশলগত সক্ষমতা
ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রকাশিত তথ্যগুলোকে ইসরায়েলের গোপন অভিযানগুলোর বিস্তৃতি ও গভীরতা তুলে ধরার পাশাপাশি দেশটির সক্ষমতা নিয়ে এক ধরনের কৌশলগত বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি সঠিক হলে এটি নজিরবিহীন একটি কৌশলগত সক্ষমতা হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ অভিযানে নজরদারি, গোয়েন্দাগিরি এবং অস্ত্রশক্তি মিলিয়ে সমন্বিত আক্রমণ চালানো হয়েছে। তেহরানের পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েল কতদূর যেতে পারে তার ইঙ্গিত এটি।
রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের সামরিক বিজ্ঞানের পরিচালক ম্যাথু সাভিল বলেছেন, ‘মোসাদের অপ্রচলিত কার্যক্রমের সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলো ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তি দক্ষতার প্রমাণ, যার মাধ্যমে তারা ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছে। এরপর স্বল্প সময়ে অপারেশন চালানোর ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।’
ইরানের ভূখণ্ডে এমন গোপন অবকাঠামো স্থাপন করতে ইসরায়েলের বহুবার গোপন মিশন পরিচালনা করতে হয়েছে। সঠিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত করার জন্য ইরানের সামরিক ও অস্ত্রব্যবস্থার অবস্থান সম্পর্কেও নির্ধারিত গোয়েন্দা তথ্যের প্রয়োজন ছিল।
এই হামলায় ইরানের তিনজন সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিসহ সিনিয়র সামরিক নেতৃত্ব নিহত হয়েছেন, যা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সামরিক সক্ষমতাকে আরও দুর্বল করেছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় আঘাতের পাশাপাশি তারা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাকারীদেরও হারিয়েছে।
সাভিল বলেন, ‘এই হামলার ব্যাপ্তি ও পরিসর ইঙ্গিত দেয় যে, এই অভিযান শুধু ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অনুসরণ থেকে বিরত রাখার জন্য নয়, বরং সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়া অক্ষম করা এবং শাসনব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার জন্যও পরিকল্পিত।’
শত্রু ভূখণ্ডে মোসাদের অভিযান নতুন নয়
শত্রু ভূখণ্ডে বিশেষ করে ইরানে মোসাদের সাহসী অভিযান চালানোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২০২০ সালে ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল কাসিম সুলেইমানিকে হত্যা করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে মোসাদ।
২০২২ সালে দুটি মোটরসাইকেলে আসা হত্যাকারী আইআরজিসি কর্মকর্তা কর্নেল সাইয়্যাদ খাদায়িকে গুলি করে হত্যা করে। ২০২৪ সালে ইসরায়েল তেহরানে আইআরজিসির অতিথিগৃহে বোমা স্থাপন করে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে।
সাম্প্রতিক হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল ইঙ্গিত দিয়েছে আরও অনেক কিছু আসছে। ইসরায়েলের অপারেশন বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল ওডেড বাসিউক বলেন, ‘আমরা অপারেশনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা ভিতরে ছিলাম... ছয় মাস আগে এটি কল্পনার মতো মনে হত।’
তিনি বলেন, ‘এই সাফল্য পরিকল্পনা, মহড়া এবং এখানে বসে যারা কাজ করেছে, তাদের পাশাপাশি যারা এখানে নেই তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল।’
এ রাতের হামলাটিকে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়কার মোসাদের অপারেশন ফোকাসের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। ওই সময় ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল মিসরের বিমানবাহিনীর প্রায় সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়েছিল।
ভারতে এবার উড়াল দেওয়ার পরই বিধ্বস্ত হয়েছে যাত্রীবাহী একটি হেলিকপ্টার। এতে, পাইলটসহ সাত আরোহী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় হেলিকপ্টারটি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।’
অ্যারিয়ান অ্যাভিয়েশন নামের একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার সংস্থার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ তীর্থপথের নিকটবর্তী একটি বনাঞ্চলে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাইলট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে আসা তীর্থযাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যাওয়ায় মরদেহগুলো মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
ভারতের অন্যতম চারটি তীর্থস্থানের একটি কেদারনাথ। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সেখানে ভ্রমণ করেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলটিতে পৌঁছাতে অনেকেই হেলিকপ্টার সেবার ওপর নির্ভর করেন।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটলো। মাত্র তিন দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দেশটির আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এ ঘটনায় বিমানে থাকা ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রুর মধ্যে ২৪১জনই নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৭০ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিমানটি আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ছাত্ররা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে তেহরান হামলা না চালালে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত সহজেই শেষ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হলে ইরানের ওপর সেনাবাহিনীর ‘পূর্ণশক্তি’ প্রয়োগ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ জুন) নিজস্ব সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এসব বলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘ইরান যদি আমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) ওপর কোনোভাবে আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণশক্তি ও ক্ষমতা তোমাদের (ইরান) ওপর এমনভাবে নেমে আসবে, যা পৃথিবী আগে কখনও দেখেনি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তবে আমরা সহজেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে পারি এবং এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারি।’
যদিও চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি। এর আগে, রবিবার রাতে ইরানের বোমা হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে বলে জনিয়েছে ইসরায়েলি উদ্ধারকারী দল। এছাড়া ১৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
একাধিক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ও জরুরি সেবা সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রবিবার ভোরে দুই দফায় ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের অভিযানে ইরানে প্রথম দিন ৭৮ জন নিহত হয়েছেন ও দ্বিতীয় দিনে আরও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানায় তেহরান। এর মধ্যে একটি ১৪ তলা আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৯টি শিশুসহ ৬০ জন মারা যাওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইরানের অস্ত্র স্থাপনার আশপাশে বসবাসকারী নাগরিকদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ আগামী দিনে ইরান যা দেখবে, ইসরায়েলের এ যাবতকালের হামলা তার কাছে কিছুই না।’
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানী তেহরানসহ দেশটির শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় ইসরায়েল। আজ (রবিবার) ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের নির্ধারিত পারমাণবিক আলোচনাকে বানচাল করতেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া ইসরায়েলের এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে এবং ইরান কেবল আত্মরক্ষার্থে জবাব দিচ্ছে বলেই মত দেন তিনি।
এর আগে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার মধ্যে ওমানের আলোচনা সম্ভব নয়।’
তাছাড়া, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে কেউ সহায়তা করলে, ওই দেশের সামরিক ঘাঁটিগুলোকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলে সতর্ক করেছে তেহরান।
ইসরায়েলের দাবি, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা এবং এর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে অকার্যকর করার জন্য এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে।
এই অভিযান ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পুরোপুরি থামাতে না পারলেও একটি পূর্ণাঙ্গ যুক্তরাষ্ট্র-ইরান চুক্তির পথ খুলে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
এদিকে, ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা রবিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় এলাকা জাফায় একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইরানের কোনো মিত্রের এটিই ছিল প্রথম সরাসরি হামলা।
তবে গাজায় ২০ মাসের যুদ্ধ এবং গত বছর লেবাননের সংঘর্ষে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী আঞ্চলিক মিত্র হিজবুল্লাহকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার ফলে ইরানের পাল্টা জবাবের ক্ষমতা কমে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এ ছাড়া, ইসরায়েলের হামলার কারণে বিশ্বের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্সের’ উৎপাদন আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। এতে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সাউথ পার্স ক্ষেত্রটি ইরানের দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশে অবস্থিত এবং এটি ইরানে উৎপাদিত গ্যাসের প্রধান উৎস।
তাছাড়া, ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের অভিযান কয়েক সপ্তাহ চলতে পারে। এমনকি ইরানের জনগণকে তাদের ইসলামি ধর্মীয় শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। এর ফলে এই সংঘাত আঞ্চলিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং বাইরের শক্তিগুলোকেও জড়িয়ে ফেলবে—এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে ইসরায়েল। ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির শেষ ধাপ পর্যন্ত না পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে তেল আবিব।
তবে এ অভিযানকে সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক বলে আখ্যা দিয়েছে ইরান। এ ছাড়া, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে না বলে দাবি করেছে তারা। অবশ্য জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার তথ্যমতে, ইরান বৈশ্বিক পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির আওতায় থাকা বাধ্যবাধকতাগুলো লঙ্ঘন করেছে।
ইসরাইল ও ইরানের সংঘর্ষের কারণে বন্ধ ঘোষণার একদিন পর শনিবার জর্ডান, সিরিয়া ও লেবানন তাদের আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে।
আম্মান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
জর্ডান, সিরিয়া ও লেবানন এ তিনটি দেশই ইসরাইলের প্রতিবেশী। তবে কেবল জর্ডানের সঙ্গেই ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
সিরিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইরানের মিত্র বাশার আল-আসাদের শাসনাধীন ছিল। গত ডিসেম্বরে তাকে উৎখাতের পর থেকে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা দেশটি নেতৃত্ব দিচ্ছে।
লেবাননে হিজবুল্লাহ নামে সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। তারা ২০২৪ সালের শেষের দিকে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়। এরপর থেকে সরকার একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাজ করছে। এতে শর্ত ছিল হিজবুল্লাহকে তার অস্ত্রাগার হস্তান্তর করতে হবে এবং ইসরাইলি সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা থেকে সরে যেতে হবে।
জর্ডানের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান হাইথাম মিস্তো এক বিবৃতিতে বলেছেন, জর্ডান সকাল সাড়ে ৭টা (স্থানীয় সময়) থেকে তার আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে।
লেবাননের পরিবহনমন্ত্রী ফায়েজ রাসামনি শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে দেশের আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সিরিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও বেসামরিক বিমানের জন্য দেশের আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে যাত্রার সময় এক এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে উঠে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এক যাত্রী। তিনি বিমানের ভেতরের অস্বাভাবিক অবস্থার কথা তুলে ধরে ভিডিও করেন এবং সেটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে ভিডিও করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেই বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি আহমেদাবাদের মেঘানিনগর এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
আকাশ বাত্সা নামের ওই যাত্রী দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন এআই-১৭১ ফ্লাইটে।
বিমানের মধ্যে প্রবল অস্বস্তিকর অবস্থা নিয়ে তিনি পোস্ট করা ভিডিওটিতে বলেন, ‘আমরা ট্যাক্সি করার অপেক্ষায়, কিন্তু এসি একেবারেই কাজ করছে না। চারপাশে যাত্রীরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। এর ওপর টিভি স্ক্রিন, লাইট–কোনোটাই কাজ করছে না। এটি কি যাত্রীদের জন্য গ্রহণযোগ্য?’ তিনি এসব দৃশ্য ভিডিও করে এক্স-এ পোস্ট করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের অভ্যন্তরে যাত্রীরা অস্বস্তিতে রয়েছেন এবং নানা যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে আছে।
অকাশের ভিডিও পোস্ট করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এআই-১৭১ ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এই বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানে তখন ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন।
ঘটনার পর অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ইঙ্গিত ছিল আগেই? আকাশের ভিডিও ও অভিজ্ঞতা দেখে অনেকেই বলছেন, ফ্লাইটটি হয়তো উড্ডয়নের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত অবস্থায় ছিল না। এমন অবস্থা সত্ত্বেও বিমানের যাত্রা চালিয়ে যাওয়াটাই বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আহমেদাবাদ নামায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া আকাশ বাত্সা অপর একটি পোস্টে লেখেন, ‘আজ রাতে আর এয়ার ইন্ডিয়াতে ফিরছি না। যথেষ্ট হয়েছে।’
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে একজন যাত্রীর পূর্ব-অভিজ্ঞতা থেকেই যদি দুর্ঘটনার সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির বিষয়েও।
এখন দেখার বিষয়, আকাশের অভিজ্ঞতা ও ভিডিও ভবিষ্যতে তদন্তের কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারে কি না।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন আরোহীসহ ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটি ২৪২ জন আরোহী নিয়ে গুজরাটের আহমেদাবাদে বিজে মেডিকেল কলেজের একটি ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে। এতে ওই মেডিকেল কলেজের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থীও প্রাণ হারান।
বিধ্বস্ত লন্ডনগামী বিমানটির ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে একজন ছাড়া সবারই মৃত্যু হয়েছে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তিটি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিষ্ণু কুমার রমেশ। বয়স ৪০ বছর।
আগুনের গোলার মতো বিস্ফোরিত হওয়া ওই উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে অলৌকিকভাবে বের হয়ে আসেন বিষ্ণু কুমার। গতকোল শুক্রবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভারতের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ডিডি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তের কথা বর্ণনা করেছেন রমেশ।
জ্বালানিতে পরিপূর্ণ এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা করেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই এটি বিস্ফোরিত হয়।
বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, উড়োজাহাজের ১১এ নম্বর আসনে বসেছিলেন রমেশ। তার ভাইও ছিলেন একই উড়োজাহাজে। যুক্তরাজ্যে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রমেশ বলেন, ‘উড্ডয়নের এক মিনিটের মধ্যেই হঠাৎ মনে হলো কিছু একটা আটকে গেছে। আমি বুঝতে পারলাম, কিছু একটা ঘটেছে। তারপর হঠাৎ করে উড়োজাহাজের সবুজ আর সাদা আলো জ্বলে উঠল। এরপর মনে হলো উড়োজাহাজটি আরও জোরে ছুটছে। এটি সোজা গিয়ে একটা হাসপাতালের হোস্টেলে গিয়ে ধাক্কা খেল। আমার চোখের সামনেই উড়োজাহাজটা বিধ্বস্ত হলো।’
রমেশ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তার শরীরের পোড়া ক্ষত ও আঘাতের চিকিৎসা চলছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল শুক্রবার হাসপাতালে রমেশকে দেখতে যান। মোদির ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের খবরে বলা হয়েছে, রমেশের বয়স ৪০ বছর। তিনি যুক্তরাজ্যের লেস্টার শহরের বাসিন্দা। বার্তা সংস্থাটি রমেশের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে।
রমেশ বলেন, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম, আমিও মারা যাচ্ছি। কিন্তু পরে যখন চোখ খুললাম, বুঝলাম, এখনো বেঁচে আছি।’
রমেশ আরও বলেন, ‘আমি সিটবেল্ট খুলে বেরোনোর চেষ্টা করলাম এবং পারলামও। আমার মনে হয়, আমি উড়োজাহাজের যে পাশটায় ছিলাম, সেটি হোস্টেলের দিকে ছিল না। আমি যেখানে নামলাম, সেটি মাটির কাছাকাছি ছিল এবং সেখানে ফাঁকা জায়গাও ছিল। আমার পাশের দরজাটা ভেঙে পড়ার পর দেখলাম, বাইরে জায়গা আছে। আর তখনই ভাবলাম, চেষ্টা করলে বেরিয়ে যেতে পারি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিষ্ণু রক্তমাখা টি-শার্ট পরে পা টেনে টেনে হাঁটছেন এবং নিজেই অ্যাম্বুলেন্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
বিষ্ণু বলেন, ‘আগুনে আমার বাঁ হাতটা সামান্য পুড়ে গেছে। একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমাকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানকার লোকজন খুব ভালোভাবে আমার দেখভাল করছে।’
ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফা আক্রমণের জবাবে এবার দেশটির সামরিক ও বিমানঘাঁটিগুলোতে একযোগে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা থামা চলমান থাকায় তা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশদুটির পাল্টাপাল্টি হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। তবে হতাহতের বেশিরভাগই ইরানের।
উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানোর কথা জানায়। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ইসরায়েলের হামলার জবাবে ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের এই অভিযান শুরু হয়েছে।
ইসারায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরান ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগ তারা প্রতিহত করেছে।
অপরদিকে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ভূমিতে স্থাপিত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার মাধ্যমেই সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এখনও যুদ্ধবিমান কিংবা যুদ্ধ জাহাজের সহায়তা নেওয়া হয়নি।
এদিকে, তেল আবিবের পূর্ব এলাকা রামাত জানে ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের আশপাশ থেকে আহতদের সরিয়ে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও দেখা গেছে।
তেল আবিব মহানগর এলাকায় রকেট হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম।
আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মাগেন ডেভিড অ্যাডমের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত তেল আবিব এলাকায় হামলার খবর পাওয়া সাতটি স্থানে আমাদের উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।’
ইসরায়েলের হামলার জবাবে এবার পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন জানিয়েছেন, গত এক ঘণ্টায় ইসরায়েল অভিমুখে অন্তত ১০০টি ইউএভি (ড্রোন) ছোড়া হয়েছে, যেগুলো আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।
ডেফরিনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যেগুলো দেশটির ভেতরে প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
পাশাপাশি, ইসরায়েলের হামলায় ইরানি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি এবং দেশটির জরুরি কমান্ড ইউনিটের প্রধান জেনারেল গোলাম আলি রশিদ নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরেও তাদের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়।
শুক্রবার ভোরে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা নাতানজসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে দেশটির আরও কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, ‘জায়নবাদী এ হামলার জবাব অবশ্যই দেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
হামলার পর ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কঠোর বিবৃতি দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ফের চরমে। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
শুক্রবার ‘টাইমস অব ইসরাইলের’ এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্ব দিকে বিশাল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা ‘নেশন অফ লায়ন্স’ নামে একটি পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে ইরানে আঘাত হেনেছে। টাইমস অফ ইসরাইলের বরাতে জানা গেছে, এই হামলায় ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলোকে সরাসরি টার্গেট করা হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই হামলাটি উচ্চমানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে এবং এর মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা। দুই ডজনেরও বেশি জেট বিমানের সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযান ছিল নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত এবং সুনির্দিষ্ট।’
অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, ‘এই হামলার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতাকে নিষ্ক্রিয় করা। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না আমরা মিশনটি সম্পন্ন করি।’
তবে ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি অভিযোগ করেছে, ইসরাইলি হামলায় আবাসিক ভবনকেও টার্গেট করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ ইসরায়েল অস্বীকার করেছে।
হমলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল নিজের ভূখণ্ডেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশটির সামরিক মুখপাত্রের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে সব ধরনের শিক্ষামূলক কার্যক্রম, সমাবেশ এবং কর্মক্ষেত্রের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে-প্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘দেশের প্রতিরক্ষা নীতিতে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সমস্ত অঞ্চলকে পূর্ণ কার্যক্রম স্তর থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্তরে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরাইলের এই হামলা একদিকে যেমন তাদের নিরাপত্তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে, তেমনি ইরানকে প্রতিশোধে উসকে দিচ্ছে। ফলে পরবর্তী কয়েকদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এদিকে, ইরানে ইসরাইলি হামলার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে বিমানবন্দরটি সরাসরি কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এতে বলা হয়েছে, হামলার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে বিমানবন্দরটি সরাসরি কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।
ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর পর পাল্টা হামলার শঙ্কায় ইসরাইলজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যাত্রী ও ক্রুদের সবাই মারা গেছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মেডিকেলের হোস্টেলের ভবনে থাকা পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্য টেলিগ্রাফ ও ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে হতাহতের বিষয়ে এমনটিই বলা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটিতে ২৪২ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রু রয়েছেন।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি অনেকটা নিচ দিয়ে উড়ছিল, এসময়ে উপরের দিকে উঠতে বারবার চেষ্টা করছিল। এরপর হঠাৎ করে আকাশযানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের কুণ্ডলী বেরিয়ে আসে।
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইকে পরিচালিত এআই১৭১ বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বোইং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি উড্ডয়ন করার পর অল্প সময়ের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে।
একটি অক্ষত বিমানের একটি অংশ ভবনের উপর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আর ধ্বংসাবশেষ থেকে আহত লোকদের অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেওয়ার সময় শহরের উপর ব্যাপক কালো ধোয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, বিমানটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে আঘাত করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১১ জন শিশু যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান ছিলেন।
ব্রিটিশ বিদেশবিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে দুর্ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দিচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ‘ভারতের শহর আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার দৃশ্যগুলো ভীষণ মর্মান্তিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছি এবং এই গভীর উদ্বেগজনক মুহূর্তে আমার চিন্তা যাত্রী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’
প্রিন্সেস ডায়ানার ব্যবহৃত স্কারলেট রঙের স্কি স্যুট, ফ্রান্সের সাবেক ফার্স্ট লেডির দেওয়া একটি ডিওর হ্যান্ডব্যাগ এবং হাসপাতালের শিশুদের দেখতে যাওয়ার সময় পরা এক উজ্জ্বল ফুলেল পোশাক—প্রয়াত এই রাজবধূর ব্যক্তিগত সংগ্রহশালার এমন শতাধিক সামগ্রী এই মাসে নিলামে উঠছে।
সিএনএন জানায়, জুলিয়েন'স অকশনস নামের এক নিলাম সংস্থা ক্রেতাদের জন্য উন্মুক্ত করছে সাবেক প্রিন্সেস অব ওয়েলসের ১০০টিরও বেশি জিনিসপত্র—যার মধ্যে আছে তার হ্যাট, হ্যান্ডব্যাগ, জুতা, হাতে লেখা চিঠি ও পোশাকের স্কেচ।
নিলাম সংস্থার মতে, এটি ডায়ানার ফ্যাশনসামগ্রীর ‘এখন পর্যন্ত নিলামে ওঠা সবচেয়ে বড় সংগ্রহ’।
‘প্রিন্সেস ডায়ানাস স্টাইল অ্যান্ড এ রয়্যাল কালেকশন’ শিরোনামের এই নিলামে দর হাঁকা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে অনলাইনে। এ মাসের শেষদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে সরাসরি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
নিলামের সবচেয়ে দামি আইটেমগুলোর মধ্যে আছে দুটি পোশাক। এর একটি ডায়ানার বিখ্যাত সেই ফুলেল ডিজাইনের পোশাক, যা ১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে তিনি অনেকবার পরেছেন। অন্যটি ক্রিম রঙের সিল্কের এক ইভনিং গাউন। এই দুই পোশাকের প্রতিটির দাম ২ থেকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফুলেল পোশাকটিকে ডায়ানা তার ‘স্নেহের ড্রেস’ বলে ডাকতেন বলে দাবি করেছিলেন এর ডিজাইনার ডেভিড সাসুন। কারণ এর উজ্জ্বল রঙ হাসপাতালের অসুস্থ শিশুদের প্রশান্তি দিত।
অন্যান্য মূল্যবান পোশাকের মধ্যে আছে জিয়ান্নি ভার্সেসের ডিজাইন করা একটি নীল স্লিভলেস ড্রেস এবং ১৯৮১ সালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বাগদান ঘোষণার পর পরা এক কালো টাফেটা ইভনিং গাউন।
নিলামে অনেক আনুষ্ঠানিক পোশাক থাকলেও কিছু পোশাকে ডায়ানার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং ’৮০ ও ’৯০-এর দশকের ফ্যাশনের প্রতিফলন ঘটেছে। যেমন, নিলামে তার একটি লাল নাইলনের স্কি স্যুট ও ব্রিটিশ লাং ফাউন্ডেশনের লোগো ধারণকারী একটি সোয়েটশার্টও আছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো মূল্য যথাক্রমে ৫০ ও ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।
নিলামে ওঠা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আইটেমের মধ্যে আছে ফ্রান্সের সাবেক ফার্স্ট লেডি বার্নাদেত শিরাকের উপহার দেওয়া একটি ডিওর হ্যান্ডব্যাগ ও হানিমুনে যাওয়ার সময় ডায়ানার পরা পিচ রঙের হ্যাট।
ডায়ানার ফ্যাশন সামগ্রী সবসময়ই চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। ১৯৯৭ সালে তিনি নিজেই ক্যানসার ও এইডস গবেষণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে ক্রিস্টিজের মাধ্যমে প্রায় ৮০টি পোশাক নিলামে বিক্রি করেছিলেন, যা থেকে ৩২ লাখ ডলারেরও বেশি উঠেছিল।
জুলিয়েন'স অকশনস ২০২৩ সালে তার পরা একটি গাউন ১১ দশমিক চার মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড।
প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন নোলান বলেন, ‘কেবল তার মানবিক কর্মকাণ্ডই না, প্রিন্সেস ডায়ানা তার অনন্য ফ্যাশন স্টাইলের জন্যও আজও বেঁচে আছেন। তার ফ্যাশন এখনো সারা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।’
নিলাম থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা ‘মাসকুলার ডিসট্রোফি ইউকে’-কে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ২৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। বিমানটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
বোইং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি উড্ডয়ন করার পর অল্প সময়ের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে।
একটি অক্ষত বিমানের একটি অংশ ভবনের উপর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আর ধ্বংসাবশেষ থেকে আহত লোকদের অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেওয়ার সময় শহরের উপর ব্যাপক কালো ধোয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।
পুলিশ এখনো কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি। তবে তারা নিশ্চিত করেছে যে, বিমানটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে আঘাত করেছে।
বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী ও১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ার ইন্ডিয়া ও পুলিশ কর্মকর্তারা।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১১ জন শিশু যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান ছিলেন।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আজ দুর্ঘটনার কবলে পড়া ‘ফ্লাইট এআই১৭১’ আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইক রুটে যাত্রা করেছিল। ‘এই মুহূর্তে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরও সবশেষ তথ্য জানানো হবে।’
ব্রিটিশ বিদেশবিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে দুর্ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দিচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ‘ভারতের শহর আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার দৃশ্যগুলো ভীষণ মর্মান্তিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছি এবং এই গভীর উদ্বেগজনক মুহূর্তে আমার চিন্তা যাত্রী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’
ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বুধবার (১১ জুন) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ত্রাণ সংগ্রহে গিয়ে অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
সহায়তা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর সঠিক প্রেক্ষাপট তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। অথচ, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বুধবার (১১ জুন) ভোরে মধ্য গাজায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দিকে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়েছে তারা। তবে দক্ষিণ গাজায় প্রাণহানির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্রের পথে প্রাণহানি
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের কাছে ত্রাণ সহায়তা নিতে যাওয়ার পথে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মধ্য গাজার আল-আওদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ত্রাণ সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আরও ৭জন নিহত হয়েছেন। আল-শিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে রয়েছেন অনেক নারী ও কিশোর, যারা সহায়তা নিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সাফা ফারমাওয়ি নামে একজন ফিলিস্তিনি নারী জানান, তার ১৬ বছরের মেয়ে গাজাল ইয়াদ রাফাহতে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে।
দুঃখভারাক্রান্ত মনে তিনি বলেন, ‘আমি আর মেয়ে দুজনেই সহায়তা নিতে গিয়েছিলাম। ও আগে গিয়েছিল। পরে খুঁজেও ওকে পাইনি। তখন লোকজন বলল, তোমার মেয়ে শহীদ হয়েছে।
মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ ব্যবস্থা চালু পরই হচ্ছে এমন হামলা।’
জাতিসংঘ স্বীকৃতি না পাওয়া একটি নতুন সংস্থা সহায়তা বিতরণ চালু করার পর থেকে প্রতিদিনই ত্রাণ নিতে যাওয়া ব্যাক্তিদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটছে। প্রত্যক্ষদর্শী ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ নিতে যাওয়া জনতার ভিড়ে গুলি চালাচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, একটি হামলায় তাদের অন্তত ৫ জন স্থানীয় সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামাসকে দায়ী করেছে ফাউন্ডেশনটি।
তাদের দাবি— সহায়তাকর্মীরা তাদের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়েছেন। তবে বিতরণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে কোনো ধরনের সহিংসতার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে সংগঠনটি।
ইসরায়েলের পরিচালিত নতুন এই ত্রাণ ব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। হামাসকে সহায়তা না দিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর এই বিষয়টিকে তারা মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে।
হামাসকে ত্রাণ চুরি থেকে বিরত রাখতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। নিজেদের বক্তব্যের পক্ষে তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। যদিও এই চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘ।
প্রায় তিন মাসের অবরোধের পর গত ২০ মে থেকে গাজায় প্রবেশ করে মানবিক সহায়তা। তবে যে পরিমাণ সহায়তা পৌঁছাচ্ছে তা প্রায় ২০ লাখ গাজাবাসীর জন্য অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেন অনেকে। আরও সহায়তা না এলে এই অঞ্চল দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৫ হাজার ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯৪ জন।