বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
১১ আষাঢ় ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির পর কূটনীতির পথে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটেড
২৫ জুন, ২০২৫ ১৬:০১
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২৫ ১৬:০১

সাম্প্রতিক হামলার পর আলোচনার টেবিলে ফিরতে সরাসরি ও মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েল-ইরান আলোচনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আলোচনা নিয়ে আমরা আশাবাদী। এখন ইরানিদের সঙ্গে বসে একটি সামগ্রিক শান্তিচুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।’ তবে আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

উইটকফ জানান, যুক্তরাষ্ট্র যে লক্ষ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল, তা পূরণ হয়েছে। ইরানের অস্ত্র উৎপাদনের জন্য বিদ্যমান অথবা ভবিষ্যতে উৎপাদিত হতে পারে—এমন অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়ামকে বাস্তব অস্ত্রে রূপান্তরের সক্ষমতা নির্মূল এবং দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিকে কয়েক বছর পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে ওয়াশিংটন।

এদিকে, ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ৬ পরাশক্তির করা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির মেয়াদ শেষে হতে চলেছে চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর। এ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শি বলেন, ‘ইরান ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করে ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ একাধিক পারমাণবিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারা ওই চুক্তিটি অনুমোদিত ছিল। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

শি অভিযোগ করেন, ‘ইরান জাতিসংঘের প্রস্তাবনাগুলো লঙ্ঘন করে ইয়েমেনের হুথি, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ২০২২ সালে রাশিয়াকে শত শত ড্রোন সরবরাহ করেছে, যেগুলো ইউক্রেনে হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।’

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে ব্যর্থতা বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরেও সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করেছে এবং অস্থিরতা বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইরানের এসব চুক্তির লঙ্ঘন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার হুমকির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র চোখ বন্ধ করে রাখবে না বলেও সতর্ক করেন শি।

তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার (২১ জুন) ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েল, পুরো অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি দেশটির হুমকি হ্রাস করা। পাশাপাশি তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ধ্বংস করা।’

এ সময় ইরানকে শান্তি ও সমৃদ্ধির এই সুযোগ গ্রহণ ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে উৎসাহিত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ফ্রান্সের হুঁশিয়ারি

এদিকে, যত দ্রুত সম্ভব জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শকদের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায়—ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদ অন্যত্র সরানো হয়নি। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) পুনরায় পূর্ণ সহযোগিতা শুরু করার জন্য ওই বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে ফরাসি দূত জেরোম বোনাফঁট।

একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়ে তেহরানকে একটি জবাবদিহিমূলক ‘দৃঢ়, যাচাইযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সমাধানে’ ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আশঙ্কা, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে এগোচ্ছে।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালের ইরান চুক্তির ওপর ভিত্তি করে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম ও স্থানান্তরের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ চলতি বছরের ১৮ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে যদি গ্রীষ্মের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে ইতালি, ব্রিটেন ও জার্মানি ২০১৫ সালের প্রস্তাবের সেই ধারা ব্যবহার করতে প্রস্তুত, যার মাধ্যমে জাতিসংঘের পুরনো নিষেধাজ্ঞাগুলো আবার ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বহাল’ করা সম্ভব।

জেরোম বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই ইরানের সঙ্গে যেকোনো চুক্তি হতে হবে।’

আলোচনায় ফেরার আহ্বান ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির পর দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানে ফিরে যাওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত স্তাভরোস লামব্রিনিদিস।

নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ইরানের পারমাণু কর্মসূচি নিয়ে কেবল তখনই সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব, যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে যথাযথভাবে জড়িত থাকবে।’

ইরান যাতে কখনো পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন বা উন্নয়ন না করতে পারে, তা নিশ্চিত করাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বলে জোর দেন তিনি।

একমাত্র নিরপেক্ষ ও স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে আইএইএয়ের ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বাস্তবায়ন ও যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

যুদ্ধবিরতি বিপর্যয়কর উত্তেজনা এড়ানোর সুযোগ: জাতিসংঘ

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিকে ‘বিপর্যয়কর মাত্রার সংঘাত এড়ানোর একটি সুযোগ’ হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ।

সংস্থাটির রাজনৈতিক ও শান্তি বিষয়ক উপপ্রধান রোজমেরি ডিকার্লো সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতি আরও বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সাহায্য করতে পারে—যা গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ভয়াবহ প্রভাব ফেলত।’

তিনি বলেন, ‘কূটনীতি, সংলাপ ও যাচাই—এগুলোই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করার এবং ইরানি জনগণের জন্য প্রকৃত অর্থনৈতিক সুফল আনার সর্বোত্তম পথ।’

কূটনৈতিক সমাধানে যেতে রাজি ইসরায়েলও

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর ‘খুব শিগগিরই কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হবে’ বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এখন কথা বলতে হবে, আলোচনায় বসতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যেন ১২ দিন আগের পরিস্থিতিতে আর ফিরে না যাই, যেখানে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পূর্ণ প্রভাব এখনও নির্ণয় করা হয়নি, তবে আমরা জানি যে আমরা তাদের কর্মসূচিকে পিছিয়ে দিতে পেরেছি, তাৎক্ষণিক হুমকিটিও সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’

এ সময় গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির আহ্বানের বিষয়ে ড্যানন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চায় ইসরায়েল।’

তিনি আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসরায়েল যে (সামরিক) সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, তা অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে নতুন সুযোগ এনে দেবে।

এ সময় ট্রাম্পের প্রশংসা করে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।’


নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পেলেন ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) মার্কিন কংগ্রেসের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি বাডি কার্টার নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্পের মনোনয়ন সুপারিশ করেন।

চিঠিতে তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়নে ট্রাম্পের অসাধারণ ভূমিকা বিশ্ব শান্তির জন্য এক মাইলফলক।’

কার্টার আরও বলেন, ‘অনেকের কাছে যা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল, সেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে।’

সোমবার (২৩ জুন) ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। যদিও দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। তবে, ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে আন্তর্জাতিক মহলে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

কার্টার আরও উল্লেখ করেন, ‘ইরানের পরমাণু কর্মসূচি থামাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রটি যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করেছেন।’

এর আগেও ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ‘আব্রাহাম চুক্তি’ বাস্তবায়নের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আলোচনায় ছিলেন। এবার ইরান-ইসরায়েল সংকটে তার ভূমিকা তাকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

সবশেষ ২৪ জুন ইরানে হামলা চালিয়ে দুই জেনারেলসহ দেশটির অভিজাত বাহিনী আইআরসিজির সাত সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত দেশ ইসরায়েলের হামলায় ৬১০ জন ইরানি নিহত হয়েছেন। অপর দিকে ইরানের মিসাইল হামলায় ২৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে উভয় পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা।

উল্লেখ্য, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে তা ধ্বংসের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় কাতারে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায় ইরান।

সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা


গাজায় ৭ ইসরাইলি সৈন্য নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে অব্যাহত যুদ্ধে গাজায় ৭ জন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বুধবার এ তথ্য জানায় ছিল।

জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে একই ব্যাটালিয়নের পাঁচজন সৈন্য এবং একজন প্লাটুন কমান্ডারের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সময় নিহত তারা হন।

এতে আরও বলা হয়েছে যে সপ্তম সৈন্যও নিহত হয়েছে, তবে তার পরিবার তার নাম প্রকাশের অনুমতি দেয়নি।

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আক্রমণের ফলে সংঘটিত যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৩০ জনেরও বেশি ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে।

সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, হামাসের ওই হামলায় ১,২১৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

এতে ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে হামাস, যাদের মধ্যে ৪৯ জন এখনও গাজায় বন্দী। আটককৃতদের ২৭ জন নিহত বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ৫৬ হাজার ৭৭ জন এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ তাদের পরিসংখ্যান নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।

অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, মার্চের শুরু থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের সমস্ত সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া এবং বিধিনিষেধ আরোপ অব্যাহত রাখার পর ২০ লক্ষাধিক মানুষের এই অঞ্চল দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।

মঙ্গলবার ইরানের সাথে যুদ্ধবিরতিতে ইসরাইলের সম্মতির পর, ইসরাইলের সামরিক প্রধান ইয়াল জামির বলেছেন, এখন মনোযোগ গাজার দিকে ফিরে যাবে।


ইরান-ইসরাইল যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন এরদোগান 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে ঘনিষ্ঠ সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মঙ্গলবার রাতে হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রচেষ্টায় ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে অর্জিত যুদ্ধবিরতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং এটি স্থায়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার ভোরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইরান ও ইসরাইল একটি পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যা তাদের ১১ দিনব্যাপী সংঘাতের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ডেকে আনবে।

এর আগে রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের অভিযানে যোগ দিয়ে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর উপর হামলা চালায়। এর জবাবে সোমবার গভীর রাতে কাতারে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান একটি প্রতিক্রিয়াশীল হামলা চালায় যা এই সংঘাতের অবসানের ইঙ্গিত দেয়।

গাজা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কথা বলেন এরদোয়ান।

তিনি বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করতে ঘনিষ্ঠ সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এরদোয়ান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা বাড়ালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে সহায়ক হবে।


ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র: গোয়েন্দা প্রতিবেদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে গত সপ্তাহে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে হামলার প্রাথমিক মূল্যায়নে জানা গেছে, হামলা চালানো তিনটি স্থাপনার মধ্যে দুটিই ধ্বংস হয়নি। তাছাড়া, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সম্ভবত মাত্র কয়েক মাসের জন্য পেছনে ঠেলে দিতে পেরেছে এই মার্কিন হামলা।

পেন্টাগনের গোয়েন্দা শাখা হিসেবে কাজ করা ‘প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা’ (ডিআইএ) এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ওই প্রাথমিক তদন্ত-সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় (সেন্ট্রাল কমান্ডে) পরিচালিত যুদ্ধ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির ওপর ভিত্তি করে এই প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছে ডিআইএ। মূলত মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে থাকে এই সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে করা ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণু কর্মসূচির প্রধান উপাদান, যেমন: সেন্ট্রিফিউজগুলো কয়েক মাসের মধ্যেই পুনরায় চালু করা সম্ভব।

প্রতিবেদরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে— এমন উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের অনেকটা অংশ হামলার আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো ইরানের গোপন অন্যান্য পারমাণবিক স্থাপনায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ‘পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে’ বলে ট্রাম্প যে দাবি করেছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

শনিবার (২১ জুন) রাতে ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইসফাহানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই হামলা ছিল এক অসাধারণ সামরিক সাফল্য। ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ও চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার ইরান এখন শান্তির পথ বেছে নিতে বাধ্য।’

যদিও ডিআইএয়ের প্রতিবেদনটি ছিল একটি প্রাথমিক মূল্যায়ন, তবে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা গোয়েন্দা তথ্য কয়েক দিনের মধ্যেই ফোরদো ধ্বংস হয়নি বলে নিশ্চিত করে, তাহলে পরবর্তী মূল্যায়নে আরও কম ক্ষয়ক্ষতির কথা উঠে আসতে পারে।’

ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত ফোরদোর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি জাগরোস পর্বতমালার নিচে অবস্থিত।

এই কেন্দ্রটি প্রায় ৪৫ থেকে ৯০ মিটার (১৪৫ থেকে ৩০০ ফুট) পাথরের নিচে নির্মিত, যার বেশিরভাগই লাইমস্টোন ও ডোলোমাইট।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন প্রথমে এই গোয়েন্দা মূল্যায়নের কথা জানালেও হোয়াইট হাউস তা প্রত্যাখ্যান করে।

প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই তথাকথিত মূল্যায়ন ফাঁসের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় ও সাহসী ফাইটার পাইলটদের অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টা করা হয়েছে, যারা নিখুঁতভাবে পরিচালিত এক অভিযানে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করেছেন।’

তবে রবিবার (২২ জুন) মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স স্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র জানে না ইরানের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ কোথায় আছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী কয়েক সপ্তাহে নিশ্চিত করব; কীভাবে ওই জ্বালানির ব্যবহার রোধ করা যায়।’

এদিকে, সোমবার (২৩ জুন) আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিও বলেন একই কথা। তার মতে, ইরানের ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের মজুদ কোথায় আছে, তা এখন আর তারা নির্ধারণ করতে পারছে না।

এর আগে, গত বুধবার (১৮ জুন) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে পেন্টাগনের শীর্ষ রাজনৈতিক কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল, ফোরদোয় ব্যবহারের জন্য তৈরি ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ‘বাংকার বাস্টার’ জিবিইউ-৫৭ বোমাগুলো ওই স্থাপনাটি পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারবে না।

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের ডিফেন্স থ্রেট রিডাকশন এজেন্সি জানায়, জিবিইউ-৫৭ বোমা ভূমির পর্যাপ্ত গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। কেবল একটি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রই ফোরদোকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে সক্ষম।

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাতে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় বি২ বোমারু বিমানে করে ফোরদোয় ১২টি, নাতাঞ্জে ২টি জিবিইউ-৫৭ বোমা ফেলা হয় এবং একটি মার্কিন সাবমেরিন ইসফাহানে প্রায় ৩০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ট্রাম্পের দাবি পুর্নব্যক্ত করে বলেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তবে অপারেশনের তত্ত্বাবধায়ক মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ার জেনারেল ড্যান কেইন তার মন্তব্যে কিছুটা সংযত ছিলেন।

কেইন বলেন, তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাতেই ‘গুরুতর ক্ষতি ও ধ্বংস’ হয়েছে। তবে সামরিক অভিযানের চূড়ান্ত যুদ্ধ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন এখনও বাকি রয়েছে বলেও সে সময় সতর্ক করেছিলেন তিনি।


ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬০৬, দ্বিগুণ দাবি মানবাধিকার সংস্থার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ১৩ জুন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬০৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা জাফারঘানি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টাই ছিল হামলার দিক থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ। এই একদিনেই প্রাণ গেছে ১০৭ জনের।

তবে ইরানের ভেতর থেকে স্বাধীনভাবে তথ্য সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণের কারণে বিবিসি-সহ বিদেশি সংবাদমাধ্যমের পক্ষে নিশ্চিতভাবে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

এদিকে ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্ট ইন ইরান’ জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারের ঘোষিত সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, এটা হবে এক বিশাল লঙ্ঘন। তোমাদের পাইলটদের এখনই ঘরে ফিরিয়ে নাও।’

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ অবস্থায় ইসরায়েল জানিয়েছিল, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আর ইরান বলেছে, যদি ইসরায়েল হামলা বন্ধ রাখে, তারাও হামলা বন্ধ করবে।

তবে ওই ঘোষণার পরও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা ইরান থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথে ধ্বংস করেছে। কিন্তু তেহরান নতুন করে কোনো হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বহু বিশ্লেষক বলছেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যেও হামলা ও পাল্টা অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।


বিমান দুর্ঘটনার শোক ভুলে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা ব্যস্ত পার্টিতে, দেশজুড়ে ক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মাটি থেকে উড্ডয়নের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল বিমান। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-এর দুর্ঘটনার কথা এখনো ভুলতে পারেনি ভারতবাসী। গত ১২ জুন এই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৭০ জনের। এখনো সব মানুষের দেহ শনাক্তও করা হয়নি। কিন্তু সদ্য এমন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা জেনে কার্যত চমকে ওঠেছেন সবাই। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ঘিরে তাই দেশজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সংস্থার গুরুগ্রামের দপ্তরে ডিজে পার্টিতে উদ্দাম নাচে মেতেছেন এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটস (এআইএসএটিএসের) শীর্ষ কর্তারা। ঘটনাটি ২০ জুনের। যার মাত্র আটদিন আগেই আমেদাবাদে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। (এআইএসএটিএস) হলো এমন একটি কোম্পানি যারা বিমানকে গ্রাউন্ড সার্ভিসের সুবিধাগুলো প্রদান করে। এই কোম্পানির অর্ধেক মালিকানা এয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেড অর্থাৎ টাটা গ্রুপের। বাকি অর্ধেকের মালিকানা স্যাটস লিমিটেডের। বিমানবন্দরের খাবারের ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবস্থার দেখাশোনা করে এই কোম্পানি। বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-এর গ্রাউন্ড সার্ভিসের দায়িত্ব ছিল এই সংস্থারই হাতে। ভিডিওতে দেখা গেছে, গুরুগ্রামের দপ্তরে ডিজে বাজছে। নাচে ব্যস্ত নানা স্তরের কর্মী-আধিকারীরা। যাদের মধ্যে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে (এআইএসএটিএসের) চিফ অপারেটিং অফিসার আব্রাহাম জাকারিয়া, সংস্থার চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এবং বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের জিএম সম্প্রীতি কোটিয়ানকে। এই ভিডিও ক্ষোভ তৈরি করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যখন নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি গোটা দেশ গভীর শোকে রয়েছে, তখন বিমানবন্দরের কর্মীদের এই ধরনের উদ্‌যাপন দৃষ্টিকটূ লেগেছে সবারই। ভিডিও সামনে আসতেই এক সংস্থার তরফ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, (এআইএসএটিএস) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিও সম্পর্কে অবগত, যা দুর্ভাগ্যবশত সম্পূর্ণরূপে প্রাসঙ্গিক নয়। তবুও ফলে যে মানসিক অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যদিও তাতে চিড়ে ভিজছে না। অনেকেরই মত, এই ক্ষমা চাওয়া হাস্যকর ও মূল্যহীন। কেউ কেউ বলছেন, এই বিমান দুর্ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের কাছে এই ভিডিও প্রহসন।


ট্রাম্পের ইরান ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় এশীয় শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাণিজ্য ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। পাশাপাশি, জ্বালানি তেলের বাজারে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা হ্রাস পাওয়ায় তেলের দাম কিছুটা কমে গেছে।

টোকিও থেকে এএফপি জানায়, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ নিতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে তেল পরিবহন বন্ধ না করায় বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পেয়েছেন। ইরান গত সোমবার কাতারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার দাবি করে। যদিও কাতার পরিস্থিতিকে ‘স্থিতিশীল’ বলে আখ্যা দেয়।

বিশ্লেষকরা জানান, এতে তেলক্ষেত্র বা জ্বালানি অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের স্টিফেন ইনেস বলেন, ‘তেহরান অনেকটা ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তাদের ‘প্রতিশোধ’ কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত করেছে। শিরোনাম পাওয়ার জন্য যথেষ্ট জোরে, কিন্তু তেলবাজারকে না নাড়িয়ে দেওয়ার মতোই শান্তভাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘যখন এটা পরিষ্কার হয়ে গেল, তখনই যুদ্ধজনিত প্রিমিয়াম হঠাৎ করেই তেলের দাম থেকে ঝরে পড়ে। ফলে গত সোমবার রাতে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই দুই চুক্তির দামই ৭ শতাংশের বেশি হ্রাস পায়।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল নাগাদ উভয় তেল চুক্তির দাম ২ শতাংশের বেশি হ্রাসে ছিল।

এশিয়ান বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ছিল ইতিবাচক। টোকিও ও হংকং সূচক বেড়েছে ১.৪ শতাংশ করে।

সাংহাই ০.৮ শতাংশ এবং সিউল ২.৭ শতাংশ উত্থানে ছিল। সিঙ্গাপুর ০.৭ শতাংশ, সিডনি ১.১ শতাংশ এবং তাইপেই ১.৮ শতাংশ বেড়েছে, তবে জাকার্তা ১.৭ শতাংশ কমেছে।

ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরাইল একটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যা তাদের সংঘাতের ‘আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি’ নিয়ে আসবে। যদিও তেহরানে এখনও কিছু হামলা চলছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে, তবে তেহরানও আর আঘাত চালাবে না।

এমইউএফিজ-এর বিশ্লেষক মাইকেল ওয়ান লিখেছেন, যুদ্ধবিরতির সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখনো পরিষ্কার নয়। তাই, শান্তি ও উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো ইঙ্গিত করছে যে ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদি তা সত্য হয়, তাহলে সম্ভাব্য তেল সরবরাহ বিঘ্নের ভয়াবহ ঝুঁকিগুলো অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে, ডলারের দরপতন হয়েছে। কারণ, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর মিশেল বোম্যান জানিয়েছেন, জুলাই মাসের বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি স্থির থাকলে তিনি সুদের হার কমাতে সমর্থন দেবেন। বর্তমানে বাজারে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাস আবার শুরু হতে পারে।

ওয়ান বলেন, বোম্যান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শুল্ক আলোচনায় চলমান অগ্রগতি নীতিমালা সামঞ্জস্য করার জন্য একটি কম ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রদান করছে’ এবং ডলারকে দুর্বল করে দিচ্ছে।


অর্জনের পাল্লা ভারী কার, ট্রাম্প কী পেলেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। উভয় পক্ষই লক্ষ্য অর্জনের দাবি করছে। এই ১২ দিনের যুদ্ধের জয়-পরাজয় ও বিভিন্ন পক্ষের অর্জন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত এখন আলোচনার কেন্দ্রে।

তেহরানের সেন্টার ফর মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা ফেলো আবাস আসলানি সতর্ক করে বলেছেন, ইরান এই যুদ্ধ বিরতিকে সতর্কতার সঙ্গে দেখছে, কারণ গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের অতীত রেকর্ড ভালো নয়।

আল-জাজিরাকে আসলানি বলেন, ‘এ কারণেই তেহরান সতর্ক এবং কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত করতে আসেননি। যদি সময় মতো কোনো লঙ্ঘন না হয়, আমি মনে করি ইরান যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে।’

আসলানি আরও বলেন, এটি ছিল ইরান এবং ইসরায়েল ও তার সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি যুদ্ধ। দুই মিত্র তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা এবং ইরানে ‘শাসন পরিবর্তন’, যা অর্জন করা যায়নি।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কিছু ক্ষতি দেখেছি, কিন্তু দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল সেই স্থাপনা এবং সরঞ্জামই নয়। ইরান তার পারমাণবিক উপাদান একটি সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা তো অক্ষত রয়েছে!’ আসলানি আরও যোগ করেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাও ধ্বংস হয়নি, তারা যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ঠিক আগেও ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে।

আসলানি বলেন, স্বল্পমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অর্থপূর্ণ’ আলোচনা হতে পারে না, কারণ পারমাণবিক আলোচনা চলাকালীনই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছে।

ইসরায়েলের দাবি: লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের পক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক সাফল্যের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্তব্যে বলা হয়েছে, প্রায় দুই সপ্তাহ ইরান আক্রমণের পর ইসরায়েল তার সমস্ত লক্ষ্য এবং ‘তার চেয়েও বেশি’ অর্জন করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল একটি তাৎক্ষণিক এবং দ্বৈত অস্তিত্বের হুমকি দূর করেছে। পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র—এই দুই হুমকির দিকে ইঙ্গিত করেছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধের মধ্যে আইডিএফ তেহরানের আকাশের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে, ইরানি সামরিক নেতৃত্বের ওপর তীব্র আঘাত হেনেছে এবং ইরানের ডজনখানেক মূল শাসন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।

ইসরায়েল ‘ইরানি পরমাণু হুমকি দূর করতে’ সামরিক সহযোগিতার জন্য ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ বলেছেন, ইসরায়েল ‘ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানে একটি অসাধারণ বিজয়’ অর্জন করেছে যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের ইতিহাসের পাতায় গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। স্মোত্রিচ বলেন, ‘একটি সম্যক হুমকি’ দূর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে গাজায় যেতে হবে, হামাসকে ধ্বংস করতে এবং আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’

হুমকিতে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি

আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বিবাদের সবচেয়ে খারাপ সংকটকাল থেকে একটি জয় নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার জবাবে কাতার মার্কিন ঘাঁটিতে তেহরানের মাঝারি মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে উত্তেজনা প্রশমনের একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার তিনি ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন: ‘অভিনন্দন বিশ্ব, এখন শান্তির সময়!’

ট্রাম্পের এই উচ্ছ্বাস ইঙ্গিত দেয়, তিনি এই সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত থাকার প্রয়োজন আপাতত শেষ বলে মনে করছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি প্রায়শই ভঙ্গুর এবং ক্ষণস্থায়ী হয়। যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও ইসরায়েল এবং ইরান উভয় পক্ষের ভয়াবহ হামলা সেদিকেই ইঙ্গিত করে। কিন্তু মার্কিন স্টিলথ বোমারু বিমানগুলো ইরানে আঘাত করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরেই প্রেসিডেন্ট নিজেকে একজন শান্তি স্থাপনকারী এবং দক্ষ চুক্তি সম্পাদনকারী হিসেবে জাহির করতে শুরু করেন।

গত সোমবার রাতে এনবিসি নিউজকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি যুদ্ধবিরতি অনির্দিষ্টকাল থাকবে। এটি চিরকাল চলবে।’ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ইসরায়েল এবং ইরান আর কখনো পরস্পরের দিকে গোলা ছুড়বে না।

মধ্যপ্রাচ্যকে ‘আমেরিকান প্রেসিডেন্টের জন্য কবরস্থান’ বলা হয়। যেই অঞ্চলের এমন কুখ্যাতি আছে, সেখানে ট্রাম্পের এমন দাবি সত্যিই সাহসী! ট্রাম্পের সমস্ত বিপণন দক্ষতা সত্ত্বেও, আগামী দিনের ঘটনাপ্রবাহই শেষ পর্যন্ত বলে দেবে, ট্রাম্পের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপটি বাস্তব নাকি কেবল আরেকটি বিভ্রম।


ইসরায়েলের ওপর আমি সন্তুষ্ট নই: ট্রাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের ওপর আমি সন্তুষ্ট নই।

নির্ধারিত সময়সীমার পরও দুই দেশের হামলা বন্ধ না হওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশই যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।’

ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) লঙ্ঘন করেছে, একইভাবে ইসরায়েলও লঙ্ঘন করেছে।’

এর আগে, সোমবার (২৩ জুন) সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুইদেশের সংঘাতকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ দাবি করে বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।’

যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ঘোষণার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি শুরু হবে, সে অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির সময় আনুমানিক রাত ১২টা (ইস্টার্ন টাইম)।

তবে, ইরান-ইসরায়েল দুইদেশই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

এ দিন, ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা ইরনার তথ্য মতে, রাজধানী তেহরানের নিকটবর্তী কারাজ শহরে ইসরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) দুই জেনারেলসহ বাহিনীটির মোট ৭ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় কাস্পিয়ান সাগরতীরবর্তী গিলান প্রদেশে ইসরায়েলি হামলায় ৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রদেশের এক উপ-গভর্নরের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।


যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইরানে ইসরায়েলের হামলা, দুই জেনারেলসহ নিহত ৭

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইরানে হামলায় চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানী তেহরানের নিকটবর্তী কারাজ শহরে এ হামলায় চালানো হয়।

ইরানের রাষ্ট্রাত্ত্ব সংবাদ সংস্থা ইরনার তথ্য মতে, এ দিন ইসরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) দুই জেনারেলসহ বাহিনীটির মোট ৭ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আবারও হামলা শুরুর নির্দেশ দেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। আজ (মঙ্গলবার) সকালে তিনি বলেন, ‘তেহরানের কেন্দ্রবিন্দুতে বিভিন্ন নিশানায় তীব্র হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় কাস্পিয়ান সাগরতীরবর্তী গিলান প্রদেশে ইসরায়েলি হামলায় ৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রদেশের এক উপ-গভর্নরের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে হামলার নির্দিষ্ট সময় ও স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) অভিযোগ করে, ‘যুদ্ধবিরতির মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে ইরানি সরকার। আমরা তার জোরালো জবাব দেব।’

তবে, যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে ইরান। তবে ফের ইসরায়েল আগ্রাসন চালালে, চূড়ান্ত, দৃঢ় ও যথাযথ জবাব দেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।

এর আগে, সোমবার (২৩ জুন) সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুইদেশের সংঘাতকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ দাবি করে বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।’

যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলার মধ্যেই ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। দক্ষিণ ইসরায়েলের বেয়ার শেভা শহরের একটি আবাসিক ভবনে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে চারজন নিহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে তারা এবং বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।


যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের অভিযোগ: ইরানে হামলার নির্দেশ ইসরায়েলের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ তুলে তার জোরালো জবাব দিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) তিনি বলেন, ‘তেহরানের কেন্দ্রবিন্দুতে বিভিন্ন নিশানায় তীব্র হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ‘যুদ্ধবিরতির মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে ইরানি সরকার। আমরা তার জোরালো জবাব দেব।’

যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে ইরান। তবে ফের যদি ইসরায়েল কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে চূড়ান্ত, দৃঢ় ও যথাযথ জবাব দেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।

এ সময়ে সচেতনতা, সহনশীলতা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য ইরানের জনগণের প্রশংসা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানীয়দের অবিচল সংকল্প, কৌশলগত ধৈর্য, অবমাননা কিংবা একতরফা অবমাননা মেনে নিতে অস্বীকৃতি থেকে সরিয়ে আনতে পারেনি শত্রুরা।


মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমায় বিমান চলাচল স্বাভাবিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন আকাশসীমা পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে এই অঞ্চলের বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত ৩ টার পর থেকে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গতকাল (২৩ জুন) বাহরাইন চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন।

এরপর সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার পর থেকে আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত করার কথা জানায় ওই দেশগুলো।

বর্তমানে দোহা, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত ও বাহরাইন রুটে সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে নিজ নিজ এয়ারলাইন্স অফিস বা ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্লাইটের হালনাগাদ সময়সূচি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্পর্কে জানতে এবং ভ্রমণ কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য যাত্রীদেরকে অনুরোধ করা হয়।

এ ছাড়া, ধৈর্য, সহানুভূতি ও সহযোগিতার জন্য যাত্রীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।


banner close