শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ব্যাংককে অ্যাপেক সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ

আপডেটেড
১৮ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৪৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৪২

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) সম্মেলন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশ নিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, জাস্ট্রিন টুডোসহ জোটের নেতারা ব্যাংককে এসেছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বদলে ব্যাংককে অ্যাপেক সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস অংশ নেবেন।

অ্যাপেক জোটের আরেক সদস্য রাশিয়া। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনেও অংশ নেবেন না। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলো থেকে পুতিন দূরেই থাকছেন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনেও পুতিন যোগ দেননি। এদিকে বাইডেন ও পুতিনের মতো ক্ষমতাধর দুই নেতার অনুপস্থিতিতে চিন পিংই ব্যাংককের সম্মেলনের ভরকেন্দ্রে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আল-জাজিরা জানায়, এবারের সম্মেলনের ফাঁকে চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দুই নেতার আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডানও চিন পিংয়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাপেকের সদস্য দেশ হচ্ছে ২১টি। অ্যাপেকের মধ্যে তিনটি পর্যবেক্ষকও রয়েছে। এগুলো হলো আসিয়ান, দ্য প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ ফোরাম এবং প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা কাউন্সিল।


অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন

তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণের ঘোষণা দিয়েছে চীন। এ কারণে চীনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারত। গতকাল বুধবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বেইজিংয়ের এই প্রচেষ্টাকে ‘অকার্যকর ও হাস্যকর’বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নয়াদিল্লি বলেছে, চীনের এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না ভারত।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, চীন বারবার ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন নাম দিয়ে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। আমরা এমন প্রচেষ্টা স্পষ্টভাবে নাকচ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের সৃজনশীল নামকরণ বাস্তবতা বদলাতে পারে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।’

গত ১১ মে চীনের বেসামরিক-বিষয়ক মন্ত্রণালয় অরুণাচলের ২৭টি জায়গার নতুন নামকরণ করে। যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি পাহাড়, চারটি রাস্তা, দুটি নদী, একটি লেক এবং পাঁচটি বসতি এলাকা।

সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, চীন পঞ্চমবারের মতো অরুণাচলের জায়গার নাম পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে দুই দেশের সেনারা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার চুক্তি করার পর প্রথমবারের মতো বেইজিং আবার অরুণাচলের জায়গার নাম পরিবর্তন করেছে।

২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই সময় ২০ ভারতীয় ও চার চীনা সেনা নিহত হয়। এরপর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে সম্প্রতি দুই দেশ দীর্ঘ চার বছর পর তিব্বতে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে রাজি হয়েছে। এছাড়া একে অপরের প্রতি আস্থা তৈরির কাজও করছে।

তা সত্ত্বেও সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে সংঘর্ষ হয় সেটিতে চীন পাকিস্তানকে সহায়তা করে।

চীনের নামকরণের বিস্তৃতি

চীন বরাবরই অরুণাচল প্রদেশকে ‘জাংনান’ বা ‘দক্ষিণ তিব্বত’ হিসেবে দাবি করে আসছে এবং বারবার বিভিন্ন জায়গার নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে ওই দাবি জোরালো করার চেষ্টা করছে। চীন এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ দফায় অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে।

২০১৭, ২০২১, ২০২৩, ২০২৪ ও সবশেষ গত ১১ মে অরুণাচলের কয়েকটি স্থানের নতুন নাম প্রকাশ করেছে বেইজিং।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, চীনের বেসামরিক-বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবার অরুণাচলের ২৭টি স্থানের নতুন নাম ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি পাহাড়, পাঁচটি বসতি, চারটি পাহাড়ি পথ, দুটি নদী ও একটি হ্রদ।


যে কারণে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলো ভারত-পাকিস্তান

ভারতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা, পাকিস্তানিদের উল্লাস (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চার দিন ধরে চলা ভয়াবহ পাল্টাপাল্টি হামলার পর অবশেষে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় দুই দেশের মধ্যে এই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের পরমাণু সক্ষমতা ও উত্তেজনার ক্রমবর্ধমান মাত্রা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষে সাময়িক বিরতি এলেও—যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া ও কৃতিত্ব নিয়ে দুই প্রতিবেশীর ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

হঠাৎ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের সময় সকাল ৮টার কিছু আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন, ‘দীর্ঘ রাতের আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’ তিনি দুই দেশের নেতাদের ‘সাধারণ জ্ঞান ও চমৎকার বুদ্ধিমত্তার’ প্রশংসাও করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ঘোষণাকে আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে বলেন, শুধু যুদ্ধবিরতি নয়—ভারত ও পাকিস্তান একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত আলোচনা শুরু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, গত দুই দিন তিনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখেছেন। পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে। কিছুক্ষণ পর ভারতও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।

কৃতিত্ব ঘিরে দ্বিমত

যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কো রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন, তবে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতির এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে। তারা পরবর্তী কোনো আলোচনা হবে কিনা সে বিষয়ে ‘কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি’ বলেও জানায়।

অন্যদিকে পাকিস্তান পুরো বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব ও সক্রিয় ভূমিকায় আমরা কৃতজ্ঞ।’পাকিস্তানের এক সূত্র সিএনএনকে জানান, মার্কো রুবিওর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চুক্তি অনিশ্চিত অবস্থায় ছিল।

ভিন্ন অবস্থান: কেন?

বিশ্লেষকদের মতে, এই ভিন্ন ব্যাখ্যার পেছনে রয়েছে দুই দেশের মৌলিক কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। ভারত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার বিরোধী। ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. অপর্ণা পান্ডে বলেন, ‘ভারত কখনোই কোনো দ্বন্দ্বে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা মেনে নেয় না, হোক তা পাকিস্তান, চীন কিংবা অন্য যে কোনো দেশের সঙ্গে।’তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময় আন্তর্জাতিক সহায়তা চায়, কারণ সেটিই একমাত্র উপায় যেটি ব্যবহার করে তারা কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’

সংঘর্ষ যেভাবে শুরু

এই উত্তেজনার সূত্রপাত ২৬ এপ্রিল, কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা থেকে। সেখানে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নিহত হন। ভারত হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর দুই সপ্তাহ পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, যার আওতায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালানো হয়।

পাকিস্তান পাল্টা জবাব দেয়। শনিবার সকালের দিকে ইসলামাবাদ-সংলগ্ন ঘাঁটি পর্যন্ত ভারতীয় হামলার অভিযোগ তোলে পাকিস্তান। জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায়। সেনাবাহিনীর ভাষায়, ‘চোখের বদলে চোখ।’

এই হামলার পর শ্রীনগর ও জম্মুতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান যথাযথ প্রত্যুত্তর দিয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ কেন সক্রিয় হলো?

মাত্র দুই দিন আগেও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি বিষয় নয়।’ কিন্তু শুক্রবার নতুন গোয়েন্দা তথ্য আসার পর পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা নেয়। স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা জানান, সংঘাত ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছাতে পারে এমন তথ্য পাওয়ার পর তারা দ্রুত হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন।

যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ কি?

যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরের উভয় অংশে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন। পাকিস্তানও ভারতকে একই অভিযোগে দায়ী করে। তবে দেশটি জানায়, ‘আমরা চুক্তি পালনে আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এই উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েছে—যেমন, ভিসা স্থগিত, বাণিজ্য বন্ধ এবং ভারতের পানিবণ্টন চুক্তি থেকে সরে আসা। এই সিদ্ধান্তগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না, সেটি এখনও অনিশ্চিত।


পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দৌড়ে এগিয়ে কে

পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের নাম চূড়ান্ত করতে গতকাল দেশটির বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পার্লামেন্টের আরেক বিদায়ী বিরোধী নেতা রাজা রিয়াজের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: ডন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পার্লামেন্টের আরেক বিদায়ী বিরোধী নেতা রাজা রিয়াজের সঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রথম দফা আলোচনা সেরেছেন। আজ শুক্রবার তারা আবারও বৈঠকে বসবেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক আমলা ও রাষ্ট্রদূত জলিল আব্বাস জিলানি। তবে সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. হাফেজ শেখ, শরিফ সরকারের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসী, সাবেক প্রধান বিচারপতি তাসাদুক জিলানিসহ আরও কয়েকজনের নাম আলোচনায় আসছে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। দেশটির নিয়মানুযায়ী, একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। গতকাল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও এক বার্তায় প্রেসিডেন্টের আদেশে অবিলম্বে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়ার খবর নিশ্চিত করে।

দ্য ডন জানায়, বিদায়ী সরকার এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের নাম ঠিক করতে পারেনি। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক আমলা ও রাষ্ট্রদূত জলিল আব্বাস জিলানি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন জলিল আব্বাস জিলানি। তার আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশে দায়িত্ব পালন করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করা জিলানি ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানি হাইকমিশনার এবং ভারতে পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জলিল আব্বাস জিলানি।

এদিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনটি সম্ভবত বিলম্বিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দেশটিতে জনশুমারির ভিত্তিতে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতে তার কারাদণ্ড হওয়ায় তিনি পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য হয়ে গেছেন। তিনি প্রকাশ্যে দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, সামরিক বাহিনী আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ‘জনশুমারি শেষ হলেই নির্বাচন হবে। এ জন্য চার মাস সময় দরকার হবে। ফলে নির্বাচনটি আগামী বছর পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে।’

বিবিসি জানায়, সম্প্রতি শাহবাজ শরিফও বলেছিলেন, এ বছর নির্বাচন না-ও হতে পারে। যদিও দেশটিতে এমন আলোচনা আছে যে, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার মূল কারণ হলো ইমরান খানের জনপ্রিয়তার কারণে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) জোট নির্বাচনের জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়। পাশাপাশি আইএমএফের সহযোগিতা সত্ত্বেও ব্যাপক মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে সেখানে।

একসময়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও ইমরান এমনভাবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন, যা তার আগে কোনো রাজনীতিক করেননি।

এর আগে গত মে মাসে ইমরানের গ্রেপ্তার নিয়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল, যাতে মারা গিয়েছিল অন্তত আটজন এবং নজিরবিহীন হামলা হয়েছিল সামরিক কিছু স্থাপনাতেও।

৭০ বছর বয়সী এই রাজনীতিক দাবি করেছিলেন যে সামরিক বাহিনীর লক্ষ্য হলো ‘তাকে বন্দি রেখে তার দলকে ধ্বংস করে দেয়া’।

বিবিসি জানায়, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে যে-ই চ্যালেঞ্জ করুন, এমনকি সেটা ইমরানের মতো আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব হলেও তাকে সরে যেতে হবে। ১৯৭০ সাল থেকেই এটি হয়ে আসছে এবং এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হলেন ইমরান।

সাবেক সিনেটর আফরাসিয়াব খাত্তাক বিবিসিকে বলেন, এখানে সমান্তরালভাবে দুটি সরকার কাজ করে। তিনি বলেন, ‘অনুমোদনহীন ডি ফ্যাক্টো ফোর্স সব সময় পার্লামেন্টীয় প্রক্রিয়ার ওপর খবরদারি করতে চায়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সব সময়ই ক্ষমতাবান। কিন্তু তারা আরও ক্ষমতা চায়, যাতে করে তাদের অনুমোদিত কর্মকাণ্ড কেউ চ্যালেঞ্জ না করে, সেটা রাজনীতিক, অধিকারকর্মী কিংবা সাংবাদিক- যে-ই হোন না কেন।’

গত সপ্তাহে সংসদে দুটি ড্রাকোনিয়ান ল উপস্থাপিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্যেই হলো সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষমতা বাড়ানো।

শতাব্দীপ্রাচীন অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের দুটি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে, যেটা মোটা দাগে আইএসআই এবং আইবি (ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস লঙ্ঘনের অভিযোগে’ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেবে।

এ ছাড়া নতুন বিলটিতে এমন বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে কেউ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করলে তার তিন বছর জেল হবে।

এসব সংশোধনীর প্রস্তাব নিয়ে তীব্র হট্টগোল হয়েছে সংসদে। পিটিআই ও পিএমএল-এনের জোটসঙ্গীরা তড়িঘড়ি করে এসব ড্রাকোনিয়ান ল কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই পাসের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

জামাত-ই-ইসলামীর সিনেটর মুশতাক আহমেদ বলেছেন, এ আইন গোয়েন্দা সংস্থাকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি ও আটকের ‘ব্যাপক ক্ষমতা’ দেবে। ‘এর প্রভাব পড়বে মানবাধিকার, ব্যক্তি অধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর’।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিতই বিরোধী রাজনীতিক, অধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের আটকের অভিযোগ ওঠে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টিতে প্রতি মাসেই বাড়ছে জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা।

এ ধরনের ঘটনা তদন্তের জন্য সরকারি সংস্থার হিসেবে শুধু জুলাই মাসেই ১৫৭টি ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত বিলগুলো প্রেসিডেন্ট আলভীর কাছে পাঠানো হয়েছে। আলভী পিটিআইয়ের একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা। সংসদে বিল পাসের পর আইনে পরিণত করতে হলে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বিষয়:

চীনে কিন্ডারগার্টেনে হামলা, শিশুসহ নিহত ৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ জুলাই, ২০২৩ ১২:৪০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চীনে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ছুরিকাঘাতে শিশুসহ ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৮টার দিকে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ের লিয়ানজিয়াং শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি, রয়টার্সের।

নিহতরা হলেন, একজন শিক্ষক, দুই অভিভাবক এবং তিন শিশু শিক্ষার্থী।

পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে হামলা শুরু হয়। এ ঘটনায় লিয়ানজিয়াং শহর থেকে ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, চীনে এ ধরণের সহিংসতার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। তবে দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্কুলসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবারের এ ঘটনায় দেশটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।


ভারত মহাসাগরে ধরা পড়ল ২৫ হাজার কোটি রুপির মাদকের চালান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৩ ১৬:০৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারত মহাসাগর থেকে ২৫ হাজার কোটি রুপি মূল্যের মাদকের বিশাল চালান জব্দ করা হয়েছে। শনিবার ভারতীয় জলসীমা থেকে দেশটির নৌবাহিনী এবং মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) বিশেষ অভিযানে মেথামফেটামিনের (ক্রিস্টাল মেথ বা আইস) এই চালান জব্দ করা হয়। খবর এনডিটিভির।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জব্দ হওয়া মাদকের পরিমাণ ২ হাজার ৫২৫ কেজি, যা হিসাব করতে সময় লেগেছে প্রায় ২৩ ঘণ্টা। এক কেজি করে প্যাকেট করা ১৩৪টি বস্তায় মাদকগুলো রাখা ছিল।

অর্থমূল্য হিসাবে এটি অন্যতম বড় মাদকের চালান বলছেন কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও এনসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় কুমার সিং বলেন, ‘ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে আসা এ মাদকগুলোর মূল উৎস পাকিস্তান।’

সঞ্জয় সিং আরও বলেন, ‘জব্দ হওয়া মাদকের এ চালানটি শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভারতের উদ্দেশে আনা হয়েছিল।’

‘একটি বড় জাহাজ এসব মাদক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাগরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করত। বিভিন্ন দেশের মাদক কারবারিরা ছোট ছোট নৌকায় ওই জাহাজে গিয়ে মাদক কিনে নিত’ বলেন, সঞ্জয় কুমার সিং।

এনসিবির এ কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমুদ্রে মাদক চোরাকারবারিদের ধরতে ‘সমুদ্রগুপ্ত’ নামে বিশেষ এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবারের এ চালানটি জব্দ করা হয়। বিভিন্ন সময়ে প্রায় চার হাজার কেজি মাদক জব্দ করা হয়েছে এ অভিযানে।

বিষয়:

সরকারি বাংলো ছাড়লেন রাহুল

রাহুল গান্ধী।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দিল্লির সরকারি বাংলো ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার বাংলোর চাবি লোকসভার হাউজিং কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেন ওয়ানাড়ের এই সাবেক সাংসদ। আপাতত মা সোনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোয় তার ঠিকানা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর ঠিকানা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো। লোকসভার হাউসিং কমিটি শনিবার পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময় তিনি বাংলো ছেড়ে দিলেন। শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে।

কয়েকদিন আগেই সরকারি বাংলো থেকে নিজের মালপত্র সরিয়ে নেন রাহুল । দু’টি ট্রাকে সব মালপত্র নিয়ে যান তিনি। মা সোনিয়া গান্ধীর ১০ নম্বর জনপথের বাংলোতে মালপত্র রাহুল নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

২০০৪ সালে আমেথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম এমপি হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তার জন্য ওই বাংলাটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউসিং কমিটি।

২০১৯ সালেরেএক জনসভায় ‘মোদি’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

বিষয়:

পুনরায় দূতাবাস খুলতে বৈঠক করবে সৌদি ও ইরান

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৩ ১৫:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় দেশ দুটিতে আবারও দূতাবাস ও কনস্যুলেট খোলার প্রক্রিয়া শুরু করতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।

বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে ফোন করেন।

গত ১০ মার্চ চীনের উদ্যোগে হওয়া আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকটি প্রত্যাশিতই ছিল। এটিকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাত বছর পরে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা ও সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবেই ধরা হচ্ছে।

২০১৬ সালে বিশিষ্ট এক শিয়া মুসলিম পণ্ডিতের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সুন্নিপ্রধান দেশ সৌদি আরব। সে সময় শিয়া অধ্যুষিত ইরানের বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবের কূটনৈতিক মিশনে হামলা চালায়। তখন তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।

ইয়েমেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন পক্ষকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান ও সৌদি আরব। ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে ইরান আর সরকার সমর্থিত একটি সামরিক জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব।


দীর্ঘ-কঠিন সময় আসছে, সতর্ক করলেন বিক্রমাসিংহে

রনিল বিক্রমাসিংহে
আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০৯:৩৮
এএফপি, কলম্বো

অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়া, জ্বালানিসংকটসহ নানা কারণে ভুগতে হচ্ছে দেশটির মানুষকে। এরই মধ্যে ঋণখেলাপিও হয়েছে দেশটি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ঋণ চেয়েছিল কলম্বো। শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে আইএমএফের সে ঋণ দেরিতে হলেও আসছে।

তবে এতেই স্বস্তি মিলবে না বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। গতকাল বুধবার তিনি বলেছেন, ‘আইএমএফের ঋণ পেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে না। এটা কেবল দীর্ঘ, আরও কঠিন এক যাত্রার সূচনা মাত্র। আমাদের যত্নের সঙ্গে, আরও সাহস নিয়ে এই পথ পাড়ি দিতে হবে। এই যাত্রার একটাই উদ্দেশ্য- অর্থনৈতিক পুনর্গঠন।’

চীন হলো শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতা দেশ। বেইজিং শ্রীলঙ্কার ঋণের শর্ত শিথিল করার আশ্বাস দেয়ার পর গত সোমবার আইএমএফের ঋণটি অনুমোদন পায়। পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে রনিল বিক্রমাসিংহে আইএমএফের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে দেশ পুনরুদ্ধারে মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, এই পুনরুদ্ধার ঋণ আরও কঠিন কাঠামোগত সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ মাত্র।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত বছরের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা ঋণখেলাপি হয়। সে সময় তাদের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। একে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়া, পাশাপাশি ঋণখেলাপি হওয়ায় শ্রীলঙ্কার আমদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এতে নিত্যপণ্যের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয় দেশটিতে। তারপর থেকে ২ কোটি ২০ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানিসংকট চলছে এবং তা দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে উঠেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিক্রমাসিংহে কর বাড়িয়ে এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি কমিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল তিনি জানিয়েছেন, আইএমএফের শর্ত পূরণে আরও করারোপ করতে হবে। এতে বিদেশি ঋণের ওপর শ্রীলঙ্কার নির্ভরশীলতা অর্ধেকে কমবে। গত বছর শ্রীলঙ্কার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৯ শতাংশ ছিল বিদেশি ঋণ। আইএমএফ শ্রীলঙ্কাকে দুর্নীতি দমনে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন এবং শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসসহ লোকসানি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি করে দেয়ার শর্ত দিয়েছে।

বিক্রমাসিংহে ঘোষণা দিয়েছেন, সরকারি কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তবে ট্রেড ইউনিয়নগুলো সরকারের এসব কঠোর পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য ও পরিবহন খাতের শ্রমিকদের অবরোধে এই দুই খাত প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। ট্রেড ইউনিয়নগুলো আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।


যে জনপদে ২৫ বছরে একটিমাত্র শিশুর জন্ম

মা-বাবার সঙ্গে কেনতারো ইয়োকোবোরি। ছবি: সিএনএন
আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গ্রামে ২৫ বছরের মধ্যে জন্ম নেয়া একমাত্র শিশু সে। তাই তাকে এবং তার বাবা-মাকে নিয়েই ব্যস্ততা সবার। তাদের দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন লোকজন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকজনই বয়স্ক। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না, এমন মানুষও ছুটে এসেছেন। উদ্দেশ্য একটাই, শিশুটিকে দেখবেন। একটু ছুঁয়ে দেখবেন। আগ্রহ এখানেই থেমে নেই, শিশুটিকে কোলে নিতে রীতিমতো ভিড় লেগে গেছে মানুষজনের। পালা করে একেকজনে একেকবার কোলে নিচ্ছেন।

শিশুটি জন্মের প্রায় এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে তার বাড়িতে ছিল এমন ভিড়। তাকে নিয়ে গ্রামবাসীর যেন রীতিমতো বিস্ময়। যেন অলৌকিক কোনো শিশু সে।

এটা কোনো রূপকথা নয়। জাপানের একটি গ্রামের বাস্তব ঘটনা। ওই শিশুটির নাম কেনতারো ইয়োকোবোরি। তার বয়স এখন সাত বছর। যখন তিনি মায়ের গর্ভে আসেন, তখন থেকেই তার আগমনের ক্ষণ গুনছিল গ্রামের মানুষ। শিশুটি দুনিয়ার আলোয় আসতেই তাকে নিয়ে যেন উৎসব শুরু হয়। সাত বছর গড়ালেও এই একমাত্র শিশুটির দুষ্টুমি-খুনসুটিই উচ্ছ্বাসে রেখেছে এলাকার মানুষকে।

জাপানের সোজিও জেলার কাওয়াকামি গ্রামের এ ঘটনাটি দেশটির একটি চিত্র মাত্র। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

কেনতারোকে নিয়ে বিস্ময়ের মূল কারণ, পুরো দেশটি জুড়েই এখন জন্মহার কমে গেছে। দেশটির সরকার ‘নবজাতক বোনাস’ ঘোষণা করেও জন্মহার বাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। জন্মহার কমে যাওয়ার পাশাপাশি দেশটিতে আরও একটি সংকট দেখা দিয়েছে। তা হলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিপর্যয়।

গ্রামগুলোর এমন পরিস্থিতি যে, যুবসমাজের কেউ সেখানে থাকেন না। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়ার আশায় তারা বুঝতে শেখার পরই শহরে পাড়ি জমান। ফলে গ্রামগুলোর বেশিরভাগ বাসিন্দাই এখন বৃদ্ধ বয়সের। বার্ধ্যক্যজনিত কারণে একেক করে তারাও না ফেরার দেশ পাড়ি জমাচ্ছেন। ফলে গ্রামগুলোতে মানুষের বসবাস উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। এ দিকে কমছে জন্মহারও।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে শহুরে জীবন-যাপন ছেড়ে গ্রামে বসবাস শুরু করেন মিহো এবং হিরোহিতো নামে এক দম্পতি। তাদের ঘরে জন্ম নেয় কেনতারো নামে ওই শিশু। সংগত কারণেই তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখা দেয় সবার মধ্যে।

সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে জাপানের নারীরা সন্তান নিতে চান না। এরমধ্যে অন্যতম কারণ হলো দেশটিতে চাকরিজীবী নারীদের সন্তান ধারণের আগ্রহ বা সুযোগ কম। অনেকে আবার মনে করেন, সন্তান ধারণ করলে ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। চাকরির সুযোগ থাকবে না।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর জাপানে মোট সাত লাখ ৯৯ হাজার ৭২৮টি শিশুর জন্ম হয়েছে। যেখানে ১৯৮২ সালে মোট শিশু জন্মের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ।


সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিয়ানমারে মঠে ঢুকে ২৮ গ্রামবাসীকে হত্যা

মিয়ানমারের শান রাজ্যের নান নেইন গ্রামে গত শনিবার ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ মার্চ, ২০২৩ ১৮:০৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি মঠে হামলা চালিয়ে অন্তত ২৮ জনকে হত্যা করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কারেনি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ কথা জানায়। শান রাজ্যের নান নেইন গ্রামে গত শনিবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বিবিসি সোমবার এ খবর জানায়।

দুই বছর আগে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সামরিক বাহিনী এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রক্তাক্ত লড়াইয়ের ঘটনা বাড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র কিছু লড়াই শান রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাজ্যটির সীমান্ত আছে।

কেএনডিএফ জানায়, নান নেইন গ্রামে গত শনিবার ব্যাপক গোলাবষর্ণের পর বিমানবাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে। তারা মঠে আশ্রয় নেয়া গ্রামবাসীদের খুঁজে বের করে এনে হত্যা করে। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শান রাজ্যের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিও লড়াই করছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মঠে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগের পক্ষে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে কেএনডিএফ গোষ্ঠী। এতে দেখা যায়, তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ২১ জনের মরদেহ পড়ে রয়েছে। এসব মরদেহে একাধিক গুলি লেগেছে। ভিডিও ফুটেজে মঠের দেয়ালে গুলির আঘাতে গর্ত দেখা গেছে।

স্থানীয় সংবাদপত্র কান্তারাওয়াদ্দি টাইমসকে এনডিএফের মুখপাত্র বলেন, ‘সব কিছু দেখে মনে হয়েছে, এসব মানুষকে মঠের সামনে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে সামরিক বাহিনী।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বিবিসিকে জানায়, তারা মঠের কাছেই আরও সাতটি মরদেহ পেয়েছে। মঠের আশপাশে বেশ কিছু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। সামরিক বাহিনী এসব বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কেএনডিএফ।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানায়, নিরীহ গ্রামবাসীদের বেশির ভাগই সামরিক বাহিনী আসার আগেই পালিয়ে গিয়েছিল। কিছু মানুষ বৌদ্ধ মঠে লুকিয়েছিল। তারা ভেবেছিল, এমন একটি ধর্মীয় স্থানে আশ্রয় নিলে তারা হয়তো হামলা থেকে বেঁচে যাবেন।

বিবিসি জানায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির বিস্তারিত যাচাই করা কঠিন হলেও মিয়ানমারের এই রাজ্যটিতে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর এ ধরনের বর্বরতার ঘটনা নতুন নয়। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে এই রাজ্যটিতেই সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল প্রতিরোধের কিছু ঘটনা ঘটেছে।

কেএনডিএফ বিবিসিকে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নান নিইন এলাকায় সামরিক বাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে। শান রাজ্য থেকে কায়েহ রাজ্যে যাওয়ার প্রধান রুট নান নেইন এলাকা। সামরিক বাহিনীর ধারণা, এই রুট দিয়েই সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনীগুলো অস্ত্র আমদানি করে। তাই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে সামরিক বাহিনী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর চেপে ধরতে ব্যাপক নির্যাতন চালায় তারা। অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স গোষ্ঠীর দাবি, ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে জান্তার দমনপীড়নে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

বিষয়:

রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং

রেকর্ড গড়ে টানা তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন সি চিনপিং
আপডেটেড ১০ মার্চ, ২০২৩ ১৪:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রেকর্ড গড়ে টানা তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সি চিনপিং। শুক্রবার ৬৯ বছর বয়সী এই নেতাকে দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি) নামে পরিচিত প্রায় ৩ হাজার সদস্যের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করে। খবর বিবিসি, রয়টার্সের।

চীনে এর আগে দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্টের মেয়াদসীমা বিলুপ্ত করেন চিনপিং। ফলে তার আবারও ৫ বছরের মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে বসার জন্য সুযোগ তৈরি হয়।

আর এর মাধ্যমে মাও সে তুংয়ের পর চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হলেন সি। এ ছাড়া এর মধ্য দিয়ে দলের ওপরও তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হলো।

আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় সি চিন পিং, শীর্ষ দল ঘোষণা

চীনের সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। সত্যিকারের ক্ষমতা থাকে পার্টি ও সেনাবাহিনীর প্রধানের। এ দুই পদেও রয়েছেন চিনপিং। গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে তিনি তার দল কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন। এ ‍ছাড়া দেশটির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যানও তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চি চিনপিং যে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সেটি আগে থেকে অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এখন পালা দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করার।

এ ক্ষেত্রেও আগে থেকে কিছুটা অনুমান করা যাচ্ছে। চিন পিংয়ের বিশ্বাসভাজনরাই এসব পদে আসবেন। এর মধ্যে লি কিয়াংকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়:

আইএমএফের শর্ত কল্পনারও বাইরে, রাজি না হয়ে উপায় নেই: শেহবাজ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
আপডেটেড ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:০৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ চুক্তি নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। আসন্ন অক্টোবরে নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে আইএমএফের দাবিকৃত কর বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি হ্রাসের শর্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও এখন এই কঠিন শর্তই মানতে চলেছে শেহবাজ শরিফের সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেছেন, ঋণ পেতে আইএমএফের শর্ত যদিও ‘কল্পনারও বাইরে’। কিন্তু এই কঠিন শর্তেও রাজি না হয়ে উপায় নেই। খবর দ্য ডন ও এনডিটিভির।

অর্থনৈতিক অবস্থার গতি ফেরাতে আইএমএফের কাছ থেকে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিতে চায় পাকিস্তান। গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত আলোচনা সারতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদে পৌঁছেছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার শেহবাজ শরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিস্তারিত বলতে চাই না, তবে এতটুকুই বলব, আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অকল্পনীয়। আইএমএফের যেসব শর্তে রাজি হতে হবে, সেটাও কল্পনার বাইরে। তারপরও আইএমএফের এসব শর্তে আমাদের রাজি হতেই হবে।’

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রিজার্ভ দিয়ে আর তিন সপ্তাহেরও কম আমদানির চাহিদা মেটানো যাবে। গত বুধবার পাকিস্তানের বাৎসরিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৪৮ বছরের সর্বোচ্চ হয়েছে।

বিষয়:

পাকিস্তানে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় বাড়ল ৩৫ রুপি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:৪৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাকিস্তানে ফের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এবার এক ধাক্কায় লিটারপ্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৩৫ পাকিস্তানি রুপি বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। এছাড়া কেরোসিন ও হালকা ডিজেলের মূল্য বেড়েছে ১৮ রুপি করে।

রোববার থেকে এই নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই ঘোষণা দেন।

সম্প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দর রেকর্ড পরিমাণে কমে যায়। এতে গত বৃহস্পতিবার থেকে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার দর দাঁড়ায় ২৬২ রুপিতে।

এরপরই দেশটির সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে পাকিস্তান এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

দেশটিতে বর্তমানে লিটারপ্রতি পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ২৪৯.৮০ রুপিতে। হাইস্পিড ডিজেলের মূল্য ২৬২.৬০ রুপি। কেরোসিন তেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮৯ রুপিতে। আর হালকা ডিজেলের দাম ১৮৭ রুপি।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানায়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার গুজবে দেশটির লোকজন গত কয়েকদিন ধরে পেট্রোল স্টেশনে ভিড় জমাচ্ছিল। তবে সরকার মানুষকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে মানা করেছে।

অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, জ্বালানি তেলের অস্থায়ী মজুদ এবং পেট্রোলের ঘাটতি সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া গুজবের কারণে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে অবিলম্বে নতুন মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে।

পাকিস্তানি রুপির দরপতনের ফলে আর্থিক সংকটের পাশাপাশি পাকিস্তানে খাদ্যপণ্যের দামও ব্যাপক বেড়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। ব্যয় সংকোচনের জন্য মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।


banner close