বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
২৩ আশ্বিন ১৪৩২

নোবেল পাচ্ছেন না ট্রাম্প!

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:০৬

চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম আগামী শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ব্যাপক আলোচনায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বহুদিন ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে আসছেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। বিজয়ীর নাম ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় নোবেল পুরস্কার পাওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন তিনি।

তারই অংশ হিসেবে ইসরাইল ও হামাসের মাঝে প্রায় দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের অবসানে জোরাল প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

তবে আসল কথা হচ্ছে—এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে একটি বিষয় প্রায় নিশ্চিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পুরস্কার পাচ্ছেন না, তা তিনি যতই প্রত্যাশা করুন না কেন। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কে পাবেন?

নরওয়ের নোবেল কমিটি শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় (০৯০০ জিএমটি) বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে এ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাবে।

বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। ১৯৪৬ সালে সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় বৈশ্বিক সংঘাত নিয়ে তথ্যভান্ডার তৈরি শুরু করে। এর পর থেকে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র সংঘাতের সংখ্যা ২০২৪ সালের মতো কখনোই এত বেশি ছিল না।

ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, তিনি আটটি সংঘাতের সমাধান করে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য হয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাঁকে কমিটি বেছে নেবে না; অন্তত এ বছরের জন্য। খবর এএফপির।

সুইডেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পিটার ভ্যালেনস্টিন এএফপিকে বলেন, ‘না, এ বছর ট্রাম্প নোবেল পাচ্ছেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে হয়তো পরের বছর? তখন হয়তো তার নানা উদ্যোগ, বিশেষ করে গাজা সংকট নিয়ে পদক্ষেপের বিষয়ে ধোঁয়াশা কেটে যাবে।’

অনেক বিশেষজ্ঞ ট্রাম্পের নিজেকে ‘শান্তির দূত’ দাবি করাকে অতিরঞ্জিত বলে মনে করেন এবং তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অসলো পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নিনা গ্রেগার বলেন, ‘গাজায় শান্তি আনার প্রচেষ্টার বাইরেও আমরা (ট্রাম্পের) এমন অনেক নীতি দেখেছি, যা নোবেলের (আলফ্রেড নোবেল) উইলে লেখা উদ্দেশ্যের পরিপন্থি। সেই উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, জাতির ভ্রাতৃত্ব ও নিরস্ত্রীকরণ উৎসাহিত করা।’

গ্রেগারের মতে, ট্রাম্পের যেসব পদক্ষেপ নোবেল শান্তি পুরস্কারের নীতির সঙ্গে মেলে না, তার তালিকা বেশ লম্বা।

নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানকারী পাঁচ সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োরগেন ওয়াতনে ফ্রিডনেস বলেন, ‘আমরা পুরো ছবিটিই দেখি। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ ভূমিকা ও চরিত্র বিবেচনায় নেওয়া হয়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শান্তির জন্য তারা বাস্তবে কী অর্জন করেছে, সেটিই আমরা দেখি।’

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮ ব্যক্তি ও সংস্থাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তালিকা ৫০ বছর পর্যন্ত গোপন রাখা হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, মন্ত্রিসভার সদস্য, আগের বিজয়ীরা, নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নোবেল কমিটির সদস্যরা প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে পারেন।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে নানা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুপক্ষীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন, মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়ের সঙ্গেই বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন, বলপ্রয়োগে ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি দিয়েছেন, মার্কিন শহরগুলোতে ন্যাশনাল গার্ড পাঠিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হেনেছেন।

এ বছর স্পষ্টভাবে পছন্দের কোনো প্রার্থী না থাকায়, অসলোতে শুক্রবারের ঘোষণার আগে নানা নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে আছে স্বেচ্ছাসেবীদের নেটওয়ার্ক সুদানের ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস’। তারা যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত মানুষদের সাহায্য করতে জীবন ঝুঁকিতে ফেলে কাজ করছে।

এ ছাড়া রয়েছেন রুশ নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির বিধবা স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া এবং অফিস ফর ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার নাম।

গাজায় শান্তি আনার প্রচেষ্টার বাইরেও আমরা (ট্রাম্পের) এমন অনেক নীতি দেখেছি, যা নোবেলের (আলফ্রেড নোবেল) উইলে লেখা উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। সেই উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, জাতির ভ্রাতৃত্ব ও নিরস্ত্রীকরণ উৎসাহিত করা।

নরওয়ের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক হালভার্ড লেইরা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তগুলো আবারও ক্ষুদ্র পরিসরের কাজের দিকে ফিরেছে, যা শান্তির ক্ল্যাসিক ধারণার কাছাকাছি। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নারী অধিকার এখন মূল গুরুত্ব পাচ্ছে।

হালভার্ড লেইরা আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, সম্ভবত এ বছর বিতর্কিত নন, এমন একজন প্রার্থীর পক্ষেই রায় যাবে।’


ইউনেসকোর ৪৩তম সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউনেসকোর ৪৩তম সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেসকো) ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা।

নির্বাচনে তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকেহিরো কানোকে ৩০-২৭ ভোটে পরাজিত করেন। বাংলাদেশ, জাপান, ভারত ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র প্রার্থিতা দিলেও গত সেপ্টেম্বরে ভারত ও কোরিয়া তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।

বাংলাদেশের ইউনেসকো সদস্য পদের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদে নির্বাচিত হলেন, যা দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। আসন্ন ৪৩তম সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

এই অর্জনে ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফবিজেএ), বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ), বিএনপি ফ্রান্স শাখা, বাংলাদেশি নাগরিক পরিষদ ফ্রান্স, এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স ফ্রান্স শাখা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য (বিএনডিএ) বিভিন্ন সংগঠন একযোগে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে।


ইরাকে ৩৫ হাজার বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা

ইরাকের কুখ্যাত আবু গারিব কারাগার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরাকে ৩৫ হাজার বন্দিকে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে কারাগার ও আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। পাশাপাশি চুরি ও দুর্নীতির ৩৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
কাউন্সিল জানায়, এই আইনের অধীনে আরও ১ লাখ ৪৪ হাজারজন মুক্তি পেতে পারেন বা কারাদণ্ড এড়াতে পারেন। তাদের মধ্যে বিচারপূর্ব আটক ব্যক্তিরা এবং জামিনপ্রাপ্ত বা যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, তারাও অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরের শুরুতে পাস হওয়া ক্ষমা আইনের অধীনে এ মুক্তি ঘোষণা করা হয় বলে গতকাল মঙ্গলবার এবিসি নিউজের সংবাদে বলা হয়েছে।
কারাগারের অতিরিক্ত ভিড় কমানোর একটি উপায় হিসেবে গত জানুয়ারিতে এই আইন পাস করা হয়। ইরাকের বিচারমন্ত্রী গত মে মাসে বলেছিলেন, দেশটির ৩১টি কারাগারে প্রায় ৬৫ হাজার বন্দী রয়েছেন, যদিও সেগুলোর ধারণক্ষমতা এর প্রায় অর্ধেক।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ সাধারণ ক্ষমা আইন দুর্নীতি, চুরি ও মাদক ব্যবহারের মতো অপরাধের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিছু লোককেও অন্তর্ভুক্ত করে। তবে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত কোনো হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এ ক্ষমার আওতায় আসবেন না।
এই আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সুন্নি আইনপ্রণেতারা। তাদের দাবি, তাদের সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং অনেক সময় নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তবে অন্যরা আইনটির সমালোচনা করেছিলেন। তারা আশঙ্কা করছিলেন, এই আইনের ফলে চরমপন্থি ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন।
বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল এই ক্ষমার অধীনে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ ছিল, এর বিস্তারিত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।
এই নতুন আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কোনো ব্যক্তি যদি দাবি করেন—আটক অবস্থায় জোর করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল, তবে তিনি পুনরায় বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইনটির আওতায় মৃত্যুদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে ইরাককে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের পদ্ধতির জন্য কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বিশেষত, বন্দীদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যদের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে গণহারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।


পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী

জন ক্লার্ক, মাইকেল ডেভোরেট এবং জন মার্টিনিস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মাইকেল ডেভোরেট ও জন মার্টিনিস। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।

ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে। বর্তমান বাজারে এর মান প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তি- এই ছয়টি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয় নোবেল। চিকিৎসা ও পদার্থবিদ্যার পর বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য ও শুক্রবার শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম জানানো হবে। সবশেষে আগামী ১৩ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার বিতরণী।

এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘিরে রয়েছে আলোচনা। ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘আবরাহাম অ্যাকোর্ডস’ চুক্তিতে ভূমিকা রাখার জন্য এক রিপাবলিকান কংগ্রেসওমেন গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনীত করেন। এর আগে ২০১৮ সাল থেকে দেশ-বিদেশের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্প একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েছেন।

নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রক্রিয়া খুবই গোপন। সাধারণত মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয় না। এছাড়া বিচারকদের আলোচনা-পর্যালোচনা পরের ৫০ বছর পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। তবে মনোনয়নদাতারা চাইলে নিজেদের প্রস্তাবের কথা প্রকাশ করতে পারেন।


ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা ফ্রিডম ফ্লোটিলার সবগুলো জাহাজ আটক করেছে ইসরাইল। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক যাত্রীরা সবাই সুস্থ্য ও নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) জানিয়েছে, আজ (বুধবার) তিনটি ছোট জাহাজে আক্রমণ করে ইসরাইল। এই তিনটিতে আক্রমণের আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দ্য কনশেনস নামে একটি জাহাজে হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক, ডাক্তার ও অধিকর্মীসহ ৯৩ জন যাত্রী ছিলেন।

সব যাত্রীকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এফএফসি।

ইসরাইল জানিয়েছে, গাজার ওপর আরোপ করা সমুদ্র অবরোধ ভাঙার চেষ্টাকারী একটি নতুন নৌবহরকে আটকে দেয়া হয়েছে। তাদের জাহাজ এবং যাত্রীদের আটক করে একটি ইসরাইলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সামাজিকমাধ্যম এক্সে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ‘নৌ অবরোধ ভেঙে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জাহাজ এবং যাত্রীদের একটি ইসরাইলি বন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। যাত্রীদের দ্রুত নির্বাসিত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

টাইমস অব ইসরাইল জানায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের নৌবহরে নয়টি জাহাজ রয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে নৌবহরটি।


মৃতদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি: হার্ভার্ডকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: আদালত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে মেডিকেল স্কুলের মর্গ থেকে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরির ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের সর্বোচ্চ আদালত। অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো মর্গের সাবেক ব্যবস্থাপক কালোবাজারে বিক্রি করেছেন, এই অভিযোগে পরিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। গত সোমবার ম্যাসাচুসেটস সুপ্রিম জুডিশিয়াল কোর্ট এ রায় দেয়।

আদালত আরও ঘোষণা করেছে, হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অ্যানাটমিকাল গিফট প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্ক এফ. সিচেটি-ও আইনি দায়ে পড়েছেন। মামলার মূল অভিযুক্ত, হার্ভার্ড মর্গের সাবেক ম্যানেজার সেড্রিক লজ, গবেষণা ও শিক্ষার উদ্দেশে দান করা মৃতদেহগুলো থেকে অঙ্গ কেটে নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করতেন।

২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ১২টি মামলা দায়ের করেছেন ৪৭ জন পরিবারের সদস্য, যাদের প্রিয়জনদের দেহাংশ অনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও তদারকিতে গুরুতর অবহেলা করেছে এবং আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যানাটমির নির্দেশনা অমান্য করেছে।

প্রধান বিচারপতি স্কট এল. ক্যাফকার তার রায়ে ঘটনাটিকে ‘বহু বছর ধরে চলা এক ভয়াবহ ও বিকৃত চক্র’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

রায়ে ক্যাফকার লিখেছেন, ‘দানকৃত মানবদেহের প্রতি মর্যাদাপূর্ণ আচরণ ও সঠিক নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা হার্ভার্ডের আইনি দায়িত্ব ছিল, যা তারা করুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে — হার্ভার্ড নিজেরাও তা স্বীকার করেছে।’

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল ২০২৩ সালে লজকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে এবং তার কর্মকাণ্ডকে ‘নৈতিকভাবে ঘৃণিত’ বলে অভিহিত করে।

রায়ের বিবরণ অনুযায়ী, লজ চুরি করা দেহাংশ — যেমন মাথা, মস্তিষ্ক, ত্বক ও হাড় — রাজ্য সীমানা অতিক্রম করে পাচার করতেন, যার ফলে এটি একটি ফেডারেল অপরাধের মামলায় পরিণত হয়।

এক সহযোগী মাত্র ৬০০ ডলারে দুইটি কাটা মুখমণ্ডল কিনেছিল বলে আদালত জানায়। লজ তাকে আরও মানব ত্বক সংগ্রহে সাহায্য করেছিলেন, যা পরবর্তীতে তৃতীয় এক ব্যক্তির কাছে ‘মানবচামড়ার লেদার’ তৈরির বিনিময়ে সরবরাহ করা হয়।

আরেক অভিযুক্ত ৩৯ বার মোট ৩৭ হাজার ডলার পেমেন্ট করেছিলেন, যার মধ্যে এক লেনদেনে ‘হেড নাম্বার ৭’ এবং অন্যটিতে ‘ব্রেইইইনস’ লেখা ছিল।

লজ চলতি বছরের মে মাসে চুরি করা মানবদেহ পরিবহনের এক অপরাধে দোষ স্বীকার করেছেন। তার সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা হতে পারে।


বিশ্ব ব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে: গ্রেটা থুনবার্গ

ইসরায়েল লাইভ গণহত্যা চালাচ্ছে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই একটি গণহত্যা চলছে—এটি একটি লাইভস্ট্রিমড গণহত্যা।’ গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে পৌঁছান সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেটাসহ অন্য অধিকারকর্মীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান তাদের সমর্থকেরা। সে সময় অনেকের হাতেই ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে থুনবার্গ জানান, তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং আসল গল্প হলো অন্য কিছু।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা থুনবার্গসহ ৭১ জন আন্দোলনকারীকে বহিষ্কার করেছে। গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, সোমবার একটি ফ্লাইটে ১৬১ জন আন্দোলনকারী এথেন্সে এসে পৌঁছান, যাদের মধ্যে ২২ বছর বয়সী থুনবার্গ ছাড়াও গ্রিসের ২৭ জন এবং আরও প্রায় ২০টি দেশের নাগরিক রয়েছেন।

থুনবার্গ বলেন, ‘আমাদের আটক অবস্থায় কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা নিয়ে আমি অনেক কিছু বলতে পারি, বিশ্বাস করুন। কিন্তু সেটাই আসল গল্প নয়। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই: আমাদের চোখের সামনেই একটি গণহত্যা চলছে—এটি একটি লাইভস্ট্রিমড গণহত্যা।’

‘আজ কেউ এই অজুহাত দিতে পারবে না যে তারা জানত না কী ঘটছে। ভবিষ্যতেও কেউ বলতে পারবে না—‘আমরা জানতাম না’।’

থুনবার্গ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, তারা ‘গণহত্যার উদ্দেশে’ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ‘একটি পুরো জাতিকে মুছে ফেলতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গাজা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিতে পারি না—না কঙ্গো, সুদান, আফগানিস্তান কিংবা পৃথিবীর অন্য কোনো কষ্টভোগী এলাকা থেকে। যা আমরা করছি, তা ন্যূনতম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনও বুঝতে পারব না মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কীভাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখা হচ্ছে—যারা বছরের পর বছর অবরোধ, নিপীড়ন ও বর্ণবৈষম্যের মধ্যে বন্দি।’

থুনবার্গ অভিযোগ করেন, ‘আমাদের বিশ্ব ব্যবস্থা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তারা এমনকী জঘন্য যুদ্ধাপরাধ ঘটতে থাকালেও তা ঠেকাতে পারছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারগুলো যখন তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা পালনে ব্যর্থ হয়েছে তখন আমরা পদক্ষেপ নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মাধ্যমে তা করার চেষ্টা করেছি।’

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে থুনবার্গ বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক’।

তিনি বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের যেভাবে আটক করেছে, তা আসলে আমাদের সরকারগুলোর কর্মকাণ্ডের সরাসরি ফল।’

‘রাষ্ট্রগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা আছে গণহত্যায় তাদের সম্পৃক্ততা বন্ধ করার—জাতিসংঘ কমিশনারও এখন তা নিশ্চিত করেছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইসরাযেল গণহত্যা থেকে কোনো দায়মুক্তি পেতে পারে না।’

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে ৪০টিরও বেশি নৌযানের একটি বহর নিয়ে গাজায় যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৪৭৯ জনকে আটক করে ইসরায়েল।

আটক এসব অধিকারকর্মীর মধ্যে গতকাল সোমবার গ্রেটা থুনবার্গসহ আরও ১৭১ জনকে ইসরায়েল ফেরত পাঠিয়েছে। এর আগের তিন দিনে বিভিন্ন দেশের ১৭০ জন অধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ইসরায়েলের বন্দিদশায় কীভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, সেই কথা জানিয়েছেন তারা।


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না ইরান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসার পরিকল্পনা নেই তেহরানের বলে মন্তব্য করেছেন, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই।

গত সোমবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বাঘেই জানান, পারমাণবিক ইস্যুতে ইউরোপের তিনটি দেশের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ভবিষ্যতের আলোচনার দিকনির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির আচরণ কেবল দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়, বরং আলোচনার পরিবেশকেও বাধাগ্রস্ত করছে।

বাঘেই অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় ট্রোইকা (যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি) জেসিপিওএ-এর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে অপব্যবহার করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার মতে, আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের আরোপিত শর্তগুলো ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, যা ইউরোপের পক্ষকে আলোচনার যোগ্য অংশীদার হিসেবে রাখেনি।

তিনি বলেন, এই দেশগুলো যুক্তিসঙ্গত কূটনৈতিক হিসেবের চেয়ে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক ইচ্ছার অনুসারী হিসেবে কাজ করেছে, যা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। ফলে, আগামীর আলোচনাগুলো অতীতের তুলনায় ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাঘেই জানান, ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএর) সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে একটি নতুন কাঠামোতে পৌঁছেছে, যাতে সংস্থাটি সন্তুষ্টও হয়েছে। যদিও ইউরোপ প্রাথমিকভাবে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিল, পরে তারা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে সমর্থন তুলে নেয়। তিনি বলেন, ইরানের এই অবস্থানকে চীন ও রাশিয়া প্রকাশ্যে সমর্থন করছে।

ইরানি মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ট্রোইকার এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও অননুমোদিত বলে ঘোষণা করেছে। ইরানও জাতিসংঘ সচিবালয়ের আচরণের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাঘেই বলেন, এই তিন ইউরোপীয় দেশের সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করে না, বরং এটি জাতিসংঘ সনদের মূলনীতির পরিপন্থি।

বাঘেই জানান, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে তারা ইউরোপীয় ট্রোইকার পদক্ষেপ এবং জেসিপিওএ প্রক্রিয়ার অপব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ যেসব প্রস্তাব পাস করেছিল, সেগুলো ছিল ঐকমত্য বা কমপক্ষে বিরোধিতাবিহীন সিদ্ধান্ত। কিন্তু বর্তমানে অন্তত দুজন স্থায়ী সদস্য নিষেধাজ্ঞা পুনরারোপের বিরোধিতা করায় কোনো ঐকমত্য নেই, ফলে পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ট্রোইকার নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রচেষ্টা একতরফা ও বেআইনি উদ্যোগ, যা রেজোলিউশন ২২৩১-এর বিরোধী। ওই রেজোলিউশন অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি-সংক্রান্ত সমস্ত নিষেধাজ্ঞা ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার কথা এবং এ ইস্যুটি নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্য সূচি থেকে বাদ দেওয়ার কথা ছিল।

ইরানের এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জুন মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ইরান তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণের জন্য দায়ী মনে করে যুক্তরাষ্ট্র ও জায়নবাদী শাসনকে। তার ভাষায়, আইএইএ-এর প্রতিবেদন ও ইউরোপীয় দেশগুলো ওই প্রতিবেদনকে অপব্যবহার করে বোর্ড অব গভর্নর্সে একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে এই আগ্রাসনের অজুহাত তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, কোনো প্রতিবেদনেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ পথ থেকে সরে যাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। তাই, আইএইএ-এর উচিত ছিল এই ধরনের আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক নিন্দা জানানো। বাঘেই জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘ ও আইএইএ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাঘেই বলেন, ‘বর্তমানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো আলোচনার পরিকল্পনা নেই ইরানের।’ দেশটি এখন ইউরোপীয় ট্রোইকা ও যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের আইনি ও কূটনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণে মনোযোগী।

তিনি যোগ করেন, ‘যোগাযোগ ও পরামর্শের মাধ্যমে কূটনীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখনই ইরান মনে করবে যে কূটনৈতিক আলোচনায় জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব, তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

বাঘেই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইরানবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে নিজেদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে তুলছে। অবৈধ কার্যক্রমকে প্রকাশ্যে স্বীকার করা যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো আইনি বৈধতা দেওয় না, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তাদের আইনভঙ্গকারী অবস্থান আরও স্পষ্ট করে তুলছে।


নেতানিয়াহু-পুতিন ফোনালাপে কী কথা হলো

ভ্লাদিমির পুতিন এবং বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় গাজা পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনি সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি গুরুত্ব পায়।

ফোনালাপটি ছিল গত জুলাইয়ের পর তৃতীয়বারের মতো। ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলোচনার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনগত কাঠামোর ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি মস্কোর ‘অবিচল অবস্থান’ পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন অপরিহার্য।

আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংকট নিয়েও কথা হয়। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান উদ্বেগ, সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি—এই বিষয়গুলো উঠে আসে পুতিন ও নেতানিয়াহুর আলোচনায়।

বিশেষ করে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ‘শান্তি প্রস্তাব’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গাজা যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজন করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সেখানে মুসলিম বিশ্বের আট দেশের শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। দেশগুলো হলো: সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান।

এই বৈঠকের ধারাবাহিকতায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় গাজায় হামাসের কার্যক্রম থামানো, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসানকে মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

হামাস এ পরিকল্পনার প্রতি ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ জানায়, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আশাবাদের সঞ্চার করে।

পুতিন এই শান্তি পরিকল্পনার প্রশংসা করেন এবং বলেন, এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজা সংকটের টেকসই সমাধান সম্ভব হবে।

তবে পুতিন আবারও জোর দিয়ে বলেন, গাজা কিংবা ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান শুধু তখনই স্থায়ী হবে, যখন সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পাবে।


বৈধতা সংকটে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে তাদের শর্ত ছিল স্পষ্ট, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) পূর্ণ সংস্কার ছাড়া কোনও অগ্রগতি তারা সমর্থন করবে না। তিন দশকের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের পর এই সংস্কার সহজ নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও)-এর মধ্যে ওসলো চুক্তির ফলেই জন্ম নেয় পিএ। চুক্তির লক্ষ্য ছিল দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান—পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন, পাশাপাশি বিদ্যমান ইসরায়েল রাষ্ট্র।

চুক্তি অনুযায়ী, পিএ-কে ধীরে ধীরে পশ্চিম তীর ও গাজায় স্বশাসনের ক্ষমতা দেওয়ার কথা ছিল। কর সংগ্রহ, আইনসভা ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন, সবই তাদের হাতে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

তবে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ দিতে অস্বীকৃতি জানায়, যা পরবর্তী ‘চূড়ান্ত অবস্থান’ আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়।

১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পিএ-র নিয়ন্ত্রণে ফাতাহ দল। দলটির চেয়ারম্যান মাহমুদ আব্বাস ২০০৫ সাল থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছেন। যদিও তার মেয়াদ চার বছরেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০০৭ সালে হামাসের গাজা দখলের পর থেকে ফাতাহ কেবল পশ্চিম তীরে সীমাবদ্ধ।

ফাতাহ এতটাই প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে যে, বিশ্লেষকদের মতে, পিএ ছাড়া দলটির টিকে থাকা সম্ভব নয়। অথচ জনগণের চোখে ফাতাহ ও আব্বাস দুজনই এখন খুবই অজনপ্রিয়। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অদক্ষতার দায়ে জর্জরিত।

ফিলিস্তিনিদের অনেকেই মনে করেন, বৈধ নেতা তিনি-ই, যিনি ইসরায়েলি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে মাত্র ৬ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, তারা আব্বাসকে ভোট দিতে চান। কারাগারে বন্দি নেতা মারওয়ান বারঘুতিকে সমর্থন করবেন ৪১ শতাংশ। হামাসের যেকোনও প্রার্থীকে ভোট দিতে চান ১৫ শতাংশ।

ফলাফলে স্পষ্টভাবে ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি আব্বাসের পদত্যাগের পক্ষে। ফাতাহর জনপ্রিয়তা নেমে এসেছে ১৮ শতাংশে, যেখানে হামাসের সমর্থন ২৯ শতাংশ।

পিএ নিয়ে প্রত্যাশা ও বাস্তবতায় বিশাল ফারাক। ফিলিস্তিনিদের কাছে এটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি, সেবা প্রদান ও দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কেন্দ্র।

ইসরায়েলের কাছে পিএ হলো দখলকৃত ভূখণ্ডে প্রশাসনিক হাতিয়ার। যাদের কাজ ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও প্রতিরোধ দমন করা।

এই লক্ষ্যেই ফাতাহকে শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক তহবিল দেওয়া হয় নিরাপত্তা সংস্থা গঠনের জন্য। পরে ইসরায়েলের সঙ্গে ‘নিরাপত্তা সহযোগিতা’ চুক্তি হয়, যা অনেক ফিলিস্তিনির চোখে প্রতিরোধ দমনের হাতিয়ার।

পিএ-র আয় নির্ভর করে মূলত ইসরায়েল ও বিদেশি অনুদানের ওপর। ওসলো চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের কর ইসরায়েল আদায় করে পিএ-কে দেয়। কিন্তু বহুবার ইসরায়েল এসব রাজস্ব আটকে রেখেছে বা কমিয়েছে।

অন্যদিকে, সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র অনুদানের মাধ্যমেই পিএ ও ফাতাহর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বলে অভিযোগ। ২০১৮-১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ফাতাহর নিরাপত্তা তহবিল ও জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-র অনুদান বন্ধ করে দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল ফাতাহকে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনায় ফিরিয়ে আনা, যা অধিকাংশ ফিলিস্তিনির কাছে ছিল সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

হামাসের উত্থানের পর ফাতাহর বৈধতা আরও দুর্বল হয়। পশ্চিমা দেশগুলোর শর্ত অনুযায়ী পিএ সংস্কার মানে স্বচ্ছ প্রশাসন, জবাবদিহি ও অবাধ নির্বাচন। অর্থাৎ ফাতাহকে তার প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।

কিন্তু সেটিই দলটির অস্তিত্বের ভিত্তি। প্রায় ৯০ বছর বয়সি আব্বাসের পর নেতৃত্ব কার হাতে যাবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা। ফলে নেতৃত্ব পরিবর্তনের সময় পিএ অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় পড়তে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, ফাতাহর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ও বিদেশি প্রভাব থেকে মুক্ত না হলে পিএ কোনোভাবেই রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রস্তুত নয়।

দশকের পর দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর নীতিগত দ্বিমুখিতা ও ইসরায়েলের প্রতি সহনশীলতা পিএ-কে দুর্বল করে তুলেছে। ফলত, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন ওসলো চুক্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল, তা আজও বৈধতার সংকটে জর্জরিত এক অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতিতেই রয়ে গেছে।


ট্রাম্প কি আসলেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতবেন, সম্ভাবনা কতটা?

ডোনাল্ড ট্রাম্প
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্প কি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিততে পারেন? তার সম্মানজনক এই পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা কতটা? গত কয়েকদিন ধরে এসব প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। তার সমর্থকরাও মনে করছেন, তিনি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছেন। তবে সমালোচকরা তার বিতর্কিত নীতি ও কর্মকাণ্ডকে এ বিষয়ে ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন।

ট্রাম্পের সময়ের দুটি প্রধান সংকট হলো গাজা ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। বর্তমানে উভয় ক্ষেত্রেই শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প ও তার দল আসলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে কি না। যদি তারা সফল হন, তবে নোবেল কমিটি অবশ্যই এটি স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্পকে পুরস্কার দিতে পারে।

ইউক্রেনে সম্ভাব্য চুক্তি

ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় নেতাদের কয়েক দফায় বৈঠকের পর চুক্তির রূপরেখা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।

এর সম্ভাব্য প্রধান দুটি বিষয় হলো: যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যা ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য ও ভবিষ্যতের আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দেবে। আর পূর্ব ইউক্রেনের বর্তমান সীমান্তে কিছু ভূমি বিনিময়, যা স্থিতিশীল সীমান্ত ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তির শর্ত তৈরি করবে।

এ লক্ষ্যে ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম ও দীর্ঘ-পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ, এবং রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা প্রয়োজন। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় ট্রাম্প এই কৌশলকে সমর্থনও করেছেন।

গাজা যুদ্ধের সমাধান

ট্রাম্প প্রশাসন গাজা যুদ্ধের জন্য এরই মধ্যে ২০ পয়েন্টের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে। এতে ইসরায়েল গাজা পুনর্দখল বা অধিগ্রহণের পরিকল্পনা বাতিল করেছে এবং হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ ও সব বন্দি মুক্ত করতে বলা হয়েছে।

সৌদি আরব, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলো এতে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন দিয়েছে।

এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে গাজা হামাসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় নিরাপত্তা পুনঃস্থাপন ও নতুন প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হবে। ইসরায়েলকেও পুনর্দখল বা পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে।

ট্রাম্পের পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা

প্রতি বছর ১০ অক্টোবর নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ, আর বাকি মাত্র তিনদিন। ট্রাম্প হয়তো আশা করছেন, তিনি এবারই পুরস্কার জিতবেন।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সেই সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তবে ২০২৬ সালে পুরস্কারের ১২৫তম বর্ষে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা নোবেল কমিটির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হতে পারে। গাজা ও ইউক্রেনের যুদ্ধ দুটির সমাধান করতে পারলে ট্রাম্পের দাবি অবশ্যই শক্তিশালী হবে।


যুদ্ধ শেষ করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে ইসরায়েল-হামাস

গাজা যুদ্ধের দুই বছরপূর্তি
ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং আরও ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছে। এই দীর্ঘ সংঘাতের পর এমন একটি চুক্তির সম্ভাবনা সামনে এসেছে যা গাজায় হত্যাকাণ্ড এবং ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে এবং জীবিত জিম্মিদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবে। বলা যায় এটাই সর্বশেষ সুযোগ যেটা কাজে লাগিয়ে এই গণহত্যা বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয় যে, হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ করার এই মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে কি না।

এটা অনেকটাই কাকতালীয় ঘটনা যে গাজা সংঘাতের ঠিক দুই বছরপূর্তির মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময়ের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েলের ধারণা ২০ জন জিম্মি এখনো জীবিত আছে এবং তারা আরও ২৮ জনের মৃরদেহও ফেরত চায়।

ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনে গাজার বেশিরভাগ অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং ১৮ হাজারেরও বেশি শিশু।

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয় দেশের নাগরিকরাই যুদ্ধের অবসান চায়। তারা চলমান এই যুদ্ধ নিয়ে হতাশ ও ক্লান্ত। এক জরিপে দেখা গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠরা এমন একটি চুক্তি চায় যার মাধ্যমে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা যাবে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটবে। ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইডিএফের লাখ লাখ রিজার্ভ সেনা মাসের পর মাস ধরে সক্রিয়ভাবে ইউনিফর্ম পরে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায়।

গাজার ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন ক্ষুধার্ত মানুষ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কঠোর অবরোধের কারণে কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।

হামাস দুই বছর আগে ইসরায়েলকে যে ধ্বংসাত্মক শক্তি দিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়েছিল তা অনেক আগেই একটি সুসংগত সামরিক সংগঠন হিসেবে ভেঙে পড়েছে।

হামাসও এখন যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে। তারা জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজার শাসনভার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে রাজি হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে যে, তাদের ভারী অস্ত্রের অবশিষ্টাংশ হস্তান্তর করতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে। তবে তারা আত্মরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্র রাখতে চায়।

অপরদিকে ইসরায়েল হামাসের আত্মসমর্পণের শর্তাবলি নির্ধারণ করতে চাইছে। কিন্তু হামাসের কাছে একটি গুরুতর আলোচনার সুযোগ থাকা এক মাস আগে তারা যা ভেবেছিল তার চেয়েও বেশি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে। প্রায় এক মাস আগে দোহার একটি ভবনে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে ইসরায়েল হামাসের নেতৃত্বকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল। মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়েই সে সময় আলোচনা চলছিল।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মনে ভিন্ন ধরনের চিন্তা রয়েছে। তিনি তার ক্ষমতা ধরে রাখতে চান, দুর্নীতির জন্য তার বিচার স্থগিত রাখতে চান এবং পরের বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করতে চান।

এটা তিনি তখনই অর্জন করতে পারবেন যখন তিনি ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ ঘোষণা করতে পারবেন। তিনি এটাকে জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন, হামাসের ধ্বংস এবং গাজার সামরিকীকরণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যদি তিনি তা করতে না পারেন, তাহলে গত দুই বছরে লেবানন এবং ইরানে-ইসরায়েল তার শত্রুদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যে ক্ষয়ক্ষতি করেছে শুধু সেসব বিষয় উল্লেখ করাই তার পক্ষে যথেষ্ট হবে না।

মিসরে হামাস এবং ইসরায়েলি আলোচকরা মুখোমুখি সাক্ষাৎ করবেন না। মিসরীয় এবং কাতারি কর্মকর্তারা এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হবেন এবং সেখানে উপস্থিত মার্কিন কর্মকর্তারাও একটি বড় প্রভাব ফেলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই আলোচনার ভিত্তি হলো- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জোরালোভাবে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের কথা বারবার বললেও জর্ডান নদী এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী ভূমির নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দীর্ঘ সংঘাতের অবসানের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে পশ্চিম তীরের ভবিষ্যৎ কী হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্যরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হলেও পশ্চিম তীরের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

আরব ও ইহুদিদের মধ্যে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে এমন একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস ও মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠক ‘ইতিবাচকভাবে’ শেষ হয়েছে। যদিও আলোচনার অগ্রগতি বা সম্ভাব্য সমঝোতার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

গাজা যুদ্ধের অবসান ও মানবিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় চালুর পথ তৈরি করতে এই আলোচনা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গত সোমবার মিসরের শার্ম আল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় অংশ নেন হামাসের প্রতিনিধিরা। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এতে যুক্ত ছিলেন মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবারও এ আলোচনা চলবে জানা গেছে।

এ ক্ষেত্রে প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো- ইসরায়েলি কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিনা বিচারে আটক গাজার নাগরিকদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা। যদিও এটা কোনো সহজ কাজ নয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত ফলাফল চাচ্ছেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের দরকষাকষির মধ্যস্থতার মাধ্যমে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুনরুজ্জীবিত করতে চান, যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন। ইসরায়েল যখন গাজায় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং মানবিক সহায়তার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে এবং হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের জিম্মি করে রেখেছে তখন এমন পরিস্থিতি সম্ভ হচ্ছে না। সৌদি কর্তৃপক্ষ একাধিক প্রকাশ্য বিবৃতিতে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি স্পষ্ট এবং অপরিবর্তনীয় পথ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।


ইসরাইলে আটক ফরাসি ডেপুটিরা অনশন ধর্মঘট করেছেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজাগামী নৌবহরে ওঠার পর ইসরাইল কর্তৃক আটক চার কট্টর বামপন্থী ফরাসি ডেপুটি অনশন ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন। তাদের দল এ কথা জানিয়েছে।

প্যারিস থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

কট্টর বামপন্থী ফ্রান্স ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অকুণ্ঠ সদস্য ম্যানন অব্রি রোববার ফরাসি রেডিও স্টেশন ফ্রান্সইনফোকে বলেছেন, ‘তাদের আইনজীবীদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় এবং তাদের সাথে দেখা করতে সক্ষম ফরাসি কনসালের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়’ ছাড়া ‘তাদের কাছে আমাদের কোনো খবর নেই’।

ফ্রান্স আনবোউড শনিবার ঘোষণা করেছেন, ‘তাদের আটকাবস্থা অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেছেন, প্রতি কক্ষে ১০ জনেরও বেশি মানুষ, খাবার এবং পানি পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তাদের দুই জাতীয় ডেপুটি ফ্রাঁসোয়া পিকেমাল এবং মেরি মেসমিয়ার এবং তাদের দুই এমইপি, রিমা হাসান এবং এমা ফোরেউ, ‘ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে’ অনশন ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন।

অব্রি ফরাসি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজার ওপর ইসরাইলের অবরোধ ভাঙতে এবং ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে ৪৫টি জাহাজের একটি বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে আটক করার পর ইসরাইল ৩০ জন ফরাসি নাগরিককে আটক করেছে।

অব্রি তার দলের জাতীয় সমন্বয়কারী ম্যানুয়েল বোম্পার্ডের ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল এলসিআই-তে ‘ফ্রান্সকে অবশেষে কিছু বলতে হবে’ এর আহ্বানের প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, ‘ফ্রান্সের অবশেষে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।

ফ্রান্স আনবোউড নেতা জিন-লুক মেলাঞ্চন শনিবার ‘ফ্রান্স সরকারের কাপুরুষদের’ নিন্দা করে উল্লেখ করেছেন, আরো বেশ কয়েকটি দেশের আটক নাগরিকদের ইতোমধ্যেই ইসরাইল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ইতোমধ্যে ‘ফরাসি ডেপুটিদের তাদের অ্যাসেম্বলিগুলো উপেক্ষা করে। আসুন আমরা সবাই এটা মনে রাখি’।

ম্যাক্রোঁর সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান এমইপি নাথালি লুইসো পাল্টা বলেছেন,‘ফ্রান্স যা করা দরকার তা করছে’ এবং ‘এই নৌবহরের অংশে থাকা তার নাগরিকদের কনস্যুলার সুরক্ষা প্রদান করছে’।

তিনি নৌবহরে ফ্রান্স আনবোয়েডের জড়িত থাকাকে ‘বিড়ম্বনাকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি ফরাসি চ্যানেল ফ্রান্স ৩-কে বলেছেন, ‘এটি কি সত্যিই গাজায় ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের দুর্ভোগের ওপর আলোকপাত করার জন্য নাকি এটি একটি আত্ম-প্রচার প্রচেষ্টা? তাই আমি ভয় পাচ্ছি, শেষোক্ত ঘটনাটিই’ ঘটে। সূত্র: বাসস


banner close