বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:২০

অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও নতুন বসতি স্থাপন বেড়েই চলছে। এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরছেন কট্টরপন্থি রাজনীতিক বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার আগের ১২ বছরের শাসনামলে দফায় দফায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে ইহুদী বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলে এই দখলদারিত্ব আরও বেপরোয়া রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বা নতুন বসতি স্থাপনচেষ্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ‘আশার আলো’ জ্বালিয়ে রাখতে মার্কিন প্রশাসন ‘নিরলস’ কাজ করে যাবে।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ইসরায়েলি শান্তিকামীদের’ সংগঠন ‘জে স্ট্রিট’র নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে ব্লিংকেন ওয়াশিংটনের এ অবস্থান জানান। সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়েছে।

গত ১ নভেম্বর ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছে নেতানিয়াহুর দল। প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে তিনি জোট বেঁধেছেন উগ্রপন্থি ও দখলদারিত্বের পক্ষে থাকা কিছু দলের সঙ্গে।

ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছেন, এক যুগের শাসনামলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে রেকর্ড ইহুদি বসতি স্থাপন করা নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরলে দখলদারিত্ব আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে, যেটা পশ্চিম তীরের পাশাপাশি পূর্ব জেরুসালেমেও দেখা যেতে পারে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দখলদারিত্ব বা জোরপূর্বক বসতি স্থাপনকে অবৈধ হিসেবে দেখা হয়। দ্বি-রাষ্ট্রনীতির আলোকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বড় বাধা মনে করা হয় এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমকে।

ব্লিংকেন বলেন, ‘কোনো একক ব্যক্তি নয়, বরং সরকার কী নীতি মেনে চলে সেটির মাধ্যমে আমরা তাদের মানদণ্ড পরিমাপ করবো।’

ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়) দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতিকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে করে যাবো। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) বসতি সম্প্রসারণ, পশ্চিম তীর দখলের দিকে অগ্রসর হওয়া, পবিত্র স্থানগুলোর ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত, ধ্বংস ও উচ্ছেদ কার্যক্রম এবং সহিংসতায় উসকানি।’


মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান

মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং। গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারের এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তে একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক জান্তা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবরে বলা হয়, জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং হুঁশিয়ার করে বলেন, সশস্ত্র সংগঠনগুলো যদি বোকার মতো এভাবে লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে ভুগতে হবে। জান্তাপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ভাবতে হবে। ওই সব সশস্ত্র সংগঠনকে তাদের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানে মনোযোগী হতে হবে।’

মিয়ানমারে এক ডজনের বেশি সংখ্যালঘু সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এসব গোষ্ঠীর অনেকে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা। গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি সশস্ত্রগোষ্ঠী উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে যৌথভাবে হামলা শুরু করে। ওই প্রদেশের চীন সীমান্তবর্তী বেশ কয়টি শহর এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য তারাই নিয়ন্ত্রণ করে।

জাতিসংঘের মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরে বিদ্রোহীরা হামলা শুরুর পর শিশুসহ ২৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানায়, দেশজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জান্তার সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকার উৎখাত হওয়ার পর ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ (পিডিএফ) গঠিত হয়। তারা মিয়ানমারের উত্তর ও পূর্বে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে।

গত সপ্তাহে পিডিএফ যোদ্ধারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের রাজধানীর কিছু অংশ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরো শহর থেকে জান্তা বাহিনীকে বিতাড়ন করতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


থাইল্যান্ডে বাস দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:২৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ডাবল ডেকার একটি বাস গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে উপকূলীয় প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশে দূরপাল্লার বাসটি ব্যাঙ্কক থেকে রাজ্যের দক্ষিণে যাওয়ার সময় গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গাছটি এখনও মাঝখানে আটকে আছে।

প্রাচুয়াপ খিরি খানের হুয়ে ইয়াং জেলার একজন পুলিশ তদন্তকারী আর্নন টাংটো এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ৩২ জন আহত হয়েছে।’ তিনি বলেছেন, ‘তদন্ত চলছে।’

আর্নন টাংটো বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চালক ঘুমের ঘোরে চালানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে চালক মারাত্মকভাবে আহত হলেও বেঁচে গেছেন।’

আর্নন বলেন, ‘আমরা তার রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করছি।’

নিহতরা সবাই থাই নাগরিক কি-না তা তদন্ত করছে পুলিশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, থাইল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।


ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে চেন্নাইয়ে ৮ জনের মৃত্যু

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের জেরে ভারতের চেন্নাইয়ে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমসের প্রদিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর কিছুক্ষণেই ভূভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর আগে অবশ্য সোমবারই চেন্নাই দেখেছে মিগজাউমের তাণ্ডব। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছ চেন্নাই সব উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে। আর আজ এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব প্রতক্ষ্য করতে চলেছে অন্ধ্র উপকূল। এরই মধ্যে আকাশেও ঘন কালো মেঘের দেখা মিলেছে। আজ রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে চলেছে। ভিজতে চলেছে কলকাতাও।

এতে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল ছিল ওঙ্গোলের ২৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রাপথ বদল করা হচ্ছে বহু ট্রেনের। এদিকে চেন্নাইয়ের বেশ কিছু এলাকা হাঁটু-গভীর জলে তলিয়ে গিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।

চেন্নাই আবহাওয়া কেন্দ্র মঙ্গলবার সকালে জানায়, আজ চেন্নাইসহ তামিলনাড়ুর দশটি জেলায় মাঝারি বজ্রঝড় এবং বজ্রপাত সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস হতে পারে।

অন্ধ্রপ্রদেশে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি বাড়তে শুরু করেছে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়। বহু জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার জেরে গাছ ভেঙে পড়েছে। বাতিস্তম্ভও পড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র চেন্নাইতেই ২০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এছাড়াও শহেরর আশেপাশে আরও ১০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।


৩ রাজ্যে জয়ী বিজেপি, একটিতে কংগ্রেস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিধানসভার নির্বাচনে বাজিমাত করেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এই তিন রাজ্যেই গেরুয়া শিবিরের জয় হয়েছে। অন্যদিকে শুধু তেলেঙ্গানায় জিতেছে কংগ্রেস। চার রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের ওপর অনেকটাই নির্ভর করেছিল জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ।

ফলাফলে দেখা গেছে, কংগ্রেসকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি রাজ্যেই সহজ জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল। এর আগে শুধু মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস পার্টি। কিন্তু এবার এই দুই রাজ্যও বিজেপির দখলে চলে গেল। মধ্যপ্রদেশে এবার কংগ্রেস বিজেপিকে পরীক্ষায় ফেলতে যাচ্ছে, ভোটের আগে এমন পূর্বাভাসই পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু গত রোববার দুপুরের মধ্যেই সেই পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে না পারা কংগ্রেস বরং রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা হারিয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে বিজেপির দখলে রয়েছে ১৬১টি আসন এবং কংগ্রেসের ৬৬টি আসন। রাজস্থানে বিজেপি পেয়েছে ১১২টি আসন, কংগ্রেস ৭১টি। ছত্তিশগড়ে বিজেপি ৫৫টি, কংগ্রেস পেয়েছে ৩২টি আসন। অথচ এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা দারুণভাবে জেগে উঠেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ জানিয়েছিল, বিজেপির জয় হাসিল খুব একটা সহজ হবে না।

নির্বাচনী ফলাফল জানাচ্ছে, কংগ্রেস পেয়েছে ৬৩টি আসন, বিআরএস ৬১টি, বিজেপি ৮টি, এআইএমআইএমর দখলে আছে ৬টি আসন। স্বভাবতই এই জয়ের পর বিপুল উচ্ছ্বাস দেখা যায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তিন রাজ্যে ছিল আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ। তা খুব সফলভাবেই অতিক্রম করেছে বিজেপি।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বই যে মোড় ঘুরিয়েছে, এমনটাই মত তাবড় বিজেপি নেতাদের। অন্যদিকে তুষ্টিকরণ ও ভেদাভেদের রাজনীতির বিপক্ষেই রায় দিয়েছে মানুষ এমনটাই মনে করেন অমিত শাহ। তিন রাজ্যের জনতাকে প্রণাম জানিয়েছেন তিনি। মানুষ কেবল সুশাসন ও উন্নয়নের রাজনীতিতেই ভরসা করে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিন রাজ্যের ভোটে বিপুল জয়, চব্বিশে বিজেপির জয়ের গ্যারান্টি দিয়ে দিল। তিন রাজ্যে জয়ের পর এক ভাষণে এমনই প্রত্যয়ী কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। বিজেপির জয় শুধু দলীয় জয় নয় বরং দেশের গরিব মানুষ, নারী, যুবক প্রত্যেকেরই। এভাবেই রাজনৈতিক জয়কে মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন মোদি।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে বিজেপিই মানুষের জন্য কাজ করে। নতুন ভারতের রূপরেখা তুলে ধরে চার জাতির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তা হলো- নারীশক্তি, যুবশক্তি, কৃষক এবং গরিব বা দরিদ্র। এই চার জাতিই দেশের শক্তি। দেশের নারীশক্তি যে পূর্ণভাবে বিজেপিকে সমর্থন করেছে এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আগামীতেও নারীশক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে বিজেপি। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচারে যে মোদি গ্যারান্টির কথা টেনেছিলেন তিনি এদিনও তার মুখে শোনা গেল সেই কথা। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি যা বলছেন তা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, তা যে পূরণ হবে সে গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। তার মতে, ‘মোদি গ্যারান্টি’তে ভরসা রেখেছেন তিন রাজ্যের মানুষ। তিনি বলেন, দেশের যুবশক্তি শুধু উন্নয়নই চায়। আর তাই যেখানে সরকার যুবকদের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, সেখানে মানুষ সেই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

মোদির দাবি, কংগ্রেসের নীতির জন্য দশকের পর দশক বঞ্চিত ছিল আদিবাসীরা। তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের কাজ করবে বিজেপি। সেবা ও সুশাসনের নতুন মডেল দেশের সামনে তুলে ধরেছে বিজেপি। দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ এই জয়ে কংগ্রেসকে বড় শিক্ষা দিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


ইসরায়েলি বাহিনী প্রতি ১০ মিনিটে বোমা মারছে: ইউনিসেফ

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান। ছবি : এএফপি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক পদক্ষেপ গুরুতর উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজার উত্তরে যা ঘটেছে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সত্যিই একটি শক্তিশালী বার্তা এসেছে। সেখানকার লোকজন ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি দক্ষিণাঞ্চলে ঘটতে দেওয়া উচিত নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আনুমানিক প্রতি ১০ মিনিট পর পরই বোমা ফেলা হচ্ছে।

জেমস এলডার বলেন, দক্ষিণ গাজার লোকজনের জন্য এ বিপদ আরও বেশি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যখন আপনি বোমা বর্ষণের কারণে তিন থেকে চারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন- এমন পরিস্থিতিতে লোকজন সত্যিই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তারা তাদের সন্তানদের একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করছেন কিন্তু তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

তিনি বলেন, যখন আমি দেখি শিশুরা আর্তনাদ করছে। বাবা-মা একের পর এক যুদ্ধের ভয়ংকর ক্ষত নিয়ে স্ট্রেচারে চিৎকার করছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা এভাবে পার করছে। কিন্তু তারা হাসপাতাল বা আশ্রয়কেন্দ্রেও নিরাপদ নয়। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক।

এদিকে গত তিন দিনের ভারী বোমাবর্ষণ শেষে এবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওতে প্রচারিত প্রাথমিক খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বর্তমানে তারা খান ইউনিসের উত্তরে অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া খান ইউনিস শহরের কাছাকাছি জায়গায় ইসরায়েলি একটি ট্যাঙ্কের ছবিও প্রকাশ হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান দেশটির সৈন্যদের জানিয়েছেন যে, তারা দক্ষিণ গাজায় জোরালোভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজা ডিভিশনের অতিরিক্ত সৈন্যদের সঙ্গে নিজেদের সামরিক লক্ষ্যের বিষয়ে কথা বলেন আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি। এ সময় হামাস কমান্ডারদের হত্যার বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই প্রধান বলেন, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে জোরালোভাবে যুদ্ধ করেছি। এখন আমরা গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলেও একইভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি।


ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১১ হাইকারের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে কমপক্ষে ১১ হাইকারের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে সেখানে অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইভস্ম আকাশের প্রায় ৩ হাজার মিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব ছাইভস্ম আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে। সেখানে রোববার এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

স্থানীয় এবং জাতীয় সংস্থার কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে পর্বতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা সংশোধন করে ৭৫ জনের কথা জানিয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান দল সোমবার সকালে অগ্নিমুখের কাছ থেকে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার একদিন পর পাদদাং অনুসন্ধান এবং উদ্ধার সংস্থার প্রধান আব্দুল মালিক বলেন, ‘সেখানে থাকা ২৬ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়নি। আমরা তাদের মধ্যে ১৪ জনকে খুঁজে পেয়েছি। এদের মধ্যে তিনজনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘২৬ জনের মধ্যে ১২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া ৪৯ জন পাহাড় থেকে নেমে এসেছে। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জীবিত অবস্থায় তিন ব্যক্তিকে অগ্নিমুখের কাছে পাওয়া যায়। তাদের অবস্থা দুর্বল ছিল এবং শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।’


ফিলিপাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের মারাওইয়ের মিন্দানাও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।

রোববার সকালে মিন্দানাও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের ভেতর ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্বাবলম্বীদের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে এ বোমা হামলা চালানো হয়। ২০১৭ সালে ইসলামপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী মারাওইয়ে অঞ্চলটি দখল করেছিল। এরপর সেখানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফিলিপাইনের সরকারি বাহিনী।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে ‘বিদেশি জঙ্গিরা’ জড়িত। প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেছেন, ‘কঠোর ভাষায় বিদেশি জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত এ জঘন্য হামলার নিন্দা জানাচ্ছি আমি। যেসব উগ্রবাদী আমাদের নিরীহ মানুষদের ওপর সহিংসতা চালায়, আমাদের সমাজে তারা সবসময় শত্রু হিসেবেই বিবেচিত হবে।’

গত কয়েক দিন ধরে মারওইয়েতে স্থানীয় ইসলামপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ফিলিপাইনের সেনাবাহিনী। এর মধ্যে একটি অভিযানে দাওলাহ ইসলামিয়া-মাউতে গ্রুপের এক শীর্ষ নেতা নিহত হন। ফিলিপাইনের সেনাপ্রধান রোমিও ব্রাওনার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাদের অভিযানের প্রতিশোধ নিতে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।

২০১৭ সালে ইসলামপন্থি এ দলটি মারওইয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ওই অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে অভিযান শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এতে বেসামরিকসহ এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন।

বোমা হামলার পর ওই অঞ্চলে উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।


২ বছরে ৩ লাখের বেশি সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত সেনাকে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:৫৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের প্রায় ২ বছরে ৩ লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য হারিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাবেক উপদেষ্টা অ্যালেক্সেই অ্যারেস্তোভিচ এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানানোর পাশাপাশি ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর গড়িমসি মনোভাবের সমালোচনাও করেছেন জেলেনস্কির সাবেক এ উপদেষ্টা।

অ্যারেস্তোভিচ বলেন, ‘কোথায় ন্যাটো? তারা কি আদৌ আমাদের গ্রহণ করবে? গত ২ বছরের যুদ্ধে আমাদের ৩ লাখেরও বেশি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আর কত ক্ষয়ক্ষতির পর আমরা (ন্যাটোর) সদস্যপদ পাবো?’

মিনস্ক চুক্তি স্বাক্ষরের ৬ বছর পেরোনোর পরও ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবিরের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সেই অভিযান এখনো চলছে এবং গত দুই বছরের যুদ্ধে লাখ লাখ সেনা সদস্যের পাশাপাশি নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক লোকজনও।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য গত বছর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপের আয়োজন করেছিল তুরস্ক। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। ইউক্রেনের এমপি ডেভিড আরখামিয়া সম্প্রতি সেই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দায়ী করেছেন।

আরটি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরোক্ষভাবে ডেভিড আরখামিয়াকে সমর্থন করেছেন অ্যারেস্টোভিচ। তিনি বলেন, ‘সেই শান্তি সংলাপে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আমিও ছিলাম। সংলাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম, তা সঠিক ছিল না।’


ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ৬১ সাংবাদিক: সিপিজে

ছবি: সংগৃহীত।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ৬১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৪ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।

সিপিজের ভাষ্য, যুদ্ধে ১১ জন সাংবাদিক আহত ও তিনজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ সাংবাদিক।

সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক সাংবাদিক নিহত, নিখোঁজ কিংবা হুমকির শিকার হওয়ার অসমর্থিত খবর পাওয়া গেছে, যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি।

বিষয়:

জার্মানিতে ‘নিরামিষ’ মাংস নিয়ে বিতর্ক

জার্মানিতে মাংসে তৈরি খাবার
আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৪:৩২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গোটা বিশ্বে যেভাবে বিশাল আকারে মাংস খাওয়ার চল দেখা যাচ্ছে, তা শরীর ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। জার্মানিতে প্রকৃত মাংসের বদলে ‘ভিগান’ বিকল্প জনপ্রিয় করার নানা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে।

ডানিয়েল কিস সসেজ তৈরি করেন। তবে যে সে সসেজ নয়। তার সসেজে কোনো মাংস নেই, পুরোপুরি ভিগান। জার্মানির অনেক মানুষের কাছে সেটাই একটা সমস্যা। ডানিয়েল বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু কটু মন্তব্য পেয়েছি। অনেকে আমাদের দ্রুত বিনাশ কামনা করেছেন। অনেকে চেয়েছেন, আমাদের গোটা কোম্পানি যেন বন্ধ হয়ে যায় বা কেউ সেটা ধ্বংস করে দেয়।’

জার্মানি মাংসের দেশ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এমন উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। শূকরের মাংসের নানা রূপ ও কারি সসেজ চিরায়ত পদের মধ্যে পড়ে। অনেকের ভয়, তাদের কাছ থেকে সেসব কেড়ে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ভিগান বিকল্প কি সত্যি জার্মান জীবনযাত্রার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে? ড্রেসডেন শহরে ‘ভেগান কসাইখানা’ নজর আকর্ষণ করছে। সেখানে এমন সব বিকল্প পাওয়া যায়, যা মাংসের প্রয়োজন মেটাতে পারে। সে কারণে অনলাইনে অনেক প্রশংসার পাশাপাশি হুমকি ও গালাগালও শোনা গেছে।

নিল্স স্টাইগার ও তার সহযোগীরা কিন্তু মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে চান না। মাংস ছাড়া বিকল্প খাদ্যতালিকা যে সম্ভব, শুধু সেটাই তারা তুলে ধরতে চান। নিল্স বলেন, ‘আমি নিজে পাঁচ বছর আগে ভিগান হয়েছি। আগে বেশি মাংস খাওয়ার কারণে আমি পরিচিত ছিলাম। আমি বন্ধুদের সঙ্গে বারবিকিউ করতাম এবং মাংসের স্বাদ খুব উপভোগ করতাম। আমি এখনো সেই স্বাদ পছন্দ করি। শুধু মাংস ছাড়া। আমি চাই না, সে কারণে প্রাণী হত্যা হোক বা কৃষিজমি ব্যবহার করা হোক।’

জার্মানিতে মাংস খাওয়ার প্রবণতা কমেই চলেছে। ২০২২ সালে দেশটিতে বছরে মাথাপিছু ‘মাত্র’ ৫২ কিলোগ্রাম মাংস খাওয়া হয়েছে। ১৯৮৯ সালের পর যা সবচেয়ে কম হার। কম মাংস খাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় ১৫ শতাংশের জন্য পশুকেন্দ্রিক শিল্পক্ষেত্র দায়ী।

কোম্পানির রন্ধন বিষয়ের প্রধান হিসেবে ডানিয়েল কিস মূলত ভালো রান্না করতে চান। মাংসের স্বাদ নকল করা মোটেই কঠিন নয়। তার জন্য বিশেষ মসলা রয়েছে। সঠিক টেক্সচার সৃষ্টি করাই আসল চ্যালেঞ্জ।

ডানিয়েল বলেন, ‘আমি যখন সবাইকে বলি গুলাশ রান্না করছি, তখন সেই পদের মধ্যে ছোটবেলায় মা বা দাদি-নানির রান্নার স্বাদ কিছুটা হলেও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হয়। তা ছাড়া সসেজ খাওয়ার সময় কার্টিলেজে কামড় দেয়ার মতো অনুভূতি পেতে হবে। অথবা স্টেক খাওয়ার সময়েও মাংসের মতো স্বাদ পেলে ভালো হয়।’

বার্লিনেও ২০১৭ সাল থেকে এক ভিগান মাংসের দোকান রয়েছে। সেখানেও উত্তেজনা কম নয়। মালিক পাউল পলিঙার বলেন, ‘আমরা নাকি এই পেশাকে অপবিত্র ও অসম্মান করছি, এমন সব কথা শুনতে পাই।’ তবে ড্রেসডেনের ‘ভিগান’ মাংসের দোকানের তুলনায় তাদের উদ্দেশ্য আলাদা। তারা মাংস ও সসেজের মৌলিক স্বাদ অনুকরণের চেষ্টা না করে একেবারে নিজস্ব স্বাদ ও পণ্যের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন।

পাউল বলেন, ‘আমাদের কাছে স্বাদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা কিছু সৃষ্টির সময় খতিয়ে দেখি, নিজেরাই সেই স্বাদ উপভোগ করছি কি না।’


আরও ৩০ ফিলিস্তিনিকে ছাড়ল ইসরায়েল

৮ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একজন ফিলিস্তিনি বন্দি তার মাকে জড়িয়ে ধরেন। ছবি: রয়টার্স
আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা আরও ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যে এটি সপ্তম ধাপে বন্দি ও জিম্মি বিনিময়। এদিকে যুদ্ধবিরতির পরই ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলার পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে দুজন শিশু ও বাকি ছয়জন নারী। তাদের মধ্যে আবার কয়েকজন বিভিন্ন দেশের দ্বৈত নাগরিক।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, এই আটজনকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি কারা বিভাগ জানিয়েছে, তারা আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের দখলকৃত জেরুজালেমে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে ঘটা সেই হামলায় তিন ইসরায়েলি নিহত এবং আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। স্থানীয় সময় গতকাল সকাল পৌনে ৮টায় জেরুজালেমের এক জনাকীর্ণ বাস স্টপেজে দুই অস্ত্রধারী এই হামলা চালায়। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা’ এই হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসরায়েলি পুলিশ বলেছে, সকালের কর্মব্যস্ত সময়ে দুই ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী একটি গাড়িতে চেপে জেরুজালেমের একটি বাসস্টপে আসে এবং অপেক্ষমাণ যাত্রীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুজন এবং আহত হন আরও আটজন। হতাহতরা সবাই ইসরায়েলের নাগরিক। এরপর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় তিনে। এর মধ্যে ২৪ বছর বয়সী এক নারী এবং সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ রয়েছেন। পুলিশ আরও জানায়, এম-১৬ রাইফেল ও হ্যান্ডগানবহনকারী দুই অস্ত্রধারীকে সেখানেই হত্যা করা হয়েছে। তাদের গাড়ির ভেতর আরও গোলাবারুদ পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনারা নতুন করে যে আগ্রাসন শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে শক্ত জবাব দিচ্ছে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। ফিলিস্তিনের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজার কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। গাজা উপত্যকার কাছের কয়েকটি ইহুদি বসতিতে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট ভূপাতিত করেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরে ইসরায়েলের সেদরত শহরে বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে সেখানে আগুনের কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে ছোড়া রকেটে ইসরায়েলি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড বলেছে, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইসরায়েলের শহরগুলোতে রকেট হামলা চালিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক বলেছেন, গত ৫০ দিনে ইসরায়েল যা অর্জন করতে পারেনি, নতুন করে আগ্রাসন শুরু করেও তা অর্জন করতে পারবে না।

এ সময় ইজ্জাত আল-রিশক ফিলিস্তিনি জনগণের দৃঢ় সংকল্প এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বীরত্বের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতা করি। আমরা তাদের অপরাধ, নাৎসি আগ্রাসনের নিন্দা করছি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ অভিযান শুরু করে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ছয় হাজার শিশুসহ ১৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

বিষয়:

গণতান্ত্রিক সুশাসনের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য জাতিসংঘের আশা  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডেনিস ফ্রান্সিস জানিয়েছেন, বাংলাদেশ তাদের দীর্ঘদিনের ইতিহাস মেনে গণতান্ত্রিক সুশাসনের প্রতি সম্মান জানাবে।

'আমরা আশা করবো বাংলাদেশ তাদের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সুশাসনের বলিষ্ঠ ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানাবে এবং আসন্ন নির্বাচনটি মুক্ত ও নিরপেক্ষ হবে। সে অনুযায়ী একে মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া যাবে', বলেন তিনি।

নিউইয়র্কে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশকে মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সহায়তায় করার জন্য জাতিসংঘ কী উদ্যোগ নিচ্ছে। এর জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ডেনিস আরও জানান, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে মাথায় রেখে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।

'নিশ্চিতভাবেই এতে দেশটি আরও সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠবে এবং এতে তারা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ও একে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে', যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, যার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।'

ডেনিস ফ্রান্সিস বলেন, বাংলাদেশকে এজেন্ডা ২০৩০ অনুযায়ী টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।


মারা গেছেন হেনরি কিসিঞ্জার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন কূটনীতিক ও বিতর্কিত নোবেল বিজয়ী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

কিসিঞ্জার ছিলেন হার্ভার্ডের একজন অধ্যাপক যিনি পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে নাম লেখান। মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধের অন্যতম কারিগর মনে করা হয় তাকে।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস এর বরাতে নিশ্চিত করেছে এ খবর।

১৯২৩ সালে জার্মানিতে তার জন্ম হলেও ১৯৩৮ সালে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসে। ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান এবং তিন বছরের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। এর মাধ্যমে তিনি মার্কিন রাজনীতিতে বিপুল ক্ষমতা লাভ করেন। এর মাধ্যমে তার পূর্ণকালীন অধ্যাপনাও শেষ হয়।

পরে তিনি নিক্সনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলেও তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ইসরায়েল এবং প্রতিবেশীদের ইয়ম কিপুর যুদ্ধ এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে প্যারিস শান্তিচুক্তি করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন।

১৯৭৩ সালেই তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এ নিয়ে শুরু হয় চরম বিতর্ক। তার সঙ্গে নোবেল পান উত্তর ভিয়েতনামের নেতা লি ডুক থো, যিনি এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।

জার্মানিতে জন্ম নেওয়া এ কূটনীতিক ছিলেন ইহুদী ধর্মের অনুসারী। রাজনীতি করতেন রিপাবলিকান দলে।

আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস। এটি একটি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান।


banner close