রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৩ আশ্বিন ১৪৩২
জলবায়ু পরিবর্তন

২০২৩ সালে বাড়বে মানবিক সংকট

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে চলতি বছর পাকিস্তানে বন্যা দেখা দেয়। ছবি: এএফপি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:৫১

এমনিতেই নানা মানবিক সংকটে আক্রান্ত এই বিশ্ব। সশস্ত্র সংঘাত চলছে, অর্থনৈতিক মন্দা আছে। বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) গবেষণা বলছে, ২০২৩ সালে জলবায়ু পরিবর্তন সেই সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, মানবিক সংকটাপন্ন মানুষের সংখ্যা গত এক দশকে আকাশচুম্বী হারে বেড়েছে। ২০১৪ সালের ৮ কোটি ১০ লাখের তুলনায় সংখ্যাটি বেড়ে এখন ৩৩ কোটি ৯২ লাখে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট বৃদ্ধির পেছনের মৌলিক কারণগুলোর একটি জলবায়ু পরিবর্তন।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০২২ সাল দেখিয়েছে যে, বৈশ্বিক মানবিক সংকট দ্রুত বৃদ্ধির পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’

প্রতিবেদনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কথাও রয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ায় খাদ্য উৎপাদনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে হাজারও মানুষের। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আরও সক্রিয় বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

এদিকে অর্থনৈতিক মন্দা ও সংঘাতের প্রভাবে এমনিতেই খাদ্য উৎপাদনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এবং করোনা মহামারির ফলে এই সংকট আরও বেড়েছে। আবার সংকট সমাধানে বিনিয়োগের অপ্রতুলতাও একটা সমস্যা। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ কাজে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ ঘাটতি ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দাতারা প্রয়োজন অনুযায়ী সাড়া দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে সংকটাপন্ন সম্প্রদায়গুলোর মানুষ টিকে থাকা ও পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না।’ ‘ইমার্জেন্সি ওয়াচলিস্ট ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জোরপূর্বক ঘরছাড়া মানুষের কথাও বলা হয়েছে। এমন মানুষের সংখ্যা ২০১৪ সালের ছয় কোটি থেকে বেড়ে এখন ১০ কোটি ছাড়িয়েছে।


ইসরায়েলের গণহত্যা শতাব্দী ধরে মনে রাখা হবে: মাহাথির

মাহাথির মোহাম্মদ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ বছর ১০০ বছরে পা দিয়েছেন। জন্মদিনেও তিনি নিজের দীর্ঘদিনের অভ্যাস অনুযায়ী কঠোর নিয়ম মেনে চলেছেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহাথির বলেন, আমি সবসময় কাজ করি, নিজেকে বিশ্রাম দিই না। মন ও শরীর সক্রিয় রাখলে মানুষ দীর্ঘজীবী হয়।

কুয়ালালামপুরের দক্ষিণে পুত্রজায়ার নিজ অফিসে বসে জন্মদিনটিও তিনি কাটিয়েছেন দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু—বিশেষ করে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে লিখে।

আল জাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাহাথির বলেন, ইসরায়েল গাজার সাধারণ জনগণের ওপর যে নির্মমতা চালিয়েছে, তা ইতিহাসে চিরদিনের মতো লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গর্ভবতী নারী, সদ্যোজাত শিশু, কিশোর-কিশোরী, অসুস্থ ও দরিদ্র—সবাইকে তারা হত্যা করেছে। এটা কি কখনও ভোলা সম্ভব?

মাহাথির আরও বলেন, এটা হয়তো শতাব্দীর পর শতাব্দী মনে রাখা হবে।

গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এটি ১৯৯০-এর দশকে বসনিয়ায় মুসলিমদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ড এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের হত্যার সঙ্গে তুলনীয়।

মাহাথির বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, যে জাতি নিজেরাই একসময় গণহত্যার শিকার হয়েছিল, তারা কীভাবে আবার অন্য জাতির ওপর একই ধরনের নির্মমতা চালাতে পারে?


গাজা যুদ্ধের অবসানের দাবিতে হাজারো ইসরায়েলির বিক্ষোভ

গাজা যুদ্ধের অবসানের দাবিতে তেল আবিবে হাজারো ইসরায়েলি বিক্ষোভ করেছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের আগে গাজা যুদ্ধের অবসানে একটি চুক্তির দাবিতে তেল আবিবে হাজারো ইসরায়েলি বিক্ষোভ করেছে।

গত শনিবার এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। গাজার

বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে সমবেত হয়ে একটি বড় ব্যানার প্রদর্শন করে। ব্যানারটিতে লিখা ছিল, সব বন্দিকে এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনো।

গাজায় বন্দি থাকা ওমরি মিরানের স্ত্রী লিশাই মিরান-লাভি বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধ করার এবং সব বন্দি ও সৈনিকদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত চুক্তিই কেবল এই ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।’

তিনি ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নেতানিয়াহুর ওপর আপনার প্রভাব খাটান। এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে, ওমরি ও অন্যান্য বন্দিদের জন্য ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।’

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। যদিও ট্রাম্প গাজা নিয়ে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি গাজা চুক্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এটি একটি চুক্তি, যা বন্দিদের ফিরিয়ে আনবে ও যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।’

গাজায় একদিনে আরও ৯১ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৯১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৮ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। যার মধ্যে ছয়জন ত্রাণ নেওয়ার সময় নিহত হন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

দখলদার ইসরায়েল মধ্য গাজার সারায়া এলাকায় বেসামরিক মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ মানুষ নিহত হলেও থামছে না আগ্রাসন।

এরইমধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ হুমকি দিয়েছেন, সব লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় তারা যুদ্ধ থামাবেন না। এছাড়া তিনি গাজায় বর্বরতা বাড়ানোর হুমকিও দিয়েছেন।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধ বন্ধে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ৮ মুসলিম দেশের নেতারা। ওই সময় ট্রাম্প তাদের কাছে ২১ দফার প্রস্তাব পেশ করেন। বৈঠক শেষে একাধিক মুসলিম নেতা জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের ভালো আলোচনা হয়েছে।

সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক হবে। ওই সময় জানা যাবে, এ চুক্তিটি ইসরাইল মানবে কি না।

নেতানিয়াহু জাতিসংঘের ভাষণে জানান, গাজায় তারা হামলা অব্যাহত রাখবেন। অপরদিকে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তারা হয়ত যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছেন।

‘গাজায় ইসরায়েলি হামলার সামরিক যুক্তি নেই’

গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া স্থানের ওপর আঘাত চালিয়ে যাওয়ার কোনও সামরিক যুক্তি নেই। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র স্বীকৃতির পক্ষেও যুক্তি তুলে ধরেছেন ওবামা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

ওবামা বলেন, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যারা সরাসরি সহিংসতার অংশ নই, তাদের এখনই স্বীকার করা উচিত যে, শিশুদের ক্ষুধার্ত হতে দেওয়া যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজার ভিতরে যে মানবিক সংকট চলছে তা উপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য। আমাদের অবশ্যই জোর দিয়ে বলা উচিত যে, উভয় পক্ষকে এমন একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে একটি নিরাপদ ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং স্বায়ত্তশাসন বিদ্যমান থাকবে।’

গাজা যুদ্ধ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরল মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন এবং বিশ্ব নেতাদের ওপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন।

রাজনৈতিক নেতাদেরও সমালোচনা করেছেন ওবামা। বিশেষ করে নেতানিয়াহুসহ যারা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যু সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জটিল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ওবামা বলেন, আমরা সব সময় সব বিষয়ে একমত ছিলাম না। দুঃখজনকভাবে, অনেক সময় নেতৃত্ব এবং রাজনীতিবিদরা এমন একটি স্বার্থপর সম্পর্ক বজায় রাখেন এটা শুধু ‘আমরা বনাম তারা’। কারণ, এতে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা সহজ হয়। এটা একটি প্রলোভনমূলক খেলা। আমি আমার প্রেসিডেন্সির সময় দেখেছি, আমি সবসময় ওই অঞ্চলে জনপ্রিয় ছিলাম না। কারণ আমি তাদের এই ব্যাপারে কথা বলতাম।

জনগণকে ঝুঁকিতে ফেলে সমস্যার সমাধান করার হামাসের নিষ্ঠুর পদ্ধতিরও সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, গাজা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সব জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধ করা আবশ্যক।

ওবামা জোর দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর ‘অনুমতি দিতে হবে’।

ইসরায়েল এই মাসের প্রথম থেকে গাজা শহরে স্থল অভিযান শুরু করেছে। হামাসের শেষ অবশিষ্ট ঘাঁটি লক্ষ্য করার কথা বললেও, তাদের উদ্দেশ্য শহরটি দখল এবং অধিগ্রহণ করা।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, গাজা শহরে ইসরায়েলের আক্রমণের পরিকল্পনা প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির ঝুঁকিতে ফেলবে। ট্রাম্প প্রশাসনও সংঘাত সমাপ্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন।


গাজা যুদ্ধের অবসানে চুক্তির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের প্রাক্কালে গাজা যুদ্ধের অবসানে একটি চুক্তি করার দাবিতে শনিবার তেল আবিবে হাজারো ইসরাইলি বিক্ষোভ করেছে বলে জানা গেছে।

তেল আবিব থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গাজা জুড়ে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৯২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৪৫ জন গাজা শহরে মারা গেছে।

বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ার’-এ সমবেত হয়ে একটি বড় ব্যানার প্রদর্শন করে। ব্যানারটিতে লিখা ছিল— ‘সকল জিম্মিকে এখনই ঘরে ফিরিয়ে আন।’

গাজায় বন্দি থাকা ওমরি মিরানের স্ত্রী লিশাই মিরান-লাভি বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধ করার এবং সব বন্দী ও সৈনিকদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত চুক্তিই কেবল এই ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।’

তিনি ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর আপনার প্রভাব খাটান। এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে, ওমরি ও অন্যান্য বন্দীদের জন্য ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।’

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরাইল হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করার কাজটি সম্পন্ন করবে।

যদিও ট্রাম্প গাজা নিয়ে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি গাজা চুক্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এটি একটি চুক্তি, যা বন্দীদের ফিরিয়ে আনবে ও যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।’

বন্দী থাকা আলোন ওহেলের ভাই রোনেন ওহেল নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোনও চিঠি নয়, কোনও ঘোষণা নয়, কোনও বিলম্ব নয়। এখনই সুযোগ, এখনই আপনি নেতৃত্ব দেখাতে পারেন।’

তবে ইসরায়েলের কট্টর-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেনগভির নেতানিয়াহুকে চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন।

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করে যুদ্ধ শেষ করার কোনও অধিকার আপনার নেই।’

নেতানিয়াহুর জোট সরকার কট্টরপন্থী মিত্রদের ওপর নির্ভরশীল, যারা ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের বিরোধী।


ভারতে পদদলিত হয়ে ৩১ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের দক্ষিণি সিনেমার সুপারস্টার-রাজনীতিবিদ থালাপাতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলিত হয়ে প্রায় ৩১ জন নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার তামিলনাড়ুর করুরে হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটে।
ভারতের দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে জানা যায়, বিজয়ের চলমান রাজ্য সফরের অংশ হিসেবে এই সভায় বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল। সমাবেশে ভিড়ের মধ্যে বেশ কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের করুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
করুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিন আর শান্তিমালার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং তিনজন শিশু মারা গেছে। আরও রোগী আসছে এবং অ্যাম্বুলেন্স এখনো আসছে। সম্পূর্ণ বিবরণ সংগ্রহ করতে আমাদের আরও সময় প্রয়োজন।’
প্রতিবদেন বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্করা ছিলেন বিজয়ের রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজগম’ (TVK)-এর সমর্থক। তারা অন্তত ছয় ঘণ্টা ধরে সমাবেশে অপেক্ষা করছিলেন, তবে বিজয় দেরি করে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
এদিকে, এ ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম সুব্রামানিয়ান দ্রুত করুরে পৌঁছেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন করুর জেলা সচিব ভি সেন্টিলবালাজিকে পরিস্থিতি তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্টালিন এক্স-এ দেওয়া তামিল ভাষার পোস্টে লিখেছেন, ‘করুর থেকে আসা খবর উদ্বেগজনক। আমি নির্দেশ দিয়েছি, পদদলিত হওয়ার ঘটনায় অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষদের যেন অবিলম্বে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
সম্প্রতি শোবিজ দুনিয়া ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন দক্ষিণী সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় নায়ক থালাপাতি বিজয়। জানিয়েছিলেন, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘জন নায়ক’ সিনেমাই তার অভিনীত শেষ সিনেমা।
জানা যায়, বিজয় ২০২৬-এর তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন। এ লক্ষ্যে গঠন করেছেন একটি রাজনৈতিক দল। অভিনয় ছাড়ার পর সেখানেই পুরোপুরি মনোযোগ দিতে চান বিজয়।


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করা অসম্ভব, তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে: খামেনি

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করা অসম্ভব, কারণ তারা ক্রমাগত সমস্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে এবং সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেয়।

এক্স-পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা যে পক্ষের মুখোমুখি (যুক্তরাষ্ট্র), তারা প্রতিটি বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। তারা মিথ্যা বলে, সামরিক হুমকি দেয়। আমরা এমন একটি পক্ষের সঙ্গে আলোচনা বা চুক্তি করতে পারি না।’

খামেনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন সুযোগ পেলে আবারও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালাতে পারে অথবা ইরানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করতে পারে।

৫ হাজার পরমাণু শক্তি তৈরিতে ইরান

দেশগুলোর সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরান এবার রাশিয়ার সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সেরে ফেলেছে। এই চুক্তির আওতায় ইরান তার বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকে বহুগুণে বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তেহরানের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন সমরবিদরা।

ইরান বারবার দাবি করে এসেছে যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই। বরং পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে তারা বেসামরিক খাতের, বিশেষত বিদ্যুৎ উৎপাদনের উন্নয়ন ঘটাতে চায়।

এবার সেই পরিকল্পনার কথাই ঘোষণা করলেন ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামী। তিনি জানিয়েছেন, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানে ৫,০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যেই তিনি রাশিয়ার সাথে চুক্তি সেরে ফেলেছেন।

মোহাম্মদ ইসলামীর সাম্প্রতিক রাশিয়া সফরের সময়ই এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইরান ও রাশিয়ার মাঝে কৌশলগত সহযোগিতার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছি। রাশিয়ার পরমাণু সংস্থা রোসাটমের সাথে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দেশটির সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।’ ২৫ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে ইরানের বুশেহরে দেশটির অন্যতম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ রাশিয়ার হাতেই রয়েছে। ইরান ২০৪১ সালের মধ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে ২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

পারমাণবিক কর্মসূচিতে পশ্চিমাদের সাথে উত্তেজনার মাঝেই রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের এমন চুক্তিতে স্বভাবতই অবাক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। সমরবিদরা মনে করছেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে ইরান সফল হলে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে, যার ফলে পশ্চিমাদের শাসন ব্যবস্থায় ভাটা পড়তে পারে।

এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রাশিয়া ও চীনের প্রস্তাবিত একটি খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। খসড়ায় ইরানের পারমাণবিক চুক্তির সমর্থনে গৃহীত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ছয় মাসের জন্য বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল।


নেপালে জেন জি আন্দোলন দমাতে ‘লেথাল উইপন’ ব্যবহার পুলিশের

২ দিনে ২ হাজার গুলি
নেপালে জেন জি আন্দোলন দমাতে ‘লেথাল উইপন’ ব্যবহার করেছিল পুলিশ। ছবি: ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নেপালে জেন জি আন্দোলন দমাতে ‘লেথাল উইপন’ ব্যবহার করে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছিল পুলিশ। এর প্রমাণ মিলেছে পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনে। নেপাল পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, ওই ২ দিনে ২ হাজার রাউন্ডের বেশি তাজা গুলি ছোড়ে পুলিশ, যার বেশিরভাগই আসে প্রাণঘাতী অস্ত্র বা ‘লেথাল উইপন’ থেকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে মোট ১৩ হাজার ১৮২ বার গুলি ছোড়া হয়েছে। এসব গুলির মধ্যে বেশিরভাগই এসেছে ‘লেথাল উইপন’ থেকে, যার মধ্যে ছিল ইনসাস রাইফেল, এসএলআর এবং পিস্তল। ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে উচ্চ গতির গুলির আঘাতে।

পুলিশের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই দুই দিনে ২ হাজার ৬৪২ রাউন্ড তাজা গুলি ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৮৮৪টি রাবার বুলেট, ২ হাজার ৩৭৭টি সতর্কতামূলক গুলি এবং ৬ হাজার ২৭৯টি টিয়ারগ্যাস শেল ব্যবহার করা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি গুলি চালানো হয়েছে কাঠমাণ্ডুতে। কেবল এই অঞ্চলে ১ হাজার ৩২৯টি লাইভ বুলেট, ১ হাজার ৪২০টি রাবার বুলেট ও ১ হাজার ৪৬টি সতর্কতামূলক গুলি ছোড়া হয়। পাশাপাশি ৩ হাজার ৯৬টি টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে উপত্যকায় ৬ হাজার ৮৯১ বার গুলি চালানো হয়েছে।

এর বাইরে মধেশ প্রদেশে ১ হাজার ৯২১ বার, কোশীতে ১ হাজার ৫৬৮, কর্ণালীতে ৯৩২, সুদূরপশ্চিমে ৭৬৩, লুম্বিনীতে ৬১৯, গণ্ডকীতে ৩০৬ এবং বাগমতীর অন্যান্য জেলায় ১৮১ বার গুলি চালানো হয়েছে।

নেপাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এটি কেবল পুলিশের প্রাথমিক রেকর্ড। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

নেপাল পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরে জানান, কত রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে এবং কতগুলো হারিয়ে গেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দীপক রেগমির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে, যেখানে বিভিন্ন প্রদেশের কর্মকর্তারা যুক্ত রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রানি-পোখরীর ভ্যালি পুলিশ অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে অস্ত্র ও গুলির রেকর্ডও নষ্ট হয়েছে। কমিটির এক সদস্য বলেন, তাই আমরা সদর দপ্তরের ডেটার সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করছি।


নেতানিয়াহুর নিউইয়র্ক সফর ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার এ নিউইয়র্ক সিটিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারীরা টাইমস স্কয়ারে সমবেত হন, যেখানে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ান, কেফিয়েহ স্কার্ফ পরেন এবং ফ্রি প্যালেস্টাইন, গাজাকে অনাহারে মারো না, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চাই এখনই— এমন বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার বহন করেন। পরে তারা সেখান থেকে মিছিল করে জাতিসংঘ ভবনের দিকে অগ্রসর হন।

’নেতানিয়াহু তুমি পালাতে পারবে না, তোমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ।’ এমন স্লোগানে উত্তাল ছিল মিছিল।

একইদিন জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু পশ্চিমা দেশগুলোকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। তার বক্তৃতা শুরুর সময় বহু প্রতিনিধি সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এবং গোটা উপত্যকার জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অনাহারে কাতর ফিলিস্তিনিদের ছবি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ তৈরি করেছে। একাধিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এই কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ইসরায়েল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫০ জনেরও বেশি জিম্মি হওয়ার পর তারা আত্মরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার এবং কিছু ক্ষেত্রে বিতাড়নের উদ্যোগও নিয়েছেন।


ভারতীয় তরুণদের স্বপ্ন চুরমার করে দিচ্ছে ট্রাম্পের ভিসা নীতি?

ডোনাল্ড ট্রাম্প
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্বপ্নিল চক্রবর্তী (ছদ্মনাম) কলকাতার কাছেই খড়গপুরের আইআইটির চতুর্থ বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক স্তরের মেধাবী ছাত্র। আরও বহু ব্যাচমেটের মতোই সামনের বছর কোনো মাল্টিন্যাশনালে মোটা বেতনের চাকরিতে যোগ দিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন এই তরুণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি প্রোক্ল্যামেশন আপাতত তার সেই পরিকল্পনাকে মোটামুটি তছনছ করে দিয়েছে বলা যেতে পারে।

স্বপ্নিল ফোনে বলছিলেন, এটা ঠিকই যে আমাদের ব্যাচের অনেকেই এখন আর গ্র্যাজুয়েশনের পরেই আমেরিকা যাওয়ার কথা ভাবে না। কিন্তু আমার সেই উচ্চমাধ্যমিকের সময় থেকেই নানা কারণে ইচ্ছা ছিল আইআইটি থেকে পাস করে আমেরিকায় বছর কয়েক কাটিয়ে আসবো।

কিন্তু যে এইচ ১বি ক্যাটাগরির ভিসায় স্বপ্নিলের মতো টেক বা মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েটদের মার্কিন কোম্পানিগুলো এতদিন চাকরি দিয়ে নিয়ে যেত, সেটার ফি গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এক লাফে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ লাখ ডলার। অথচ এতদিন এই ক্যাটাগরির প্রতিটি ভিসার ফি ছিল মাত্র ২০০০ থেকে ৫০০০ ডলার।

এই ১ লাখ ডলারের অঙ্কটা এইচ ১বি ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে যারা চাকরি করছেন, তাদের বার্ষিক গড় বেতনের চেয়েও বেশি।

অন্যভাবে বললে, ব্যতিক্রমী রকমের মেধাবী বা দক্ষতাসম্পন্ন না হলে বিদেশি কোনও প্রফেশনালকে এত চড়া ফি দিয়ে কোনো কোম্পানি আমেরিকায় কখনোই আনতে চাইবে না। কারণ তাতে তাদের খরচ পড়বে এখনকার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি।

আর এটার প্রভাব পড়বে ভারতেই সবচেয়ে বেশি। কারণ আমেরিকা প্রতি বছর যত এইচ ১বি ভিসা দিয়ে থাকে, তার ৭০ শতাংশেরও বেশি পান ভারতীয় নাগরিকরাই।

গত আর্থিক বছরেও আমেরিকার এইচ ১বি ভিসা পাওয়া ১০০ জনের মধ্যে ৭১ জনই ছিলেন ভারতীয়। এর তুলনায় চীনা নাগরিকরা ছিলেন সংখ্যায় ১১.৭ জন।

বস্তুত যে দশটি দেশের নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি এইচ ১বি ভিসা পেয়ে থাকেন, ভারতের পর বাকি নয়টি দেশ মিলিয়েও তারা ভারতীয়দের চেয়ে অনেক কম সংখ্যক ভিসা পান আর এটা ঐতিহাসিকভাবেই সত্যি।

টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (টিসিএস) বা ইনফোসিসের মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলোও এই ভিসার খুব বড় গ্রাহক।

আমেরিকার সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের ওয়েবসাইট বলছে, চলতি আর্থিক বছরের জুন মাস পর্যন্ত আমেরিকা যে ১ লাখ ৭ হাজারের মতো এইচ ১বি ভিসা মঞ্জুর করেছে, তার ১৩ শতাংশই পেয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় কোম্পানি। নতুন ব্যবস্থায় এই রেওয়াজটা প্রবল অনিশ্চিত হয়ে পড়বে অবধারিতভাবে।

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক তো প্রথমে বলেছিলেন, কোনো তিন বছর মেয়াদী এইচ ১বি ভিসার প্রত্যেক বছরেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে এই ১ লাখ ডলার ফি গুনতে হবে। পরে অবশ্য মার্কিন প্রশাসন পরিষ্কার করেছে যে এটা হবে একটা এককালীন পেমেন্ট।

এটাও পরে ঘোষণা করা হয়েছে যে মেডিক্যাল খাতে যারা এইচ ১বি ভিসায় আসবেন এই চড়া ফি থেকে ছাড় পাবেন তারাও।

কিন্তু তাতে স্বপ্নিলের মতো ভারতের হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী বা টেক গ্র্যাডদের কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এজেন্য অনেকেই এখন আপাতত দেশের মধ্যেই চাকরির কথা ভাবছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা প্ল্যাটফর্মে ভারতীয়রা অনেকেই মন্তব্য করছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কার্যত এইচ ১বি ভিসার কফিনে শেষ পেরেক মেড়ে দিয়েছেন ফলে এই রুটে নতুন করে ভারতীয়দের আমেরিকা যাওয়ার রাস্তা একরকম বন্ধই হতে চলেছে।

ঠিক কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) বা ভারতের অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনায় যুক্ত আছেন, এমন অনেকেই আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন কয়েক বছর আগেও তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার যে ‘ক্রেজ’ ছিল তা এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে।

ফলে এইচ ১বি ভিসা বন্ধ হয়ে গেলেও তাতে খুব বড় কোনো হাহাকার পড়ে যাবে না বলেই তাদের অভিমত।বর্তমানে হায়দরাবাদ আইআইটির অধ্যাপক ড. সৌম্য জানা নিজে খড়্গপুর আইআইটি থেকে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করে বহু বছর যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, নব্বইয়ের দশকে আমরা যখন আইআইটি থেকে পাস করে বেরিয়েছি তার তুলনায় এখন সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের আমেরিকায় যাওয়ার ঝোঁক অনেক কম। বরং ভারতীয়রা এখন বেশির ভাগই চায় তাদের কেরিয়ারের পরবর্তী কোনো পর্যায়ে মার্কিন ইকোসিস্টেম বা আমেরিকার বাজারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে। এদের ক্ষেত্রে এইচ ১বির নিয়ম পরিবর্তন খুব একটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।

কারও আবার ধারণা, আমেরিকার ইতিহাস বলে সে দেশের ইমিগ্রেশন নীতি এরকম নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যায় ফলে এই পর্বটাও একটা সময় কেটে যেতে বাধ্য এবং আমেরিকাও তাদের নিজের স্বার্থেই বিদেশি পেশাদারদের জন্য দরজা খুলে দেবে।

কানপুর আইআইটির সাবেক শিক্ষার্থী অজয় কুমার কয়াল বলেন, এই মুহূর্তে ভারতীয়দের জন্য ভবিষ্যৎ বেশ অন্ধকার বলে মনে হচ্ছে, সেটা ঠিকই। তবে আমার মতে এখনই ওভাররিঅ্যাক্ট করারও কোনো দরকার নেই।

এই দেশটা ঐতিহাসিকভাবে এরকম নানা সাইকেলের মধ্য দিয়ে গেছে কাজেই এই পরিস্থিতিটাও চিরকাল থাকবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। আইআইটির যে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এখন আমেরিকায় বহু বছর ধরে রয়েছেন বা সে দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন, তাদের কেউ কেউ আবার বিশ্বাস করেন ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতি ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য একটা বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।

ভারতীয়-আমেরিকান শিল্পোদ্যোগী ও খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন ছাত্র বিপ্লব পাল যেমন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, আজকে যে পুনে, ব্যাঙ্গালোর, হায়দরাবাদ তৈরি হয়েছে যেখানে কম করে হলেও ১০ লাখের বেশি শুধু বাঙালি চাকরি করছে এটা কি ভারত সরকার করে দিয়েছে? এগুলো সম্ভব হয়ছে আইটি বিজনেস কোম্পানিগুলোর জন্য এবং এই আইটি বিজনেসে এইচ ১বিতে লোক পাঠানো খুব দরকার। কারণ আমেরিকা থেকে কাজ তুলতে গেলে, তাদের ফ্যাক্টরি বা অফিসে বসে কাজ শিখে সেটা এরা ভারতীয়দের শেখায়। আজ ওই ভিসাটা না থাকলে, বাকি শহরগুলোর চাকরির অবস্থাও কলকাতার মতো হতো।

তাছাড়া যারা গেছে, অনেকেই ভারতে কোম্পানি খুলেছে। ভারতে তারা বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। যা ভারতের ফরেন রিজার্ভের সবচেয়ে বড় উৎস।

এটা খুব ভুল ধারণা যারা ভারতের বাইরে আমেরিকায় কাজ করছে- তারা ভারতকে কিছু ফিরিয়ে দেয়নি। আজকে ভারতের এই ৫০ লাখ আইটি চাকরি তৈরিই হতো না এই ভিসায় লোকজন আমেরিকায় না গেলে। এমনটাই যুক্তি দিয়েছেন বিপ্লব পাল।


গাজা শহর ছেড়েছেন ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি

গাজা ছেড়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজা শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) ব্যাপক অভিযানের মুখে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে বাস্তচ্যুত হয়েছেন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।

অভিযান শুরুর আগে গাজা নগরীতে প্রায় এক মিলিয়ন ফিলিস্তিনি বসবাস করছিল বলে ধারণা করা হয়। অভিযানের প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় নির্ধারিত মানবিক অঞ্চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল।

গত সপ্তাহে গাজা শহর থেকে মানুষের সরে যাওয়ার হার আরও বেড়েছে, কারণ আইডিএফ শহরের ভেতরে আরও গভীরে প্রবেশ করেছে।

আইডিএফ-এর আরবি ভাষার মুখপাত্র কর্নেল আভিখাই আদ্রেয়ি বলেন, ‘গাজা নগরী প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, কারণ এর বাসিন্দারা বুঝতে পারছেন যে সামরিক অভিযান আরও তীব্র হচ্ছে এবং দক্ষিণে সরে যাওয়াই তাদের নিরাপত্তার জন্য উত্তম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আপনাদের আহ্বান জানাই যত দ্রুত সম্ভব আল-মাওয়াসির মানবিক এলাকায় চলে আসতে এবং সেই ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দার সঙ্গে যোগ দিতে, যারা গত কয়েক দিন ও সপ্তাহে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য গাজা নগরী ছেড়েছেন।’

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত অন্তত ৬০

জাতিসংঘের অধিবেশনে নেতানিয়াহু যখন হামাস নির্মূলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তখন গাজার বিভিন্ন প্রান্তে বর্বর অভিযান চালিয়ে অন্তত ৬০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এরমধ্যে গাজার মূল শহরেই প্রাণ গেছে ৩০ জনের। এমন পরিস্থিতিতেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে দাবি করেছেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যপ্রাচ্যের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। এদিকে, ফিলিস্তিনিপন্থীদের বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলায় যুক্তরাষ্ট্রে সফররত কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের ভিসা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবির। অনেক কষ্টে ইন্টারনেট সংযোগ জোগাড় করে চূড়ান্ত উৎকণ্ঠা নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে দেয়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনছেন ফিলিস্তিনি। ভেবেছিলেন, বিশ্বমঞ্চ থেকে হয়তো যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত দেবেন নেতানিয়াহু। যদিও শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়েছে তাকে। বুঝতে পারছেন কোনো অবস্থাতেই সংঘাত বন্ধের বিষয়ে আগ্রহী নন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

ফিলিস্তিনের বাসিন্দারা বলেন, ‘আমরা আশায় ছিলাম। ভেবেছিলাম রক্তক্ষয়ী এ সংঘাত থামানোর কোনো না কোনো উপায় আসবে। কিন্তু যত দেখছি তত বিরক্ত হচ্ছি। হতাশ হচ্ছি। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান।’নেতানিয়াহু যখন জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হামাস নির্মূলের হুশিয়ারি দিচ্ছিলেন, তখন গাজার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালায় ইসরায়েল। আল-ওয়েহদা, শাতি শরণার্থী শিবির, নাসের ও রেমালের আবাসিক এলাকাসহ হামলা হয়েছে গাজার পশ্চিমাঞ্চলেও। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর মিলেছে গাজার মূল শহর। গেল ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এই গাজা সিটিতেই সবচেয়ে জোরদার অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। আর গাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ইসরাইলের সেনারা ঘিরে রাখায় বাধ্য হয়েছে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে অলাভজনক সংস্থা ডক্টরস উইথআউট বর্ডারের কর্মকর্তারা।

গাজায় লাউডস্পিকারে বাজানো হলো নেতানিয়াহুর ভাষণ

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শুক্রবার ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই ভাষণ দক্ষিণ ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে লাউডস্পিকারে শোনানো হয়। তবে অনেক গাজাবাসী দাবি করেন, তারা এই ভাষণ শুনতে পাননি।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এদিন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল অবশ্যই গাজায় তার কাজ (হামাসকে নির্মূল) শেষ করবে।

নেতানিয়াহু এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে বিশ্বনেতাদের চাপের মুখে পড়েন। তিনি বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠতেই বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা গণহারে ওয়াকআউট করেন। তবে এরপরও গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু।

আন্তর্জাতিক চাপের কথা উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘পশ্চিমা নেতারা হয়তো চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। আর আমি আপনাদের একটা বিষয় নিশ্চিত করছি, ইসরায়েল এমনটা করবে না।’

ভাষণে নেতানিয়াহু দাবি করেন, তার বক্তব্য গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। গাজার বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সব গাজাবাসী তা শুনতে পাননি। আর যারা শুনেছিলেন, তাদের সবাই এতে মনোযোগও দেননি।

গাজার বাসিন্দা ফাদি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা দূর থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু মানুষের ভিড় এবং গোলমালের কারণে তা অস্পষ্ট ছিল।’

ফাদি আরও প্রশ্ন করেন, ‘অবরুদ্ধ বেসামরিক মানুষদের তাঁবুর ভেতরে জোর করে তার ভাষণ প্রচার করে কী লাভ?’

অন্যদিকে, যারা গাজার দক্ষিণে রাফাহতে ছিল, তারা কিছুই শুনতে পারেনি। কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরে আশ্রয় নেওয়া ৩০ বছর বয়সী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারী রান্দা হানান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নেতানিয়াহুর এই দাবি সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা। আমরা কোনো বার্তা বা ফোনে কিছুই পাইনি। কোনো লাউডস্পিকারও শুনিনি।’

হানান বলেন, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে লাউডস্পিকারের ছবি দেখা ছাড়া তিনি নেতানিয়াহুর ভাষণ শুনতে পারেননি, যদিও তিনি শুনতে চাইতেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, যদি তারা সত্যিই ট্রাকে করে স্পিকার বসিয়ে গাজার চারপাশে ঘোরানোর চেষ্টা করত। আমার মনে হয়, তারা খুব ভয় পেত।’

নেতানিয়াহু ভাষণে হামাস সদস্যদের উদ্দেশে অস্ত্র নামিয়ে রেখে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে সতর্কবার্তা দেন। এ ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় হামাস টেলিগ্রামে একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু একটি ‘বিভ্রান্তিকর’ ভাষণ দিয়েছেন, যাতে ধারাবাহিকভাবে ‘স্পষ্ট মিথ্যা ও স্ববিরোধী তথ্য’ ছিল।


জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের আগে ওয়াকআউট ইসরাইলের ‘একঘরে’ হয়ে পড়ার ইঙ্গিত : হামাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জাতিসংঘে শুক্রবার ভাষণের আগে বিভিন্ন প্রতিনিধিদলের ব্যাপক ওয়াকআউট গাজা যুদ্ধের ফলে ইসরাইলের ‘একঘরে’ হয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয় বলে মন্তব্য করেছে হামাস।

গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট করা ইসরাইলের ‘একঘরে’ হয়ে পড়া ও তাদের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পরিণতির একটি বহিঃপ্রকাশ।’

নেতানিয়াহু যখন সাধারণ পরিষদের মঞ্চে উঠলেন, তখন বেশ কয়েকটি প্রতিনিধিদল ওয়াক আউট করেন। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবাদ হিসেবে তারা ওয়াক আউট করেন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দিনের প্রথম বক্তা।

এছাড়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জত আল-রিশক বলেন, নেতানিয়াহুকে ঘিরে এখন শুধু একদল চিয়ারলিডার দলই আছে, যারা জাতিসংঘের সভাকক্ষে ঢুকে শুধু গণহত্যার পক্ষে হাততালি দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে হামাস নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও স্পষ্টভাবে গণহত্যা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও গাজায় পরিকল্পিতভাবে অনাহার সৃষ্টিকে অস্বীকার’ করার অভিযোগ তোলে— যা তার ও ইসরাইলি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক রাখা জিম্মিদের ইঙ্গিত করে হামাস বলেছে, ‘যদি তিনি সত্যিই তার বন্দীদের প্রতি যত্নবান হতেন, তাহলে তিনি গাজার নৃশংস বোমা হামলা, গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতেন। কিন্তু এর পরিবর্তে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন এবং তাদের জীবন বিপন্ন করে চলেছেন।’

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ২৫১ জন জিম্মি করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে এখনো ৪৭ জন গাজায় আটক রয়েছেন এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মতে, এদের মধ্যে ২৫ জন ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘে তার ক্ষুব্ধ ভাষণে নেতানিয়াহু গাজায় ‘গণহত্যা’ এবং ‘অনাহার’ কে কৌশল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতাও করেন এবং সম্প্রতি ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের এই স্বীকৃতিকে ‘ইসরাইলকে জাতীয় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া’ ও হামাসকে পুরস্কৃত করার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

হামাস বলেছে, নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট করা ‘ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বৈশ্বিক সংহতির ক্রমবর্ধমান প্রমাণ।’

ইসরাইলি সরকারি তথ্য অনুযায়ী বার্তা সংস্থা এএএফপি জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের ইসরাইলে হামলায় এক হাজার ২শ’ ১৯ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

জাতিসংঘের মতে, হামাস-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৫শ ৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।


মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কন্যার যোগদান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর কন্যা দিনা ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প । ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর কন্যা দিনা ইউনূস গত ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস ও তাঁর কন্যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ছবি তোলেন।

ছবিটি পরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।


রোহিঙ্গা সংকট: স্থায়ী সমাধান ও তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং তহবিল বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তহবিল সংকটের কারণে আজকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ন্যূনতম জীবনমান বজায় রাখার যৌথ প্রয়াসও ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ইতোমধ্যে এই সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছে। অবিলম্বে নতুন তহবিল না এলে, মাসিক রেশন অর্ধেকে নামিয়ে মাথাপিছু মাত্র ৬ ডলারে নামতে পারে, যা রোহিঙ্গাদের অনাহার ও অপুষ্টিতে নিমজ্জিত করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, ‘বিদ্যমান তহবিলের বাইরে নতুন ও বর্ধিত তহবিল নিশ্চিত করতে হবে এবং মিয়ানমার সরকার ও রাখাইনের অন্যান্য অংশীদারদের উপর ইতিবাচক পরিবর্তন ও দ্রুত রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে চলমান সংঘাত সমগ্র অঞ্চলের জন্য এক গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকেই ঝুঁকিতে ফেলছে না, বরং বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনও কঠিন করে তুলেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আট বছর পার হলেও রোহিঙ্গা সংকটের কোনো সমাধান দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। উপরন্তু, বাংলাদেশ প্রতিনিয়তই মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হচ্ছে। সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর অধিকার বঞ্চনা ও নির্যাতন রাখাইনে অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রান্তিকীকরণের প্রক্রিয়া আর চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব বৈষম্যমূলক নীতি ও কর্মকাণ্ড আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তার সমাধান এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা এখনই গ্রহণ করা সম্ভব।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পূর্ণাঙ্গ জাতীয় রাজনৈতিক মীমাংসার অপেক্ষা না করে রাখাইনের সমস্যাগুলোর চূড়ান্ত রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। তবে এর জন্য রাখাইন অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সকল জাতিসত্তার অংশগ্রহণে এমন একটি বন্দোবস্ত প্রয়োজন যেন রোহিঙ্গারা সমঅধিকার ও নাগরিকত্বসহ সমাজের অংশ হতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী রোহিঙ্গারা, আর তাদের পরেই বৃহত্তম ভুক্তভোগী হল বাংলাদেশ। তবে রোহিঙ্গা সংকট কোনোভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের কোনো দ্বিপাক্ষিক বিষয় নয়। আমরা শুধু একটি দায়িত্বশীল প্রতিবেশী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে আমাদের মানবিক দায়িত্ব পালন করে আসছি।’

তিনি যোগ করেন, ‘অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাখাইনে স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে কোনো যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সদাপ্রস্তুত।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের উচ্চপর্যায়ের রোহিঙ্গা সম্মেলন বিশ্বব্যাপী দৃঢ় সংকল্প তৈরি করবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য বাস্তবসম্মত আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করবে, যেখানে তহবিল সংগ্রহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। একইসঙ্গে একটি রোডম্যাপ গ্রহণ করে সময় নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে।’

সূত্র : বাসস


জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় কূটনীতিকদের ওয়াকআউট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে ঊঠতেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক প্রতিনিধিরা গণহারে ওয়াকআউট করেন। তবে একই সময় দর্শক সারিতে থাকা তার সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের প্রথম দিনে নেতানিয়াহু তার ভাষণ শুরু করার আগে সকল প্রতিনিধিদের শান্ত থাকতে বলা হয়।

সূত্র : বাসস


banner close