শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন জেনারেল আজিজ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২১ মে, ২০২৪ ১৭:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৪ ১৭:১৬

অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আজিজ জানান, শাস্তি পাওয়ার মতো কোনো কাজ তিনি করেননি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তা অসত্য এবং সঠিক নয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে তার জন্য প্রযোজ্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান হিসেবে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ভাই বা আত্মীয়দের কন্ট্রাক্ট দিয়েছি- কেউ সেটা প্রমাণ করতে পারলে যে কোনো কনসিকোয়েন্স বা পরিণতি আমি মেনে নিতে প্রস্তুত।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাইলে আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছি। আমি এখানে দেখতে পাচ্ছি, “অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন” অনুষ্ঠানে যে অভিযোগ দুটি আনা হয়েছিল, সেটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। যদিও এখানে এত কিছু বিস্তারিত বলা হয়নি, কিন্তু একই জিনিস।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম অভিযোগ হলো- আমি আমার ভাইকে বাংলাদেশের প্রচলিত যে আইন আছে, তার অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে সে যেন এড়িয়ে চলতে পারে সেজন্য আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে তাকে সহযোগিতা করে দুর্নীতি করেছি। দ্বিতীয়ত হলো- আমি সেনাপ্রধান হিসেবে আমার ভাইকে সামরিক কন্ট্রাক্ট দিয়ে ঘুস নিয়েছি; আমি আরেকটি দুর্নীতি করেছি।’

‘প্রথম অভিযোগের বিষয়ে বলবো আমার সেই ভাই, যদিও এখানে নাম উল্লেখ করা হয়নি, আমি জেনারেল হওয়ার অনেক আগে থেকে বিদেশে এবং নিশ্চয়ই সে বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই বিদেশে গিয়েছে। সেখানে দেশ থেকে চলে যাওয়ার বা দেশের প্রচলিত আইন ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করেছি এই অভিযোগ আমি মেনে নিচ্ছি না। মেনে নিতে পারি না, এটি সঠিক না।’

‘দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে বলবো, আমি চার বছর বিজিবি প্রধান এবং তিন বছর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কেউ যদি একটা প্রমাণ দিতে পারে আমি আমার ভাই বা আত্মীয়কে বিজিবি বা সেনাবাহিনীতে কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, আমি যে কোনো কনসিকোয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। আমি আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন বা ভাইকে কোনো কন্ট্রাক্ট দেইনি।’

গণমাধ্যমকর্মীদের খোঁজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইদের কারও বিজিবি বা সেনাবাহিনীতে ঠিকাদারি করার জন্য কন্ট্রাক্ট নেওয়ার কোনো ধরনের লাইসেন্স আছে কি না খোঁজ নিলেই পেয়ে যাবেন।

আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আজিজ আহমেদ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেন কি না- জানতে চাইলে সাবেক এ সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’

তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি দুটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। আমার মনে হয়, আর কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কিছু নেই।’

গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুস নিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো।


অধস্তন আদালতের ২২৪ বিচারককে বদলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অধস্তন আদালতের ২২৪ বিচারকের বদলি, পদায়ন ও প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ছয়জনকে জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২৩ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ছাড়া আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. গোলাম রব্বানীকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মো. গোলাম রব্বানী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমীনকে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব পদে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বদলি হওয়া বিচারকদের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ পদ মর্যাদার ৫২ জন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদ মর্যাদার ৪৮ জন (এর মধ্যে ২ জন প্রেষণে), যুগ্ম জেলা জজ পদ পদমর্যাদার ৯ জন, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ১১৪ জন এবং একজনকে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ ওসমান হায়দারের স্বাক্ষরিত এসব প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বদলি ও পদায়নের প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। বদলি ও পদায়নকৃত এসব বিচারকদের প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত নির্দিষ্ট সময় ও পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কিংবা প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত জেলা ও দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তরপ্রধান মনোনীত কর্মকর্তার কাছে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ/ছুটিতে থাকা বিচারকদের প্রশিক্ষণ/ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের তারিখে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়:

গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত ন্যায়বিচার করা হবে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নির্মূলে জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত ন্যায়বিচার করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ রোববার একথা বলেন।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হবে। জুলাইয়ের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত ন্যায়বিচার করা হবে। গণহত্যায় জড়িত কোনো তথ্য-প্রমাণ কারো কাছে থাকলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দ্রুত ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, সৎ দক্ষ ও সাহসী বিচারক নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে শেখ হাসিনাসহ যারা সম্ভাব্য আসামি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সম্ভাব্য প্রধান অপরাধী দেশ থেকে পালিয়েছেন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়া; সেটা আমরা শুরু করবো। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী প্রত্যার্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এ চুক্তিটি হয়েছিলো। তিনি যেহেতু বাংলাদেশে গণহত্যার প্রধান আসামি হবেন মনে করি। বা অধিকাংশ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। সতুরাং এ প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে তাকে আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করবো।

নিজের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এভিডেন্স কালেক্ট করা। অপরাধটা গোটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সব জায়গায় একইসেঙ্গ সংঘঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটা জায়গায় একটা কমন ইনস্ট্রাকশন ছিলো গুলি করে সব মেরে ফেলা। এ অপরাধের যে আলামতগুলো সেগুলো সংগ্রহ করে কম্পাইল করা এটা একটা চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আসামিরা এখনো পলাতক প্রধান আসামি দেশত্যাগ করেছেন। অনেকে দেশত্যাগের চেষ্টায় আছেন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা।

গণহত্যার আলামতের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, যেহেতু ঘটনাগুলো তাজা, এ মামলায় যারা আসামি হবেন তারা এখনো বাংলাদেশে আছেন। অনেকে দায়িত্বেও আছেন। তারা এ আলামতগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব এ আলমতগুলো দ্রুত সংরক্ষণ করা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগুলো সংগ্রহ করা। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার হাতে নিয়ে আসা। যেন এ আলামতগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। চিফ প্রসিকিউটর সব ধরণের আলামত তদন্ত সংস্থা বা প্রসিকিউশনের কাছে পৌঁছানোর জন্য ছাত্র-জনতাসহ ভুক্তভোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এটা এমন একটা বিচার হবে যে, বিচারের পরে শহীদ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, বাদীপক্ষসহ আসামিপক্ষও মনে করবে তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করা হয়েছে। আসামিদের প্রতি জুলুম করা হবে না আবার ছাড়ও দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, এ অপরাধগুলোর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে তদন্ত কালে আসামিদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন হবে। নিশ্চয়ই আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাইবো। আমাদের প্রথম চেষ্টা থাকবে যরা সম্ভাব্য অপরাধী তারা যাতে আদালতের জুরিসডিকশনের বাইরে চলে যেতে না পারেন। সেটা ঠেকানোর চেষ্টা থাকবে।

আইন সংশোধনের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা মাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমরা সরকারের সঙ্গে বসে এগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিবো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সংঘটিত অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে।

বৈষম্যবিরোধী টানা ৩৬ দিনের আন্দোলন নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডারদের হামলায় সরকারি হিসেবেই ৮০০ লোক নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে বহু মানুষ। এখনো চিকিৎসাধীন কয়েক হাজার মানুষ। এ গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে। ইতোমধ্যে প্রসিকিউশন টিম নিয়োগ দেওয়া হয়।


ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ আগরওয়ালা কারাগারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডায় হৃদয় আহম্মেদ (১৬) নামে এক কিশোর হত্যার অভিযোগের মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মো. সাদেক আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বাড্ডা থানার সহকারী জিআরও এস এম জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কারাগারে আটক রাখার আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, আসামিকে নিবিড়ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছে থেকে হত্যা মামলার বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যসহ আসামির নাম-ঠিকানা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াধীন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক ও মামলার তদন্তে বিঘ্ন ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত, তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন খান নামে এক ব্যক্তি।


এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের মানিলন্ডারিং নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

শনিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের মালিক মো. সাইফুল আলমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েজ ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।’

আজাদ রহমান জানান, প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইডি। বিভিন্ন সূত্রে সিআইডি জানতে পেরেছে, এস আলমসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সংশ্লিষ্ট দেশে পিআর (পার্মানেন্ট রেসিডেন্স) গ্রহণ করেছেন।

এস আলম সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাসসহ ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে নিজের ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ক্রয় ও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।

পাচার করা অর্থে সিঙ্গাপুরে প্রায় ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ‘ক্যানালি লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে প্রতিষ্ঠান গড়েছেন সাইফুল আলম। এ ছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি এবং বিনিয়োগের জন্য নামে-বেনামে ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছেন এই বিতর্কিত ব্যবসায়ী।

তিনি ‘শেল কোম্পানি’ (নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান) খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে বিদেশে পাচার করেছেন।

সিআইডি কর্মকর্তা আরও জানান, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী সিআইডি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।


রিমান্ড শেষে কারাগারে শাকিল-ফারজানা রুপা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতি একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক উপস্থাপক ফারজানা রুপাকে ৯ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তাদের পক্ষে রহিম মিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২১ আগস্ট হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে আটক করা হয়। ২২ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানার ফজলুল করিম হত্যা মামলায় তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ আগস্ট রুবেল হত্যা মামলায় তাদের আরও ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা বেলা ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতা-কর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, নায়ক ফেরদৌস, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।


আদালত থেকে সরানো হচ্ছে লোহার খাঁচা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকার আদালতের বিভিন্ন এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো হচ্ছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম), ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসে থাকা লোহার খাঁচা সরানো হচ্ছে বলে জানান আদালত সংশ্লিষ্টরা।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঢাকার আদালতের কয়েকটি এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব আদালতের খাঁচা সরিয়ে ফেলা হবে। গণপূর্ত বিভাগের লোকজন লোহার খাঁচা সরানোর কাজটি করছেন বলে জানান আদালতের কর্মকর্তারা।

আদালত সহায়ক কর্মকর্তাগণ জানান, উচ্চপর্যায় থেকে লোহার খাঁচা সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে ঢাকার আদালতের কয়েকটি কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো হয়।

উল্লেখ্য, ঢাকার আদালতের লোহার খাঁচা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আনা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে তাকে লোহার খাঁচায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

এ নিয়ে গত ১২ জুন ড.মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। আমি যত দূর জানি যত দিন আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছে তত দিন তিনি নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন। একজন নিরপরাধ নাগরিককে শুনানির সময় লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। এটা গর্হিত কাজ। এটা কারও ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। একটা সভ্য দেশে কেন একজন নাগরিককে শুনানির সময় পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? যেখানে তিনি তখনো দোষী সাব্যস্ত হননি।

এদিকে দেশের অধস্তন আদালত কক্ষে থাকা লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুলসহ আদেশ দেয়। রিটের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন,সারাদেশে অধস্তন আদালত কক্ষে কতগুলো লোহার খাঁচা রয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত।

বিষয়:

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের চার বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ আগস্ট, ২০২৪ ১৩:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি। আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাজেস লাউঞ্জে এ চার বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।

গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) হাইকোর্ট বিভাগের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।

নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারককে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এ নিয়োগ শপথের দিন থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারপতি।

এদিন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন দুপুরে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী: প্রয়াত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকেও আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম: সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম রসায়নে স্নাতক, আইনে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি মো. রেজাউল হক: মো. রেজাউল হক এম এ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৮ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক: এস এম এমদাদুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯০ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিষয়:

বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক ও লোগো

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে। বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যরা।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।

এর আগে দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের পোশাক-লোগো পরিবর্তন করা হবে। কারণ হচ্ছে, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আর এ পোশাকে ফিরতে চান না। অর্থাৎ নতুন পোশাক ও লোগো নিয়ে কর্মে ফিরতে চান। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ বাহিনীর পোশাক ও লোগোর পরিবর্তন করা হবে।

বিষয়:

বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশকে কাজে ফেরার নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পুলিশ ফোর্সের এখনও যারা কর্মস্থলে জয়েন করেননি তাদের জন্য জয়েন হওয়ার সর্বশেষ তারিখ হচ্ছে এই বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত।

আজ রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

কোটা আন্দোলনে নিহতদের বিচার কোন প্রক্রিয়ায় হবে জানতে চাইলে এম সাখাওয়াত বলেন, দেশে পুলিশ ফিরে না আসলে আপনারা জানেন কী অবস্থা হতে পারে। একটু আগে দেখলাম ব্যাংকের মধ্যে মারামারি। ব্যাংক দখল করা হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে, যে যার মতো যা পারে দখল করতে পারে। আমি প্রথমেই বলতে চাই, পুলিশ ফোর্সের এখনও যারা কর্মস্থলে জয়েন করেননি তাদের জন্য জয়েন হওয়ার সর্বশেষ তারিখ হচ্ছে এই বৃহস্পতিবার।

বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি আপনারা (পুলিশ) ফোর্সে জয়েন না করেন, তাহলে আমরা ধরে নেবো আপনারা চাকরি করতে ইচ্ছুক নন। এ বিষয়ে আমি পুলিশের আইজিপি, র‍্যাবের ডিজি এবং ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এই বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে যার স্থানে চলে যাবেন।

তিনি বলেন, আপনারা (পুলিশ) বৃহস্পতিবার থেকে ডিউটিতে থাকবেন। অহেতুক কারো গায়ে কেউ হাত দেবেন না। আমরা বিচারের প্রক্রিয়াটা করবো। আর বিচার বিভাগ বিচার করবে। যারা দোষী হবেন বড় বা ছোট দোষী হলেই তাদের পানিশমেন্ট দেওয়া হবে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। আমি জনগণকে বলতে চাই, আপনারা পুলিশের গায়ে হাত উঠাবেন না। আপনারা নিজেরাই সাফার করছেন। আমার কাছে রাতে রাতে ফোন আসে। বলে অমুক জায়গায় ডাকাতি হয়েছে। আমি বলি আল্লাহ আল্লাহ করো। যদি ডাকাতি হয় তাহলে পুলিশ না থাকলে কি করবে?

তিনি আরও বলেন, আমি এইমাত্র পুলিশের আহতদের দেখে এসেছি। আমাদের যতদূর করা দরকার করবো কিন্তু আপনারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে জয়েন করেন। এটা প্রথম প্রায়োরিটি। একটু আগে দেখলাম আনসারের একটা অংশ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। তাদের কিন্তু দাবি দাওয়া আছে। সবার দাবি দাওয়া আছে। আমারও দাবি দাওয়া আছে। আমার দাবি দাওয়া হচ্ছে আপনারা ফিরে যান আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে যতটুকু করা দরকার ইমিডিয়েটলি করবো। এছাড়া অন্য মন্ত্রণালয়ের যদি ইমপ্লিমেন্টেশনের জন্য কিছু থাকে তাহলে আমরা আলোচনা করে করবো। আপনারা দয়া করে রাস্তাঘাট ছেড়ে দেন। রাস্তা থেকে চলে যান। অন্যান্য যত ফোর্স বা বাহিনী আছে আমি তাদের সবার সঙ্গে কথা বলবো। আপনারা আমার পরিচিত। আপনাদের কমান্ডাররা আমার পরিচিত। আমি কোনো রাজনৈতিক লোক না। আমি যা বলবো তাই করবো।

বিষয়:

নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করিলেন। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

এর আগে, ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করে বুধবার (৭ আগস্ট) পদত্যাগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।


আজ থেকে সীমিত পর্যায়ে হাইকোর্টের বিচার কাজ চলবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০৯
বাসস

আজ বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পর্যায়ে হাইকোর্টের বিচার কাজ চলবে। সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রর প্রশাসন ও বিচার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আরাফাত উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পর্যায়ে সরাসরি/ভার্চুয়ালি (সুবিধাজনক উপায়ে) চলবে।

এতে আরও বলা হয়, এ সময়ে দপ্তর ও শাখাসমূহের কার্যক্রম সীমিত আকারে পরিচালিত হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেন যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বুধ ও বৃহস্পতিবার (৭ ও ৮ আগস্ট) বন্ধ থাকবে। তবে সীমিত পরিসরে সুপ্রিম কোর্টের দাপ্তরিক কাজ পরিচালিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন এ তথ্য জানান।

বিষয়:

কাল থেকে সীমিত পর্যায়ে চলবে হাইকোর্টের বিচার কাজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পর্যায়ে চলবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম। সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার প্রশাসন ও বিচার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আরাফাত উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পর্যায়ে সরাসরি/ভার্চুয়ালি (সুবিধাজনক উপায়ে) চলবে। এতে আরও বলা হয়, এ সময়ে দপ্তর ও শাখা সমূহের কার্যক্রম সীমিত আকারে পরিচালিত হবে।

এরআগে গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেন যে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার (৭ ও ৮ আগস্ট) বন্ধ থাকবে। তবে সীমিত পরিসরে সুপ্রিম কোর্টের দাপ্তরিক কাজ পরিচালিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন এ তথ্য জানান।

বিষয়:

কাল ও পরশু বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্ট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৬ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল বুধবার ও তার পরের দিন বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

গত ৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগসহ দেশের সকল অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে প্রধান বিচারপতি জরুরী বিষয়ে প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এরপর সোমবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা এক বার্তায় জানান, মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে দেশের অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। আর বুধবার হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে।

কিন্তু আজ জানানো হল যে, বুধ ও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তবে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকবে।

বিষয়:

banner close