শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ড

অপ্রতিরোধ্য শিমুল ভূঁইয়া এক অদৃশ্য গডফাদার

আপডেটেড
২৪ মে, ২০২৪ ০০:০৫
আওয়াল শেখ, খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত
আওয়াল শেখ, খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৪ ০০:০৫

খুলনা অঞ্চলের মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম শিমুল ভূঁইয়া। তবে গত ১০ বছরেরও বেশি কেউ কোনো দিন তার দেখা পায়নি। তবুও ওই অঞ্চলের বিভিন্ন টেন্ডার ও হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে বারবার। এবার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে (আনার) খুনেও তার নাম জড়িয়েছে।

পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে কাজ করেছেন। তবে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে আমানুল্লাহ নামে পরিচপত্র পাওয়া গেছে।

গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাকে ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে ওই দলের সদস্যরা তার গ্রামের বাড়ি খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে অভিযান চালিয়ে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মুক্তা ও বড় ভাই লাকী ভূঁইয়া ও ছেলে তানভিরকে গ্রেপ্তার করে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে খুলনা অঞ্চলের চরমপন্থিদের একটি তালিকা তৈরি করেছিল পুলিশের বিশেষ শাখা। তাতে শিমুল ভূঁইয়া ও তার ছোট ভাই শিপলু ভূঁইয়াকে ‘পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি’র আঞ্চলিক নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

ভূঁইয়া পরিবারের সখ্য ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে

এই চরমপন্থিদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে। শিপলু ভূঁইয়া ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ফুলতলা উপজেলায় অনুষ্ঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী (বর্তমান ভূমিমন্ত্রী) নারায়ণ চন্দ্র চন্দের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে যুবলীগে যোগদান করেন। তাকে দলে ভেড়াতে সহযোগিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন।

শিপলু ২০১৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দামোদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন এবং বিজয়ী হন। তাকে জেতানোর ক্ষেত্রে শেখ আকরাম হোসেন বড় ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ আছে। ২০২১ সালেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে তিনি বিজয় লাভ করেন।

এ ছাড়াও শিমুল ভূঁইয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মুক্তা খুলনা জেলা পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য। সর্বশেষ নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কেয়া খাতুন প্রার্থী হলেও শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে রিটার্নিং অফিসার একক প্রার্থী হিসেবে মুক্তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে মনোনীত করে বিজয়ী করেছেন।

স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিমুল ভূঁইয়াকে কখনো দেখা না গেলেও পরিবারের সঙ্গে তার সবসময় নিবিড় যোগাযোগ ছিল।

বারবার হত্যাকাণ্ডে শিমুল ভূঁইয়ার নাম

ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন ভূঁইয়ার চতুর্থ ছেলে শিমুল ভূঁইয়া। যিনি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মনাম ধারণ করেন। পুলিশের তালিকায় ইতোপূর্বে তাকে ফজল ভূঁইয়া, শিহাব ও ফজল মোহাম্মদ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এবার গ্রেপ্তারের পর তার নতুন নাম পাওয়া গেছে সৈয়দ আমানুল্লাহ।

সর্বশেষ ২০২২ সালের মে মাসে আদালতে ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু এবং তার দেহরক্ষী নওশের গাজী হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তাতে শিমুল ভূঁইয়াকে আসামি করা হয়। ২০১৭ সালের ২৫ মে রাতে ফুলতলা উপজেলার নতুন হাট এলাকায় নিজ বাড়ির বিপরীতে নিজস্ব অফিসে মিঠু ও নওশেরকে হত্যা করা হয়।

১৯৯০ সালের দিকে খুলনার ডুমুরিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ইমরানকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন শিমুল ভূঁইয়া। পরে গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন।

তবে ১৯৯৮ সালে দামোদর ইউনিয়নের সরদার আবুল কাশেমকে হত্যায় তার নাম জড়ায়। পরে ২০০০ সালে যশোরের অভয়নগর এলাকায় একটি হত্যা মামলায় জড়িয়ে তিনি আবারও গ্রেপ্তার হন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওই মামলায় জেল খাটেন শিমুল ভূঁইয়া। জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকে তাকে কখনো কেউ দেখেনি। তবে বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ডে তার নাম জড়িয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থেকেও সে হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিত, ২০১০ সালে ফুলতলা উপজেলার দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল খুনের ঘটনায়ও তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। বাদল হত্যা মামলাটির বিচার চলাকালে শিমুলের সেজো ভাই মুকুল ভূঁইয়া ওরফে হাতকাটা মুকুল পুলিশের কাছে ক্রসফায়ারে নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশের তালিকায় তার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

যেভাবে উত্থান হয় শিমুল ভূঁইয়ার

শিমুল ভূঁইয়া ১৯৮৫ সালে দামোদর এমএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর খুলনার দৌলতপুরের দিবা-নৈশ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।

স্থানীয়রা জানান, রাজশাহীতে থাকাকালীন শিমুলের যাতায়াত ছিল ঝিনাইদহে। সেখানে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-জনযুদ্ধ) শীর্ষ নেতা আব্দুর রশিদ মালিথা ওরফে দাদা তপনের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে।

একাধিকবার জেলখাটার কারণে লেখাপড়া বন্ধ করে চরমপন্থি দলে যোগ দেন শিমুল। দায়িত্ব পান খুলনা অঞ্চলের। এরপর তিনি ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা হয়ে ওঠেন আরও বেপরোয়া।

২০১০ সালের আগ পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে চরমপন্থিরা। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রমতে, সেই সময় শিমুল ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। খুলনার শীর্ষ চরমপন্থি নেতা আব্দুর রশিদ তাপু, ডুমুরিয়ার মৃণাল, শৈলেন, দেবু সবাই ছিলেন শিমুলের অধীনে। শিমুল প্রকাশ্যে না এলেও তার নামেই চলত সবকিছু।

যেভাবে শিমুল থেকে আমানুল্লাহ হয়ে ওঠেন

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর শিমুল ভূঁইয়ার কাছ থেকে সৈয়দ আমানুল্লাহ নামের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে ওই পাসপোর্টটি করা হয়েছিল। তবে কীভাবে তিনি এই জালিয়াতি করলেন তার স্পষ্ট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সময়ে যেহেতু তার ছোট ভাই শিপলু ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি ভিন্ন নামের জন্মনিবন্ধন তৈরি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট করতে সহায়তা করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

কলকাতার নিউ টাউনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যকে খুন করে ১৫ মে দেশে ফেরেন আমানুল্লাহ পরিচয় দেওয়া এই শিমুল ভূঁইয়া। পরে গুলশান থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন এমপি আনোয়ারুলকে তারা খুন করেছেন। এই খুনের জন্য আনোয়ারুলের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিনের সঙ্গে তার চুক্তি হয়। আনোয়ারুলের সঙ্গে আক্তারুজ্জামানের সোনা চোরাচালান ও হুন্ডির ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথ্য পেয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আনোয়ারুল আজিমকে খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে পরিচয় দানকারী এই শিমুল ভূঁইয়া।


সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ নারীকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করা সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ এড়াতে পারছে না মৃত্যুদণ্ড। চাঁদপুরে পারভীন আক্তার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর দণ্ড বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অপর দুই আসামিকে ফাঁসির দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২০১৮ সালের ৬ মার্চ রসু খাঁসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) আবদুল মান্নান । বাকি আসামিরা হলেন, জহিরুল ইসলাম ও মো. ইউনুছ।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে (ডেথ রেফারেন্স) পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন। গত ৪ জুলাই এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ ৯ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মুন খাঁ ওরফে আবু খাঁর ছেলে, জহিরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সৈয়াল বাড়ির মো. মোস্তাফা এবং ইউনুস একই গ্রামের মৃত মিসির আলীর ছেলে।

মৃত পারভীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের পালতালুক গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। তার বাবার নাম মৃত কাজল খান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে রসু খাঁ ও অপর আসামিরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য হাঁসা গ্রামের নির্জন মাঠে পারভীন নামে এক নারীকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পারভীনের স্পর্শকাতর অঙ্গে ও দুই পায়ের উরুতে সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ২০টি ক্ষতচিহ্ন ছিল।

পারভীন অজ্ঞাতপরিচয় হওয়ায় তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মীর কাশেম আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, সদর উপজেলার মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ ভালোবাসায় পরাস্ত হয়ে একসময় সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয়। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর বাজার উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এক এক করে তার লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। নিজের মুখে স্বীকার করে ১১ নারী হত্যার কথা। পরে তাকে এবং সহযোগী দুজনকে পারভীন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়। আটকের আড়াই মাস আগে পারভীনকে হত্যা করা হয়।

মামলার বিবরণে আরও বলা হয়, রসু খাঁর টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। রসু যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল গার্মেন্টস কর্মী।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশফিকুর রহমান ঘটনা তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম তালুকদার ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জেলা জজ আদালতে মামলাটির রায়ের পর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মামলাটি দীর্ঘ ৯ বছর চলমান থাকা অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন এবং আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (৯) এর ৩ ধারা এবং দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় এ রায় দেওয়া হয়। রসু খাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়াও আদালতে আরও সাতটি মামলা রয়েছে।


মুক্ত খালেদাকে কীভাবে মুক্ত করব, প্রশ্ন আইনমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একজন মুক্ত মানুষ বলে দাবি করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় তিনি বলেন, ‘এই মুক্ত মানুষকে কীভাবে মুক্ত করব’। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

গতকাল সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদিন রাত ৪টা ১২ মিনিটের দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আবার আন্দোলনে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না, সেটা হচ্ছে, খালেদা জিয়া মুক্ত। এই মুক্ত মানুষকে কীভাবে মুক্তি দেব? আমি বুঝি উঠতে পারছি না, এখানেই আমার বক্তব্য শেষ।’

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ও নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশগুলি সফল করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়।

বিষয়:

পিতৃত্বকালীন ছুটি কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সম্প্রতি ছয় মাসের এক শিশু ও তার মায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।

গত ৩ জুলাই শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। এতে দেশের সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে কেবিনেট সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মোট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়। রিটে বলা হয়, ‘নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেয়ার সুযোগ সীমিত।’

এছাড়াও সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার দেশে অনেক বেশি। এই অপারেশনের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এই সময় নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায়, যারা নতুন বাবা হন তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালা সংবিধানের ৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ এবং ৩২ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক।

বিষয়:

অর্থ আত্মসাৎ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আনা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আজ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হবে। আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৭ জনের পক্ষে আবেদনটি করা হয়েছে।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার অভিযোগ গঠন করে ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন। বিচার শুরুর জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে ।

এ মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১৩ জন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

এ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক- কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভায় হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় এক দিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এ রকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামানের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে মোট ৩ কোটি টাকা, সিবিএ নেতা মাইনুল ইসলামের হিসাবে ৩ কোটি ও সিবিএ নেতা ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।


পিতৃত্বকালীন ছুটির নির্দেশনা চেয়ে শিশু ও তার মায়ের হাইকোর্টে রিট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সব প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী। বুধবার ৬ মাসের শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে রিটে।

প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে বলে রিটে বলা হয়েছে।

রিটে কেবিনেট সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মোট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত।

এ ছাড়াও সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার আমাদের দেশে অনেক বেশি। এই অপারেশনের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এ সময় নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালা সংবিধানের ৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ এবং ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পিতৃত্বকালীন ছুটি হিসেবে সাত দিন ছুটি দিয়ে থাকে। তবে গত বছরের ২১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন পিতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করে আলোচনায় আসে। দেশের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে অনুমোদন হয়েছে। গত অক্টোবর থেকেই সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য এ ছুটি দিচ্ছে প্রাগ্রসর ভাবনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী চাকুরেরা ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন। বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানিতেও এ সুযোগ পাচ্ছেন নারীরা। তবে সন্তানের দেখাশোনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে আলোচনা থাকলেও তা সরকারি অনুমোদন পায়নি।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ্ আজম সে সময়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেলাম, দেখলাম এখানকার সবাই তরুণ। আমি দেখেছি- তারা যখন বাবা হন, তাদের মধ্যে যে উদ্বেগ থাকে, সে সময়টায় মায়েদের ওপরই বেশি চাপ পড়ে। আর যারা দায়িত্ব পালন করতে চান, তারা অফিসের কারণে সঠিকভাবে সন্তান বা স্ত্রীকে সময় দিতে পারেন না। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া এবং তার প্রাথমিক পরিচর্যা করাটা একা মায়ের দায়িত্ব নয়। এটি একটি যৌথ দায়িত্ব। এই সুযোগটি করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এই সময়ে সন্তানের যত্ন নেওয়া একজন বাবার দায়িত্ব এবং তিনি যেন তার স্ত্রী ও সন্তানের পাশে থাকেন।’

উদ্বিগ্ন কর্মী কখনই দক্ষ কর্মী হতে পারে না মন্তব্য করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তখন গণমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘সন্তানসম্ভাবা স্ত্রী বা সদ্যজাত সন্তানকে রেখে কোনো কর্মীই উদ্বেগবিহীন সময় কাটাতে পারে না। এ অবস্থায় তার অর্ধেক দক্ষতা ব্যবহার করার চেয়ে তাকে যদি পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যায়, তাহলে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানের খেয়াল রাখতে পারবেন এবং তার মানসিক শক্তিও আসবে। এতে তিনি ফিরে এসে পুরোদমে কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন। এতে প্রতিষ্ঠানেরও পারফরম্যান্স বাড়বে।’

এরপর বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি চালুর দাবি জানিয়ে এর মেয়াদ কমপক্ষে এক মাস চালুর দাবিও করেন অনেকে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসরণে ৭ দিনের বদলে ১৫ দিন পিতৃত্বকালীন ছুটির পক্ষেও মত দেন অনেক চাকুরে। অনেকে আবার নবজাতকের যত্নের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মাতৃত্বকালীনের সমান ৬ মাসই পিতৃত্বকালীন ছুটি হওয়া উচিত বলেও মত প্রকাশ করেন।

তবে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।


অপহরণের দায়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার অপহরণ মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মনির কাজীকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার র‌্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম জে সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে সোমবার দুপুরে শেরেবাংলা নগরের সংগীত কলেজের সামনে থেকে ২০২১ সালের আগৈলঝাড়া থানার অপহরণ মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মনির কাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মনির কাজী ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।


৭ জুলাই থেকে আইনজীবীদের কালো গাউন পরার নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২৬ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। এ নির্দেশনা আগামী ৭ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।


ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে টোল না নেওয়ার নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

এক্সপ্রেসওয়ে, হাইওয়ে, ব্রিজ, ফেরি, রোডে চলাচলের সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে টোল আদায় না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (১ জুলাই) এসংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

টোল নেওয়া কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। গত ৭ মে তিনি রিট করেন।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, বঙ্গবন্ধু সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নারায়ণগঞ্জের মুরাদপুর সেতু, আরিচা ও পাটুরিয়ার ফেরি পারাপারের আগে নির্দিষ্ট বুথে টাকা পরিশোধ করা কিংবা টিকিট কাটা লাগে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে। দুর্ঘটনার পরিস্থিতি যেমনই হোক এতে ছাড় দেওয়া হয় না।


দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধান বিচারপতি

মঙ্গলবার নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে নবনির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘দ্রুততার সঙ্গে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে এ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি আমরা।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্যে নবনির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘একজন বিচারপ্রার্থী যখন আদালতে আসেন তখন সবার প্রথমে একজন আইনজীবীর সাহায্য খোঁজেন। বিচারপ্রার্থীগণ আইনের জটিলতা বোঝেন না, সেটা বোঝা তাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। তারপরও তারা পরম নির্ভরতায় আইনজীবীর উপর সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুভার অর্পণ করেন। আইনপেশার শত বছরের সুনাম ও ঐতিহ্যই তাদের এ নির্ভরতার কারণ। এ নির্ভরতার সম্পর্ক আপনাদের জন্যে একটি আমানত। এ আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব প্রত্যেক আইনজীবীর। আমি বিশ্বাস করি, পেশাগত দায়িত্ব সুচারুরূপে সম্পাদনের মাধ্যমে আইনজীবীগণ এ আমানত সর্বদাই রক্ষা করে চলবেন।’

তিনি বলেন, আইন পেশা যে কোনও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যার উপর গড়ে ওঠে আধুনিক সমাজের সুবিন্যস্ত কাঠামো। আর এ সমাজের সদস্যদের জন্য সমতা ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশাস্থল হিসেবে নিয়োজিত থাকেন আইনজীবীগণ। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন আইনজীবীর সততা কেবল তার মক্কেলের প্রতি নয়, তার সততা ন্যায়বিচারের প্রতি। তাই ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণকর সমাজ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনজীবীগনকে আরও নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বার ও বেঞ্চের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ খুবই জরুরি। বার ছাড়া আদালত চলে না, আবার আদালত ছাড়া বারেরও মূল্য নেই। বার যদি আদালতকে শ্রদ্ধা না করে বা আদালত যদি বারকে মূল্যায়ন না করে তাহলে দুই পক্ষই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, জনগণকে সাংবিধানিকভাবে দেশের মালিকানা প্রদান করা হয়েছে। আইনজীবী এবং বিচারকগণ তাদের উপলব্ধির জায়গা থেকে বাস্তব জীবনে সাংবিধানিক এ ধারাকে সমুন্নত রাখবেন বলে আশা করি।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু আহসান টগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু। গণপূর্ত বিভাগ ৪৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে। ৭২ ব্যক্তির আসন বিশিষ্ট এ বিশ্রামাগারে নারী ও পুরুষের পৃথক টয়লেট ছাড়াও ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার রয়েছে।


দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ জুন, ২০২৪ ১৭:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা কোনো ব্যক্তির বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নির্দেশনা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ১১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন আইজিপি।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এরপর দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নির্বিঘ্নে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ যা করে আইন মেনেই করে। তবে পুলিশ চাইলে যে কাউকে যেকোনো সময় স্টপ করতে পারে না। এজন্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় যেতে হয়।’

ঢাকা রেঞ্জের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম বুলেট নিক্ষেপকারী ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ দেশ সেবায় নিষ্ঠার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করছি।’

বিষয়:

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

সিনিয়র সহকারী জজের ১৫২তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রেবাবার সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে রাখা হয়েছে, সে আইনে খালেদার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ নেই এবং খালেদার বিদেশে চিকিৎসার জন্য নতুন কোনো প্রস্তাব বা আবেদন আসেনি।

আজ রোববার (২৩ জুন) জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজের ১৫২তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার ইচ্ছে মতো চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিদেশে ডাক্তার এনেও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ আইনি ব্যবস্থায় তাকে বিদেশে যেতে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

বেনজীর ইস্যুতে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়ে সময়ে সম্পদের হিসাব দিয়ে থাকে। নতুন আইনের প্রয়োজন নেই। এখন আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু সৎ মানুষের ব্যাপারেও এখন লেখালেখি হচ্ছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রচার করুন। দুর্নীতি নিয়ে স্পেসিফিক তথ্য থাকলে সংবাদ করেন। কিন্তু মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিয়ে কিছু করবেন না।’

বিষয়:

বিনষ্ট করা হবে হাইকোর্টের দুই লক্ষাধিক পুরাতন মামলার নথি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দুই লক্ষাধিক পুরাতন মামলার নথি বিনষ্ট করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এবং নোটিশ বোর্ডের তালিকায় উল্লিখিত মামলার নথির বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট শাখায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ হতে ১৪ দিনের মধ্যে যোগাযোগের জন্য নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার (দেওয়ানী-২) সাঈদ-উল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি রেকর্ড শাখায় সংরক্ষিত তিন বছরের অধিক পুরাতন এবং উইডিংকৃত ফৌজদারি ১ লাখ ৫৪ হাজার ১০০টি মামলার পার্ট-২ নথি, কোর্ট কিপিং শাখার তত্ত্বাবধানে অ্যানেক্স ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের স্টোররুমে সংরক্ষিত হাইকোর্ট বিভাগের পুরাতন কজলিস্ট, রিট রেকর্ড শাখায় সংরক্ষিত তিন বছরের অধিক পুরাতন নিষ্পত্তিকৃত ও উইডিংকৃত রিট পিটিশন মামলার ১৩ হাজার পার্ট-২ নথি, সিভিল রেকর্ড (মূল ভবন) শাখায় সংরক্ষিত তিন বছরের অধিক পুরাতন নিষ্পত্তিকৃত ও উইডিংকৃত রিট পিটিশন মামলার (১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সালের আংশিক) ২০ হাজার ৫৭০টি পার্ট-২ নথি এবং এসসিএ শাখার সংরক্ষিত পাঁচ বছরের অধিক পুরাতন নিষ্পত্তিকৃত (২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের আংশিক) মোট ২০ হাজার ফাইল বিনষ্ট করা হবে।

বিষয়:

এমপি আনার হত্যা: আ. লীগ নেতা বাবুর দায় স্বীকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে ‘গ্যাস বাবু’ দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার সাত দিনের রিমান্ড চলাকালীন বাবুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বাবু ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

পরে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ৬ জুন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে বাবুকে আটক করে ঢাকার ডিবির একটি দল। পরে ৯ জুন বাবুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডি থেকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিন তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়:

banner close