রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৪ ফাল্গুন ১৪৩১

এমপি আনার হত্যা: গ্রেপ্তার তিনজনের ১০ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৪ ১৩:২৩

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চাইবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ শুক্রবার দুপুরের পর তাদের ঢাকার আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।

ডিবি ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমান বলেন, ‘এমপি আনার হত্যায় জড়িত গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের কলকাতায় গিয়ে তার পূর্বপরিচিত বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। ১৩ মে দুপুর ২টার দিকে তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপালের বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর আজীম আর বাসায় না ফেরায় ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস।

গত বুধবার ২২ মে জানা যায়, কলকাতার নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। তবে সেখানে তার মরদেহ মেলেনি।

বিষয়:

জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য ২০ এপ্রিল ধার্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পাশাপাশি, প্রসিকিউশনের দাখিল করা অপর একটি আবেদন মঞ্জুর করে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় গণহত্যার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে, গত ৬ জানুয়ারি জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি)

বেনজীর আহমেদসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের গ্রেফতার করে ১২ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়।


হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তৃণমূল বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের মবিন চৌধুরীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অংশ নেন পারবেজ মিয়া। বিকালে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে যান।

কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৯ অক্টোবর মামলা করেন নিহতের মা কানীছ ফাতেমা।


‘নগদ’র সাবেক এমডি তানভীরসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‘নগদ’র সাবেক এমডি তানভীর। ছবি : সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অর্থ জালিয়াতির অভিযোগে ‘নগদ’র সাবেক এমডি তানভীরসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত রোববার মতিঝিল থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে মামলাটি করেন পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (জেডি) সরকার মুহাম্মদ আমির খসরু।

জানা গেছে, ‘নগদে’ বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গঠিত নগদ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কমিটি। ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক জালিয়াতি ও অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ (ই-মানি) তৈরি করা হয়েছে।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ব্যাংকিং নগদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। অর্থ জালিয়াতির অভিযোগে ‘নগদ’র সাবেক এমডি তানভীরসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।


বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি-এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের দুসাই রিসোর্টে ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্টস অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক রিজিওনাল সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচারিক সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যেসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তার অংশ হিসেবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মৌলভীবাজারের দুসাই রিসোর্টে ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্টস অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আদালতগুলো বাণিজ্যিক বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে। ফলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সময়োপযোগী ও কার্যকর আইনগত প্রতিকার লাভ করতে সক্ষম হবেন, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং অধিক পরিমাণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগ বিচার ব্যবস্থাকে পরিবর্তনশীল অর্থনীতির চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং বাংলাদেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে উপযোগী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রধান বিচারপতি রেফাত আহমেদ তার বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষাক্রমে সাংবিধানিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত বিপ্লব সাংবিধানিকতা ও আইনের শাসনের প্রতি এ দেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও সচেতনতার বিষয়টি আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে নতুন একটি প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা বর্তমানে চলমান রয়েছে, এর অংশ হিসেবে শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়েই তরুণদের কীভাবে সাংবিধানিকতার মৌলিক দিকগুলোর সঙ্গে পরিচিত করানো যায়, তার প্রয়োজনীয়তা স্বীকৃত হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কে তরুণদের জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া হলে সেই অর্জিত শিক্ষা একটি ন্যায়সংগত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে এ দেশের তরুণদের অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ছাড়া সেমিনারে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি সংবিধানের বিদ্যমান বিধানের কার্যকর প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ চালুর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে কাগজমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে দেশের জেলা আদালতগুলোয় এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি। সভাপতিত্ব করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। সেমিনারে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন।


রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রমের রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ শুনানির জন্য আজ এই দিন ধার্য করেন। আদালতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। আর রিভিউ আবেদনে পক্ষভুক্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সাংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সেই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই রায়ে হাইকোর্টের দেয়া আট দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো:-

১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।

২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।

৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরবর্তীতে এই রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা পক্ষভুক্ত হয়।


দুই স্ত্রীর বিরোধে স্বামীর লাশ ১০ বছর হিমঘরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দাফন, নাকি হিন্দুধর্ম মতে সৎকার- এ নিয়ে শুরু হওয়া নজিরবিহীন বিরোধের বিষয়টি ঢাকার আদালত হয়ে এখন বিচারাধীন হাইকোর্টে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে দুই ধর্মের দুই স্ত্রীর টানাটানিতে ১০ বছর ধরে মরদেহটি রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের হিমঘরে। বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন-আদালতের রায় বাতিল প্রশ্নে মঙ্গলবার রুলসহ বিষয়বস্তুর ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মর্গের হিমঘরে থাকা লাশটি যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায়ই থাকবে বলে জানিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুল হক। আদালতে স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ মিজানুল হক।

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সাবেক শিক্ষিকা হাবিবা আকতার খানমের দাবি খোকা চৌধুরী ওরফে রাজীব চৌধুরী ওরফে খোকন চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দী ওরফে রনজিত নন্দী তার স্বামী ১৯৮০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হিসেবেই ২০১৪ সালে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তবে প্রথম স্ত্রী মীরা নন্দীর দাবি, তার স্বামী কখনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দাফন নাকি হিন্দুধর্ম মতে সৎকার এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তৎকালীন রমনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এক পর্যায়ে বিষয়টি ঢাকার আদালত পর্যন্ত গড়ায়। দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা খানম মামলা করলে ঢাকার সহকারী জজ আদালত ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর লাশ বারডেম ব্যবস্থাপনায় ও তদারকিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণের আদেশ দেন। আইনি লড়াইয়ের এক পর্যায়ে বিষয়টি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন।

আইনজীবী বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রী হাবিবা খানমের ভাষ্য হচ্ছে, ১৯৮০ সালে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে এফিডেভিট করে রাজিব মুসলমান হয়ে খোকন চৌধুরী ওরফে খোকা চৌধুরী ওরফে রাজিব চৌধুরী নাম রাখেন। ১৯৮৪ সালের ১৫ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। ধর্মান্তরিত হলেও ব্যবসার প্রয়োজনে তার স্বামী আগের নাম (খোকন নন্দী) ব্যবহার করতেন। অন্যদিকে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টিকেই জাল দাবি করেছেন প্রথম স্ত্রী মীরা নন্দী।


অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন মামুন

অস্ত্র মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

অস্ত্র মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার শাহ মো. সাব্বির হামজা।

সাব্বির হামজা মামুনের খালাসের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে। মামুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা দায়ের করা হয়।

মামুনকে গ্রেপ্তারের পর ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। একই বছরের ৩ জুলাই বিচারিক আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা করেন মামুন। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আজ এই রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ৬ আগস্ট জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন তিনি।


সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

নথি জব্দের আদেশ নসরুল হামিদ বিপুসহ তার স্ত্রীরও
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ওকে শাখাওয়াত

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক বিদুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও তার স্ত্রী সীমা হামিদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন পৃথক আরেকটি আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসাইন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

নওফেলের আবেদনে বলা হয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ওরফে নওফেল অসৎ উদ্দেশ্য অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তা ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধ, দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর বা স্থানান্তর করে দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে নসরুল হামিদ দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্য ক্ষমতা অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করতে সহায়তা করেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে সীমা হামিদের আবেদনে বলা হয়েছে, তার নামে অর্জিত মোট সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অসৎ উদ্দেশ্য অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে এবং নিজের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা ও ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশনের দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


এস আলম পরিবারের ৩৫৬৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এস আলম গ্রুপের সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ২৪টি কোম্পানির সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৩২ কোটিরও বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে এসব শেয়ার অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানির পর তা মঞ্জুর করেন। যে ২৪টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে এস আলম ট্যাংক টার্মিনাল লিমিটেড, এস আলম রিফাইন সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম সুপার এডিবল লিমিটেড, এস আলম সিমেন্ট লিমিটেড, এস আলম স্টিলস লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টস লিমিটেড, শাহ আমানত প্রাকৃতিক গ্যাস লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, এস আলম ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং মিলস লিমিটেড, হাসান আবাসন লিমিটেড, এস আলম ব্রাদার্স লিমিটেড, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেড, সোনালী কার্গো লজিস্টিকস লিমিটেড, কর্ণফুলী প্রাকৃতিক গ্যাস লিমিটেড, ওশান রিসোর্স লিমিটেড, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড, মেরিন ইম্পায়ার লিমিটেড, এস আলম প্রপার্টিজ লিমিটেড, মডার্ন প্রপার্টিজ লিমিটেড, এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিসেস লিমিটেড, ফাতেহাবাদ ফার্ম লিমিটেড, এস আলম কোল্ড স্টিলস লিমিটেড ও এস আলম সয়াসিড এক্সট্রাকশন প্ল্যান্ট লিমিটেড।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ২৪টি কোম্পানিতে তাদের ৩২ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার রয়েছে। এসব শেয়ারের মূল্য ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার ৩০০ টাকা।

এস আলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান তদন্তাধীন রয়েছে। এস আলম পরিবারের সদস্যরা এসব শেয়ার হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। কাজেই তাদের এসব শেয়ার অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। অন্যথায় রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এর আগে ১৪ জানুয়ারি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ২০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ও তাদের ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারও আগে ১৯ ডিসেম্বর মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। ৭ অক্টোবর মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।


ডেসটিনির রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।

আসামিদের মধ্যে রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

জামিনে থাকা অবরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদও আদালতে হাজির হন। অপর ১৫ আসামি পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

রায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত আসামিদের চার হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আসামিদের এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড পরিশোধ না করলে জেলা প্রশাসনকে অর্থদণ্ড আদায় করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আইনে থাকা সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন আদালত। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

গত বছর ১১ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।


নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বেনজির হোসেন নিশি দুইদিনের রিমান্ডে

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী নিশিকে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় বেনজির হোসেন নিশির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নিশি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির রমনা জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. ইরফান খান তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইশতিয়াক তার জামিন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহিরুল হক হলের শিক্ষার্থী আরমান হোসাইন। মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ ২২০ জনকে আসামি করা হয়।


শেখ হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র জয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট নুপুর আখতারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে মোহাম্মদপুর থানাকে মামলার অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, মোহাম্মদ এ আরাফাত ও জুনায়েদ আহমেদ পলক।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী নুপুর আখতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকাল তিনটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করলে তার বাম হাতে একটি গুলি এবং মাথায় আরেকটি গুলি লাগে। এতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হুমকিতে চিকিৎসা না করে ফেরত যেতে হয়। অতঃপর তিনি বাধ্য হয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করতে থাকেন। পরবর্তীতে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাথার এক্সরে করেন। পরে চিকিৎসক রিপোর্ট দেখে তাকে অপারেশন করতে বলেন। গত ১৭ ডিসেম্বর অপারেশন করে গুলির অংশ বের করা হয়।


শামীম ওসমানসহ ৫৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

শামীম ওসমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।

একই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ২০০ থেকে ৩০০ জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে রাখা হয়েছে।

এরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, মো. আবুল হোসেন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি মামলার জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাত ৮টার সময় চিটাগাংরোডের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে আন্দোলন করছিল। তখন ওই আন্দোলনস্থলে বাদী আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলেও উপস্থিতি ছিলেন। সেসময় আন্দোলন দমাতে উক্ত মামলার আসামিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে বাদীর ছেলে পিঠের বামপাশ ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হন।


banner close