সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কারকাজ শেষ পর্যায়ে

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ২ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:০১

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কারকাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

সংস্কারকাজ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন যে নান্দনিক রূপে দেখা যাবে তার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক সাদা ভবনটির (পুরাতন হাইকোর্ট ভবন) নানামুখী সংস্কারকাজে ব্যস্ত রয়েছেন বিভিন্ন মিস্ত্রি ও তাদের কর্মীরা।

এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল-সংলগ্ন বাগান নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এই সংস্কারকাজের সার্বিক তদারকি করা হচ্ছে। যেখানে কয়েকশ কর্মী এখন নিয়মিত কাজ করছেন।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মানের বিচার কার্যক্রম চলবে এমন ট্রাইব্যুনাল ভবনকে উপযোগী করে প্রস্তুত করা হচ্ছে। ভবনটি সংস্কারের পূর্বে অনেকটাই জরাজীর্ণ ছিল।

এরই মধ্যে দুইবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

ট্রইব্যুনালের পুরাতন মূল ভবনের সংস্কারকাজ চলমান থাকায় আপাতত ভবন-সংলগ্ন অস্থায়ী ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে বিচারিক কার্যক্রম।

গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্টের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। আর ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্টের বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে চিফ প্রসিকিউটরসহ প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থা নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। জাজ্বল্যমান এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামী ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর এ আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ ছাড়া ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য রয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।


ট্রাইব্যুনালে ২২৭৬ নেতা-কর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ বিএনপির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৮ সাল থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পৃথক আবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন দলটির মামলা ও তথ্যবিষয়ক কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন খান পিপিএম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ। প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের জানান, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অফিসে বিএনপি ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ নেতা-কর্মীকে গুমের অভিযোগ দাখিল করেছে।’ অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু অতি উৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অপহরণ পূর্বক গুম করে হত্যা করে। এখন পর্যন্ত অনেককেই গুম করে রাখা হয়েছে। বিএনপির তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ১৫৩ জনকে গুম করে হত্যা ও অপহরণপূর্বক গুম করে রাখা হয়েছে। এ গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত করে মামলা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

ক্রসফায়ারের অভিযোগে বলা হয়েছে, অবৈধ ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারপ্রধানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু সদস্য দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতন করে বিএনপিকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার জন্য এবং দল থেকে লোকজন বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ক্রসফায়ারের নামে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায়। ক্রসফায়ারের নামে এ হত্যাকাণ্ডে মোট ২ হাজার ২৭৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা, ধ্বংস করা ও ক্রসফায়ারে নামে হত্যা করে বিএনপির মতো একটি বড় দল থেকে লোকজনদের শূন্য করা এবং বিএনপির পরিবারদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা, ক্রসফায়ার নামে হত্যা করে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা, তাদের দলীয় কার্য থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা ও মেধাশূন্য করা। আওয়ামী লীগের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই জঘন্য কর্মকাণ্ডে ও মিথ্যা বানোয়াট পরিকল্পনা সৃষ্টি করে ক্রসফায়ারের নামে ২২৭৬ জনদের হত্যার ন্যায়বিচার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগ দায়েরের পর সালাউদ্দিন খান বলেন, ক্রসফায়ার ও গুমের শিকার সবাই আমাদের দলের নেতা-কর্মী। যেমন গুমের শিকার হয়েছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, আমাদের নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ ১৫৩ জন।


তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল

রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ‘লিভ টু আপিল’ খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে তারেক রহমানের চার মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ই বহাল রইল বলে জানান তার আইনজীবীরা।

আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক। এছাড়া ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম সুমন। অন্যদিকে তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর পৃথক দুটি থানায় দায়ের করা চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (চূড়ান্ত) ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর রায় দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। সে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক ‘লিভ টু আপিল’ (আপিল দায়েরে আবেদন) করে। তারেক রহমানের আইনজীবীরা জানান, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে, হয়রানি করতে এসব মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।


চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। শুনানি শেষে চিন্ময় দাশের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিন্ময় দাসের জামিন না মঞ্জুর হলে ওইদিনই চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু ওইদিন চিন্ময়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে রবীন্দ্র ঘোষ নামে এক আইনজীবী এসে চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন না করায় আদালত নাকচ করে দিয়ে পূর্ব নির্ধারিত তারিখে জামিন শুনানির দিন রাখেন।

গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। দুপুর পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়।


আনিসুল হকের ১৪৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার ঢাকায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বাদী হয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, আনিসুল হকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৬৬৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সরকার পতনের পর গত ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর তাকে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে জয়ী হন আনিসুল হক। ২০১৪ সাল থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন।

এছাড়া বিবাদী ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। আসামি মানি লন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে তার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।


তিন মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের জামিন নামঞ্জুর

সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন) ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর থানার দুই হত্যাচেষ্টা ও খিলগাঁও থানার এক হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককের (ব্যারিস্টার সুমন) জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার তিন মামলায় সুমনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষ ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।

গত ২১ অক্টোবর রাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

মিরপুর থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছিল আদহাম বিন আমিন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করলে তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর তার ভাই আকিবুন নূর হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

মিরপুর থানায় দায়েরকৃত অপর এক হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ এ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের বাবুর্চি হৃদয় মিয়া। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে তার ডান পা গুলিবিদ্ধ হয়। গ্রেফতারের পর এ মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড ভোগ করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

অন্যদিকে খিলগাঁও থানার হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩ টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলি লেগে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ৷


ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মাইকেল চাকমার অভিযোগ

৫ বছরের বেশি গুম থাকার দাবি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গুমের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা।

গুমের সময় যেই গামছা দিয়ে মাইকেল চাকমাকে বাধা হয়েছিল সেটিও অভিযোগের সঙ্গে তিনি জমা দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তিনি সোমবার এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান। নোমান জানান, গুমের সময় যে গামছা দিয়ে মাইকেল চাকমাকে বাধা হয়েছিল সেটিও আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছেন এই ইউপিডিএফ নেতা।

অভিযোগে তাকে রাখা আয়না ঘরের বর্ণনা দিয়ে মাইকেল চাকমা বলেছেন, ‘৫ বছর ৪ মাস তিনি গুম ছিলেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ির সফরের সময় অবরোধ করেন ইউপিডিএফ। এই ঘটনায় তখন অবরোধকারীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করায় গুম হওয়ার পর তাকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার আশঙ্কা এসব ঘটনায় তাকে গুম করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত গুম ছিলেন মাইকেল চাকমা।’


থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান সোমবার হাইকোর্টে রিটটি করেছেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান বলেন, রিটে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত তীব্র সাউন্ড দিয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করা, বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি-পটকা না ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাত ১০টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্তস্থানে জনসমাগম নিষিদ্ধ এবং আতশবাজি-পটকা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।


সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৩ মন্ত্রণালয়ের কমিটি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ২ টি কমিটি এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত দুটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া বাকি দুটি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকেও কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ভবনেই ছিলো শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও তালিকা প্রস্তুত করা এবং ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্ঘটনার ফলে উদ্ভূত ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ দিতে প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব বেগম মোর্শেদা আক্তারকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, সহকারী সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ মাসুম।

এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদকে আহ্বায়ক করে অপর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠিত এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন উপসচিব মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, সিস্টেম অ্যানালিস্ট সুকান্ত বসাক, সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম মেহরাব হোসেন। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন উপসচিব মো. কামাল হোসেন।

দুই কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।


রিমান্ড শেষে কারাগারে কামরুল ও সোলাইমান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রিমান্ড শেষে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোলাইমান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে আজ বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস জামান তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে সোলাইমান সেলিমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২।

যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পালটা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।


রিমান্ড শেষে নজিবুর কারাগারে

নজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পল্টন মডেল থানার বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে আদালত এ মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালায় এবং ভাঙচুর করে।

কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।


১৭ বছর পর কারামুক্ত আব্দুস সালাম পিন্টু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ ১৭ বছর মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

তার মুক্তিতে টাঙ্গাইলের বিএনপি নেতাকর্মী এবং তার নিজ এলাকা গোপালপুর-ভুয়াপুরের নেতাকর্মীরো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। পিন্টুর মুক্তির খবর পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে শত শত নেতাকর্মী গতকাল সকালেই কারা ফটকে উপস্থিত হন। সেখানে প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।

এদিকে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দিনে কাশিমপুরে যাননি টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা ঝড়।

এ ব্যাপারে দলের জেলা কমিটির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মিথ্যে মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আব্দুস সালাম পিন্টুকেও আসামি করা হয়। তা ছাড়া পিন্টু দলের একজন ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি আজ (মঙ্গলবার) জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সভায় অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, তাদের উচিৎ ছিল কাশিমপুর কারাগার চত্বরে গিয়ে সালাম পিন্টুকে শুভেচ্ছা জানানো।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল তার ফেসবুক আইডিতে সালাম পিন্টুকে শুভেচ্ছা জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, আমরা তার মুক্তির খবরে অনেক খুশি। আওয়ামী লীগ সরকার অন্যায়ভাবে তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রেখেছিল। আমাদের অন্য একটি অনুষ্ঠান থাকার কারণে কাশিমপুর কারাচত্বরে যেতে পারিনি। আগামীকাল (বুধবার) তার সাথে দেখা করবো।


‘শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে পারলে বিচারটা ভালোভাবে করা সম্ভব’

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার যদি ফেরত আনতে পারে তাহলে বিচারটা ভালোভাবে করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়ে নোট ভার্বাল দিয়েছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলেও তাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার যদি সফলভাবে তাকে আমাদের কাছে আনতে পারেন, তাহলে বিচার আরও ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। নির্দিষ্টভাবে এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও ট্রাইব্যুনাল আলাদা নয় বরং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে তা আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হলে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।

মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুক্ত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ তাকে ফেরত চেয়েছে। এটা ভারতকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।’

এরআগে গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় প্রসিকিউশনের আবেদনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।


আনিসুল-সালমানসহ আট জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের ঘটনায় রাজধানীর পৃথক থানায় নতুন চার মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ আট জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ সোমবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। মামলাগুলো হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের।

অন্য পাঁচ জন হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

এর মধ্যে গত ২০ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইলে জিসানের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, হাসানুল ইনু, রাশেদ খান মেনন ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ শামীমকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে আল-শাহরিয়ার হোসেনের (২৩) মৃত্যুর ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সাদেক খানকে এবং একই থানার একটি অপহরণ মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট থেকে আনিসুল ও সালমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। এরপর বিভিন্ন সময় পলক, ইনু, মেননসহ অন্যরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।


banner close