রোববার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজের মতো করে গিফট বক্স তৈরির সুবিধা আনলো কিউরেটো

আপডেটেড
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:৪৭

উপহার দেওয়ার আনন্দকে দ্বিগুণ করতে নতুন কনসেপ্ট নিয়ে হাজির হয়েছে অনলাইন ফ্ল্যাটফর্ম কিউরেটো। পারসোনালাইজড গিফট বক্সের মাধ্যমে কিউরেটো সাধারণ মুহূর্তগুলোকে অসাধারণ স্মৃতিতে পরিণত করবে। কিউরেটেড উপহারের শিল্পকে চমৎকারভাবে চিন্তাশীল জীবনধারার সাথে মিলিয়েছে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী ও আধুনিক গিফটিং প্ল্যাটফর্ম কিউরেটো। শুধু অনুষ্ঠানের সময়কালের বাইরেও এই উপহারের রেশ রয়ে যাবে দীর্ঘদিন।

বিভিন্ন উৎসব কিংবা বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে কিউরেটো’র পারসোনালাইজড গিফট বক্স তৈরি করে নেয়া যাবে। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, বিশেষ কোনো দিবস, বিয়ে, কর্পোরেট কোনো অনুষ্ঠানে কিউরেটোর এসব গিফট বক্স তৈরি করে নেয়া যাবে। এমনকি প্রিয়জনের বিভিন্ন পছন্দের ভিত্তিতেও তৈরি করে নেয়া যাবে এই গিফট বক্স। যেমন কেউ যদি চা পছন্দ করেন, তার জন্য বিভিন্ন ধরনের চায়ের সংগ্রহ। কফি পছন্দ করলে কফি এমনকি কেউ যদি পাস্তা পছন্দ করেন তার জন্য পাস্তা ও পাস্তার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সাজানো যাবে গিফট বক্সটি।

কিউরেটো প্ল্যাটফর্মটিতে সব সময়ের জন্য রয়েছে, পার্টির জন্য ‘হাউজ ওয়ার্মিং’ কালেকশন, ‘পিংক আওয়ার’ সেট। ভালো কফি পছন্দ করেন এমন মানুষের জন্য আছে ‘কফি কনোইজার’ ও ‘কফি লাভার’স ডিলাইট’ নামে দুটি কালেকশন। চা-প্রেমীদের জন্য আছে ‘চা অ্যান্ড টা’ ও ‘টি টাইম ব্লিস’ কালেকশন দুটি। ‘টেস্ট অফ ইতালি’ ও ‘পাস্তা নাইট’ সিলেকশন দিচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বাদ চেখে দেখার সুযোগ। ‘চকলেট ফন্ডি ফান’ কালেকশনে পাবেন বিভিন্ন ধরনের চকোলেট। যারা হাতে-কলমে কিছু করতে চান, তাদের জন্য থাকছে ‘ডিওয়াইআই পপসিকল কিট।’

এছাড়া করপোরেট ক্ষেত্রে কাস্টমাইজড উপহার দেওয়ার সুবিধাও রয়েছে কিউরেটোতে। এতে সহকর্মীদের পছন্দ জেনে আপনার অনুভূতি কিউরেটেড উপহারের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন।
যেভাবে পাবেন কিউরেটোর কাস্টমাইজড গিফট বক্স

এই গিফট বক্স তৈরি করে নিতে আপনাকে যেতে কিউরেটোর www.curato.com.bd ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে আপনার পছন্দ কিংবা দিবস অনুযায়ী কী কী দিয়ে বক্স সাজাতে চান সেগুলো সিলেক্ট করবেন। এমনকি সেখানে আগে থেকে তৈরি করা কিছু গিফট বক্সও থাকে। চাইলে সেগুলোও নিতে পারবেন।
দাম

গিফট বক্সে কী কী নিতে চান সেগুলোর দাম ওয়েবসাইট থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন। এমনকি আপনি কত টাকা থেকে কত টাকার মধ্যে বক্স তৈরি করে নিতে চান সেটিও সেখান থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন।


শীতে মেয়েদের ফ্যাশন

তরুণীরা এখন বেশি জ্যাকেট পছন্দ করে থাকেন।মডেল: নিক্কি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফিচার ডেস্ক

এসে গেছে শীত। চারদিকে শীতের আমেজ ছড়িয়ে যাচ্ছে জোর কদমে। এখনো পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা না লাগলেও গরম পোশাক পরার মতো শীতল বাতাস লেগে যাচ্ছে শরীরে। যারা স্টাইলিশ পোশাক পরতে চান, তাদের জন্য এ সময় থেকে শুরু করে পুরো শীত জুড়েই উপযোগী সময়। চমত্কার সব স্টাইলিশ পোশাক হতে পারে আপনার এ সময়ের সঙ্গী। শুধু পোশাক নয় এসময় পোশাকের সাথে মিল রেখে বদল করতে পারেন অন্যান্য সাজসজ্জাও।

শীতকালে চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার বা যত ধরনের ভারী পোশাক সবই পরা যায়। সব ধরনের পোশাক পরা গেলেও মেয়েরা শীতে মেরুন অথবা কালো রঙের পোশাক পরতে পারেন। তরুণীরা এখন বেশি জ্যাকেট পছন্দ করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে ডেনিম, ফ্লানেল, কর্ড, উল, মোটা ক্যানভাসের কাপড়, প্যারাসুটের কাপড় এবং চামড়ার তৈরি জ্যাকেট। ভারী কাপড়ের লম্বা পোশাকও আরামদায়ক শীতে। ভেলভেটের কোটি জড়িয়ে নিলে শীত এবং ফ্যাশন দুইদিকই বজায় থাকবে। অন্যদিকে পার্টি কিংবা দাওয়াতে গেলে ভেলভেটের ফুলহাতা বা হাতাকাটা হলে ওপরে আড়াআড়ি কিংবা লম্বা করে নরম বা পশমি চাদর জড়িয়ে নিতে পারেন।

ভারী কাপড়ের লম্বা পোশাকও আরামদায়ক শীতে,সাথে পরতে পারেন বুট।  মডেল: নিক্কি
ভারী কাপড়ের লম্বা পোশাকও আরামদায়ক শীতে,সাথে পরতে পারেন বুট। মডেল: নিক্কি

আঁটসাঁট জিনস থেকে শুরু করে ঢোলা জিনস, সবই চলছে মেয়েদের হাল ফ্যাশনে। ব্যাগি, স্ট্রেট কাট, বুটকাট লেগ, ফ্লেয়ার জিনস হাল ফ্যাশনে পছন্দ করছেন প্রায় সব বয়সী নারীরা। মোটা কাপড়ের থ্রি পিসের সঙ্গে পরতে পারেন জেগিংস। এর সঙ্গে গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যায় পাতলা চাদর।

শীতে অফিসে ফর্মাল ভাবে বেনী, পনিটেইল বা চুল হালকা ফুলিয়ে বাধা যেতে পারে। পার্টি হলে চুল খোলা রাখতে পারেন বা হালকা ফুলিয়ে স্টাইল করতে পারেন। বিয়ের অনুষ্ঠান হলে মানানসই খোপা করতে পারেন।

শীতকালে যথাসম্ভব পা ঢাকা জুতা পরুন। এতে করে পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং পায়ে ঠাণ্ডাও লাগবে না। মেয়েরা কেডস, পার্টি স্যু, অফিসে নর্মাল স্যু বা পোশাক বুঝে বুট বা উঁচু হিলের সু পরতে পারেন।


সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন ইপশিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখাতে মেকআপের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটা অনেক সময়ই জরুরি হয়ে যায়। বিভিন্ন উৎসব, পার্টি বা বিয়েতে নতুন করে সাজতে দেখা যায় সবাইকে। তবে সময়, বয়স এবং উৎসবের ধরন বুঝে মেকআপ সবাই করতে পারেন না। যারা অভিজ্ঞ এবং মেকআপ নিয়েই যাদের কাজ, তারাই কেবল আপনাকে সুন্দর ও সুশ্রী হিসেবে দেখাতে পারেন। এবং সেটা সম্ভব হয় অনিন্দ্য সুন্দর মেকআপের ফলে।

আর এই কাজটি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করেন ফারজানা রহমান। যাকে সবাই চেনেন ইপশিতা নামে। তবে এক দিনে তিনি সবার প্রিয় মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেননি। দিনে দিনে তিনি রপ্ত করেছেন এবং ভরিয়েছেন মেকআপ-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার ঝুলি।

আন্তর্জাতিকভাবে মেকআপ এবং ত্বকের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ফারজানা রহমান ইপশিতা। নারীদের সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার পেছনে তার মেকআপের হাত রয়েছে। কারণ, অসংখ্য তারকা অভিনেত্রী ও শিল্পী তার কাছে নিয়মিত মেকআপ নিয়ে থাকেন।

ফারজানা রহমান ইপশিতার পরিচয় দেয়ার আগে তার স্বপ্ন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। তিনি ছোটবেলা থেকেই একজন বড় মেকআপ আর্টিস্ট হতে চেয়েছিলেন এবং এটাই ছিল তার স্বপ্ন। আর এ কারণেই তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করতে মেকআপের ওপর দেশ-বিদেশ থেকে নানা ধরনের ডিগ্রি নিয়েছেন। তবে তার আগে ২০১৫ সালে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ গ্র্যাডি বোস্টন থেকে মেকআপ আর্টিস্ট্রিতে ডিপ্লোমা করেছেন। এরপর তিনি লন্ডন থেকে এশিয়ান ব্রাইডাল মেকআপ কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি বিখ্যাত মেকআপ আর্টিস্ট মারিও ডেডিভানোভিকের কাছ থেকে মাস্টার ক্লাস সম্পন্ন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এসব ট্রেনিং ও কোর্সের মাধ্যমে জেনেছি কীভাবে একজন নারীকে সব সময় সুন্দরী ও আকর্ষণীয় দেখায়। এটাই আমার কাজের ও সফলতার বড় বিষয়।’

ব্যাংকার বাবা ও রাজনীতিবিদ মায়ের সুসন্তান ইপশিতা মেকাপ আর্টিস্ট হিসেবে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল বিউটি ইন্ডাস্ট্রি (আইবিএ) থেকে সেরা আন্তর্জাতিক মেকআপ শিল্পীর পুরস্কার জিতেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের টেলিভিশন রিপোর্টার ইউনিটি থেকে ২৭তম টিভি পুরস্কারে ২০২১ সালের সেরা মেকআপ শিল্পী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া দেশের মিরর ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে সেরা মেকআপ বিশেষজ্ঞের পুরস্কার জিতেছেন।

নতুন মেকাপ আর্টিস্ট তৈরিতে ইপশিতা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার প্রয়োজন হলে আমি তাদের সাহায্য করি। আমি সবাইকে অনুপ্রাণিত করি। নতুনদের নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। আমি মেকআপ এবং ত্বকের ওপর প্রফেশনাল ওয়ার্কশপের আয়োজন করি এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেই।’

তিনি সবশেষ স্বপ্ন সম্পর্কে বলেন, ‘এখন আমার লক্ষ্য হলো মেকওভারের ওপর একটি স্কুল খোলা। যেখানে আমরা আন্তর্জাতিক একাডেমির মতো প্রশিক্ষণ দিতে পারব। যাতে করে মেয়েরা স্বাবলম্বী হিসেবে সমাজে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন।’


কলেজে ক্লাস শুরুর আগে

আপডেটেড ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ২০:৫৯
মাহাথির আরাফাত

পছন্দের কলেজে মনোনীত হওয়ার পর তোমরা হয়তো সবাই উদগ্রীব হয়ে বসে আছ কবে ক্লাস শুরু হবে, কবে যাবে তোমাদের কাঙ্ক্ষিত ক্যাম্পাসে। পুরোদমে ক্লাস শুরু হতে বেশ কিছু দিন লাগতে পারে। তার আগে নিজেকে আরো গুছিয়ে নেওয়া জরুরি। নতুন পরিবেশে গিয়ে যাতে সমস্যায় না পড়তে হয় সেজন্য আগেভাগে সব জেনে নাও।

ভর্তি প্রক্রিয়া

ভর্তির কার্যক্রম যথাযথভাবে সেরে ফেল। কলেজে জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা দরকার সব জোগাড় করে রাখো। এখন প্রতিটি কলেজেরই অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থাকে। তাই নিজের কলেজের ফেসবুক পেইজ খুঁজে বের করে অবশ্যই ফলো করবে। কলেজের যাবতীয় নোটিশ বা ভর্তিসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওখান থেকেই জানতে পারবে।

বই কেনা

বই কেনা শুরু করে দাও। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি। এইচএসসির প্রতিটি বিষয়ই দুটি করে পত্র। আপাতত প্রথম পত্রটাই কিনে রাখো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কোন প্রকাশনীর বই কিনবে তা স্যার কিংবা সিনিয়র কারো সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারো। তাছাড়া অনেক কলেজ থেকেই নির্দিষ্ট একটা বুকলিস্ট দেওয়া হয়। তোমাদের কলেজে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা আছে কিনা তা আগে থেকে জেনে নিয়ো।

প্রাইভেট-কোচিং

এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে অনেকে প্রাইভেট পড়া শুরু করে দিয়েছ হয়তো। কোন স্যার কী পড়ান, কতটুকু পড়ান, কেমন বোঝান- এসব খুঁটিনাটি বিষয় সিনিয়র কারো সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে তারপর প্রাইভেট বা কোচিং শুরু করলে ভালো হয়।

সিলেবাস আয়ত্ত করা

আগের পড়াশোনা থেকে এখন আরেকটু ওপরের ধাপে এসেছ তোমরা। নতুন শ্রেণির পড়ার সিলেবাসটা আয়ত্ত করো আগে। তবে বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজি ব্যাকরণ আগের থেকে তুলনামূলক সহজ হয়েছে। পূর্বের শ্রেণিতেই তোমরা অনেক কিছু পড়ে এসেছ। এখন কিছু টপিক কেবল বেড়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করো। তাছাড়া আগে সকল বিষয়ের প্রশ্নের প্যাটার্ন ও মান বণ্টন জেনে পড়তে গেলে ভালো লাগবে।

পড়ার টেবিল

এখন পড়ার টেবিল সাজাও নতুন বই দিয়ে। পুরনো বইগুলো টেবিল থেকে সরিয়ে ফেল। ঝকঝকে তকতকে করে রাখবে পড়ার টেবিল। এতে পড়ার আগ্রহ পাবে। তবে শুরুতেই এত সিরিয়াস পড়াশোনা করার দরকার নেই। হাসি-আনন্দে অল্প অল্প পড়ো। মাত্র তো কলেজে পা দিলে। কীভাবে পড়তে হবে, কতটুকু পড়তে হবে তা নিজে নিজেই একসময় বুঝতে পারবে।

ক্যাম্পাস

কলেজের ক্যাম্পাসে মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে। ভিন্ন একটা পরিবেশে প্রবেশ করবে তোমরা। পড়ার পরিবেশ, সহপাঠী, কলেজের ভবন, স্যার-ম্যাডাম সবই যেন অপরিচিত। তাই হীনম্মন্যতা ভর করতে পারে কারো কারো। দ্বিধাবোধ হবে হয়তো। এজন্য নিজেকে গুটিয়ে নিলে চলবে না। সহপাঠীদের সঙ্গে নম্র-ভদ্র ব্যবহার করবে। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ হলে সব কিছু ‌কাটিয়ে উঠা সহজ হয়। চেষ্টা করবে কলেজের ইউনিফর্ম পরে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে। ইউনিফর্ম বানিয়ে রাখো এখনই। বাসায় পরে ট্রায়াল দাও। কেননা হঠাৎ করে নতুন পোশাক পরলেও আমাদের লজ্জা ও অস্বস্তিবোধ হয়।

এক্সট্রা কারিকুলাম

কলেজের লাইব্রেরি, বিতর্ক ক্লাব, স্পোকেন ইংলিশ ক্লাব, খেলাধুলার সংগঠন, সাহিত্য সংগঠন ইত্যাদি বিষয়েও খোঁজখবর নিতে পারো। পড়াশোনার পাশাপাশি একজন ভালো শিক্ষার্থীর এসব ক্ষেত্রেও মনোযোগী হওয়া উচিত। যার যে-বিষয়ের প্রতি ঝোঁক আছে, সে সেখানে সময় দিতে পারো।

সবার কলেজ-জীবনের জার্নি স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে উঠুক এই কামনা করি।


কাপড়ে রং লেগে গেলে…

যদি সাদা জামায় রং লাগে তা হলে সেটা থেকে রং তোলার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নন ক্লোরিন ব্লিচ
আপডেটেড ১ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:২৪
চলতি হাওয়া ডেস্ক

সাদা জামার সঙ্গে অন্য কোনো রঙের জামা ভিজিয়েছেন ধোয়ার জন্য। ব্যস সাদা জামায় লেগে গেল রং! অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত হালকা রঙের জামায় গাঢ় রঙের জামার রংও লাগতে পারে আলাদা না ভেজানো হলে। জামা থেকে রং তোলা না গেলে সে জামাটাই চলে যায় বাতিলের খাতায়। তাই জেনে নিন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি, যা দিয়ে কাপড়ের রং লেগে গেলে তোলা যাবে সহজেই-

  • নরম ব্রিসলের কোনো টুথব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। রং লাগা জামার ওপর ঘষতে থাকুন। রং উঠে গেলে ধুয়ে নিন।
  • যদি সাদা জামায় রং লাগে তা হলে সেটা থেকে রং তোলার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নন ক্লোরিন ব্লিচ। সাদা পোশাক গরম পানিতে নন ক্লোরিন ব্লিচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
  • এক বালতি ঠাণ্ডাপানিতে আধকাপ ভিনেগারের সঙ্গে ১ চা-চামচ ডিটারজেন্ট মেশান। এই পানিতে ৩০ মিনিট জামা ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। রং তোলা সহজ হবে।
  • লেবুর রস ও খাবার সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে দাগের ওপর ঘষুণ। দাগ উঠে যাবে।


শরীর ঠাণ্ডা করা দুই শরবত

পাকা আমের লাচ্ছি
আপডেটেড ১ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:২৪
তাহ্‌মিনা জামান

গরমের দাবদাহে কমবেশি সবাই ক্লান্ত। বাইরে থেকে ফিরে এসে প্রাণ ঠাণ্ডা করা এক গ্লাস শরবত হলে যেন সোনায় সোহাগা। ঝটপট তৈরি করা যায় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর দুই পানীয়ের রেসিপি জেনে নিন। রেসিপি দিয়েছেন তাহ্মিনা জামান

পেস্তা বাদামের শরবত

উপকরণ

ঠাণ্ডা দুধ- ১ লিটার

পেস্তা বাদাম কুচি- ১ কাপ

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী

বরফ কুচি- ১ কাপ

জাফরান – কয়েক টুকরো

পেস্তা বাদামের শরবত

প্রণালি

প্রথমে পেস্তা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর বাদামগুলো পানি থেকে তুলে ফেলুন। এবার ব্লেন্ডারে বাদামসহ সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার ঠাণ্ডা পেস্তা বাদামের শরবত। পরিবেশন করার সময় শরবত গ্লাসে ঢেলে উপরে আরেকটু জাফরান আর বাদাম কুচি দিয়ে দিন।

পাকা আমের লাচ্ছি

উপকরণ

টক দই বা মিষ্টি দই ৪-৬ টেবিল চামচ

গুড়া দুধ ৩-৪ টেবিল চামচ

আম পরিমাণমতো

চিনি ৬-৮ টেবিল চামচ

পরিমাণমতো বরফ কুচি

ঠাণ্ডা পানি

পছন্দমতো পরিমাণে বাদাম (বিভিন্ন রকম- পেস্তা, কাজু ইত্যাদি)

প্রণালি

ব্লেন্ডারে সব উপকরণ একসঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। মনে রাখবেন, দইয়ের পরিমাণ যতো বেশি হবে, লাচ্ছি ততো ঘন ও সুস্বাদু হবে। ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে পানি মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।

লাচ্ছি পরিবেশন করার আগে সাজিয়ে নেয়ার জন্য কিছু উপকরণ যোগ করতে পারেন । যেমন- বাদাম, লেবুর গোল কাটা অংশ ইত্যাদি। এবার আপনার পছন্দমতো গ্লাসে পরিবেশন করুন মজাদার লাচ্ছি।


বর্ষার দিনে আঁখি যুগলের সাজকথা

চোখ যেহেতু ভীষণ স্পর্শকাতর অঙ্গ, তাই বর্ষার দিনে সাজের সময় সচেতন থাকতে হবে। মডেল: নাজিফা তুষি
আপডেটেড ১ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:১৭
তানজিনা আকতারী

‘ঝিরি ঝিরি কাঁপে কালো নয়ন-পল্লব’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর লেখা ‘১৪০০ সাল’ কবিতায় এভাবেই নারীর চোখের বন্দনা করেছেন। কোনো কবি আখ্যা দিয়েছেন পিঙ্গল আঁখি, পটোল চেরা চোখ, হরিণী নয়না। কতই না স্তুতিবাক্য এই নেত্রযুগলকে কেন্দ্র করে। ধনুকের মতো বাঁকা ভ্রু-জোড়াও যুক্ত হয়েছে নারী সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে। এত প্রশংসাবাক্য শুনে মেয়েরা মনের আনন্দে যুগ যুগ ধরেই সাজিয়ে চলেছে তাঁদের চোখ জোড়াকে নানা সাজসজ্জায়।

এই মেঘ, এই বৃষ্টি নয়তো ভ্যাপসা গরম। মেঘ-বৃষ্টির এমন লুকোচুরি খেলায় সাজসজ্জা নষ্ট হয়ে যায় সহজেই। আর চোখ যেহেতু ভীষণ স্পর্শকাতর অঙ্গ, তাই বর্ষার দিনে সাজের সময় সচেতন থাকতে হবে। কাজলটানা ঘন কালো চোখ সবাইকে আকর্ষণ করে। চোখ ছোট যাদের, তাদের পুরু করে কাজল লাগালে চোখ আরও ছোট দেখাবে। বড় চোখে কাজলের পুরু রেখা দারুণ মানানসই।

দিনের বেলা হালকা করে কিন্তু রাতে গাঢ় করে কাজলরেখা টানলে চোখ হয়ে ওঠে মোহনীয়। কিন্তু আচমকা ভিজিয়ে দেয়া বৃষ্টিতে লেপ্টে যেতে পারে সাধের কাজলটানা চোখ। তাই কেনার সময় ওয়াটারপ্রুফ কাজল দেখে কিনবেন। আর কাজলরেখা টানার সময় চোখের নিচে পাউডার দিলেও কিছুটা উপকার হবে। এ ছাড়া কেউ চাইলে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে যে আইশ্যাডো মানাবে, তা বেছে নিতে পারেন চোখ সাজানোর কাজে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের রঙের আইশ্যাডো দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন চোখের পাতা।

পছন্দের রঙের আইশ্যাডো দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন চোখের পাতা

অনেকেই চকচকেভাবে চোখ সাজাতে পছন্দ করেন। কিন্তু বাতাসের আদ্রতা থাকার কারণে গ্লিটারমিশ্রিত আইশ্যাডো ঠিকভাবে চোখের পাতায় বসতে চায় না। তাই বর্ষার দিনের এমন আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে গ্লিটার আইশ্যাডো এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে চাইলে আইলাইনার আর পানিরোধী মাসকারা লাগাতে পারেন অনায়াসেই। বৃষ্টির পানিতে মাসকারা গলে গিয়ে চোখের চারপাশে ছড়িয়ে বাজে দেখানোর সম্ভাবনা থাকে। মাসকারা দিতে চাইলেও সেটি যাতে পানিরোধী হয়, নজর রাখতে হবে সেই বিষয়েও।

চন্দ্রাকৃতির দীর্ঘ পল্লব দেখাতে চাইলে ভ্রু-যুগলকে সুন্দর ও কিছুটা মোটা করে এঁকে নিলে ভালো দেখাবে। কালচে ব্রাউন রঙের ওয়াটারপ্রুফ কাজল সে ক্ষেত্রে দারুণ কাজের। চোখের সাজ শেষ হলে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এতে বেড়াতে গিয়ে গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার হলেও মেকআপ সরে যাওয়ার আতঙ্ক আর থাকবে না।


অটুট থাকুক বন্ধুত্ব

দেশি পোশাক ব্র্যান্ডগুলো বন্ধু দিবসকে ঘিরে নানা আয়োজন রাখে। ছবি কৃতজ্ঞতা: কে-ক্রাফট
আপডেটেড ১ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:০৪
চলতি হাওয়া ডেস্ক

বন্ধুদের জন্য প্রতিটি দিনই বিশেষ হয়ে ওঠে। তাই বলা যায়, বন্ধু দিবস তো প্রতিদিনই। তবুও বন্ধুদের জন্য, বন্ধুদের সঙ্গে একটা দিন বিশেষভাবে পালন করা যেতেই পারে। তাই এই সুন্দর সম্পর্ক উদযাপনের জন্য প্রতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম রোববার ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপিত হয়ে আসছে।

বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা বিনিময় গ্রিটিংস কার্ডে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার মেসেজ ও স্ট্যাটাস দিয়ে হতে পারে। পাশাপাশি প্রিয় বন্ধুটিকে অন্য কোনো বিশেষ উপহার দিতে পারলে কেমন হয়? দিতে পারেন মিনিংফুল কোনো গিফট। বিশেষ দিনটিকে আরও বেশি স্মৃতিময় করে তুলবে ছোট্ট একটা গিফট।

বিশেষ দিনটিকে আরও বেশি স্মৃতিময় করে তুলবে ছোট্ট একটা গিফট

আসছে ফ্রেন্ডশিপ ডে উপলক্ষে বন্ধুকে দিতে পারেন পছন্দের কিংবা প্রয়োজনীয় এমন কোনো গিফট, যেমন নোট বুক, ওয়ালেট, পার্স, সুভেনির, হোম ডেকর আইটেম, জুয়েলারি, ফটো ফ্রেম অথবা অ্যালবাম, মগ, ফ্লাওয়ার ভাস, পারসনাল কেয়ার অথবা প্রসাধনী ছাড়াও অনেক কিছু। বন্ধু যদি বই পড়তে ভালোবাসে তা হলে তার হাতে তুলে দিন আপনার পছন্দের কোনো বই কিংবা তার পছন্দের লেখকের বই। এখন কে ক্র্যাফটেও মিলবে এমনই পছন্দের বইয়ের সংগ্রহ।

বন্ধুকে অনেক উপহারই দেয়া যায়। মেয়ে বন্ধু হলে সুন্দর রুচিশীল কোনো পোশাক কিনে উপহার দিতে পারেন। যেমন সালওয়ার কামিজ, টিউনিক, কুর্তি, টপস, শাড়ি। আর ছেলে বন্ধুর ক্ষেত্রে ফরমাল শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া।

দেশি পোশাক ব্র্যান্ডগুলো বন্ধু দিবসকে ঘিরে নানা আয়োজন রাখে। কে-ক্রাফট, আড়ং, দেশি দশ এর বিভিন্ন আউটলেটে ইতোমধ্যেই বন্ধু দিবসের উপহারের পসরা বসেছে। বন্ধু দূরে থাকলে তার কাছে উপহার পাঠিয়ে দেয়ার সুব্যবস্থাও রাখছে অনেক ব্যান্ড, যার মধ্যে কে-ক্রাফট অন্যতম। ওয়েবসাইট বা অনলাইন পেজে অর্ডারের মাধ্যমে এ সুবিধা পাওয়া যাবে।


চোখের ফোলাভাব দূর করতে

আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৩ ২২:১৪
চলতি হাওয়া ডেস্ক

চোখের ফোলাভাব দূর করতে জেনে নিন ছোট তিনটি টিপস। কাজের ফাঁকেই সেরে ফেলতে পারবেন ফোলাভাব কমানোর এ প্রক্রিয়াগুলো:

  • রাতে সবুজ চা পান শেষে টি-ব্যাগ ফেলে না দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠাণ্ডা টি-ব্যাগ চোখে রেখে দিন ৫-৬ মিনিট। একই কাজ করতে পারেন বাইরে থেকে ফিরে এসেও। চোখের ক্লান্তি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে ফোলাভাবও বিদায় নেবে।
  • শসা কুচি করে একটা আইস ট্রেতে রেখে দিন ফ্রিজে। সারা দিন পর বাড়ি ফিরে একটা পাতলা কাপড়ে ঠাণ্ডা শসার কুচি নিয়ে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। দেখবেন দ্রুতই চোখের ফোলাভাব বিদায় নেবে।
  • বরফের টুকরা বা সারা রাত ফ্রিজে রেখে দেয়া চামচ চোখেরনিচে ব্যবহার করলে প্রদাহ বা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।


বর্ষায় কাপড়ের যত্নে...

বর্ষায় কাপড় শুকানোর অনেক ঝামেলা। তাই এ ঋতুতে চাই বাড়তি সতর্কতা
আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৩ ২২:১৩
চলতি হাওয়া ডেস্ক

ভ্যাপসা গরমকে সারথি করে শুরু হয়ে গেছে শ্রাবণ মাস। মুষলধারে বৃষ্টি না থাকলেও একেবারে বৃষ্টিহীন কেটে যায়নি। দিনের বেশির ভাগ সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আর বাঙালি জনজীবনে তো বর্ষা উদযাপনের আবেদন কখনো ফুরাবার নয়। তবে সমস্যায় পড়তে হয় কাপড় নিয়ে। এ ঋতুতে কাপড় শুকানোর অনেক ঝামেলা। তার ওপর কাপড়ে ছত্রাকের আক্রমণ তো আছেই। খালি চোখে কাপড়ের ছত্রাকের আক্রমণ দেখা না গেলেও হতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ । তাই বর্ষায় চাই বাড়তি সতর্কতা। জেনে নিন কিছু টিপস-

  • ছাতা মাথায় বৃষ্টি থেকে বাঁচা গেলেও কাপড় ঠিকই ভিজে যায়। ভেজা কাপড় শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, তা না হলে কাপড়ে তিলা পড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে জীবাণু ধ্বংস হবে এবং কাপড়ও ভালো পরিষ্কার হবে।
  • কাপড়কে ফাঙ্গাস থেকে বাঁচাতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। ৩-৪ কাপ সাদা ভিনেগার ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে তাতে কাপড় ডুবিয়ে রাখুন, এতে ময়লা ও দুর্গন্ধ দুটোই দূর হবে। তা ছাড়া লেবুর রস লবণের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে কাপড়ে ঘষলে ফাঙ্গাস দূর হয়।
  • কাপড় আলমারিতে রাখার সময় ভালোভাবে শুকিয়েছে কিনা দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে ফ্যানের নিচে দিয়ে শুকাতে হবে। কাপড় শুকিয়ে গেলে অবশ্যই ইস্ত্রি করে আলমারিতে রাখতে হবে। তা না হলে কাপড়ে ছত্রাক পড়ে সাদা দাগ হয়ে যেতে পারে।
  • কাপড়ের ভাঁজে ন্যাপথলিন, সিলিকা জেল বা নিমপাতার পাউডার দিয়ে রাখতে পারেন। এগুলো আর্দ্রতা শুষে নেয়। কাপড় থাকে টাটকা।

গ্রীষ্মের অস্বস্তির পর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভিজতে অনেকেরই ভালো লাগে। কিন্তু তাই বলে সব সময় নয়। বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই ছাতা সঙ্গে রাখুন।


ম্লান না হোক ত্বকের সৌন্দর্য

ত্বক ভালো রাখতে সু-অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৩ ২২:১২
মুনিরা পৌষি

ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কে না চায়! আবার সুন্দর ত্বক পেতে কত কিছুই তো করা হয় কমবেশি। তারপরও সৌন্দর্য ধরে রাখাই যেন দায়। ত্বক সুন্দর, মসৃণ ও আকর্ষণীয় করতে অনেক কিছুই তো করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি সৌন্দর্য ম্লান হতে পারে এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা হয়তো আমরা নিয়মিতই করে থাকি। এ অভ্যাসগুলো সরিয়ে রাখতে পারলেই সুন্দর ত্বক পেতে আর বাধা নেই। জেনে নিন সেসব-

খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিন ও ভিটামিন

ত্বক ভালো রাখতে সু-অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া তাই প্রয়োজন। কেবল শরীর সুস্থ রাখতেই না বরং ত্বকের সৌন্দর্যও ধরে রাখতে চাইলে প্রোটিন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার না খেলেই না। তাই এখন থেকে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ডায়েটচার্টে অবশ্য়ই ভিটামিন এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যোগ করে নিন। ভিটামিন এ, সি এবং ই ত্বকের জেল্লা বাড়ায়। ত্বকের ভেতরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম আর বাদাম রাখতে পারেন সে তালিকায়।

ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ডায়েটচার্টে অবশ্য়ই ভিটামিন এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যোগ করে নিন

ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারে লাগাম টানা

চাকরি, ব্যবসা বা কাজ, এমনকি পড়াশোনার কারণেও নিয়মিতই দিনের বেশ কিছুটা সময় কম্পিউটারের সামনে কাটাতে হয়। কেবল তা-ই নয় সেসঙ্গে রয়েছে মোবাইল ফোন, ট্যাবসহ আরও কিছু ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের অভ্যাস। ফলে দিনের অনেকটুকু সময়ই কাটাতে হয় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। এই সময়টুকু কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন ত্বকের সৌন্দর্য জলাঞ্জলি না দিতে চাইলে। রাতে শোয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন দূরে সরিয়ে রাখুন। তারপর ঘুমাতে যান। মনে রাখবেন, ত্বক ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমও জরুরি। তাই রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ভালো করে ঘুমান। এইটুকু কাজ করলেই উপকার পাবেন।

পর্যাপ্ত পানি পান

ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা পানীয় পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কারণ, ডিহাইড্রেশন হলে শরীরে যেমন তার খারাপ প্রভাব পড়ে। ত্বকেও এর নেতিবাচক প্রতিফলন দেখা যায়। ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। রুক্ষ ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। সেসব দিকে খেয়াল রেখেই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা তরল পান করতে হবে। দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন।

ডিহাইড্রেশন হলে শরীরে যেমন তার খারাপ প্রভাব পড়ে। ত্বকেও এর নেতিবাচক প্রতিফলন দেখা যায়

একটুখানি ব্যায়াম

প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে আপনার সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ হবে। ত্বকের অন্দরের টক্সিন বেরিয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে উপচে পড়বে ত্বকের সৌন্দর্য। এ ছাড়া বেশ কিছু মুখের ব্যায়াম রয়েছে, যা কাজের ফাঁকেই করে ফেলতে পারেন। সেসব কিন্তু দ্রুত উজ্জ্বলতা বাড়াতে সক্ষম।


বৃষ্টি দিনের পোশাকশৈলী

বৃষ্টিদিনে মেকআপটা হওয়া চাই ভালো। সেসঙ্গে ঠোঁটে ভাইব্রেন্ট কালারের লিপস্টিক। ছবিতে: বিদ্যা সিনহা মিম
আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৩ ২২:১২
রবিউল কমল

শ্রীকান্ত আচার্যের সুর ধার করে বলতে হয়-

‘আমার সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ

বৃষ্টি তোমাকে দিলাম

শুধু শ্রাবণ সন্ধ্যাটুকু

তোমার কাছে চেয়ে নিলাম...’

প্রকৃতিতে এখন চলছে বর্ষাকাল, বৃষ্টির দিনে মন ভালো করতে এমন গানের কোনো বিকল্প নেই। আর সন্ধ্যার পরে প্রিয়জনের সঙ্গে একটু বাইরে ঘুরতে গেলে, বৃষ্টির দিনগুলো আরও উপভোগ্য হয় ওঠে। কিন্তু এ সময় বাইরে বের হতে দরকার বাড়তি সতর্কতা। বিশেষ করে পোশাকের ক্ষেত্রে। এ সময় চাই সময়োপযোগী ট্রেন্ডি পোশাক।

বর্ষাকাল মানেই আকাশের গোমড়া মুখ, একটু মেঘ জমলেই তাই ঝরঝর বৃষ্টি ঝরে। এ জন্য এ সময় মোটা, ভারী কাপড় এড়িয়ে চলতে হবে, সিনথেটিক জাতীয় কাপড় বেছে নিতে হবে। কারণ, সিনথেটিক জাতীয় কাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে কিংবা কাদা লেগে সহজে দাগ পড়ে না। এ সময় সাদা বা কালো কাপড় পরা ঠিক হবে না। কারণ এই দুই রঙের কাপড়ে কাদা বা বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে দাগ হয়ে যায়।

বৃষ্টির সঙ্গে নীলের দারুণ মিল আছে। বৃষ্টি চারদিক ধুয়ে যায়, প্রকৃতি হয়ে ওঠে সজীব। তাই এ সময় নীল রঙ প্রকৃতির ক্যানভাসের সঙ্গে ফুটে ওঠে। পাশাপাশি সি গ্রিন, লেমন কিংবা সবুজ রঙের কাপড় পরা যেতে পারে। আবার বর্ষাকালে বেশি লম্বা পোশাক পরা উচিত নয়, একটু খাটো পোশাক পরা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তা হলে রাস্তার কাদা সহজে পোশাকে জড়াতে পারবে না। আবার বৃষ্টির সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে বলে গুমোট গরম থাকে। তাই এ সময় পাতলা সুতির পোশাক আরামদায়ক। বৃষ্টির দিনে ছাপা প্রিন্টের কাপড় পরা ভালো। তা হলে হুট করে বৃষ্টিতে কাপড় ভিজে গেলেও অস্বস্তিতে পড়তে হবে না।

বর্ষাকালে বেশি লম্বা পোশাক পরা উচিত নয়, একটু খাটো পোশাক পরা বুদ্ধিমানের কাজ হবে

বর্ষাকালের ফ্যাশনে গাঢ় রঙকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। আর নকশায় জংলি ফুল, লতাপাতার মোটিফ উঠে আসে। ফুলেল নকশার স্ক্রিন প্রিন্টেও নানা রঙ ব্যবহার করা হয়। বৃষ্টির দিনে অনেকে জর্জেট শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, এর সঙ্গে সুতি প্রিন্টের ব্লাউজ পরা যেতে পারে। হাফ হাতা কিংবা হাতা কাটা ব্লাউজের নকশায় ফুলেল মোটিফ বর্ষার সঙ্গে ভালো মানাবে। চাইলে কেউ গোল কিংবা বোট গলার ব্লাউজও পরতে পারেন। আবার শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে একরঙা ব্লাউজও ভালো মানিয়ে যাবে।

সাজের ক্ষেত্রে এ সময় পানিনিরোধক মেকআপ-সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। উজ্জ্বল রঙের শাড়ির সঙ্গে চোখের মেকআপটা হওয়া চাই আকর্ষণীয়। বৃষ্টির দিন বলে আইলাইনার বাদ দেয়া ভালো। চোখের সাজে এ সময় গাঢ় নীল অথবা সবুজ রঙের কাজল বেছে নেয়া যেতে পারে। একটু বড় করে কাজল লাগাতে হবে। তারপর হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। শ্যাডোর ক্ষেত্রে গোলাপি বা ছাই রঙ বেছে নিতে হবে। শ্যাডো চোখের ওপরের অংশে হালকা ও নিচের অংশে গাঢ় করে লাগাতে হবে। আর আলতো খোঁপা করে চুলে লাগাতে হবে কৃষ্ণচূড়া, রঙ্গন অথবা দোলনচাঁপা। বেলি ফুলের মালা দিলেও খারাপ লাগবে না। সবশেষে শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে কপালে পরতে হবে একটি টিপ।

বৃষ্টির সঙ্গে নীলের দারুণ মিল আছে। বৃষ্টি চারদিক ধুয়ে যায়, প্রকৃতি হয়ে ওঠে সজীব। তাই এ সময় নীল রঙ প্রকৃতির ক্যানভাসের সঙ্গে ফুটে ওঠে

সবশেষে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো পোশাকের যত্ন। কারণ বর্ষাকালে পোশাক নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এ সময় ভেজা পোশাক সহজে ‍শুকাতে চায় না। আবার ড্রয়ারে রাখা পোশাকগুলোও কেমন জানি হয়ে যায়। তাই ড্রয়ারের পোশাক মাঝেমধ্যে বাইরে বের করে খোলা জায়গায় কিছু সময় রেখে দিতে হবে। আবার সূর্যি মামার দেখা মিললে রোদে মেলে দিতে হবে। তাহলে পোশাকগুলো ভালো থাকবে। এসময় বাইরে থেকে এসেই পোশাক ড্রয়ারে রাখা উচিত হবে না। ড্রয়ারে রাখার আগে অবশ্যই শুকিয়ে নিতে হবে।


গরুর মাংসের দুই পদ

কড়াই গোস্ত
আপডেটেড ২৬ জুন, ২০২৩ ১৯:১১
তাহ্‌মিনা জামান

আর তো কদিন, তারপর সকাল থেকে রাত- পুরো দিনের প্রতি বেলার খাবারেই পাতে উঠবে মাংসের নানা পদ। টানা কদিন এভাবে খেতে খেতে মাংসও যেন বিস্বাদ লাগা শুরু হয় সবার। তখন মন চায় একটু ভিন্ন ধাঁচে মাংসের স্বাদ নিতে। মাংসের ভিন্ন পদ পাতে তুলে দিতে জেনে নিন গরুর মাংসের দুটি রেসিপি। রেসিপি দিয়েছেন তাহ্‌মিনা জামান

ঝুরা মাংস

উপকরণ

  • গরুর মাংস ১ কেজি
  • পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ
  • ১ চা-চামচ আদাবাটা
  • ১ চা-চামচ রসুনবাটা
  • লবণ স্বাদমতো
  • ১ চা-চামচ গোলমরিচবাটা
  • ১ চা-চামচ জিরাবাটা
  • ধনেবাটা ১ চা-চামচ
  • বাদামবাটা ১/২ চা-চামচ
  • হলুদ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ
  • মরিচ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ
  • সরষে বাটা ১/২ চা-চামচ
  • এলাচি-দারুচিনি-লবঙ্গ কয়েকটি
  • তেজপাতা ৩-৪টি
  • তেল ১ কাপ ও গরমমসলা গুঁড়া ১/২ চা-চামচ

প্রস্তুত প্রণালি

পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ তেলে বাদামি করে ভেজে সব মসলা কষিয়ে নিয়ে মাংস দিয়ে দিতে হবে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে। অনেকক্ষণ জ্বাল দিয়ে মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে মাংস নেড়েচেড়ে ঝুরা করে নিতে হবে। অল্প তেলে ১ কাপ পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঝুরা মাংস দিয়ে নাড়তে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে গরমমসলা ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মাংস নামিয়ে নিতে হবে। ব্যস, হয়ে গেল ঝুরা মাংস রান্না। এরপর খাওয়ার আগে গরম করে পরিবেশন করতে হবে।

ঝুরা মাংস

কড়াই গোস্ত

উপকরণ

  • গরুর মাংস ১ কেজি
  • পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
  • হলুদ ও গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
  • মাংসের মসলা ১ চা-চামচ
  • দারুচিনি ও এলাচ ৩/৪ টুকরা
  • জয়ফল, জয়ত্রীবাটা ১ চা-চামচ
  • টক দই ১ কাপ
  • টমেটো কিউব ১ কাপ
  • তেজপাতা ২টি
  • তেল ১ কাপ
  • রসুন কোয়া ২/৩টি
  • লবণ পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালি

গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনিতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, টক দই, লবণসহ সব মসলা একসঙ্গে ভালো করে মেখে ২০-২৫ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। হাঁড়িতে তেল গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা হালকা বাদামি করে ভেজে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। কিছু সময় পর মাংস সেদ্ধ হলো কি না, দেখে নিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে এলে ও মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের কোয়া, টমেটো কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে মাংস কড়াইয়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে গরুর মাংসের কড়াই গোস্ত।


banner close