পুনরায় বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি হয়েছেন আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)।
শনিবার বিসিআই বোর্ডরুমে পরিচালনা পর্ষদের দ্বি-বার্ষিক (২০২৩-২৫) নির্বাচন শেষে তাকে সভাপতি পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন বিসিআই নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হক।
ঘোষণা অনুযায়ী, আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বিসিআই সভাপতি, প্রীতি চক্রবর্তী ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ও মোহাম্মদ ইউনুছ সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
এই ৩ জন ছাড়া অন্যান্য পরিচালকদের মধ্যে আছেন, শহিদুল ইসলাম নিরু, ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, রঞ্জন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, জিয়া হায়দার মিঠু, ইঞ্জিনিয়ার মো. মোহাব্বত উল্লাহ, শাহ আলম লিটু, মিজানুর রহমান, নাজমুল আনোয়ার, এম. এ. রাজ্জাক খান, মোহাম্মদ ইসহাকুল হোসেন সুইট, আবুল কালাম ভূঁইয়া, মো. সেলিম জাহান, এস এম শাহ্ আলম মুকুল, যশোদা জীবন দেব নাথ, মো. শাহিদ আলম, কে. এম. রিফাতউজ্জামান, রুসলান নাসির, মো. খায়ের মিয়া, সোহানা রউফ চৌধুরী ও মো. মাহফুজুর রহমান।
বিসিআইয়ের নবনির্বাচিত এই পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল মেয়াদে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘নতুন কমিটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। যেহেতু বিসিআই সমগ্র দেশভিত্তিক একক এবং একমাত্র জাতীয় শিল্পচেম্বার, সেহেতু স্থানীয় সব শিল্পের পথে সর্বপ্রকার প্রতিবন্ধকতা নিরসনে আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করতে হবে।’
পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত করায় বিসিআইয়ের সব সদস্যকে ধন্যবাদ দেন আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। নির্বাচিত পর্ষদ দেশে শিল্প খাত; বিশেষ করে মাইক্রো ও ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিআইর সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, মো. কোহিনুর ইসলাম, হাফেজ হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।
সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের (ইউএসএআরপিএসি) যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে। ছয় দিনব্যাপী এই মহড়া চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের ১০০ জন সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ জন।
শুক্রবার মহড়া শুরুর দিন জালালাবাদে প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড সদর দপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল মেজর জেনারেল অ্যাসকট এ উইন্টার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে ছিলেন সেনাবাহিনী এয়ার ডিফেন্স পরিদপ্তরের পরিচালক, সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের কমান্ডার।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৫ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে দুই দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ প্রস্তুতি জোরদার করা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করছে, ছয় দিনের এই মহড়া অংশগ্রহণকারী সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কারিগরিভাবে বৈধ হলেও এটি কার্যত ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ এলাকায় গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। তারা জানায়, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ার (বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ অঞ্চল) মধ্যে পড়েছে। বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ায় থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ জনসমাগম হয়, এমন সব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া উচিত।
বিআইপির ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শীর্ষক এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয় তুলে ধরেছে বিআইপি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানবন্দরের রানওয়ের পর ৫০০ ফুট এলাকায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। এর পরের ১৩ হাজার ফুট বা প্রায় ৪ কিলোমিটার অঞ্চলকে অ্যাপ্রোচ এরিয়া বলা হয়, যেখান দিয়ে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপ্রোচ এলাকায় ১৫০ ফুট উচ্চতার স্থাপনা নির্মাণে সরকারের নগর কর্তৃপক্ষ ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো বাধা নেই। সেসব স্থাপনার কী ধরনের ব্যবহার হবে, সে বিষয়েও কোনো নির্দেশনা নেই সরকারের সংস্থাগুলোর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপ্রোচ এলাকায় এ ধরনের স্থাপনা কারিগরিভাবে বৈধ হলেও কার্যত অনিরাপদ।
প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপে অ্যাপ্রোচ এলাকার স্থাপনার উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের কথা বলা আছে। কিন্তু সেখানকার ভূমির কী ধরনের ব্যবহার হবে, তা উল্লেখ নেই। গণজমায়েত হয় এ রকম কোনো স্থাপনার জন্য সেখানকার ভূমি ব্যবহার করা উচিত নয়। কৃষিজমি ও সবুজায়ন করা যেতে পারে, তবে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে সেখানে পাখি আসে।
আন্তর্জাতিকভাবে বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা আদর্শিক মান ব্যাখ্যা করে তামজিদুল ইসলাম বলেন, আদর্শ মান অনুযায়ী বিমানবন্দর শহর থেকে দূরে থাকে। এই বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এলাকায় একাধিক আবাসিক এলাকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে মাইলস্টোন স্কুলে যাতায়াত সহজ ছিল। না হলে হাসপাতালে নিতে দেরি হওয়ায় প্রাণহানি আরও বেশি হতে পারত।
গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, অ্যাপ্রোচ এরিয়া থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো জনসমাগম হয়, এমন সব স্থাপনা সরাতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো সম্ভব হবে না। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জায়গা তদন্ত করে যত ধরনের ব্যত্যয় হয়েছে, সেগুলো অনুসন্ধান করতে হবে। স্থাপনার উচ্চতায় ব্যত্যয় থাকলেও বাড়তি অংশ ভেঙে ফেলতে হবে।
জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান উড়ানোর সুযোগ নেই উল্লেখ করে আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা থেকে বিমানবন্দর দূরে ছিল। ঢাকাকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ বলে যে একটা জিনিস আছে, তা ভুলে যাওয়া হয়েছে। তা না হলে বিমানবন্দরের উড্ডয়ন-অবতরণের পাশে স্কুল-কলেজের মতো অবকাঠামো হওয়ারই কথা নয়। মৌলিক ব্যাকরণ ভুলে যাওয়া হয়েছে।
১৯৯৫ সালে যখন ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) হয়, তখনো মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এলাকা জলাশয় ছিল। এটি বিমানবন্দরের জন্য উপযোগী ছিল উল্লেখ করে আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, মাইলস্টোনের জন্য নিচু এলাকা ভরাট করতে দেয় রাজউক।
মাইলস্টোনের নিচু এলাকা ভরাটে রাজউক কেন বাধা দেয়নি, সেই প্রশ্ন রেখে এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, রাজউক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কেউ নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি। যারা ভবন তৈরি করেছেন, তারা নিজেরাও অঙ্গীকার ঠিক রাখেননি।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রে যে চর্চা হয়েছিল, তাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে ভূমি ও ভবন নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ওপরের পর্যায় থেকে চাপ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাইলস্টোনের কয়েকটি ভবনের অনুমোদন আছে, কয়েকটির নেই। যে ভবনে বিমান আঘাত করেছে, সম্ভবত সেটির অনুমোদন নেই।
বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এলাকায় জনসমাগম হয়, এমন স্থাপনা কত আছে, তা যাচাইয়ে সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি করা উচিত বলে মনে করেন বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান।
এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, যিনি মাইলস্টোন নির্মাণ করেছেন, তার দায় আছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমতি ও অনাপত্তিপত্র নেওয়ার বিষয় আছে। যারা অনুমতি ও অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের দায়ভার আছে। দায়ভার আছে, এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনলে হয়তো ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের পোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের সম্পত্তি। এটা আমাদের কাছেই থাকবে। যদি কেউ অন্যভাবে অপপ্রচার করে থাকে আমি আশা করব দেশের স্বার্থে এ ধরনের অপপ্রচার যেন না করে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে বিদেশি অপারেটরের সম্পৃক্ততা নিয়ে সম্প্রতি যেসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে নৌ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু মহল বলে বেড়াচ্ছে, আমরা বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা। বাস্তবতা হলো, আন্তর্জাতিক মানের বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ অপারেটরদের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। আমরা সামনের দিকে যেতে চাই। আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই। আমরা নিজেদের মধ্যে পড়ে থাকতে চাই না।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বন্দরে আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন করেন।
উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত বলেন, এনসিটি নিয়ে আপনারা বহুত আলোচনা শুনেছেন। আমিও এখানে টেকওভার করার পর থেকে আলোচনাগুলো শুনছি। ১৭-১৮ বছর যারা এনসিটিতে ছিলেন আমি বলবো যে ভালো কাজই করেছেন। খারাপ করেননি। তারা তাদের মতো কাজ করেছেন। কিন্তু তাদের থেকে আরও বেশি ইফিশিয়েন্ট করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এখানে যে কনটেইনার লোড হচ্ছে তা সিঙ্গাপুর যাবে। ট্রান্সশিপমেন্ট হবে। সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ পোর্টই প্রাইভেটলি পরিচালনা হচ্ছে। আমাদের যদি ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে হয় তাহলে বাইরের টেকনোলজিস আনতে হবে। নিজেরা নিজেরা করছি। নিজেরা অনেক ইফিশিয়েন্টলি করছি। এ ইফিশিয়েন্সি বাড়ানোর জন্য আমাদের দরকার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করানো।
নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটা পোর্ট তখনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে প্রবেশ করবে যখন একটা আন্তর্জাতিক অপারেটর আসবে। ভুলে যাবেন না একটা অপারেটর, আরেকটা পরিচালনা। পরিচালনা কিন্তু আমাদের। আমরা শুধু এখানে যাকে আগে দিয়েছিলাম তার জায়গায় হয়ত আরেকজনকে দিচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ইফিশিয়েন্সি বাড়াবার জন্য। কারণ আমার ব্যক্তিগত কোনো ইন্টারেস্ট নেই। আমি চট্টগ্রামের বাসিন্দাও না।
তিনি বলেন, ইন্টেরিম পিরিয়ডের জন্য আমরা এনসিটি ড্রাইডককে দিয়েছি। যার সঙ্গে নেভি রয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, জানতে পেরেছি আগের থেকে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা কিন্তু বড় ধরনের অগ্রগতি। আমি আশা করব, এটা যাতে ধরে রাখে।
বন্দরের ট্যারিফ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বন্দরের ট্যারিফ আলোচনা করে বাড়িয়েছি। এককভাবে মন্ত্রণালয় বাড়ায়নি। আন্তঃমন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মেইন পোর্টের ট্যারিফ দেখার পর দেখা গেছে এখনো এখানে ট্যারিফ অনেক কম। এমনকি মোংলা থেকেও কম।
তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের ট্যারিফ আর বাড়ানো হয়নি। আপনি দেখেন ১৯৮৬ সালের এক টাকার মূল্য এখন কত হয়েছে!
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুকসহ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের কর্মকর্তারা।
ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। নতুন আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন চাইলে, তফসিল ঘোষণার আগে বছরের যেকোন সময় ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সংশোধন করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, যেহেতু ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নং আইন) এর কিছু ধারা সংশোধন করা প্রয়োজন; এবং যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হয়েছে; সেহেতু সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ‘এই অধ্যাদেশ ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হবে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
২০০৯ সনের ৬ নং আইনের ধারা ৩-এর সংশোধন সংক্রান্ত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩-এর দফা (জ)-এ ‘জানুয়ারী মাসের পহেলা তারিখ’ শব্দগুলির পর ‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’ শব্দগুলি সন্নিবেশিত হবে।
এছাড়া ২০০৯ সনের ৬ নং আইনের ধারা ১১ সংশোধন করে নতুন উপ-ধারা (১) যোগ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে,
‘(১) কম্পিউটার ডাটাবেজে সংরক্ষিত বিদ্যমান সকল ভোটার তালিকা, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত অথবা তফসিল ঘোষণার পূর্বে ধারা ৩-এর দফা (জ)-এর অধীন ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করা হবে। যথা: (ক) যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে কিন্তু ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়নি, তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা; (খ) যেসব ভোটার মৃত্যুবরণ করেছেন বা অযোগ্য হয়েছেন, তাদের নাম কর্তন করা এবং (গ) যারা এলাকার পরিবর্তন করেছেন, তাদের নাম পূর্বের তালিকা থেকে কেটে করে নতুন এলাকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। তবে শর্ত থাকে যে, উপরের সময়সীমায় হালনাগাদ না হলেও ভোটার তালিকার বৈধতা বা ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে না।’
ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা (জ)-এ বলা ছিল, ‘যোগ্যতা অর্জনের তারিখ’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিটি ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন বা হালনাগাদের ক্ষেত্রে সেই বছরের ১ জানুয়ারি। এ বিধান অনুযায়ী, ১ জানুয়ারির পরে যারা ১৮ বছর পূর্ণ করতেন তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারতেন না।
বৃহস্পতিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন চাইলে বছরের যেকোন সময় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত এবং তালিকা প্রকাশ করতে পারবে।
বাংলাদেশে ভারতের মেডিকেল টিমের উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সর্বদা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্মসম্পর্ক চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় চেয়েছিলাম যে... প্রথম দিন থেকেই আমরা বলেছিলাম, আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্মসম্পর্ক চাই। আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কেউই কখনও বলেনি আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই না।’
বাংলাদেশে ভারতীয় মেডিকেল টিমের উপস্থিতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উন্নত সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক সূচক হিসেবে দেখছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ভারত থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন একটি চিকিৎসক দল।
এই বিশেষায়িত দলে রয়েছেন রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা। পোড়া ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসায় ভারতের শীর্ষস্থানে রয়েছে হাসপাতাল দুটি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা এই রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্ধারিত হাসপাতালে তাদের কাজ শুরু করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর তারা বাংলাদেশে আসেন।
তারা রোগীদের অবস্থা মূল্যায়ন করছেন এবং প্রয়োজনে ভারতে আরও চিকিৎসা এবং বিশেষায়িত সেবার জন্য সুপারিশ করছেন।
প্রাথমিক মূল্যায়ন এবং চিকিৎসার উপর নির্ভর করে অতিরিক্ত মেডিকেল টিমও পাঠানো হতে পারে।
২১ জুলাই ঢাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সহযোগিতা ও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহতদের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় যেকোনো জরুরি চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করার জন্য তথ্য জানাতে অনুরোধ করেছে।
মঙ্গলবার ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, তারা প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেবেন।
মাইলস্টোন স্কুল বিমান দুর্ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ ও সম্ভাব্য সকল সহায়তা দেওয়ার বার্তার ধারাবাহিকতায় এই বার্তাটি পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবং সকল প্রকার সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের জীবনমান পরিবর্তন ও নৈতিক সংশোধনের জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ৩টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কারাগারে যেসব অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত আছে, তারা যেন নৈতিক শিক্ষা নিয়ে চরিত্র সংশোধন করে পরিবারে আসতে পারেন—সেকারণে ইসলামী ফাউন্ডেন কারাগারে বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এখানে ইসলাম ধর্মের শিক্ষা দেওয়ার অনেক শিক্ষক রয়েছেন এবং হিন্দু ধর্ম শিক্ষা দেওয়ার জন্যও শিক্ষক রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দিরা যাতে মানবিক হয়ে জেল থেকে বের হতে পারেন, সেই ধরনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এসব কার্যক্রম চলমান থাকবে। কারাগার পরিদর্শন শেষে ধর্ম উপদেষ্টা বিভিন্ন বন্দিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইজিপি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোতাহের হোসেন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার ও জেলার একেএম মাসুম প্রমুখ।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না। আজ বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উত্থাপিত এ-সংক্রান্ত চারটি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।
পরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ২০১৫ সালে ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয় এবং সে অনুযায়ী আইন সংশোধন করা হয়। এবার সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে।
তিনি বলেন, এর প্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন আইন ২০১৫ এর ৩২ এর ক ধারা, পৌরসভা আইন ২০১৫ এর ২০ এর ক ধারা, উপজেলা পরিষদ আইন ২০১৫ এর ১৬ এর ক ধারা এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০১৫ এর ১৯ এর ক ধারা- এই ধারাগুলো বিলুপ্ত করার প্রস্তাব আজ উত্থাপন করা হয় এবং উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন করে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, এর ফলে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আর কোন সুযোগ নেই, এখন থেকে আলাদা আলাদা প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হানাহানি কমে আসবে এবং যোগ্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে জিতে আসতে পারবেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকার সংশোধনী অনুমোদন হওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনের আগে হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, চলমান সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সংশোধনী আনা হয়েছে । তবে আগে-পরে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা সম্পূর্ণ জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের ঐকমত্যের উপর এটি পুরোপুরি নির্ভর করে।
উপদেষ্টা পরিষদের সভার বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে। এই কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে সর্বশেষ বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে গত ১০ বছরে নতুন কোনো বেতন কাঠামো হয়নি। সেজন্য সরকার মনে করেছে মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য করতে একটি নতুন বেতন কাঠামো হওয়া উচিত।
এছাড়া গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠনের কথাও জানান তিনি।
মাইলস্টোন স্কুলে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এরকম একটা শোক শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতিতে আমাদের সবার হৃদয় ভেঙে গেছে। কেউ নিতে পারছে না এই ঘটনা। এর মধ্যেও অনেকে গুজব ছড়াচ্ছে। সরকার এসব বিষয়ে কোন শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে নমনীয় কিন্তু মনে রাখতে হবে গুজব ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ। গুজব সৃষ্টিকারীদের প্রতিরোধ করতে মিডিয়াকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা পরিষদে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ও তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক নিহতদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় শহীদ বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ও মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনের দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতের তালিকা করে প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্তের অনুরোধ জানান শহীদ আবরার ফাহাদের পরিবার।
এসময় আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারকাজ ত্বরান্বিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।
মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের জন্য কথা বলার কারণে তাঁকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। সে দেশের স্বার্থে কথা বলেছিল, অসম পানি বণ্টনের বিরুদ্ধে বলেছিল,’ বলেন তিনি।
আবরার ফাহাদের বাবা আরও বলেন, ‘তাঁর মা এখনো ছেলের জন্য আর্তনাদ করেন। আর কোনো মায়ের যেন সন্তান হারানোর কষ্ট পেতে না হয়, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।’
তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর ওপরে একটি সেতু তৈরির জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। সেতু না থাকায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে উল্লেখ করে সেখানে একটি সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান আবরার ফাহাদের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ।
বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো শিক্ষার্থী বান্ধব নয়। পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব, সরঞ্জাম ও অন্যান্য ব্যবস্থার সংকট রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা চাই এ সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থী বান্ধব করতে পদক্ষেপ নেবে।’
পাশাপাশি, বুয়েটে র্যাগিং বন্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানান তিনি।
আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘বুয়েটে নিপীড়নের ঘটনা এটাই প্রথম না। আগেও ঘটেছে। আগে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলোর তদন্ত ও বিচার করা প্রয়োজন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনাটি পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হবেই। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনের দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতের তালিকা করে প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত করা হবে। এর পাশাপাশি তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেগুলো নিয়েও তদন্তকাজ চলছে। সরকার ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে।’
সেতু বিভাগে বিভিন্ন বিষয়ের ০৫(পাঁচ)জন তরুণ ইন্টার্ন (শিক্ষাজীবন শেষে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫ হতে ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ০৩(তিন) মাস মেয়াদে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে সফলভাবে তাদের ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেছেন। সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সমন্বয় সভায় সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করা ইন্টার্নদের সনদপত্র প্রদান করেন।
ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়, যা তাঁদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং তাঁরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হয়। সচিব সেতু বিভাগ ইন্টার্নদের ভবিষ্যৎ সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন "ইন্টার্নরা সেতু বিভাগ এবং আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনের মাধ্যমে যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা তাঁদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং দেশের সেবাকর্মে তাঁরা নিজেদেরকে একজন সুনাগরিক ও দক্ষ কর্মী হিসেবে উৎসর্গ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি"।
এছাড়া, সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন ইন্টার্নরা তাঁদের ইন্টার্নশিপ সময়ে অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে উপস্থাপনা এবং বেশ কিছু সুপারিশও প্রদান করেন। ইন্টার্নশিপ সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আমার নিজ নামীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স পরীক্ষার মূল সনদ যার রোল- ২৮৬৭, পাশের সন- ১৯৭৬, বিভাগ- প্রাণীবিদ্যা, হল- ফজলুল হক এবং অনার্স পরীক্ষার মূল সনদ যার রোল- ৩৩৭২, পাশের সন-১৯৭৫, বিভাগ- প্রাণীবিদ্যা, হল- ফজলুল হক আমার বাসা থেকে হারিয়েছে। যা অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি। এই মর্মে গুলশান থানা, ডিএমপি-এর জিডি নম্বর- ১৭৭৪, তারিখ- ২৪/০৭/২০২৫ইং।
নুরুল ইসলাম
বঙ্গোপসাগরে আবারও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে চার বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে আজ বিকাল ৫টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী (ঘণ্টায় ৪৪–৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলাগুলোর পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিজনিত অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
নদীবন্দরের জন্য সতর্কতা
এদিকে, লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সাতটি অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫–৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সারাদেশের আবহাওয়ার কি অবস্থা?
সারাদেশের সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হতে পারে।
তাছাড়া, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এর প্রভাবে আজ রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময় ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে—তা কমতে পারে।
অন্যদিকে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুটি বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের করিমপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ((অ্যাডিশনাল এসপি) মো. মারুফ হোসেন হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে মাগুরাগামী একটি লোকাল বাসের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন নিহত হন।
তিনি আরও জানান, আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কানাইপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে বলেও জানান মো. মারুফ হোসেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব অস্বীকার করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেছেন, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেকেই না বুঝে এসব গুজব বিশ্বাস করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছে নেই। ঘটনার পরপরই কোনো পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত সাড়া দিয়েছে। যেমনটি সব সময় করে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি নিজে এবং আইএসপিআর টিম সরাসরি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।’
গতকাল বুধবার আইএসপিআর-এর পরিচালক গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আইএসপিআরের পরিচালক হিসেবে আমি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি- যে কোনো গণমাধ্যম চাইলেই এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। সেনাবাহিনীসহ যে কাউকে বা সংশ্লিষ্ট যে কোনো স্থান পরিদর্শন করতে পারে। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি। পাশাপাশি আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব।’