মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

দুর্নীতির ‘গুরুদণ্ড’: বেতন কমল উপসচিবের

সচিবালয়। দৈনিক বাংলা ফাইল ছবি
আপডেটেড
১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:১৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:১৪

একটি প্রকল্পের কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় একজন উপসচিবকে এক গ্রেড নিচের বেতনে অবনমনের সাজা দিয়েছে সরকার। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওএসডি উপসচিব মো. আখতার মামুনকে এই শাস্তি দিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক থাকাকালে প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সামগ্রী ও অফিস সরঞ্জাম কেনায় আর্থিক বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে সরকারি অর্থের অপচয় ও অতিরিক্ত ব্যয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ওই সাজা দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর উপসচিব আখতার মামুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু ওই নোটিশের জবাব না দেয়ায় অভিযোগ তদন্তে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা গত ২০ জুলাই আখতার মামুনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর এই কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে গত ২০ আগস্ট দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

এরপর গত ৩১ আগস্ট আখতার মামুন দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব দেন। তার লিখিত জবাব ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বেতন গ্রেড তিন বছরের জন্য অবনমনের গুরুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত চাওয়া হয়। সরকারি কর্ম কমিশন তাতে সম্মতি জানায়। এরপর তাকে তিন বছরের জন্য নিম্ন বেতন গ্রেড অবনমনের গুরুদণ্ড দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করলে আখতার মামুনের বেতন পঞ্চম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে নামিয়ে দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আখতার মামুন ষষ্ঠ গ্রেডের শুরুর বেতন স্কেল অর্থাৎ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকার ধাপে বেতন পাবেন। তিনি ভবিষ্যতে ওই মেয়াদের কোনো বকেয়া পাবেন না এবং ওই মেয়াদ ভবিষ্যতে বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না।


সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভেছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে। তিনি জানান, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়। এতে আগুন লাগার স্থানটি ভালোভাবে সিক্ত হয়। এর পরও আজ সকাল থেকে বনবিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন লাগার স্থান ড্রোনের মাধ্যমে পুনরায় পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেন। পর্যবেক্ষণে বনভূমিতে আগুনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা জানানো হয়েছে। ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সকাল থেকে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ড্রোনের মাধ্যমে সুন্দরবনের আগুন লাগা অংশের বনভূমি পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বনভূমির কোথাও আগুনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বনের অভ্যন্তরে পায়ে হেঁটে একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেও কোথাও কোনো আগুনের আলামত পাননি।

পরিদর্শনে দেখা যায়, আগুন লাগার স্থানগুলো বৃষ্টিপাতের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে পানিতে ভিজে গেছে। কোথাও কোথাও পানি জমে রয়েছে। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় সুন্দরবনের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের আওতাধীন বনাঞ্চলের আগুন নিভে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি যাচাইয়ের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের কাজ অচিরেই শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও বনরক্ষীরা ঘটনাস্থলে গেলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেদিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। ফলে রাতভর পুড়ে যায় বনেরও ওই অংশ। পরদিন ভোর থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও বনরক্ষীদের সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, টুরিস্ট পুলিশসহ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। আগুন সেদিনই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে পাতার মধ্যে আগুন লাগায় তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

পরদিন ভালোভাবে আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন হলেও আরও দুদিন বন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস। এই আগুনে কয়েক একর এলাকার বনভূমি পুড়ে গেছে বলে বনবিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।


বিদ্যুৎ বোর্ডের কাছে পাওনা ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি টাকা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) কাছে সরকারি, বেসরকারি, যৌথ উদ্যোগ, আমদানিসহ উৎপাদন কোম্পানি ও পিজিসিবির পাওনা সর্বমোট ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিক্রয়ের বিপরীতে এই বকেয়া বিল পাওনা রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

আজ মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিডিবির কাছে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে বিদ্যুৎ বিক্রয় বাবদ বিলের বিপরীতে ২৯ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। একই সময়ে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।

তিনি জানান, একই সময়ে যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত হতে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিভিন্ন কোম্পানির পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সরকার কর্তৃক বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিসমূহের ব্যাংকের নিকট দায় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ভর্তুকির বিপরীতে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

আহমদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রে খনিজ সম্পদ আহরণে নিলাম আবেদনে গেছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। এক্সন মবিল, শেভরনসহ ১৭টি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা টুডি জরিপের ফলাফল নিয়েছে। বুধবার তাদের সঙ্গে ফ্রি বিড মিটিং আছে। বিডিং প্রসেস আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তারা এসব জায়গায় থ্রিডি সার্ভে করবে, ড্রিল করবে। প্রায় ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরে ৭-৮ বছর পর সেখানে যদি গ্যাস, তেল থাকে উত্তোলন করা যাবে।

সংরক্ষিত মহিলা এমপি ফরিদা ইয়াসমীন তাঁর প্রশ্নে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শিল্প মালিকরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বলে জানান। একই সঙ্গে তিনি বাসা-বাড়িতে অপ্রতুল গ্যাস পাচ্ছে বলে জানান।

এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে দৈনিক উৎপাদিত গ্যাসের পরিমাণ হলো ১ হাজার ৭০০ ঘনফুট। আমদানি করা হয় ১ হাজার ১০০ ঘনফুট গ্যাস। প্রায় ৩ হাজার ঘনফুট গ্যাস লাইনে দেওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজন ৩৪০০-৩৫০০ ঘনফুট। এখানে ঘাটতি ৫০০ ঘনফুট।

তিনি বলেন, কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস পাচ্ছে না সেটা লিখিতভাবে জানান। কোন কোম্পানি গ্যাস পায় না এমন লিখিত অভিযোগ সরকারের কাছে আসেনি। সরকার চেষ্টা করছে সেখানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস রাখার জন্য। বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সমস্যা আছে। চাপের সমস্যা আছে। সে কারণে বিকল্প এলপিজি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দিচ্ছি না বা দেব না। সরকারের উদ্দেশ্য হলো পাইপলাইনের গ্যাস শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। এলপিজি বাসাবাড়ি, গাড়িতে ব্যবহারের পরিকল্পনা ভবিষ্যতে সরকারের রয়েছে।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকলেও বৃহত্তর ময়মনসিংহে সমস্যা হচ্ছে। কারণ সেখানে গ্যাসের স্বল্পতা। জামালপুরের দুটি বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট বন্ধ আছে। একটি টাকার কারণে এলসি খোলা যাচ্ছে না। আরেকটি অন্য কারণে বন্ধ আছে বলে জানান তিনি।

২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুতের লোকসান ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ

ফেনী-২ আসনের সরকারদলীয় এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকসান ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ২৯ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আয় ৩১ হাজার ২৪৮ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ৩১ হাজার ৭৭১ কোটি ৯১ লাখ ৪ হাজার ৪৪৭ টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মুনাফা হয়েছিল ৫০ কেটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এই সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আয় হয়েছিল ২৮ হাজার ৭১৫ কোটি ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৬ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ২৮ হাজার ৬৬৫ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৯ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরের লোকসানের মূল কারণ হিসাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুচরা মূল্যহার পাইকারি মূল্যহারের চেয়ে কম হওয়া। ভবিষ্যতে মূল্য সমন্বয় হলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহ লোকসান থেকে মুক্ত হবে।

সরকারদলীয় এমপি আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬৯টি অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।

সরকারদলীয় এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে কয়লাভিত্তিক ৪ হাজার ৮৫৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে চালু আছে। প্রতিবেশী ভারত হতে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ৩ হাজার ৭০১ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।


‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে আইওএম’

বনানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশের রাজধানীতে আয়োজিত হলো।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আইওএমের মহাপরিচালক এমি পোপ ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধ্বনাত্মক দিকের কথাও তুলে ধরেন। এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণ-ভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার এক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএমের মহাপরিচালকের বৈঠক

এর পরপরই প্রকাশনা অনুষ্ঠানস্থলে পৃথক কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালযয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে আইওএম মিশনপ্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।


চাল, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবদক

চাল, শাকসবজি, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ-এ ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গোলটেবিল আলোচনায় আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অব্যাহত কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে ২০০৯ সাল থেকে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে এবং কিছু শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে। কৃষি খাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদান, গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এখন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাব ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বা ভ্যালু চেইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় ফসল তোলার পর অনেক অপচয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষি খাত আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কৃষি উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন ও কৃষি ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশের কৃষি খাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এতে সহযোগিতা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতের ২০০-এর বেশি প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কৃষি খাতকে ঝুঁকিমুক্ত, টেকসই, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য রেন্স বোচওয়াল্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের কৃষিতে ফসলের আরও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এবং গবেষণায় দক্ষতার ঘাটতি পূরণ- এই চারটি বিষয়ের ওপর আলোচনা সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।


অংশীদারত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘আধুনিক অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও অভিবাসন অংশীদারত্ব জোরদারের’ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান আজ মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সফরকালে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং অন্যান্য সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, অভিবাসন, অর্থনৈতিক সংস্কার ও নিরাপত্তাসহ অগ্রাধিকার খাতগুলোতে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফরে তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।

বৈঠকে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অভিবাসন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যবসায়ী নেতা, মানবিক নেতা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন এবং নাগরিক সমাজের সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের গুরুত্বকে তুলে ধরবেন।


ফের বাড়ল হজ ভিসা আবেদনের সময়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের ভিসার কাজ শেষ না হওয়ায় আবেদন করার সময় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১১ মে পর্যন্ত হাজিরা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।

তিনি জানান, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হাজিদের জন্য ভিসা আবেদনের সময় ১১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

এদিকে, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে সৌদি আরব যাবেন এবং সঠিক সময়ে ভিসা হবে।

গত ২৯ এপ্রিল ছিল হজ ভিসা আবেদনের শেষ সময়। কাঙ্ক্ষিত ভিসা আবেদন না হওয়ায় প্রথম দফায় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসার আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলেও দ্বিতীয় দফায় ফের সময় বাড়ানো হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজি হজ পালন করবেন।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। আর আজ বুধবার হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে সৌদি আরব যাবেন এবং সঠিক সময়ে ভিসা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভিসা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই ইনশাল্লাহ। এটা যে যেভাবে বলুক, আমাদের ফ্লাইট যখন যেটা চালু হচ্ছে, আমাদের হজযাত্রীরা টিকিট নিচ্ছেন, ভিসা নিচ্ছেন, কোনো সমস্যা নেই।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন, এতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা নির্দ্বিধায় এটা চালিয়ে নিতে পারব, সে সুযোগ আমাদের আছে।

তিনি বলেন, আমরা কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। আমরা সঠিক সময় আমাদের সব কাজই করতে পারব ইনশাল্লাহ। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হজযাত্রী নেওয়ার দায়িত্ব সৌদি আরব সরকারের। ভিসা দেওয়ার দায়িত্বও তাদের। তারা যদি হজযাত্রী না নিতে পারে ব্যর্থতা তাদের। তবে আমি এটুকু বলতে পারি আমাদের পক্ষ থেকে এবং সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সব হজযাত্রী সঠিক সময়ে যাবে, সঠিক সময়ে ভিসা হবে ইনশাল্লাহ।

চলতি বছর ৮৩ হাজার হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ২২৮ হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। সে অনুযায়ী শিডিউল ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার।

চুক্তি অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৮ হাজার ৮৩৫ জন হজযাত্রী বহন করবে। সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ার বাকি হজযাত্রী বহন করবে।


কোনো শিশু অবহেলিত থাকবে না: ডেপুটি স্পিকার

ছবি:সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রতিটি শিশুকে উন্নত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সব ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে কোনো শিশুই অবহেলিত থাকবে না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, রুমা চক্রবর্তী, লায়লা পারভীন, অণিমা মুক্তি গোমেজ এবং আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রমুখ।

শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও শুধু আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে তাদের গৃহকর্তার সন্তানের মতো বিবেচনা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে বিধিমালা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিশু সুরক্ষা, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ও নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে কর্মক্ষম মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছে সরকার।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান। এএসডির কর্মসূচি পরিচালক হামিদুর রহমানের সঞ্চালনায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ফাতেমা খাইরুন্নাহার, ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার জামাল উদ্দিন, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, লেবার ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিতু খাতুন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তাহেফা সামিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিষয়:

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরে ১৬০ দেশের মানুষ: জাহাঙ্গীর কবির নানক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে পোশাকশিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ মেইড ইন বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশই নয়, নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারী দেশও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা আমাদের দেশে।’

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) হল-৪ এ আয়োজিত ১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশ নয়- সারা বিশ্বের ডেনিম মেলাগুলোর মধ্যে প্রশংসনীয় আয়োজন এটি। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশ থেকে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ দেশে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এ দেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।’

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোশাক ক্রেতাদের আমি অনুরোধ করব, পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডেসটিনেশন হিসেবে নেবেন। পোশাকের যথাযথ মূল্য আপনারা দেবেন। আফ্রিকার কোন নন কমপ্লায়েন দেশের পোশাকের তুলনায় এ দেশে পোশাকের মূল্য একটু বেশি হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস। তারা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই পোশাকশিল্পকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান কচি, এইচএন্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপীয়র আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমান প্রমুখ।


গাবতলীতে হবে মাল্টি মোডাল বাস টার্মিনাল: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সংবলিত ‘মাল্টি মোডাল’ স্টেশনে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৭১-‘ক’ বিধিতে ঢাকা-১৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের উত্থাপন করা লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘গাবতলী বাস টার্মিনালটি আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে এখানে নিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ যানজটের কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যদি গাবতলী টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করা হয়, তাহলে এসব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী, তা জানতে চাই।’

জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালটি যে স্থানে অবস্থিত, সেখানে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অধীনে নর্দান রুটে গাবতলী পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য বর্তমান অবস্থান থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ১২ দশমিক ৮০ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। নতুন অস্থায়ী টার্মিনালটি ৬ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের। সেই সঙ্গে ২৬০টি গাড়ি রাখার জন্য ডিপো নির্মাণ করা হবে।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সংবলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে গাবতলী বাস টার্মিনালকে সিটি বাস টার্মিনালে রূপান্তর করা হবে এবং হেমায়েতপুরে আধুনিক আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।


তুরস্ক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ টিসিজি কিনালিয়াদা। আজ মঙ্গলবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছলে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম আসাদুজ্জামান জাহাজটিকে স্বাগত জানান। ওই সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে।

জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, সফররত জাহাজটিতে কর্মকর্তা ও নাবিকসহ ১৫২ জন সদস্য রয়েছেন। সফরকালে জাহাজটির অধিনায়ক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ অন্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালীন সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা চট্টগ্রামে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও স্থাপনাসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন।

তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজের চট্টগ্রাম সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ৯ মে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।


বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৯:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় ঢাকায় আসবেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র-সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে লুর ঢাকা সফরের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৬ মে ঢাকা সফর করতে পারেন লু। তিনি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসবেন।

সূত্রটি আরও জানায়, গত মাসে ডোনাল্ড লু ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে তার ঢাকা সফরের আগ্রহের কথা জানান। চলতি মাসের শুরুর দিকেও লুর ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে ঠিক কবে নাগাদ লুর সফর হবে, তা চূড়ান্ত ছিল না।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডোনান্ড লুর সফরে সম্পর্ক বিস্তৃত করার বার্তা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সবশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।


জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা দিন: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: সংগৃহীত



মানবাধিকার সমুন্নত রেখে জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা দেওয়ার জন্য নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) প্রবেশনারদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। আগামী দিনের পুলিশিং হবে জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক মানবিক পুলিশিং। এ পেশায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীতে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণে আপনারা অপরাধ মোকাবিলার আধুনিক কলাকৌশল, অপরাধ দমনে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করবেন। উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য কঠোর অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আপনাদেরকে গভীরভাবে প্রশিক্ষণে মনোনিবেশ করতে হবে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, বর্তমানে অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনারা অপরাধ উদ্ঘাটন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণে সচেষ্ট থাকবেন।

আইজিপি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নতুন নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে, পুলিশের জনবল বাড়ানো হয়েছে, পুলিশের প্রশিক্ষণ আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত আইজিপিসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে ১০০ জন কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী।


‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট এনআইডি পেলেন রাষ্ট্রপতি

বঙ্গভবনে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে নির্বাচন কমিশন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত ‘স্মার্ট এনআইডি’ কার্ডটি (জাতীয় পরিচয়পত্র) তার কাছে হস্তান্তর করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, পরিচয়পত্র প্রদানকালে ইসির সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, এখন থেকে পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এই নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময়ই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানি ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।’

ওই সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


banner close