রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

গাঙচিল বাহিনীর প্রধান রুহুল আমিন গ্রেপ্তার

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার গাঙচিল বাহিনীর প্রধান রুহুল আমিন ওরফে লেদু। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:২৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:২৪

গাঙচিল বাহিনীর প্রধান ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিন ওরফে লেদুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। দীর্ঘ ১০ বছর পালিয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরার হাউজবিল্ডিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. মাজহারুল ইসলাম শুক্রবার দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মাজহারুল ইসলাম জানান, ২০০০ সাল থেকে সাভারের আমিন বাজার ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে গাঙচিল বাহিনীর উত্থান হয়। যার প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাশে একক অধিপত্য বিস্তার করেছিল এই বাহিনী। আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর এই সন্ত্রাসী ডাকাত দলের নেতৃত্বে আসেন রুহুল আমিন ওরফে লেদু। তার নেতৃত্বে গাঙচিল বাহিনীর সদস্যরা আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তারা। ২০১২ সালে শাহ আলী থানার বশির উদ্দীন বসু হত্যা মামলায় আদালত রুহুল আমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রুহুল আমিন স্বীকার করেছেন, তিনি বশির উদ্দীন বসু হত্যা এবং ৫টি ডাকাতিতে সরাসরি জড়িত। গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন পরিচয়ে গাজীপুর, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, রামপুরা ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন।

আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের সহকারী পরিচালক।


‘কোরবানিতে এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান দেওয়া হবে’

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করছেন মৎস‌্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন কোরবানির সময় এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু জোগান নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস‌্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। আজ রোববার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমাদের এক কোটি ২৫ লাখ গবাদি পশুর আমদানি ছিল। এর মধ্যে অবিক্রিত ছিল ১৯ লাখ। এবার কোরবানির সময় এক কোটি ৩০ লাখের বেশি গবাদিপশুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উৎসবের দিন সামনে আসছে। এ সময়ে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ও মতলববাজরা পুরো ব্যাপারটা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আগামী কোরবানি ঈদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। গবাদিপশুর ঘাটতি নেই।’

তিনি বলেন, ‘মধ্যস্বস্তভোগীদের যে বাড়াবাড়ি থাকে সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। গবাদিপশুর বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে, দাম যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়গুলো নিয়ে প্রস্তুতিমূলকভাবে খামারি ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খামারিদের আশ্বস্ত করেছি গবাদিপশু আমদানি করার কোনো কারণ নেই। গরু আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। দেশে খামারি ভাইয়েরা গবাদিপশু উৎপাদিত করেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেও হয়, সেটিই যথেষ্ট।’

তিনি বলেন, ‘কোনো অপ্রতুলতা নেই। সবমিলিয়ে আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা সবই ঠিক আছে। বাজার যেন অস্থিতিশীল না হয়, সেই বিষয়ে আমাদের আয়োজন ও প্রস্তুতি আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির সময় সময় মধ্যস্বস্তভোগী ও বিশেষ শ্রেণির মানুষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কোরবানির আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করব, যেন এ জায়গাটি সঠিকভাবে অ্যাড্রেস করা যায় এবং পথে পথে ঘাটে ঘাটে যেনো চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।’

বিষয়:

দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়াল পদ্মা সেতুর টোল আদায়

পদ্মা সেতুতে ওঠার জন্য টোল দিচ্ছে যানবাহন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

গত বছরের ২৬ জুলাই থেকে এ বছরের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট তিনশ সাত দিনে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা। এই সময়ে সেতু দিয়ে মোট যানবাহন চলাচল করেছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি।

তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায়ের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দিন থেকে গতকাল শনিবার রাত ১১ টা ৫৯ পর্যন্ত সেতুর উভয়প্রান্ত দিয়ে চলাচল করে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যানবাহন। যা থেকে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা। এরমধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসের ৯ এপ্রিল পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।’

গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ জেলা রাজধানী ঢাকা এবং বাকি অংশের সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হয়। উদ্বোধনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরদিন ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়। পদ্মা সেতুতে প্রথম দিনে ৫১ হাজার ৩১৬টি যান চলাচল করে। সেসব যানবাহন থেকে ওই দিন টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।


থাইল্যান্ড সফর শেষে কাল দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষ করে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল সকালে (স্থানীয় সময়) ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।’

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে এখানে আসেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়। তার এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করা হয়েছে কারণ এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দেবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা যোগাবে। সরকারী এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এই গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হববে।’

২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়। নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়।

নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি সকল বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহবান জানান, কেননা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।

তিনি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সংলাপ শান্তি আনতে পারে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা ও ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রাণী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আবারও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

নতুন করে সারাদেশে আবারও ৭২ ঘন্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ সকালে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টা অর্থাৎ ১ মে সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে তিন দফায় ৭২ ঘন্টা করে তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করলো সংস্থাটি।


প্রভাব খাটালেই এমপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো দলীয় প্রভাব খাটানোর তথ্য প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংসদ সদস্যরা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন, ভোট দিতে পারবেন কিন্তু কোনো প্রচার করতে পারবেন না। এমপি-মন্ত্রীদের জনসভার একই মঞ্চে প্রার্থী উপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শনিবার দুপুরে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফরের সভাপতিত্বে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখবেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তবে তথ্য গোপনের কোনো অভিযোগ নির্বাচন কমিশন পাননি। ভোটারদের উপস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সচেতনতামূলক প্রচারসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং নারী ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে একটা জাল ভোট পড়লেই সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ নির্দেশনা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আগামী ৮ মে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। অবাধ নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এর আগে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করেন। গতকাল শনিবার সকালে বৈঠকটি হয়।

ইসি হাবিব বলেন, যদি ভোটকেন্দ্রে কেউ অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বা স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটায় তাহলে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ভোট কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর যদি এর থেকেও শক্তিশালী ঘটনা ঘটে- যেমন ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান, ভেগে যান কিন্তু কোনো প্রকার সহিংসতাকে গ্রহণ করা হবে না। পরিষ্কারভাবে এ নির্দেশনা সবাইকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, এটা আপনারা এর আগেও দেখে এসেছেন, যা সবার সহযোগিতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি। প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বিবেক এবং ইমানের ওপর নির্ভর করে সঠিকভাবে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। তাদের সাংবাদিকদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের থার্ড আই এবং ইয়ার হিসেবে কাজ করছে। তারা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় তারাই পাবে যারা দুই নম্বর, ধোঁকাবাজ এবং অন্যায়ের সাপোর্টকারী।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা যখন ঢুকবে, তখন অনুমতির দরকার নেই। কেন্দ্রে ঢুকে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবে। তারপর তিনি নিয়মানুযায়ী যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন এবং ছবি ও ভিডিও নিতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও ক্যামেরা ধরে রাখা যাবে, শুধু লাইভটা ভোট কক্ষের বাইরে দেবে।

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কৃত

ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আর তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুরের শ্রীবরদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই কারণে গত শুক্রবার সারা দেশে ৭৩ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। সব মিলিয়ে দুই দিনে ৭৬ জন নেতাকে বিএনপিচ্যুত করা হলো।


তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে

চার দফায় আবারও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। টানা এত গরম দেশবাসী শেষ কোন বছর দেখেছেন মনে নেই। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহের রেকর্ড পরিমাপ করেছে আবহাওয়া অফিস। চলতি এপ্রিল মাস গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল বাংলাদেশে। আজ রোববার এবং আগামীকাল সোমবার এই দুই দিনের জন্য আবহাওয়া অফিস দুঃসংবাদ দিয়েছে। এই দুই দিন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ গতকাল শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার (৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা খুবই বেশি আগামী ২৮ ও ২৯ এপ্রিলের যেকোনো দিন। সম্ভাব্য জেলা: চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, পাবনা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।’

এর আগে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলতি এপ্রিল মাসে টানা যতদিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত রোগে এবার অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর যে রেকর্ড হয়েছে, তাও অতীতে কোনো সময় হয়নি।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল তৃতীয় দফায় তিন দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই হিট অ্যালার্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। সিলেট অঞ্চল বাদে সারা দেশে আজ রোববার থেকে চতুর্থ দফায় ফের তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতীতে ব্যাপ্তিকাল কম থাকায় তাপপ্রবাহ বড় সমস্যার কারণ হয়ে ওঠেনি। আগামী বছরগুলোতে ক্রমান্বয়ে তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল ও প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ৪৩ বছরের মধ্যে যশোরে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি দিন ঘটেছে। এর পরই আছে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গা।

এদিকে ৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে কালবৈশাখী। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে দেশে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে।

এই গরমে চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে- জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঘরের বাইরে বের না হওয়া, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই সময়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে খোলা আকাশের নিয়ে অবস্থান করতে না করেছেন। যেকোনো সময় হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

দৈনিক বাংলার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির দেওয়া তথ্যমতে, গতকালও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতিতীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

জেলায় তীব্র থেকে অতিতীব্র আকার ধারণ করছে তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। তীব্র থেকে অতিতীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে জেলার মানুষ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান ওমর ফারুক।

তিনি আরও বলেন, আপাতত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি থাকবে। পাশাপাশি আজ রোববার চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলও বৃষ্টির আওতায় আসতে পারে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

চিফ হিট অফিসারের পরামর্শেই কাজ করছে ডিএনসিসি

চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিন আমাদের যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী দাবদাহ মোকাবিলায় কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।

বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আগারগাঁওয়ের সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এসে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাব ছেড়ে পানি পান করান। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে তিনি নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভেজেন এবং তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, দুটি স্প্রে ক্যানন যেগুলো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করে এগুলো প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে। এ ছাড়া ডিএনসিসির পার্কগুলোয় স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোয় কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে বর্তমানে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনা মূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারেন।


শেখ জামালের জন্মদিন আজ

আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমা বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকস-মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ডপ্রাপ্ত অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নৃশংসভাবে খুন হন শেখ জামাল।

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।


‘হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো- তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না, এ বিষয়ে আমি ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে খোঁজ নিতে বলেছি। এরই মধ্যে অনেক ডাক্তারকে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। এ সময় বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই সব সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেওয়া আছে, এখন সাধারণ রোগী ভর্তি না করে সিট ফাঁকা রাখার জন্য। যাতে দাবদাহে আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায়।

তিরি আরও বলেন, ডাক্তার সংকট একদিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে।

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। পরে তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজম, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শংকর কুমার ঘোষ, অধ্যক্ষ ডা. অমল চন্দ্র পাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস প্রমুখ।


দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় আইন করা হচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী 

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় দেবোত্তর সম্পত্তি আইন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত দুটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ শনিবার জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে বিংশতি (২০) সহস্রাধিক কণ্ঠে ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক রংপুর বিভাগীয় পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শিক্ষাদান সংঘ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, সাবেক সংসদ সদস্য ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোরঞ্জন শীল গোপাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল ও ভারতের বিবেকানন্দ মিশনের অধ্যক্ষ ড. মানস ভট্টাচার্য। নারায়ণ চন্দ্র বলেন, বৈচিত্র্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই দেশের ঐক্যের প্রেরণা নিশ্চিত করে। এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের বৈচিত্র্যেময় সৌন্দর্যকে আরও শক্তিশালী করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য এই অনুষ্ঠান অপরিসীম সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে শান্তিপূর্ণভাবে পূজনীয় গীতা পাঠ করে এত বড় সমাবেশ প্রত্যক্ষ করা ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সহনশীলতা, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এর আগে মন্দির কমপ্লেক্সে এসে কান্তজিউ মন্দির ভবন পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী।


শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন। এ সময় সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেনাপ্রধান মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচ উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে ৩১টি ব্যাংক দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আর্মি স্টেডিয়ামকে রঙিন সাজে সাজানো হয় এবং ৩১টি ব্যাংক দলের মার্চ-পাস অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪-এর আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব, বিএবির সদস্য ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর।


দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি: সিআইডি প্রধান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ‘ফরেনসিকের বিষয়ে বিশেষায়িত শিক্ষার জন্য আমাদের দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাউথ এশিয়ার মধ্যে শুধু ভারতে আছে। আমরা চেষ্টা করছি ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার জন্য। ফরেনসিকের ওপর আপাতত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা এখন সময়ের দাবি। ঢাবির বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি, সহসা এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’

শনিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সিআইডিপ্রধান বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারাজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।

মেধাস্বত্ব পাচার, পাইরেটস বই পাচার হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিকার কী বা সিআইডি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে- সেমিনারে ঢাবির এক শিক্ষার্থী জানতে চাইলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সিআইডিপ্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আমাদের আছে। মানিলন্ডারিং আইনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত কপিরাইট-সংক্রান্ত ধারা আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে বা অভিযোগ করা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সাধারণত এ সংক্রান্ত মামলা থানায় হয় না। এ সংক্রান্ত মামলা আদালতে হয়।’


অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৫০
বাসস

মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী দীপক বালগোবিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গতকাল শুক্রবার মরিশাসে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। গতকাল শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, বাংলাদেশে মরিশাসের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা এবং মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মরিশাসে একটি স্পিনিং মিল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার-বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য গত ২২ এপ্রিল মরিশাস যান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি মরিশাসে অবস্থান করছেন।


তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে: স্পিকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিরীন শারমিন চৌধুরী শনিবার সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্নির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে। প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মতো প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এ দেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।

ওই সময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


banner close