শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সাগর-রুনি হত্যায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:০৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:০৮

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো কেনো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন না হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এ ছাড়া এ ঘটনায় ৯৫ বারেও কেন তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলো না, এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘মানবাধিকার ও সুরক্ষায় গণমানুষের প্রত্যাশাঃ গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সমন্বিত প্রয়াস’ শীর্ষক এক সেমিনারে ফরিদা ইয়াসমিন এ কথা বলেন।

এ সময় সেমিনারে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের প্রচলিত কোনো আইন যদি স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায় হয়, তাহলে তা পরিবর্তনের জন্য সকলের উদ্যোগ নেয়া দরকার।

ডিজিটাল আইনের ব্যাপারে কমিশন সচেতন জানিয়ে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এর জন্য অপেক্ষা করছি। প্রয়োজনে আমরা এ বিষয়ে কথা বলব। কমিশন ডিজিটাল আইনের ব্যাপারে সচেতন।

এ সময় ব্যক্তি, পরিবার ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় বলে মন্তব্য করেন বেসরকার উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ। তৃণমূল পর্যায়ে নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে উল্লেখ করে কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, এই নির্যাতন বন্ধে কমিশন কাজ করতে পারে। প্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

পাশাপাশি তিনি কমিশনকে প্রতিটা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ এবং মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের অবৈতনিক সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. তানিয়া হক, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, দৈনিক প্রথম আলোর সোহরাব হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, এবি নিউজ ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায়।

বিষয়:

যুবলীগের রাজনীতি নিপীড়িত মানুষের স্বার্থে: শেখ পরশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘যুবলীগ সর্বদা নিপীড়িত মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করে। তাই আজকে যখন তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের কষ্ট হচ্ছে, তখন আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে নেই। আমাদের নেত্রী সেই শিক্ষা দেয়।’

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের জন্য ঢাকা মহানগরীর ৩৫টি স্থানে একযোগে সুপেয় পানি সরবরাহ ও সচেতনতামূলক লিফলেট এবং কয়েকশ ছাতা বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ফার্মগেট (আনন্দ সিনেমা হল সংলগ্ন) স্থানে কর্মসূচির উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজেল শামস্ পরশ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদেরকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন সুপেয় পানি দিয়ে, আপনাদের তৃষ্ণা মিটাবার জন্য, আপনাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য। তেমনি তিনি বিশ্ব দরবারে শান্তির দূত হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। তিনি গাজায় নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অধিকারের কথা বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছেন। তিনি যুদ্ধ বন্ধের জোর দাবি তুলেছেন এবং সকল যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তাই শেখ হাসিনা মানবতার নেত্রী। তিনি বলেছেন যুদ্ধে যা খরচ করা হয় তা যদি পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা হয় তাহলে মানুষের অনেক মঙ্গল হয়।’

শেখ হাসিনা রাষ্ট্র দায়িত্বে আছে বলেই হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলার ইতিহাসে আওয়ামী লীগই একমাত্র স্থিতিশীল, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম রেখেছে। গত ১৫-১৬ বছরে ধারাবাহিকভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সব অপচেষ্টা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিহত করেছি। বর্তমান সরকার স্থিতিশীল বলেই দেশে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন হয়েছে, বিস্ময়কর উন্নয়নমূলক অর্জন সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার মতো একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন বলেই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে সমীহ অর্জন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বে শেখ হাসিনার সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য প্রশংসা পাচ্ছে। গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল পরিবেশ বিদ্যমান আছে বলেই আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলের মতো মেগা প্রজেক্ট সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে।’

সুপেয় পানি ও লিফলেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।


মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশ শিক্ষা ছাড়া উন্নতি করতে পারেনি। উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাই একটি জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। যেকোনো দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আজ শুক্রবার শেরাটন হোটেল, বনানী ঢাকায় ‘স্টাডি ইন মালয়েশিয়া-এডুকেশন ফেয়ার, বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক সময়ের দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, লোডশেডিংয়ের বাংলাদেশ আজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করায় দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন অর্জনে দক্ষ ও স্মার্ট মানব সম্পদ অপরিহার্য। সে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাই আমাদের অগ্রসর করবে।’

উল্লেখ্য, এই শিক্ষা মেলায় মালয়েশিয়ার খ্যাতিমান ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি হসপিটাল গ্রুপের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছে। এই শিক্ষা মেলার ফলে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বিনিময় ও সহযোগিতার সেতুবন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।


মাদক রোধে মরিশাসে সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলাবিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গত বৃহস্পতিবার মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টে এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

মরিশাস আয়োজিত সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ ও আন্তসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার ও সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ওষুধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো, সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি ও আন্তসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত ও ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্র করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি ও কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো, ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা ও নবায়ন, আইনি কাঠামো ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি ও জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হয়।


‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে’

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আজ শুক্রবার তার দপ্তর গভর্নমেন্ট হাউসে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের বাণিজ্য ও বিনিযোাগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগ এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।’

এর আগে দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেন এবং তারপর তারা সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেখানে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। এসবের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্বারক এবং একটি আগ্রহপত্র রয়েছে।

মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগসহ বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন এবং তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এবং দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে আরো উৎসাহিত করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে, আমাদের অবশ্যই দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের প্রচার ও সুবিধার্থে আমরা অবশ্যই সকল প্রচেষ্টা চালাবো।’

তিনি বলেন, ঢাকা ও ব্যাংকক আজ যে সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে তা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো দাঁড় করানোর সুযোগ করে দেবে।

তাঁর সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ সফর ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ যা দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরো নবায়ন করার একটি চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি প্রদান করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতিকে ধরে রাখতে হবে।’

মধ্যাহ্নভোজ সভায় যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।


২ মে থেকে সারা দেশে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২ মে থেকে পরবর্তী কয়েকদিন সারাদেশেই বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলমান তাপদাহ এপ্রিলের বাকিটা জুড়ে চলবে। ঢাকাসহ তাপদাহ চলমান এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে, মে মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের আকাশে মেঘের উপস্থিত বাড়বে এবং ২ মে থেকে সারা দেশে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তখন গরমের তীব্রতা অনেকটাই কমে আসবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চলমান হিট অ্যালার্ট ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং তা বাড়তে পারে মে মাস পর্যন্ত।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ওঠে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি।

এদিকে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙলো চুয়াডাঙ্গা। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে জেলা ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।


দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা বিনিয়োগে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:১৪
ইউএনবি

বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণের প্রস্তাবও দিয়েছি।’

আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেতা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি- ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), সই করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দু'দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।’

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সুস্থ দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) আশ্বস্ত করেছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করার ও শুধুমাত্র থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’

উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু'দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করেছেন।

কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য এরই মধ্যে দুই দেশের একটি চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, থাই ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা ও ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনাময় অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে সই করা জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হচ্ছে দ্বিতীয় নথি।’

শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সেরা পর্যটন পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।’

তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করেছে।

সমুদ্রপথে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই পক্ষ রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ 'ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প' বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।’

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেন।

চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বিমস্টেক ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।’

তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে থাভিসিন তাকে স্বাগত জানান এবং তারপর থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান।


থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে আজ শুক্রবার সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী এক জমকাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাঁকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’নেতা দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। এরপর কিছু ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে সই হবে। দুই নেতা একান্তেও বৈঠক করবেন।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।

গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছান।


নতুন হিট অ্যালার্ট জারি

রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন করে দাবদাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে। তারা বলেছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশে চলতি মৌসুমে গত কয়েক দিন ধরে টানা তীব্র গরমের মধ্যে গতকাল চতুর্থ দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন প্রায় ৪৫টির মতো জেলার ওপর দিয়ে এই দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রায়। দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে তীব্র ধরনের দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা আর খুব একটা বাড়বে না, যদিও গরমও খুব একটা কমবে না। তবে এবারের দাবদাহের পর একটু একটু করে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

বাংলাদেশে সাধারণত কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে, সেটিকে মৃদু দাবদাহ বলে থাকেন আবহাওয়াবিদরা। এ ছাড়া তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে, সেটিকে তীব্র দাবদাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তখন তাকে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

বাংলাদেশে এবার যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলার ওপর দিয়ে গত কিছুদিন ধরে অতি তীব্র দাবদাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রায় রেকর্ড হয়েছে মোংলায়, ৪১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশে এর আগে, ২০২৩ সালকে বাংলাদেশের উষ্ণতম বছর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। ওই বছর একটানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দাবদাহ চলার রেকর্ড হয়েছিল। ফলে এ নিয়ে পরপর দুই বছর প্রায় একই ধরণের দাবদাহের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বৃষ্টি কবে হবে

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, নতুন করে তিন দিনের হিল অ্যালার্ট জারি হলেও আবহাওয়া বিভাগ আশা করছে চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। ২৯ তারিখের দিক থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তাতে আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি ভালোই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, যদিও চলতি সপ্তাহের শেষ থেকে বৃষ্টি হলেও তাতে তাপমাত্রা কতটা কমে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ সাধারণত পূর্বাঞ্চল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে তা খুব একটা গরম কমায় না।

বজলুর রশীদ বলেন, বৃষ্টিপাত পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু হলে সেটি দ্রুত আবহাওয়া ঠাণ্ডা করতে শুরু করে কিন্তু এবার বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দিয়ে। ফলে দ্রুতই গরম খুব একটা কমবে না। তবে তাপমাত্রা আর বাড়বে না এটি বলা যায়।

সতর্কতা

হিট অ্যালার্টের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ আজ শুক্রবার এবং তৃতীয় দিনে আগামীকাল শনিবারও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি, ঝড়ো বৃষ্টি কিংবা শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতকাল থেকে প্রথম দুদিনে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা থাকলেও তৃতীয় দিনে গিয়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

তিন দিনেই জলীয় বাষ্পের কারণে অস্বস্তিভাব থেকেই যাবে অর্থাৎ গরম খুব একটা কমবে না। তবে এ তিন দিনের দাবদাহের পরেই দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে যা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।


‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ এ অঞ্চলে ‘দায়িত্বশীলতার সঙ্গে’ ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হয়ে উঠুক এবং বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য ইস্যুতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে সক্ষম হোক।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আইপিএস এক্সপার্ট ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘কয়েক বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে এবং সেই প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ সরকার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস)কে বাংলাদেশের নিরাপত্তা উদ্বেগ সমাধানে সহায়তা করতে আমাদের এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখবে।’

আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) এবং বাংলাদেশের জন্য এর প্রভাব’ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মার্কিন এই বিশেষজ্ঞ বলেন, একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা তাদের বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি দিক মাত্র।

মার্টিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক আমাদের দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বারা চালিত। এটি ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয় না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে চাই। আমরা সব সময় বলে আসছি, বাংলাদেশ সরকার যত দ্রুত এগোচ্ছে আমরা তত দ্রুত অগ্রসর হতে প্রস্তুত এবং এই আলোচনা অব্যাহত রাখব।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল এবং সাধারণভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে দেখেন।

আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি না। গণমাধ্যম ও কিছু লোকজনের মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমরা মাঝে মাঝে শুনি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে দেখে। আমি মনে করি এটি সত্য নয়।’

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে অভিন্ন স্বার্থ ও দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখেন।

মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বর্ধিত ও নবায়নযোগ্য সম্পৃক্ততা অবশ্যই ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও উন্মুক্ত অঞ্চল নিশ্চিত করতে, সমৃদ্ধ করতে, সংযোগ তৈরি ও আগাম নির্ভরতা বাড়ানোসহ নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়।

আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা এসব বিষয় ঠিক করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকব এবং পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অংশীদারত্বের সুস্পষ্ট সুযোগ তৈরি করব।’

তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল একটি ‘ইতিবাচক ও প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি। এটি পাঁচটি সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তঃসংযুক্ত স্তম্ভ নিয়ে গঠিত।’

একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিকের প্রচারের জন্য নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত এবং বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা এসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখছেন।

মার্টিন বলেন, আইপিএস চীনকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে নয়, এটি কেবল একটি দৃষ্টিভঙ্গি। সেই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এই অঞ্চল কেমন হওয়া উচিত এবং অঞ্চলটি কীভাবে অবাধ ও উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, সংযুক্ত এবং সহনশীল হওয়া উচিত এবং কীভাবে এটি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের জনগণ ও দেশগুলোকে উপকৃত করতে পারে তারা সেটি উপলব্ধি করে।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের চীনবিষয়ক নীতি আছে। এটি ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি থেকে পৃথক এবং বিনিয়োগ, সারিবদ্ধকরণ ও প্রতিযোগিতার সঙ্গে সম্পর্কিত। চীন এই অঞ্চলে একটি প্রধান নেতৃত্বদানকারী দেশ।’

আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, তারা মানুষকে ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল কী- তা বোঝাতে চান, কারণ কখনো কখনো এটি সম্পর্কে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।


প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি উচিত নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা।

আজ বৃহস্পতিবার সাভারের ব্রাক সিডিএমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এসইডিপির কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়ত কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

‘এখন সময় এসেছে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি। এই কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় পূর্বের তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে; আগামীতে আরও বাড়বে’- যোগ কলে বলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

শামসুন নাহার চাঁপা আরও বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব... মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে উদ্বেগ রযেছে, আমাদের সবাইকে এই নতুন ভাবনার সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের দাবদাহের খবর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে চলমান তীব্র দাবদাহের খবর উঠে এসেছে শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। প্রচণ্ড গরমে দেশের মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের তাপপ্রবাহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের দাবদাহ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির শিরোনাম, ‘প্রচণ্ড তাপে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর স্কুল বন্ধ’। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। স্কুল-কলেজগুলো ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিপাইন ও ভারতও।

বিবিসি বলছে, জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দাবদাহ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। ‘অস্বস্তি বাড়তে পারে: এশিয়ার তাপপ্রবাহে পুড়ছে কোটি কোটি মানুষ’ শিরোনামে প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বলেছে, এপ্রিল মাসে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আবহাওয়া সাধারণত গরম থাকে। তবে এ বছর তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।

দাবদাহের ভয়াবহতা তুলে ধরতে নিউইয়র্ক টাইমসে এক রিকশাচালকের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। নূর-এ-আলম নামের ওই ব্যক্তি ঢাকার মগবাজার এলাকায় রিকশা চালান। আগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা রিকশা চালাতেন। গরমের কারণে এখন পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা চালান। গত সোমবার তার আশা ছিল, ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করতে পারবেন। আগে দিনে এর দ্বিগুণ আয় হতো। নূর-এ-আলম বলেন, ‘আগে কখনো এত গরম দেখিনি। প্রতিবছরই গরম বাড়ে। তবে এ বছর চরম আকার ধারণ করেছে।’

গরমের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার খবর তুলে ধরা হয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে। এএফপি বলছে, গরম থেকে মুক্তি পেতে শহরের মসজিদ ও গ্রামের মাঠে প্রার্থনা করেছেন মুসলমানরা। মুহাম্মদ আবু ইউসুফ নামে ঢাকার একজন ইমাম বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। গরিব মানুষেরা খুব দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।’

এএফপির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।


উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যেকোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।’

নির্বাচনটা নির্বাচন—এই জিনিসটা আমাদের বুঝতে হবে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও অন্যান্য নির্বাচন ইউনিয়ন পর্যায়ে, সেগুলো যেন সুন্দর-সুষ্ঠুভাবে হয় এবং আমরা যেন এই জিনিসটা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, আমাদের নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হয়ে থাকে। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’
আচরণবিধি মানতে মন্ত্রী-এমপিদের অনুরোধ

বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার যাতে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে আচরণবিধি অনুসরণে মন্ত্রী-এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সবার আলোচনার বিষয় ছিল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে, আর কী ধরনের সহায়তা দরকার সেটা- প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলায় কী সমস্যা আছে, তা বলেছে।

মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব খাটাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে ইসি নজর রাখবে বলে জানান ইসি সচিব জাহাংগীর। তিনি বলেন, আচরণবিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছে। কমিশনও সেটা আশ্বস্ত করেছে- সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।

ইসি সচিব জানান, প্রতি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া প্রয়োজেনে অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হবে। জেলা কোর কমিটির চাহিদা থাকলে অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হবে। সাধারণ কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য, অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন সদস্য থাকবে। পার্বত্য জেলার নির্বাচনে সতর্কতার জন্য অধিক সতর্কতা অবলম্বের জন্য বলা হয়েছে।

সচিব জানান, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে যে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে, কমিশন তা বিবেচনা করবে বলে বৈঠকে আশ্বস্ত করেছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। তবে প্রথম ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে ভোটের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ জন। নির্বাচনে তিন পদে এখন ভোটের মাঠে আছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।
সবশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপের উপজেলা ভোটে প্রায় পাঁচশ উপজেলার মধ্যে ৪৬৫ উপজেলায় ভোট হয়। সেসময় তিনটি পদে সব মিলিয়ে ২২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।


পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো দ্রুত সরানোর সুপারিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক


নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো দ্রুত অন্য জায়গায় সরাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরগুলোর সার্বিক কার্যক্রম ও চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সাভার চামড়া শিল্প পার্কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। এতে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো দ্রুত অন্যত্র সরানোর কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশও করেছে।

বৈঠকে যমুনা সার কারখানা এবং ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু রাখার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী সভায় কমিটির কাছে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে অংশ নিয়েছেন কমিটির সদস্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মির্জা আজম, শামীম ওসমান, মো. আব্দুল ওদুদ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, এ বি এম আনিছুজ্জামান এবং শেখ আনার কলি পুতুল।


banner close