সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
১০ ভাদ্র ১৪৩২

দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গভবন

মঙ্গলবার বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোষাখানা জাদুঘরের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আপডেটেড
২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৩৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:০৯

দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গভবন। এ লক্ষ্যে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোষাখানা জাদুঘরের উদ্বোধনকালে এ কথা জানান। খবর বাসসের।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গভবনের ভিতরে সাধারণত মানুষ আসতে পারে না, এটার ভিতরে কি আছে, না আছে, কেউ কিছুই জানে না।’

বঙ্গভবনের তোশাখানা জাদুঘরকে শতাব্দীকালের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ এবং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আবদুল হামিদ বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ আগন্তুকরা পরিদর্শনকালে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে সক্ষম হবেন।

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বঙ্গভবনের অনেক স্থাপনা দেখে মোটামুটিভাবে তারাও আকৃষ্ট হবেন এবং আমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব অনেক উঁচু হবে বলে আমার বিশ্বাস।

মুক্ত আকাশ, জলাধার আর অবারিত সবুজের সমাহারে গড়ে উঠা এই স্থাপত্যের গোড়াপত্তন ঘটে ১৯০৫ সালে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের ফলে সৃষ্ট পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন ঢাকার নবাব পরিবারের দিলখুশা বাগানবাড়ির দক্ষিণাংশে লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের বাসস্থান হিসেবে অস্থায়ী লাটভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
গভর্নরের অফিস ও বসবাসের জন্য নির্মিত হয় একটি কাঠের প্রাসাদ। স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা হিসেবে ১৯০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নবনির্মিত অস্থায়ী গভর্নমেন্ট হাউজে প্রবেশ করেন। মূলত এ দিন থেকেই বঙ্গভবনের যাত্রা শুরু। অচিরেই ভবনটি ‘দিলখুশা গভর্নমেন্ট হাউজ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এটি পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথম গভর্নর ছিলেন স্যার ফ্রেডারিক বোর্ন। এ সময় ‘গভর্নমেন্ট হাউজ’ এর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘গভর্নর হাউজ’। ১৯৬১ সালের ৯ মে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ছাদের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। ফলে তৎকালীন গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আযম খান ক্ষতিগ্রস্ত ভবন সংস্কারের পরিবর্তে একটি নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৬১ সালের জুন মাসে তৎকালীন গণপূর্ত বিভাগ (সিএন্ডবি) ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ শুরু করেন এবং গভর্নর আযম খান ১৯৬৪ সালের জানুয়ারি মাসে এটি উদ্বোধন করেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর দেশে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ ২৩ ডিসেম্বর গভর্নর হাউজে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভা করেন। সেই সভায় গভর্নর হাউজকে নতুনভাবে ‘বঙ্গভবন’ নামে নামকরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তিত হলে তিনি ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৮৫ সালে বেশ বড় পরিসরে বঙ্গভবন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এর অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ও অলংকরণের কাজে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়। অভ্যন্তরীণ নান্দনিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে সংযোজন করা হয় দুর্লভ চিত্রকর্ম।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সময়ে ২০১৬ সালে নির্মাণ করা হয় অত্যাধুনিক সুইমিংপুল কমপ্লেক্স। আবদুল হামিদের অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০২১-২২ সালে বঙ্গভবনে ব্যাপক সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রাষ্ট্রপতির অফিস কক্ষ, হরিণ পুকুর, গ্যালারি হল, দরবার হল, ভিআইপি অপেক্ষাগার-১, এয়ার রেইড শেল্টার, কেবিনেট হল, বঙ্গভবন তোশাখানা যাদুঘর।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় গভর্নরের নিরাপত্তার জন্য একটি এয়ার রেইড শেল্টার নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর এয়ার রেইড শেল্টারের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এটি সংস্কার করে পুনরায় ১৯৬৫ সালের আদলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বঙ্গভবনের প্রাচীন মানুক হাউসকে সংস্কারের মাধ্যমে ‘বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যেখানে বঙ্গভবনের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করা হচ্ছে। ১৫০ বছরেরও অধিক পুরানো মানুক হাউস এর আগে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা হিসেবে ব্যবহৃত হত। উনিশ শতকে মানুক নামের এক আর্মেনিয় ব্যবসায়ী এখানে বসবাস করতেন।
বর্তমানে তোশাখানার বেশ কিছু উপহার সামগ্রী সংরক্ষণ ও সর্বসাধারণের দেখার জন্যবঙ্গবন্ধু সামরিক যাদুঘরের পাশে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়েছে। মানুক হাউসকে তোশাখানা জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময় এর দেয়ালে ছোটো ছোটো ইট অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থায় পাওয়া যায়, যার কিছু অংশ কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সংরক্ষণ করা হয়েছে।
তোশাখানার পাশেই প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেট কার। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিরা গাড়িটি ব্যবহার করতেন। জার্মানির ট্রাস্কো ব্রেমেন কোম্পানি নির্মিত প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেট কারটি একটি অভিজাত এবং অতি-বিরল প্রসারিত লিমুজিন যা মূলত ডব্লিউ ১২৬ মার্সিডিজ-বেঞ্জ ৫০০ এসইএল মডেলের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
বঙ্গভবনের অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় সাধকের মাজার, দানা দীঘি, মাজার পুকুর, সিংহ পুকুর উল্লেখযোগ্য। সুদীর্ঘ ইতিহাস আর ইসলামি, ব্রিটিশ ও মোঘল স্থাপত্যরীতিতে গড়ে উঠা এই ভবন তার স্থাপত্যশৈলীকে ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশের এক অনন্য প্রতীক। দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত এই ভবন সম্পর্কে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই।

বঙ্গভবনকে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করার লক্ষ্যেই তোশাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের আধুনিকায়ন এবং ওয়াকওয়ে নির্মানসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নবনির্মিত তোষাখানা জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। তিনি তোশাখানা জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন।

বঙ্গভবনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা এ তোশাখানাকে একটি আধুনিক মান সম্পন্ন জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে।

তোশাখানায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী এবং ঐতিহাসিক ছবি সংরক্ষিত রয়েছে।

দেশি-বিদেশ দর্শনার্থীদের জন্য এটি সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত থাকবে। আবার বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনেও যে কেউ তোষাখানাটি যাতে পরিদর্শন করতে পারে এবং বঙ্গভবন সম্পর্কে জানতে পারে সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।

রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিকসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।


অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতাকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

হারিয়ে যাওয়া বা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতাকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা জানান ।

তিনি আরো জানান, পিস্তল ও শটগান উদ্ধারে তথ্য দিলে ৫০ হাজার টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধার করলে ১ লাখ, এসএমজি দেড় লাখ, এলএমজি ৫ লাখ ও প্রতি গুলির ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি নির্ভর করছে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলের ওপর। তারা যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে তখন সমস্যা কমে যাবে। সবার সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবো । এখন দেখা যাচ্ছে আপনারা(সাংবাদিক), জনগণ ও রাজনৈতিক পার্টি নির্বাচনমুখী। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন একটি উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ এবং এ ব্যাপারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোথাও অনিয়ম দেখলে জানাবেন। আশা করছি সবসময় সত্য রিপোর্টিং করবেন, তবে ভুল রিপোর্টিং করবেন না। তবে আমরা দেখেছি আপনারা (সাংবাদিক) সব সময় সত্য রিপোর্টিং করছেন। বিদেশি কোন বিষয়েও আপনারা প্রকৃত সত্য তুলে ধরেছেন। সত্য প্রকাশ করেছেন।

গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারের আসা যাওয়ার সময় রাস্তা বন্ধ করে রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আইজিপি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।


জনসেবার মানসিকতা ছাড়া সরকারি চাকরি অর্থহীন : সুপ্রদীপ চাকমা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি কর্মচারীদের জনসেবার মানসিকতা ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, “জনসেবার জন্যই আমাদের নিয়োগ হয়েছে। তাই সবার মধ্যে সর্বদা সেবা দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

আজ রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এটুআই-এর যৌথ উদ্যোগে ন্যাশনাল ড্যাশবোর্ড বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ হিসেবে আয়োজিত হয়।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমাদের অ্যাডভান্টেজ তৈরি করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনকে আধুনিকায়ন করে একটি তথ্য হাব গড়ে তুলতে চাই, যেখানে দেশ-বিদেশের যেকোনো ব্যক্তি পার্বত্য অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যের তথ্য পেতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্গানিক ফল যেমন পাহাড়ি আম, আনারস, কলা ও ড্রাগন ফল এখন আগের চেয়ে বেশি উৎপাদিত হচ্ছে এবং এগুলো দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কেমিক্যাল মুক্ত ফল ফলাদি আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করতে চাই বললেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চিন্তা ও চেতনায় পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীরাও সম-অংশীদার হতে চায়। আমাদের ঐতিহ্য, সম্পদ ও সম্ভাবনা জাতীয় উন্নয়নের অংশ হতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, সবকিছুই হাতের মুঠোয় থাকতে হবে। ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে আমরা আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বদা আপডেট থাকতে পারবো। তিনি সরকারি চাকরির বিধি-বিধান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, যুগ্মসচিব অতুল সরকার, যুগ্মসচিব মো. মমিনুর রহমান, যুগ্মসচিব কাজী তোফায়েল আহমেদ। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন এটুআই-এর রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট এনালিস্ট মোঃ আনোয়ারুল আরিফ খান, ডাটা কো-অর্ডিনেশন অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলাম, রিফাত-ই-জাহান সিদ্দিকী, অনিক কুমার পাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার ওয়াহিদ পলাশ, সহকারী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী হাবিবুল্লাহ নাহিদ ও পল্টু চন্দ্র দাস। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স ও চিফ অ্যাকাউন্টস এন্ড ফিনান্স অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।


বাংলাদেশের পিপিপি মডেলের সাফল্য: ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক ছুঁলো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) কর্তৃপক্ষ। রবিবার গাজীপুরে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে যা PPP মডেলের অধীনে বাস্তবায়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

সড়ক পরিবহন ও সেতু বিষয়ক উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশের উদ্বোধন করেন। নতুন সড়কটি ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ককে সংযুক্ত করবে ফলে যাতায়াত সময় কমবে এবং যান চলাচলের সুবিধা বাড়বে।

PPP কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক এ কে এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ঢাকা বাইপাস প্রকল্প বাংলাদেশের PPP কাঠামোর সাফল্যের প্রমাণ। সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে আমরা আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছি যা নাগরিকদের উপকারে আসবে এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।”

সম্পূর্ণ উদ্বোধনের পর ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ করিডর হিসেবে কাজ করবে এবং শিল্পাঞ্চল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ আরও মজবুত করবে।

এই প্রকল্প PPP কর্তৃপক্ষের সেই ভিশনকে আরও শক্তিশালী করেছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ PPP বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে।


নির্বাচন আয়োজনে দেশ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এক বছরে দেশ নির্বাচন আয়োজন করার মতো যথেষ্ট প্রস্তুত ও স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব নেবে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগে’ যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। এক বছর আগে আমরা দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এক হত্যাযজ্ঞের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি। ঠিক এক বছর আগে আমাদের অভ্যুত্থান হয়েছিল, আর দেশ এখন যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।

এ সময় সরকারের প্রতিনিধি, জাতিসংঘ সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে। সবাইকে এই সংকট নিরসনে কোনো বিলম্ব ছাড়াই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আপনাদের সোচ্চার হওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার আশা জাগাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান শুধু বাংলাদেশের একার দায়িত্ব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এখানে এগিয়ে আসতে হবে। সংকটের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে ভাবা এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সবার যৌথ দায়িত্ব।

যত দিন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যেতে না পারেন, তত দিন পর্যন্ত তাদের বিষয়টি ও এর টেকসই সমাধানকে বৈশ্বিক এজেন্ডায় রাখার ওপর জোর দেন অধ্যাপক ইউনূস।

এর আগে, সোমবার সকালে এই সংলাপে যোগ দিতে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এদিন বেলা ১১টার দিকে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। এতে মিয়ানমার ও আঞ্চলিক স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়।

রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শুরু হয়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।


নিরাপদ সমুদ্র পর্যটনের জন্য জরুরি নির্দেশনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নিরাপদ সমুদ্র পর্যটনের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

সতর্কবার্তা অনুযায়ী লাল পতাকা চিহ্নিত জায়গা বিপজ্জনক। লাল পতাকা চিহ্নিত স্থানে পানিতে নামা যাবে না। জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইফ গার্ড সর্বদা পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে।

নিরাপদ সমুদ্রসীমার মধ্যে অবস্থান করা এবং লাইফগার্ড সার্ভিস বিদ্যমান রয়েছে এমন স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও পানিতে না নামতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এই সীমানার বাইরে পানিতে ডুবে গেলে কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না।

পানিতে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় এবং সাগরের বিপদ সংকেত সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় পানিতে নামা থেকে বিরত থাকতে।

ভাটার টান চলাকালীন বেপরোয়াভাবে সাগরে না নামতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

এছাড়া সাঁতার জানা না থাকলে, সমুদ্রে নামা পরিহার করতে হবে। সকল হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টসমূহ আবশ্যিকভাবে পর্যটককে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ/ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করতে হবে। লাইফগার্ড হিসেবে টিউব পরিহার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লাইফ জ্যাকেট পরিধান ও শিশুদের সব সময় নিজের তত্ত্বাবধানে রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সৈকত এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা কিংবা শিশু নিয়ে আসলে অবশ্যই শিশুর ছবি মোবাইলে সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পানির তীব্র স্রোত, ঘূর্ণি স্রোত, উল্টো স্রোত ও নিম্নমুখী প্রবাহ বিপজ্জনক। সমুদ্রতটে বালি সরে গিয়ে ছোট-বড়ো কিছু গর্ত তৈরি হতে পারে, যা বিপজ্জনক; এই ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়ায় পানিতে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তি কর্তৃক উদ্ধার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ এতে উদ্ধারকারীর জীবনও বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।


ফটিকছড়িতে টি,সি,বির পন্য খেলা বাজারে বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত একজন আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য রাখা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ১ হাজার ২০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার নানুপুরবাজারে মেসার্স কামাল ষ্টোরের গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব সয়াবিন তেল জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় দোকান মালিক মোঃ ইকবাল (৩৮)কে আটক করা হয়। সে ধর্মপুর ইউনিয়নের রায়দার বাড়ির খায়রুল বশরের পুত্র।

জানা যায়, খোলা বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ টিসিবির সয়াবিন তেল দীর্ঘদিন ধরে মজুদ করে বিক্রি করে আসছিল নানুপুর বাজারের মেসার্স কামাল ষ্টোর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে দোকানের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিক্রির জন্য রাখা ১ হাজার ২০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে প্রশাসন। এসময় দোকান মালিক ইকবালকে আটক করে পুলিশ হেফাজত দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানকালে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের একটি টিম ও নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, 'ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আমরা নানুপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রির দায়ে দোকান মালিককে আটক পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'


সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়েছ।

এতে আরও জানানো হয়, সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে রাঙ্গামাটিতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে।


কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংলাপে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস’ ডায়ালগে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে এই সংলাপে যোগ দিতে কক্সবাজার পৌঁছান তিনি। এদিন ১১টার দিকে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়।

এতে মিয়ানমার ও আঞ্চলিক স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবস’ উপলক্ষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

এ সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে মিয়ানমারে তাদের নিজ আবাসভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য দৃশ্যমান আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা যা করছি, তা অব্যাহত রাখতে হবে।

রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শুরু হয়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রথম দিনের কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আস্থা গড়ে তোলার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এ সেশনে অংশ নেন। এতে আরও অংশ নেন কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে আসা রোহিঙ্গা প্রতিনিধি এবং রোহিঙ্গা প্রবাসীরা।

সেশনটি পরিচালনা করেন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ লাকি করিম, মোহাম্মদ রফিক (খিন মৌং) ও ওমর সালমা। এ সময় বক্তব্য রাখেন সয়েদুল্লাহ, ফুরকান মির্জা, আবদুল্লাহ, হুজ্জাউত উল্লাহ, সহাত জিয়া হিরো, আবদুল আমিন, জাইতুন নারা, জিহিন নূর, আবদুল্লাহ ও রো মুজিফ খান। রোহিঙ্গা প্রবাসীর সদস্যরাও আলোচনায় অংশ নেন। সেশনটি রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত থাকায় অন্য অংশগ্রহণকারীরা কেবল পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত থমাস এইচ অ্যান্ড্রুজ সেশনে যোগ দেন। এ ছাড়া ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন, সংবাদমাধ্যম, বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সেশনে অংশ নেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) রানা ফ্লাওয়ার্স, মিয়ানমারের জন্য স্বাধীন তদন্ত সংস্থার প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান এবং ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজুও।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদসহ প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও এ সংলাপে অংশ নেন।


শ্রম সচিবের সাথে ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন অ্যাম্বাসেডর এইস ই মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে শ্রম খাতের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এইস ই মাইকেল মিলারের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শ্রম আইন যুগোপযোগীকরণ, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, শিশুশ্রম ও জবরদস্তিমূলক শ্রম নিরসন, সামাজিক সংলাপ জোরদার, ফ্যাক্টরি পরিদর্শন কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে শ্রম খাতের সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বৈঠকে বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) কর্তৃক স্বাক্ষরিত ১৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে । মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রম উপদেষ্টার নেতৃত্বে শ্রম আইন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সংশোধন করা হবে। আগামী ২৬ আগস্ট ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদ (TCC) এর সভায় সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করে সকল অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, শ্রমিক বা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বা হয়রানিমুলক ৪৫ টি মামলার মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ‍্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইতোমধ্যে ৪৪ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর কনভেনশন সি ১৫৫ এবং সি ১৮৭ অনুস্বাক্ষর এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে কনভেনশন সি ১৯০ অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুততর করতে শ্রম অধিদপ্তর একে ডিজিটালাইজড করার কাজ করছে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত এইস ই মাইকেল মিলার ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োগকর্তা বা কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ না থাকতে দেওয়া, বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) শ্রম আইনের মধ্যে সামঞ্জস্য আনা, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চলমান সকল পুরনো ও বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, নিয়মিত সামাজিক সংলাপের আয়োজন, শ্রমঘন এলাকায় ফ্যাক্টরি পরিদর্শন বাড়ানো এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদেরও শ্রম আইনের আওতায় আনার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশের চলমান শ্রম সংস্কার কার্যক্রমের মধ‍্যে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কম্প্রিহেনসীভ শ্রম আইনের সংশোধনীর উপর তিনি গুরুতারোপ করেন। কেননা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) সুবিধার ধারাবাহিকতায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরে জিএসপি প্লাস বাজার সুবিধাসহ সেইফ গার্ড ক্লজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ বিবেচনার লক্ষ‍্যে শ্রম আইনের প্রত‍্যাশিত সংশোধনী ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন‍্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান রাষ্ট্রদূত এইস ই মাইকেল মিলার।

বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


অমৎস্যজীবীদের জলাশয় ইজারা দেওয়া যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সচিবালয় প্রতিবেদক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “প্রাকৃতিকভাবে মাছ পাওয়ার স্থান ধ্বংস হলে মৎস্যজীবীরা মাছ পাবে না। বর্তমানে যেখানে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার কথা, তা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমৎস্যজীবীদের কাছে আর জলাশয় ইজারা দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাওড় ইজারা সমস্যার সমাধানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

আজ বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য সপ্তাহ শেষ হলেও, আজ থেকেই শুরু হলো সারা বছরের মৎস্য সপ্তাহ। নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করতে হবে। এ সপ্তাহে যেভাবে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি এ বছরের মৎস্য পদক প্রসঙ্গে বলেন, পদকপ্রাপ্তি বিষয়ে কোনো প্রকার তদবির হয়নি। একাধিক ধাপ অতিক্রম করেই যোগ্যদের পদক প্রদান করা হয়েছে।

বিএফআরআইয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করে উপদেষ্টা বলেন, অভয়াশ্রম নিয়ে আপনাদের নিবিড় গবেষণা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। গবেষণাকে কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধু খাদ্য উৎপাদন নয়, এটি একটি বৌদ্ধিক কেন্দ্র (ইন্টেলেকচুয়াল স্পেস)। দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ সরবরাহ করতে হবে, আর আমরা তা করতে সক্ষম হবো।

অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, ইলিশ উৎপাদন প্রকৃতি নির্ভর। অনেক জায়গায় বাধার কারণে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসতে পারে না। ফলে ইলিশ আহরণ কম হয়, আর দাম বেড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, চিংড়ি চাষ বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট জোন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রা এবং মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হক। অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী ও সুধীজন অংশ নেন।


সিরাজগঞ্জে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সিরাজগঞ্জে দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে ১৩৪টি অভিযোগের মধ্যে উত্থাপিত ৯৫ টি অভিযোগের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়,৩২টি অভিযোগ দুদুক কর্তৃক অনুসন্ধান হবে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৬ টি অভিযোগের এবং আদালতে মামলা থাকায় ৩ টি অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে রবিবার সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দুদকের ১৮১ তম গণশুনানি উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি দুদকের কমিশনার ( তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, সুনীতি নয় তাই দুর্নীতি। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে দ্বন্দ্ব ও অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে দুর্নীতির প্রসার ঘটে। ছোট ছোট অসংগতি দিনে দিনে কিভাবে ক্ষোভের বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে তা বিগত গণহত্যাকারী পতিত সরকার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে,এর চেয়ে আর ভাল উদাহরণ হতে পারে না।

বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন ( মোমেন কমিশন) জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে,চলবে। আর দুর্নীতি নয়,দুর্নীতি নির্মূল করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই গণশুনানির উদ্দেশ্য।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় আয়োজিত ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

গণশুনানিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ ফজলুল হক। অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক ( প্রতিরোধ) মোঃ আখতার হোসেন, মহাপরিচালক ( তদন্ত ১) মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন।

কানায় কানায় পূর্ণ অডিটোরিয়ামে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ,ছাত্র জনতাসহ সহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে দাখিলকৃত ১৩৪ অভিযোগের মধ্যে ৯৫টি উত্থাপিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত গণ শুনানির মডারেট করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

দুদকের উপপরিচালক ( জনসংযোগ) মোঃ আকতারুল ইসলাম জানান গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানীর শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ তাদের অভিযোগসমূহ সিরাজগঞ্জ জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। একই সাথে সেবা বঞ্চিত জনসাধরণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যাবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই ছিল এই গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসস’কে এ তথ্য জানান।
ইসহাক দার দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে গতকাল ঢাকায় পৌঁছান।


সরকার এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইন উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কমিশনার নিয়োগ অবশ্যই স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। কেবলমাত্র সর্বোচ্চ সততার অধিকারী ব্যক্তিরাই নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।’

শনিবার সিলেটে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আইন সংশোধন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আস্থাভাজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদাহরণ স্থাপন করতে পারবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) একটি স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দেশব্যাপী পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সুইস দূতাবাসের সহযোগিতায় এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (এলপিএডি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

সংস্কার প্রক্রিয়াটি এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ঘাটতি দূর করা এবং কমিশনকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড, বিশেষত জাতিসংঘের প্যারিস প্রিন্সিপলস এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে ইউএনডিপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত এনএইচআরসি তাদের পূর্ণাঙ্গ ম্যান্ডেট কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সীমিত ক্ষমতা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নের কারণে এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়েছে। তাই সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কমিশনের ভূমিকা ও সক্ষমতা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের আটটি বিভাগে বহুপক্ষীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে, শেষে ঢাকায় জাতীয় পরামর্শ সভা হবে। এসব পরামর্শ সভায় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা একত্রিত হয়ে সংস্কারের জন্য বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দেবেন।

প্রথম পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩ আগস্ট ২০২৫ সিলেটে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, জবাবদিহিতা জোরদার এবং রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় উভয় ধরনের নির্যাতন থেকে নাগরিক সুরক্ষার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এলপিএডি সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভালো আইন প্রয়োজনীয়, কিন্তু এর কার্যকর প্রয়োগ সমান গুরুত্বপূর্ণ। এনএইচআরসি আইনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য আমরা আজ সিলেট থেকে শুরু করে দেশব্যাপী পরামর্শ সভার মাধ্যমে সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘এনএইচআরসি শক্তিশালী করা দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এবং মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই পরামর্শ সভার মাধ্যমে আমরা কমিশনের স্বাধীনতা, গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে চাই, যা বৈশ্বিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এলপিএডি’র যুগ্ম-সচিব ড. এস এম শফায়েত হোসেন সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি এনএইচআরসি আইন, ২০০৯-এর ম্যান্ডেট, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক সরওয়ার আলমও সভায় বক্তব্য রাখেন।

সভায় আলোচনার মূল বিষয় ছিল কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, তদন্ত ক্ষমতা জোরদার, কার্যক্রমের স্বাধীনতা বৃদ্ধি এবং সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে উন্নত সহযোগিতা।

বিভাগীয় পরামর্শ সভা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো ঢাকার জাতীয় পরামর্শ সভায় আইন সংস্কারের রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এই সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার ও এর সহযোগী সংস্থাগুলোর আইনের শাসনকে আরও শক্তিশালী করা, নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করা এবং মানবাধিকারকে অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা ও টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েছে।


banner close