মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ: সিইসি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপনির্বাচনের ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৩৪
প্রতিবেদক দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৩১

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে আনুমানিক ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ছে বলে ধারণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ভোটে অনিয়ম বা কারচুপির উল্লেখযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেন তিনি। ভোটারদের উপস্থিতি কম হলেও শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে মন্তব্য তার।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ছয়টি আসনের উপনির্বাচনের ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের ভোট হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট একটানা চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতির হার তুলনামূলক কম ছিল। আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ বা ২৫ শতাংশ হতে পারে ভোটার উপস্থিতি। তবে নিশ্চিত করে এখনো বলা যাবে না। এজন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।’

আজকে সংসদের ছয়টি আসনে উপনির্বাচন প্রায়ই সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘হয়তো দুয়েকটি সেন্টারে ভোট এখনো চলছে। খুব শিগগিরই শেষ হবে। ছয়টি আসনের ভোটে ৪০ জন প্রার্থী ছিলেন। ভোটকেন্দ্র ৮৬৭ ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়েছে। সবকটি আসনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২১৭ জন।’

স্থানীয় প্রশাসন থেকে সার্বক্ষণিক তথ্য নিয়েছেন জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা টিভি চ্যানেলগুলোর ওপর সর্বক্ষণ দৃষ্টি রেখেছিলাম। অনিয়ম বা কারচুপির উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অনলাইন পত্রিকা বিশেষভাবে পাঠ করেছি। ছয়টি জায়গায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। একটি জায়গায় তাজা ককটেল পাওয়া গেছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। গণমাধ্যমকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। মেশিনের মাধ্যমে গণনা শুরু হয়েছে অনেক জায়গায়। দু-চার ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দাপ্তরিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।


জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরও বাড়ানো হবে

কৃষিমন্ত্রী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিখাত। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু কর্মকান্ড ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের হাত ধরে ইতোমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে।

তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীগণ ও গবেষণা সংস্থাগুলি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইমেরিটাস অধ্যাপক এমএ সাত্তার মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সিনিয়র এসোসিয়েট ডিন জর্জ স্মিথ, ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম করিম মেয়ারদিয়া, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর সায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শেইলা কাকা ওচুগবোজু, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।


তাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

ঢাকায় আজ পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে।


বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:২৭
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জোর তাগিদ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি।’

তিনি আশা করেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা ও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

২০২৬ অর্থবছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে কৃষি খাতের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তিন বছরে কৃষি উন্নয়নে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।

‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)’ অনুসারে, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেয়।

জিডিপিতে একটি হ্রাস প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও এটি বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষিনির্ভর সংখ্যাগরিষ্ঠদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের গৃহীত কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, যান্ত্রিকীকরণ-সেচ সম্প্রসারণ এবং বীজ ও সারের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের উপকরণের প্রাপ্যতা বাড়ানো।

নীতি নথিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ওপর সেচের জন্য ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা এবং ফসল পরিচর্যার জন্য রিমোট সেন্সিং নিয়োগ করা।

সরকার একটি টেকসই ও স্বনির্ভর কৃষি কাঠামো গড়ে তুলতে ভর্তুকি, আর্থিক প্রণোদনা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই খাতকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উপখাত থেকেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এটি কেবল জিডিপি যথাক্রমে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৯১ শতাংশই বৃদ্ধি করে না, বরং জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে এবং জীবিকার সংস্থান করে। এই ক্ষেত্রগুলোর অর্জনসমূহের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস এবং ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য এসব খাত অত্যাবশ্যক।

ভবিষ্যতে এসব খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য বিশেষ করে ছোট ইলিশ মাছের ('জাটকা') জন্য উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে প্রস্তুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

টেকসই কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা আরেকটি মৌলিক ক্ষেত্র। আন্তঃসীমান্ত নদী থেকে ন্যায়সঙ্গত পানির হিস্যা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলাশয় খনন ও উপকূলীয় বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির হুমকির মধ্যে - ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সরকার এই প্রভাবগুলো হ্রাস করার বিস্তৃত কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাটি জলবায়ু সম্পর্কিত বাধাগুলোর বিরুদ্ধে সহনশীলতা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত এবং সম্প্রদায়গুলোকে সরঞ্জাম দিয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এই বহুমুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষি ঐতিহ্যকে কেবল সুরক্ষাই নয়, বরং এগিয়ে নিতেও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।


৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বেশিরভাগ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই তাপমাত্রা নতুন নতুন রেকর্ড করছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খেপুপাড়ায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ওইদিন রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া, গতকাল রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে জলদস্যু কবলিত জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ

সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে আটক থাকা জাহাজ এভি আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

১৯-২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে আটক থাকা জাহাজ এভি আবদুল্লাহ। এরপর নাবিকদের দুটো অপশন থাকবে। প্রথমত তারা ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারবেন, অথবা তারা জাহাজে ও ফিরতে পারবেন।

গত ১৪ এপ্রিল রোববার দুপুরে বারিক বিল্ডিং মোড়ের কেএসআর এম ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত।

তিনি বলেন, জাহান মনি জাহাজ জলদস্যুর কবলে পড়ার ১৪ বছর পরে দুর্ভাগ্যবশত একই ঘটনা ঘটল। গত ১২ মার্চ এই জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ছিল। ৩১ দিন পর জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়। সাধারণত জলদস্যুরা জাহাজের মালিক পক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালাই।

ডিএমডি জানান, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই আমরা আর্মড ফোর্স নিইনি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিদেশি যুদ্ধ জাহাজ ফোর্সফুলি জাহাজটি উদ্ধারে যেতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার কুইক রেসপন্স করেছে। সাংবাদিকরা সগযোগিতা করেছেন। ১৯ থেকে ২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে জাহাজটি আশা করি। এরপর নাবিকদের ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএসআর এম এর সিইও মেহেরুল করিম বলেন, জাহান মনির সময় আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। তখন উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছিল; কিন্তু এবার জাহাজ নেয়ার পরে আমরা জাহাজের লোকেশনে ট্র্যাক শুরু করি। যোগাযোগের পরে প্রতিদিন ই কথা হচ্ছিল। নাবিকরা কেমন আছে, কখন দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে যাবে এসব কথা হচ্ছিল। দুদিন আগে আমাদের দাবি ছিল, প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও ফুটেজ নিতে। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ায় করা হচ্ছে । তাই কত ডলার তা বলতে পারছি না। এইএসএ, ইউকে, সোমালিয়া এবং কেনিয়ার নিয়ম মানতে হচ্ছে।


ডেঙ্গু স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু রোগীদের জন্য স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না, এমন মন্তব্য করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু না হোক, সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়, সেটা আপনারা ভালো করে জানেন। ঈদের ছুটি শেষে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রথম কার্যদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, এ প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না।

মন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়ি সব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। একবার অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। কারও যাতে ডেঙ্গু না হয়, সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি নিজে ঢালাওভাবে বলতে চাই না যে আমি কী করেছি। আপনারা নিজেরাই বলবেন যে আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময়ে করেছি। মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ওই চিন্তা করে এবারও সেই ধারা বজায় রেখেছি। আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেক হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের উৎসাহ দেওয়া। তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন। এ ছাড়া সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তাও দেখতে গিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমি এবার না বলেই গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। আমি গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসকরা ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবার মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে ছুটিতে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমি নিজে অনুভব করেছি। আমি যখন বার্নে কাজ করতাম রাতে একটা মেয়ে না-খেয়ে কাজ করেছেন। সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকতো। ইচ্ছা করে এবার খাবারের অর্ডার করেছি। যাতে ভালোভাবে তারা ঈদটা করতে পারেন।


ঢাকায় ফিটনেসবিহীন ৪৮৮ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রুটিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন ৪৮৮ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। গত ১৩ এপ্রিল শনিবার থেকে অভিযান শুরু করে ৩৬ ঘণ্টায় ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, লেগুনা, সিএনজি, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। চলমান অভিযানে বিভিন্ন যাত্রীবাহী কোম্পানির বাসের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এসব তথ্য জানান।

এ ছাড়া ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি যাতে মহানগরীতে প্রবেশ করে যানজট সৃষ্টি না করতে পারে সে জন্য চেকপোস্ট বসানো হয়। ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ক্রমান্বয়ে ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনমুক্ত করা হবে। এ অভিযানের ফলে ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় চলাচল কমে আসবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের ১৭ জেলার যানবাহন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। দেশের বৃহৎ একটি অংশের যানবাহন যাতায়াত করে এ এলাকা হয়ে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, যানজট সহনীয় পর্যায়ে রেখে পথচারী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা যাতে স্বস্তিতে চলাচল করতে পারে এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ।


নিরাপদ সমুদ্রপথ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৩২
জবি প্রতিনিধি

নিরাপদ সমুদ্রপথ তৈরি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার ঈদ-উল-ফিতরের পর প্রথম কর্মদিবসে প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত “সি” ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কিভাবে সমুদ্রপথ নিরাপদ করা যায় সেলক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে। বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন ধরনের সংকটের সময়ে সমুদ্রপথে চলাচল করতে পারে সেলক্ষ্যে একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে। শীঘ্রই সেটি আইএমওতে পাঠানো হবে। কারণ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়। মার্চেন্টশিপগুলো যাতে বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে ধরনের প্রস্তাবনা তৈরির জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর কাজ করছে। এটি একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত প্রস্তাবনাটি তৈরি করার।’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং সেটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ-উইংগুলো কাজ করেছে। দ্রুত আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এ ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

ব্যাগে করে সোমালি জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেয়ার ছবি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখন কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কিভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না। জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস পানিতে ফেলে জানা ছিল না।’

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, নাকি তারা ফিরে আসবে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছে, গতকালকে আমি শুনেছি তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে, সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করতেছে।’

একই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের দিন ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন প্রত্যেকটার আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্টগুলো হয়।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর মুডে ছিলাম। ‌সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোন মালিক থাকলে তাহলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।’


আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে গর্বিত: ডিএমপি কমিশনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আমি আমার ডিএমপির সহকর্মীদের নিয়ে গর্বিত। কারণ ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে ডিএমপি সদর দপ্তরে কর্মরত সব পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারি, দাপ্তরিক কর্মচারি এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত সব স্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
সবাইকে ঈদ ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশে প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য কাজ করেন। এটা শুধু বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নয়, এটা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। এক সঙ্গে এতো অফিসার ও ফোর্স বাংলাদেশের আর কোন প্রতিষ্ঠানে নেই। আমরা একসঙ্গে একটি টিম হয়ে কাজ করি। ঢাকা মহানগরীতে যে দুই কোটি লোক বসবাস করে তাদের নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, সদ্যসমাপ্ত রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের তৎপরতার জন্য কোন প্রকার ছিনতাইয়ের ঘটনা বা অজ্ঞান ও মলম পার্টির কোন অপতৎপরতা চোখে পড়েনি। আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে অবশ্যই গর্ববোধ করি। কারণ সচরাচর অতীতে যে ধরনের অপরাধ সংগঠনের কথা আমরা শুনে এসেছি তার একটি অপরাধও এবারের রমজানে সংঘটিত হয়নি। সেই সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছে, সেখানেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবগুলো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতি নগরবাসীর যে প্রত্যাশা তার পুরোপুরি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের রমজানে কাজ শেষে নগরবাসীর বাসায় ইফতার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অতীতে আমরা দেখেছি লোকজনকে রাস্তায় ইফতার করতে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের তৎপরতার কারণে রোজাদাররা বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পেরেছে। অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনাররা সবাই দায়িত্ব পালন করেছেন, অনেকেই রাস্তায়ই ইফতার করেছেন। এজন্য আমি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২ মে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে বৃহস্পতিবার শুরু হবে। এটি ২০২৪ সালেরও দ্বিতীয় অধিবেশন।

ওইদিন বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।


রাতে গরম বাড়তে পারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারাদেশে আজ দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে রংপুর ও নীলফামারি জেলসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ দেশের কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ।

আগামীকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বিরাজমান তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি আগামীকালও অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে বিরাজমান তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় জানানো হয়েছে, এই সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াচিত্রের সংক্ষিপ্তসারে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তেতুলিয়ায় ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে।


আজ খুলছে অফিস-আদালত

সংগৃহীত ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৫ দিনের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-শেয়ার বাজার।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে ছুটি কাটাতে বাড়িতে যাওয়া মানুষজন।

ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল। ফলে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ভোগ করছেন চাকরিজীবীরা।

টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে আজ সবাই কাজে যোগ দিচ্ছেন।

তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।


banner close