শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার মো. শামীম শেখ।
আপডেটেড
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:১৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:১৬

রাজধানীর মিরপুর থেকে নড়াইলের নড়াগাতি এলাকায় বন্ধু হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. শামীম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার বিকেলে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে বন্ধু রাজুকে শামীম শেখ হত্যা করেন। ১৭ বছর পলাতক থাকার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে অধিনায়ক জানান, নিহত রাজু ও শামীমের বাড়ি পাশাপাশি। ২০০৫ সালে বাড়ির সীমানা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে নিহত রাজু শামীমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। শামীম কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে বন্ধু রাজুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরবর্তীতে শামীম ও তার ৫ সহযোগী মিলে রাজুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অধিনায়ক জানান, ৩ মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপন করে শামীম শেখ। বিচার শেষে আদালত গত বছর জুলাই মাসে এ মামলার সব আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


‘নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী’

শনিবার রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

আজ শনিবার রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাগেরহাট জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি শরীফা খানমের সভাপতিত্বে খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সদস্য জেসমিন আক্তার রিভা এবং হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, আরমা দত্ত, নাছিমা জামান ববি এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঝালকাঠির উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান সোনালী।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর আইনগত মডেল ও পরিকল্পনা নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে যেন ডিজিটাল সুযোগ প্রাপ্তিতে কোন ধরনের বৈষম্য তৈরি না হয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এ দেশে নারী ভোটারের সংখ্যাও বেশি। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে যা ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

শিরীন শারমিন বলেন, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ৯ হাজার নারীর একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এক সঙ্গে কাজ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রেখে এই নেটওয়ার্ককে এগিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নেটওয়ার্ক নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে- যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

ওই সময় ১৬ জেলার ১৬ জন নারীকে অগ্রগামী অপরাজিতা হিসেবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের পথিকৃৎ অপরাজিতা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনে দেশের ১৬টি জেলার ৩০০ জন অপরাজিতা, বিশিষ্ট নারী নেতা, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

কাতারের আমিরের সফরে ১০ চুক্তি-সমঝোতার প্রস্তুতি

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে কাতার আমিরের। সফরকালে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ একাধিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারে প্রায় ডজনখানিক নথি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কাতারের আমিরের সফরে ৪টি চুক্তি ও ৬টি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যে ৪টি চুক্তির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো— বন্দি বিনিময়, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও শুল্ক সুবিধা দেওয়ার জন্য সহযোগিতা।

৬টি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- কাতারে জনশক্তি রপ্তানি, বন্দর ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা, ধর্মীয় সহযোগিতা, উভয় দেশের কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা।

বন্দি বিনিময় চুক্তি

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও থাইল্যান্ডের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। এবার তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির ফলে দুই দেশ সাজাপ্রাপ্ত বন্দি আসামিকে হস্তান্তর করতে পারে। কাতারের প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। চুক্তির পর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে বাংলাদেশ।

জনশক্তি রপ্তানিতে প্রাধান্য

মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য কাতার। দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ কর্মী রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে কীভাবে আরও জনশক্তি কাতারে পাঠানো যায়, দেশটির আমিরের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। কাতারের আমিরের সফরকালে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আমিরের নামে পার্ক-সড়ক

কাতারের আমিরের নামে ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি পার্ক ও উড়াল সেতুর নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশীর বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হবে।

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

কাতারের আমির যখন বাংলাদেশে আসছেন, ঠিক তখনই ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে ফিলিস্তিন ইস্যু ও ইরান-ইসরায়েল সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ বরাবরই ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কাতারের কাছে তুলে ধর হবে।

দুই দেশের সম্পর্কে অবদান

কাতারের আমিরের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, তা আরও শক্তিশালী হবে। এই সফর সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে।

এদিকে সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতিম দেশ কাতার থেকে ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী এমন উচ্চপর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ২০০৫ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করেন।

গত মাসে তুরস্কে আন্তালিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশ নেওয়ার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নির্মূলের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে, যুদ্ধের পক্ষে নয়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আমিরকে অভ্যর্থনা জানাবেন। সোমবার বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটে আমিরের পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানান।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। দুই নেতা সহযোগিতার দলিল সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন।

ওই দিন বিকেল ৩টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং বিকেল ৩টায় মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করবেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন আমির।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

বিষয়:

জলাবদ্ধতা নিরসনে এডিবির ৭ কোটি ডলার ঋণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইন্টিগ্রেটেড সাউথ ওয়েস্ট প্রজেক্ট ফর ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে ঋণচুক্তি হয়েছে।

আজ শনিবার ইআরডি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং চুক্তিতে সই করেন। এসময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঋণটি এডিবির নমনীয় শর্তে পাওয়া গেছে, যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

প্রকল্প হতে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব বজায় রাখার জন্য পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানিসম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর হতে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতগুলোতে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে।


এবারের ঈদযাত্রায় কতজন প্রাণ হারালেন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এবারের ঈদুল ফিতরকেন্দ্রিক যাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।’

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।’


গরমে স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারা দেশে তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রোববার খুলবে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে আপাতত স্কুলের অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ শনিবার সকালে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার ফের শ্রেনীকক্ষে ফিরবে শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কী করণীয় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ছুটি বাড়ানো বা বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

তিনি আরও জানান, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করতে হয়। কারণ হিট এল্যার্ট বা অন্য কিছু ঘোষণা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ রাখতে হয় তবে তাদের পরামর্শে তা করা হয়। এই যোগাযোগ করবে মন্ত্রণালয়। তবে আপাতত বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

এদিকে আবহাওয়া নিয়ে সহসাই কোনো সুসংবাদ নেই। এরকম দাবদাহ আগামী শনিবার থেকে আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ রকম এক অস্বস্তির মধ্যে রোববার শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন কি না এমন চিন্তায় আছে অভিভাবকরা।

বিষয়:

ট্রাফিক সদস্যদের স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি দিচ্ছে ডিএমপি

 ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র গরমে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সব পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত সব সদস্যদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই তীব্র তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন চলবে এই কার্যক্রম।

ট্রাফিক রমনা বিভগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। কমিশনার স্যার এই উপলব্ধি থেকে ট্রাফিকের সব পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করেছেন, এ জন্য স্যারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। স্যারের এই উদ্যোগ ট্রাফিকের সব সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।’


গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, জনজীবন বিপর্যস্ত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:০৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তীব্র দাবদাহে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত প্রায়। গরমে মানুষ হাপিত্যেশ অবস্থায় আছেন। মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্রে ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। এতে করে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও খুব ঘামতে দেখা যাচ্ছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রান হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। তাদের আয়-রোজগার বন্ধের উপক্রম। কাজের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। আর একান্তই যাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে তারা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। রাজধানীতেও গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুই ছুই করছে।

বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আজ এবং আগামীকাল রোববারও অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ আজ ও আগামীকালও অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

এদিকে দৈনিক বাংলার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিন দিন থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সেই জেলায়। টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ সেখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকূল। জেলার হাসপাতালে বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়ে কাজও করতে পারছেন না তারা। তীব্র দাবদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে ‘হিট এলার্ট’ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয় সেই ঘোষণায়। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধও করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েকদিন এমন দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।’

অন্যদিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে লাগাতার তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে রয়েছে সেখানকার মানুষজন। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। ঘরে-বাইরে অসহ্য গরম। প্রকৃতিতে গরম বাতাসে বইছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ২০২৩ সালে এই দিনে ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছিল। এর আগে জেলায় সর্বোচ্চ বুধবার ৪০ দশমিক ৫ ও বৃহস্পতিবার ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে তীব্র ও মাঝারি দাবদাহ প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজন যেন এই রোদে ঘর থেকে বের না হয় এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।

প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে ঝাপাঝাপি করতে দেখা গেছে। তীব্র খরায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে উপজেলাজুড়ে তীব্র পানি সংকটও দেখা দিয়েছে।

রাজশাহীতে দাবদাহে হাসপাতালে রোগীর চাপ

রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ও তীব্র দাবদাহ। ফলে রোদ-গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। যার প্রভাব পড়েছে জনস্বাস্থ্যের ওপরও। এতে করে জেলায় বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া। চিকিৎসকরা জানান, গরমের কারণে ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি ভুক্তভোগী হয়। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, আবহওয়াজনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।

রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, উপজেলা পর্যায়েও ডায়রিয়া রোগী আসছে। তবে মহামারি আকার ধারণ করেনি। আসলে মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খাচ্ছে। রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি মানুষের সচেতনতা না বাড়লে ডায়রিয়া মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালাচ্ছি।

হিট অ্যালার্ট: সচেতন থাকতে হবে

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দাবদাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ‘হিট অ্যালার্ট’ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তি ও ঝুঁকিতে। কর্মজীবীদের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি। গরমে যেসব রোগ দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো- ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিট স্ট্রোক ইত্যাদি। এ পরিস্থিতিতে একটু অসতর্কতায় ঘটতে পারে বিপদ। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

তীব্র গরমের এমন অবস্থায় কীভাবে সুস্থ থাকা যায় জানতে চাইলে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এই গরমে আমাদের বেশ সাবধানতায় চলাফেরা করতে হবে। বিশেষ করে বাসার বয়স্ক মানুষ, শিশু এবং কোনো রোগী থাকলে তাদের দিকে আলাদা যত্ন নিতে হবে। এই সময়ে অবশ্যই প্রচুর পানি খেতে হবে। যাদের হৃদরোগসহ জটিল রোগ আছে তারা একেবারেই প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে বেশি রোদে কাজ করা যাবে না। গরমে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেশি লবণ বেরিয়ে যায়, তাই লেবুর শরবত এবং হালকা লবণ দিয়ে পানি কিংবা স্যালাইন অল্প পরিমাণে খাওয়া যাবে। গরমে কারও শরীর বেশি খারাপ লাগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’

এই সময়ে ঢিলেঢালা পোশাক পরা এবং রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে ঘরে যেন পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করে, সে জন্য দরজা জানালা খোলা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

আজ ও কালকের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ এবং দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।


অগ্নিনিরাপত্তা আইন না মানায় বাড়ছে অগ্নিকাণ্ড

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে আগুন লেগে মারা যান ৪৬ জন।। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:৩৫
শেখ শফিকুল বারী

সম্প্রতি দেশজুড়ে বেড়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নগর পরিকল্পনাবিদ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, ঝুঁকি অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, জনসাধারণের অসেচতনতা এবং প্রতিষ্ঠানগুলো আগুনসহ অন্যান্য ঝুঁকির বিষয়ে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, কিন্তু মানা হচ্ছে না অগ্নিনিরাপত্তা আইন।

এ ছাড়া মৌসুমি আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াও একটি কারণ। পাশাপাশি দেশ দ্রুত শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে কেমিক্যাল জাতীয় নানা দাহ্য পদার্থের ব্যবহার।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি আগুন লেগেছে। এসব ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছেন। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদ।

চলতি বছর জানুয়ারিতে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৭২টি। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজারটি। গত বছর জানুয়ারিতে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৪৬টি। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ২ হাজার ৭১৩টি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালের চেয়ে চলতি বছর অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা বেড়েছে।

২০২৩ সালে সারা দেশে ৫ হাজার ৩৭৪টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ (১৬৯৪টি) ঝুঁকিপূর্ণ, ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ (৪২৪টি) অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ মোট ঝুকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ৩৯ দশকি ৪১। আর সন্তোষজনক প্রতিষ্ঠান ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ (৩২৫৬টি)।

চলতি মাসের প্রথম দিন রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া এলাকার ধার্মিকপাড়ায় একটি গ্যারেজে আগুন লেগে পুড়ে যায় লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এর দুদিন পর খুলনার রূপসা এলাকার সালমা জুট মিলে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালের ৫ম তলার কার্ডিয়াক বিভাগের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট অনেক চেষ্টার পর আগুন নির্বাপণ করে। এ ছাড়া, গত ১২ এপ্রিল সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ঝাউচর মোড়ে একটি টিনশেড বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ২০টি ঘর। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টার চেস্টার পর দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে গত ২৪ মার্চ ভোর থেকে পরদিন বিকেল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পাঁচটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতার গাউছিয়া কাঁচাবাজার, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি সুপারবোর্ড কারখানা এবং পাবনার সাঁথিয়ার বনগ্রামে দুটি পাটের গুদাম ও একটি তেলের মিলে আগুন লাগে।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে আগুন লাগে। মারা যান ৪৬ জন। ঠিক পরের দিন ১ মার্চ রাতে ওয়ারীর পেশওয়ারাইন রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অতীতেও দেখা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে তপ্ত আবহাওয়ার প্রভাবে ২০২৩ সালে ভোররাতের দিকে বঙ্গবাজার মার্কেট, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লেগে পুড়ে যায়।

ঘস ঘন আগুন লাগার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান দৈনিক বাংলাকে বলেন, আবহাওয়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে আগুন লাগে। এর বাইরে নগরগুলো আমরা এনভাবে সাজিয়েছি, যা মৃত্যুকূপের মতো। ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। অসংখ্য ইলেক্ট্রিক ও গ্যাস লাইন ঠিক নেই। রেগুলার মেইটেন্যান্স নেই। ঘরে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে মানহীন গ্যাস সিলিন্ডার। মেইন্টেন্যান্স নেই, সার্ভিস লাইন ঠিক নেই, মৃতুকূপটা সব জায়গাতেই আছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর বড় বড় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানায় আগুন লেগেছে। এসব আগুন শুধু মৌসুমি কারণে নরমাল আগুন নাকি এর বাইরে কোনো এলিমেন্ট আছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। অবশ্যই অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়গুলো অত্যন্ত বিশদভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডার যারা আছে, সবাইকে দেখতে হবে। সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ক্রস চেক করে দেখতে হবে এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কোনো নাশকতা আছে কি না। থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। কিন্তু এটা দেখা দরকার যে অস্বাভাবিক না স্বাভাবিক। নগর নিরাপত্তা, এটাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই এদিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।

আগুন লাগার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, আগুনের ঘটনা ঘটে মানুষের অসাবধানতার কারণে। দেখা গেছে আগুন লাগার কারণগুলোর মধ্যে কোথাও প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক লোড ব্যবহার করা এবং মানহীন বা নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা অন্যতম। এ ছাড়া আমাদের দেশ শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। উন্নতমানের নান্দনিক সামগ্রী তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে কেমিক্যাল এজেন্ট ব্যবহার বেশি হচ্ছে। এর ফলে অগ্নিঝুঁকি বাড়ছে। এ ছাড়া ঈদের আগে ব্যবসার প্রয়োজনে অতিরিক্ত পণ্য মজুত করা হয়। এতেও রিক্সফ্যাক্টর বেড়ে যায়। ফলে অগ্নিদুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, শীতকাল পার হওয়ার পর বসন্তে বৃষ্টির প্রবণতা শুরু হলেও প্রকৃতিতে একটা পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়, টেম্পারেচার (তাপমাত্রা) বাড়ে। গাছের পাতা ঝরে যায়, অনেক সময় জীবন্ত গাছও শুকিয়ে যায়। আর যেসব দাহ্য বস্তু রয়েছে সেসব আরও শুকিয়ে যায়। যেমন আমাদের শরীরেও আবহাওয়ার এই প্রভাব পড়ে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আমরা লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করি।

অপরদিকে শীতকালে আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকে। দাহ্য বস্তুর জ্বলে ওঠার প্রবণতা ভেতরে থাকলেও বাইরে তেমন থাকে না। শীতের পর বৃষ্টি শুরু হলেও টেম্পারেচার বেড়ে যাওয়ায় দাহ্যবস্তু ভেতর থেকে শুকিয়ে থাকে এবং বাইরে টেম্পারেচার বেড়ে যাওয়ার ফলে দাহ্য বস্তুর জ্বলে ওঠার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এ জন্য করণীয় কী জানতে চাইলে শাহজাহান শিকদার বলেন, এ জন্য সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। প্রত্যেককে অগ্নিনিরাপত্তা আইন মেনে চলতে হবে। অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থা্পন করতে হবে। যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মূলত ৪টি ধাপে ভবনকে নিরাপদ করতে হবে। প্রথমত, ভবন নির্মাণের সময় বিএমডিসি এবং ফায়ার সেপটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করতে হবে। তৃতীয়ত, এসব ব্যবস্থা গ্রহণের পর সেগুলো ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত জনবল থাকতে হবে। এ জন্য ভবনের ১৮ শতাংশ লোককে প্রশিক্ষিত করতে হবে ফায়ার সার্ভিস থেকে। আর চতুর্থটি হলো, মাঝে মাঝে এসব প্রশিক্ষণের মহড়া করতে হবে। কিন্তু সে অনুযায়ী অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেউ মনোযোগী না, কম্পলায়েন্স ইস্যুতে মনোযোগী না।

অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সরঞ্জাম বিষয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম শুধু ফায়ার এক্সটিংগুইশার বুঝায় না। যে ভবনে যে ধরনোর রিক্সফ্যাক্টর থাকবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন একটি ভবনে ২টি সিঁড়ি প্রয়োজন হলে তা রাখতে হবে। কোনো ভবনে স্প্রিঙ্কলার (কক্ষের সিলিংয়ে লাগানো স্বয়ংক্রিয় পানি ছিটানোর যন্ত্র), কোনো ভবনে হোজরিল (প্রতি তলায় সুবিধাজনক স্থানে পানি সরবরাহ কলের সঙ্গে যুক্ত লম্বা নল) স্থাপন করতে হবে। যেখানে হাইড্রেন্ট সিস্টেম প্রয়োজন, সেখানে হাইড্রেন্ট সিসটেম স্থাপন করতে হবে। তা হলেই আমরা নিরাপদ থাকতে পারব বলে আমি মনে করি।’


সোমবার আসছেন কাতারের আমির

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার তিনি ঢাকায় পৌঁছবেন।

ঢাকায় এটি তাঁর প্রথম সফর। সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় গুরুত্ব পাবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, কাতারের আমিরের এই সফরে ১০টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হবে। এই চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বন্দি বিনিময়, দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে কাতারে জনশক্তি রপ্তানি, ধর্মীয় বিষয়ে সহযোগিতা, বন্দর ব্যবস্থাপনায় কাতারের প্রতিষ্ঠান মাওয়ানির যুক্ত হওয়া, উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা ও কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ।

জানা গেছে, ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের এই সময়ে কাতারের আমিরের এই সফরে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। এর প্রায় দুই দশক পর তার ছেলে ও বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে আসছেন। নাম প্রকাশ না করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কূটনীতিক জানান, ২০১৭ সালে আরব লিগ, বিশেষ করে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল। ওই সময় কাতারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ওপর সৌদি আরবের প্রবল চাপ ছিল। তখন বাংলাদেশ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। কারণ, বাংলাদেশের জনশক্তির প্রধান বাজার সৌদি আরব হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী কাতারে কাজ করেন। ফলে

২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই সংকটে বাংলাদেশ কাতারের পাশে ছিল। ফলে দেশটি বাংলাদেশের ওপর সন্তুষ্ট।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির আসন্ন সফর উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দুই পক্ষের কূটনীতিকরা কাজ করছেন। তার আসন্ন সফরকে সামনে রেখে গত সোমবার দোহা থেকে একটি অগ্রবর্তী দল ঢাকায় এসেছে। তারা আমিরের সফর উপলক্ষে নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, কাতারের বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মাওয়ানি কাতার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহী। এখন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে কাতারের আমিরের ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। দেশটির আমিরের ঢাকা সফরে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে। ওই সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কাতারে কাজ করার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে কাতারের নৌবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। এর আওতায় কোস্টগার্ডের লোকজন কাতারে কাজ করছেন।

ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ হবে কাতারের আমিরের নামে

এদিকে বাসস জানিয়েছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দুটি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দু-দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক এবং আমিরের এই সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তাঁর নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জানান, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।


নির্ধারিত সময়ের আগেই দুবাই পৌঁছবে এমভি আব্দুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে আগামীকাল রোববার দুবাই পৌঁছবে সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। আজ শুক্রবার এমভি আব্দুল্লাহ থেকে পাঠানো সবশেষ বার্তায় এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।

জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ তারিখ (রোববার) দুপুর নাগাদ এটি গন্তব্যস্থল দুবাইয়ে পৌঁছবে।’

গত বুধবারের পর থেকে জাহাজটিকে আর পাহারা দিচ্ছে না অন্য কোনো জাহাজ। ফলে এমভি আব্দুল্লাহ দুবাই অভিমুখে একাই অগ্রসর হচ্ছে। জাহাজটি ইতোমধ্যে সমুদ্রের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রম করেছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটিকে যেখানে আটক করে রেখেছিল, সেখান থেকে প্রায় ৯৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে এবং সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬৮৭ নোটিক্যাল মাইল দূরে গতকাল অবস্থান ছিল এমভি আবদুল্লাহর। এটি দ্রুত আরও দূরত্ব বাড়িয়ে দুবাই বন্দরের কাছাকাছি আসছে। জাহাজের সব নাবিক ভালো আছেন।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতাও। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল।

জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের ঈদও কাটে বন্দিদশায়। তবে তাদের ঈদের দিন ভালো খাবার দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।

গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পরের দিন দুপুরে মুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।


কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাকসবজি উপহার শেখ হাসিনার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে খালি হাতে ফেরেননি নেতারা। তাদের সবার হাতে গণভবনে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ প্রধান। অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার সময় সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে তাদের প্রত্যেকের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তদারকিতে গণভবনে উৎপাদিত ব্যাগ ভর্তি সবজি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদেরও এসব উপহার দেওয়া হয়।

সবজির ব্যাগে ছিল গণভবনে উৎপাদিত পালং শাক, পাট শাক, ডাটা শাক, পুঁইশাক, লাউ, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শাকসবজি পেয়ে কৃষক লীগ নেতাদের বেশ উৎফুল্ল হতে দেখা যায়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ প্রসঙ্গে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ বলেন, গণভবনে উৎপাদিত লাউ, চিচিঙ্গা, করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তার বাসভবনে উৎপাদিত শাকসবজি কৃষক লীগ নেতা-কর্মীদের উপহার দেওয়ায় যেমন উৎফুল্ল হয়েছি, তেমনি নিজেরাও প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন ভালো খামারি হওয়ার জন্য প্রেরণা পেয়েছি।

সমীর চন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা না রেখে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। তাইলে খাদ্যের জন্য আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমাদের নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।

এর আগে গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


শিশুদের সুস্থ বিকাশে আরও খেলাধুলা আয়োজনের তাগিদ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানা আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’


শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তিনি বলেন, বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, বরং আরও দৃপ্ত পদভারে জনগণের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়েছেন, দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করেছেন।

গ্রিসে অনুষ্ঠিত নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে যোগদান শেষে আজ শুক্রবার দেশে ফিরে সন্ধ্যায় রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ গ্রন্থিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পিআইবির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বর্তমান বিশ্বে বিরল। তিনি শুধু দেশেরই নন, তিনি আজ বিশ্বনেতা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু তারই নন, তার সন্তানদেরও প্রেরণা। ভারতের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে তাকে নিজের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা থাকলে হয়তো গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা যেত।

হাছান বলেন, শুধু তাই নয়, যেকোনো বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যোগ দিলে তিনিই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ প্রবন্ধ সংকলন প্রণয়নের জন্য গ্রন্থকার জাফর ওয়াজেদকে ধন্যবাদ জানান।

মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল জাহাজযোগে তাদের ফেরত নিতে সম্মত মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশিও একই জাহাজে ফেরত আসবে। তবে জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়াই বিএনপির বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা

সাংবাদিকরা বিএনপি আবার বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে- এমন প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, যেকোনো কিছুতেই বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা। বাংলাদেশে ক্ষমতার উৎস জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গেলে বিদেশিরা তো বিএনপিকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। জনগণই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয়।


banner close