বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

দুই সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:২০

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের চার জেলায় সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আমাতুল করিম আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বায়ু দূষণ রোধে কী কী কাজ করেছেন তা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষের আইনজীবী। পরে আদালত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ ঠিক করে দেন।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকার বায়ু দূষণে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ মোতাবেক রোববার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এ আইনজীবী বলেন, ‘আপনারা জানেন কয়েক দিন ধরে রিপোর্ট হচ্ছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ু দূষণকারী শহর হচ্ছে ঢাকা। বায়ু দূষণে ঢাকার এই অবস্থান ধারাবাহিক হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যেটা দিল্লীতেও করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানে কারও কোনো খবর নাই। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’

বিষয়:

হিট অ্যালার্ট আরও ৩ দিন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশে চলমান তীব্র দাবদাহ আরও কয়েক দিন থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই ‘হিট অ্যালার্ট’ আরও ৩ দিন থাকার কথা জানায় সংস্থাটি। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশের আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির আভাসের কথাও জানায় তারা।

এদিকে তীব্র গরমে জনজীবন হাপিত্যেশ হয়ে উঠেছে। দেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিষহ। কারণ দিনের আলোতে তীব্র সূর্যের তাপে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী-দিনমুজুর মানুষদের আয়-রোজগারও কমেছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেসব স্থানে গত সাত দিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, গত ৩০ বছরের একই সময়ের গড় তাপমাত্রার তুলনায় তা চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বলে আবহাওয়া অফিসের তথ্য থেকে জানা যায়।

চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় অনুভূত হচ্ছে আরও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে।’

অন্যদিকে চলমান হিট অ্যালার্ট নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ গতকাল শেষ হয়। আজ থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

গতকাল সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গরমে বাইরে যাওয়ার পর কাজ করতে গিয়ে তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সবার মৃত্যুই যে হিটস্ট্রোকে হয়েছে বলছেন না স্থানীয় চিকিৎসকরা। স্থানীয়রা এবং মৃত্যু হওয়া স্বজনরা দাবি করছেন, তাদের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবক্করপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মোটরসাইকেল ড্রাইভার মিরাজ (২৭) নামে এক যুবক হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। মৃতের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় প্রচণ্ড রৌদ্রের তাপে সে হঠাৎ ঘুরে পড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভন কুমার বসাক বলেন, মিরাজের কোনো রোগ ছিল না। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হিটস্ট্রোক বিষয়টি ময়নাতদন্ত ছাড়া আমরা বলতে পারি না।

অন্যদিকে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হিটস্ট্রোকে নজির হোসেন (৭১) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালের দিকে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের রমনা ব্যাপারীপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে হিটস্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আশেক। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) রোকনুজ্জামান সরকার জানান, নজির হোসেন পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সকাল থেকে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে তিনি বারবার পানি খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিটস্ট্রোকে মো. নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিটস্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই নয়া মিয়া ফকিরের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে।’

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে মো. নুর ইসলাম (৭৫) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বজনেরা জানান, গতকাল প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাড়ির আঙিনায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে প্রথমে মাথায় পানি দেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই ব্যাক্তি ডায়বেটিস ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ অবস্থার মধ্যে তিনি রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকায় পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়ে স্ট্রোক করেন। তাকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।’

এদিকে দৈনিক বাংলার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির তথ্যমতে, টানা কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেও মাঝে জেলায় কিছুটা কমে তাপমাত্রা। তবে গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গায় আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। জেলার কয়েকটি জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ৪০ মিনিট গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়, যা ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। বুধবার সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হয় চুয়াডাঙ্গার জনপদ। আবারও দাবদাহ শুরু হওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি।


ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসবে ইসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সারা দেশের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে এ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দিকনির্দেশনা দেবে ইসি। ওইদিন বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়ামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে বৈঠকটিতে নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।

গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয় নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে শেষ করতে চায় ইসি। এ লক্ষ্যে চার ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ছিল ১৫ এপ্রিল, বাছাই হয় ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৬১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় নির্বাচন হবে সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২১ এপ্রিল। মনোনয়ন বাছাই হয় ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। আর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। চতুর্থ এবং সর্বশেষ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৫ জুন। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, বাছাই ১২ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে।


আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখা, ফাস্ট-ট্র্যাক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয় করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করা হবে।’

মঙ্গলবার দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) আয়োজিত ‘প্রাক বাজেট আলোচনা ২০২৪-২০২৫’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং পরবর্তীতে স্মার্ট বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অগ্রগতি, সেটি চলমান আছে। এই অগ্রগতির সঙ্গে আমি, আপনি সবাই সম্পৃক্ত। কেউই এই কার্যক্রমের বাইরে নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে কোভিড-পরবর্তী বিরূপ প্রভাব, মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোবাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯-১০ সালে আমাদের বাজেটের সাইজ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকার মতো, যা গত ১৫ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আমরা দেখেছি জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ইন্টারনেট সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত প্রসার হয়েছে। আমরা উন্নয়নের রাজনীতি দেখেছি। সেটার জন্য অবশ্যই সম্পদ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এই যে আমাদের বাজেটের পরিধি বেড়েছে, এর সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনাও করা হয়েছে। বাজেটে দারিদ্র্য নিরসন, নারীদের উন্নয়ন, জলবায়ু মোকাবিলা, জিডিপি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি সব বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। শুধু বরাদ্দ বৃদ্ধি করলেই হবে না- বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি আসে, কিন্তু বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহারের কথা কেউ তোলে না। এটা আলোচনা করা বেশি দরকার।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখন সুদের হার ৯ শতাংশ ও ছয় শতাংশ ছিল, তখনো নন-পারফর্মিং লোন আমরা বাড়তে দেখেছি। সুদের হার বাড়লে খেলাপি ঋণ বাড়বে, এমন বিষয় নয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটা দূর করতে হবে। যদি মুনাফা করার সুযোগ থাকে তবে ব্যবসায়িরা উচ্চ সুদেও ঋণ নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রপ্তানি বাড়াতে চাই। রপ্তানি বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও এফডিআই বাড়বে। রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার মনোযোগী। রাজস্ব খাতে পরিকল্পিত সংস্কার কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর আহরণের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিনসহ ব্যবসা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন আইসিএমএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আরিফ খান।


সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন: স্বাভাবিক হতে লাগবে ১ মাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে গত পাঁচ দিন ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে এ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি)। তবে সহসাই ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরছে না। ধীরগতির এ পরিস্থিতি চলতে পারে আরও এক মাস।

বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে। সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত শেষ হতে অন্তত ৫ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মে মাসের শেষ নাগাদ সংযোগ স্বাভাবিক হতে পারে।

জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে।

পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায় সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ।

বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান জানান, মূলত ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি ব্রেক করেছে। তারা এটা মেরামতে কাজ করছেন। আগামী মাস অর্থাৎ, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ অথবা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া দ্রুত ব্যান্ডউইথ সরবরাহে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাজমুল করিম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা যতদূর জেনেছি, এখনো কাজই শুরু হয়নি। কনসোর্টিয়ামের কোনো জাহাজ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। জাহাজ পাওয়ার পর হয়তো কাজ শুরু হবে। তার মানে আমরা একটা বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে গ্রাহকরা আমাদের অনবরত ফোন করছেন, খোঁজ নিচ্ছেন। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে সফটওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। ফ্রিল্যান্সাররাও এ নিয়ে আতঙ্কিত। সরকার এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা আমাদের।’

১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ এখন পুরোপুরি বন্ধ। শুধুমাত্র প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহে রয়েছে। এত বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা কীভাবে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।

বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।

বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিল। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।

অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ ঢুকেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিকল্প অনেকগুলো উপায় রয়েছে। সেগুলো কার্যকর করা হচ্ছে। যদিও সব বিকল্প উপায়গুলো পুরোপুরি এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল যেটি সিমিউই-৪ নামে পরিচিত, সেটির পুরো ব্যান্ডউইথ বহনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। এটা ছাড়াও আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েও কাজ চলছে।’


ডিইউজের নিন্দা,বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। এই ঘটনায় সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা যে বর্বরোচিত হামলার শিকার হলেন তা অতান্ত ন্যাক্কারজনক ও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি।

তারা অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠ তদন্ত নিশ্চিতের পাশাপাশি আহতদের সু-চিকিৎসাসহ ক্ষতিপূরণও দাবি করেন।

বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

এদিকে আজ দুপুরে সাংবাদিকদের উপর এই ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে প্রতিবাদ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

এসময় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন।


সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্ণালিস্ট এসোসিয়েশনের ( টিসিএ) উদ্যোগে গতকাল বুধবার দুপুরে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তৃতা করেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন
নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরো অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। বুধবার তিনি র‌্যাবের গুরুত্বপূর্ণ এ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বুধবার সকালে র‌্যাবের সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি র‌্যাব-১৩ এ দায়িত্ব পালনের সময়ে র‌্যাব-১৩ প্রথমবারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র‌্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড থেকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হয়েছেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।


ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


ছয় দিনের সফরের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ছয় দিনের সফরের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল ১০টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেসসচিব গুলশাহানা ঊর্মি।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৩ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ব্যাংককের ডন-মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে। গত জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

ব্যাংককে শেখ প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ওইদিন থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর।’

তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।

সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


ছয় দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৩৯
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ সকালে দেশটির রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমানটি।

এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় ধরনের সফর।’

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর।

গত জানুয়ারিতে নির্বাচনে জয়লাভের পর কোনো দেশে শেখ হাসিনার এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা দলিল সই হবে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণে পর্যটন খাতে সহযোগিতা ও শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা-সংক্রান্ত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চাইবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, নৌ সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হবে।

২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে দলিল সই শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে এ বহুপক্ষীয় সফরে ২৫ এপ্রিল কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।


শুধু আইনশৃঙ্খলায় নয়, মানবিকতায়ও নজির স্থাপন করেছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয় বরং মানবিকতায়ও অনন্য নজির স্থাপন করেছে। চলমান তাপপ্রবাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে ৫০টি থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান যেমন- বাজার, বাস স্টপেজ, মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে সাধারণ শ্রমজীবী, রিকশাচালক ও নিম্ন আয়ের মানুষ নিরাপদ খাবার পানি পান করতে পারেন। মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই সারা দেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সব সময় রাস্তায় থেকে কাজ করেন। রাস্তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচণ্ড রোদ বা বৃষ্টি সবকিছু উপেক্ষা করে তাদের কাজ করতে হয়। এমনকি তারা বিশ্রামের সুযোগও পান না। আর চলমান দাবদাহের সময় তৃষ্ণা বা পিপাসার্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এর বাইরে আমরা কিছু জায়গায় স্থায়ীভাবে পানির ট্রলি দিয়েছি। আর বেশ কয়েকটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মহানগর এলাকায় যারা রয়েছেন তাদের সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পক্ষ থেকে ট্রাফিক পুলিশদের খাবার পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, লেবুর শরবত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জড়িত থাকে না বরং মানবিক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। আমি মনে করি, করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবসেবা করে বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বে একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। আজকেও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা আশা করি পুলিশ এই কার্যক্রম সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ।’

চলমান তাপপ্রবাহে সড়কে দায়িত্বপালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার কোনো চিন্তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো চিন্তা নেই। আমাদের যে পোশাক রয়েছে তার বাইরে গিয়ে বিকল্প পোশাক পরিধানের কোনো চিন্তা-ভাবনা এখন আমাদের নেই। তবে যে কালো ছাতাটি রয়েছে সেটির বদলে সাদা ছাতা দেওয়ার হবে, যেন গরম কম লাগে। একই সঙ্গে রোদে বা তাপপ্রবাহে কোনো পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে গেলে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

ওই ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার টু কমিশনার) মো. এনায়েত করিম, গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তিসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার (এমসিকিউ টাইপ) আসনবিন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট আগামী শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের ২১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে হবে। উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসন ব্যবস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এ সংক্রান্ত তথ্যাদি জানা যাবে।

এর আগে, পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা ঢাকার ৯৬টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঢাকার কেন্দ্রগুলোর জন্য নিয়োগ করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরীক্ষার দিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।


মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছেন। আজ মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

এ দিন সকালে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে মিয়ানমারের নৌ-জাহাজ চিন ডুইন সিতোয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটি রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজার আসছে।

আগামীকাল বুধবার জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছাবে এবং পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের নাগরিকদের হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা আছেন।

ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে। সর্বোচ্চ সংখ্যক যাচাই করে বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ও সহজে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাদেরকে সিতোয়ে কারাগারে আনতে উদ্যোগ নেয়।

পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনো কারাভোগরত কিংবা বিচারাধীন, একই সঙ্গে তাদেরও মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হয়। যার ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরও দেশে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়। ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ে সেই প্রত্যাবাসনের পর থেকেই মিয়ানমারে অবশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে পাঠাতে নিরলস কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ের প্রতিনিধিরা বিগত কয়েক দিন ধরে সশরীরে অবস্থান করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়, যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের ভ্রমণের অনুমতি (ট্রাভেল পারমিট) দেওয়া সংক্রান্ত কাজ করেছেন।


banner close