বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: অর্থমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি।
আপডেটেড
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:১২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে।

ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এসব সংস্কারমূলক কাজের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক সময় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারকে ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট দেয়। কাজেই রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বাজেট সহায়তা গ্রহণ করছে, বিষয়টি এ রকম নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

অর্থমন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বিভিন্ন উন্নয়নসহযোগীর কাছ থেকে মোট ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়া গেছে। আর চলতি অর্থবছরের জন্য মোট ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে।

সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, দেশে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষি সহায়তা প্রদান করার নিমিত্তে কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা নেয়া হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করে যাচ্ছে। এনবিআর আশা করে, অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে।


প্রথম আলো সম্পাদকের বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

প্রথম আলোর সম্পাদকের বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৭:২৬
প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘হলুদ সাংবাদিকতার’ অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি হলেও কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রায় সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এসে তাদের অবরোধ থেকে সরিয়ে নেয়। এ সময় শাহবাগ মোড়ের আশেপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

অবরোধ কর্মসূচির ব্যানারে লেখা ছিল, হলুদ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতার প্রতিবাদে এবং বাসন্তীকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় জাকিরকাণ্ডের হোতা, গুজবরাজ, শিশু নিপীড়নের দায়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিশু হত্যায় দায়ী মতিউর রহমানের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি।

ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল করেন। ছবি: দৈনিক বাংলা

কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক অমি বলেন, ‘জাকিরকাণ্ডের মতো ১৯৭৪ সালে বাসন্তীকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমরা আজকে এখানে সমবেত হয়েছি যেন আগামীতে কখনো কোনোভাবে যেন কেউ তথ্য সন্ত্রাস বা গুজব সন্ত্রাসের মাধ্যমে তার নিজ স্বার্থ হাসিল করতে না পারে বা কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর মতো যারা হলুদ সাংবাদিকতা করে তাদের আমরা বয়কট করতে চাই। প্রথম আলো বারবার এই কাজ করছে। আমরা রাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই, কেন তারা বারবার এটি করার পরও পার পেয়ে যাচ্ছে? কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিশু হত্যায়ও দায়ী। আমাদের দাবি তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

আরেকজন নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটা সত্য যে দ্রব্যমূল্যের দাম আজকে ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু তাই বলে আমরা এটি বলতে পারিনা যে আমাদের স্বাধীনতার দরকার নেই বা এই স্বাধীনতা দিয়ে আমরা কি করব। আমার দেশ না থাকলে বা দেশ স্বাধীন না হলে আমি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলবো কিভাবে? তাই আমাদের দেশ দরকার, স্বাধীনতা দরকার।’

অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে আরেক ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘আমরা তো সাধারণ মানুষের ভালোর জন্যে এই প্রোগ্রামটা করছি। তাদের যেন পরবর্তীতে ভুয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্যই আমাদের আজকের এই প্রোগ্রাম। আল্টিমেট লাভটা তো তাদেরই। আমরা চাই দেশের বর্তমান যা পরিস্থিতি গণমাধ্যম আমাদের সামনে প্রকাশ করুক কিন্তু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি কোনো গুজব ছড়ানো হয় তাহলে আমরা রুখে দিতে প্রস্তুত।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এদেশে সাম্রাজ্যবাদের এশীয় দালাল যারা তারা বাসন্তীকাণ্ডসহ আরও বিভিন্ন উপায়ে ১৯৭২-৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে। সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রথম আলোর সেই নিউজের মাধ্যমে আমরা একই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি দেখেছি।’

তিনি বলেন, দশ টাকায় শিশুকে দিয়ে এই ধরনের মন্তব্য তৈরি করা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী। যারা এটি করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সবার দাবির সঙ্গে সঙ্গে আমরা একমত।

বিষয়:

ঈদে ৬ দিন ফেরিতে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ

বৃহস্পতিবার নৌ-মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:২১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার নৌ-মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ছাড়া রাতের বেলায় স্পিডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। বৈঠকে বলা হয়, ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং ঈদের পরের পাঁচ দিন সার্বক্ষণিক (দিন এবং রাত) সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বৈঠকে জানান, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে মোটরসাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিলে আবহাওয়া খারাপ থাকে; কালবৈশাখীর হওয়ার শঙ্কা থাকে। সে সময় সবাইকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নৌ-পুলিশ আরও সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এ ছাড়া সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী ওঠানামা করতে না পারে, সে জন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে। নদীবন্দরগুলোতে যাত্রী সেবার জন্য যেসব ওয়াশরুমের সুবিধা আছে, সেগুলোর সংখ্যা ও সেবার মান বাড়াতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রী পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে, সে জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীসাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌ-সেবাটা নিতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক। পদ্মা সেতু আমাদের অনুভূতির জায়গাটা দখল করে নিয়েছে। অনেকে মনে করেছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষরা আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নৌপথে আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌ-সেবা নিতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সেবা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।


মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন খুলছে কাল, এপ্রিল থেকে চলবে ৬ ঘণ্টা

মেট্রোরেল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:২৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন চালু হচ্ছে আগামীকাল। শুক্রবার থেকে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন খুলে দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তে যাচ্ছে ট্রেন চলাচলের সময়। এতদিন সকালে চার ঘণ্টা চললেও আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ছয় ঘণ্টা চলবে ট্রেন। নতুন সময় অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ১৫ মার্চ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশন খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সাতটি স্টেশনে ট্রেন থামছে। এই পথে মোট ৯টি স্টেশন আছে।

এম এ এন ছিদ্দিক জানান, জুলাই মাস থেকে মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু করবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলবে। আগের মতোই ট্রেন চালানোর আধা ঘণ্টা আগে স্টেশন খুলবে এবং বন্ধ হবে।

ডিমটিসিএলের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবার পর্যন্ত আয় হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই সময়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার। খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মতো। খরচের বেশির ভাগ গিয়েছে বিদুৎ খাতে। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ, বেতন ও অন্যান্য খাতে খরচ রয়েছে।

মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয় উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনের মধ্য দিয়ে। তখন মাঝের অন্য কোনো স্টেশনে ট্রেন থামত না। পরের ধাপে পর্যায়ক্রমে উত্তরা সেন্টার, পল্লবী ও মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হয়েছে। চলিত মাসে আগারগাঁও-দিয়াবাড়ী অংশের বাকি আরও স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে।

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলাম মার্চের মধ্যে সব স্টেশন খুলে দেয়া হবে। আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি। এখন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে সব স্টেশন চালু হচ্ছে। প্রথম দিকে নতুন চালু হওয়া স্টেশনগুলোও বর্তমানের নিয়মিত সময়ে চালু হবে। এপ্রিলের পাঁচ তারিখ থেকে সময় বাড়বে। জুলাই থেকে পুরোদমে শুরু হবে মেট্রোরেল চলাচল। তখন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে।

তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল লাইন-৬-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ। এক্সিট ও এন্ট্রির নির্মাণকাজ চলছে। প্রকল্পের অধীনে নতুন করে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না।’

৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজধানীর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ এখনো চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি ২০১২ সালে হাতে নেয় সরকার। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার চালু করা হয়। দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ ২০২৫ সালে চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

শামসুজ্জামান শামসকে আদালতে নেয়া হচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৫০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির দৈনিক বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিজাম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শামসকে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। আদালতে তোলার পর কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। অপরদিকে মামলায় জামিন চেয়ে শামসের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আটক রাখার আবেদনে আবু আনছার উল্লেখ করেন, আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে বিধায় তাকে কারাগারে রাখা যেতে পারে।

২৬ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত একটি শিশুর ছবি ও ক্যাপশনে অসংগতি থাকার প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম আলো ছবি ও ক্যাপশনটি সরিয়ে ফেলে এবং ভুল স্বীকার করে জানান, ছবির ভুলে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় গত বুধবার ভোর ৪টার দিকে আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার বাসা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া বুধবার মধ্যরাতে আব্দুল মালেক নামে এক আইনজীবী একই আইনে রমনা থানায় মামলা করেন। এতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। এ মামলায় শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।


রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের নির্দেশ আউয়াল কমিশনের

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা রোডম্যাপ বাস্তবায়নে যেন পিছিয়ে না পড়েন, সেজন্য এমন নির্দেশনা দেয় আউয়াল কমিশন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম।

সমন্বয় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানসহ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভা ছিল। ইসির সব কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। নির্বাচন কমিশনাররাও ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন তাদের ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না থাকি।’

জাহাংগীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সব বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোন কোন বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’

তিনি বলেন, ‘মাঠপর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি, ব্যালট বাক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলো কীভাবে যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে এসব বিষয়। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।’

কমিশন বৈঠকে পাঁচ সিটির ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে; যে প্রস্তাবনাগুলো আছে, সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোন অংশ বাতিল বা কোনটা রাখা হবে, সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেয়া হয় না। মিডিয়াতে দুটো বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি জেলায় একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকে, এখন আসন শব্দটা যোগ করা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়াতে প্রতি আসনে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই আইনের ধারাটা না পড়েই ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে।’

যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, নির্বাচন কমিশন সেটা করতে পারেন জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন বলা হয়েছে, কোনো একটি ফলাফল তৈরির সময় যখন রিটার্নিং কর্মকর্তা বিবরণীটা কমিশনে পাঠাবে, তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয়, তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় ফলাফল প্রকাশ করার দরকার, তাহলে তারা প্রকাশ করবে, অন্যথায় ওই গুরুতর অপরাধে ফলাফল তারা বাতিল করতে পারবেন।’


ভিকারুননিসার ২ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলাটির ধার্য দিনে আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দিয়েছেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা দুই শিক্ষিকা হলেন ওই কলেজের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার।

বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে বদলি হয়ে আমাদের আদালতে আসে। এর আগে মামলাটির দিন ধার্য ছিল। ওই দিন আসামিরা আদালতে হাজির হননি। ২৮ মার্চও মামলাটির তারিখ ধার্য ছিল। এদিনও তারা আদালতে হাজির হননি। এ জন্য আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৮ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি-শিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন। এরপর বিচারক অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তার বাবা দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।

বিষয়:

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে রাখার আবেদন

শামসুজ্জামান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:০৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করার পর কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।

আটক রাখার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে বিধায় তাকে কারাগারে রাখা যেতে পারে।

অন্যদিকে এ মামলায় জামিন চেয়ে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেছেন।

এর আগে বুধবার সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও থানায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বাদী ফার্মগেট আল রাজি হাসপাতালের সামনে অবস্থান করার সময় অনলাইন পোর্টাল ব্রাউজ করতে গিয়ে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজের একটি ছবি দেখতে পান। সেই ছবিতে জাকির নামে এক শিশু ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীন স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ-মাংস আর চাইলে স্বাধীনতা লাগব।’

এজাহারে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায় যা দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজারো মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করে। এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই সংবাদ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।

এজাহারে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে ৭১ টিভি চ্যানেলসহ তাদের অনলাইন পোর্টাল প্রকাশিত সাংবাদে জানা যায় যে প্রথম আলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে।

এজাহারে বাদী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন উদ্দেশ্যে একটি অশুভ চক্র দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ মিথ্যা সংবাদ তৈরি ও পরিবেশন করে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং বিশ্বব্যাপী প্রচার করায় বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি ক্ষুব্ধ। এমতবস্থায় এজাহার নামীয় আসামি সহ অজ্ঞতা নামা আসামিরা অনুমতি ব্যতিরেকে মিথ্যা তথ্য উপাত্তসহ মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবার উপক্রম ও সহায়তার অপরাধ করিয়াছে। আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে সময় লাগায় এজাহার করতে বিলম্ব হইলো।’

বিষয়:

শেখ হাসিনার সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:০৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও ‘সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপ’ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ। সংস্থাটি এক নিবন্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। খবর বাসসের।

নিবন্ধে সংস্থাটি লিখেছে, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পুরো তহবিল পেতে আরও সংস্কার করতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে, তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন। বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সাফল্যের কারণেই এটা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির পটভূমিতে ব্লুমবার্গ দুটি উপ-শিরোনামসহ ‘বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলস’ শিরোনামের এই নিবন্ধটি প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়, পুরো তহবিল পেতে শেখ হাসিনাকে আরও সংস্কার করতে হবে।

নিবন্ধে বলা হয়, ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়শই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মতো নন।

তার দ্রুত আইএমএফ ম্যান্ডেটের বাস্তবায়ন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে যেখানে পাকিস্তান এখনো জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, কারণ, তারা গত সপ্তাহে আইএমএফ তহবিল পেতে কর এবং সুদের হার বাড়িয়েছে।

গত জুলাই মাসে আইএমএফের সহায়তা চাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ ছিল বাংলাদেশ। দেশটি দ্রুত জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির পর প্রথম ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিতে কোনো কুন্ঠা বোধ করেননি বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা-আটক, এমএফসির উদ্বেগ

আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আটক ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমএফসি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের নিম্নস্বাক্ষরকারী সদস্যদেশগুলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা, আল-জাজিরার লন্ডনভিত্তিক সাংবাদিকের ভাইয়ের ওপর হামলা, ঢাকা ট্রিবিউনের আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলা এবং সম্প্রতি প্রথম আলোর সাংবাদিক আটকের খবর। আমরা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে এর প্রতিটি ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্যরাষ্ট্রগুলো এক বিবৃতিতে বলেছে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অংশ হিসেবে মিডিয়া এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় যেকোনো দেশে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যাচাই-বাছাই এবং মনোযোগ প্রয়োজন।


যাত্রাবাড়িতে সৌদি প্রবাসীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক সৌদিপ্রবাসীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রীর দাবি, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

নিহত আমজাদুল ইসলাম জ্যাকির (২৭) বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের হাজীপুর গ্রামে।

নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া জানান, সুমাইয়ার এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে তার দুটি সন্তান রয়েছে। সৌদি আরব থেকে কয়েক মাস আগে দেশে আসেন আমজাদুল। ভালোবেসে চার মাস আগে বিয়ে করেন তারা। এরপর থেকে যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকেন। বুধবার সন্ধ্যার পর পার্লারে যান সুমাইয়া। সেখান থেকে ফিরে এসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আমজাদুলকে দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনো ঝগড়া-বিবাদ হয়নি। কী ভেবে এই কাজ করল বলতে পারি না।’

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।


প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১০:১১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বুধবার মধ্যরাতে রমনা থানায় আবদুল মালেক নামের ওই আইনজীবী মামলাটি করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, মামলায় মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামান ছাড়াও সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

এর আগে স্বাধীনতা দিবসে একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার প্রথম আলোর সাংবাদিক মো. শামসুজ্জামানের নামে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার আজিমুল হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, মামলা হয়েছে তেজগাঁও থানায়। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। আসামিও সিআইডির কাছে। তারাই বিষয়টি দেখভাল করছে।

বিষয়:

বায়ুদূষণে আজ চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা

আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৪৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে ২৪৫ স্কোর নিয়ে শহরটি শীর্ষে ছিল।

তালিকায় ওই সময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের মুম্বাই, স্কোর ছিল ১৯৭। পাকিস্তানের লাহোর ছিল তৃতীয়, ১৭১ স্কোর নিয়ে রাজধানী ঢাকা ছিল চতুর্থ অবস্থানে।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো না কি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার। কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার। এর মানে হলো সে সময়টাতে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।

বিষয়:

শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

শামসুজ্জামান শামস। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৩ ২২:১৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮/এর ২৫(২), ২৬(২), ২৯(১), ৩১(২) এবং ৩৫(২) ধারায় মামলা ও আটকে সম্পাদক পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ইতোমধ্যেই সাংবাদিকতাসহ বাকস্বাধীনতা ও মুক্তদ্ধবুদ্ধিচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সাংবাদিক, আইনবিদ, মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সাংসদদের নিকট হতেও আইনটির পরিবর্তন, পরিমার্জন, বিয়োজন ও সংযোজনের বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ, সুপারিশ ও উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আইনটি তৈরির সময় থেকেই সম্পাদক পরিষদ এবং সাংবাদিকরা এ আইনের বিষয়ে উদ্বেগ ও আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। আইনমন্ত্রী এই আইনের বিভিন্ন রকম অপব্যবহার এবং সেই প্রেক্ষিতে আইনটি সংশোধনের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও এই আইনের মাধ্যমে সংবাদকর্মী ও মুক্তমত প্রকাশকারী ব্যক্তিরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, কোনো সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ ও মামলা করতে পারেন। কিন্তু সেটি না করে সরাসরি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের হচ্ছে। তাই সাংবাদিকতার স্বাধীন ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দ্রুত সংশোধনসহ সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসসহ সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি করছে সম্পাদক পরিষদ। একই সঙ্গে এই আইনে কেউ গ্রেপ্তার বা আটক থাকলে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছে।

বিষয়:

banner close