শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিতোষের সাজায় আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্বেগ

আর্টিকেল নাইনটিন
আপডেটেড
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৪৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৩৫

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রংপুরের তরুণ পরিতোষ সরকারকে ১১ বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আর্টিকেল নাইনটিন’।

রংপুরের সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের দেয়া এ সাজা একই সঙ্গে চলায় পরিতোষকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এর আগে ২০২১ সালে যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি কিশোর ছিলেন এবং তাকে দীর্ঘ আট মাস নির্জন কারাবাসে থাকতে হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত যে, একজন তরুণ এমন একটি আইনের অধীনে সাজা পেলেন, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমি বিশ্বাস করি, এই কথিত ঘটনার সময় পরিতোষের বয়স, নিরাপত্তার নামে কিশোর বয়সে শুধু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে কঠোরতম অপরাধীদের জন্য সংরক্ষিত নির্জন কারাবাসের মতো অমানবিক ও নিষ্ঠুর শাস্তির মধ্য দিয়ে তার যাওয়াসহ অন্যান্য বিষয় যদি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেয়া হতো তাহলে তিনি ন্যায়বিচার পেতেন।’

ফারুখ ফয়সল আরও বলেন, ‘নির্জন কারাবাস মানুষের শরীর ও মনের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আইন অনুসারে কিশোরদের নির্জন কারাবাস একটি নির্যাতন এবং মৌলিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।’

২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর কথিত ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার’ কারণে স্থানীয় জনতা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় কিশোর পরিতোষ সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ পুরো আট মাস নির্জন কারাগারে রাখা হয়।


ভারতীয় পণ্য বয়কট হলো পলিটিক্যাল স্টান্ট: মোমেন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘ইদানীং ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে; কিন্তু আমার মতামত হলো, এ ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে আজ শুক্রবার ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এবারের সংসদীয় কমিটিতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ইস্যু হলো, প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। বিদেশে চলা সবগুলো মিশনের একজন প্রধান ইনস্পেকটর আছেন। সেখানে সুপারিশ করা হয়েছে, প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে, তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।’

এ ছাড়া বৈঠকে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কী করেছে, সে সবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি, এমনকি কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন যে, নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে, শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।’


বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী: দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৪ ২০:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিঝুঁকি দেশের জন্য অন্যতম মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে; এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।

শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন হলে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) কর্তৃক আয়োজিত অগ্নিঝুঁকি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সেফটি নিশ্চিতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভবন নির্মাণের সময় অবশ্যই বিল্ডিং কোড মানতে হবে। সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়ার জরুরী। খুব শীঘ্রই দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনায় বসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়েছে। ৮০ ডলার থেকে বর্তমানে আমরা ৪৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছি। এখন সময় এসেছে ফায়ার সেফটি খাতে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করা জরুরি। আমাদের এখন নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশনস ও মেইনটেইনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বলেন, উন্নত দেশে পরিণত হতে গেলে সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্মাণ ব্যয়ের ২ শতাংশ এ খাতে খরচ করতেও অনেকে কার্পণ্য করেন। এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসাবের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. নিয়াজ আলী চিশতি। তিনি বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন গুলোতে অত্যাধুনিক অগ্নিসুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই। ৯৫ শতাংশ অগ্নিকাণ্ডের জন্য মানুষ দায়ী। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় এলপিজি গ্যাসের দায় ৮০ শতাংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ব্যানার পোস্টার টানানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এফবিসিসিআই'র নেতৃত্বে জাতীয় টাস্কফর্স গঠনের দাবি জানান তিনি।

ইসাবের মহাসচিব জাকির উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি আলী আহমেদ কায়সার, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ড. জিল্লুর রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম শাহজাহান সাজু, সহ-সভাপতি মো. মতিন খান, মোহাম্মদ ফয়সাল মাহমুদ, ইঞ্জি. মোঃ মনজুর আলম, এম মাহমুদুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. মাহমুদ-ই-খোদা, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ইঞ্জি মো. মাহাবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মো. নূর-নবী, প্রচার সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, ইসাবের পরিচালক মো. ওয়াহিদ উদ্দিন, ইঞ্জি. মো. আল-ইমরান হোসেন, মেজর মোহাম্মদ আশিক কামাল, মো. রফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন হলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


বিজিবিতে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিকদের আজান ও কেরাত চর্চায় অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে বিজিবিতে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আজ শুক্রবার বাদ জুমা পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণ করেন।

ওই সময় বিজিবির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। গত ২৮ মার্চ থেকে পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

আজান প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে সেক্টর সদর দপ্তর, ঢাকার সিপাহি মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম স্থান এবং সেক্টর সদর দপ্তর রাঙামাটির সিপাহি খলিলুর রহমান দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। অপরদিকে কেরাত প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে সেক্টর সদর দপ্তর সিলেটের সিপাহি মো. আজিজুর রহমান প্রথম স্থান এবং সেক্টর সদর দপ্তর ঢাকার সিপাহি মো. রাসেল আকন্দ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। আজান ও কেরাত উভয় প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে ঢাকা সেক্টর চ্যাম্পিয়ন এবং রাঙামাটি সেক্টর রানার আপ হয়।

বিষয়:

ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন আরাফাত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আজ শুক্রবার রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন। এর আগে বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজার আমন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভারত হয়ে ভুটান যান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। খবর বাসসের।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখেন এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা ও মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়। পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

ভুটান সফর শেষে আগামীকাল রোববার দুপুরে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


আইপিইউ অ্যাসেম্বলি শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ২৩ থেকে ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ শুক্রবার দেশে ফিরেছেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির প্রথম দিন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার জেনেভাতে ‘এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ মিটিংয়ে’ সভাপতিত্ব করেন। এসময়ে তিনি আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং এর আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড স্পিকার সামিটসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়াও শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পীস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ‘প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস’ শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনেও বক্তব্য রাখেন স্পিকার। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন।

বিষয়:

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে : গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শিশুদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনাসভা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন এবং একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি শিশুদের অত্যাধিক ভালবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর আদর্শ ধারণ করে প্রত্যেকটি শিশুকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মনোভাব নিয়ে বড় হতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুজনেই আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগের জন্য তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের প্রশংসা করেন।’

অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, চিত্রনায়িকা মেহজাবিনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনাসভার শেষে মন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের পক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেন।


৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের ৪টি বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সর্বোচ্চ ৫৭ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে ফেনীতে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় মোংলায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।

এদিকে, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের সতর্ক বার্তায় বলা হয়, কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


পরিবেশ দূষণে দেশে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে ২০১৯ সালে বায়ুদূষণসহ চার ধরনের পরিবেশ দূষণে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এক প্রতিবেদনে এই তথ্যের কথা বলেছে সংস্থাটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংসাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে উদ্বেগজনক মাত্রায় দূষণ এবং পরিবেশ বেশ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু বায়ুদূষণের কারণে হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়া দূষণের কারণে উল্লেখিত বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি অ্যানভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণই অকাল মৃত্যুর প্রধানতম কারণের কথা বলা হয়। ফলে বছরে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন দিন (৫২২ কোটি দিন) অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ ক্ষতির পরিমাণ ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউর ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্য উৎসগুলো থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটছে বলেও জানানো হয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ প্রতিরোধ করা গেলে বছরে এক লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকানো যাবে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানির ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই প্রতিবেদনে পরিবেশগত অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশও করা হয়েছে।


রাজধানীতে বেড়েছে শিশু অপহরণ, অভিভাবকরা আতঙ্কিত 

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেখ শফিকুল বারী

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসার সামনে কোনো খোলা জায়গায় কিংবা রাস্তায় হরহামেশাই শিশুদের খেলাধুলা করতে দেখা যায়। এদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসার সামনে খেলা করছিল ৫ বছরের শিশু মারিয়া।

কিছুক্ষণ পরই শিশুটি সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে গেল। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও বাবা রাসেল মিয়া তার কন্যার কোনো খোঁজ পাননি।

পরে স্থানীয় তেজগাঁওয়ের বাবলি মসজিদে আসরের নামাজের পর মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, মারিয়া নামের ৫ বছরের একটি মেয়ে শিশু হারিয়ে গেছে। কেউ শিশুটির খোঁজ পেলে ওই মসজিদ অথবা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়। এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত (রাত ১০টা) শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রায়শই রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার মসজিদের মাইকে অথবা সড়কে কোনো শিশু হারিয়ে গেছে মর্মে শিশুটির শারীরিক গড়ন ও বর্ণের বর্ণনা দিয়ে মাইকিং করতে শোনা যায়।

অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের ‘হারিয়ে যাওয়া’ শিশুদের কোনো সন্ধান মিলে না। কোনো কোনোটির সন্ধান মিললেও দেখা যায়, শিশুটি অপহৃত হয়েছে। তার মা-বাবার কাছে মুক্তিপণও চাওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে অনেক অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করে।

সাম্প্রতিককালে একের পর এক শিশু অপহরণের ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাইমারি ও হাইস্কুল এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশাসন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

সাধারণত অবুঝ শিশুদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়। সম্প্রতি রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সি এক শিশুকে অপহরণ করে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করে দেয় একটি চক্র। এ নিয়ে শিশুটির বাবা গত ২১ মার্চ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর শিশুটি উদ্ধারের জন্য মাঠে নামে ডিবি রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম। তদন্তে নেমে ওই শিশুটি অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির ধানমন্ডি জোনাল টিম। তারা হলেন অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২), তার স্বামী সাইফুল ইসলাম (২৭) ও শিশুটির ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)। গত বুধবার কুমিল্লার লালমাই ও বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় শিশু তাওসীনকে।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান রাজধানীতে শিশু অপহরণ বেড়েছে। বোরকা পরে পরিচয় গোপন রেখে শিশু চুরি করা হচ্ছে। তাই অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, পেশায় রিকশাচালক নুরুল ইসলাম দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে হাজারীবাগের নিউ মডেল টাউন এলাকায় বসবাস করেন। গত ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ৬ বছর বয়সি মেয়ে তাবাসসুম ও ছেলে তাহসীন খেলেতে যায়। এ সময় শিশুদের নানি লুৎফুন নাহার তাদের সঙ্গে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর একজন বোরখা পরা অজ্ঞাতনামা নারী লুৎফুন নাহারকে জিজ্ঞাসা করেন এরা অপনার কী হয়? পরিচয় জেনে সেখান থেকে চলে যায় ওই নারী। এর কিছু সময় পর শিশুদের খেলায় রেখে নানি বাসায় চলে যান। এই সুযোগে ওই নারী আবারও এসে শিশুদের ইশারায় ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস দেন। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরে গেলেও শিশু তাহসীন নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারী তাহসীনকে কোলে নিয়ে ঝাউচর রোডের দিকে চলে যায়।

ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়া তদন্তে নেমে অপহরণ চক্রটিকে শনাক্ত করেন ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা। পরে গত বুধবার কুমিল্লার লালমাইয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার শাহজাহানের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। একই দিনে বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী নেহা ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে চাহিদামতো শিশু চুরি করে বিক্রি করতেন। অপহরণের কাজটি করতেন গ্রেপ্তার সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে শিশুদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। ভুক্তভোগী শিশু তাহসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।

যাদের সন্তান নেই বা হয় না, তাদের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, ‘আপনারা সঠিক পদ্ধতিতে শিশু দত্তক নিন। কারও কোলের শিশু চুরি করে বা অপহরণ করে নিয়ে আপনাদের কাছে দিল আর আপনারা শিশুটিকে রাখলেন এটা অপরাধ। এমন অপরাধে আপনারাও একই মামলার আসামি হবেন। পাশাপাশি সন্তানদের বাবা-মাকে বলব, আপনার বাচ্চা বাসার বাইরে গেলে তাদের সঙ্গে পরিবারের বড় সদস্যরা থাকবেন। না হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।’

এর আগেও এমনই বিভিন্ন চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ছাড়াও এর আশপাশের এলাকায়ও বেড়েছে শিশু অপহরণের ঘটনা। সংঘবদ্ধ বেশ কয়েকটি চক্র ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের টার্গেট করে অপহরণ করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব অপহৃত শিশির পাচারের শিকার হয়।

গত বছরের আগস্ট মাসে এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ বলছে, প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪০০ নারী ও শিশু বিদেশে পাচার হচ্ছে। ইউনিসেফ বলছে, গত ১০ বছরে ১২ থেকে ৩০ বছর বয়সি অন্তত ৩ লাখ মানুষ শুধু ভারতেই পাচার হয়েছে। পাচারকৃতদের বাধ্য করা হয় দেহ ব্যবসা, ভিক্ষাবৃত্তি বা শিশুশ্রমে।

এ বছরের ৩১ জানুয়ারি দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত মতামত কলামে ড. মির্জা গোলাম সারোয়ার পিপিএম লিখেছেন, পাচার একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ। প্রতিবছর অনেক নারী ও শিশু পাচারের শিকার হয়। কতজন মানুষ পাচার হয়, তা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। কারণ পাচার গোপনে সংঘটিত হয়। পাচারকৃত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পরিসংখ্যান রয়েছে। জাতিসংঘের মতে, প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষ পাচার হয়ে থাকে।


দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসছেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় গুরুত্ব পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে; যেগুলো সফরকালে স্বাক্ষরিত হবে। আগামী ২১-২২ এপ্রিল দুই দিনের এই সফর হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছে।

গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোবিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।


একনেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। প্রকল্পগুলোর অর্থ জোগানের বিষয়ে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)। কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।

বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)। ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প।

আরও রয়েছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়)। ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত)-সহ মোট ১১টি প্রকল্প।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন ভুটানের রাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। সেখানে বিশ্রাম ও দুপুরের খাবারের পর জেলা শহরের কাছে ধরলা ব্রিজ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত প্রস্তাবিত ভুটান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে সবকিছু দেখেন এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে রাজা স্থান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া তিনি ইকোনমিক জোন এলাকায় অ্যাগ্রোবেজড ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ভুটানের বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশের স্থানীয়দের চাহিদার ওপর নির্ভর করবে কী ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন করা হবে। পরে জোন এলাকায় তিনি ১টা ৪০ মিনিটে সোনাহাট স্থলবন্দরের উদ্দেশে সফরকারী দলসহ সড়কপথে যাত্রা শুরু করেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম এ আরাফাত, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজা জিগমে খেসার ওয়াংচুক সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় যান। সেখানে ২০ মিনিট অবস্থানের পর তিনি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্জ দিয়ে ভুটানের উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করেন। সোনাহাট থেকে সড়কপথে ভুটানের দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার।

রাজার সফর শেষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন পরে সাংবাদিকদের জানান, তিনি শতভাগ সন্তুষ্ট, জায়গা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখেছেন। এখানে কী ধরনের কার্যক্রম হতে পারে সে বিষয়ে রাজা জানিয়েছেন, এখানকার স্থানীয় লোকজনের কী ধরনের চাহিদা রয়েছে এবং ভুটানের বিনিয়োগকারী লোকজনের কী চাহিদা রয়েছে সবকিছু মিলিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি চেক করা হচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করে এখানে কী ধরনের ইন্ডাস্ট্রিজ হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। তবে অ্যাগ্রোবেজড ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ১০-২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সফরের মধ্যদিয়ে অনুন্নত কুড়িগ্রাম উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে। ২০১৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক জোনের জন্য জায়গা খুঁজতে বলেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা সফলতার মুখ দেখছি। এটি বাস্তবায়ন হলে এলাকার বেকার মানুষ কাজ পাবে। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে পিছিয়ে পড়া এই জেলা।’


কারওয়ান বাজার থেকে শুরুতে কার্যালয় সরাল ডিএনসিসি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই আঞ্চলিক কার্যালয়-৫ এতদিন ছিল কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেটে। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, সে তালিকায় এ মার্কেটও আছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি আড়ত ভবনকে বেশ কিছুদিন আগেই ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ওই ভবনেই ছিল ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়-৫। তাই অন্যদের সরে যেতে বলার আগে উদাহরণ সৃষ্টি করতে নিজেদের কার্যালয়টিই স্থানান্তর করল ডিএনসিসি। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি থেকে দোকানপাট স্থানান্তরের প্রক্রিয়া।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ের মালামাল সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ডিএনসিসির সব আসবাবপত্র ট্রাকে তোলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও ট্রাঙ্কে ভরে ফেলা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ডিএনসিসির কর্মীরা সেগুলো যত্নে সঙ্গে ট্রাকে তুলছেন।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ জানান, ডিএনসিসি কারওয়ান বাজার থেকে তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে মোহাম্মদপুরে নতুন কার্যালয় চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে এসব মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে, সে তালিকায় রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেট। এক তলা ভবনটি পাকা হলেও দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ করায় ও বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় বর্তমানে এর জীর্ণদশা। বড় কোনো ভূমিকম্প হলে কিংবা যেকোনো কারণে ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে যাওয়ার আশঙ্কাও করেছে সিটি করপোরেশন। এখান থেকে সব দোকান সরিয়ে নতুন করে বহুতল ভবন বানাতে চায় করপোরেশন। তবে এতে বাধ সাধছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারণা, বহুতল ভবন করার নামে তাদের উচ্ছেদ করা হবে। পরে তারা আর জায়গাটিতে দোকান পাবেন কি না সে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মনে। মার্কেটটি সরিয়ে গাবতলীতে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা একই রকম ব্যবসায়ের সুবিধা পাবেন কি না তা নিয়েও আছে সন্দেহ। তবে তাদের অভয় আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ।

মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, আমাদের অফিস যে ভবনে, সেটাই যেহেতু ঝূঁকিপূর্ণ, তাই আমাদের অফিস সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই স্থানান্তর কাজ শুরু করলাম। ঈদের পর স্থায়ী ১৮০টি এবং ১৭৬টি অস্থায়ী দোকান স্থানান্তর শুরু হবে। দোকানগুলো আমরা গাবতলীতে পুনর্বাসন করছি। ঈদের পর এই ভবনসহ এই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে।

গাবতলীতেও দোকান মালিকরা ব্যবসায়ের সুবিধা পাবেন এমন আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ বাকি মার্কেটগুলোও পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়া হবে। ফলে তখন ক্রেতাদের কারওয়ান বাজারের বদলে গাবতলীতেই যেতে হবে। দোকানদারদের অসুবিধা হবে না।


banner close