স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে নিয়ে আয়োজিত পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে (এলডিসি-৫) যোগ দিতে শনিবার কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি জ্বালানি খাতে কাতারের সহযোগিতা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
প্রতি ১০ বছর পরপর এলডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে বাংলাদেশ। তাই এটাই বাংলাদেশের শেষ এলডিসি শীর্ষ সম্মেলন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিষয়ক অনুবিভাগের পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন জানান, করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের ফলে এলডিসি ও উন্নয়নশীল দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের এলডিসি সম্মেলনে বাংলাদেশ এই বিষয়গুলি তুলে ধরবে।
এছাড়াও ২০২৬ সালের পরেও বাংলাদেশ যে বাণিজ্য সুবিধাগুলি এখন এলডিসি হিসাবে উপভোগ করছে- তা অব্যাহত রাখতে উন্নত দেশগুলির সমর্থন চাওয়া হবে।
আগামী ৫-৯ মার্চ কাতারের দোহায় এই সম্মেলন হবে। সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল ছানির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার। এই বৈঠকে জ্বালানি খাতের বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা উঠে আসবে। এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের বিয়ে আলোচনা চলছে। তবে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানান বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিষয়ক অনুবিভাগের পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন।
কাতার থেকে বাংলাদেশ এলএনজি আমদানি করে থাকে। বর্তমান জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।
এলডিসি সম্মেলনের ফাঁকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আগামী ৮ মার্চ দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
নতুন পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট (ভিআইপি) পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চীন যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন কর্মকর্তা।স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিনের সই করা এক সরকারি আদেশে (জিও) তাদের এ বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর জারি করা ওই সরকারি আদেশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফারুক হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ প্রশিক্ষণের জন্য চীন সফরে যাবেন।
আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর কিংবা ছুটি শুরুর তারিখ থেকে সাত দিনের জন্য তারা বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছেন।
সরকারি আদেশে আরো বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা পাঁচটি নতুন মোবাইল টয়লেট (ভিআইপি) সরবরাহের বিপরীতে তারা সেগুলো পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাদের এ ভ্রমণকে দায়িত্বের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সব ধরনের ব্যয় বহন করবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শ্যাংডং কিউয়ানবাই ইন্টেলিজেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কত বাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কোনো মন্তব্য করেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। তারপর তাদের সঙ্গে আবার করে ভোজ্যতেলের দাম কত বাড়ানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে। এই তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভোজ্য তেলের দাম যৌক্তিক হারে বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
একটি সাইবার হ্যাকার আক্রমণের কারণে ইউরোপের কয়েকটি বড় বিমানবন্দরে চেক-ইন ও বোর্ডিং সিস্টেমে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে যাত্রীদের ফ্লাইট বাতিল, বিলম্ব ও দীর্ঘ লাইনের মতো ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরটিএক্স কোম্পানির অধীনস্থ কলিন্স অ্যারোস্পেসের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা হয়। যারা বিশ্বের নানা প্রান্তের বিমানবন্দরে চেক-ইন ও বোর্ডিং সফ্টওয়্যার সরবরাহ করে।
লন্ডনের হিথ্রো, বার্লিন ও ব্রাসেলস বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশি এই সমস্যার শিকার হয়েছে। শনিবার যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং অনেক ফ্লাইট বাতিল হয়। রোববার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও ব্রাসেলস বিমানবন্দর সোমবারের ফ্লাইটগুলোর অর্ধেক বাতিলের নির্দেশ দেয়, কারণ কলিন্স অ্যারোস্পেস এখনো প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার আপডেট সরবরাহ করতে পারেনি।
ব্রাসেলস বিমানবন্দর জানায়, রবিবারের ২৫৭টি নির্ধারিত ফ্লাইটের মধ্যে ৫০টি এবং শনিবারের ২৩৪টি ফ্লাইটের মধ্যে ২৫টি বাতিল করা হয়েছে।
কলিন্স অ্যারোস্পেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে। অস্থায়ীভাবে অনেক বিমানবন্দর ম্যানুয়াল চেক-ইন পদ্ধতি চালু করেছে, যাতে যাত্রীদের কষ্ট কিছুটা কমানো যায়। যদিও হিথ্রো ও বার্লিন বিমানবন্দর জানিয়েছে, তাদের কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তবুও কিছু জায়গায় অপেক্ষার সময় বেশি হচ্ছে।
হ্যাকিংয়ের পেছনে কারা রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে সংশ্লিষ্ট সাইবার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিভিন্ন খাতে যেমন স্বাস্থ্যসেবা, গাড়িশিল্প ও খুচরা বাজারে এ রকম সাইবার হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে।
সূত্র: রয়টার্স
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৮ নভেম্বর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল সোমবার ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত ৩১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম এমন নাগরিকদের নিবন্ধন করতে নাগরিকের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের আবেদন দাখিল এবং দাখিলকৃত আবেদন নিষ্পত্তিকরণে ইসি সময়সূচি নির্ধারণ করেছে।
হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকার পিডিএফ প্রস্তুত ও মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সিএমএস পোর্টালে লিংক প্রেরণের শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর।
হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা মুদ্রণ করে প্রকাশ করা হবে ১ নভেম্বর। দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের জন্য আবেদন দাখিলের শেষ সময় ১৬ নভেম্বর।
সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য দাখিলকৃত আবেদন নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ নভেম্বর। হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর।
এরআগে গত ৩১ আগস্ট সম্পূরক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে দেখা যাচ্ছে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। আর হিজড়া ১২৩০ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ওইদিন জানিয়েছিলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে আমরা একটি তালিকা প্রকাশ করব। সে অনুযায়ী আমরা ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করব।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।
শুধু ইসলাম ধর্মের পবিত্র ভূমি হিসেবে নয় বরং আমাদের ৩২ লাখেরও বেশি প্রবাসী কর্মীর দ্বিতীয় আবাসস্থল হিসেবেও এটি বাংলাদেশিদের হৃদয়ের গভীরে আসীন রয়েছে। সৌদি প্রবাসীদের অবদান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এবং এটি একইসাথে আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধ হিসেবেও কাজ করছে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণে সৌদি আরবের অব্যাহত সহায়তা দু’দেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের স্মারক বহন করছে।
২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে সৌদি আরবের ৯৫তম জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আরব বিশ্ব এবং বাংলার জনগণের মধ্যে সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন যা বাণিজ্য-সংস্কৃতি বিনিময় এবং সর্বোপরি আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে লালিত। ভ্রাতৃত্বের এই ঐতিহাসিক বন্ধন আমাদের আধুনিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যকার আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম গৌরবময় বছর উদ্যাপন ক্ষণে আমরা এই সত্যে গর্বিত যে দু’দেশের পারস্পরিক বন্ধন, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস ইসলামি ঐতিহ্যের ওপর নিহিত, যা যুগ যুগ ধরে টিকে আছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর পথে উচ্চাকাঙ্ক্ষী যাত্রা শুরু করেছে। এ সাহসী এবং দূরদর্শী উদ্যোগ কেবল সৌদি আরবের জনগণকে অনুপ্রাণিত করছে না বরং এটি এই অঞ্চলের অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আধুনিক ও বৈচিত্রময়করণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধিতে সৌদি নেতৃত্বের সহযোগিতা নিঃসন্দেহে প্রশংসা ও আন্তরিকতার দাবিদার।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ. বিন আবিয়াহ, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তার ঝুকি নাই। বিগত সময়ের চেয়ে এবার আরও বেশী সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে এবং উৎবসমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশনের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দুর্গাপূজা উৎসব কে কেন্দ্র করে কোন ধরনের শঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের শংকা নাই।সারাদেশে ৩৩ হাজার মন্ডবে শারদীয় দুর্গা পুজোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে পূজা উদযাপন কমিটি ৭ জন করে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দিবে, আনসার সদস্য থাকবে ৮জন করে। এছাড়াও পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়ই ছিলো। এ বছর সম্প্রীতি আরও ভালো হয়েছে। এবার পূজা উৎসবমুখর হবে। আর নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, র্যাব-১১ অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারন সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, আমলাপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবির কুমার সাহাসহ প্রমুখ।
চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল হক। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে।
এর আগে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তৎকালীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তখন তার পরিবর্তে মোখলেস উর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে নিয়োগের ১৩ মাসের মাথায় মোখলেস উর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
আগামী বছর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার কোনো ধারণা নেই।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসালটিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপের দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বে এই ফলাফল উঠে এসেছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে এক গোলটেবিল আলোচনায় এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইনোভেশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাইয়াৎ সারওয়ার। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে বিভিন্ন বয়সের ১০ হাজার ৪১৩ জন মানুষের মতামত নেওয়া হয়। দেশের ৬৪ জেলা থেকে তাদের বাছাই করে সরাসরি মতামত নেওয়া হয়। জরিপে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে ধারণা, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ধারণা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনের সময় ও ভোটার উপস্থিতি—এই ছয় বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের মতামত নেওয়া হয়।
জরিপের ফলাফল তুলে ধরে সভায় বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারের কার্যক্রমকে ‘ভালো’ বলেছেন ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ‘মোটামুটি’ বলেছেন ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। এছাড়া, ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে তারা নির্ভয়ে ও নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন।
আগামী বছর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার কোনো ধারণা নেই।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসালটিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপের দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বে এই ফলাফল উঠে এসেছে।
জরিপ অনুযায়ী, পিআর পদ্ধতির বিষয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় নবীন প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা ও ইতিবাচক মনোভাব বেশি।
জরিপে আরও উঠে এসেছে, সাধারণ উত্তরদাতাদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে কম আগ্রহী এবং নির্বাচনের সময় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত বেশি।
এছাড়া অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতার বিষয়ে তুলনামূলক কম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে।
জরিপের ফলাফল প্রকাশের পর আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪তম মাসে এসে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের সমর্থন থাকার অর্থই হলো সরকারের কার্যক্রমে জনগণ সন্তষ্ট। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সারা দেশের মানুষ নির্বাচন চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক বছর পর ভালো একটা নির্বাচনের দিকে দেশ যাচ্ছে। সরকারপ্রধান বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষেরও আশাবাদ, এমন থাকলে কারও সাধ্য নেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।
আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহকারী সাইমুম পারভেজ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম, ভয়েস ফর রিফর্মের সহ–আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর, বিআরএআইএনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন প্রমুখ।
রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ে একটি ফ্ল্যাটের মালিক শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। গতকাল রোববার রাজউকের প্লট দুর্নীতি মামলার চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানিতে জব্দতালিকার সাক্ষীরা এমন নথিপত্র দাখিল করেছেন।
এদিন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা এমন সাক্ষ্যপ্রদান করেন৷ তারা হলেন- ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের নির্বাহী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরহাদুজ্জামান, অপারেটর শেখ শমশের আলী, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ সদস্য হিমেল চন্দ্র দাস। এছাড়া এদিন সাক্ষ্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহানও সাক্ষ্য দেন।
জবানবন্দিতে তারা আরও বলে, টিউলিপ সিদ্দিক ফ্ল্যাটটি পরবর্তীতে তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হস্তান্তরের দাবি করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনবিহীন দলিল দিয়ে হস্তান্তর আইনগতভাবে কার্যকর নয়। তাই এখনো তিনি এই ফ্ল্যাটের মালিক। আসামিরা পলাতক থাকায় জেরা হয়নি।
এ নিয়ে প্লট জালিয়াতি নিয়ে আলাদা তিন মামলায় ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, আগামী ৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে সাক্ষীরা আদালতকে জানান, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের প্রভাবে নিয়মবহির্ভূতভাবে পূর্বাচলে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দ দিতে আদেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এসব মামলা করে দুদক।
গুলশান ইস্টার্ন হাউজিংয়ে প্লটের মালিক থাকা স্বত্বেও ঢাকা বা তার আশপাশে কোনো ফ্ল্যাট বা প্লট নেই দেখিয়ে পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট নেন টিউলিপ সিদ্দিক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।
গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) এর নিজস্ব অর্থায়নে দুটি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ সংগ্রহের লক্ষ্যে বিএসসি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি এর মধ্যে জাহাজ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেল আয়োজিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে দেশের শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। নতুন দুই জাহাজ বিএসসিতে যুক্ত হলে বছরে ১৫০ কোটি টাকা আয় বাড়বে। বিএসসির নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় ১,২০,০০০ ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপিংয়ের সম্মান অর্জন করবে।
বিএসসির বহরে যুক্ত হতে যাওয়া জাহাজগুলোতে- জ্বালানি খরচ হ্রাস ও পরিচালন দক্ষতা বেশি; প্রধান ইঞ্জিন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, যা পরিবেশ দুষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়; নকশা ও প্রযুক্তিগত সমাধানগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশগত মানদণ্ডসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার নির্ধারিত সর্বশেষ পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ করে। জাহাজে উচ্চমানের ইউরোপীয় ও জাপানি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। জার্মান লাইসেন্সে জাহাজগুলো চীনে উৎপাদন করা হয়েছে। স্পেনের পাম্প ও নরওয়ের কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম জাহাজ অক্টোবর ২০২৫ এবং দ্বিতীয় জাহাজ ডিসেম্বর ২০২৫-এ বিএসসিকে হস্তান্তর করা হবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিএসসির জন্য আরেও তিনটি জাহাজ কেনার বিষয় প্রক্রিয়াধীন। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে বিএসসির জন্য পাঁচটি জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নতুন এই জাহাজগুলো যুক্ত হলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন কেবল আয়ের দিক থেকেই লাভবান হবে না, বরং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাজারে ‘গ্রিন শিপিং নেশন’ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও মজবুত হবে।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম। তিনি আজ রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান- বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সকল ধর্মই আমাদেরকে অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। আমাদেরকে আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সর্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব দেশব্যাপী আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন । একই সাথে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে গুলশান- বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ আগস্ট মো. মোখলেস উর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চব্বিশের জুলাই-আাগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা শেষে সাংবাদিকদের আজ (রোববার) একথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাবো। ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরংকুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ রাজনৈতিকভাবে। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ হয়।
মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস.এইচ. তামিম শুনানি করেন। সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
এই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।