শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২

এনবিআর চেয়ারম্যান কি নিজেকে সম্রাট ভাবেন: হাইকোর্ট

দৈনিক বাংলা ফাইল ছবি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৫ মার্চ, ২০২৩ ২০:৩৬

উচ্চ আদালতের আদেশ না মানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এসময় তাকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, তিনি (এনবিআর চেয়ারম্যান) নিজেকে কি সম্রাট ভাবেন? তিনি কেন আদালতের আদেশ মানছেন না? এরপর আদেশ প্রতিপালন না করলে তাকে তলব করা হবে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণা নিয়ে দায়ের করা এক রিট শুনানিকালে রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। পরে আদালত আগামী ২৭ মার্চ পরবর্তী তারিখ ঠিক করে দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন, বিএফআইইউর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম খালেদ আহমেদ।

শুনানিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশে বলেন, উনি (এনবিআর চেয়ারম্যান) কেন আদালতের আদেশ ফলো (অনুসরণ) করছেন না? কারণ কী? উনি নিজেকে কি সম্রাট ভাবেন? তার কাছে যে ব্যাখ্যা ও তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা দাখিল করতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলবেন।’

তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানাব।’

আমিন উদ্দিন এ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে।

তিনি বলেন, গত ২ মার্চ শেষ বেলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র হাতে এসেছে, যে কারণে হলফনামা করা হয়নি। আগামী সপ্তাহে দাখিল করা যাবে। তবে পত্রিকায় এসেছে, জামিন নিয়ে ভারতের কারাগার থেকে সোহেল রানা পালিয়ে গেছেন। ভারত থেকে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির প্রতিবেদন একই ধরনের।

অন্যদিকে রিটকারিদের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বলেন, আদেশ প্রতিপালনের জন্য সময় চাইলে আদালত সময় দিতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তথা এনবিআরের চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দাখিল করেননি। শেখ সোহেল রানার (বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক) বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোল কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে, যা পরে দেওয়া হয়নি বলে রাষ্ট্রপক্ষের হলফনামায় দেখা যাচ্ছে।

তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে, যার নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রিপোর্ট পাইনি।’

এনবিআরকে জানিয়েছিলেন কিনা আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, হ্যা জানিয়েছি। তিনি বলেন, বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে না।

তখন আদালত বলেন, ‘আমরা শেষ সুযোগ দিলাম। এটি দেখেন। বলে দেবেন, এবার প্রতিবেদন না দিলে তলব করা হবে। রেড নোটিশ জারি না হয়ে থাকলে, জারির ব্যবস্থা বা কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা দেখবেন। যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা দিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলবেন। বিষয়টি ২৭ মার্চ কার্যতালিকায় আসবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একেএম আমিন উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, আদেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, তিনি নিজেকে সম্রাট ভাবেন কিনা। এসব মন্তব্য করেছেন।

রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, এর আগেও একবার আদেশ দিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। কিন্তু তারপরও তারা কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। যে কারনে আদালত তাদের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, এরপর আদেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন না হলে তাকে তলব করা হবে।

ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানাতে এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্রসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদেরকে প্রতিবেদন দিতে গত ২৯ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন এই বেঞ্চ।

এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর বেশ কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় মামলাটি শুনানির জন্য তালিকায় আসে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ থেকে পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে ছয়জন প্রতিনিধি গত বছরের মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অর্থ আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এরপর গত বছরের ৩ নভেম্বর বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আইজিপির প্রতিবেদন সুস্পষ্ট নয় এবং দুদকের প্রতিবেদন সন্তোষজনক নয় উল্লখ করে সেদিন আদালত নতুন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশসহ আদেশ দেন।


মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মো. সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ।

আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৯ জুলাই বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মো. সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যা করে তারা শুধু সোহাগকে উলঙ্গই করেনি, তার লাশের উপর নৃত্য করে আনন্দ উল্লাসও করেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে মাথায় পাথর মেরে শতশত মানুষের সামনে এই হত্যার ঘটনা আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এই নির্মম দৃশ্য জাহেলিয়াতের লোমহর্ষক নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতাকেই যেন স্মরণ করিয়ে দেয়। পাশবিক এই হত্যার ঘটনায় মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এভাবে পাশবিক কায়দায় মানুষ হত্যা সভ্য সমাজে বিরল।

তিনি আরও বলেন, কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এসেছে চকবাজার থানা যুবদলের কয়েকজন নেতা নিহত সোহাগের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে যুবদলের সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দেশবাসীর প্রশ্ন, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের লালন-পালনকারী দলের নেতারা যে রাজনীতির কথা বলে বেড়ায়, সেই দলের হাতে জনগণের জানমাল কতটা নিরাপদ? এই দলের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র কখনই নিরাপদ থাকতে পারে না। এই ঘটনায় আবার সেই পতিত ফ্যাসিবাদেরই পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সরকারকে এইসব দুর্বৃত্তদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের র সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াত সেক্রেটারি।

জামায়াত সেক্রেটারি নিহত সোহাগের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।


মিটফোর্ডের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও দায় বিএনপির ওপর চাপানো নোংরা অপরাজনীতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর মিটফোর্ট হাসপাতালের মূল ফটকে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ী যুবককে হত্যার ঘটনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অভিযুক্ত সদস্যদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

শুক্রবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এমনটা জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনায় সিরিয়াস ব্যবস্থা নেয়ার পরও, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দায় বিএনপির ওপর চাপানো অপরাজনীতি, এটা নোংরা রাজনীতির চর্চা।

বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন কোন অপরাধীকে কখনো প্রশ্রয় দেয় না, কোনোদিন দেবেও না। এক্ষেত্রে বিএনপি অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।

এদিকে, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

একই সঙ্গে আইশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে দলটি জানায়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না।

যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।


চাঁদাবাজদের হাত থেকে দেশের ব্যবসায়ীদের রক্ষা করবো : নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগের আমলে আমরা দেখেছি গুটিকয়েক ব্যবসায়ী মাফিয়ায় পরিণত হয়েছিল। সেই মাফিয়াদের এখন একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের কারণে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। দেশের ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিকে সব ধরনের চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী থেকে আমরা রক্ষা করবো। শহীদেরা সন্ত্রাসীদের জন্য, চাঁদাবাজদের জন্য জীবন দেয় নাই।

শুক্রবার রাতে খুলনা শহরের শিববাড়ি মোড় এলাকার পথসভায় নাহিদ এসব কথা বলেন।

বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে দেশব্যাপী 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' কর্মসূচি পালন করছে গণঅভ্যুত্থান থেকে গড়ে উঠা এই নতুন রাজনৈতিক দল।
পদযাত্রাটি গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

পুরান ঢাকার একটি হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে নাহিদ বলেছেন, একটি গণঅভ্যুত্থানের পরেও আমাদের এই পুনরাবৃত্তি দেখতে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দু:খের। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছি, যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা সন্ত্রাসী তৈরি করে, মাফিয়া তৈরি করে, দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় দেয়, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, পুলিশ বাহিনীকে খুনি বাহিনীতে রূপান্তর করে সে ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে হবে। সেই ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। কিন্তু নানানভাবে ৫ আগস্ট থেকেই ছাত্র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে থাকলেও নানান পক্ষ নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের সাথে নাই। তারা পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে সব কিছু করে যাচ্ছে।

ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবনকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হয়েছিল। বিভিন্ন দুর্যোগে সুন্দরবন শত বছর ধরে এই বদ্বীপের জনগণকে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে। এই সুন্দরবনকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

গণ-অভ্যুত্থান অসমাপ্ত রয়ে গেছে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল নতুন বাংলাদেশের শুরু। ছাত্র-তরুণ, শ্রমিকদের আন্দোলনের শুরু। আমাদের এই আন্দোলন চলমান রাখতে হবে। আমরা বলে দিতে চাই, নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় গণ-অভ্যুত্থানের সকল ছাত্র-জনতা এখনো মাঠে আছে। আপনারা যতই চেষ্টা করেন আমাদের মাঠ থেকে সরাতে পারবেন না। জনগণের পক্ষে আমরা মাঠে থাকবো।


বিএনপির রাজনীতির সাথে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে জনসমক্ষে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ী যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে নিহতের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই পৈশাচিক ঘটনা কেবল একটি জীবনহানিই নয়-এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর হতাশার বহি:প্রকাশ। আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সাথে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধী যে-ই হোক, তার স্থান কখনোই আইন ও ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এ নির্মম ঘটনা দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত পৈশাচিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করবে।

অবিলম্বে এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

নিহত ব্যক্তির রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


ঢাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় যুবদলের ২ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল তাদের দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- যুবদলের সাবেক জলবায়ু বিষয়ক সহকারী সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি।

এক বিবৃতিতে যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, তাদের দুজনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তারা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগকে (৩৯) হাসপাতালের গেটে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পরে সোহাগের পরিবার দুই যুবদল নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে।

যুবদল জানিয়েছে, বহিষ্কৃত নেতাদের দ্বারা সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় দল নেবে না।

তারা দলের সকল কর্মী ও সদস্যদের তাদের সঙ্গে সকল প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কোনো রকম নমনীয়তা না দেখিয়ে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।


১১ জুলাই ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’: আসিফ মাহমুদ

আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৫ ২২:২৭
বাসস

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ দিবস-১১ জুলাই’ শীর্ষক স্মৃতির মিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাসস

কুমিল্লা, ১১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): ২০২৪ সালের ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দিনটিকে ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ দিবস-১১ জুলাই’ শীর্ষক স্মৃতির মিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১১ জুলাই যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, তা সারাদেশের আন্দোলনকারীদের সাহস যুগিয়েছিল। আজকের এই দিনে (১১ জুলাই) আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয় স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার। সেই সহিংসতার সূচনা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। বিকেল তিনটার দিকে শাহবাগে আমাদের কর্মসূচি ছিল এবং একই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি চলছিল। আমরা যখন শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করি, তখনই খবর আসে-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং কেউ বিচলিত না হয়ে বরং আরও ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। সারাদেশের আরও বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা সেদিন শুধু ব্লকেড কর্মসূচি সফল করেননি, রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। আপনাদের সেই সাহসিকতা ও প্রতিরোধ কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে নতুন আশা ও সাহস সৃষ্টি করেছিল। আমরা যে বলতাম-‘বাঁধা দিলে বাধবে লড়াই’, আপনারাই তার প্রমাণ দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং স্বৈরাচারী হাসিনার শাসন থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পায়।’

তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনকে (১১ জুলাই) আমি ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করছি। আপনাদের এই প্রতিরোধ চিরস্মরণীয় করে রাখতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘স্মৃতির মিনার’ স্থাপন করা হচ্ছে, তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সেই স্থানে, যেখানে আপনারা ব্লকেড করে বিজয় অর্জন করেছিলেন, সেখানেও সরকারের পক্ষ থেকে ‘প্রতিরোধ মিনার’ স্থাপন করা হবে যাতে বাংলাদেশের মানুষ এবং মহাসড়কে চলাচলকারী পথচারীরা এ আন্দোলনকে সবসময় স্মরণ রাখতে পারে। এটি আমাদের পক্ষ থেকে ছোট্ট একটি প্রয়াস।’

তিনি আরো জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি বাস উপহার দেওয়া হবে।

এই অনুষ্ঠানেই তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই মিনার’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।


আমিন হত্যা মামলায় রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সালমান এফ রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় আমিন (১৬) নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

তার দেওয়া তথ্যগুলি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে যাচাই বাছাই করবে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই জাহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।

আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার ঘটনা সংক্রান্তে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক সালমান এফ রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি।

জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তার দেওয়া তথ্যগুলি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা তদন্তকালে যাচাই বাছাই করা হবে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পাইলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি এ মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এ মামলায় রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিবি পুলিশের এসআই জাহিদুল ইসলাম। আজ রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছর ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত বছরের ২১ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান ভিকটিম মো. আমিন। এ ঘটনার ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯৯ জনকে এজাহারনামীয় করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।


লালন শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন বেগম খালেদা জিয়া

আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৫ ২১:০১
বাসস

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে জানানো কথা বললে প্রিন্স বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতেই হাসপাতালে যান এবং লালন গীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়ার একজন প্রিয় শিল্পী ফরিদা পারভীন। তার লালন গানের ভক্ত। ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার কথা শুনে ম্যাডাম খুবই উদ্বিগ্ন। ম্যাডাম আমাকে বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। উনার অবস্থা কেমন, উন্নতি হচ্ছে কিনা জেনে যেন ম্যাডামকে জানাই।

প্রিন্স বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, শিল্পীকেও আইসিইউতে গিয়ে দেখেছি এবং উনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার উদ্বেগের কথা বলেছি।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শিল্পীর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে। ম্যাডামকে শিল্পীর সর্বশেষ অবস্থা রাতেই জানিয়েছি। ম্যাডাম বলেছেন, শিল্পীর শারীরিক অবস্থার যেন সবসময় আমরা খোঁজ-খবর রাখি।

সত্তর বছর বয়সী দেশের জনপ্রিয় লালন শিল্পী ফরিদা পারভীন কিডনি, ডায়াবেটিস রোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৫ জুলাই থেকে মহাখালীর ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের (আয়শা মোমোরিয়াল হসপিটাল) আইসিইউতে ভর্তি আছেন।

উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৯ জুলাই হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।


‘জুলাই সনদকে’ সংবিধানের মূল নীতির স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের নিন্দা রিজভীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সংবিধানের মূল নীতি হিসেবে জুলাই সনদ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বানকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই সনদের অনেক বিষয় মেনে নিয়েছে। কিন্তু কেন এটিকে সংবিধানের মৌলিক নীতির অংশ করা হবে?’

আজ শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আব্দুল কুদ্দুসের সুস্থতা কামনা করে জিয়া পরিষদ আয়োজিত নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নামাজের জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এই মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার সারা দেশে এবং সব সময় অব্যাহত থাকবে। ‘সংস্কার কোনো পর্বতমালার মতো স্থির কিছু নয়। এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া।’

তিনি বলেন, গণতন্ত্র, রাষ্ট্র বা জনগণের স্বার্থে যখন প্রয়োজন হয়, তখন সংস্কার করা উচিত এবং উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা উচিত।

রিজভী বলেন, ‘এটাই একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সংস্কার আগে করতে হবে এবং এটি (জুলাই সনদ) সংবিধানের মৌলিক নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এই দাবি বিভ্রান্তিকর। এটি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কেন আপনারা এভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন?’

বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পরিবর্তে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের দরজা বন্ধ করে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। ‘আমাদের এখন সেই বন্ধ দরজাটি আবার খুলতে হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল কখনও সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলেনি এবং বাস্তবে সর্বদা এটিকে সমর্থন করেছে। ‘আপনি সংস্কারের নামে যে বিষয়গুলোর কথা বলছেন, তার অনেকগুলো ইতোমধ্যেই বিএনপির ৩১-দফা সংস্কার রূপরেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে একটি বৃহত্তর আদর্শের জন্য লড়াই করে আসছে - ন্যায়বিচার, সাম্য, আইনের শাসন এবং প্রকৃত গণতন্ত্র। ‘এই লড়াই রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য। যখন সেই মালিকানা অস্বীকার করা হয়, তখন এটি ফ্যাসিবাদের পথ খুলে দেয়।’

রিজভী উল্লেখ করেন, জনগণের সরকারকে প্রতিটি পদক্ষেপে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ‘সেই জবাবদিহিতা এখন নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন এবং সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে গঠিত হয়েছে— আওয়ামী লীগ ও তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা সকলেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে চলেছি। কিন্তু এটাও সত্য যে আমরা যদি দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখতে এবং শুনতে শুরু করি—তাহলে জনগণ আমাদেরও ছাড় দেবে না।’

অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। ‘মানুষ যদি খাবার কিনে খেতে না পারে, তাহলে এটি দুর্ভিক্ষের স্পষ্ট লক্ষণ। যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়—তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না— তখন পতিত ফ্যাসিস্টরা আনন্দে হাততালি দেবে।

বিএনপি নেতা বলেন, সরকার চাইলে, আওয়ামী লীগের যেসব সহযোগী দেশ ছেড়ে বিপুল অর্থ পাচার করে পালিয়ে গেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারে।

‘অর্থনীতির ভয়াবহ অবস্থার কারণে কারখানা বন্ধ করা উচিত নয়। এটি কেবল একটি বক্তব্যই নয় - মানুষ এখন গুরুত্ব সহকারে ভাবছে যে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে দেশ দুর্ভিক্ষে পতিত হয় কিনা,’ সতর্ক করেন রিজভী।


জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, তবে এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা

আপডেটেড ১১ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৩৯
ইউএনবি

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি জোট গঠনের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন ঘিরে যে দাবিদাওয়া তুলছে, তা তাদের বৃহত্তর কৌশলের অংশ। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাকে দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন যে, অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে নির্বাচনি জোটের কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না। অতীতে কৌশলগত কারণে আমরা জামায়াতের সঙ্গে জোট করেছি, কিন্তু এবার তাদের সঙ্গে জোট গঠনের প্রয়োজন অনুভব করছি না।’

তিনি জানান, বিএনপি এখন মূলত সেই দলগুলোর সঙ্গে জোট ও জাতীয় সরকার গঠনে মনোযোগী, যারা একযোগে আন্দোলনে এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। তার কথায়, ‘এখন এর বাইরে কিছু ভাবা হচ্ছে না।’

এনসিপির সঙ্গে সম্ভাব্য জোট গঠন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক জোট নিয়ে আলোচনা চলবে। কী হয় তা সময়ই বলে দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক দলই নির্বাচনের আগে নানা কৌশল গ্রহণ করবে। বিএনপি শেষ পর্যন্ত কী কৌশল অবলম্বন করে এবং কার সঙ্গে জোট করে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনার প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই আলোচনা অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যেই আলোচনা শেষ হওয়া উচিত ছিল।’

‘ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পরিচালনায় কিছু ঘাটতি রয়েছে, যা পুরো প্রক্রিয়াকে সময়সাপেক্ষ করে তুলছে। আশা করি, এই আলোচনা আর বেশি দিন চলবে না। এখন একটা সারসংক্ষেপ ও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার।’

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যত পুনর্প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন কেবল সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ রায়ের অপেক্ষা। আমরা আশা করি, আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনে ইতিবাচক রায় দেবে।

বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চায় জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই কাঠামোর রূপ কিংবা সাবেক প্রধান বিচারপতিকেই প্রধান উপদেষ্টা রাখার বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। এই বিষয়ে বিকল্প নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। বিএনপিসহ অন্যান্য দল এবং সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাব দেবে। যদি আরও ভালো কোনো বিকল্পে একমত না হওয়া যায়, তবে বর্তমান কাঠামোই বহাল থাকবে।’

আসন্ন নির্বাচনে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এই রাজনীতিক বলেন, বাংলাদেশে এই ব্যবস্থার জন্য উপযোগী রাজনৈতিক, সামাজিক ও নির্বাচন সংস্কৃতি নেই।

বিষয়টির তিনি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘পিআর ব্যবস্থায় ভোটাররা সরাসরি তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, ভোটদানে নিরুৎসাহিত হন এবং সংসদে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

‘আমাদের ভোটাররা তাদের পরিচিত ও স্থানীয় প্রার্থীকে ভোট দিতে পছন্দ করেন। কিন্তু পিআর ব্যবস্থায় এমনও হতে পারে যে, একটি এলাকায় কোনো দল বেশি ভোট পেলেও অন্য এলাকার কাউকে নির্বাচিত করা হয়। এটি জনগণের রায়কে প্রতিফলিত করে না, বরং গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়।’

‘যেসব দেশে পিআর ব্যবস্থা কার্যকর, সেখানে স্থানীয় সরকারগুলোও শক্তিশালী। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। এখানে সংসদ সদস্যরা সরাসরি উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত থাকেন। তাই এখানে পিআর কার্যকর হবে না।’

তার মতে, বাংলাদেশে এমন একটি রাজনৈতিক কাঠামো দরকার, যেখানে জনগণ সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। বাংলাদেশ পিআর ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত নয়। এটি কখনো এখানে প্রয়োগ হয়নি; জনগণও এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়।

এই নির্বাচন পদ্ধতির আরেকটি সমস্যা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পিআর ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের সুযোগ হারাবেন। কেউ যদি খুব জনপ্রিয়ও হন, কিন্তু কোনো দলে না থাকেন, তাহলে তিনি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন না। এটি অন্যায় এবং অগণতান্ত্রিক।’

তার মতে, ছোট দলগুলো পিআর চায়, কারণ এতে তারা কম ভোট পেয়েও বেশি আসন পেতে পারে। কিন্তু এর ফলে দুর্বল জোট সরকার গঠিত হয় এবং দেশে শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে ওঠে না।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করা এই নেতা বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই বিএনপি মেনে নেবে না।’

‘কিছু দল বিভিন্ন দাবি করছে। কেউ সংস্কার চায়, কেউ বলছে বিচার ছাড়া নির্বাচন নয়, কেউ পিআর চায়। এসব বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে। কথা বলার অধিকার সবাই রাখে, তবে সেসব বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও হতে পারে।’


জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় বৃহস্পতিবার কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: তথ্য মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। বৃহস্পতিবার বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশন, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) সেবাপ্রদান এবং ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্লাটফর্ম-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নবিষয়ক সভায় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা বলেন, কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশন, টিআরপি সেবাপ্রদান এবং ওটিটি প্লাটফর্মের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কোন মন্ত্রণালয় কোন কাজটি করবে সেটি এলোকেশন অব বিজনেস দ্বারা নির্ধারিত।

তিনি দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্প্রচার ব্যবস্থা যুগোপযোগীকরণের ওপর।

সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সম্প্রচার ব্যবস্থা যুগোপযোগী ও জনবান্ধন করতে প্রযুক্তি মূল্যায়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এই পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এ বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

এর পাশাপাশি লাইসেন্সিং, মনিটরিং ও মনিটাইজেশনের বিষয়েও দুই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি এবং কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কমিশনের আজকের আলোচনায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে—সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন।’

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের এগারোতম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

‘বিদ্যমান সংবিধানে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, প্রধান বিচারপতি হিসেবে কর্মে নিযুক্ত জ্যেষ্ঠতম একজনকে না করে কর্মে জ্যেষ্ঠ দুজনের মধ্যে একজন নিয়োগ করা হবে—এই বিষয়ে দুটি মত উপস্থিত আছে। কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,’ যোগ করেন আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৭ জুলাইয়ের আলোচনায় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(ক) সংশোধন এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার না হয়—এই দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

আলোচনায় অনুচ্ছেদ ১৪১(ক) সংশোধনের ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগের’ জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান অপসারণ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, এ বিষয়টা আরও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে আরও কী কী বিষয় সংযুক্ত করা যায়, সেসব আগামী সপ্তাহের আলোচনায় সুস্পষ্ট হবে, বলেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে রীয়াজ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা কার্যত যতদূর সম্ভব ত্রুটিহীন হয় এবং যে ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলন-সংগ্রামের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এই বিষয়েও আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।


উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দু’টি অধ্যাদেশ এবং তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দু’টি অধ্যাদেশ এবং তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নগরীর তেজগাঁও এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে (সিএও) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা পরিষদ ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

কাউন্সিল মালয়েশিয়ার জোহর বাহরুতে বাংলাদেশের একটি নতুন কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) এর একটি মিশন প্রতিষ্ঠার জন্য খসড়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) প্রস্তাবও সভায় অনুমোদিত হয়েছে।

কাউন্সিল নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশনের ঐচ্ছিক প্রোটোকলে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।

সভায়, দেশের বন্যা পরিস্থিতি এবং পরবর্তীতে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মুসাপুর রেগুলেটর এবং বামনী ক্লোজারের নকশা চূড়ান্তকরণ, ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্তকরণ এবং নোয়াখালীতে খাল পুনরুদ্ধার এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উপদেষ্টা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে।


banner close