দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করবে সরকার।
মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে, আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে। এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে।
মৎস্যখাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ এখন মাছে শুধু স্বয়সম্পূর্ণই নয়, ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে। জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।
মন্ত্রী বলেন, ‘মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন। মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোনো অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।’
আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই সপ্তাহ পালন করা হবে। জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন ছাড়াও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়াসহ তিন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষকদের একাংশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল রোববার থেকে অবস্থান করছেন। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার দিকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক জড়ো হয়েছেন। জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজীসহ অনেকেই পলিথিন ও মাদুর বিছিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন। এক পাশে শিক্ষকরা স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান ও লাঠিচার্জের বিচার দাবি করেন।
তারা বলেন, আমরা সুবিচার পাচ্ছি না। প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা তো এখানে থাকতে আসিনি। দাবি মেনে নিলে আমরা ফিরে যাবো। অবিলম্বে মধ্যে ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া এবং ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
রাজধানীর একাধিক স্কুল কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হলেও ক্লাসসহ কোনো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কর্মবিরতি চলছে। তারা শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ‘গতকাল শিক্ষকদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই সরকার থেকে এটি আশা করিনি। আমাদের পাঁচ সহযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের তিনটি বিষয় নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন না হবে, ততক্ষণ আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি, সেহেতু আপনারা শিক্ষকরা শহীদ মিনারে চলে আসুন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান আপনাদের বাধা দেয়, তাহলে শিক্ষকরা মিলে তাকে বাধ্য করবেন।
এর আগে, রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি। তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে সোমবার থেকেই দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় শিক্ষকদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জ করে। এরপর বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন তারা। কিছু শিক্ষকদের আবারও প্রেসক্লাব এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া আরেকটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
প্রজ্ঞাপন ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জোট। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব আজিজী এ ঘোষণা দেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের শিক্ষক সমাবেশে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিল। ওইদিন শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ।
সূত্রমতে, শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে নতুন করে বাড়িভাড়া ভাতা ও মেডিকেল ভাতার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাবনা গত ৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এতে বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ নির্ধারণে নতুন প্রস্তাব করা হয়। একইসঙ্গে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ এবং চিকিৎসা ভাতা এক হাজার টাকার প্রস্তাব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীকে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে সাময়িক বরখাস্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বরখাস্ত করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল সার্ভিসের শৃঙ্খলা বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত মর্মে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল সার্ভিসের শৃঙ্খলা বিধিমালা-২০১৭ এর বিধি ১১ অনুযায়ী রেজাউল করিম চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকার সিএমএম থাকাকালীন রেজাউল করিম চৌধুরীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
মেক্সিকোতে প্রবল বন্যায় এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৪ জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেরাক্রুজ রাজ্য। খবর আল জাজিরার।
রোববার এক বিবৃতিতে মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, দুটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের প্রভাবে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এরফলে ভেরাক্রুজ, পুয়েবলা, হিডালগো, কুয়েরেতারো এবং সান লুইস পোতোসিসহ পাঁচটি রাজ্যে ভূমিধস এবং বন্যা দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভেরাক্রুজ রাজ্যে বন্যায় ১৮ জন, হিদালগোতে ১৬ জন, পুয়েবলায় নয়জন এবং কুয়েরেতারোতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে মেক্সিকোর সংবাদমাধ্যম এল ইউনিভার্সাল জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ৪৮ জন।
কর্তৃপক্ষ জানায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৬ হাজার বাড়ি। বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের জেরে গত ৬ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বর্ষণ শুরু হয় মেক্সিকোজুড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে, শুধু ভেরাক্রুজেই তিন দিনে ৫৪০ মিলিমিটার (২১ ইঞ্চিরও বেশি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
৯ অক্টোবরের পর থেকে ঝড় ও বৃষ্টির তেজ কমতে থাকে। এ সময় উদ্ধার অভিযানে নামে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও সেনাবাহিনী। দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় অনেক এলাকায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বাড়িঘরের ওপর পড়েছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম বলেছেন, উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশের উদীয়মান গেমিং কমিউনিটির জন্য নতুন ও উদ্দীপনাময় অধ্যায় হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অপো ইস্পোর্টস ক্লাব উন্মোচন করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস উদ্ভাবক অপো। এই উদ্যোগের প্রথম আয়োজন হিসেবে নতুন উন্মোচিত অপো এ৬ প্রো’র মাধ্যমে পাবজি মোবাইল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগ্রহী গেমারদের একত্রিত করতে চায় অপো, যেখানে দক্ষতা, কৌশল ও প্রযুক্তি একত্রিত হবে।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীরা মোট ৩,০০,০০০ টাকা পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পাবেন; যা এটিকে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বহুল প্রতীক্ষিত মোবাইল গেমিং প্রতিযোগিতার মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরেছে। প্রতিযোগিতাটির রেজিস্ট্রেশন চলবে ১০-১৩ অক্টোবর, ১৪-২১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে কোয়ালিফায়িং রাউন্ড। কোয়ার্টারফাইনাল হবে ২৩ ও ২৪ অক্টোবর, সেমিফাইনাল ২৬ ও ২৭ অক্টোবর এবং গ্র্যান্ড ফাইনাল ও বিজয়ী ঘোষণা হবে ৩১ অক্টোবর। খেলোয়াড়রা অপো’র অফিসিয়াল ডিসকর্ড কমিউনিটি https://discord.gg/zU8TbkuEA থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
এই ইস্পোর্টস অভিজ্ঞতার মূলে রয়েছে অপো এ৬ প্রো। গেমারদের জন্য অসাধারণ পারফরম্যান্স ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে এই স্মার্টফোন এসেছে। এটি সুপারকুল ভিসি কুলিং সিস্টেমের কারণে দীর্ঘসময় খেললেও ডিভাইস অতিরিক্ত গরম হয়ে যাবে না। এর এআই লিঙ্কবুস্ট ৩.০ স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিত করবে, যা টানটান উত্তেজনার ম্যাচেও ল্যাগ-মুক্ত খেলার নিশ্চয়তা প্রদান করবে। এর সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, ৮০ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং ও আইপি৬৯-রেটেড ডিউরেবিলিটি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অবস্থাতেও নিরবচ্ছিন্ন খেলার নিশ্চয়তা দেয়।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপো ইস্পোর্টস ক্লাব উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গেমারদের জন্য পেশাদার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। অপো এ৬ প্রো আমাদের খেলোয়াড়দের মতোই শক্তিশালী, সহনশীল ও যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত। নতুন প্রজন্মের ইস্পোর্টস প্রতিভাদের সহায়তা করতে পেরে এবং তাদের জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।”
রেজিস্ট্রেশন ও আপডেটের জন্য অংশগ্রহণকারী ও ফ্যানদের অফিসিয়াল ডিসকর্ড কমিউনিটিতে https://discord.gg/zU8TbkuEA যোগ দেওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। একইসাথে রিয়েল-টাইম আপডেট, ম্যাচ হাইলাইট ও বিজয়ী ঘোষণার ক্ষেত্রে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও টিকটকে অপো বাংলাদেশকে ফলো করুন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাঈনুল ইসলামের সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নোয়াখালী।
১২ অক্টোবর রবিবার নোয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বর্তমানে নোয়াখালী চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ম্যাটস) জুনিয়র লেকচারার ডা. মাঈনুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার কৌশল্যারবাগ গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের ছেলে ডা. মাঈনুল ইসলাম ২০০০ সালে সোনাইমুড়ী বাজারের কলেজ রোডে মেডিকেয়ার হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হন। ২০০১ সালে সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদায়ন থাকলেও তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেননি। তার বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতালের চাকরি করা কালীন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সংসদ সদস্যকে হাত করে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার পদ নেন। তখন থেকে সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ আত্বসাৎ করে বিপুল অঙ্কের টাকার মালিক হন। বিগত ২৩ বছর তিনি সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থেকে ২ টি বিলাশ বহুল গাড়ী ক্রয় করেছেন। ঢাকায় ৩ টি বিলাশ বহুল প্ল্যাট কিনেছেন। একেকটি প্ল্যাটের মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। কানাডায় তার সহোদরের মাধ্যমে ২ টি বাড়ী ক্রয় করেছেন। তার গ্রামের বাড়ী সোনাইমুড়ী পৌরসভার শিমুলিয়া গ্রামে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। পৌর এলাকার সোনাইমুড়ী বাজারে জমিলা মেমোরিয়াল নামে তার মালিকানাধীন ১ টি হাসপাতাল রয়েছে। তার স্ত্রীর নামে ঢাকার পশ্চিম ধানমন্ডি ঝিকাতলায় ২২৭/৩, এ-৫, রোড নং- ১৯ ঠিকানায় ১ টি বাড়ী রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বেনামে একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণের টাকা।রয়েছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের কৃষি জমি।
নোয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ -পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সম্পদের তদন্ত করছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অতি শীঘ্রই তদন্ত করে প্রতিবেন দাখিল করা হবে।
ডাক্তার মাইনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ হয়েছে তিনি জেনেছেন। নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্যরা সরেজমিনে এসেছেন।
রোমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রোববার তাঁর হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। একদিকে শিক্ষার গুণগত মান, দক্ষতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক; অন্যদিকে শিক্ষক সমাজের আর্থিক নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও পেশাগত স্বাধীনতা ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। এমন এক সময়, যখন জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান ২০২৫ সালের ৭ অক্টোবর শিক্ষক সমাবেশে যে ঐতিহাসিক বক্তব্য রেখেছেন, তা কেবল একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়—বরং এটি বাংলাদেশের শিক্ষা, শিক্ষক সমাজ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন দার্শনিক নকশা।
শিক্ষাকে রাষ্ট্র নির্মাণের প্রাণশক্তি হিসেবে দেখার আহ্বান
তারেক রহমান তার বক্তব্যে শিক্ষা ব্যবস্থার মূল প্রশ্নটি সামনে এনেছেন—‘আমরা সবাই মিলে যদি শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিদ্যমান শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে না পারি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’
এই এক বাক্যেই তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার সারবস্তু তুলে ধরেছেন। তার কাছে শিক্ষা কোনো কাগুজে রুটিন নয়, বরং দক্ষ নাগরিক, জাতির মানসিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অস্তিত্বের মেরুদণ্ড। তিনি স্পষ্ট করেছেন, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন কেবল অবকাঠামোগত নয়; এটি এক দক্ষ, মানবিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক পুনর্জাগরণ।
তার চিন্তায় শিক্ষা হচ্ছে জাতীয় পরিচয়ের পুনর্নির্মাণের ভিত্তি। সেই শিক্ষা হবে এমন—যা একদিকে জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেবে, অন্যদিকে নাগরিকদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, সততা, নৈতিকতা ও মানবিকতা বিকশিত করবে।
পুঁথিনির্ভরতা থেকে মুক্তি: দক্ষতা ও ব্যবহারিক জ্ঞানের বিপ্লব
তারেক রহমানের শিক্ষাদর্শনের একটি মৌলিক ভিত্তি হলো—পুঁথিনির্ভর শিক্ষা থেকে ব্যবহারিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় রূপান্তর। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুঁথিনির্ভর না রেখে শিক্ষা কারিকুলামকে স্কুল পর্যায় থেকেই ব্যবহারিক ও কারিগরি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করার বিকল্প নেই।’
এই বক্তব্য কেবল একটি শিক্ষানীতির প্রস্তাব নয়—এটি এক অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও সামাজিক মুক্তির রূপরেখা। তিনি উপলব্ধি করেছেন যে, আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র বইয়ের জ্ঞান যথেষ্ট নয়; দরকার বাস্তব দক্ষতা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান। তার এই চিন্তা এবং তার সার্থক বাস্তবায়ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মানে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা দেবে।
শিক্ষক: সমাজের নৈতিক বাতিঘর ও জাতির আত্মা
তারেক রহমান শিক্ষক সমাজকে কেবল পেশাজীবী হিসেবে নয়, বরং জাতির নৈতিক দিকনির্দেশক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার কথায়—
‘পারিবারিক গণ্ডি পার হওয়ার পর পরই প্রতিটি শিক্ষার্থীর দেখা হয় একজন শিক্ষকের সাথে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর সামনে শিক্ষকই হচ্ছেন আদর্শ রোল মডেল। প্রতিটি শিক্ষককে শিক্ষার্থীর প্রয়োজন ও প্রিয়জন হয়ে উঠতে হবে।’
এই উক্তি শিক্ষকের সামাজিক ভূমিকার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন। তিনি স্বীকার করেন যে, শিক্ষক কেবল পাঠদানকারী নন; তিনি জাতির চিন্তা, মনন ও চরিত্র গঠনের স্থপতি।
তবে বাস্তবতার নিরিখে তিনি সততার সঙ্গে উচ্চারণ করেন-‘শিক্ষকরাই যদি সংসার ও সম্মান নিয়ে প্রতিনিয়ত টানাপড়েনে থাকেন, তবে তাদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে রোল মডেল হয়ে ওঠা সম্ভব নয়।’
এটি কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা নয়, বরং রাষ্ট্রের দায়িত্ববোধের এক নৈতিক উচ্চারণ—যেখানে তিনি শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তাকে জাতীয় পুনর্জাগরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেছেন।
আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা
তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, শিক্ষক সমাজকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত ও সামাজিকভাবে মর্যাদাবান না করলে শিক্ষাক্ষেত্রে স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে আসে—‘শিক্ষকতা পেশা কখনোই উপায়হীন বিকল্প কিংবা একটি সাধারণ চাকরি হতে পারে না।’
তিনি এমন এক রাষ্ট্র কাঠামোর রূপরেখা দিয়েছেন, যেখানে সর্বোচ্চ মেধাবী তরুণরা শিক্ষকতাকে তাদের প্রথম পেশাগত পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহী হয়। এজন্য তিনি ঘোষণা দেন—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের চাকরির স্থায়িত্ব, জাতীয়করণ এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও সামাজিক পরিসরে শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হলে Warrant of Precedence পুনর্মূল্যায়ন করা হবে—যাতে শিক্ষকদের সম্মান জাতির সেরা আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়। তার এই প্রস্তাব কেবল প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, বরং রাষ্ট্রের আত্মসম্মান পুনরুদ্ধারের এক অমোঘ ঘোষণা।
শিক্ষা সংস্কার: নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন দিগন্ত
তারেক রহমানের শিক্ষা দর্শনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো শিক্ষা কাঠামোর যুগোপযোগী সংস্কার। তিনি বলেন—‘প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে ব্যবহারিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রধান করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।’
এই পরিকল্পনার মধ্যে নিহিত আছে এক জাতীয় পুনর্গঠনের স্বপ্ন। তিনি শিক্ষা সংস্কারকে কেবল নীতিগত প্রতিশ্রুতি হিসেবে নয়, বরং রাষ্ট্রের মানবসম্পদ বিকাশের মৌলিক কৌশল হিসেবে দেখেন।
এই শিক্ষা হবে এমন, যা নাগরিককে শুধুমাত্র চাকরির প্রার্থী নয়, বরং নেতৃত্বদানকারী, উদ্ভাবনমুখী ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষে পরিণত করবে।
শিক্ষকরাই তৈরি করবে দক্ষ জনশক্তির আগামীর বাংলাদেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিশ্বাস করেন এদেশের প্রতিটি মানুষকে একজন দক্ষ নাগরিকে রূপান্তর করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে শিক্ষকগণ শুধুমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞান নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ব্যবহারিক ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে বিভিন্ন কাজ শিখতে উদ্ভুদ্ধ করবেন। পাশাপাশি একাধিক ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজ অবস্থানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করার প্রয়াসকে সার্থক করতে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে।
একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে শিক্ষকগণ এ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একজন শিক্ষক কেবল পাঠদানই করেন না, বরং শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন, যা পরবর্তীতে তাদের কর্মজীবনে দক্ষ ও সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। এই দক্ষ নাগরিক ও শক্তিশালী অর্থনীতির বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর হবেন এদশের সকল শিক্ষকরা।
শিক্ষক মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি: এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক
তারেক রহমানের প্রজ্ঞাপূর্ণ পর্যবেক্ষণ—‘রাষ্ট্র ও সমাজে শিক্ষকদের মর্যাদার সঙ্গে রাষ্ট্রের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি জড়িত।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, যখন শিক্ষক অবমূল্যায়িত হন, তখন জাতি আত্মিকভাবে দরিদ্র হয়ে পড়ে। আর যখন শিক্ষক সমাজে সম্মানিত হন, তখন জাতির নৈতিক পুনর্জাগরণ ঘটে।
এই উপলব্ধি প্রমাণ করে—তিনি শিক্ষা ও শিক্ষকতাকে কেবল উন্নয়নের উপকরণ নয়, বরং জাতীয় আত্মার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচনা করেন।
তারেক রহমানের শিক্ষা দর্শনের দার্শনিক সারবত্তা
তারেক রহমানের বক্তব্যে যে দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে তা মূলত মানবকেন্দ্রিক রাষ্ট্রচিন্তা। তার রাষ্ট্রদর্শনে শিক্ষা কেবল অর্থনৈতিক অগ্রগতির হাতিয়ার নয়; এটি ন্যায়, মানবতা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের চালিকাশক্তি।
তিনি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন—যেখানে প্রতিটি শিক্ষক জাতির বিবেক, প্রতিটি শিক্ষার্থী সম্ভাবনার প্রতীক, এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নৈতিক জাগরণের কেন্দ্র।
তারেক রহমানের শিক্ষক সমাবেশে প্রদত্ত ভাষণটি বাংলাদেশের শিক্ষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। এটি কেবল বক্তৃতা নয়, বরং এক রাজনৈতিক দার্শনিক দলিল, যেখানে শিক্ষা, শিক্ষক ও রাষ্ট্র একে অপরের পরিপূরক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তার বার্তাটি ছিল গভীর, স্পষ্ট ও প্রজ্ঞাপূর্ণ—
‘যেখানে শিক্ষক সম্মানিত, সেখানেই রাষ্ট্র মর্যাদাবান।’
এই এক বাক্যে তিনি রাষ্ট্রচিন্তার মূল সূত্রটি নির্ধারণ করেছেন। তার নেতৃত্বে যদি বাংলাদেশ ভবিষ্যতে অগ্রযাত্রা শুরু করে, তবে সেই রাষ্ট্র হবে এমন এক বাংলাদেশ—
‘যেখানে জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধে সমৃদ্ধ মানবিক রাষ্ট্রই হবে জাতির নতুন পরিচয়।’
ভাঙাচোরা নৌকায় ভূমধ্যসাগরের বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিরা। চলতি বছরে অবৈধ পথে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসনের হার ২২ শতাংশ কমলেও এ পথ পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করেছেন ৫০ হাজার ৮৫০ জন, যা গত বছরের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। শুধু চলতি মাসে প্রবেশ করেছেন ৮ হাজার ৪৬ জন। এ রুটে ইউরোপে প্রবেশকারীদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। সম্প্রতি ইউরোপীয় সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী সংস্থা ফ্রনটেক্সের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ, মিসর ও মরক্কোর নাগরিকরা। তবে কঠোর নজরদারি ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করায় এ বছর ইউরোপে অনিয়মিত অনুপ্রবেশ কমেছে। পশ্চিম আফ্রিকান রুট দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ ৫৮ শতাংশ, পশ্চিম বলকান রুট দিয়ে ৪৭ শতাংশ এবং পূর্ব ইউরোপের স্থলসীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ ৩৬ শতাংশ কমেছে। তবে মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় সাগরপথে এখনো সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ইতালিতে প্রবেশ করে। পুরো ইউরোপে মোট অবৈধ প্রবেশকারীদের প্রায় ৪০ শতাংশই এই রুট দিয়ে প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অনিয়মিত প্রবেশ বেড়েছে ২৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এ রুটে ইউরোপে প্রবেশ বেড়েছে অর্ধেকেরও বেশি, যার মধ্যে আলজেরিয়া থেকে যাত্রা করা অভিবাসীই প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।
এদিকে ফ্রান্স হয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৩০০ জন নাগরিক যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, অবৈধ পথে ইউরোপ প্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মানবিক সংকট এখনো গভীর। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ১ হাজার ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রমাণ করে, সহজে ইউরোপ প্রবেশের জন্য মানুষ এখনো জীবনের ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করছে না।
লুকানো নয়, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চান উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।
এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।
চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের চুক্তিতে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের শতকোটি টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ছয় মন্ত্রী ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বাসসকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই চুক্তিটি সম্পাদন করা হয়।
দুদক জানায়, সিএনএস লিমিটেডকে টাকার অংকে নয় বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। অথচ ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
২০২২-২০২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড একই ধরনের প্রযুক্তিতে তিন বছরের জন্য ৬৭ কোটি টাকায় চুক্তি পায়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে প্রায় ১১২ কোটি টাকা হয়। ফলে সিএনএস লিমিটেডকে একক উৎসভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়ায় সরকারের ৩০৯ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম, এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের বা অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও আত্মসাৎমূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আসন্ন নির্বাচনে বিরত রাখা হবে। তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা আজ দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমানা পুনর্নিধারণকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিরাপদ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণসহ একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন,সুষ্ঠু ভোটপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা গ্রুপকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাতে কোন আইন বহির্ভূত কাজ না করে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সকল ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন
না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হবে। আপনারা জানেন, এ প্রশিক্ষণ চলছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ২৮টি ব্যাচে তিনদিন মেয়াদী প্রশিক্ষণ সারাদেশে (জেলা, মহানগর ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান) ১৩০ টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য পুলিশের চূড়ান্ত (৪র্থ পর্যাযের) প্রশিক্ষণ গত ৫ অক্টোবর শুরু হয়েছে এবং আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২৬ এ সকল ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আনসার ভিডিপি সদস্যদের জন্য 'প্রাক নির্বাচনী প্রশিক্ষণ' শিরোনামে প্রতি কেন্দ্রে ১৩ জন হারে আনুমানিক ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার জনকে অস্ত্রসহ ও ৪ লাখ ৫০ হাজার জনকে অস্ত্রবিহীন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচনে বিজিবির ১১শ’ প্লাটুনে ৩৩ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ইতোমধ্যে ৬০% নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিজিবি'র প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাছাড়া এবারের নির্বাচনে প্রায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট।
রোববার সকাল ১০ টার পর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এই অবস্থান শুরু করেন শিক্ষকরা। সারা দেশ থেকে আসা ব্যাপকসংখ্যক শিক্ষকের অবস্থানের কারণে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাব, সচিবালয় ও মেট্রোরেলের প্রবেশ পথে সাধারণ মানুষের চলাচলও চরমভাবে বিঘ্ন হচ্ছে।
প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জোটের মহাসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানিয়েছেন। দাবি আদায়ে অবস্থান থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের শিক্ষক সমাবেশে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিল। ওইদিন শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ।
সূত্রমতে, শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে নতুন করে বাড়িভাড়া ভাতা ও মেডিকেল ভাতার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাবনা গত ৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এতে বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ নির্ধারণে নতুন প্রস্তাব করা হয়। একইসঙ্গে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ এবং চিকিৎসা ভাতা এক হাজার টাকার প্রস্তাব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এ প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, প্রথমে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন। এরপর নিজেদের যুক্তি তুলে ধরবেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। শেষ পর্যায়ে যুক্তি খণ্ডন করবে প্রসিকিউশন বা রাষ্ট্রপক্ষ। এ ধাপ শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হবে।
এর আগে এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন এবং বিরোধী পক্ষকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার।