মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

হজ যাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১৫ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৩ ১৯:২৫

হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর সুপারিশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম ও রত্না আহমেদ অংশ নেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে হজযাত্রীদের মেডিক্যাল টিমে হার্ট, অ্যাজমা ও ডায়াবেটিস রোগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। কমিটি হজযাত্রীদের সহায়তার জন্য সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রমকে দ্রুত সমাপ্তির সুপারিশ করে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অন্যদিকে কোরবানি ছাড়াই এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। আগের বছর এটি ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জনপ্রতি হজের বিমান ভাড়া ধরা হয়েছিল এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। এবার সেটা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা।

মিনা ও আরাফাতের সার্ভিস বাবদ এবার সৌদি কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে জনপ্রতি এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা। গত বছর যা ছিল মাত্র ৬১ হাজার ২৩৬ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে ৯৯ হাজার ৩৯৫ টাকা। মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় উন্নতমানের বাস ও ট্রেন ভাড়া বাবদ এবার সৌদি কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে ১৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। গত বছর এটা ছিল মাত্র ৭ হাজার ২৯০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে ১২ হাজার ৪৩ টাকা।

এছাড়াও জমজমের পানি, লাগেজ পরিবহন ফি, ভিসা ফি, খাওয়া খরচ ও হজ গাইড বাবদ ব্যয় বেড়েছে।


‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট এনআইডি পেলেন রাষ্ট্রপতি

বঙ্গভবনে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে নির্বাচন কমিশন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত ‘স্মার্ট এনআইডি’ কার্ডটি (জাতীয় পরিচয়পত্র) তার কাছে হস্তান্তর করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, পরিচয়পত্র প্রদানকালে ইসির সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, এখন থেকে পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এই নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময়ই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানি ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।’

ওই সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


যুক্তরাজ্য থেকে ১০টি এয়ারবাস কিনবে সরকার: বিমানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্য থেকে দশটি এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নিয়োজিত টেকনিক্যাল কমিটি এর দাম, মানসহ সার্বিক বিষয়ে মতামত জানানোর পরেই এই ক্রয়াদেশ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বিমানমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন এবং ট্যুরিজম খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আগে থেকেই রয়েছে, এখন তা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশের থার্ড টার্মিনাল, সৈয়দপুর বিমানবন্দরসহ ট্যুরিজম খাতে কারিগরি সহায়তাও করবে যুক্তরাজ্য। এক্ষেত্রে কর্মীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে দেশটি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হবে বলে জানালেন বিমানমন্ত্রী।

এ সময় অ্যানি ম্যারি বলেন, বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন এবং ট্যুরিজম সম্পর্কিত বিষয়ে আগ্রহ আছে যুক্তরাজ্যের। বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে এক হয়ে কাজ করতে চায় তার দেশ। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাদের বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।


টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জাহিদ মালেক

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৭:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় মার্কিন পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন। গত ২ মে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় স্থান পেয়েছেন মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর এবং সাটুরিয়া) আসনের এমপি এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জাহিদ মালেককে নিয়ে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোচ্চার সমর্থক হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেক পাঁচ বছর বিতর্কমুক্ত ছিলেন না। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং তার প্রারম্ভিক মহামারি প্রতিক্রিয়ার জন্য তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন। তবে এরপর তিনি একটি কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদন করেন যার ফলে ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে মাথাপিছু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবেশী দেশ ভারতের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ছিল। জানুয়ারিতে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও, মালেক তার সাড়ে ১৭ কোটি দেশবাসীর উন্নতির জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন।’

কালাজ্বর (ভিসারাল লেশম্যানিয়াসিস) নির্মূলের জন্য বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ইতিহাস তৈরি করেছিল। এটি মাছি দ্বারা সংক্রামিত একটি রোগ যার চিকিৎসা না করা হলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গত বছর বাংলাদেশ (লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস) মশা দ্বারা সংক্রামিত একটি দুর্বল পরজীবী রোগ নির্মূল করতে সফল হয়েছে। এই জোড়া সাফল্যে মাধ্যমে ইতিহাসের প্রথম জাতি হিসাবে বাংলাদেশ এক বছরে দুটি অসংক্রামক রোগ নির্মূল করেছে।

শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দ্বারা পূর্বে সম্মানিত মালেক বাংলাদেশে হলুদের মধ্যে সীসার উপাদান কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এখন সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


‘উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার আগে অর্থনীতির বিষয়টি ভাবতে হবে’

মঙ্গলবার গণভবনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৭:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে তা দেশের অর্থনীতিকে কতটা চাঙ্গা করবে এবং স্থানীয়রা এতে কতটা উপকৃত হবেন তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে তিনি এ কথা বলেন।

রূপরেখা প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন আজ সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

ওই সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।


বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হতে ৬ মাস লাগবে: মন্ত্রী

সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৭:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে।

সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। এদিন তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

টার্মিনাল কবে খুলে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তারা বলেছে যে, তাদের আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। আপনারা জানেন কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে সব প্রজেক্ট কিছুটা ধীরে হয়েছে। আমাদেরকে এজন্য কিছুটা স্লো হতে হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এটাকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারব।’

কয় দিনের মধ্যে সেটা পারা যাবে- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময় বলা ঠিক হবে না। তবে ওরা কিছুদিন সময় চেয়েছে তো। আমরা মনে হয় অ্যাট লিস্ট ছয় মাস তো লাগবেই।’

বিমানবন্দরে ‘ই-গেট’ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্টের জন্য ই-গেটগুলো চালু হয়নি। একটার সঙ্গে আরেকটার লিংক আছে। আমরা ই-গেট করে ফেলেছি, কিন্তু ই-পাসপোর্ট এখনও করতে পারিনি। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে, ইনশাআল্লাহ এগুলো সব একে একে এগোচ্ছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ‘সফট ওপেনিং’ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টার্মিনাল ব্যবহার করে বিমান চলাচল শুরু হলেও এর পুরোপুরি ব্যবহার সম্ভব হয়নি।


রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইওএম’র ডিজি অ্যামি পোপ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৫:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য নতুন উৎস থেকে আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য আইওএম-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থ্যার (আইওএম) মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যামি পোপ শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘যেহেতু (বাংলাদেশে) মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য তহবিল কমে গেছে, আইওএম-এর উচিত এই উদ্দেশ্যে আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য নতুন অংশীদারদের খুঁজে বের করা।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে আইওএমকে সহায়তা করার জন্যও বলেছেন। কারণ, এখানে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা এবং কর্মসংস্থানসহ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ভাষানচরে এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন।

সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের নিরাপদ অবস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করেছে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন দল ও উপগোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এখন তাদের এলাকায় সংখ্যালঘু হয়ে গেছে।

অ্যামি পোপ স্বাগতিক দেশের চাহিদা অনুযায়ী তাদের দক্ষতা বাড়াতে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর অভিবাসীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর জোর দেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার অন্য দেশের কাউকে বোঝার জন্য পেশা ও ভাষার ওপর যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষ জনসংখ্যা তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সারাদেশে ১১২টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হযেছে।অভিবাসন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। দারিদ্র্য কমলে অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অভিবাসীদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। যার মধ্যে কোনো জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়া রয়েছে। আয়োজক ও উৎসদেশ উভয়েরই অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে, যেহেতু তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য কাজ করছেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অভ্যন্তরীণভাবেও মানুষ স্থানান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি এবং নদীভাঙন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে স্থানান্তরিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কক্সবাজারের খুরুশকুলে ৪ হাজারের বেশি জলবায়ু উদ্বাস্তুকে বাড়ি দিয়েছে। সরকার জলবায়ু সহিষ্ণু বাড়ি এবং বন্যাপ্রবণ এলাকার জন্য ভাসমান বাড়ি নির্মাণ করছে এবং গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যে বাড়ি দিয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।


আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড় নিশ্চিত হয়েছে

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ইতিবাচক ফল
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঘোষিত ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী জুনে তৃতীয় কিস্তির এই অর্থ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই কিস্তিতে মোট ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ৬৮ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ। সোমবার আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তারা জানান, আইএমএফ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইংয়ের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে তৃতীয় কিস্তি নিশ্চিত করার জন্য চুক্তির বিভিন্ন দিক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছরের জুন নাগাদ দেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ, ঋণদাতাটি এটা কমিয়ে ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনতে পারে বলেও জানান তারা।

এর আগে গতমাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আইএমএফের দেওয়া দশটি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ নয়টি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই পরবর্তী কিস্তি পেতে কোন অসুবিধা হবেনা।’

উল্লেখ্য, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

এ ছাড়া, তার ক্লান্তিহীন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় চলমান রয়েছে।

ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার জন্য মার্চ শেষে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার ও জুন শেষে ২ হাজার ১০ কোটি ডলার নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্ত ছিল আইএমএফের। অর্থবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ শর্ত পূরণ না হলেও তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে কোন সংশয় নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার বিপরীতে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা আদায় করেছে সরকার। তবে অর্থবছর শেষে আগামী জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা কর-রাজস্ব আহরণ করতে হবে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার আইএমএফ মোটাদাগে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে- তার মধ্যে রয়েছে বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া, রাজস্ব আহরণ আরেকটু বাড়ানো ও সরকারের ভর্তুকি কমিয়ে আনা। সরকারও আইএমএফ এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।’

“জুনভিত্তিক নিট রিজার্ভের শর্ত ২০.১০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করে দিতে পারে আইএমএফ। তবে জুনের আগে এটি অর্জন করাও কঠিন হবে”- বলেন এই অর্থনীতিবিদ।

আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ কর্মকর্তারাদের বৈঠক:

ঋণের তৃতীয় এবং চতুর্থ কিস্তির জন্য ব্যাংকিং খাতের শর্ত সামঞ্জস্য করতে আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের কর্মকর্তাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া একইদিন অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে সভা করে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ও চতুর্থ কিস্তি ছাড় করার জন্য সংশোধিত শর্তগুলো (রিভাইজড টার্মস এন্ড কন্ডিশন) সংযুক্ত করে চূড়ান্ত করা সমঝোতা স্মারকে সম্মতি নেবে আইএমএফ।

এরপর আগামীকাল বুধবার প্রেস ব্রিফিং করে ঢাকা ছাড়বে আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো-ইকোনমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি।

ঋণকর্মসূচির পর্যালোচনা করতে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে এই প্রতিনিধি দল।

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে এই ঋণ ছাড় করা হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করে। আর ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড় করে।


ধান-চালের গুণগতমান নিয়ে আপস নয়: খাদ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃগীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ধান ও চালের গুণগতমানে কোনো আপস করা হবে না। হাওরের ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। তা শুকিয়ে ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওরকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানি না হন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন। আর গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেদিকে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই ল্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়:

প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার সকালে গণভবনে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। আজ মঙ্গলবার সকালে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং আজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য দেন।

জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন সংস্থাটির বিভিন্ন প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে তা শুরু হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অ্যামি পোপ ৫ থেকে ৯ মে বাংলাদেশ সফরে থাকবেন।

গত রোববার ৫ মে ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।

এর আগে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী মহাপরিচালক। । তিনি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। এমনকি একসময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক উপদেষ্টাও ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।


‘উপজেলা নির্বাচন অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যেন প্রভাবিত না হয় এই ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না- সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের। ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে।

গণমাধ্যমের দ্বারাও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে এসময় কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি। আগামীকাল বুধবার প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম ধাপে পাঁচটি উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন বলে জানান সিইসি।

বিষয়:

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ১৮:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম ধাপের ১৪১টি উপজেলার পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে (In Aid to the Civil Power) এর আওতায় ৬-১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

এমনকি প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট উপলক্ষে কাল ৮ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

মোট চারটি ধাপে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট যথাক্রমে ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।


আরও কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির আভাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ মে, ২০২৪ ০০:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় এপ্রিল মাসের অব্যাহত থাকা তীব্র দাবদাহ অনেকটাই কমেছে। ফলে জনজীবনে বেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থা দেখা যাচ্ছে। গরমে হাপিত্যেশ অবস্থা থেকে মুক্তি মিলেছে। চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঝড়-বৃষ্টির যে পূর্বাভাস ছিল তা অব্যাহত আছে।

রোববার রাতে রাজধানীতে শীতল ছোঁয়া নিয়ে এসেছে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এর আগে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলেমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোতে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যমতে, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার কথা। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। আর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তাপপ্রবাহ অধিকাংশ জায়গায় কমতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কোথাও কোথাও। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আর আবহাওয়া অফিস আগামীকাল বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে দেশের সব বিভাগে বজ্রঝড়, কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এ ছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

এদিকে দেশজুড়ে আগামী ছয়-সাত দিন বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রেকর্ড একটানা তাপপ্রবাহের পর রোববার রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মেলে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে কিছুটা ‘স্বস্তি’ আসে তাতে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ছিল বেশি। আগামী ছয়-সাত দিনও সারা দেশে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অব্যাহত থাকবে।’

সোমবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ফেনীতে সর্বোচ্চ ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

অবশেষে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি

টানা তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। সোমবার দুপুর ৩টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। সঙ্গে ছিল শিলা ও বজ্রপাত। বয়ে গেছে ঝোড়ো হাওয়া। এর আগে চুয়াডাঙ্গার আকাশে মেঘের লুকোচুরি ছিল। দুপুর ৩টা থেকে মেঘের আনাগোনা বেড়ে যায়। এরপর ঝরতে থাকে বৃষ্টিধারা। গত এপ্রিল মাসজুড়ে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র আকারের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। গত এক মাসের মধ্যে মাত্র ৪ দিন স্বাভাবিক তাপমাত্রা বিরাজ করছিল এ জেলায়। টানা এ খরতাপের মধ্যে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছিল মানুষ। অবশেষে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টি ও ঝড়ের খবর পাওয়া গেলেও সোমবার দুপুরের পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৪ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১২ মে পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিতে জনমনে স্বস্তি

টানা তীব্র দাবদাহের পরে অবশেষে পটুয়াখালীতে নামল স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সোমবার (৫ মে) বিকাল ৫টার পর থেকে পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল হালকা দমকা হাওয়া। পরে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে মাঝারি আকারে বৃষ্টি শুরু হয়। আকাশ মেঘলা থাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

গত এপ্রিল মাসজুড়ে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। টানা খরতাপের মধ্যে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছিল মানুষ। অবশেষে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।

দীর্ঘদিন তীব্র তাপপ্রবাহের পর খুলনায়ও দেখা মিলল স্বস্তির বৃষ্টি। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সঙ্গে কিছু কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত এপ্রিল মাসজুড়ে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে খুলনার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। টানা এ খরতাপের মধ্যে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছিল মানুষ। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান।

অন্যদিকে টানা কয়েক দিনের তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহের পর গোপালগঞ্জে দমকা হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকাল থেকে আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে শোনা যায় মেঘের গর্জন, হয় বজ্রপাতও। সন্ধ্যায় শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর বাড়তে থাকে বৃষ্টি। জনমনে আসে স্বস্তি। বৃষ্টি আর শীতল হাওয়ায় গরম থেকে মুক্তি পেয়েছে মানুষ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায় অনেককেই। এদিকে জেলায় এখনো যেসব চাষিরা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেননি, তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র গরমের পর বরগুনায় হঠাৎ স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। সোমবার বিকাল ৫টার পর থেকে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। হঠাৎ বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

বিকাল ৪টা থেকে আকাশে গুমট ভাব। কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বরগুনার বিভিন্ন জায়গা। আধাঘণ্টা পরই বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। কৃষকরা জানান, এ বৃষ্টি আমাদের কাছে ঈদের খুশির মতো। বৃষ্টির কারণে ডাল, তেল ও বোরো ফসলের সজীবতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য বৃষ্টি হওয়ায় একটু স্বস্তি পেয়েছেন তারা।


চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক  

জাতীয় সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, আপাতত সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই সরকারের। তবে আগামীতে চাকরিতে বয়সসীমা বাড়াব কি-বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কি না, এটি আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করা হবে। সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কি না তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুব সমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব বয়সসীমা শিথিল করার সময় এসেছে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির সময় হয়েছে। আমাদের ‘না’ একটা মনোভাব রয়েছে-এটা থেকে বেরিয়ে ‘হ্যাঁ’-তে চলে আসতে হবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

চাকরিতে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার (অবসর) বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এ জন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স আগামীতে বাড়াব কি বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কি না?- এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা এরই মধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।


banner close