সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবস আজ

শিশুদের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আপডেটেড
১৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:১৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০৩

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। সারা দেশে দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ উপলক্ষে জাতীয় শিশু সমাবেশ ও তিন দিনব্যাপী বইমেলারও আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই জাতীয় শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকিটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন; যা ইউনেসকোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু আকাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্ব শান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। বাংলাদেশকে জানতে হলে বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলায়’।

বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘জাতীয় শিশু দিবসে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মহান নেতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণে এ দেশের শিশুদের যথাযোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের সরকারের মুখ্য লক্ষ্য। আমাদের শিশুরাই হবে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সারথি। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

দিবসটি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে আওয়ামী লীগ।

এদিকে ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একই সঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা। আগামী রোববার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় 

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঈদুল আজহা উপলক্ষে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তিনি আজ সোমবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


ফিলিস্তিনসহ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদেরকে ফিলিস্তিনসহ দেশের দারিদ্র পীড়িত ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সমাজের দারিদ্র পীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ান।’

আজ সোমবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা ভাষণে রাষ্ট্র প্রধান দেশবাসিকে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানে মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে, বিনা চিকিৎসায় ও স্বজনহারা বেদনায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে।’

সম্প্রতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘অনেকেরই ইচ্ছা থাকলেও কোরবানি করতে পারছে না। ঘূর্ণিঝড়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’

তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং ঈদের খুশিতে তারাও যাতে শরিক হতে পারে সে চেষ্টা চালাতে ও নির্দেশনা দেন তিনি। মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ঈদুল আজহা মানুষের মধ্যে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।

তিনি বলেন, ‘হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেই। পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি।’

মশা-মাছি ও বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কোরবানির পর বাড়ির আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার ও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি কোরবানির বর্জ্য সময়মতো সরিয়ে নিতে সিটি কর্পোরেশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

এরআগে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদুল আজহা উপলক্ষে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্য, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কবি, লেখক, শিক্ষক এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


ত্যাগের মহিমায় রাজধানীতে চলছে পশু কোরবানি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ঢাকায় চলছে পশু কোরবানি। আল্লাহর অনুগ্রহ তথা সন্তুষ্ট লাভের আশায় উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসব। আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।

ঈদের নামাজ আদায় শেষে সকাল থেকে রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন নগরবাসী। ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি করছেন শহরের মানুষ। কেউ কোরবানি দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা নির্ধারিত স্থানে আবার কেউবা কোরবানি দিচ্ছেন বাসা বাড়ির গাড়ির গ্যারেজের স্থানে। এই সময়ে কোরবানির কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটার কাজ করছেন তারা।

এদিকে কোরবানির পর সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ রাস্তায় কাজ করা শুরু করে দিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজধানীর থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৬ ঘণ্টায় এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২৪ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবে বলে জানা গেছে।

এদিকে আজ সকাল থেকে কোরবানি শুরু হয়ে সারাদিনই তা চলার পাশাপাশি আগামী দুই দিনও কোরবানি দিবেন মুসল্লিরা।


জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুন, ২০২৪ ০৮:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার ঈদুল আজহার দিন সকাল ৮টায় রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়। এতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ও বয়সের মুসল্লিরা। ঈদের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও জনগণের কল্যাণ কামনা করা হয়। ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে শুরু হয় খুতবা। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের পর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর আগে সকাল থেকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। বিপুল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে পুরো ঈদগাহ ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ঈদগাহ সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনের সড়ক, হাইকোর্টের মূল ফটকের সামনের সড়কের একাংশেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পর কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।

এবার সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছিল নারীদের জন্যও নামাজের আলাদা ব্যবস্থা।

এদিকে ঈদের প্রধান এ জামাতকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার ছিল। জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিল তৎপর। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কদম ফোয়ারা, দক্ষিণে দোয়েল চত্বর ও সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট হয়ে শিক্ষা ভবন, উত্তরে মৎস্য ভবন ও বার কাউন্সিলের সামনে চেক করে আর্চওয়ে দিয়ে ঢুকেছেন পুরুষ ও নারীরা।

ঈদ জামাত ঘিরে চারপাশের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। পুরো এলাকায় বসানো হয় গোপন অত্যাধুনিক মুভি ও সিসি ক্যামেরা। যা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হয়েছে। পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র‌্যাবসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে এবারের জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া মাঠের আশপাশের রাস্তায় এবং প্রতিটি উঁচু ভবনের ছাদে বসানো হয় ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে শক্তিশালী বাইনোকুলার দিয়ে পুরো এলাকার ওপর নজর রাখা হয়। এছাড়া ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায়ও বসানো হয় অত্যাধুনিক গোপন মুভি ক্যামেরা। মাঠের বাইরেও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।


বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত সম্পন্ন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুন, ২০২৪ ০৮:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার ঈদুল আজহায় সকাল ৭টায় প্রথম জামাত এবং সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতেই কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে ও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করা হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক এবং মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

অন্যদিকে দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম ও মোকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

নামাজের আগে ইমামরা উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নসিহত করে বয়ান করেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়, কোরবানির শিক্ষা, কোরবানির সঠিক পদ্ধতি, কোরবানিকৃত পশুর চামড়ার অর্থ গরিব দুঃখিদের প্রদান, সামর্থ্য অনুযায়ী দান সদকা করাসহ ইসলাম এবং ইসলামী শরীয়তের নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বয়ান করেন।কোরবানির আগেই সবার নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। তাহলে আল্লাহ কোরবানিকৃত পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে কোরবানি দাতার জন্য সাওয়াব লিখে দিবেন বলেও ইমামরা তাদের বয়ানে উল্লেখ করেন।

নামাজ শেষে মোনাজাতে স্থান পেয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিরাও। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে। এছাড়া সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা স্মরণ করে দোয়া করা হয়।

প্রসঙ্গত, বায়তুল মোকাররমে মোট ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন। সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন মিরপুরের মহতামিম জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন। আর সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো, আক্তার মিয়া। তবে বাকি ৩টি জামাতের কোনোটিতে একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।


পশু কোরবানির পর ঘর ও আশপাশ পরিষ্কার করার নিয়ম

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুন, ২০২৪ ০১:২৭
ইউএনবি

সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহায় বিপুলসংখ্যক পশু কোরবানি হয়। স্বভাবতই এখানে গুরুত্ববহ হয়ে ওঠে কুরবানি-পরবর্তী শহর পরিষ্কারের বিষয়টি। পশু জবাইয়ের পর সঠিকভাবে তার বর্জ্য নিষ্কাশন না হওয়ার দরুণ শহরবাসীকেই পোহাতে হয় হাজারও ভোগান্তি। বিগত বছরগুলোতে মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বাড়াতে পরিবেশজনিত এই জটিলতা আশঙ্কাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ধর্মীয় দিক থেকেও পরিবেশ আবর্জনামুক্ত রাখা প্রত্যেক কোরবানি পালনকারীর ঈমানি দায়িত্ব। তাই চলুন, পশু কোরবানির পর বাসা ও তার চারপাশ বর্জ্যমুক্ত রাখার কয়েকটি উপায় জেনে নেওয়া যাক। এই প্রতিবেদনে ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণের ১০টি উপায় নিয়ে বলা হয়েছে।

একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন

শহর বা গ্রাম নির্বিশেষে একটি নির্দিষ্ট এলাকার লোকজন আলাদাভাবে কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন একসঙ্গে হয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করা উত্তম। মূলত বসতবাড়ি থেকে যথাসম্ভব দূরে এমন একটি স্থান নির্বাচন করা উচিৎ, যেখান থেকে সহজেই পশুর বর্জ্য নিষ্কাশন করা যায়। এতে করে সিটি করপোরেশন কর্মীরা দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে পারবে। এ সময় খেয়াল রাখা উচিৎ, স্থানটি যেন চলাচলের রাস্তার উপরে না হয়। সাধারণত খোলামেলা পরিবেশে পশুর জীবাণু বেশি ছড়াতে পারে না। যারা সবার সঙ্গে একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট স্থানটিতে কোরবানি দিতে পারছেন না, তারা তাদের পশুর বর্জ্যগুলো নিজ দায়িত্বে কাছাকাছি ডাস্টবিনে ফেলে আসবেন।

পশুর রক্ত পরিষ্কার

পশু জবাইয়ের পর প্রথম কাজ হচ্ছে পশুর রক্ত সরিয়ে ফেলা। এর জন্য রক্ত সম্পূর্ণ ঝরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অতঃপর পর্যাপ্ত পানি দিয়ে রক্ত ধুয়ে ফেলতে হবে। রক্ত অপসারণের জন্য কাছাকাছি কোনো ড্রেন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন রক্তের সঙ্গে কোনো কঠিন বর্জ্য ড্রেনের মুখ বন্ধ করে না দেয়। তরল রক্ত দ্রুত সরিয়ে ফেলার পর রক্তের দাগ ও দুর্গন্ধ দূর করার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।

বর্জ্য খোলা স্থানে না রাখা

পশুর রক্তসহ অন্যান্য কঠিন ও তরল বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে রাখা ঠিক নয়। কেননা এতে রক্ত আর নাড়ি-ভুঁড়ি বাতাসের সংস্পর্শে এসে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। এগুলো গর্ত করে ভেতরে রেখে মাটিচাপা দিতে হবে, অথবা সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে রেখে আসতে হবে। গাড়ি আসার আগ পর্যন্ত কোনো পলিব্যাগে ভরে কাছাকাছি কোনো ডাস্টবিনে যেয়ে ফেলে আসা যেতে পারে।

গর্ত করা

পশুর দেহের উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য নিষ্কাশনের উত্তম পন্থা হলো মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলা। অন্যথায় যেখানে-সেখানে ফেলে রাখলে তাতে পচন ধরে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে। এই পরিবেশ দূষণ পরবর্তীতে নানান রোগের কারণ হতে পারে। তাই কোরবানির আগেই নিকটবর্তী কোনো মাঠ বা পরিত্যক্ত জায়গায় ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত তৈরি করে রাখা উচিৎ। জবাই পর্ব শেষে পশুর শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট এক করে সেই গর্তে ফেলে তার ওপর ব্লিচিং পাউডার, চুন, বা ফাম-৩০ নামক জীবাণুনাশক ছড়াতে হবে।

সবশেষে খড়কুটা ও কাঁটা জাতীয় কিছু ডালপালা দিয়ে আবৃত করে শক্ত করে মাটিচাপা দিতে হবে। এটি এক দিক থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য কার্যকর, অন্যদিকে জৈব সার হিসেবে শস্যক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য উপযোগী। মাটিচাপার দেয়ার পর তার ওপর কিছু মোটা তুষ ছিটিয়ে দিলে পরে কুকুর বা বিড়াল মাটি গর্ত করে ময়লা তুলতে পারবে না।

চামড়ার ব্যবস্থাপনা

কোরবানির পর যত দ্রুত সম্ভব পশুর চামড়া বিক্রি বা দান করে দিতে হবে। ক্রেতা হিসেবে এতিমখানা, মাদ্রাসা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান চামড়াগুলো অবশ্যই কোথাও ম্তুব করে ফেলে রাখবেন না। কারণ এগুলো কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে।

ডাস্টবিনের যথাযথ ব্যবহার

পশু কোরবানির যাবতীয় কাজ শেষে উচ্ছিষ্ট ও ময়লা খুব দ্রুত সিটি করপোরেশনের বর্জ্যের গাড়িতে পৌছানো উচিৎ। ময়লা গাড়িতে ওঠানোর পরপরই পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে জবাই করার স্থান পরিষ্কারের কাজে লেগে যেতে হবে। গাড়ি আসতে দেরি হলে জমাকৃত আবর্জনা একটি বড় ব্যাগে ভরে ব্যাগের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। অতঃপর ব্যাগটি রেখে দিতে হবে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে, যেখান থেকে বর্জ্যের গাড়ি ময়লা নিয়ে যায়। পশুর যাবতীয় কঠিন বা তরল বর্জ্য কোনো ভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা যাবে না।

যারা ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে পশু জবাই দিয়ে থাকেন তাদের ভবনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। পশুর কান, মাথার খুলি, হাড়, লেজ, ও পায়ের অবশিষ্টাংশ মোটা প্লাস্টিকের ব্যাগে জড়িয়ে নিতে হবে। অতঃপর এ সবকিছু একসঙ্গে করে রাখতে হবে সেই ডাস্টবিনে। বিষয়টি কোরবানির সময় ব্যবহৃত হোগলা, পাটি, কাপড় বা কাঠের গুঁড়ি এবং ন্যাকড়ার জন্যও প্রযোজ্য।

মাংস বাড়িতে নেওয়ার সময় সতর্কতা

মাংস প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় মাংস ভর্তি বালতিতে কোনো রকম ফুটো থাকা চলবে না। কোরবানির স্থান থেকে বাড়ি দূরে হলে রাস্তা দিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে মাংসের রক্ত চুয়ে পড়ছে কিনা। প্রায় সময় দেখা যায়, সিঁড়ি বা লিফ্ট দিয়ে কাঁচা মাংস তোলার সময় সিঁড়ি বা লিফ্টে রক্তের দাগ লেগে আছে। শুধু তাই নয়, ঈদের ৩ দিন পর্যন্ত সিঁড়িঘর ও লিফট থেকে দুর্গন্ধ যায় না। তাই মাংস বহনকারি বালতিগুলো নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় সাবধান থাকা জরুরি।

লিফটের দুর্গন্ধের তীব্রতা কমানোর জন্য কুরবানির দিন লিফটের দরজা রাতের বেলা কিছুক্ষণ খোলা রাখা যায়। এতে বদ্ধ জায়গায় আটকে না থেকে দুর্গন্ধ বাইরে বেরিয়ে আসবে, আর কিছুটা হলেও দুর্গন্ধ কমবে।

ঘরের ভেতরকার পরিচ্ছন্নতা

মাংস ঘরে আনার আগেই ঘরের মেঝেতে প্লাস্টিকের বড় শীট বা পাটি বিছিয়ে রাখতে হবে। মাংস আনার পর তা কাটা, ওজন, ও বন্টনের জন্য এই পাটি ব্যবহার করতে হবে। কাজ শেষে পাটি উঠিয়ে পুরো মেঝে প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর হাল্কা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে তা দিয়ে মেঝে মুছতে হবে।

মাংস কাটার সরঞ্জামাদি পরিষ্কার করা

মাংস রান্নার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলে এবার মাংস কাটার ছোট-বড় ছুড়ি ও বটি পরিষ্কার করার পালা। এগুলো নোংরা অবস্থায় রেখে দিলে অচিরেই নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে পরের ঈদুল আজহায় এগুলো ব্যবহারের সময় পড়তে হবে বিড়ম্বনায়। তাই এগুলোও ভিম বার দিয়ে মেজে ও হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে গুছিয়ে তুলে রাখতে হবে।

দুর্গন্ধ দূরীকরণে জীবাণুনাশক ব্যবহার

কোরবানির পরবর্তী টানা কয়েকদিন ধরে যে বিষয়টি সবচেয়ে বিড়ম্বনার উদ্রেক করে তা হচ্ছে দুর্গন্ধ। বাড়ির ভেতরে-বাইরে এবং আঙ্গিনায় সর্বত্রে কাঁচা মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে এক অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি করে রাখে। এই দুর্গন্ধ পুরোপুরি দূর করা না গেলেও অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। এর জন্য কোরবানির স্থানে পানি ঢেলে দেয়ার পর ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে রক্তের দাগ ও গন্ধ অনেকটাই কমে আসে।

বাড়ির ভেতরে এয়ার ফ্রেশনার দেয়া যেতে পারে। তবে এতে কাজ না হলে দারুচিনি, চিনি ও মাখনের মিশ্রণ ব্যবহার করা যায়। এগুলো একসঙ্গে ব্লেন্ড করার পর গরম করলে যে সুগন্ধি ছড়ায়, তাতে মাংসের দুর্গন্ধের তীব্রতা হাল্কা হয়ে আসে।

লেবু, লবঙ্গ, ও কমলার খোসা এই দুর্গন্ধ দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। পানির সঙ্গে এই খাদ্যসামগ্রী ফুটানোর সময় হালকা এক সুগন্ধি তৈরি হয়, যা ঘরে অনেকক্ষণ যাবৎ থাকে। বেকিং সোডা ও সাদা ভিনেগারও ঘর থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ দূরীকরণে বেশ উপযোগী। তবে এগুলো ব্যবহারের সময় অবশ্যই এক্সস্ট ফ্যান ছাড়তে ভুলে যাওয়া চলবে না।


আজ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া পবিত্র ঈদুল আজহা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বছর ঘুরে মুসলমানদের দুয়ারে আত্মত্যাগ ও খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। বিশ্ব মুসলিমের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আজহা। আজ সোমবার (১৭ জুন) যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে মুসলিম সম্প্রদায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চিরবিদায় নেওয়া তাদের স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানি প্রচলিত হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া ঈদুল আজহার এই উৎসব। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.)-কে কোরবানি করার ঘটনার স্মরণে কোরবানি প্রচলিত হয়। পুত্র কোরবানির পরীক্ষায় হযরত ইবরাহিম (আ.) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে খলিলুল্লাহ উপাধি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন প্রতি বছরই পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহপাকের আনুগত্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আদিষ্ট হয়ে প্রতি বছরই পশু কোরবানি করেছেন এবং তার উম্মতের জন্য এ আদর্শ ও প্রথা অনুসরণের কঠোর নির্দেশ দিয়ে গেছেন। যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের জন্য কোরবানি করা বাধ্যতামূলক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যাদের ওপর ওয়াজিব তারা কোরবানি না করলে যেন ঈদগাহে গমন না করে। তিনি আরও বলেছেন, কোরবানির দিন কোন ব্যক্তির কোরবানির পশুর রক্ত ঝরানোর মতো আল্লাহপাকের কাছে অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় কাজ আর কিছু নেই। কোরবানিকে আল্লাহ এবাদত হিসেবে নির্দেশ করেছেন। পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করাটাই উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জিত হলে কোরবানি করা সার্থক হয়ে থাকে। আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না তাদের (পশুর) গোশত ও রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ কোরবানির জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের আদর্শ। তিনি পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হলে আল্লাহপাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে হজরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে দুম্বা উপস্থিত করেন এবং দুম্বা জবাই হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে যে নজির হজরত ইবরাহিম (আ.) রেখে গেছেন, মানব ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মিল্লাতে ইবরাহিমের জন্য এক মহান আদর্শ, এ গৌরবের স্তম্ভ। এ উৎসবে ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ও মানবিক নানা কল্যাণকর দিকও রয়েছে। সৌভ্রাতৃত্ব, ঐক্য সংহতি, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রকাশের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এই ঈদ। কোরবানি অর্থ ত্যাগ এবং ত্যাগের মহিমার মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি করেন। এই কোরবানির একটি অংশ দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ধনী দরিদ্র সকলেই যাতে সমভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ইসলামে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কোরবানির গোশতের ভাগ বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মানতে হবে।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রোববার থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। রেডিও, বিটিভি এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ৩ দিন এবং কোন কোন চ্যানেল ৫/৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

অন্যদিকে সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদের দিনে কারাগার, বিভিন্ন হাসপাতাল, এতিমখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশিত হবে।


ঈদের দিন হালকা থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল সোমবার দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সঙ্গে সারা দেশে অনুভূত হতে পারে ভ্যাপসা গরম। একই দিন দেশের ৯টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঈদের দিন রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। গোপালগঞ্জ, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঈদের দিনও তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে। তিনি আরও জানান, ঈদের দু-একদিন পর থেকে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, এখন মনসুন মৌসুম, সে অনুযায়ী সারাদেশে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঈদের দিনও আবহাওয়া এরকমই থাকবে। সেক্ষেত্রে ঈদের দিনও বৃষ্টি হবে, এটা স্বাভাবিক। তবে অঞ্চল ভেদে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে৷

তিনি আরও বলেন, ঈদের দিন রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।


সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যৌথ অপারেশন্স পরিচালনা করছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির এই সংঘর্ষের কারণে নাফ নদী এবং নদী সংলগ্ন মোহনা এলাকায় বাংলাদেশি বোটে অনাকাঙ্খিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে।

চলমান এ সংঘর্ষ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী স্থানে হওয়ায় ওই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ কেউ গুজব ছড়াচ্ছেন। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে আইএসপিআর।

আজ রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গত ১২ জুন প্রতিবাদ জানায়।

এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় এবং নাফ নদীর মিয়ানমার সীমানায় অবস্থানকরত মিয়ানমারের দিকে আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। একই সঙ্গে আরাকান আর্মিও মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ও বোট লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে।

বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজ ওই অপারেশন্স পরিচালনা করছে। মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিনের অদূরে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় অবস্থানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে অবহিত করছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় চলমান রয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সন্নিকটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল দিচ্ছে।


‘প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনী বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে’

সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৪ ১৯:৫৩
বাসস

সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্ব- দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ আজ রোববার চট্টগ্রাম সেনানিবাসস্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে তার সৌজন্যে প্রদত্ত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশ এ বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করে।

সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশের বিদায়ী কর্নেল কমান্ড্যান্ট সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল সামরিক রীতিতে কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে সালাম জানায়। এর আগে সেনাপ্রধান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' হিসেবে বিদায়ী বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য সেনাবাহিনী প্রধান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে গৃহীত পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন। এছাড়াও, তিনি কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।

আজ রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের নভেম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ২০২২ সালের মার্চে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে কোর অব মিলিটারি পুলিশের কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং মিলিটারি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর জানায়, এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান দিঘীনালা জোন সদরদপ্তরে পৌঁছালে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার সেনা প্রধানকে স্বাগত জানান।

জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ দীঘিনালা জোনের সামরিক সকল স্তরের সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।


বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তৎপর থাকতে বললেন বিজিবিপ্রধান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

আজ রোববার সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমার সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিজিবি প্রধান দুর্গম দ্বীপে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার জন্য বিজিবি সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া বিজিবি মহাপরিচালক দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।


দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৬ জুন, ২০২৪ ১৯:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ রোববার ১৬ জুন এক বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কোরবানি আমাদের মধ্যে আত্মত্যাগ ও আত্মদানের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। তা ছাড়া, কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সমাজের দারিদ্রপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে রাষ্ট্রপতি সমাজের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এর আগে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক বার্তায় তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী আসসালামু আলাইকুম, এক বছর পর আবারও আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আমি আপনাদের সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।

ত্যাগের মহিমা নিয়ে আগামীকাল সারা দেশে পালিত হবে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় প্রতিবারের মতো পশু কোরবানি করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।


শোলাকিয়ায় হামলার মতো ঘটনা ঘটবে না সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি: র‍্যাব ডিজি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে আজ রোববার সকালে র‍্যাব ডিজি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। নিশ্চয়তা দিচ্ছি শোলাকিয়ায় হামলার মতো ঘটনা ঘটবে না।’

মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ঈদ ঘিরে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা-নাশকতার তথ্য নেই।

‘তবে কোনো আশঙ্কাকেই উড়িয়ে দিচ্ছি না। সব বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা প্রতিরোধ করতে র‌্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রলিং জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো গুজব প্রতিরোধ করতেও প্রস্তুতি রয়েছে।’

‘বর্তমানে ত্রিমাত্রিক এলিট ফোর্সে পরিণত হয়েছে র‍্যাব। জল-স্থল-আকাশে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে।’

র‍্যাব ডিজি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রিক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র‌্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে।

‘প্রতিটি বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র‌্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটি দলকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্ত না হয় আমরা নজর রাখছি।’

হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘ঈদের দিন ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। চামড়া নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

বিষয়:

banner close