মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

মৈত্রী পাইপলাইন দুই বন্ধু দেশের সহযোগিতার মাইলফলক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি: বাসস
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩ ২১:৩৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন’ উদ্বোধনকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই মেত্রী পাইপলাইন আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নয়নের একটি মাইলফলক অর্জন।’

শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে এই মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।

ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) থেকে নেয়া প্রায় ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন রুপি ব্যয়ে নির্মিত ১৩০ কিলোমিটার মৈত্রী পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল আমদানি করা হবে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার এবং ভারতের অংশে প্রায় ৫ কিলোমিটার। পাইপলাইনটির হাই-স্পিড ডিজেলের (এইচএসডি) বার্ষিক পরিবহনের ক্ষমতা ১ (এক) মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)।

পাইপলাইনটি উদ্বোধনের পর উভয় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি পারস্পরিক সুবিধার জন্য দেশ দুটির মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও তারা জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের দুই দেশের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকুক সেটাই আমি চাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, সেটাকে আমরা কার্যকর করতে চাই। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই, যেন ভারতের সঙ্গে আমাদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দুই দেশের জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কারণ, আমরা চাই আমাদের দেশের এই উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হোক। সেই সঙ্গে আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এবং সিলেট, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করেছি। এগুলো ভারতের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি, যেন এই বন্দরগুলো ব্যবহারে ভারতের কোনো অসুবিধা না হয়। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের মানুষই লাভবান হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে এক শ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমি চাই, ভারতের বিনিয়োগকারীরা সেখানে এসে আরও বিনিয়োগ করুন। আমরা দুই দেশই তাতে লাভবান হবো।’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী দিনেও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের মতো আরও সফলতা দুই দেশ যৌথভাবে উদযাপন করবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একইসঙ্গে কাজ করবে।’

‘এই মৈত্রী পাইপলাইন চালুর ফলে বাংলাদেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যখন বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি, তখন এই পাইপলাইন আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানিতে ব্যয় এবং সময়ও উল্লেখযোগ্য ভবে হ্রাস পাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে ভারত থেকে বছরে ৬০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হতো। পাইপলাইন নির্মাণের ফলে বছরে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আসামের একটি ভালো বাজার বাংলাদেশে সৃষ্টি হলো, যেখানে এই ডিজেল মানুষের উন্নয়নের কাজে লাগবে এবং সেখানে আসামবাসীও লাভবান হবে, ভারতবাসীও লাভবান হবে।’

মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়াসহ যুদ্ধে ভারতের সহায়তার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু, ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের অবাধ প্রবাহ এবং ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক সেতুবন্ধন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর করেছে। উভয় দেশের সরকার বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রের অনেকগুলো সম্ভবনাকে বাস্তব রূপ দান করেছে।’


দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৮

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১২ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৫ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।


সরকার প্রধান হিসেবে এ প্রথম কাল চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল বুধবার নিজ জন্মভূমিতে যাবেন। তিনি সেখানে দিনব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন ।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করবেন তিনি। পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছার পর বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন।

এটি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরো জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা এবং নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী সড়কের যানজট পরিস্থিতির বিষয়ে বিফ্র করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করবেন।


আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ রাত সোয়া ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে সোয়া ৯টার দিকে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এসে সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

‘সে অনুযায়ী আমরা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি। আপনারা গেজেটের কপি বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।’

কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা করেছি।’

কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ, আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফারুক আহমেদসহ কর্মকর্তারা আইনি দিকগুলো তুলে ধরেন।

নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ দফা ১ (খ) অনুযায়ী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাদের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনও নিবন্ধন বাতিল না করে স্থগিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল।

এর আগে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সোমবার বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


র‌্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, র‌্যাব পুনর্গঠনের বিষয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র ৯ম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না, তাদের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দিতে হবে। অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু অবৈধ শ্রমিকরা রাস্তায় ঝামেলা করলে, বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, ঈদে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে রাস্তায় যানজট কমাতে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গরুভর্তি ট্রাক যেন রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদে গরুর হাটে ছিনতাই ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য সৃষ্টি হয়। এটিকে শক্তভাবে দমন করার জন্য প্রতি হাটে একশ’ আনসার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঈদে দেশে বাইরের কোনো রাষ্ট্র থেকে গবাদি পশু বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না।

এ সময় বিজিবি’র ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ৭-৮ মে ২০২ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ বিভিন্ন স্থানে পুশ ইন করে, যারা ২-৩ বছর অথবা ১৫-২০ বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। পরে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ ও এসবি’র মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া ৩৯ জন রোহিঙ্গাকে পাওয়া গেছে। তাদেরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম-খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।’

এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে প্রজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

‘এ সব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধমূলক বক্তব্য দেওয়া, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। দলটি ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’

‘এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি ছড়াতে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,’ বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।

‘সরকার যুক্তিসঙ্গততভাবে মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের ‍বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না-হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।’

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সে কারণে তাদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।


‘সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের’ আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জলবিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা ও সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার সম্ভাবনার উপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল, ভূটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের (সেভেন সিষ্টার্স) মধ্যে একটি ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশল’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১২ মে) ঢাকায় বাংলাদেশ সফররত নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেপুটি-স্পিকার ইন্দিরা রানা প্রধান উপদেষ্টর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

ঢাকায় নেপাল দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করছেন ইন্দিরা রানা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আলাদাভাবে কাজ করার চেয়ে একসঙ্গে কাজ করলে বেশি লাভবান হতে পারি।’ সমন্বিত অবকাঠামো ও জ্বালানি উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের জন্য একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থাকা উচিত।’

ইন্দিরা রানার সঙ্গে ড. ইউনূসের আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জলবিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ ও নেপালের পারস্পরিক সহযোগিতা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য গত অক্টোবরে সই করা বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ চুক্তির কথা উল্লেখ করেন। বৈঠকে উভয়ই বৃহত্তর পরিসরে আরও জলবিদ্যুৎ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন।

আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ‘রংপুরে নির্মাণাধীন ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি নেপাল ও ভূটানের রোগীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অভিন্ন অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বাসী।

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার কাঠমান্ডুর আগ্রহের কথা জানান দেশটির ডেপুটি-স্পিকার ইন্দিরা রানা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল সংসদ সদস্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে আন্তরিক।’

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ২ হাজার ৭০০ বেশি নেপালি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই মেডিকেল কলেজে পড়ছেন। ডেপুটি-স্পিকার বাংলাদেশের শিক্ষার মানের প্রশংসা করেন এবংতিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং আরও শিক্ষা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।

দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে দুদেশের মধ্যে সরাসরি সংযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়ক সংযোগ উন্নয়ন করা গেলে বাণিজ্যিক ব্যয় কমবে এবং মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন সহজ হবে।’

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।


নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবিধান পরিবর্তন করতে অনেক সময় লেগে যায় তাই ’৭২-এর সংবিধানে মৌলিক সংস্কার এনে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গতকার রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সংবিধান নিয়ে গঠিত খসড়ায় ‘জুলাই সনদ’ -কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেখানে উচ্চকক্ষের ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন নতুন কমিশনের প্রস্তাব এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও ক্ষমতা নির্ধারণের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, সব উত্তর সংবিধানে থাকে না। সুশাসনের জন্য ছোট ছোট আইনেরও প্রয়োজন রয়েছে।

জুলাই সনদ সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরেই নিয়েছি, সবাই জুলাই সনদের ওপর অনেক কিছুতে একমত হবেন। হয়তো এমনও হতে পারে জুলাই সনদের ফান্ডামেন্টাল কিছু জিনিস রাখা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদে থাকা নিয়ে আফিস নজরুল বলেন, এটা জনপ্রিয় দাবি। আমারও দাবি। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদে বললে তো হবে না, আপনাকে কনভেন্সিং তর্ক করতে হবে। পৃথিবীর আর কোন কোন দেশে এটা আছে বের করেন। প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদ কোথাও নাই আসলে। ভারত বলেন, যুক্তরাজ্য বলেন কোথাও নাই। দুই মেয়াদ সমাধান না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাটা কমিয়ে নেয়া।

অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানায় রাজনৈতিক দলের নেতারা। এসময় নির্বাচনের আলোকে সংস্কারকে দেখা উচিত না বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সংবিধান পরিবর্তনে জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন নেতারা।

আলোচনা সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজসহ সংস্কার কমিশনের প্রধানরা বলেন, যে বিধান স্বৈরাচার তৈরি করেছিল সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানান বক্তারা।


পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করুন: চিকিৎসকদের প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আজ ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলন - ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের প্রতি এ আহ্বান জানান।

জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে বলেন,‘আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন মানসিকতার উন্মোচন করছি এবং সেইসাথে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বক্তব্য রাখেন।


গেজেট পাওয়ার পর আ.লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিবার্চন কমিশন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাছির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৫ ১১:১৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারি গেজেট বা কাগজপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।

রবিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবো। এ বিষয়ে সোমবার (১২ মে) একটি বৈঠক করা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

পত্রিকা বা টেলিভিশন রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এর আগে, শনিবার রাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে গতকাল (রবিবার) সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছেন এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং তাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।’

সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, ‘তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোন বিধান নেই। বিষয়টি স্পষ্টিকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।’

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


তাপপ্রবাহের মধ্যেই বজ্রপাত নিয়ে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আপডেটেড ১২ মে, ২০২৫ ১১:৩৫
ইউএনবি

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বজ্রপাতের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আজ সোমবার (১২ মে) সকাল সাড়ে আটটা থেকে পরবর্তী ১-৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।

এছাড়া, প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে এই দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সতর্কবার্তায় রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, রংপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, রাঙামাটি ও বান্দরবানকে বজ্রপাতের এলাকা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

এ সময়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নিতে হবে।

তবে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।

কেউ জলাশয়ে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করুন।

এদিকে, সোমবার সারা দেশের সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এদিন দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়া, আজ (সোমবার) রাজধানী ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরের ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। পশ্চিম দক্ষিণ অথবা পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে গতকাল (রবিবার) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।

এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোন ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঐ ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে। তবে বর্তমান আইনে কোন সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোন বিধান নেই।

এই বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আগামীকাল সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।


নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম

ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠন যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দমন করার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি বলেন, ‘আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকান্ড আপনার এলাকায় চলবে না। বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’

রবিবার (১১ মে) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রেঞ্জের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গেল সরকারের আমলে কিছু পুলিশ সদস্যের বিতর্কিত ভূমিকার কথা উল্লেখ করে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাহিনীকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ডিআইজি বলেন, ‘ঢাকা রেঞ্জের প্রত্যেকটি থানা হবে ভুক্তভোগীদের প্রথম ভরসাস্থল। রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলার ৯৮টি থানার মানুষ যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসতে পারবেন। তাছাড়া ঢাকা রেঞ্জের যেকোনো অপরাধের তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি জনগণকে সহায়তা দিতে ‘টক টু ডিআইজি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা হবে। এতে ঘরে বসেই মানুষ সেবা নিতে পারবেন।’

তিনি আরও জানান, ‘ঘুষ-বদলি কারবারসহ কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে তার রেঞ্জে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দমনপীড়নকারী; যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং মামলার তদন্তে যারা দোষী, তাদেরকে দোসরসহ গ্রেপ্তার করতে হবে।’

ডিআইজি রেজাউল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পান, সেটি সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন—তাদেরকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি জানান, ‘প্রতিটি জিডি, অভিযোগ ও মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করবে দক্ষ একটি টিম। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসিটিভি সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।’

মনিটরিং সেন্টারগুলোতে তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান। এ সময় ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গণঅভ্যুত্থানে দায়ের করা মামলাগুলো নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়র জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন নবনিযুক্ত এই ডিআইজি। থানাগুলোর কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তিনি ঢাকা রেঞ্জের সাধারণ জনগণকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।


আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ। ধর্মমতে আজকের দিনেই মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধিলাভ এবং মৃত্যুবরণ করেন। তাই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্ববীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আজ দিনটি সরকারি ছুটি। এ দিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা, বৌদ্ধ মঠ এবং মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়।

এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বুদ্ধপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা।


banner close