প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন’ উদ্বোধনকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই মেত্রী পাইপলাইন আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নয়নের একটি মাইলফলক অর্জন।’
শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে এই মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।
ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) থেকে নেয়া প্রায় ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন রুপি ব্যয়ে নির্মিত ১৩০ কিলোমিটার মৈত্রী পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল আমদানি করা হবে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার এবং ভারতের অংশে প্রায় ৫ কিলোমিটার। পাইপলাইনটির হাই-স্পিড ডিজেলের (এইচএসডি) বার্ষিক পরিবহনের ক্ষমতা ১ (এক) মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)।
পাইপলাইনটি উদ্বোধনের পর উভয় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি পারস্পরিক সুবিধার জন্য দেশ দুটির মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও তারা জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের দুই দেশের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকুক সেটাই আমি চাই।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, সেটাকে আমরা কার্যকর করতে চাই। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই, যেন ভারতের সঙ্গে আমাদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দুই দেশের জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কারণ, আমরা চাই আমাদের দেশের এই উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হোক। সেই সঙ্গে আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এবং সিলেট, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করেছি। এগুলো ভারতের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি, যেন এই বন্দরগুলো ব্যবহারে ভারতের কোনো অসুবিধা না হয়। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের মানুষই লাভবান হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে এক শ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমি চাই, ভারতের বিনিয়োগকারীরা সেখানে এসে আরও বিনিয়োগ করুন। আমরা দুই দেশই তাতে লাভবান হবো।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী দিনেও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের মতো আরও সফলতা দুই দেশ যৌথভাবে উদযাপন করবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একইসঙ্গে কাজ করবে।’
‘এই মৈত্রী পাইপলাইন চালুর ফলে বাংলাদেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যখন বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি, তখন এই পাইপলাইন আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানিতে ব্যয় এবং সময়ও উল্লেখযোগ্য ভবে হ্রাস পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে ভারত থেকে বছরে ৬০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হতো। পাইপলাইন নির্মাণের ফলে বছরে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আসামের একটি ভালো বাজার বাংলাদেশে সৃষ্টি হলো, যেখানে এই ডিজেল মানুষের উন্নয়নের কাজে লাগবে এবং সেখানে আসামবাসীও লাভবান হবে, ভারতবাসীও লাভবান হবে।’
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়াসহ যুদ্ধে ভারতের সহায়তার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু, ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের অবাধ প্রবাহ এবং ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক সেতুবন্ধন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর করেছে। উভয় দেশের সরকার বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রের অনেকগুলো সম্ভবনাকে বাস্তব রূপ দান করেছে।’
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ডা. ফাহমিদা আজিম কাকলী (৪৫) নামের এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ডা. ফাহমিদা আজিম কাকলী কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনী ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং নগর মাতৃসদন কুমিল্লার কনসালট্যান্ট ছিলেন। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী। তার বড় ভাই মনজুরুল আজীম পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ডা. কাকলীর পরিবার জানায়, কয়েক দিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে তিনি আক্রান্ত হন। এ সময় তার কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে শনিবার (২২ নভেম্বর) তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। রাতভর চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও রোববার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ডা. কাকলীর মৃত্যুতে কুমিল্লায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রোগী, সহকর্মী, স্বজন সবার মুখেই বিষাদের ছাপ। মানবিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত কাকলী বিনামূল্যে বহু দরিদ্র রোগীর সিজার করিয়েছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি ছিলেন অধুনা থিয়েটারের সদস্য। গান শুনতে ও প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসতেন তিনি।
ডা. কাকলীর বড়ভাই পলাশ বলেন, কাকলীর মরদেহ আপাতত হিমঘরে রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত একমাত্র কন্যা তুর্না দেশে ফিরলে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে।
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই, আস্তে আস্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ভূমিকম্পের আর্লি ওয়ার্নিংয়ের ব্যবস্থা নেই। কোনো কোনো দেশে একটি অ্যাপ আছে, যেটি ভূমিকম্প হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে ইন্ডিকেশন দিতে পারে। সে রকম অ্যাপ খোলা যায় কিনা এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে বিল্ডিং কোড মানতে হবে, নাহলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা আছে। জলাশয় ভরাট করে ফেলা হয়েছে, দাঁড়ানোর জন্য সেভাবে মাঠও নেই। রাজউককে এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’
ভূমিকম্পের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা আগামী ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে, সেজন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস সার্ভিস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস সার্ভিস দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। প্রসেস চলমান রয়েছে।’ একই সঙ্গে কোন অঞ্চলের বাস সার্ভিসের চাহিদা বেশি, তা জানাতেও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে আসিফ আব্দুল্লাহ বলেন, আগামীকাল (২৪ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস সার্ভিস দেওয়া শুরু হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও চাহিদার ভিত্তিতেই বাস বরাদ্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশে থাকা সম্পদের হিসাব বিবরণীও নির্বাচনী হলফনামায় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
রবিবার সকালে দুদক সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দুদক সম্পদের বিবরণী চাচ্ছে, সেখান বিদেশি সম্পদের হিসাব না দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি অনুপার্জিত সম্পদ যাদের থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দুদকের নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘২০০৮ সালে শেখ হাসিনার কৃষি সম্পত্তি ছিল ৫ দশমিক ২১ একর, তবে আমরা অনুসন্ধান করে পাই ২৯ একর। সে সময় দুদক সেটি তদন্ত করে বের করলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।’
দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামীকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে এবং সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের দুই মামলার মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গুমের মামলা দুটি হলো- টিএফআই এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতন। এসব মামলার পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীতে ১১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় সেনাবাহিনী। আর ২২ অক্টোবর বুধবার সকালে বাংলাদেশ জেলের একটি বিশেষ প্রিজন ভ্যানে করে সাধারণ পোশাকে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় । শুনানির পর তাদের ঢাকা সেনানিবাসের নির্ধারিত সাব জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এসব আসামিকে গ্রেপ্তার ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া গেছে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘অভিযুক্ত সেনা অফিসারদের গ্রেপ্তার ও বিচারে সোপর্দ করার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন কাজ করেছে, তেমনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে আমরা যাদেরকে মনে করি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, তারা এই আদালতের (ট্রাইব্যুনালের) বিচারিক প্রক্রিয়াকে সাহায্য করেছে।’
তবে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা এখনো চাকরিতে বহাল রয়েছেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, রোববার যেসব সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তারা হলেন, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস’ (এএনএফআরইএল) কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জিং জানিয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করার জন্য এমন মুখোমুখি পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন কখনও হয়নি।’
সিইসি বলেন, ‘আগের নির্বাচন কমিশনকে এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কারণ আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমাদের দ্বিতীয় কোনও অপশন নেই।’
গণভোট প্রসঙ্গে সিইসি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আইন না হওয়া পর্যন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করতে পারবে না। আগামী সপ্তাহেই গণভোট আইনটি পাস করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন পাস হলে, সেই আইন অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করবে। গণভোট হলে চারটি পয়েন্টেই হ্যাঁ/না ভোট হবে।’
পোস্টাল ভোটিং সুবিধা নিয়ে তিনি জানান, যাচাই-বাছাই ছাড়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে এই সুবিধা দেওয়া যাবে না। কারণ, অন্য দেশের লোকেরাও বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করার নজির রয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে কমিশনের প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিশন প্রস্তুত বলে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচার রোধ করা কঠিন হবে।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি যদি সমঝোতা ও সহযোগিতামূলক হতো, তবে কমিশনের কাজ আরও সহজ হতো বলেও জানান তিনি।
এদিকে একই দিন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে গণভোট করা ইসির দায়িত্ব। এক্ষেত্রে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার জন্য বলা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধের মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী একই দিনে দুই ভোটের প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিলো অন্তর্বর্তী সরকার।
আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তপশিল দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিচ্ছিল ইসি। এই অবস্থায় একই দিনে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা আসায় সেজন্য বাড়তি প্রস্তুতিও নিতে হবে সাংবিধানিক সংস্থাটিকে। এখন গণভোট অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাদেশ এলে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি পর্বকে ঢেলে সাজাবে তারা। এ জন্য আরেক দফা নির্বাচনী রোডম্যাপও ঘোষণা করার প্রস্তুতিও রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলেনি। বরং জনজীবনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সাড়া দেওয়ার মানসিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।’
শনিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন, বাংলাদেশ’-শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশকে তার সাংবিধানিক জীবনের ব্যাকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, আইনের শাসন কোনো আমলাতান্ত্রিক রীতিনীতি বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অলংকার নয়। বরং আইনের শাসন হলো-সাংবিধানিক ব্যবস্থার একটি নৈতিক পাঠ, যা ন্যায্যতা, যুক্তি এবং জনগণের সম্মতির ওপর ভিত্তি করে। এটি অধিকারের মাধ্যমে, সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে, শাসিতদের যে মর্যাদা প্রদান করে তার মাধ্যমে এর দিকে ইঙ্গিত করে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলে নাই, বরং এটি সংবিধানের প্রতি আমাদের আনুগত্য ও দায়িত্ববোধকে শুদ্ধ করার আহ্বান জানিছে। ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং অতীতের কাটা-ছেঁড়ার পরও বর্তমান সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর।
প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের জন্য তার ঘোষিত রোডম্যাপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সংস্কার রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়। এটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে কাঠামো দেওয়ার প্রচেষ্টা। রোডম্যাপে তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক পৃথককরণের বিষয়ে বিশদভাবে তুলে ধরেছিলেন। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক মাস ধরে অভূতপূর্ব বিচারিক রোডশোর একটি ধারাবাহিকতায় রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত করছি। বিচারক নিয়োগে বিধান প্রণয়নসহ ইতোমধ্যে নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগ পৃথককরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারিসহ অন্যান্য পদক্ষেপের কথা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস)-এর সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামান বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।
ঢাকায় বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের এক অধিবেশনে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় ভারত প্রায় আইনগতভাবেই তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য।
তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতকে বাংলাদেশের আইনগত প্রক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে বিলম্ব ছাড়াই হাসিনাকে ফেরত পাঠানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, যদি ভারত আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন, নীতি ও শৃঙ্খলাকে সম্মান করে, তবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের বাংলাদেশের আইনগত ব্যবস্থাকেও সম্মান জানানো উচিত।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামান বলেন, হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক আইনগত মানদণ্ড পূরণ করেছে। আর এটাই এমন একটি আইনগত ব্যবস্থা যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্মান করা উচিত।
তিনি বলেন, যদি সেই সম্মান থাকে, তবে সব দিক থেকেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি বাংলাদেশ দণ্ডিত ভারতীয় নাগরিকদের আশ্রয় দিত এবং আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও ফেরত না পাঠাত, তবে ভারত কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাত।
তিনি বলেন, যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনে দণ্ডিত যে কোনো ব্যক্তিকে ভারত আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য। আর সব দিক থেকেই আমরা দাবি করি, নয়াদিল্লি যেন তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
‘ফ্র্যাকচার্ড অর্ডার্স, ফ্লুইড লয়্যালটিজ: পাওয়ার পলিটিক্স ইন দ্য পোস্ট-অ্যালাইনমেন্ট এজ’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার টেইলরস বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলিয়া রোকনিফার্ড, আগোরা স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের জোভান রাটকোভিচ, ব্রাজিলের গেটুলিও ভারগাস ফাউন্ডেশনের (এফজিভি) লিওনার্দো পাজ নেভেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিয়ান ভিডাউরি। আলোচনাটি পরিচালনা করেন জার্মানির আরটিএল নর্ড-এর ডেভিড প্যাট্রিশিয়ান।
হাসিনার প্রথম প্রত্যর্পণ অনুরোধ এখনও মীমাংসিত হয়নি, যদিও নয়াদিল্লি এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রায়ের পর ভারতকে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে দন্ডিত শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘অবিলম্বে হস্তান্তর’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায়ে উভয়কে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।
রায় ঘোষণার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্য কোনো দেশে আশ্রয় দেওয়া হবে গুরুতর ‘অমিত্রসুলভ’ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।’ সূত্র: বাসস
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাতের তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তাদের সাক্ষাতের আলোচনার বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তোবগে। বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।
আজ বেলা ৩টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তোবগের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যায় তিনি তার সম্মানে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্ত করার অপচেষ্টা বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেছে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করা হয়। এর ফলে পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারামুখী সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এরপর যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন করে বিজয় নগর কাকরাইল সড়কের দিকে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় পরিদর্শক (পেট্রোল) বুলবুল আহমেদ বলেন, নার্সদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পল্টন মোড় থেকে যানবাহনগুলোকে ডাইভার্সন করে কাকরাইল রুটের দিকে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা শিগগিরই সড়ক ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে নার্সদের জন্য সৃজনকৃত সব পদে জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নার্স কর্মকর্তা পদায়ন করা হোক। ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নার্স কর্মকর্তারাই নার্সিং শিক্ষা, প্রশাসন ও নার্সিং সেবা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে প্রশাসন ক্যাডার থেকে মহাপরিচালক ও পরিচালক নিয়োগ হওয়ার পর থেকে নার্সরা বদলি, পদোন্নতি, নার্স নিয়োগ ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবর্ণনীয় হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতৎপরতা ও এআইয়ের অপব্যবহার ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত ইসি।
শনিবার সকালে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস এর কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঐতিহাসিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রেকর্ডসংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে শনিবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বেদিতে ফুল অর্পণ করেন, দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রুকএয়ারের একটি ফ্লাইটে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে স্বাগত জানান। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী তোবগে শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বৈঠকের পর তাকে তোপধ্বনি এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বিমানবন্দর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন।
আজ দুপরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য উপদেষ্টাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন। সন্ধ্যায় তার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজনও করা হবে।