মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
১৫ পৌষ ১৪৩২

মৈত্রী পাইপলাইন দুই বন্ধু দেশের সহযোগিতার মাইলফলক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি: বাসস
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩ ২১:৩৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন’ উদ্বোধনকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই মেত্রী পাইপলাইন আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নয়নের একটি মাইলফলক অর্জন।’

শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে এই মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।

ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) থেকে নেয়া প্রায় ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন রুপি ব্যয়ে নির্মিত ১৩০ কিলোমিটার মৈত্রী পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল আমদানি করা হবে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার এবং ভারতের অংশে প্রায় ৫ কিলোমিটার। পাইপলাইনটির হাই-স্পিড ডিজেলের (এইচএসডি) বার্ষিক পরিবহনের ক্ষমতা ১ (এক) মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)।

পাইপলাইনটি উদ্বোধনের পর উভয় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি পারস্পরিক সুবিধার জন্য দেশ দুটির মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও তারা জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের দুই দেশের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকুক সেটাই আমি চাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, সেটাকে আমরা কার্যকর করতে চাই। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই, যেন ভারতের সঙ্গে আমাদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দুই দেশের জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কারণ, আমরা চাই আমাদের দেশের এই উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হোক। সেই সঙ্গে আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এবং সিলেট, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করেছি। এগুলো ভারতের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি, যেন এই বন্দরগুলো ব্যবহারে ভারতের কোনো অসুবিধা না হয়। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের মানুষই লাভবান হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে এক শ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমি চাই, ভারতের বিনিয়োগকারীরা সেখানে এসে আরও বিনিয়োগ করুন। আমরা দুই দেশই তাতে লাভবান হবো।’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী দিনেও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের মতো আরও সফলতা দুই দেশ যৌথভাবে উদযাপন করবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একইসঙ্গে কাজ করবে।’

‘এই মৈত্রী পাইপলাইন চালুর ফলে বাংলাদেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যখন বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি, তখন এই পাইপলাইন আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানিতে ব্যয় এবং সময়ও উল্লেখযোগ্য ভবে হ্রাস পাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে ভারত থেকে বছরে ৬০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হতো। পাইপলাইন নির্মাণের ফলে বছরে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আসামের একটি ভালো বাজার বাংলাদেশে সৃষ্টি হলো, যেখানে এই ডিজেল মানুষের উন্নয়নের কাজে লাগবে এবং সেখানে আসামবাসীও লাভবান হবে, ভারতবাসীও লাভবান হবে।’

মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়াসহ যুদ্ধে ভারতের সহায়তার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু, ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের অবাধ প্রবাহ এবং ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক সেতুবন্ধন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর করেছে। উভয় দেশের সরকার বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রের অনেকগুলো সম্ভবনাকে বাস্তব রূপ দান করেছে।’


খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন জয়শঙ্কর ও ইসহাক

আপডেটেড ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসছেন ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়েন পো ডিএন ডুঙ্গেল, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা এবং মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইসমাইল শাফিউ’ ঢাকা আসছেন। তাদের স্বাগত জানাতে সরকারের তরফে পৃথক টিম বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের প্রতিনিধি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।


খালেদা জিয়ার প্রতি সমবেদনা জানাতে শোকবই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাতে শোকবই খোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই শোকবই খোলা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সই করেছেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন- পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান বোমেল, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ওমানের রাষ্ট্রদূত জামিল হাজি ইসমাইল আল বালুশি এবং ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় শোকবই খোলা হয়। আজ বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা এবং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শোকবইয়ে সই করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিকেল ৩টা ১৫মিনিটের দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কার্যালয় ত্যাগ করেন। এর কিছুক্ষণ পর সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও ইরানের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা কার্যালয়ে এসে শ্রদ্ধা জানান এবং শোকবইয়ে সই করেন।


খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। প্রয়াত এই নেত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে আগামীকাল ঢাকায় আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

ড. জয়শঙ্করের এই সফর বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতি ভারতের সম্মান ও স্বীকৃতির একটি বড় বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি সশরীরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশের এই বর্ষীয়ান নেত্রীর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই এক শোকবার্তায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে খালেদা জিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে কেবল ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি আসছেন। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানাজায় যোগ দেওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। বরেণ্য এই নেত্রীর বিদায়ে চীন, নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, কূটনৈতিক মিশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শোকবার্তা পাঠিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানাচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই মহাপ্রয়াণে জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো বাংলাদেশের প্রথম এই নারী প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণকে একটি ঐতিহাসিক যুগের অবসান হিসেবে অভিহিত করেছেন। আগামীকাল বুধবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যেখানে দেশি-বিদেশি অসংখ্য বিশিষ্ট ব্যক্তির সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত এক আপসহীন নেত্রীর বিদায়ে আজ বিশ্বজুড়েই শ্রদ্ধাবনত পরিবেশ বিরাজ করছে।


বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিতব্য নামাজে জানাজায় তিনি শরিক হবেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছাবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন এবং মরহুমার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সফর শেষে ঐদিনই তাঁর ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

এর আগে আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন ইসহাক দার। তিনি মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

একই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও এক শোকবার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “বেগম জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অন্যতম কারিগর এবং পাকিস্তানের একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু।” শেহবাজ শরীফ তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন যে, এই শোকের মুহূর্তে পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের শোকাতুর মানুষের পাশে রয়েছে।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই প্রয়াণে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা শোক প্রকাশ করছেন। আগামীকাল বুধবার জোহর নামাজের পর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই দাফন করা হবে। পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের এই প্রতিনিধির উপস্থিতি বেগম জিয়ার প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রদ্ধাবোধের এক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


২০২৫ সালে যে নক্ষত্রদের হারিয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে ২০২৫ সাল বিদায় নিলেও বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য এই বছরটি ছিল গভীর শোক আর হারানোর। বছরজুড়েই দেশ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি এবং প্রতিভাবান তারকাকে, যাঁদের দীর্ঘদিনের সাধনা ও সৃষ্টি এ দেশের সাংস্কৃতিক ভিত্তি মজবুত করেছিল। বছরের শুরুতেই চলচ্চিত্র জগত বড় এক ধাক্কা খায় সোনালি যুগের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা রহমানের প্রয়াণে। ৪ জানুয়ারি ভোরে ৩ শতাধিক সিনেমার এই অভিনেত্রী না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তাঁর রেশ কাটতে না কাটতেই ৫ জানুয়ারি বিদায় নেন বরেণ্য অভিনেতা প্রবীর মিত্র, যাঁর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অসামান্য নৈপুণ্য বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে। এরপর ২৫ মার্চ নিভে যায় সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম বাতিঘর ও ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুনের জীবনপ্রদীপ, যিনি আজীবন রবীন্দ্রসংগীত ও লোকজ সংস্কৃতিকে লালন করেছেন।

বছরের মাঝামাঝি সময়ে ২ জুলাই চিরবিদায় নেন ‘সাগরের তীর থেকে’ খ্যাত কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা। তাঁর রেশ কাটতে না কাটতেই ২৭ জুলাই আকস্মিক মৃত্যু হয় তরুণ প্রজন্মের প্রিয় সংগীতশিল্পী ও ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর সদস্য এ কে রাতুলের, যিনি ছিলেন কিংবদন্তি চিত্রনায়ক জসীমের সন্তান। সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া আরও ঘনীভূত হয় ১৩ সেপ্টেম্বর, যখন লোকসংগীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লালনকন্যা ফরিদা পারভীন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণ বাংলাদেশের লোকজ সংগীতের ধারায় এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে।

বছরের শেষ ভাগেও হারানোর মিছিল থামেনি। ২৭ নভেম্বর মারা যান জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ফিডব্যাক’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কিংবদন্তি গিটারিস্ট সেলিম হায়দার। তাঁর সৃষ্টির ঠিক একদিন পরই ২৮ নভেম্বর আধুনিক গানের পরিচিত কণ্ঠস্বর জেনস সুমন আমাদের ছেড়ে চলে যান। ২০২৫ সালের এই বিদায়গুলো কেবল একেকটি জীবনের অবসান নয়, বরং বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যের ইতিহাসের একেকটি সোনালি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। এই নক্ষত্ররা শারীরিকভাবে বিদায় নিলেও তাঁদের গান, অভিনয় আর অনন্য সব সৃষ্টি এ দেশের মানুষের হৃদয়ে এবং জাতীয় ইতিহাসে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে। মূলত তাঁদের দেখানো পথ ধরেই আগামী দিনের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।


বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শ্রদ্ধা: বিপিএলের আজকের সব ম্যাচ স্থগিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আজকের নির্ধারিত ম্যাচগুলো স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

বিসিবি জানিয়েছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বর্তমানে সারাদেশে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সিলেটের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ‘সিলেট টাইটান্স বনাম চট্টগ্রাম রয়্যালস’ এবং ‘ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম রংপুর রাইডার্স’–এর মধ্যকার ম্যাচ দুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থগিত হওয়া এই ম্যাচগুলোর নতুন সূচি পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতা ও লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত সংকটময় সময় পার করছিলেন।

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর এই প্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি ক্রীড়া জগতেও এর প্রভাব পড়েছে। বিপিএলের মতো বড় আসরের খেলা স্থগিত রেখে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল ক্রিকেট বোর্ড। বর্তমানে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতির কারণে লিগের পরবর্তী সূচি নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।


বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক: ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অপরিসীম’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এক বিশেষ শোকবার্তায় বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রশংসা করে বলেছেন, এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অপরিসীম। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টের মাধ্যমে এই শোকবার্তাটি প্রচার করা হয়।

শোকবার্তায় শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে এবং বিশেষ করে বিএনপির নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর এটিই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আসা প্রথম কোনো বড় ধরণের আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা। রাজনৈতিক বৈরিতা থাকা সত্ত্বেও দেশের ইতিহাসের এক চরম শোকাবহ ও গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে শেখ হাসিনার এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আবেগঘন এই বার্তায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমি তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য শোকাহত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমি প্রার্থনা করি যেন মহান আল্লাহ তাঁর পরিবার এবং বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীকে এই কঠিন শোক সহ্য করার শক্তি দান করেন।” মূলত দেশের দুই শীর্ষ নেত্রীর দীর্ঘ কয়েক দশকের রেষারেষির অবসান ঘটিয়ে এই মৃত্যু যেন রাজনীতির অঙ্গনে এক ভিন্ন মাত্রার শোকের আবহ তৈরি করেছে।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসসহ নানা বার্ধক্যজনিত সমস্যার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টার পর সকালে তাঁর চিরবিদায়ের খবরটি নিশ্চিত করেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী হিসেবে ‘আপসহীন নেত্রী’র খ্যাতি পাওয়া বেগম খালেদা জিয়া টানা ৪১ বছর বিএনপির হাল ধরেছিলেন। তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অন্যতম অনন্য রেকর্ড হলো, তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কখনো কোনো আসনে পরাজিত হননি। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং দুইবার জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শত জুলুম ও কারাবরণ সত্ত্বেও দেশ ছেড়ে না যাওয়ার যে অদম্য জেদ তিনি আমৃত্যু বজায় রেখেছিলেন, তা তাঁকে এ দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। তাঁর এই মহাপ্রয়াণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোর এক শক্তিশালী স্তম্ভের পতন ঘটল।


বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের গভীর শোক প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার জাতিসংঘ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক বার্তার মাধ্যমে এই শোক ও সমবেদনা জানানো হয়। বার্তায় জাতিসংঘ উল্লেখ করেছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় একটি অত্যন্ত দুঃখজনক মুহূর্ত। সংস্থাটি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও নিকটজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন বার্ধক্যজনিত ও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভোগার পর আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ দেশের মানুষের কাছে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রয়াণে জাতীয় রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁর অদম্য নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। জাতিসংঘের এই শোকবার্তা তাঁর বৈশ্বিক গুরুত্ব এবং বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিরই বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানে দেশজুড়ে এই কিংবদন্তি নেত্রীর বিদায়ে গভীর শোকের ছায়া বিরাজ করছে।


বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গভীর শোক প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তার মাধ্যমে এই শোক জানানো হয়। বার্তায় ইইউ উল্লেখ করেছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তারা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য এই নেত্রী। গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণ ও তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিডনি ও লিভার জটিলতা ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো নানা বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের অবসান ঘটল। তাঁর মৃত্যুতে ইতোমধ্যেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক দল এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শোকবার্তা পাঠাচ্ছে, যার ধারাবাহিকতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও এই বিশেষ বার্তাটি দেওয়া হলো। মূলত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি তাদের সমবেদনা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে দেশজুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে এবং এই কিংবদন্তি নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে প্রস্তুতি চলছে।


জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেগম জিয়ার জানাজা, দাফন হবে শহীদ জিয়ার পাশেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জোহর নামাজের পর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইন উপদেষ্টা জানান, বেগম খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজার যাবতীয় প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মিশনে এই বরেণ্য নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শোক বই খোলা হবে। সভার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে বেগম জিয়ার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই কিংবদন্তি নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, লিভার সিরোসিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রয়াণে জাতীয় রাজনীতিতে একটি দীর্ঘ ও গৌরবময় অধ্যায়ের অবসান ঘটল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব ও অদম্য মনোবল এ দেশের মানুষের হৃদয়ে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ পুরো দেশজুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং আগামীকালকের জানাজা সফল করতে বিএনপি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।


‘ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিলেন খালেদা জিয়া’, জিএম কাদেরের শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনন্য অধ্যায়ের প্রতিনিধি ছিলেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় তিনি এই বর্ষীয়ান নেত্রীর প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। জিএম কাদের উল্লেখ করেন যে, খালেদা জিয়া তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা সুসংহত করতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর প্রয়াণে দেশ একজন অভিজ্ঞ ও প্রভাবশালী রাজনীতিককে হারাল, যা জাতীয় রাজনীতিতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল।

শোকবার্তায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও অগণিত রাজনৈতিক সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি মনে করেন, বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা এবং দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এ দেশের ইতিহাসের পাতায় চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য, বার্ধক্যজনিত ও শারীরিক নানা জটিলতার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের এই চিরবিদায়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি যুগের অবসান ঘটল। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব তাঁকে এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। বরেণ্য এই রাজনীতিকের প্রয়াণে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। একই সাথে মরহুমার প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ সরকারের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু করে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি) তিন দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। এই সময়ে দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশের মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং দেশের উন্নয়নে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার এই বিশেষ সম্মান প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসসহ নানা বার্ধক্যজনিত জটিলতায় দীর্ঘ লড়াই শেষে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই নেত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তাঁর এই প্রয়াণে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিশ্বনেতারা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সরকারের এই ঘোষণার ফলে আগামীকাল দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বীমায় সাধারণ ছুটি বলবৎ থাকবে। এক কিংবদন্তি নেত্রীর বিদায়বেলাকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করতেই রাষ্ট্র এই শোকাতুর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।


বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় তিনি এই বর্ষীয়ান নেত্রীর প্রয়াণে নিজের এবং পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানান। শেহবাজ শরীফ বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে বেগম জিয়া যে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং দেশ ও জাতির জন্য যে আজীবন অবদান রেখে গেছেন, তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শোকবার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের একজন ‘নিবেদিত বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, এই শোকাবহ মুহূর্তে পাকিস্তানের সরকার এবং সেদেশের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে। শেহবাজ শরীফ আরও বলেন, এই কঠিন সময়ে তাঁদের আন্তরিক সমবেদনা ও প্রার্থনা মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং পুরো বাংলাদেশের মানুষের সাথে রয়েছে। তিনি মহান আল্লাহর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন।

উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় দীর্ঘ দিন লড়াই করার পর আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর এই চিরবিদায়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা শোক জানাচ্ছেন, যার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করা হলো। মূলত দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বেগম জিয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের বিষয়টিই এই শোকবার্তায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।


banner close