শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আইনজীবী সমিতির ভোটে হামলার মামলায় খোকন-কাজলসহ ১৩ জনের জামিন

১৫ মার্চ সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে শুরু হয় হট্টগোল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২০ মার্চ, ২০২৩ ১৪:৪২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৩ ১৪:০০

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও পুলিশের কাজে বাধাসহ তিন মামলায় বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাহববু উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এক মামলায় ১১ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। আদালতের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল।

এক মামলায় জামিনপ্রাপ্তরা হলেন আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম সুজন, মাহফুজ বিন ইউসুফ, নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মাহদিন চৌধুরী, গোলাম আক্তার জাকির, কামরুল ইসলাম সজল, কামরুল ইসলাম, মোক্তার কবির খান, আশরাফ উজ জামান খান, কাজী জয়নাল আবেদীন ও মাহবুবুর রহমান খান।

রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, আদালত আট সপ্তাহের অথবা পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করার আগ পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়েছেন।

গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই ও হট্টগোলের ঘটনায় বিএনপির শতাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান। একই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান আরেকটি মামলা করেন। এরপর ১৬ মার্চ পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ আওয়ামীপন্থি আইনজীবী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের হামলায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা ১৪ পদে বিজয় লাভ করেন।


ট্রাফিক সদস্যদের স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি দিচ্ছে ডিএমপি

 ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র গরমে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সব পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত সব সদস্যদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই তীব্র তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন চলবে এই কার্যক্রম।

ট্রাফিক রমনা বিভগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। কমিশনার স্যার এই উপলব্ধি থেকে ট্রাফিকের সব পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করেছেন, এ জন্য স্যারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। স্যারের এই উদ্যোগ ট্রাফিকের সব সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।’


সোমবার আসছেন কাতারের আমির

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার তিনি ঢাকায় পৌঁছবেন।

ঢাকায় এটি তাঁর প্রথম সফর। সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় গুরুত্ব পাবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, কাতারের আমিরের এই সফরে ১০টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হবে। এই চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বন্দি বিনিময়, দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে কাতারে জনশক্তি রপ্তানি, ধর্মীয় বিষয়ে সহযোগিতা, বন্দর ব্যবস্থাপনায় কাতারের প্রতিষ্ঠান মাওয়ানির যুক্ত হওয়া, উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা ও কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ।

জানা গেছে, ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের এই সময়ে কাতারের আমিরের এই সফরে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। এর প্রায় দুই দশক পর তার ছেলে ও বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে আসছেন। নাম প্রকাশ না করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কূটনীতিক জানান, ২০১৭ সালে আরব লিগ, বিশেষ করে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল। ওই সময় কাতারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ওপর সৌদি আরবের প্রবল চাপ ছিল। তখন বাংলাদেশ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। কারণ, বাংলাদেশের জনশক্তির প্রধান বাজার সৌদি আরব হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী কাতারে কাজ করেন। ফলে

২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই সংকটে বাংলাদেশ কাতারের পাশে ছিল। ফলে দেশটি বাংলাদেশের ওপর সন্তুষ্ট।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির আসন্ন সফর উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দুই পক্ষের কূটনীতিকরা কাজ করছেন। তার আসন্ন সফরকে সামনে রেখে গত সোমবার দোহা থেকে একটি অগ্রবর্তী দল ঢাকায় এসেছে। তারা আমিরের সফর উপলক্ষে নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, কাতারের বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মাওয়ানি কাতার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহী। এখন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে কাতারের আমিরের ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। দেশটির আমিরের ঢাকা সফরে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে। ওই সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কাতারে কাজ করার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে কাতারের নৌবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। এর আওতায় কোস্টগার্ডের লোকজন কাতারে কাজ করছেন।

ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ হবে কাতারের আমিরের নামে

এদিকে বাসস জানিয়েছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দুটি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দু-দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক এবং আমিরের এই সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তাঁর নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জানান, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।


নির্ধারিত সময়ের আগেই দুবাই পৌঁছবে এমভি আব্দুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে আগামীকাল রোববার দুবাই পৌঁছবে সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। আজ শুক্রবার এমভি আব্দুল্লাহ থেকে পাঠানো সবশেষ বার্তায় এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।

জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ তারিখ (রোববার) দুপুর নাগাদ এটি গন্তব্যস্থল দুবাইয়ে পৌঁছবে।’

গত বুধবারের পর থেকে জাহাজটিকে আর পাহারা দিচ্ছে না অন্য কোনো জাহাজ। ফলে এমভি আব্দুল্লাহ দুবাই অভিমুখে একাই অগ্রসর হচ্ছে। জাহাজটি ইতোমধ্যে সমুদ্রের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রম করেছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটিকে যেখানে আটক করে রেখেছিল, সেখান থেকে প্রায় ৯৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে এবং সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬৮৭ নোটিক্যাল মাইল দূরে গতকাল অবস্থান ছিল এমভি আবদুল্লাহর। এটি দ্রুত আরও দূরত্ব বাড়িয়ে দুবাই বন্দরের কাছাকাছি আসছে। জাহাজের সব নাবিক ভালো আছেন।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতাও। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল।

জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের ঈদও কাটে বন্দিদশায়। তবে তাদের ঈদের দিন ভালো খাবার দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।

গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পরের দিন দুপুরে মুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।


কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাকসবজি উপহার শেখ হাসিনার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে খালি হাতে ফেরেননি নেতারা। তাদের সবার হাতে গণভবনে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ প্রধান। অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার সময় সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে তাদের প্রত্যেকের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তদারকিতে গণভবনে উৎপাদিত ব্যাগ ভর্তি সবজি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদেরও এসব উপহার দেওয়া হয়।

সবজির ব্যাগে ছিল গণভবনে উৎপাদিত পালং শাক, পাট শাক, ডাটা শাক, পুঁইশাক, লাউ, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শাকসবজি পেয়ে কৃষক লীগ নেতাদের বেশ উৎফুল্ল হতে দেখা যায়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ প্রসঙ্গে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ বলেন, গণভবনে উৎপাদিত লাউ, চিচিঙ্গা, করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তার বাসভবনে উৎপাদিত শাকসবজি কৃষক লীগ নেতা-কর্মীদের উপহার দেওয়ায় যেমন উৎফুল্ল হয়েছি, তেমনি নিজেরাও প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন ভালো খামারি হওয়ার জন্য প্রেরণা পেয়েছি।

সমীর চন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা না রেখে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। তাইলে খাদ্যের জন্য আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমাদের নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।

এর আগে গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


শিশুদের সুস্থ বিকাশে আরও খেলাধুলা আয়োজনের তাগিদ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানা আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’


শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তিনি বলেন, বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, বরং আরও দৃপ্ত পদভারে জনগণের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়েছেন, দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করেছেন।

গ্রিসে অনুষ্ঠিত নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে যোগদান শেষে আজ শুক্রবার দেশে ফিরে সন্ধ্যায় রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ গ্রন্থিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পিআইবির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বর্তমান বিশ্বে বিরল। তিনি শুধু দেশেরই নন, তিনি আজ বিশ্বনেতা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু তারই নন, তার সন্তানদেরও প্রেরণা। ভারতের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে তাকে নিজের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা থাকলে হয়তো গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা যেত।

হাছান বলেন, শুধু তাই নয়, যেকোনো বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যোগ দিলে তিনিই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ প্রবন্ধ সংকলন প্রণয়নের জন্য গ্রন্থকার জাফর ওয়াজেদকে ধন্যবাদ জানান।

মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল জাহাজযোগে তাদের ফেরত নিতে সম্মত মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশিও একই জাহাজে ফেরত আসবে। তবে জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়াই বিএনপির বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা

সাংবাদিকরা বিএনপি আবার বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে- এমন প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, যেকোনো কিছুতেই বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা। বাংলাদেশে ক্ষমতার উৎস জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গেলে বিদেশিরা তো বিএনপিকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। জনগণই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয়।


স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায়।’

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র বাছাই কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকারি অনুদান প্রদানের জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান প্রাপ্তির জন্য আবেদনকৃত মোট ১৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ৪৫টি চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।

এ দিন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখে চলচ্চিত্রগুলোকে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর প্রদান করেছেন।

এ সময় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাছাই কমিটির সদস্যরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনার ওপর আলাদা আলাদাভাবে নম্বর প্রদান করছেন। পরবর্তীতে সব সদস্যের নম্বরগুলো গড় করে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০২০ (সংশোধিত)-এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়।


শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের স্প্রিংমিটিংয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং মাহমুদ আলীর বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মজীবন সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন এবং তার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

মাহমুদ আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তিনি জাতিকে এর অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান এবং তারা দেশের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।’

মাহমুদ আলী ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে তার কূটনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত প্রথম কূটনীতিক তিনি, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

এর আগে অর্থমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

দূতাবাসে পৌঁছলে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারা।


বিএনপির বিরুদ্ধে যা মামলা আছে কোনটাই রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৮
বাসস

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত দায়ের করা কোন মামলা রাজনৈতিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির মতো সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরাই এ সংক্রান্ত মামলার আসামী হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি সব জায়গায় কান্নাকাটি করে বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কিসের মামলা? অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।’

মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে এগুলোর শাস্তি দিয়ে দেওয়া উচিত উল্লেক করে তিনি বলেন, বিএনপি ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ ও রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কি হবে?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওদের বিরুদ্ধে কোন মামলাইতো পলিটিক্যাল মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা। তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে। নির্বাচন ঠেকাতে যেয়ে তারা রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না?

বিএনপির নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কান্নাকাটি করে তারা সব জায়গায় বলছে তাদের এত লক্ষ লোক তাদের গ্রেপ্তার হয়েছে। সারা দেশে যত জেলখানা আছে সেগুলোর একটা ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, তারা যত লক্ষ গ্রেপ্তার হয়েছে বলছে জেলখানাগুলোর ততো ধারণক্ষমতা নেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি’।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না, তাই তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।

বিরোধীদলে থাকার সময়কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসেতো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কিভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করি নাই। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সমবায় ভিত্তিক কৃষি নিশ্চিত করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায় ভিত্তিক কৃষি চালু করে জমির আইল দূর করে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি রক্ষা করা যেতে পারে। কৃষিতে গবেষণার পাশাপাশি কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উদ্যোগে কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থানার পদক্ষেপ সমূহের চুম্বকাংশ তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি উন্নত হয়েছে, কারণ সরকার কৃষিখাতের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘একসময় যারা নুন-ভাত বা ডাল-ভাতের কথা ভাবতেন, তারা এখন মাছ-মাংস-ডিমের কথা ভাবেন। তাই যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তাদের বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে, বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে কি না।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।


মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাস

জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

শিব নারায়ণ দাস বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার অন্যতম এবং মূল নকশাকার। তিনি একজন ছাত্রনেতা ও স্বভাব আঁকিয়ে ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৬জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাত এগারটার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলন করা হয়।

শিব নারায়ণ দাসের বাবা সতীশচন্দ্র দাশ কুমিল্লাতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদাররা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ণ দাশের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের এক ছেলে অর্ণব আদিত্য দাশ।

শিব নারায়ণ দাস প্রথম ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন।

অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘদিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

বিষয়:

গরমে চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যান-এসির, বেড়েছে দামও

নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি দোকানে ফ্যানের দামদর করছেন এক ক্রেতা। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য
আপডেটেড ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। ঘরের ভেতরেও শান্তিতে থাকার জো নেই। সেখানে একে তো মশার উপদ্রব, তার ওপরে ভ্যাপসা গরম। ঈদের পর থেকে গরমের তীব্রতা বাড়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতেও পারছেন না সারা দেশের মানুষ। এর মধ্যেও মাঝে মাঝে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। এ কারণে গরমে স্বস্তি পেতে মধ্যবিত্ত চোখ রাখছেন এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলারের দিকে। তারা খুঁজছেন আইপিএসও। আর যাদের সামর্থ্য কম তারা খুঁজছেন ফ্যান, বিশেষ করে চার্জার ফ্যান।

আর ভরা মৌসুমে চাহিদা বাড়ায় নন-ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে যেমন বাড়ছে ভিড়, তেমনই তারা হাঁকছেন চার্জার ফ্যানের ইচ্ছেমতো দাম। অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক্সের ব্র্যান্ডের দোকান ও শো-রুমগুলোতে ঈদ পর্যন্ত নানা ধরনের অফার ছিল রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ ও এসিতে। কোনো কোনো কোম্পানি এখনো সেসব অফার দিচ্ছে। বাকিদের অফার শেষ হওয়ার পর দামও বাড়তির দিকে।

গতকাল স্টেডিয়াম মার্কেট, বায়তুল মোকাররমের নিচতলার মার্কেটের ইলেকট্রনিক্স জোন, পল্টন, বিজয়নগর, খিলক্ষেত, উত্তরা, মোহাম্মদপুর ও নারায়ণগঞ্জের একাধিক এলাকার স্থানীয় দোকানগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে, ক্রেতাদের কাছে চার্জার ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান ও সিলিং ফ্যানের চাহিদা বেশি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলেও চলে বলে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি, আর দেশি ও চায়নিজ পণ্যের বিপুল সরবরাহ থাকলেও বিক্রেতারা হাঁকছেন গলাকাটা দাম।

একাধিক বাজারে ইলেকট্রনিক্স দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। বছরের অন্যান্য সময়ে এ সময় ফ্যানের দাম আকার ও সক্ষমতা ভেদে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া ১২ ইঞ্চির বিভিন্ন মডেলের স্ট্যান্ড ফ্যান ৪ হাজার থেকে ৫০০০ টাকা এবং আকারভেদে সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ৩১০০ টাকায়। তবে পাকিস্তানি বেশ কিছু কোম্পানির ফ্যানের চাহিদা থাকায় এসব ফ্যানের দাম আরও বেশি হাঁকা হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় চার্জার ফ্যানের দাম অতিরিক্ত রাখা হচ্ছে।

চার্জার ফ্যানসহ অন্যান্য ফ্যানের দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরাও। মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের মা ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী শরীফ মাহমুদ বলেন, গরমে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, বিক্রিও বেড়েছে। কিন্তু পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরাতেও দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।

স্টেডিয়াম মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল হাই বলেন, গরম আসায় চার্জার ফ্যানের বিক্রি বাড়ছে। এ ছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান এগুলোও বিক্রি হচ্ছে। তবে কোম্পানি থেকে দাম বাড়ায় আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

রোজ গরমে কষ্ট বাড়ায় বাসায় ব্যবহারের জন্য রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার মার্কেটে চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী মাহমুদা বেগম। তিনি বলেন, এই গরমে একটা চার্জার ফ্যান দরকার, তাই কিনতে আসা। কিন্তু দাম এত বেশি যে, কিনব কি না, সে চিন্তা করছি।
ক্রেতা নাসিম হোসেন বলেন, প্রত্যেকটা পণ্যেরই দাম বেড়ে গেছে। এত দামে কেনা তো আসলে আমাদের মতো নির্ধারিত আয়ের মানুষের জন্য কষ্ট হয়ে যায়। তবুও দেখছি বাজেটের মধ্যে কিনতে পারি কি না।

চাহিদা বেড়েছে এসি-আইপিএসের

চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসি এবং আইপিএসেরও। মোহাম্মদপুরের ওয়ালটন শোরুম ঘুরে দেখা যায়, দেড় টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়, এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকায়।

শোরুমের সেলস এক্সিকিউটিভ লুৎফর রহমান বলেন, গরমে এসির চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক ক্রেতাই আসছেন, দেখছেন, বিক্রিও হচ্ছে। এ ছাড়া ক্রয়ের সময় কিছুটা ছাড় মিলবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে যমুনা ইলেকট্রনিকসের শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ইনভার্টারসহ দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ হাজার টাকায় ও এক টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৪৯ হাজার টাকায়। অন্যদিকে ইনভার্টার ছাড়া দেড় টন এসির বিক্রয়মূল্য ৫৭ হাজার টাকা ও এক টন এসির বিক্রয় মূল্য ৪২ হাজার টাকা। এ ছাড়া যমুনায় চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২৪৪ টাকায় ও সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০ টাকায়।

যমুনা শোরুমের সেলস এক্সিকিউটিভ আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এসির চাহিদা তুলনামূলক ভালো, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আশা করছি সামনে তা আরও বাড়বে।

এদিকে চাহিদার তালিকায় রয়েছে আইপিএসও। বাজারে বিভিন্ন ধরনের আইপিএসের মধ্যে বহুল পরিচিত হলো রহিম আফরোজ, লুকাস ও লুমিনাস কোম্পানির আইপিএস।

বাসাবাড়ির ব্যবহারের চাহিদা অনুযায়ী মূলত আইপিএস বিক্রি হয়ে থাকে। তিনটি ফ্যান ও পাঁচটি লাইট ব্যবহার করা যাবে এ রকম আইপিএসের সর্বনিম্ন মূল্য রহিম আফরোজ দিচ্ছে ৩২ হাজার টাকায়। ব্যবহার আরও কম হলে খরচ কম পড়বে।

অন্যদিকে, একই সক্ষমতার ব্যবহারে লুমিনাস আইপিএসের খরচ পড়বে ৩০ হাজার টাকা, যা চাহিদা অনুযায়ী বাড়বে বা কমবে।

বায়তুল মোকাররম মার্কেটের জাহান ইলেকট্রনিকসের ম্যানেজার মো. শরিফ বলেন, ক্রেতার চাহিদার ওপরে নির্ভর করে আইপিএসের দাম। আপনি দুই ফ্যান, দুই লাইটের জন্য আইপিএস খুঁজলে যে দাম পড়বে চার লাইট, চার ফ্যান খুঁজলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়ে যাবে। সোজাসুজি বলা যায়, যেমন ব্যবহার করবেন, খরচ তেমন পড়বে। আইপিএস ক্রেতাদের চাহিদামতো বানিয়েও নেওয়া যায়। এ জন্য আগাম অর্ডার দিয়ে রাখতে হয়।

মো. শরিফ জানান, গরমে বরাবরই আইপিএসের চাহিদা থাকে। এ বছরও অনেক অর্ডার পাচ্ছি, বিক্রিও ভালো।


বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানী বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ওশহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানী বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। দ্রুতই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদিত হবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী সম্মানী সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, রেজাউল হক চৌধুরী ও মাহফুজা সুলতানা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণী বিষয় এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনাকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরে একটি স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

আরও জানানো হয়, ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত পাঁচ হাজার ‘বীর নিবাস’তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকের শুরুতে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগরে গঠিত অস্থায়ী সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।


৫০ বছরে দেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: রেহমান সোবহান

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, এ সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আর্থ-সামাজিক উত্তরণ ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সিপিডি আয়োজিত ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ-ইকোনমি, পলিটিক্স, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বইটি সম্পাদনা করেছেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রওনক জাহান।

রেহমান সোবহান বলেন, এর আগে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ নিয়ে এ রকম আরেকটি বই প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন ২৫ বছরের বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে এতটা উচ্চাশা ছিল না। সেখানে গার্মেন্ট সেক্টরে কতগুলো ভ্যালু অ্যাড হতে পারে সে বিষয়ে চিন্তা করা হয়নি। রেমিট্যান্স নিয়ে এতো চিন্তা-ভাবনা করা হয়নি। এখন পরবর্তী ২৫ বছরে এসব পার্থক্য খুঁজে বের করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে।

এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, ৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা যেমন চোখে পড়ার মতো, তেমনি সমাজে অসমতা বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি ও উন্নয়নের নিরিখে শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। তারা আরও বলেন, দেশে সামষ্টিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের মিলনে উন্নয়ন হয়েছে। সরকার ও বাজারের মধ্যে এক ধরনের মিথোজীবিতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এটাই উন্নয়নের চালিকা শক্তি। ফলে সম্পদ বা সুশাসনের অভাব দেশের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।


banner close