রোববার, ৫ মে ২০২৪

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড
২০ মার্চ, ২০২৩ ২২:২০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৩ ২২:১৮

বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে উন্নয়নের প্রতিটি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২ পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন।

দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এবং মো. জহুরুল হক ও সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। রাষ্ট্রপতি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও তাগিদ দেন।

দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


স্বাধীন ফিলিস্তিন আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

গাজায় হামলা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংহতি সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এসময় সেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর কুশপুতুলও দাহ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যে 'সলিডেরিটি উইথ ফ্রি প্যালেস্টাইম মুভমেন্ট ইন আমেরিকান ইউনিভার্সিটিজ- শিরোনামে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

অধ্যাপক ড. নসরুল্লাহ বলেন, মানবতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে আমি এসেছি। সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াতে আমি এখানে এসেছি। ফিলিস্তিনের গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা অতীতের যেকোনো নির্মমতাকে হার মানিয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কখনোই এত সীমিত সময়ে এতো বেশি নারী শিশু মারা যায়নি।'

নেতানিয়াহু এবং বাইডেন উভয়কে যুদ্ধাপরাধী উল্লেখ করে অধ্যাপক নসরুল্লাহ আরও বলেন, আজকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে সারা পৃথিবীকে সেটা আলোড়িত করবে। এই আন্দোলনেই শেষ হবে নেতানিয়াহুর সকল চক্রান্ত, বাইডেনের সকল চক্রান্ত, পশ্চিম ইউরোপের চক্রান্ত।

সমাবেশে শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ওয়েল ডকুমেন্টেড জেনোসাইড এটি, পৃথিবীতে যত জেনোসাইড ঘটেছে তারমধ্যে এত ওয়েল ডকুমেন্টেড জেনোসাইড আর ঘটেনি। সে জায়গায় বিশ্ব ব্যবস্থা এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা আমেরিকার মোড়লপনার ব্যাপারে শঙ্কিত। ইসরায়েলের নেতানিয়াহুর মত আমেরিকার বাইডেনও সমানভাবে অপরাধী, সেও একজন কিলার।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন,আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হচ্ছে, তারাই (আমেরিকা) আবার বড় বড় কথা বলে। তারা আমাদের মানবতার ছবক দেয়। এখন পর্যন্ত চলমান হত্যাকাণ্ডের সময়ে ৩৫ হাজার লোক মারা গেছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে— ইসরায়েলকে মদদদাতা সকল দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক রাজনের ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।

সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।


দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি

সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি থাকতে পারে
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ২২:৪০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমবেশি স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহের মাত্রা অনেকটা কমেছে বলা যায়। অবশ্য দেশের আবহাওয়া অফিস আগেই বলেছিল, চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাপমাত্রা কমে আসবে। তাই চলতি মাসে তীব্র দাবদাহের পর গরম নিয়ে অনেকটাই সুখবর পাওয়া গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।

এরমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ায় তীব্র দাবদাহ অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। তবে আজ রোববার সারা দেশে আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়েছে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজ রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সে জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে।

এদিকে ঢাকাবাসীর জন্য আবহাওয়া অফিস ভালো খবর দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার থেকে রাজধানীবাসী অনেকটাই দাবদাহ থেকে মুক্তি পাবে।

রোববার আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ঢাকার দাবদাহ সোমবার কেটে যাবে পুরোটাই। তবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দাবদাহ স্থায়ী হবে আরও কিছুদিন। যদিও মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তার বিস্তার দীর্ঘ সময়ের কিংবা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না। তবে গ্রীষ্মের বৃষ্টির স্থায়িত্ব কম থাকায় গরম থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামীকাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টি শুরুর যে সম্ভাবনা রয়েছে তা চলতি পুরো সপ্তাহজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আজ আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে আজ থেকেই সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। এই সময়ে বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় জানানো হয়েছে, এই সময়ে সারা দেশে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে থাকতে পারে। তাপমাত্রাও কমতে পারে।

৭ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব বিভাগেই আগামীকাল থেকে তিন দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কমবে বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে, রোববার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবারের তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।


বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্মত মিশর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিলে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করতে কায়রো নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। আজ রোববার ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠক করেন।

বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একমত হন তারা।

মিশরে বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবন নির্মাণে মিশর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন।

এরপর ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গাইনাইজেশনের (ডিসিও) মহাসচিব দিমা আল ইয়াহিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ডিসিওর সদস্য রাষ্ট্রগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আন্তর্জাতিক ব্যবহারসংক্রান্ত ‘মাল্টিল্যাটেরাল এ আই এগ্রিমেন্ট’ শীর্ষক একটি চুক্তির খসড়া তৈরি করছে বলে মহাসচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিসিওর মহাসচিবকে বাংলাদেশে সফর করে তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখার আমন্ত্রণ জানালে তিনি আন্তরিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সফরের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ডিসিওর সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই দিন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এল পি মারসুদি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিষয়সমূহ বৈঠকে আলোচনায় স্থান পায়।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।


চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাব পেয়েছেন জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এটি রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব উপস্থাপিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণভাবে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্প্রতি এ সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মন্ত্রী।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এ বয়স ৩২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা প্রস্তাব আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। তবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কত হবে এটি রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। যে কোনো বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। তিনি পরামর্শ দেবেন কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জায়গায় যাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিষয়গুলো উত্থাপিত হয়েছে। একাদশ সংসদের সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর আমি নিজে দিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর হবে, তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে দুই বছর বেশি অর্থাৎ ৩২ বছর হবে।’

সরকার অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রবেশের ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছর হয়েছে। আমরা কিন্তু বাড়িয়েছি। এটা (প্রবেশের বয়স) বাড়ালে আবার ওই দিকটার (অবসরের বয়স) একটা ব্যাপার আছে। তখন যে বাস্তবতা ছিল, বাস্তবতা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছেন।’

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে নিয়োগের নীতিমালার পরিবর্তন আনতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটার ওপর আমাদের বিশেষ কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেই বলা যাবে এটি করা যাবে কী যাবে না বা আমরা এটা কখন করব।’


আগামীকাল থেকে তিন দিন শাহজালালে ৩ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামীকাল সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন তিন ঘণ্টা করে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকবে। রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই তিন দিন রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

এরই মধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব এয়ারলাইন্স ও সংস্থাকে নোটাম (নোটিশ টু এয়ারম্যান) করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশনের নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে একটি কাজ রানওয়ে ব্যবস্থাপনা। এ কাজের অংশ হিসেবে রানওয়ে সেন্টার লাইট ও মার্কিং সম্পর্কিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম করা হয়। এজন্য ৬ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত তিন দিন রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। তাদের এ তিনদিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও পরবর্তী ফ্লাইটের সময় জানিয়ে দেবে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এই তিনদিন যাত্রীদেরকে নিজ নিজ ফ্লাইট সম্পর্কে আগাম জানাতে এবং ফ্লাইট অপারেশন সমন্বয় করার জন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে এরই মধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে অন্যান্য সেবাপ্রদানকারী সরকারি সংস্থার সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়েছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।


উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ রোববার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেছেন।

এ সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়ন করারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ, সার্বিক কার্যক্রম ও বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেন।


আগামী ৯ মে ঢাকায় আসবেন ভারতের পররাষ্ট্রস‌চিব

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১৮:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৯ মে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে ঢাকা সফরে আস‌বেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ দেবেন বলেও জানা গেছে।

আজ রোববার ঢাকার এক‌টি কূটনৈ‌তিক সূত্র কোয়াত্রার সফরের তথ্যটি নি‌শ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, আগামী ৯ মে ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিবের ঢাকায় আসার তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা সফরে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের স‌ঙ্গে।

গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত হয়।

জানা গেছে, এক‌দিনের আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কোয়াত্রা। আশা করা হচ্ছে, সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।

বিষয়:

সশস্ত্র বাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী

রোববার ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রধানমন্ত্রীর দরবারে’ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১৭:২১
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুঃসময়ে জনগণের পাশে থাকায় বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং একটা ভরসাস্থল হিসেবে আজ সে আস্থা সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’

আজ রোববার ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রধানমন্ত্রীর দরবারে’ দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। যেকোনো সেনাবাহিনীর দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস একান্তভাবে জরুরী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রচেষ্টা ছিল সেনাবাহিনীর প্রতি যেন সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার হয়।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন তারই ভিত্তিতে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে তার সরকার তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিক ও জ্ঞান সম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সাথে আমাদের ২০০৮ এর নির্বাচনের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন, তার সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অবদান রেখেছেন তাতে প্রত্যেকটি দেশ এর ভূয়শী প্রশংসা করে থাকে। কাজেই সেটাকে আরও উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।’


এএফআইপি ভবন ও সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আজ রোববার সেনানিবাসে বহুতল এএফআইপি ভবন এবং সেনাপ্রাঙ্গণ ভবনের নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১২:৫৭
ইউএনবি

ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং সেনাপ্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে ঢাকা সেনানিবাসে বহুতল এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করেন এবং সেনাপ্রাঙ্গণ ভবনের নামফলক উন্মোচন করে ভবনের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেন। এসময় এএফআইপি কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল ডা. নিশাত জোবাইদা নতুন ভবনের মূল বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন।

২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্যাথলজি সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি)’ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

১৪ তলা বিশিষ্ট এএফআইপি ভবনে আধুনিক ল্যাবরেটরিতে আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন- নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, অটোমেটেড মাইক্রোবিয়াল আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম, ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ও মাল্টিহেডেড মাইক্রোস্কোপ স্থাপন করা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী সেনা প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করতে যান এবং ফিতা কেটে নতুন ভবনে প্রবেশ করেন।

সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন সেনাপ্রাঙ্গণ গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার ও সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মিত হয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাজি মিশর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠক করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১১:৩৩
বাসস

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্পসারণের জন্য মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন। দুই দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করতে কায়রো নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একমত হন তারা।

মিশরে বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবন নির্মাণে মিশর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন। এরপর ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গাইনাইজেশনের (ডিসিও) মহাসচিব দিমা আল ইয়াহিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ডিসিওর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আন্তুর্জাতিক ব্যবহার সংক্রান্ত ‘মাল্টিল্যাটেরাল এ আই এগ্রিমেন্ট’ শীর্ষক একটি চুক্তির খসড়া তৈরি করছে বলে মহাসচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিসিওর মহাসচিবকে বাংলাদেশে সফর করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখার আমন্ত্রণ জানালে তিনি আন্তরিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সফরের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ডিসিওর সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই দিন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো এল পি মারসুদি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিষয়সমূহ বৈঠকে আলোচনায় স্থান পায়।


কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি আজ শনিবার রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘কাপ্তাই লেক তার সেই আগের সৌন্দর্য, রূপে নেই। এটি যেন নুইয়ে পড়েছে। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই। তবে এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মৎস্যজীবীদেরই নয়, এলাকার সর্বসাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

জেলেদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী তিন মাস আপনারা লেকে মাছ ধরবেন না। নির্দিষ্ট সময়ের পর নিষিদ্ধ মশারি জাল, বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল এগুলো ব্যবহার করবেন না। জাটকাসহ ছোট মাছ ধরবেন না। আপনারা নিজ সন্তানকে যেমন পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলেন, তেমনি মাছকেও বড় হতে দিতে হবে। কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের লেকের মাছ আপনারাই ধরবেন। অন্য এলাকা থেকে কেউ এসে এই মাছ ধরবে না। এই লেকের ব্যবস্থাপনায় আপনাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাপ্তাই লেক নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

কৃষি জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশকের ফলে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে ফসলের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তবে কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এমপি দীপংকর তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী, পার্বত্য রাঙামাটি জেলার জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান প্রমুখ।


সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: সেনাপ্রধান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর এলাকায় আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে কোম্পানি মালিক ও ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। এমন চিত্রই প্রমাণ করে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ ধাপে ধাপে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো লাভ করা; কিন্তু লাভের পাশাপাশি দেশের মঙ্গলজনক কাজেও ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, সবার আগে দেশপ্রেম।

আস্থা ফিডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, ময়মনসিংহ ৫ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী, আমানত শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হেলাল মিয়া, আস্থা ফিডের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাবু ও গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ আস্থা ফিডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আস্থা ফিডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আজ যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর হয়েছে সেখানে শুরুতে রিলায়েন্স ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, আস্থা প্যাক লিমিটেড ও আস্থা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এ তিনটি কারখানা তৈরি করা হবে। আমরা লাদুরচর গ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানাই তাদের সহযোগিতার জন্য।


রেলে শিডিউল বিপর্যয় কাটল ৩১ ঘণ্টা পর

গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটার ৩১ ঘণ্টা পর ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো রেললাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরে ভুল সংকেত দেওয়ায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটার ৩১ ঘণ্টা পর ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো রেললাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের পর আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই রেললাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এদিকে, রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর রেল জংশনের আউটার সিগন্যালে ঘটা ওই দুর্ঘটনার কারণে দিনভর কোনো ট্রেন গাজীপুর দিয়ে চলাচল করতে পারেনি। এর ফলে ট্রেনের শিডিউলে দেখা দেয় ভয়াবহ বিপর্যয়। আগে থেকে ট্রেনের যাত্রা বাতিল বা বিলম্বে চলার সিদ্ধান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা না করায় দিনভর কমলাপুর স্টেশনে বাড়তে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রার উদ্দেশে বাড়ি ছেড়ে আসা যাত্রীদের মিছিল। ফলে ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময় জানতে না পাড়ায় ভীষণ দুর্ভোগে পড়েন তারা। ট্রেনের যাত্রা বাতিল না করায় তারা ঘরেও ফিরতে পারছিলেন না। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় কমতে থাকে তাদের দুর্ভোগ।

অন্যদিকে, এই রেল দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারও ভুল সংকেতের কারণে একই লাইনে চলে এসেছিল আন্তঃদেশীয় ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’। যা থেকে ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনা। তবে লোকোমাস্টারদের তৎপরতায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে ট্রেন দুটি। সঙ্গে রক্ষা পেয়েছেন অসংখ্য যাত্রী।

আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। এ জন্য স্টেশন মাস্টারকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনের পাঁচ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো ছিল। ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিল। অন্যদিকে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) রাজশাহীর উদ্দেশে যাচ্ছিল। যমুনা সেতু পার হওয়ার পর পশ্চিম স্টেশন পার হতে যাচ্ছিল ট্রেনটি। স্টেশন পার হওয়ার জন্য ধূমকেতু এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টারকে একটি পেপার স্লিপ দেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার। ওই স্লিপে লেখা ছিল, ‘বঙ্গবন্ধু পশ্চিম স্টেশনের সিগন্যাল খারাপ হয়ে গিয়েছে। আপনি হাত সিগন্যাল দেখিয়ে পাস করবেন।’

ফলে ধূমকেতু এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার অনেকটা ধীরগতিতে ট্রেন চালিয়ে ওই স্টেশনটি পার হতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় লোকোমাস্টার দেখতে পান ট্রেনের পয়েন্ট যে লাইনে সেট করা রয়েছে, সেই লাইনে অন্য একটি ট্রেন দাঁড়ানো অবস্থায় আছে। এমন অবস্থায় তিনি ট্রেনটি ওই পয়েন্টের আগে থামিয়ে দেন। পরে ট্রেনটি পেছনে নিয়ে অন্য লাইন দিয়ে স্টেশন পাস করানো হয়।

এদিকে, রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এই সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রেললাইনে ট্রেন চলাচল প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। বিকেলে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পাশের স্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আজ সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। উদ্ধার অভিযান চলাকালে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করলেও দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই লাইনও। পরে চলে উদ্ধার অভিযান। একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ডাউন লাইনে বসিয়ে ইঞ্জিন ও ওয়াগন সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধারকারী ট্রেনটি লাইন থেকে সরিয়ে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের কমিটি

দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি আজ তদন্তকাজ শুরু করেছে। প্রথমে এ কমিটির প্রধান ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান দুর্ঘটনার দিন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন ও জয়দেবপুর জংশনের স্টেশনমাস্টার মো. হানিফ মিয়া তার সঙ্গে ছিলেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্তের বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে দুপুরে স্টেশনমাস্টার আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের সাক্ষাৎকার এবং তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দুর্ঘটনাকবলিত টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের যাত্রী শরীফ মাহমুদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভর্তির পর চালক সবুজ হাসান ও হাবিবুর রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর হওয়ায় তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কমলাপুরে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

গাজীপুরের জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা ও দুই দিন আগে সান্তাহার স্টেশনে রেলকর্মীদের মারধরের পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।

এরমধ্যে আজ সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ছিল।

রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দৈনিক ৫৩টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও এদিন মাত্র ৪টি ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। বাকি অর্ধশত ট্রেনের অধিকাংশ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে যাচ্ছে।

রেলস্টেশনে সময়সূচিতে দেখা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেস সাত ঘণ্টারও বেশি সময় বিলম্ব করে। অথচ ট্রেনটির সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর ছাড়ার কথা ছিল।

কমলাপুর স্টেশন সূত্র বলছে, লাইন ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে জয়দেবপুর হয়ে যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করে সেগুলোতে বিলম্ব হয়। আগের দিন থেকেই এসব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব ট্রেনই ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে। এখনো লাইন পুরোপুরি ঠিক হয়নি। সকাল থেকে এ রুটে ৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে আর সবই বিলম্বে চলছে।

স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্তান ও স্বজন নিয়ে কেউ বসে আছেন, কেউবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছেন বসার জায়গা না পেয়ে। স্টেশনের ভেতর অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ঢাকা স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে রুমে রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা টিকিট রিফান্ডের দাবি নিয়ে আসেন। পরে যাত্রীদের দাবি মেনে তাদের টিকিট রিফান্ড করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়।


banner close